সাফল্য Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?cat=13 কুড়িগ্রাম জেলার তথ্য ও সংবাদ Sat, 27 Apr 2024 12:25:28 +0000 en-US hourly 1 https://www.ulipur.com/wp-content/uploads/2022/10/1665889308.png সাফল্য Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?cat=13 32 32 রাজারহাটে জি-৩ রুইয়ের রেণু পোনা চাষে লাখপতি ফারুক মন্ডল https://www.ulipur.com/?p=32004 Sat, 27 Apr 2024 12:25:28 +0000 https://www.ulipur.com/?p=32004 ।। নিউজ ডেস্ক ।। রাজারহাটের মৎস্যচাষি ফারুক মন্ডল ৫ হাজার টাকায় জি-৩ রেণু পোনা কিনে এখন রেণু বেচেই লাখপতি। গত সেপ্টেম্বর মাসে ৫ হাজার টাকায় রংপুর থেকে উন্নত জাতের ৫০০ গ্রাম রেণু সংগ্রহ করেন তিনি। ৬ মাস পর আঙ্গুল সাইজের রেণু পোনা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা দরে। সুস্বাদু ও ৬/৭ কেজি ওজন পর্যন্ত এই রুই [...]

The post রাজারহাটে জি-৩ রুইয়ের রেণু পোনা চাষে লাখপতি ফারুক মন্ডল appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
রাজারহাটের মৎস্যচাষি ফারুক মন্ডল ৫ হাজার টাকায় জি-৩ রেণু পোনা কিনে এখন রেণু বেচেই লাখপতি। গত সেপ্টেম্বর মাসে ৫ হাজার টাকায় রংপুর থেকে উন্নত জাতের ৫০০ গ্রাম রেণু সংগ্রহ করেন তিনি। ৬ মাস পর আঙ্গুল সাইজের রেণু পোনা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা দরে। সুস্বাদু ও ৬/৭ কেজি ওজন পর্যন্ত এই রুই পুকুরে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ফলে মৎস্যচাষিরা এই পোনা চাষ করে ভাগ্য বদলের চেষ্টা করছেন।

সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এতদিন পর্যন্ত সনাতন পদ্ধতিতে পুকুরে মাছ চাষ করে আসছিলেন রাজারহাটের নাফাডাঙ্গা গ্রামের মৎস্যচাষি উমর ফারুক মন্ডল। উন্নত জাতের জি-৩ রুই পোনার সন্ধান পান রংপুরে। গত সেপ্টেম্বরে সেখান থেকে ৫ হাজার টাকায় ৫০০ গ্রাম রুই মাছের রেণু ক্রয় করেন। সেখান থেকে আড়াই থেকে ৩ লাখ রেণু পাওয়া যায়। দুই মাস শৈত্যপ্রবাহ শেষে চলতি এপ্রিল মাসে আঙ্গুল সমান ২৮৬ কেজি রেণু পোনা ৩৫০ টাকা দরে লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি। আরও ৮০০ কেজি রেণু পোনা বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়াও পোনাগুলো এক বছর পুকুরে রাখতে পারলে আরও বেশি লাভবান হতে পারবেন তিনি। ফলে তার পুকুরের রুই পোনার গ্রোথ দেখে অনেক মৎস্যচাষি রুই পোনা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

মৎস্যচাষি ফারুক মন্ডল জানান, এই মাছ দ্রুত বাড়ে ও লাভজনক। ৫০০ গ্রাম রুই পোনা উৎপাদনে খাবার ও পরিচর্চা বাবদ খরচ হবে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। এই মাছ বিক্রি করলে ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা আমার লাভ হবে।

রংপুর আরডিআরএস এর সমন্বিত কৃষি ইউনিটের টিম লিডার বিদ্যুৎ কুমার সাহা জানান, সাধারণ রুই মাছের তুলনায় এই মাছের গ্রোথ ৩০ গুণ বেশি। এই মাছ চাষে মৎস্যচাষিদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা বিনামূল্যে এই রেণু পোনা সরবরাহ করছি। যাতে কুড়িগ্রামে মৎস্য চাহিদা ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়। কৃষকরা অধিক লাভবান হয়।

The post রাজারহাটে জি-৩ রুইয়ের রেণু পোনা চাষে লাখপতি ফারুক মন্ডল appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কুড়িগ্রামে বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন https://www.ulipur.com/?p=28857 Sat, 09 Dec 2023 15:27:44 +0000 https://www.ulipur.com/?p=28857 ।। নিউজ ডেস্ক ।। কুড়িগ্রামে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে র‌্যালি, আলোচনা সভা এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ১০ জয়িতাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক স্বপ্নকুঁড়ি রিসোর্স সেন্টারে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজ্জাদ হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার শামছুল আলম, জেলা [...]

