অনিয়ম ও অসংগতি Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?cat=68 কুড়িগ্রাম জেলার তথ্য ও সংবাদ Sun, 28 Apr 2024 12:38:54 +0000 en-US hourly 1 https://www.ulipur.com/wp-content/uploads/2022/10/1665889308.png অনিয়ম ও অসংগতি Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?cat=68 32 32 উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে ফাঁদ পেতে চলছে নির্বিচারে পাখি শিকার https://www.ulipur.com/?p=32028 Sun, 28 Apr 2024 12:38:54 +0000 https://www.ulipur.com/?p=32028 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।। উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদ ও নদের বুকে জেগে ওঠা জলাধারগুলোতে (কোলা) নির্বিচারে বিভিন্ন জাতের পাখি শিকার করা হচ্ছে। সৌখিন ও পেশাদার শিকারিরা বিষটোপ ও বড়শিসহ নানান ফাঁদ পেতে নির্বিচারে খাদ্য আহরণে আসা এসব পাখিদের শিকার করছে। এতে একদিকে যেমন জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে ফসলি জমিতে ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ বাড়ছে। জানা যায়, ব্রহ্মপুত্র [...]

The post উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে ফাঁদ পেতে চলছে নির্বিচারে পাখি শিকার appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদ ও নদের বুকে জেগে ওঠা জলাধারগুলোতে (কোলা) নির্বিচারে বিভিন্ন জাতের পাখি শিকার করা হচ্ছে। সৌখিন ও পেশাদার শিকারিরা বিষটোপ ও বড়শিসহ নানান ফাঁদ পেতে নির্বিচারে খাদ্য আহরণে আসা এসব পাখিদের শিকার করছে। এতে একদিকে যেমন জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে ফসলি জমিতে ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ বাড়ছে।

জানা যায়, ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত উপজেলার সাহেবের আলগা ও বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষা উত্তর-পূর্বে ভারতের আসাম রাজ্য। আসামের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে প্রতিদিনই চকোয়া, বালিহাঁস, গাঙ কবুতর, সারস, পানকৌড়িসহ নানান জাতের পাখি ব্রহ্মপুত্র নদ ও বিভিন্ন জলাধারে খাবার সংগ্রহের জন্য আসে। এ সুযোগে অসাধু শিকারিরা বন্দুক, বিষটোপ, বড়শি, জালসহ বিভিন্ন ফাঁদ পেতে নির্বিচারে এসব পাখি শিকার করছে।

সম্প্রতি সরেজমিনে উপজেলার বেগমগঞ্জ ও সাহেবের আলগা ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদ ও জলাধারগুলোতে পাখি শিকারের দৃশ্য নজরে আসে। তবে এসব শিকারিরা দীর্ঘদিন ধরে পাখি শিকার করছে বলে জানান সেখানকার বাসিন্দারা।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয় কিছু লোক জানান, সাহেবের আলগা এলাকার নুর আলম ও আব্দুর রহিম এরা সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। দীর্ঘদিন ধরে তারা বিষটোপ দিয়ে অবাধে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে পাখি শিকার করে আসছে। একেকটা পাখি ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে সৌখিন শিকারিরাও আসে পাখি শিকার করতে।

সাহেবের আলগা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর আব্দুর রশিদ বলেন, প্রতিদিন সকালে ব্রহ্মপুত্র নদ এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির পাখি আসে। আর নানা ফাঁদ পেতে এসব পাখি শিকার করে শিকারিরা। এই শিকার বন্ধ করা না হলে আগামীতে পাখির উপস্থিতি থাকবে না। শুনেছি দূর-দূরান্ত থেকে এসে শিকারিরা পাখি শিকার করে নিয়ে যায়।

উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা নেই, তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আতাউর রহমান জানান, পাখি শিকার দণ্ডনীয় অপরাধ। এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

//নিউজ//উলিপুর//মালেক/এপ্রিল/২৮/২৪

The post উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে ফাঁদ পেতে চলছে নির্বিচারে পাখি শিকার appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
ভূরুঙ্গামারীতে উপসহকারী প্রকৌশলীর উপর হামলা https://www.ulipur.com/?p=31928 Tue, 23 Apr 2024 14:50:44 +0000 https://www.ulipur.com/?p=31928 ।। নিউজ ডেস্ক ।। ভূরুঙ্গামারীতে নির্মাণাধীন একটি ব্রিজের স্ল্যাব ঢালাইয়ের কাজে দ্বন্দ্বের জেরে উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলীকে ফোরম্যানসহ ঠিকাদারের লোকজন লাঞ্ছিত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের সুবলপাড় বাজার রাঙ্গালীকুটি সড়ক ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্পে ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে [...]

