সম্পাদকীয় Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?cat=52 কুড়িগ্রাম জেলার তথ্য ও সংবাদ Thu, 25 Apr 2019 08:07:19 +0000 en-US hourly 1 https://www.ulipur.com/wp-content/uploads/2022/10/1665889308.png সম্পাদকীয় Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?cat=52 32 32 জীবনে না বাঁচে, বাড়ি… https://www.ulipur.com/?p=8270 Thu, 25 Apr 2019 08:03:30 +0000 https://www.ulipur.com/?p=8270 ।। বশির আহমেদ ।।চিলমারীর ব্রহ্মপুত্রের ওপারে চরবেষ্টিত গয়নার চরের ময়না। বয়স মাত্র ৩৬। বিয়ে হয় শিশু বয়সেই একই গ্রামের তারেক রহমানের সঙ্গে। সন্তানধারণের উপযুক্ত বয়স না হতেই জন্ম দেন দুই সন্তান। এর পরেই শুরু হয় রোগশোক। প্রথমে দেখা দেয় বাতজ্বর। ১৫ বছর ধরে ব্যথার বড়ি খেতে খেতে ধরা পড়ল যক্ষ্ণা। স্বামী অতিষ্ঠ- প্যাটোত ভাত নাই [...]

The post জীবনে না বাঁচে, বাড়ি… appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। বশির আহমেদ ।।
চিলমারীর ব্রহ্মপুত্রের ওপারে চরবেষ্টিত গয়নার চরের ময়না। বয়স মাত্র ৩৬। বিয়ে হয় শিশু বয়সেই একই গ্রামের তারেক রহমানের সঙ্গে। সন্তানধারণের উপযুক্ত বয়স না হতেই জন্ম দেন দুই সন্তান। এর পরেই শুরু হয় রোগশোক। প্রথমে দেখা দেয় বাতজ্বর। ১৫ বছর ধরে ব্যথার বড়ি খেতে খেতে ধরা পড়ল যক্ষ্ণা। স্বামী অতিষ্ঠ- প্যাটোত ভাত নাই ফির ঔষধ মারাছিস! ময়নার অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় ভাই আব্দুল গফুর জ্ঞাতিদের সহযোগিতায় চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে চিকিৎসা করান। ধীরে ধীরে সুস্থ হন তিনি। সুখ বুঝি আসে; কিন্তু তা আর হলো না। কষ্টের সংসারে নানা চিন্তার মাঝে স্বামীর শরীরে কখন যে ক্যান্সার ঠিকানা খুঁজে নিয়েছে, টেরও পায়নি।

বেশি দিন সময় দেয়নি, মাস দুয়েকের মাথায় মারা যান তারেক। ২০১৫ সালে হঠাৎ করে পচন ধরে শরীরে। যেখানে হাত দেয় সেখানেই দাগ হয়ে রক্ত জমে, পচে, ছড়ায় দুর্গন্ধ। দুর্গম চর পাড়ি দিয়ে ভর্তি করা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এরপর সেখানেই কেটে যায় দুই বছর। মেডিকেল অফিসার ডা. মোস্তারী বেগম ও সেবিকারাই হয়ে ওঠেন তার স্বজন। হাসপাতাল-সমাজসেবা-কোম্পানির ভিজিটের স্যাম্পল (ওষুধ) আর ডাক্তারের নিজস্ব অনুদানে চলে চিকিৎসা।

একদিন হঠাৎ খুব অসুস্থ হয়ে পড়লে তার ভাই আব্দুল গফুর বোনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলে বাড়ি নিয়ে যায়। বাড়িতে গিয়ে ময়না ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়। একসময় ময়নার দেহ নিথর হয়। আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীরা ধরে নেন তিনি মারা গেছেন। নাকফুল খুলতে গেলে চেতনা ফিরে আসে তার। সারা চরে আবারও রোল ওঠে-মরা মানুষ বাঁচি উঠছে বাহে। পরে ধীরে ধীরে কিছুটা সুস্থ হন তিনি।

সবাইকে চমকে দিয়ে ময়না একমাস পর হঠাৎ একদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাজির। ডাক্তার-নার্স সবাই তাকে দেখে অবাক! আজরাইলের মুখ থেকে ফিরে এসে সে আবারও ভর্তি হয় আপন ঠিকানায়। ক’দিন বাদে ফের অসুস্থ হতে থাকে সে। দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে শরীর থেকে।

গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয় কমিউনিটি রেডিও চিলমারী ৯৯.২ এফএমের এক প্রতিবেদক তাকে নিয়ে তৈরি করে ফেলেন ‘হাসপাতালেই যেন ময়নার ঠিকানা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন। পরের দিন ‘দুই বছর ধরে হাসপাতালে’ শিরোনামে আরও একটি সংবাদ একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়। খবর দুটি কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন ও সিভিল সার্জন ডা. এসএম আমিনুল ইসলামের নজরে এলে পরদিন ওই দুই কর্তা দেখতে আসেন ময়নাকে। দায়িত্ব নেন চিকিৎসা ও আবাসনের। গত বছরের ১৫ অক্টোবর তাকে পাঠানো হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। দীর্ঘ ২৫ দিন সেখানে চিকিৎসা নিয়ে ব্যবস্থাপত্রসহ ৯ নভেম্বর ফিরে আসেন চিলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। রংপুরে থাকা অবস্থায় টাকার সংকট পড়লে অনেকে সাহায্যার্থে এগিয়ে আসেন। চিলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ দিন ভর্তি থেকে ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ডাক্তারদের সহযোগিতায় ওষুধপত্র নিয়ে ভাইয়ের বাড়িতে ফিরে যায়। উপার্জন না থাকায় ভাইয়ের বউ বাড়ি থেকে বের করে দেয়। অসুস্থ শরীর নিয়ে চলে যান বোনের বাড়ি। দু’দিন না যেতেই বোন-জামাইয়ের দুর্ব্যবহারে ফিরে আসেন অজানার পথে। তারপর এ-বাড়ি, ও-বাড়ি এভাবেই চলে যায় চার মাস। কোনো রকমে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ফিরে আসে চিলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ভর্তি করা হয় ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডে। কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, তার সুচিকিৎসার জন্য একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আনা হয়েছে। তাকে পুরোপুরি সুস্থ করতে চাইলে ছয় মাস মেয়াদে কিছু ইনজেকশন দিতে হবে, যা ব্যয়বহুল। প্রয়োজন লাখখানেক টাকা।

জেলা প্রশাসক চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন, ময়নাকে সরকারিভাবে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার জন্য। এখন কথা হচ্ছে, ময়না যে জীবন অতিক্রম করছেন, তা জীবন-মরণের ঢেউয়ে দুলছে। যদি জীবনে না বাঁচে, কী করং মুই বাড়ি দিয়া।

সূত্রঃ samakal

The post জীবনে না বাঁচে, বাড়ি… appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
আগামীকাল পবিত্র ঈদুল ফিতর https://www.ulipur.com/?p=6386 Fri, 15 Jun 2018 15:11:58 +0000 http://www.ulipur.com/?p=6386 আজ শুক্রবার বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল শনিবার  পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। বৈঠক শেষে জানানো হয়, বাংলাদেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সেই অনুযায়ী, [...]