The post কুড়িগ্রামে বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে র‌্যালি, আলোচনা সভা এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ১০ জয়িতাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক স্বপ্নকুঁড়ি রিসোর্স সেন্টারে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজ্জাদ হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার শামছুল আলম, জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সাবেক সাংসদ আহমেদ নাজমীন সুলতানা, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জেবুন নেছা প্রমুখ।

পরে জেলা পর্যায়ে ৫ জন এবং কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা পর্যায়ে ৫ জন জীবন যুদ্ধে জয়ি নারীকে জয়িতা হিসাবে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। জেলা পর্যায়ে জয়িতারা হলেন, সফল জননী রাবেয়া খাতুন, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে খোদেজা বেগম, অর্থনৈতিক সাফল্যে রোমানা আক্তার, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছে যে নারী মোর্শেদা বেগম ও সমাজ উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য ফরিদা পারভীন।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা পর্যায়ে জয়িতারা হলেন, অর্থনৈতিক সাফল্যে নিলুফা ইয়াসমিন, শিক্ষা ও চাকুরীতে আফসানা মিমি, সফল জননী আলেয়া বেগম, সমাজ উন্নয়নে কুলসুম বেগম এবং নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছে যে নারী লাভলী বেগম।

The post কুড়িগ্রামে বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজ চাষে সফল রাজারহাটের তিন তরুণ https://www.ulipur.com/?p=13541 Sat, 24 Apr 2021 09:33:25 +0000 https://www.ulipur.com/?p=13541 ।। জেলা প্রতিনিধি ।।রাজারহাটে নতুন জাতের গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজ চাষ করে সফল তিন তরুণ। প্রথবারের মতো এ হলুদ রংয়ের তরমুজ চাষ করে উপজেলায় চমক লাগিয়েছে। সরেজমিনে জানা যায়, রাজারহাট সদর ইউপির মেকুরটারী গ্রামের ও চাকিপশার ইউপির রতিরাম কমলওঝাঁ গ্রামের নুর আলম, মনিরুজ্জামান, মাহাবুবুল হাসান তিন বন্ধু মিলে রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর উত্তর পাশে হরিশ্বর তালুক মৌজায় [...]

The post গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজ চাষে সফল রাজারহাটের তিন তরুণ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। জেলা প্রতিনিধি ।।
রাজারহাটে নতুন জাতের গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজ চাষ করে সফল তিন তরুণ। প্রথবারের মতো এ হলুদ রংয়ের তরমুজ চাষ করে উপজেলায় চমক লাগিয়েছে।

সরেজমিনে জানা যায়, রাজারহাট সদর ইউপির মেকুরটারী গ্রামের ও চাকিপশার ইউপির রতিরাম কমলওঝাঁ গ্রামের নুর আলম, মনিরুজ্জামান, মাহাবুবুল হাসান তিন বন্ধু মিলে রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর উত্তর পাশে হরিশ্বর তালুক মৌজায় মাত্র ৪০ শতাংশ জমিতে মাচায় নতুন জাতের (গোল্ডেন ক্রাউন) তরমুজ চাষ করেছে। প্রতিটি মাচা নেট দ্বারা আবৃত। পোকা-মাকড় আক্রমণ করতে না পারে সেজন্য মাচার মাঝখান দিয়ে ফেরোমেন ও ইয়েলো ট্যাপ লাগানো। মাচার ভিতরে ঢুকতে দেখা যায়, শতশত তরমুজ। তরমুজে মাচাগুলা ভরপুর। প্রতিটি গাছে চার থেকে পাচঁটি করে ঝুলে আছে। একেকটি তরমুজ দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের হয়। খেতে সুস্বাদ এ তরমুজের বাইরের অংশ হলুদ হলেও ভেতরে টকটকে লাল। তাদের ওই তরমুজ ক্ষেতের মাচাভর্তি তরমুজ দেখতে ভিড় করছে নানা বয়সের মানুষজন।

তরমুজ চাষী তরুণ উদ্দোক্তা নুর আলমের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, করোনার এ পরিস্থিতিতে প্রায় এক বছর ধরে কলেজ বন্ধ তাই বসে না থেকে লেখাপড়ার পাশাপাশি আমরা তিন বন্ধু মিলে তরমুজ চাষের প্রতি আগ্রহী হই। সম্পূর্ণ নিজস্ব র্অথায়নে ৪০শতাংশ জমিতে নতুন জাতের এ তরমুজ লাগিয়েছি। আমদের খরচ হবে প্রায় ৭০-৮০ হাজার টাকা। প্রতি কেজি তরমুজ বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রিয় হচ্ছে। আর ২০ হতে ২৫ দিনের মধ্যে এ তরমুজ বাজারজাত করা হবে। প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকার তরমুজ বিক্রিয় আশাবাদী আমরা।

রাজারহাট উপজেলা কৃষি অফিসার সম্পা আকতার বলেন, ওই তিন তরুণ ইন্টারনেটের মাধ্যমে নতুন জাতের তরমুজের সন্ধ্যান পান এবং অনলাইনের মাধ্যমে বীজ সংগ্রহ করে। পরে শুরু থেকে ওই তিন তরুণ উদ্যোক্তাকে প্রযুক্তিগত সবধরনের পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। ওই তিন তরুণদের সাফল্য দেখে অন্য চাষীরাও আগ্রহী দেখাচ্ছেন। এতে শিক্ষিত তরুণরা চাষাবাদে এগিয়ে এলে কৃষি সেক্টর আরো সমৃদ্ধ হবে। আগামী বছর এ উপজেলায় তরমুজ চাষ আরো বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।

//নিউজ/কুড়িগ্রাম//সুভাষ/এপ্রিল/২৪/২১

The post গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজ চাষে সফল রাজারহাটের তিন তরুণ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
মাছ চাষ করে সফল তবকপুরের শাহানুর রহমান সাগর https://www.ulipur.com/?p=10853 Sun, 21 Jun 2020 03:27:02 +0000 https://www.ulipur.com/?p=10853 ।। নুর আলম ।। বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে তিন বছরে সাফল্য পেয়েছেন উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের শাহানুর রহমান সাগর। শাহানুর রহমান সাগরের চাষকৃত মাছ বর্তমানে সরবরাহ করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। বেকারত্ব দূর করতে মাত্র তিন বছর আগে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন মাছ। বর্তমানে মাছ চাষ করে বছরে কয়েক লাখ টাকা আয় করেন তিনি। [...]