The post ভূরুঙ্গামারীতে উপসহকারী প্রকৌশলীর উপর হামলা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
ভূরুঙ্গামারীতে নির্মাণাধীন একটি ব্রিজের স্ল্যাব ঢালাইয়ের কাজে দ্বন্দ্বের জেরে উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলীকে ফোরম্যানসহ ঠিকাদারের লোকজন লাঞ্ছিত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের সুবলপাড় বাজার রাঙ্গালীকুটি সড়ক ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্পে ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে টেন্ডার হওয়া ৮২ মিটারের গার্ডার ব্রিজটির কাজ পেয়েছে যশোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আইসিএল প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেড। পরে এটি সাব কন্ট্রাক্ট নেয় লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার ঠিকাদার রফিকুল ইসলাম। স্থানীয় সরকার বিভাগ ব্রিজটি নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা। ব্রিজটি উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের সুবলের বাজার ও রাঙ্গালীকুটি বাজারের মাঝখানে নির্মাণ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে স্ল্যাব ঢালাইয়ের কাজে তদারকিতে আসেন ভূরুঙ্গামারী উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী আতাউর রহমান, ওয়ার্ক এ্যাসিসটেন্স শ্যামল কুমার কুন্ড, তপন কুমার সরকার ও মিলন মিয়া। স্ল্যাব সংযোগের জন্য ১০ মিলিমিটার এঙ্গেল নির্ধারণ করা হলেও ৬ মিলিমিটার পাত দিয়ে ঢালাই কাজ শুরু করায় স্থানীয় মেম্বার আব্দুর রাজ্জাক রানা ও এলাকাবাসী কাজে বাঁধা দেন। তারা ডিজাইন অনুযায়ী কাজ করার পরামর্শ দেন। এ সময় উপসহকারী প্রকৌশলী বাজারে ১০ মিলিমিটার এঙ্গেলের সরবরাহ না থাকায় ঘন করে ৬ মিলিমিটার এঙ্গেল ব্যবহার করে কাজ শুরু করতে নির্দেশ দেন। পরে স্থানীয় এক লোকের অনুরোধে ডাইভারশন সড়কের কাজ দেখতে যান উপসহকারী প্রকৌশলী আতাউর রহমান। সেখানে ফোরম্যান সবুজ মিয়া ও তার লোকজন তার ওপর হামলা করলে তিনি সেখানে অসুস্থ হয়ে পরেন। তখন মেম্বার আব্দুর রাজ্জাক রানা তাকে নিজস্ব মোটরসাইকেলে সোনাহাট বাজারে গিয়ে চিকিৎসকের চেম্বারে নিয়ে যান।

অভিযুক্ত ফোরম্যান সবুজ মিয়া মারপিটের ঘটনার কথা অস্বীকার করে জানান, একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে মাত্র। তিনি অভিযোগ করেন এর আগেও জয়েন্টের এঙ্গেল না থাকায় ওই প্রকৌশলী কাজ বন্ধ করে দেন। সেদিনও আমাদের ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। আজ ইঞ্জিনিয়ারের সরবরাহকৃত ৬ মিলিমিটার এঙ্গেল দিয়ে কাজ শুরু করা হয়। তিনি এঙ্গেলের পুরুত্ব কম দেওয়ায় স্থানীয়রা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের ভুলে বারবার কাজ বন্ধ রাখলে আমাদের অনেক টাকার ক্ষতি হয়। জনগণকে বুঝিয়ে ঢালাই শুরু করতে তাদের পথ আটকানো হয়েছিল মাত্র। আমাদের ক্ষতি করায় ঠিকাদারের পরামর্শে থানায় এসেছি মামালা করতে।

বিষয়টি নিয়ে মেম্বার আব্দুর রাজ্জাক রানা জানান, ঈদের আগে এঙ্গেল ছাড়াই ঠিকাদারের ম্যানেজার জুয়েল কাজ শুরু করলে উপসহকারী প্রকৌশলী আতাউর রহমান ঘটনাস্থলে এসে কাজ বন্ধ করে দেন। শুনেছি আজ আতাউর রহমান নিজেই এঙ্গেল কিনে এনেছেন। এঙ্গেলের পুরুত্ব ১০ মিলিমিটারের স্থলে ৬ মিলিমিটার ব্যবহার করায় এলাকাবাসী কাজ আটকে দেয়। পরে ডাইভারশন সড়কে ফোরম্যান সবুজ মিয়া ও মিস্ত্রিরা তার ওপর হামলা করেছে বলে তিনি আমাকে জানান। ডাইভারশন সড়কে তিনি অসুস্থ হয়ে পরায় তাকে আমার মোটরসাইকেলে করে সোনাহাট বাজারে গিয়ে ডাক্তার দেখাই। তিনি ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগে ভুগছেন বলে ডাক্তারকে জানিয়েছেন। পরে তিনি কিছুটা সুস্থ হলে তার পরিচিত জনৈক জালাল ব্যাপারী তাকে মোটরসাইকেলে করে ভূরুঙ্গামারীতে বাসায় নিয়ে যান।