The post আগামীকাল পবিত্র ঈদুল ফিতর appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
আজ শুক্রবার বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল শনিবার  পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।

বৈঠক শেষে জানানো হয়, বাংলাদেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সেই অনুযায়ী, আগামীকাল শনিবার সারা দেশে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

The post আগামীকাল পবিত্র ঈদুল ফিতর appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কুড়িগ্রাম টেক্সটাইল মিলের দরজা খুলুক https://www.ulipur.com/?p=5342 Wed, 24 Jan 2018 12:40:32 +0000 http://www.ulipur.com/?p=5342 আব্দুল হাই রঞ্জুঃ কৃষি ও শ্রমনির্ভর জেলা কুড়িগ্রাম। স্বাধীনতা-উত্তর এ জেলার কৃষিতে আশানুরূপ সমৃদ্ধি এলেও শ্রমনির্ভর শিল্প কারখানা স্থাপিত হয়নি। তবে কুড়িগ্রাম শহরের উপকণ্ঠে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কের পাশে কুড়িগ্রাম টেক্সটাইল মিলটি স্থাপিত হওয়ায় এ জেলার শ্রমজীবী মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছিল। এক সময় সম্ভাবনার এই মিলটির ভেঁপুর শব্দে এ এলাকার মানুষের ঘুম ভাঙত। ছিল কর্মচাঞ্চলতা, টেক্সটাইল মিলটিকে [...]

The post কুড়িগ্রাম টেক্সটাইল মিলের দরজা খুলুক appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
আব্দুল হাই রঞ্জুঃ
কৃষি ও শ্রমনির্ভর জেলা কুড়িগ্রাম। স্বাধীনতা-উত্তর এ জেলার কৃষিতে আশানুরূপ সমৃদ্ধি এলেও শ্রমনির্ভর শিল্প কারখানা স্থাপিত হয়নি। তবে কুড়িগ্রাম শহরের উপকণ্ঠে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কের পাশে কুড়িগ্রাম টেক্সটাইল মিলটি স্থাপিত হওয়ায় এ জেলার শ্রমজীবী মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছিল। এক সময় সম্ভাবনার এই মিলটির ভেঁপুর শব্দে এ এলাকার মানুষের ঘুম ভাঙত। ছিল কর্মচাঞ্চলতা, টেক্সটাইল মিলটিকে ঘিরে ব্যবসায়ীদেরও ছিল কর্মব্যস্ততা। কিন্তু মিলটির ভেঁপুর শব্দ বন্ধ হয়ে গেছে অনেক আগেই। সরকারি উদ্যোগে মিলটি স্থাপিত হলেও লোকসানের মুখে এক পর্যায়ে বন্ধ করে দিয়ে বেসরকারি পর্যায়ে মিলটি লিজ দিলেও সে উৎপাদনের ধারাবাহিকতাও বেশি দিন ধরে রাখতে পারেনি। এ সুবিশাল এলাকাজুড়ে অবস্থিত মিলটি ভুতুড়ে অবস্থায় শুধু সময়ের সাক্ষী হয়েই দাঁড়িয়ে আছে। আদৌ মিলটি কি চালু হবে? এ এলাকায় নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্যদের সংসদে দাঁড়িয়ে মিলটি চালু করার দাবি অব্যাহত রাখা উচিত। অথচ বর্তমান সরকার পাট শিল্পের উত্থানে বন্ধ থাকা মিলগুলোকে একে একে চালু করছে। সোনালি আঁশ খ্যাত পাটের ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে সরকার ‘মোড়কে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার’কে অনেক ক্ষেত্রেই বাধ্যতামূূলক করেছে। যদিও নানা প্রতিকূলের মুখে সে উদ্যোগ বাস্তবায়নে সরকার এখনও পুরোপুরি সফল হতে পারেনি। আবার বন্ধ থাকা বস্ত্রকলগুলোকেও সরকার চালু করার পরিকল্পনা করেছে। কারণ একটাই তাহলো, কর্মসংস্থান বৃহৎ জনগোষ্ঠীর এই দেশে কর্মক্ষম হাতগুলোকে কাজ দিতে না পারলে বেকারত্বের হার ক্রমেই বাড়তে থাকবে। এ জন্য দেশীয়ভাবে শিল্প স্থাপন এবং বন্ধ থাকা শিল্পগুলোকে চালু করা একান্তই জরুরি। বিশেষ করে পশ্চাৎপদ কুড়িগ্রাম জেলায় শ্রমনির্ভর মানুষের সংখ্যা অনেক। যারা কৃষি সেক্টরে কাজ করে, তাদের সারা বছরের কর্মসংস্থান এ জেলায় হয় না। তারা কাজের সন্ধানে বাসে গাদাগাদি করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছোটাছুটি করেন। পাশাপাশি এ জেলার শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের কর্মক্ষেত্র নেই বললেই চলে। তারা কাজের অভাবে বসে অলস সময় কাটাতে বাধ্য হন। পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনীর লোক নিয়োগের সময় হাজার হাজার তরুণ-তরুণীর ভিড়ে কুড়িগ্রাম মুখর হয়ে ওঠে। কিন্তু সবার ভাগ্যে চাকরি জোটে না। এ জেলার এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা কর্মসংস্থানের।