The post মাছ চাষ করে সফল তবকপুরের শাহানুর রহমান সাগর appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নুর আলম ।।
বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে তিন বছরে সাফল্য পেয়েছেন উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের শাহানুর রহমান সাগর। শাহানুর রহমান সাগরের চাষকৃত মাছ বর্তমানে সরবরাহ করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। বেকারত্ব দূর করতে মাত্র তিন বছর আগে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন মাছ। বর্তমানে মাছ চাষ করে বছরে কয়েক লাখ টাকা আয় করেন তিনি। নিজস্ব উৎপাদিত কাঁচামাল দিয়ে খাবার তৈরি করে সঠিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে এই সফলতা পেয়েছেন। তার সাফল্যকে ওই এলাকার অনেকেই অনুসরণ করে মাছ চাষ করছেন।

পিতা জমির উদ্দীনের উৎসাহে পাঁচটি পুকুর নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন সাগর । কিছু দিন পর ১০ একরের একটি বিল লিজ নেন ৫ বছরের জন্য বাৎসরিক দুই লক্ষ টাকার বিনিময়ে। বর্তমানে বিল এবং ৫টি পুকুরে রুই, মৃগেল, কাতলা, কার্পজাতীয় মিঠা পানির মাছ চাষ করছেন সাগর। মাছ চাষের পাশাপাশি বিলে হাঁসের খামার তৈরি করেন তিনি। তার খামারে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন এলাকার বেশ কিছু মানুষ।

মাছ চাষ বিষয়ে পরামর্শ নিতে প্রায় তার কাছে আসেন অনেকেই, তিনি তাদেরকে নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সাগর যখন কোনো বিষয়ে সমস্যায় পড়েন তখন দ্রুত উপজেলা মৎস্য অফিসে গিয়ে মৎস্য কর্মকর্তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেন। মাছ চাষের ব্যাপারে তাকে সহযোগিতা করেছেন জেলা ও উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

The post মাছ চাষ করে সফল তবকপুরের শাহানুর রহমান সাগর appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
অর্থের অভাবে কি থেমে যাবে প্রতিবন্ধী পিতার মেধাবী সন্তান গাজীউলের স্বপ্ন https://www.ulipur.com/?p=10691 Sat, 06 Jun 2020 16:36:34 +0000 https://www.ulipur.com/?p=10691 ।। আব্দুল মালেক ।। শত প্রতিকূলতা আর অভাবকে জয় করে অদম্য মেধাবী গাজীউল হক গাজী চলতি এসএসসি(ভোক) পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। ব্রহ্মপূত্র নদের ভাঙ্গনে ভিটেমাটিসহ সর্বস্ব হারিয়ে বাবা প্রতিবন্ধি হায়দার আলী স্ত্রী ও চার সন্তানকে নিয়ে দূর্বিসহ জীবন কাটাতে থাকেন। উপার্জনহীন অভাবের সংসারে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়াতো দুরের কথা দু’বেলা খাবার জোটানোই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে তাদের। এ অবস্থায় [...]

The post অর্থের অভাবে কি থেমে যাবে প্রতিবন্ধী পিতার মেধাবী সন্তান গাজীউলের স্বপ্ন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। আব্দুল মালেক ।।
শত প্রতিকূলতা আর অভাবকে জয় করে অদম্য মেধাবী গাজীউল হক গাজী চলতি এসএসসি(ভোক) পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। ব্রহ্মপূত্র নদের ভাঙ্গনে ভিটেমাটিসহ সর্বস্ব হারিয়ে বাবা প্রতিবন্ধি হায়দার আলী স্ত্রী ও চার সন্তানকে নিয়ে দূর্বিসহ জীবন কাটাতে থাকেন। উপার্জনহীন অভাবের সংসারে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়াতো দুরের কথা দু’বেলা খাবার জোটানোই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে তাদের। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে স্ত্রী ছোট ছেলে গাজীউল হক গাজী ও দুই মেয়েকে নিয়ে আশ্রয় নেন বাবার বাড়িতে। প্রতিবন্ধী হায়দার আলীর আশ্রয় হয় বোনের বাড়িতে। ছেলেমেয়েদের ভরণ পোষন আর লেখাপড়ার খরচ যোগাতে মেজো মেয়ে পাড়ি জমান ঢাকায়। গার্মেন্টসে চাকুরীর স্বল্প বেতন দিয়ে ছোট ভাই-বোনের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে থাকেন। এগিয়ে আসেন আত্মীয় স্বজন ও পরিবারের লোকজন। গাজীউল হক গাজী জিপিএ-৫ পাওয়াতে খুশি প্রতিবন্ধী হায়দার আলীসহ সকলেই ।