এ ব্যাপারে উপসহকারী প্রকৌশলী আতাউর রহমানের মোবাইল বন্ধ থাকায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিয়ে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার দুষ্টু প্রকৃতির। কাজ শুরু করার পরও একদিনও তিনি সাইটে আসেন নি। ফোন করলে নানান টালবাহানা করেন। এর আগে ঈদের সময় এঙ্গেল ছাড়াই তারা ঢালাইয়ের কাজ করলে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। তারপর থেকে তারা কোন রকম যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এদিকে মেয়াদকাল শেষ হয়ে যাওয়ায় আমরা নিজেদের উদ্যোগে এঙ্গেল সরবরাহ করি। যাতে দ্রুত ব্রিজের কাজ শেষ করা যায়। বাজারে ১০ মি.মি. এঙ্গেল না পাওয়ায় ৬ মি.মি. এঙ্গেল কেনা হয়। তাদেরকে ঘন করে এঙ্গেল জয়েন্ট করতে পরামর্শ দেয়া হয়। তারা ইচ্ছেকৃতভাবে স্থানীয় লোকজনকে উস্কে দিয়েছে। উপসহকারী প্রকৌশলী আতাউর রহমানকে অতর্কিতভাবে পেছন থেকে আক্রমণ করা হয়। তাকে কিলঘুষি মারা হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারের ওপর হামলা করায় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এ ব্যাপারে কচাকাটা থানার অফিসার ইনচার্জ বিশ্বদেব রায় জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। উপসহকারী প্রকৌশলী আতাউর রহমানের মোটরসাইকেলটি সেখানে ছিল। সেটি থানায় নিয়ে এসে অফিসের কর্মচারী মিলন মিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়। এখন পর্যন্ত কেউ থানায় মামলা করেনি। মামলা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

The post ভূরুঙ্গামারীতে উপসহকারী প্রকৌশলীর উপর হামলা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
চিলমারীতে অফিসের গাফিলতির কারণে ভাতাভোগীরা ভোগান্তিতে https://www.ulipur.com/?p=31574 Tue, 02 Apr 2024 07:45:51 +0000 https://www.ulipur.com/?p=31574 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।। চিলমারীতে কর্মকর্তার গাফিলতিতে সময় মতো ভাতা না পেয়ে ভোগান্তিসহ হয়রানির স্বীকার বয়স্ক ও বিধবা ভাতাভোগীরা। দিনের পর দিন সময় কাটছে অফিসের মাঠে ও বারান্দায়। চিলমারীতে আসন্ন ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ করেছেন প্রায় শতাধিক বয়স্ক ও বিধবা ভাতাভোগী। স্ব স্ব মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ৩ মাসের স্থলে ১ মাসের ভাতা পাওয়া এবং [...]

The post চিলমারীতে অফিসের গাফিলতির কারণে ভাতাভোগীরা ভোগান্তিতে appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
চিলমারীতে কর্মকর্তার গাফিলতিতে সময় মতো ভাতা না পেয়ে ভোগান্তিসহ হয়রানির স্বীকার বয়স্ক ও বিধবা ভাতাভোগীরা। দিনের পর দিন সময় কাটছে অফিসের মাঠে ও বারান্দায়। চিলমারীতে আসন্ন ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ করেছেন প্রায় শতাধিক বয়স্ক ও বিধবা ভাতাভোগী। স্ব স্ব মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ৩ মাসের স্থলে ১ মাসের ভাতা পাওয়া এবং ভাতার টাকা না পাওয়ায় সমাজসেবা দপ্তরের সামনে দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকতে দেখা গেছে ভুক্তভোগীদের। কর্মকর্তার অবহেলায় ভোগান্তিসহ ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে তাদের অভিযোগ।