জেলাটি কৃষিনির্ভর হলেও কৃষিভিত্তিক শিল্প কলকারখানা তেমন একটা গড়ে ওঠেনি। আলু সংরক্ষণের উপযোগী কয়েকটি হিমাগার ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চালকল শিল্পই এ জেলায় কৃষিভিত্তিক শিল্প। বর্তমান চালকল শিল্পে হাসকিং নামে প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে রুগ্‌ণ শিল্পে পরিণত হয়েছে। এ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত হাজার হাজার মানুষকে কাজ হারাতে হয়েছে; যাদের এখন দিন চলে অতি মানবেতর পরিবেশে। আবার এই হাসকিং শিল্পের ওপর বিনিয়োগকৃত ব্যাংকগুলোর ঋণের অর্থ আদায় এখন তলানিতে এসে দাঁড়িয়েছে। এটা স্পষ্ট, উৎপাদিত কৃষিপণ্যের ওপর ভর করে গড়ে ওঠা কৃষিভিত্তিক শিল্প বিকাশের বদলে সংকুচিত হলে সে দায় গোটা অর্থনীতিকে পর্যুদস্ত করে। ফলে আমদানি-নির্ভরতা বাড়ে আর আমদানি-নির্ভরতা একটি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বড় বাধা। এ জন্য দেশি শিল্প-কলকারখানা স্থাপন করে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করতে না পারলে উপরিভাবে হয়তো চাকচিক্য সৃষ্টি করা সম্ভব হবে; কিছু সমৃদ্ধি অর্থনীতি আশা করা হবে বাতুলতাতুল্য। দেশি শিল্প-কলকারখানা স্থাপনের সংকট শুধু কুড়িগ্রামেই নয়। এ সংকট কমবেশি গোটা দেশেই প্রকট।

জীবন-জীবিকার তাগিদে কুড়িগ্রাম জেলার বেকার জনগোষ্ঠীকে শুধু কাজের সন্ধানে দেশ কিংবা বিদেশে যেতে মরিয়া হয়ে উদ্বিগ্ন সময় অতিবাহিত করতে হয়। কিন্তু কুড়িগ্রাম জেলায় কৃষিভিত্তিক বৃহৎ ও মাঝারি শিল্প স্থাপনের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এ জেলায় ধান, পাট, ভুট্টা, কলাই, সরিষার পাশাপাশি যথেষ্ট পরিমাণ সবজির চাষাবাদ হয়। এসব উৎপাদিত কৃষিপণ্য সংরক্ষণ উপযোগী শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা সম্ভব হলে, একদিকে চাষিরা যেমন উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাবেন; অন্যদিকে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করাও সম্ভব হবে। এ জন্য এ জেলায় কৃষিভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের দিকে সরকারকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া উচিত। শুধু সবজি সংরক্ষণ উপযোগী শিল্প প্রতিষ্ঠানই নয়, সোনালি আঁশখ্যাত পাট ও পাটখড়ির ওপর শিল্প স্থাপন করার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু সে ধরনের উদ্যোগ কখনই নেওয়া হয়নি। অথচ পাট চাষাবাদ করে সে পাটের ন্যায্যমূল্যের অভাবে পাটচাষিরা পাট চাষ করা ছেড়েই দিয়েছিলেন। কয়েক বছর ধরে পাটের ন্যায্যমূূল্য নিশ্চিত হওয়ায় এখন পাটের যথেষ্ট চাষাবাদ হচ্ছে। কৃষকের স্বার্থ উপযোগী সরকারি নীতিমালা গ্রহণ এবং তার সফল বাস্তবায়নের ওপর সুফল অনেকাংশেই নির্ভরশীল। এখন ধান-পাটের পাশাপাশি এ জেলা এবং পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাট জেলায় ব্যাপকভাবে ভুট্টার চাষাবাদ হচ্ছে। কিন্তু ভুট্টাচাষিরা ভুট্টার উপযুক্ত মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অথচ ভুট্টা পোলট্রি শিল্পের অনুকূলে উপযোগী একটি পণ্য। এ অঞ্চলে মুরগির খাদ্য উৎপাদনে সরকারিভাবে শিল্প স্থাপন করা হলে পোলট্রি শিল্প বিকাশের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। সবদিক বিবেচনায় নিয়ে নতুন নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যেমন জরুরি, তেমনি স্থাপিত কুড়িগ্রাম টেক্সটাইল মিলটি চালু করলে বিপুল পরিমাণ মানুষের কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে। কুড়িগ্রাম জেলাবাসীর প্রাণের দাবি, এ জেলায় গড়ে ওঠা একমাত্র শিল্প প্রতিষ্ঠান কুড়িগ্রাম টেক্সটাইল মিলটি চালু করার। সে আকাঙ্ক্ষার কতটুকু বাস্তবে প্রতিফলন হবে, তা নির্ভর করবে সরকারের সদিচ্ছার ওপর। শুধু টেক্সটাইল মিলটিই নয়, কুড়িগ্রামে ‘শিল্প জোন’ স্থাপন করা সম্ভব হলে তুলনামূলক কম শ্রমমূল্যের কারণে বৃহৎ এবং মাঝারি শিল্প বিকাশের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।

সুত্রঃ সমকাল

The post কুড়িগ্রাম টেক্সটাইল মিলের দরজা খুলুক appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
উলিপুর ডট কমের ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন https://www.ulipur.com/?p=3820 Thu, 29 Jun 2017 18:51:17 +0000 http://www.ulipur.com/?p=3820 নিউজ ডেস্কঃ আলোচনা সভা ও ভিন্ন রকমের আয়োজনের মধ্য দিয়ে ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে উলিপুর ডট কম।। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) উলিপুর উপজেলা পরিষদ হল রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উলিপুর ডট কমের সম্পাদক রুপম রাজ্জাকের সভাপতিত্বে এবং সহ-সম্পাদক জরীফ উদ্দীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উলিপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হায়দার আলী মিঞা। [...]