প্রতিবন্ধী হায়দার আলীর সাথে তার বোনের বাড়ি উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামে দেখা করতে গেলে তিনি ক্রাচে ভর দিয়ে হাসিমুখে বেড়িয়ে আসেন। ছেলের ভাল ফলাফল কেমন লেগেছে এমন প্রশ্নে উত্তরে হাসিমুখে জবাব দিলেও কষ্ট গুলো যেন তার চোখেমুখে ফুটে উঠে মহুর্তেই। চোখের পানি ছলছল হয়ে উঠে।
তিনি জানান, দুই-তিন দফায় ব্রহ্মপূত্র নদের ভাঙ্গনে সবকিছু হারিয়ে ফেলেছি। অভাবের সাথে লড়াই করে বড় মেয়ের বিয়ে দেয়ার পর কর্মহীন অবস্থায় সংসার চলাতে হিমশিম খাচ্ছিলাম। একদিন শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে কথা বলে ছেলে, দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে ওখানেই পাঠিয়ে দেই। মেজো মেয়ে ফেরদৌসী ছোট ভাইবোন আর সংসারের হাল ধরতে ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকুরী নেয়। স্ত্রী মেজো মেয়ের সাথে ঢাকা থাকা শুরু করেন। ছোট মেয়ে জেবা আনিকা ও একমাত্র পুত্র গাজীউল হক গাজী রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলায় ইকরচালী গ্রামে নানার বাড়িতে থেকেই লেখাপড়া চালাতে থাকে। ছোটমেয়ে জেবা আনিকা রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয় নিয়ে মাষ্টার্স শেষ করেছেন। বর্তমানে চাকুরী না হওয়ায় বেকার বসে আছেন।

ছেলে গাজীউল হক গাজী তারাগঞ্জ উপজেলার জগদীশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিএসসিতে জিপিএ-৫, জেএসসি পরীক্ষায় একই উপজেলার ইকরচালী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ ও চলতি এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় কম্পিউটার ট্রেডে জিপিএ-৫ পেয়েছে। কথাগুলো বলতে বলতেই তার দু’চোখ ছলছল করে উঠে। একটু থেমেই হাউমাউ করে ডুকরে কেঁদে উঠেন। ছেলে ভাল ফলাফলের আনন্দ যেন মনের ভিতরে জমাট বাঁধা কষ্ট গুলো অশ্রু হয়ে বেড়িয়ে আসে। উপস্থিত সকলের চোখে পানি চলে আসে। চোখের পানি মুছতে মুছতেই বলেন, মেয়েটার চাকুরী আর ছেলেটার বাকি লেখাপড়াটা শেষ করাতে পারলে মরেও শান্তি পাব।

অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে যাবে নাতো মেধাবী গাজীউল হক গাজীর লেখাপড়া? এক সহায়-সম্বলহীন প্রতিবন্ধি পিতার স্বপ্ন গুলো বাঁচিয়ে রাখতে এগিয়ে আসবে কি কেউ? এমন পরিস্থিতিতেও মেধাবী গাজীউল স্বপ্ন পূরণে অবিচল।

এসময় স্থানীয় লোকজন জানান, নদী ভাঙনের শিকার হয়ে প্রতিবন্ধি হায়দার আলী ভাসমান জীবন যাপন করেও ব্রহ্মপূত্র নদী ভাঙ্গনে সবকিছু হারিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করছেন ভাঙ্গন কবলিত মানুষের জন্য। ক্রাচে ভর দিয়ে এক পায়ের উপর দাঁড়িয়েই নদী ভাঙ্গনরোধে কাজ করে যাচ্ছেন।

কিছুদিন আগে উলিপুর প্রেসক্লাবের সামনে নিজের একটি হুইল চেয়ার অসহায় একজন প্রতিবন্ধীকে দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি বর্তমানে হাতিয়া ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামে বোনের বাড়িতে আশ্রিত থেকে জীবনযাপন করছেন।

The post অর্থের অভাবে কি থেমে যাবে প্রতিবন্ধী পিতার মেধাবী সন্তান গাজীউলের স্বপ্ন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
মাঠে নেই উলিপুর কৃষি বিভাগ, তবু ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা https://www.ulipur.com/?p=10145 Sat, 04 Apr 2020 15:24:05 +0000 https://www.ulipur.com/?p=10145 || আব্দুল মালেক || করোনাভাইরাসের কারণে উলিপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে না থাকলেও চলতি বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে সবুজের সমারোহ কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক ফোটাচ্ছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকুলে থাকায় এবার তেমন কোন রোগ-বালাইয়ের আক্রমন নেই বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। সে কারণে উৎপাদন খরচও কম হবে [...]

The post মাঠে নেই উলিপুর কৃষি বিভাগ, তবু ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
|| আব্দুল মালেক ||
করোনাভাইরাসের কারণে উলিপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে না থাকলেও চলতি বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে সবুজের সমারোহ কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক ফোটাচ্ছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকুলে থাকায় এবার তেমন কোন রোগ-বালাইয়ের আক্রমন নেই বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। সে কারণে উৎপাদন খরচও কম হবে বলে তারা মনে করছেন। তাই উৎফুল্ল মনে ধানের পাশাপাশি পেঁয়াজ, গম, ভূট্টা, সরিষা, আলুসহ নিত্যপণ্যের চাষাবাদও করেছেন অনেক কৃষক।

আর অনেকটাই নির্লিপ্ত থাকা কৃষি বিভাগের দাবী, সব মিলিয়ে ধানসহ অন্যান্য কৃষি পণ্যের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। সারাদেশে করোনা ভাইরাস আতংক ছড়িয়ে পড়লেও কৃষকরা জমির ক্ষেতের পরিচর্যার কোন কমতি করছেন না।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ২৮ হাজার ১’শ ২৯ হেক্টর আবাদি জমির মধ্যে চলতি বোরো মৌসুমে ২১ হাজার ৫’শ ৭৫ হেক্টর জমিতে উফসি, হাইব্রিড ও স্থানীয় জাতের ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৯’শ ৫০ হেক্টর জমিতে উফসি, ৫ হাজার ৫’শ ৫০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ও ৭৫ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। এছাড়া ৫’শ ১০ হেক্টর জমিতে গম, ৪’শ ৫০ হেক্টর জমিতে ভূট্টা, ১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা, ৮’শ ৫ হেক্টর জমিতে আলু, ২’শ ৮৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ ও শাক-সবজি সহ মৌসুমী ফসল চাষাবাদ করা হয়েছে ১ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে।