জানা গেছে, সমাজসেবা অধিদপ্তরের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় উপজেলা সমাজসেবা দপ্তরে বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী, প্রতিবন্ধী শিক্ষা ও হরিজন মিলে প্রায় ১৬ হাজার ভাতাভোগী নিয়মিত ভাতা পেয়ে আসছেন। বয়স্ক ভাতা মাসিক ৬০০ টাকা, বিধবা ভাতা মাসিক ৫৫০ টাকা ও প্রতিবন্ধী ভাতা মাসিক ৮৫০ টাকা হারে প্রতি ৩ মাস অন্তর সুবিধাভোগীদের নিজ নামীয় বিকাশ নম্বরে প্রদান করা হয় এসব টাকা। নিয়মানুযায়ী উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ত্রয়মাসিক ভিত্তিতে সমাজসেবা অধিদপ্তরে সুবিধাভোগীদের পে-রোল প্রেরণ করেন। সেখান থেকে অর্থ মন্ত্রণালয় হয়ে বিকাশ, তারপর সুবিধাভোগীদের স্ব স্ব বিকাশ নম্বরে ভাতার টাকা চলে যায়। অধিদপ্তর থেকে জানুয়ারি-মার্চ ২০২৪, ৩ মাসের ভাতার টাকা ছাড় করা হলেও অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার নাজমুল হাসানের অবহেলায় অনেকে ১ মাসের টাকা পাওয়া এবং অনেকের হিসেবে ভাতা না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সুবিধাভোগী বয়স্ক ও বিধবা ভাতাভোগী শতাধিক সিটিজেন ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ করেছেন।

গত কয়েকদিন থেকে বেশকিছু সুবিধাভোগীকে সমাজসেবা দপ্তরের সামনে গাছ তলায় ও বারান্দায় বসে থাকতে দেখা গেছে। এ সময় দুর্গম চরাঞ্চল উপজেলার অষ্টমীর চর ইউনিয়নের ডাটিয়ারচর এলাকার ভাতাভোগী পারুল, মিলিকজান, রুপভান বেওয়া, আনোয়ারা, পারুলসহ অনেকে জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে ভাতা পাচ্ছেন না। মোজাম্মেল হকসহ কয়েকজন জানান, তারা ৩ মাসের ১ হাজার ৮০০ টাকা পাওয়ার কথা কিন্তু পেয়েছেন ১ মাসের ৬০০ টাকা।

তাদের অভিযোগ, বর্তমানে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা যোগদান করার পর থেকে ভাতার টাকা প্রদানে বিভিন্ন অনিয়ম হচ্ছে। রবিবার দীর্ঘ সময় দপ্তরের সামনে থেকে কর্মকর্তার সাক্ষাত না পেয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের শরণাপন্ন হন ওই ভাতাভোগীরা। পরে কর্মকর্তার সাথে কথা বলে তাদের বিদায় করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। পরের দিন আসলেও কোনো সুরাহা পাননি ভাতাভোগীরা।

এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার (অ.দা.) মোঃ নাজমুল হাসান বলেন, জানুয়ারি-মার্চ চক্রের ভাতার টাকা ছাড় করা হয়েছে। সবার টাকাতো এক সঙ্গে আসবে না। পর্যায়ক্রমে সবাই টাকা পাবেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিনহাজুল ইসলাম বলেন, আমি জরুরী মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম, বিষয়টি আমার জানা নেই। সমাজসেবা অফিসারের সাথে কথা বলবেন বলে জানান তিনি।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রুকুনুজ্জামান শাহীন বলেন, বেশকিছু বয়স্ক নারী-পুরুষ ভাতার টাকা না পাওয়ার অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন। সমাজসেবা অফিসারকে ব্যবস্থা নিতে বলে তাদের বিদায় করেছি।

//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/এপ্রিল/০২/২৪

The post চিলমারীতে অফিসের গাফিলতির কারণে ভাতাভোগীরা ভোগান্তিতে appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
উলিপুরে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত টি-বাঁধ https://www.ulipur.com/?p=31577 Tue, 02 Apr 2024 05:19:05 +0000 https://www.ulipur.com/?p=31577 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।। উলিপুরে তিস্তা নদী বেষ্টিত গুনাইগাছ ইউনিয়নের নাগড়াকুড়া এলাকায় তিস্তার বাম তীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় টি-হেড (গ্রোয়েন) ঘেঁষে ভোর ৫টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত কোদাল ও বেলচা দিয়ে গর্ত করে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চালানো হচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করে চলছে। টি-বাঁধের কোল ঘেঁষে গর্ত করে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে [...]