The post উলিপুর ডট কমের ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
নিউজ ডেস্কঃ
আলোচনা সভা ও ভিন্ন রকমের আয়োজনের মধ্য দিয়ে ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে উলিপুর ডট কম।। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) উলিপুর উপজেলা পরিষদ হল রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উলিপুর ডট কমের সম্পাদক রুপম রাজ্জাকের সভাপতিত্বে এবং সহ-সম্পাদক জরীফ উদ্দীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উলিপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হায়দার আলী মিঞা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কুড়িগ্রাম সমিতি ঢাকার মহাসচিব ও উলিপুর ডট কমের উপদেষ্টা সাইদুল আবেদিন ডলার, কুড়িগ্রাম ক্রীড়া সমিতি ও সীমান্ত কফি হাউজের প্রতিষ্ঠাতা জালাল হোসেন লাইজু, সিনিয়র সাংবাদিক ও ভোরের কাগজের নিজস্ব প্রতিবেদক তৈয়বুর রহমান।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উলিপুর ডট কমের নির্বাহী সম্পাদক আব্দুস ছোবহান জুয়েল, ধরণীবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ফুলু, উলিপুর ডট কমের সহ-সম্পাদক শামস তৌফিক নিশান, মামুন রিপন, মাহাবুবার রহমান, নাসির উদ্দিন, অনিকেত মাসুম, নুর আমিন, রবিউল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন শুভ, ওয়ারেছ আলী, তালাত মাহমুদ, আতিক মেসবাহ লগ্ন, নয়ন সরকার প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে উলিপুর ডট কমের সম্পাদক রূপম রাজ্জাক “উলিপুর ও উলিপুর ডট কম (Ulipur.com) : একটি ডিজিটাল সংযুক্তি” শীর্ষক মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং সেখানে উলিপুর ডট কমের সূচনা, প্রয়োজনীয়তা, বর্তমান কার্যক্রম, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ ডিজিটাল মাধ্যমের বিভিন্ন ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন।

আলোচনা শেষে ভাওয়াইয়া সংগীতের বিশেষ অবদানের জন্য ভূপতি ভূষণ বর্মাকে ও প্রাথমিক শিক্ষায় ধারাবাহিক সাফল্যের জন্য খারিজা কামাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (বুড়াবুড়ি, উলিপুর) কে বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উলিপুর ডট কমকে কিছু ফলজ গাছের চারা উপহার দেন পরিবেশ সংগঠন “অরণ্য” – এর কর্মকর্তাগণ।

The post উলিপুর ডট কমের ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
নাব্যতা হারাচ্ছে তিস্তা নদী https://www.ulipur.com/?p=3374 Sun, 12 Mar 2017 11:28:40 +0000 http://www.ulipur.com/?p=3374 আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে, বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে —- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই ‘আমাদের ছোট নদী’ কবিতার সাথে মিলে গেছে শুষ্ক মৌসুমে তিস্তার নদীর চিত্র। তবে তা বৈশাখে নয়, মাঘ মাসেই তিস্তা নদীতে এখন হাঁটু পানি। পায়ে হেঁটে পার হওয়া যায় তিস্তা। উলিপুর উপজেলার ভৌগলিক সীমানার মধ্যে যে কয়েকটি নদী আছে তার [...]

The post নাব্যতা হারাচ্ছে তিস্তা নদী appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে,

বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে

—- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই ‘আমাদের ছোট নদী’ কবিতার সাথে মিলে গেছে শুষ্ক মৌসুমে তিস্তার নদীর চিত্র। তবে তা বৈশাখে নয়, মাঘ মাসেই তিস্তা নদীতে এখন হাঁটু পানি। পায়ে হেঁটে পার হওয়া যায় তিস্তা। উলিপুর উপজেলার ভৌগলিক সীমানার মধ্যে যে কয়েকটি নদী আছে তার মধ্যে তিস্তা নদী অন্যতম। সিকিমের পার্বত্য অঞ্চল থেকে উৎপন্ন হয়ে তিস্তা নদী ভারতের জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ডিমলা অঞলে প্রবেশ করেছে।সৈন্দর্যের এক অপরূপ লীলাভূমি এই তিস্তা নদী।বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল তথা আমাদের এই উলিপুর উপজেলার অনেক  অনেকাংশে জুরে আছে  তিস্তা নদী ।  দিনে দিনে নাব্যতা হারাচ্ছে এই নদীটি।বিভিন্ন স্থানে বাধ নির্মান কিংবা বর্জ্য অপসারনের অভাবে নদীটির পানি প্রবাহে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।যার কারনে বছরের অধিকাংশ সময় শুকনা থাকছে নদীটি।উত্তরাঞ্চলের কৃষির প্রাণভোমরা এ তিস্তা নদীর এই পরিণতি স্থানীয় পরিবাশের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে।স্থানীয় জেলেদের পোহাতে হচ্ছে চরম দূ্র্ভোগ।এছাড়া পানি প্রবাহ কমে যাওয়ার ফলে এখন অসহায় হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের জেলেরা। নদীতে আর আগের মতো মাছ না থাকায় পেশা বদল করে অন্য পেশায় পারি জমাচ্ছেন এই মৎস্যজীবীরা। অন্যদিকে, উজানে ভারত ফারাক্কা ব্যারেজ নির্মাণ করে তিস্তার প্রাকৃতিক প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করছে। একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করে নেয়ার ফলে বাংলাদেশের ১১২ মাইল দীর্ঘ এই নদীটি শুকিয়ে এখন মৃতপ্রায়। নদীর চারিদিকে শুধু চর আর চর। ভরা মৌসুমে নৌকায় করে নদীটি পার হতে সময় লাগত মাত্র ১০ মিনিট।কিন্তু শুকনা মৌসুমে পায়ে হেটে পার হতে সময় লাগছে ৩০ মিনিটেরও বেশি।নির্মল বাতাস আর নদীর কলকল ধ্বনি এখন দুর্লভ বললেই চলে।সঠিক উদ্যোগ আর জনসচেতনতার অভাবে বুড়ি তিস্তা কিংবা মরা তিস্তার পরিণতি আমাদের অনেকেরই জানা।বর্তমান তিস্তা এখনও সম্পুর্নরূপে হারিয়ে যায় নি।সঠিক উদ্যোগ আর জনসচেতনতাই পারে নদীটির নাব্যতা  ফিরিয়ে আনতে ।তবেই অনেকাংশে রক্ষিত হবে প্রকৃতির ভারসাম্য।

লেখক :আতিক মেসবাহ লগ্ন

The post নাব্যতা হারাচ্ছে তিস্তা নদী appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
সাইদুল আবেদীনের জন্মদিনে উলিপুর ডট কম’র শুভেচ্ছা https://www.ulipur.com/?p=3063 Tue, 17 Jan 2017 17:10:45 +0000 http://www.ulipur.com/?p=3063 উলিপুর ডট কম – এর উপদেষ্ঠা ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ সাইদুল আবেদীন (ডলার) কে তাঁর ৫০ তম জন্মদিনে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান উলিপুর ডট কম – এর এক্সিকিউটিভ এডিটর আ. ছোবাহান জুয়েল ও উলিপুর উপজেলার সমাজ উন্নয়ন কর্মী নয়ন সরকার। গত রবিবার ১৫ই জানুয়ারী ২০১৭ ইং তারিখে তাঁর ঢাকাস্থ ব্যবসায়িক কার্যালয়ে উলিপুর ডট কমের প্রতিনিধিগণ সাক্ষাৎ [...]