উলিপুর পৌরসভার রাজারাম ক্ষেত্রী গ্রামের কৃষক ও সেচ মালিক জাকির হোসেন জানান, ধান গারা (রোপন) পর্যন্ত কৃষি অফিসের কেউ আসেনি। ধানক্ষেতে ওষুধ ও সার দিচ্ছি নিজের বুদ্ধি খরচ করে। বিদ্যুৎ ভালো থাকায় জমিতে পানি দিতে কোন সমস্যা হচ্ছে না। তিনি আশা করছেন, সামনে কোন বালা-মুসিবত (বিপদ-আপদ) না হলে ধানের বাম্পার ফলন পাবেন। একই কথা জানালেন নারিকেল বাড়ি সন্ন্যাসীতলা গ্রামের কৃষক খোকন রায় ও বাবলু চন্দ্র বর্মণ। ধরনীবাড়ি ইউনিয়নের কৃষক শাহীনুর রহমান জানান, বোরো ধানের পাশাপাশি ৫০ শতক জমিতে শাক-সবজি চাষাবাদ করেছি। আবহাওয়া অনুকুল থাকায় এসব বিক্রি করে মোটামুটি লাভবান হচ্ছি।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বোরো ধানক্ষেতে সবুজের সমারোহ। অনেক কৃষক বলেন, সারাদেশে করোনাভাইরাস আতংক ছড়িয়ে পড়লেও ক্ষেতের পরিচর্যায় তারা কোন কমতি করছেন না। এসব কৃষকের আশা, পরিবেশ অনুকুলে থাকলে চলতি মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, কৃষকরা চাষাবাদে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে সুফল পেতে শুরু করেছেন। আশা করছি চলতি মৌসুমে উপজেলায় বোরো ধানসহ সব ফসলের বাম্পার ফলন হবে।

The post মাঠে নেই উলিপুর কৃষি বিভাগ, তবু ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
‘যখন জিতিল, চোখ দিয়া পানি আসিল’ https://www.ulipur.com/?p=9831 Tue, 11 Feb 2020 12:06:46 +0000 https://www.ulipur.com/?p=9831 || নিউজ ডেস্ক || শাহীন আলম ও তাঁর দরিদ্র পরিবারকে এখন সবাই চেনে। যুব বিশ্বকাপ ক্রিকেট জয়ের পর পুরো গ্রামের মানুষ উচ্ছ্বসিত। যাঁরা খেলা দেখেননি, তাঁরাও শাহীনকে নিয়ে আলোচনা করছেন। শাহীনের বাড়ি উলিপুর উপজেলার যমুনা পাইকপাড়া গ্রামে। দুই শতক জমির ওপর বাড়ি, এটাই একমাত্র সম্পদ। জেলা শহর থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে শাহীন আলমের বাড়িতে গিয়ে [...]

The post ‘যখন জিতিল, চোখ দিয়া পানি আসিল’ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
|| নিউজ ডেস্ক ||
শাহীন আলম ও তাঁর দরিদ্র পরিবারকে এখন সবাই চেনে। যুব বিশ্বকাপ ক্রিকেট জয়ের পর পুরো গ্রামের মানুষ উচ্ছ্বসিত। যাঁরা খেলা দেখেননি, তাঁরাও শাহীনকে নিয়ে আলোচনা করছেন।

শাহীনের বাড়ি উলিপুর উপজেলার যমুনা পাইকপাড়া গ্রামে। দুই শতক জমির ওপর বাড়ি, এটাই একমাত্র সম্পদ।

জেলা শহর থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে শাহীন আলমের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মা সাতিনা বেগমকে পাওয়া গেল। তিনি জানান, ‘খেলার আগের দিন রাইতোত রিং করি কয় মা দোয়া করিস। কাল ফাইনাল খেলা। খেলা দেখছি উয়ার বাপসহ। বারে বারে দোয়া পড়ি। যখন জিতিল, চোখ দিয়া পানি আসিল।’

শাহীনের দিনমজুর বাবা মো. সাহাদাৎ আলী বাড়িতে ছিলেন না। বিকেলে কাজ শেষে বাড়িতে যখন এলেন, তখন তাঁর হাতে–পায়ে মাটি। ছেলের কথা জানতে চাইলে বলেন, ‘রাইতোত খেলা দেখছি। আজ কামোত যাওয়ার সময় শুনি সবাই ছাওয়াক নিয়া কথা কবার নাগছে। অনেকে জিজ্ঞাসা করে শাহীন কুনদিন আসপে বাহে।’

সূত্র: প্রথম আলো

The post ‘যখন জিতিল, চোখ দিয়া পানি আসিল’ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
মৌ চাষে স্বাবলম্বী গুনাইগাছের আশরাফুল আলম রাজু https://www.ulipur.com/?p=9791 Fri, 07 Feb 2020 12:46:05 +0000 https://www.ulipur.com/?p=9791 ।।নুরবক্ত আলী।। মৌ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন উলিপুর উপজেলার পুর্ব কালুডাঙ্গা গ্রামের আশরাফুল আলম রাজু। নিজের কর্মপ্রচেষ্টা, ধৈর্য্য ও সততার সঙ্গে মৌ চাষ করে এখন মাসে আয় করছেন প্রায় এক লাখ টাকা। আশরাফুল আলম রাজু উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়েনর পুর্ব কালুডাঙ্গা গ্রামের ইসাহক আলীর ছেলে। লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি মৌ চাষ করছেন। পুর্বে মৌ চাষের অভিজ্ঞতা [...]

The post মৌ চাষে স্বাবলম্বী গুনাইগাছের আশরাফুল আলম রাজু appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।।নুরবক্ত আলী।।

মৌ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন উলিপুর উপজেলার পুর্ব কালুডাঙ্গা গ্রামের আশরাফুল আলম রাজু। নিজের কর্মপ্রচেষ্টা, ধৈর্য্য ও সততার সঙ্গে মৌ চাষ করে এখন মাসে আয় করছেন প্রায় এক লাখ টাকা। আশরাফুল আলম রাজু উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়েনর পুর্ব কালুডাঙ্গা গ্রামের ইসাহক আলীর ছেলে। লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি মৌ চাষ করছেন। পুর্বে মৌ চাষের অভিজ্ঞতা তার ছিল না। শখের বসে তিনি তার মামা আইনুল হকের সহযোগিতায় মৌ চাষের কলা কৌশল শিখে এখন তিনি বানিজ্যিকভাবে মৌচাষ করছেন। ২০১৬ সাল থেকে হাতে-কলমে মৌ চাষের প্রশিক্ষণ নিয়ে এরপর তার মৌমাছি পালন ও মধু সংগ্রহ করতে কোনো অসুবিধায় পড়তে হয়নি। তিনি এখন উপজেলার একমাত্র সফল মৌচাষি।

২০১২ সালে আশরাফুল আলম রাজু একটি মৌ বাক্স দিয়ে মৌচাষ শুরু করেন। এরপর আস্তে আস্তে মৌকলোনী বাড়াতে থাকেন এবং মধু উৎপাদন বৃদ্ধি পেতে থাকে। বর্তমানে তাঁর ৭০টি মৌ বাক্স রয়েছে। এখন সে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ মৌ চাষ করে মধু সংগ্রহ করছেন।

মাসে প্রায় ৪০০-৫৫০ কেজির মতো মধু বিক্রি করেন। প্রতি কেজি ৫০০-৫৫০ টাকা করে বিক্রি করেন। সুস্বাদু ও দামে সস্তা আশরাফুল আলম রাজুর মধুর ব্যাপক চাহিদা এলাকায়। নির্ভেজাল মধুর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তাই তিনি বিএসটিআই ও বিসিক থেকে অনুমোদন নিয়ে বানিজ্যিকভাবে  “রাজ মধু ” নামে বাজারজাত করছেন। তাঁর মধু এখন জেলার সব উপজেলায় পাওয়া যাচ্ছে। আশরাফুল আলম রাজু মৌচাষের আয় দিয়ে পরিবারের খরচ, নিজের এবং ছোট বোনের পড়াশোনার খরচ জোগাচ্ছেন। রাজু বিবিএস শেষ করে মাস্টার্সে পড়াশুনা করছেন। তার সামাজিক অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। আশরাফুল আলম রাজু ২০১৬ সালে বিসিক থেকে ১৫ দিনের আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে মৌচাষ প্রকল্পের উন্নত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। উক্ত প্র্রশিক্ষণে হাতে কলমে উন্নত রাণী উৎপাদন, মাইট পরীক্ষা, হাইজেনিক পরীক্ষা, মৌকলোনী ব্যবস্থাপনা, পোলেন উৎপাদন ইত্যাদি শেখানো হয়। এরপর ১২দিন ব্যাপী উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং মধু পরিশ্রুতকরণ এর ধাপ বিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এছাড়াও বিশুদ্ধ মধু উৎপাদন, বাজার জাতকরণ এবং মৌফসল উৎপাদন বৃদ্ধির উপর জেলা উপজেলা পর্যায়ে কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। এসব কর্মকান্ডের ফলে রাজু অনেক কিছু শিখেছেন এবং তার মৌচাষ শিল্পে কাজে লাগিয়ে লাভবান হচ্ছেন। রাজু মৌকলোনীতে এখন রোগ বালাই খুব কম হয়। উন্নত পদ্ধতিতে রাণী উৎপাদন করছেন এবং বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে মৌকলোনীতে করণীয় ঠিক করছেন। রাজু বলেন, একটি মৌ বাক্স থেকে মাসে চারবার মধু সংগ্রহ করা যায়। প্রতিটি বাক্সে প্রতিবার প্রায় দুইকেজি করে মধু পাওয়া যায়। সরিষা মৌসুমে মধু বেশী হয় বাকী সময়ে মৌচাকে কম মধু পাওয়া যায়। একটি মৌ বাক্সে একটি মাত্র রানী মৌমাছি থাকে, আর পুরুষ মৌমাছি থাকে কিছু সংখ্যক বাকিরা সবাই শ্রমিক। তারা ফুল থেকে মধু সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত থাকে। রানি মৌমাছি না থাকলে মৌচাকে মধু হবে না বলে জানালেন মৌ চাষি আশরাফুল। শীত বেশি হলে বাক্সগুলো নিরাপদে রাখতে হয়। তার মধু উৎপাদন দেখে এলাকার অনেক আগ্রহী যুবক ও সৌখিন ব্যক্তি তার কাছ থেকে মধু চাষের বিষয়ে পরামর্শ নিয়ে থাকেন বলে তিনি তার মধু চাষের বিষয়গুলো নিশ্চিত করেন।