The post সাইদুল আবেদীনের জন্মদিনে উলিপুর ডট কম’র শুভেচ্ছা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
উলিপুর ডট কম – এর উপদেষ্ঠা ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ সাইদুল আবেদীন (ডলার) কে তাঁর ৫০ তম জন্মদিনে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান উলিপুর ডট কম – এর এক্সিকিউটিভ এডিটর আ. ছোবাহান জুয়েল ও উলিপুর উপজেলার সমাজ উন্নয়ন কর্মী নয়ন সরকার। গত রবিবার ১৫ই জানুয়ারী ২০১৭ ইং তারিখে তাঁর ঢাকাস্থ ব্যবসায়িক কার্যালয়ে উলিপুর ডট কমের প্রতিনিধিগণ সাক্ষাৎ করে শুভেচ্ছা জানান। এসময় জনাব সাইদুল আবেদীন ডলার উলিপুর উপজেলা তথা কুড়িগ্রাম জেলার সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।

জনাব সাইদুল আবেদীন ডলার দীর্ঘজীবী হউন – উলিপুর ডট কমের সবার পক্ষ থেকে এই কামনা রইল।

The post সাইদুল আবেদীনের জন্মদিনে উলিপুর ডট কম’র শুভেচ্ছা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
হামার মরন হয়, জীবনের মরন নাই https://www.ulipur.com/?p=2692 Wed, 28 Sep 2016 06:29:45 +0000 http://www.ulipur.com/?p=2692 জরীফ উদ্দীন, ‘হামার মরন হয়, জীবনের মরন নাই’ কথাটি আসলে ধ্রুবতারার মত সত্য। সৈয়দ হক তার ‘নূরলদীনের সারা জীবন’ এর শেষ দৃশ্যতে তাই জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি মরে গেলেন ঠিকই তার জীবনের মরন হয়নি। তিনি বেঁচে থাকবেন তার সাহিত্য-কর্মে, আমাদের মাঝে অনন্তকাল অবধি। আর কেনইবা তিনি বেঁচে থাকবেন না! তার হাত ধরেই তো উঠে এসেছে এক [...]

The post হামার মরন হয়, জীবনের মরন নাই appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
সৈয়দ শামসুল হক
সৈয়দ শামসুল হক

জরীফ উদ্দীন,
‘হামার মরন হয়, জীবনের মরন নাই’ কথাটি আসলে ধ্রুবতারার মত সত্য। সৈয়দ হক তার ‘নূরলদীনের সারা জীবন’ এর শেষ দৃশ্যতে তাই জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি মরে গেলেন ঠিকই তার জীবনের মরন হয়নি। তিনি বেঁচে থাকবেন তার সাহিত্য-কর্মে, আমাদের মাঝে অনন্তকাল অবধি।
আর কেনইবা তিনি বেঁচে থাকবেন না! তার হাত ধরেই তো উঠে এসেছে এক সংগ্রামী কৃষক নেতা নূরলদীন। যে একদিন ভীত কাঁপিয়েছিল ব্রিটিশদের আর বাংলার জনগণকে দিয়েছিল সংগ্রামে যোগ দেয়ার ডাক, “জাগো বাহে কোনঠে সবাই।” যে কথাটি উত্তরের মানুষের শুধু নয় সমগ্র দেশবাসীর প্রেরণা হিসাবে আজও শক্তি জোগায়।
তিনি সৃষ্টি করেছেন অনেক কালজয়ী কাব্য। তার সেই কাব্যগুলো যেন শুধু তারই থাকেনি হয়ে উঠেছে সার্বজনীন। আমাদের মনের কথা।/”যখন সৌজন্য যায় কবরে মাটি কল্পতায়, /যখন স্তব্ধতা গিলে খেতে থাকে কামুকেরা ত্রাসে,/ তখন তাকিয়ে দেখো শুদ্ধতার গভীর ব্যাথায়_/আমার ঠোঁটের থেকে একটি যে শব্দ একদিন ফুটেছিলো/এই ঠোঁটে তোমারই যে দেহস্পর্শ তাপে,/আজ সেই শব্দ দ্যাখো পৃথিবীর বুকে অন্তরীণ_/তবু তারই উচ্চারণে বৃক্ষপাতা বারবার কাঁপে। /পড়ে নিও তুমি তাকে, দেখে নিও আকাশে নয়তো/সেই শব্দ ‘ভালোবাসি’ নক্ষত্রের মতোই হয়তো।” কিংবা যখন প্রেমিকার অনুপ্রেরণায় অকপটে স্বীকার করেন,
“রাতের অন্ধকার এখন আমার ছবি আঁকার ক্যানভাস।/তোমার চোখের আলো আমার রঙ।
একদিন তোমাকে যে ছুঁয়েছি সেই আঙুল আমার তুলি এখন।/আমি তোমার ঘুমের ছবি আঁকছি।/তুমি নিলীন হয়ে শুয়ে আছো এখন আমার ছবির ভেতরে।/এই ঘুম থেকে তোমাকে আমি জাগবো না।”
“ওকি গাড়িয়াল গাড়িয়াল ভাই” অথবা ” ও মোর মাহুত বন্ধুরে” এই বিখ্যাত ভাওয়াইয়া গানে যেমন প্রকাশ পেয়েছে নারীর আকুতি ঠিক তেমনি “পরাণের গহীন ভিতর” এ আমরা পাই,
“আমি কার কাছে গিয়া জিগামু সে দুঃখ দ্যায় ক্যান,/ক্যান এত তপ্ত কথা কয়, ক্যান পাশ ফিরা শোয়, / ঘরের বিছন নিয়া ক্যান অন্য ধান খ্যাত রোয়?- / অথচ বিয়ার আগে আমি তার আছিলাম ধ্যান। / আছিলাম ঘুমের ভিতরে তার য্যান জলপিপি।” আমার জানামতে এরকম আর আকুতি ভরা লেখা আর অন্য কোন বাঙ্গালি কবির কবিতায় পাওয়া যায়নি। হয়ত যাবেও না বাহের দেশের কথায়, মূর্খ কৃষক-চাষার ভাষাতে,
“মানুষ এমন ভাবে বদলায়া যায়, ক্যান যায়? / পুন্নিমার চান হয় অমাবস্যা কিভাবে আবার? / সাধের পিনিস ক্যান রঙচটা রদ্দুরে শুকায়? / সিন্দুরমতির মেলা হয় ক্যান বিরান পাথার? / মানুষ এমন তয়, একবার পাইবার পর / নিতান্ত মাটির মনে হয় তার সোনার মোহর।”
তিনি কত নিপুণভাবে দেশপ্রেম ফুটে তুলেছেন অসংখ্য কবিতায়। তুলে এনেছেন ইতিহাস-ঐতিহ্য। দেশ ছেড়ে কোথাও না যাওয়ার অভিব্যপ্তি।
“তোমার দেহে লতিয়ে ওঠা ঘন সবুজ শাড়ি। / কপালে ওই টকটকে লাল টিপ। / আমি কি আর তোমাকে ছেড়ে / কোথাও যেতে পারি? / তুমি আমার পতাকা, আমার কৃষির বদ্বীপ।”
তিনি শুধু কবিতায় নন রেখে গেছেন অসংখ্য গল্প, কথা কাব্য, প্রবন্ধ, উপন্যাস, নাটক, গীতিনাট্য, সিনেমার গল্প, গান। লিখে গেছেন দুহাতে আর পেয়েছেন সাহিত্যের সকল শাখায় সাবলীল পদচারণার জন্য তাঁকে ‘সব্যসাচী লেখক’ উপাধি। সব্যসাচী লেখক হিসেবে তাঁর পরিচিতি রয়েছে।। সৈয়দ শামসুল হক মাত্র ২৯ বছর বয়সে বাংলা একাডেমী পুরস্কার পান। বাংলা একাডেমী পুরস্কার পাওয়া সাহিত্যিকদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে কম বয়সে এ পুরস্কার লাভ করেছেন।
তার লেখা , ‘চাঁদের সাথে দিবনা আমি তোমার তুলনা’, ‘এমন মজা হয় না গায়ে সোনার গয়না’, ‘এই যে আকাশ এই যে বাতাস’, ‘তুমি আসবে বলে কাছে ডাকবে বলে’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘তোরা দেখ দেখ দেখরে চাহিয়া’ ইত্যাদি গান সমৃদ্ধ করে বাংলা চলচ্চিত্রকে। যা আজও শ্রোতাদের হৃদয় কেড়ে নেয়। এখনো মুখেমুখে ফেরে তার রচিত গানগুলো।