মৌচাষি আশরাফুল আলম রাজু ও তার মৌকলোনী

উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুভাষ চন্দ্র সরকার বলেন, মধু মহান সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়েটিক ওষুধ। যা সহজেই হাতের কাছে পাওয়া যায়। মধুর গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। শিশুদের ঠান্ডা ও কাশি সারাতে খুবই ভাল কাজ করে। বড়দের ক্ষেত্রেও মধুর রয়েছে বিশেষ কিছু গুণাবলি। মধু দেহে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

আশরাফুল আলম আগামীতে ২০০টি মৌ বাক্স করার ইচ্ছাপোষন করেন। একটি মৌ বাক্স প্রায় ৬-৭ হাজার টাকা লাগে তাই তিনি সরকারের নিকট মৌচাষীদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধার দেয়ার আবেদন জানান ।

উলিপুরে এটাই বাণিজ্যিকভাবে প্রথম মৌ চাষ উল্লেখ করে উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, মৌমাছি চাষে মধুর জোগানের পাশাপাশি ফুলের পরাগায়ন ঘটিয়ে ফসলের উৎপাদন ২০ ভাগ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে। যে মাঠে যত বেশি মৌমাছি থাকবে, সেই মাঠে তত বেশি পরাগায়ন হবে। স্বাভাবিকভাবে একবিঘা জমিতে ৪-৫ মণ সরিষা হয়। মৌমাছি বেশি হলে প্রায় ২০ ভাগ উৎপাদন বেড়ে যায়। এই মৌসুমে উপজেলায় ১হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। বিচ্ছিন্নভাবে না করে কমিউনিটি আকারে সরিষার আবাদ করাটাই উত্তম। এতে উৎপাদন ভালো হবে এবং মৌ চাষও এগিয়ে নেওয়াটা সহজ হবে। তিনি আরও বলেন, ‘শুধু সরিষার মৌসুমেই নয়, সারা বছরই মৌ চাষ করা যাবে। কারণ আমাদের দেশে সারা বছরই কোনও না কোন ফুল থাকে। ফলে সরিষা শেষে আম বাগান, লিচু বাগানেও মৌ চাষ করা যাবে। মৌ চাষে বিনিয়োগের তুলনায় মুনাফা বেশি। কেউ যদি বাণিজ্যিকভাবে মৌ চাষ করতে চান, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

আশরাফুল আলম রাজু এলাকার তরুণ উদ্দোক্তাদের অনুপ্রেরণার উৎস।

The post মৌ চাষে স্বাবলম্বী গুনাইগাছের আশরাফুল আলম রাজু appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
নিজ উদ্যোগে হাঁসের বাচ্চা ফুটিয়ে রেজার মাসিক আয় প্রায় ৩ লক্ষ টাকা https://www.ulipur.com/?p=9682 Mon, 13 Jan 2020 11:14:05 +0000 https://www.ulipur.com/?p=9682 ।। নিউজ ডেস্ক ।। উলিপুরে রেজাউল ইসলাম রেজা নামে এক উদ্যোক্তা নিজে ইনকিউবেটর মেশিন তৈরি করে তার মাধ্যমে বেইজিং হাঁসের বাচ্চা ফুটিয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন। তার দুটি ইনকিউবেটর মেশিনে ১৭০০ ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা উৎপাদন হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৩০০। তার এ সফলতার খবর পেয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্যোক্তারা এসে ইনকিউবেটর মেশিন তৈরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া [...]

The post নিজ উদ্যোগে হাঁসের বাচ্চা ফুটিয়ে রেজার মাসিক আয় প্রায় ৩ লক্ষ টাকা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে রেজাউল ইসলাম রেজা নামে এক উদ্যোক্তা নিজে ইনকিউবেটর মেশিন তৈরি করে তার মাধ্যমে বেইজিং হাঁসের বাচ্চা ফুটিয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন। তার দুটি ইনকিউবেটর মেশিনে ১৭০০ ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা উৎপাদন হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৩০০। তার এ সফলতার খবর পেয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্যোক্তারা এসে ইনকিউবেটর মেশিন তৈরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া সফল এ উদ্যোক্তা স্বপ্ন দেখছে প্রসেসিং প্লান্ট তৈরির মাধ্যমে হাঁস মোটাতাজা করে তার মাংস বাজারজাত করার।

এ উদ্যোক্তা জানান, প্রথমে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা খরচ করে শুরু করেছিলেন ছাগলের খামার। ছয় মাসের মধ্যে ১৫০টি ছাগলের মধ্যে ৭৫টি পিপিআর রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। লোকসান হয় আড়াই লাখ টাকা। এরপর ইউটিউবে বেইজিং হাঁস সম্পর্কে জেনে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। কুড়িগ্রাম হাঁস প্রজনন কেন্দ্রে হাঁস না পেয়ে লালমনিরহাটে এক উদ্যোক্তার কাছ থেকে ২০০ ডিমপাড়া বেইজিং হাঁস কিনে আনেন। পরে ছাগলের শেড ব্যবহার শুরু করেন। হাঁসের চলাচলের জন্য দেড় একর জমিতে তিনটি বড় পুকুর তৈরি করেন।