মহা কিংবদন্তি সৈয়দ শামসুল হক জম্মগ্রহণ করেন ১৬ নদী বিধৌত কুড়িগ্রাম জেলায় ১৯৩৫ সালে ২৭ ডিসেম্বর। বাবা সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন, মা হালিমা বেগম। তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয় কুড়িগ্রাম মাইনর স্কুলে। সেখান থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে তিনি কুড়িগ্রাম হাই ইংলিশ স্কুল থেকে ১৯৫০ সালে গণিতে লেটার মার্কস নিয়ে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার বাবার ইচ্ছা ছেলেকে ডাক্তারি পড়াবেন। পিতার এই ইচ্ছা অপেক্ষা করে ১৯৫১ সালে বাসা থেকে পালিয়ে যান মম্বে। সেখান কিছুদিন কাজ করেন সিনেমা প্রোডাকশন হাউজে সহকারী হিসেবে। এসব ছেড়ে তিনি আবারো ১৯৫২ জগন্নাথ কলেজে মানবিক শাখায় ভর্তি হন। এর পর ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে অনার্স পড়া শুরু করলেও তা আর শেষ করা হয়নি। মন দেন বই প্রকাশে ১৯৫৬ সালে। তার প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ‘দেয়ালের দেশ’ প্রকাশ হলে রাতারাতি জনপ্রিয়তায় উঠে আসেন তিনি।
তারপর ফিরে তাকাতে হয়নি পিছনে অবিরাম লিখে গেছেন
প্রবন্ধঃ হৃৎ কলমের টানে (১ম খণ্ড ১৯৯১ , ২য় খণ্ড ১৯৯৫ )
ছোট গল্পঃ তাস ( ১৯৫৪ ), শীত বিকেল ( ১৯৫৯ ), রক্তগোলাপ ( ১৯৬৪ ), আনন্দের মৃত্যু ( ১৯৬৭ ), প্রাচীন বংশের নিঃস্ব সন্তান ( ১৯৮২ ), সৈয়দ শামসুল হকের প্রেমের গল্প ( ১৯৯০ ), জলেশ্বরীর গল্পগুলো (১৯৯০), শ্রেষ্ঠ গল্প (১৯৯০)
কবিতাঃ একদা এক রাজ্যে ( ১৯৬১ ), বিরতিহীন উৎসব ( ১৯৬৯ ), বৈশাখে রচিত পংক্তিমালা ( ১৯৭০ ), প্রতিধ্বনিগণ ( ১৯৭৩ ), অপর পুরুষ (১৯৭৮ ), পরাণের গহীন ভিতর (১৯৮০ ), নিজস্ব বিষয় ( ১৯৮২ ), রজ্জুপথে চলেছি ( ১৯৮৮ ), বেজান শহরের জন্য কোরাস ( ১৯৮৯ )
এক আশ্চর্য সংগমের স্মৃতি (১৯৮৯), অগ্নি ও জলের কবিতা (১৯৮৯)
কাননে কাননে তোমারই সন্ধানে (১৯৯০), আমি জন্মগ্রহণ করিনি (১৯৯০), তোরাপের ভাই (১৯৯০), শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৯০), রাজনৈতিক কবিতা (১৯৯১ ), নাভিমূলে ভস্মাধার, কবিতা সংগ্রহ
প্রেমের কবিতা, ধ্বংস্তূপে কবি ও নগর (২০০৯)
উপন্যাসঃ এক মহিলার ছবি ( ১৯৫৯ ), অনুপম দিন (১৯৬২ ), সীমানা ছাড়িয়ে ( ১৯৬৪ ), নীল দংশন (১৯৮১ ), স্মৃতিমেধ ( ১৯৮৬ ), মৃগয়ায় কালক্ষেপ (১৯৮৬), স্তব্ধতার অনুবাদ ( ১৯৮৭ ), এক যুবকের ছায়াপথ (১৯৮৭), স্বপ্ন সংক্রান্ত ( ১৯৮৯ ), বৃষ্টি ও বিদ্রোহীগণ (১ম খণ্ড১৯৮৯, ২য় খণ্ড ১৯৯০), বারো দিনের শিশু (১৯৮৯), বনবালা কিছু টাকা ধার নিয়েছিল (১৯৮৯), ত্রাহি (১৯৮৯), তুমি সেই তরবারী (১৯৮৯), কয়েকটি মানুষের সোনালী যৌবন (১৯৮৯), শ্রেষ্ঠ উপন্যাস (১৯৯০), নির্বাসিতা (১৯৯০), নিষিদ্ধ লোবান (১৯৯০), খেলা রাম খেলে যা ( ১৯৯১ ), মেঘ ও মেশিন (১৯৯১), ইহা মানুষ (১৯৯১), মহাশূন্যে পরাণ মাষ্টার, দ্বিতীয় দিনের কাহিনী, বালিকার চন্দ্রযান, আয়না বিবির পালা, কালঘর্ম, দূরত্ব, না যেয়ো না, অন্য এক আলিঙ্গন, এক মুঠো জন্মভূমি, বুকঝিম ভালোবাসা, অচেনা, আলোর জন্য, রাজার সুন্দরী
কাব্যনাট্যঃ পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় (১৯৭৬ ), গণনায়ক ( ১৯৭৬ ), নুরুলদীনের সারা জীবন ( ১৯৮২ ), এখানে এখন (১৯৮৮ ), কাব্যনাট্য সমগ্র (১৯৯১ ), ঈর্ষা, বাংলার মাটি বাংলার জল, নারীগণ
কথা কাব্যঃ অন্তর্গত
অনুবাদঃ ম্যাকবেথ, টেম্পেস্ট, শ্রাবণ রাজা (১৯৬৯ )
শিশুসাহিত্যঃ সীমান্তের সিংহাসন (১৯৮৮), আনু বড় হয়, হড়সনের বন্দুক
সিনেমাঃ গেরিলা, ‘মাটির পাহাড়’, ‘তোমার আমার’, ‘রাজা এল শহরে’, ‘শীত বিকেল’, ‘সুতরাং’, ‘কাগজের নৌকা’ বড় ভালো লোক ছিল, অন্যান্য
লেখালেখির স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন অগণিত পাঠকের ভালোবাসার পাশাপাশি দেশের প্রায় সব প্রধান পুরস্কারই নিজের অর্জনের খাতায় জমা করেছেন তিনি। বাংলা একাডেমী পুরস্কার, ১৯৬৬, আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৬৯, অলক্ত স্বর্ণপদক ১৯৮২, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৮৩, কবিতালাপ পুরস্কার ১৯৮৩, লেখিকা সংঘ সাহিত্য পদক, ১৯৮৩, একুশে পদক , ১৯৮৪, জেবুন্নেসা-মাহবুবউল্লাহ স্বর্ণপদক ১৯৮৫, পদাবলী কবিতা পুরস্কার,১৯৮৭, নাসিরুদ্দীন স্বর্ণপদক, ১৯৯০, টেনাশিনাস পদক, ১৯৯০, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও গীতিকার, মযহারুল ইসলাম কবিতা পুরস্কার ২০১১। সর্বশেষ পেলেন কুড়িগ্রামের মানুষের ভালোবাসার প্রতিদান রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির দেওয়া গণসংবর্ধনা।
ব্যক্তি জীবনে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে পারি জমালেন অন্য জগতে ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর । তার কথাই সত্যি হল
“আমি একটুখানি দাঁড়াব এবং দাঁড়িয়ে চলে যাব; / শুধু একটু থেমেই আমি আবার এগিয়ে যাব;
না, আমি থেকে যেতে আসিনি; / এ আমার গন্তব্য নয়; / আমি এই একটুখানি দাঁড়িয়েই এখান থেকে চলে যাব। / আমি চলে যাব / তোমাদের এই শহরের ভেতর দিয়ে খুব তাড়াতাড়ি……।”
সেই শহর ছেড়ে সত্যিই চলে আসলেন সেই ছেড়ে যাওয়া জলেরশ্বরীর কোলে। আমাদের কুড়িগ্রামে। এই যে আসলেন আর ফিরে যাবে না সেই শহরে। রোজ শুনবেন আধকোশার আর্তনাদ। আর
“যখন গাছের তলে এই দেহ দিবে কালঘুম, / যথন ফুরায়া যাবে জীবনের নীল শাড়ি-বোনা / তখন কি তারা সব কয়া দিবে আগাম-নিগুম?”

হয়ত দিবে, নয়ত দিবে না। কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের গাছের তলেই কালঘুমে কাটাবেন সব্যসাচী সৈয়দ শামসুল হক। ওনার পারলৌকিক জীবনের শান্তি কামনা করি।

The post হামার মরন হয়, জীবনের মরন নাই appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
উলিপুর ডট কমঃ এগিয়ে যাবার প্রত্যয়ে আমরা সবার সহযোগিতা প্রত্যাশী https://www.ulipur.com/?p=2453 Mon, 15 Feb 2016 17:05:12 +0000 http://www.ulipur.com/?p=2453 উলিপুর উপজেলার সবাইকে ২০১৬ সালের বিলম্বিত শুভেচ্ছা। এছাড়া উলিপুর ডট কমের সকল স্বেচ্ছাসেবক ও শুভাকাঙ্ক্ষী সবাইকে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। গত বছরের ১৮ ই জুন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কার্যালয়ে তাঁর উপস্থিতিতে আমরা যে উদ্দেশ্য নিয়ে উলিপুর ডট কম শুরু করেছি, তার সামান্যতম অগ্রসরতা লক্ষ করা গেলেও সে কৃতিত্ব স্বেচ্ছাসেবক ও পাঠকদের। তবে আমরা [...]