এর মধ্যে ইউটিউবে বেইজিং হাঁসের ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর পদ্ধতি দেখে নিজেই উদ্যোগ নিয়ে ৩০০ বাচ্চা ফোটানোর মতো ইনকিউবেটর মেশিন উদ্ভাবন করেন। এতে খরচ হয় ৫০ হাজার টাকা। ২৮ দিন পর বাচ্চাগুলো খোলস থেকে বেরিয়ে আসার পর সেগুলো বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেন। লভ্যাংশ বেড়ে যাওয়ায় ছোট ইনকিউবেটর ভেঙে এখন ৫ হাজার ও ১২ হাজার বাচ্চা ফোটানোর ইনকিউবেটর তৈরি করেন। এতে তার ৫ লাখ টাকা খরচ হয়।

রেজা জানান, প্রতিটি বাচ্চা উৎপাদনে খরচ হয় ৩০-৩৫ টাকা। তিনি তা বিক্রি করেন ৭২-৭৫ টাকায়। মাসে তার ১৩ হাজার বাচ্চা বের হয়। খরচ বাদ দিয়ে মাসে আয় হয় প্রায় ৩ লাখ টাকা। কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, সিলেট, চট্টগ্রাম, ভৈরব, হবিগঞ্জ, দিনাজপুর, লালমনিরহাট থেকে ক্রেতা এসে তার কাছ থেকে বাচ্চা নিয়ে যাচ্ছে।

পাশাপাশি ৫০ একরের মতো দৈর্ঘ্যের তিনটি পুকুর থেকে বিনা খরচে তিনি বছরে ৫-৬ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন।

রেজার বাবা আব্দুল করিম জানান, ২০১৫ সালে আমি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করি। এরপর বাড়িতে এসে ছেলেকে নিয়ে ছাগলের খামার দেই। সেটাতে লস করার পর ছেলে বেইজিং হাঁস পালনে আগ্রহী হয়। তার উদ্যোগের ফলে এখন আমাদের খামার অনেক বড় হয়ে গেছে। এখন এখানে চারজন লোকের কর্মসংস্থান ছাড়াও প্রতিদিন গড়ে ৮-৯ জন লোক কাজ করেন। আমার চার সন্তানের মধ্যে রেজা সবার বড়।

রেজাউল ইসলাম রেজা আরও জানান, আমার হাঁসের বাচ্চার ডিম তৈরির ইনকিউবেটর মেশিন দেখে তিন জেলায় গিয়ে আমি ইনকিউবেটর মেশিন তৈরি করে দিয়েছি। এর মধ্যে রংপুর থেকে একজন আড়াই লাখ টাকা খরচ করে ১৫ হাজার বাচ্চার একটি, নীলফামারী থেকে তিন লাখ টাকা খরচ করে ১৩ হাজার বাচ্চার একটি এবং সিলেট থেকে একজন ১০ হাজার বাচ্চা ফোটানের মেশিন তৈরি করে দিয়েছি।

স্নাতক পাস করা এ উদ্যোক্তা অভিযোগ করেন, তার একাজে জেলা বা উপজেলা থেকে কোনো সহায়তা করা হয়নি। ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনি এটি করেছেন। বেকার যুবকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

রেজাউল ইসলাম রেজার স্বপ্ন প্রসেসিং প্লান্ট তৈরির মাধ্যমে হাঁস মোটাতাজা করে তার মাংস বাজারজাত করার। বড় আকারে করলে খরচ পড়বে ৫ থেকে ৭ কোটি টাকা। তিনি ছোট আকারে এ প্লান্ট করার স্বপ্ন দেখছেন। যাতে তার প্রসেসিং প্লান্ট থেকে দেশে এবং বিদেশে হাঁসের উন্নতজাতের মাংস সরবরাহ করতে পারেন।

সূত্রঃ jagonews24

The post নিজ উদ্যোগে হাঁসের বাচ্চা ফুটিয়ে রেজার মাসিক আয় প্রায় ৩ লক্ষ টাকা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন উলিপুর উপজেলার মিজানুর রহমান https://www.ulipur.com/?p=9548 Tue, 24 Dec 2019 06:33:37 +0000 https://www.ulipur.com/?p=9548 ।। নিউজ ডেস্ক ।। “জাতীয় শিক্ষা পদক ২০১৯খ্রি”জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন মিজানুর রহমান। বাবা-মায়ের চতুর্থ সন্তান তিনি। তার পিতাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। মিজানুর রহমান ২১/০৯/২০১০খ্রি প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন। পরে তিনি গত ০৮/০২/২০১৭খ্রি সাতদরগাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। বর্তমান তিনি সাতদরগাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত [...]

The post জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন উলিপুর উপজেলার মিজানুর রহমান appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
“জাতীয় শিক্ষা পদক ২০১৯খ্রি”জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন মিজানুর রহমান। বাবা-মায়ের চতুর্থ সন্তান তিনি। তার পিতাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।

মিজানুর রহমান ২১/০৯/২০১০খ্রি প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন। পরে তিনি গত ০৮/০২/২০১৭খ্রি সাতদরগাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। বর্তমান তিনি সাতদরগাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন।

শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত রয়েছেন।বাংলাদেশ বেতার রংপুরের আধুনিক ও পল্লীগীতি গানের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে সংগীত পরিবেশন করে আসছেন। এছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিভিন্ন প্রাইভেট চ্যানেল গুলোতে সংগীত পরিবেশন করে বেশ সমাদৃত হয়েছেন মিজানুর রহমান। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের সংগীত বিষয়ের একজন প্রশিক্ষক। মিজানুর রহমান বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী উলিপুর শাখার সংগীত প্রশিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

The post জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন উলিপুর উপজেলার মিজানুর রহমান appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>