The post উলিপুর ডট কমঃ এগিয়ে যাবার প্রত্যয়ে আমরা সবার সহযোগিতা প্রত্যাশী appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
উলিপুর উপজেলার সবাইকে ২০১৬ সালের বিলম্বিত শুভেচ্ছা। এছাড়া উলিপুর ডট কমের সকল স্বেচ্ছাসেবক ও শুভাকাঙ্ক্ষী সবাইকে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। গত বছরের ১৮ ই জুন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কার্যালয়ে তাঁর উপস্থিতিতে আমরা যে উদ্দেশ্য নিয়ে উলিপুর ডট কম শুরু করেছি, তার সামান্যতম অগ্রসরতা লক্ষ করা গেলেও সে কৃতিত্ব স্বেচ্ছাসেবক ও পাঠকদের। তবে আমরা চাই আরও নতুন নতুন স্বেচ্ছাসেবী লেখক ও শুভাকাঙ্ক্ষীর সক্রিয় অংশগ্রহণ উলিপুর ডট কম কে সমৃদ্ধশালী করুক।

যে জিনিসটি আমরা সবসময় বলেছি সেটি আবারও বলে আমি আমার এই লেখা এগিয়ে নেব। সেটি হচ্ছে, উলিপুর ডট কম কোন সংবাদ মাধ্যম না, এটি শুধুমাত্র একটি তথ্য সম্বলিত পোর্টাল যার লক্ষ্য উলিপুর ও উলিপুরের জনগণের সাথে সম্পৃক্ত বিষয় ও ব্যক্তি, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি, ইতিহাস ইত্যাদি যা কিছুই তুলে ধরলে উলিপুরের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে তা তুলে ধরার মাধ্যমে এটিকে একটি উলিপুর বিষয়ক তথ্য ভাণ্ডারে পরিণত করা। আমরা রাজনৈতিক  বিতর্ক এড়িয়ে উলিপুরের মানুষের জন্য অনুপ্রেরণামূলক লেখা প্রকাশ করব, জনগণের উন্নয়ন ভাবনাকে তুলে ধরব, যে ধরনের উন্নয়ন হলে জনগণ উপকৃত হয় সেগুলোর উপর রিপোর্ট করব, শিক্ষার বিকাশ ও উন্নয়নে লেখালেখি করব এবং সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর জনগণের মতামত প্রকাশ করব। পাশাপাশি উলিপুরের মানুষের কর্মসংস্থান তৈরির উদ্দেশ্যে যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করব। এবং যেহেতু এই সবকিছুই অনলাইনে (এই পোর্টালের মাধ্যমে) করা হবে, তাই আমাদের বিশ্বাস এই অঞ্চলের তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তির মূলধারায় আনার উৎসাহ দেয়ার জন্য উলিপুর ডট কম ওয়েবসাইটটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

আমাদের সৌভাগ্য যে অল্প সময়ের ভেতর আমরা একঝাক উদ্যমী তরুণ সেচ্ছাসেবী লেখক পেয়েছি যারা প্রতিনিয়ত উলিপুর ডট কম কে সমৃদ্ধ করার জন্য ভাবছে এবং লেখা পাঠিয়ে দিচ্ছে। একটি বড় শুভাকাঙ্ক্ষী গ্রুপ পেয়েছি যারা সবসময় উৎসাহ জুগিয়ে যাচ্ছে। সার্বক্ষনিক উপদেষ্টা হিসেবে পেয়েছি শ্রদ্ধেয় সাইদুল আবেদীন ডলার ভাইয়ের (মহাসচিব – কুড়িগ্রাম জেলা সমিতি, ঢাকা) মত কিছু মানুষকে যারা নিজেদের সময়ের বৃহদাংশ ব্যয় করেন এতদ অঞ্চলের উন্নয়ন ভাবনায়।

সবার আন্তরিক সাড়ায় আমরা অনুপ্রাণিত ও উজ্জীবিত। তবে আমাদের লক্ষ্য ধাপে ধাপে কর্মসূচী হাতে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। ২০১৬ সালে আমরা কয়েকটি ব্যাপারে কাজ করে কিছু অগ্রগতি আনতে চাইঃ

১) প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে লেখালেখি করতে ইচ্ছুক এমন লোকজনকে নিয়ে একটি টিম গঠন করব। যাদের কাজ হবে নিয়মিত লেখা পাঠিয়ে উলিপুর ডট কম কে তথ্যসমৃদ্ধ করা। আমরা তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় ছবিসহ প্রকাশ করব যাতে তিনি নিজেকে লেখার মাধ্যমে এগিয়ে নিতে পারেন তথা উজ্জীবিত রাখতে পারেন।

২) আমাদের পোর্টালে একটি ভার্চুয়াল নেটওয়ার্ক তৈরি করব যেখানে চাকরিপ্রার্থী ও চাকরিদাতা উভয় পক্ষই যোগাযোগ করতে পারবে। এক্ষেত্রে চাকরিদাতাগনকে আমরা প্রার্থীর ব্যাপারে ভেরিফাইড তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করব।

৩) আমাদের পোর্টালে প্রকাশিত লেখার আলোকে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করব (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) যাতে জনগণের চাহিদা সম্বন্ধে ওনাদেরকে অবহিত রাখা যায়।

৪) স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য গঠনমূলক লেখা আহবান করে সেগুলো থেকে উপযুক্ত লেখা পরিচয়সহ প্রকাশ করব। এতে করে শিক্ষার্থীদের কিছুটা হলেও মানসিক বিকাশ ঘটবে আশা করি।

৫) উপজেলার জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের সাথে দেখা করে তাঁদের মতামত ও উন্নয়ন ভাবনাকে তুলে আনব।

৬) উলিপুর ডট কম পোর্টাল ব্যবহার করে সম্ভাব্য সব ধরনের সমাজ সচেতনতামূলক কাজ করার উদ্যোগ নেব।

৭) ইন্টারনেট ও সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার করে এই খাতে বিশ্বব্যাপী যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে সেই অর্থনৈতিক সম্ভাবনায় কিভাবে উলিপুরের তরুণ সমাজকে যুক্ত করা যায়, সে ব্যাপারেও আমরা চেষ্টা করব।

৮) আমাদের স্বেচ্ছাসেবক ও পাঠকদের কাছ থেকে ধারনা নিয়ে নতুন নতুন আয়োজনে সচেষ্ট থাকব।

পরিশেষে, সবার আগ্রহ বিবেচনায় নিয়ে উলিপুর ডট কম যে এগিয়ে যাবার প্রত্যয় গ্রহণ করেছে তাতে সবার সহযোগিতা একান্ত কাম্য। আমাদের কর্মকাণ্ড ও প্রকাশভঙ্গি সুন্দরতর করার ব্যাপারে আপনাদের পরামর্শ সাদরে গৃহীত হবে। ভুলত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে সামনে এগিয়ে যাবার অনুপ্রেরণাই প্রধান চাওয়া আপনাদের কাছে।

প্রকৌশলী রূপম রাজ্জাক, এডিটর – উলিপুর ডট কম

The post উলিপুর ডট কমঃ এগিয়ে যাবার প্রত্যয়ে আমরা সবার সহযোগিতা প্রত্যাশী appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>