The post উলিপুরে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত টি-বাঁধ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
উলিপুরে তিস্তা নদী বেষ্টিত গুনাইগাছ ইউনিয়নের নাগড়াকুড়া এলাকায় তিস্তার বাম তীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় টি-হেড (গ্রোয়েন) ঘেঁষে ভোর ৫টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত কোদাল ও বেলচা দিয়ে গর্ত করে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চালানো হচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করে চলছে। টি-বাঁধের কোল ঘেঁষে গর্ত করে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত টি-বাঁধটি। স্থানীয় অসাধু দুষ্টচক্র বালু ব্যবসায়ী শাহানুর আলম ওরফে ফুলু সরকার বাঁধ এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করে তার নিজস্ব দুইটি ট্রাক্টর যোগে বিভিন্ন এলাকায় রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছে।

জানা গেছে, নাগড়াকুড়া টি-বাঁধটি ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ২০১৭ সালে নির্মাণ কাজ শেষ করে। এটি ছিল এ এলাকার তথা পুরো উলিপুর উপজেলার ভ্রমণকারীদের একমাত্র স্থান। বাঁধটির কারণে উক্ত এলাকার কয়েক হাজার মানুষ নদী ভাঙন হতে রক্ষা পায়। ২০১৮ ও ২০১৯ সালের বর্ষায় এটির ব্যাপক ক্ষতি হয়, ঐ সময়ে বাঁধটির প্রায় এক-চতুর্থাংশ জায়গা ভেঙে যায়। এটি ভেঙে গেলে প্রায় ৪০ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সাথে অভাবনীয় ক্ষতির মুখে পরবেন কয়েক হাজার দরিদ্র ও হত দরিদ্র পরিবার যাদের বেশিরভাগেরই ভিটেবাড়ি টুকু ছাড়া অবশিষ্ট কিছুই নেই।

এলাকার একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বালু ব্যবসায়ী দুষ্টচক্র ফুলু টি-বাঁধের কাছ থেকে যেভাবে পুকুর কাটার মতো গর্ত করে বালু উত্তোলন করছে তাতে বর্ষার মৌসুমে টি-বাঁধটি ভেঙে পড়ে বড় ধরণের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

তারা আরও জানান, প্রতিদিন ১২ থেকে ১৪ ট্রাক্টর বালু উত্তোলন করছে। এতে টি-বাঁধসহ চরাঞ্চলের আবাদি জমিগুলো হুমকিতে পড়েছে। বালু ভর্তি ট্রাক্টরগুলো রাস্তা দিয়ে যাওয়ায় রাস্তাটিতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে গ্রামীণ রাস্তাটি দিন দিন চলাচলের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে।

অভিযুক্ত শাহানুর আলম ফুলু সরকার বলেন, জমি সমান করার জন্য কিছু গাড়ি বালু কাটা হয়েছে। এছাড়াও পেঁয়াজ চাষিরা পেঁয়াজ ক্ষেতের জন্য কিছু গাড়ি বালু নিয়েছে। অথচ তিনি উল্টো দাবি করেন টি-বাঁধে আমার ৪/৫ একর জমি গিয়েছে তার মূল্যতো সাংবাদিকরা আদায় করে দিতে পারেন না।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, টি-বাঁধের কাছ থেকে বালু উত্তোলন করায় টি-বাঁধটি হুমকির মুখে রয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আতাউর রহমান বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

//নিউজ//উলিপুর//মালেক/এপ্রিল/০২/২৪

The post উলিপুরে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত টি-বাঁধ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
চিলমারীতে পল্লী বিদ্যুতের ভৌতিক বিলের কারণে ভোগান্তিতে গ্রাহকেরা https://www.ulipur.com/?p=31541 Sun, 31 Mar 2024 09:58:52 +0000 https://www.ulipur.com/?p=31541 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।। সুকৌশলে চুরি ও ভৌতিক বিলে পল্লী বিদ্যুতের কাছে অসহায়, হয়রানিসহ জিম্মি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার গ্রাহক। কে দেখবে এই ভোগান্তির কারণ। বছরের পর বছর থেকে জিম্মি হয়ে থাকছে গ্রাহক। হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হয়ে তা নিয়ে বলতে গেলেই নানা ভয়ভীতিসহ নেমে আসছে মামলার ভয়ও। চিলমারীতে বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধির দোহাই দিয়ে গ্রাহকদের [...]

The post চিলমারীতে পল্লী বিদ্যুতের ভৌতিক বিলের কারণে ভোগান্তিতে গ্রাহকেরা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
সুকৌশলে চুরি ও ভৌতিক বিলে পল্লী বিদ্যুতের কাছে অসহায়, হয়রানিসহ জিম্মি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার গ্রাহক। কে দেখবে এই ভোগান্তির কারণ। বছরের পর বছর থেকে জিম্মি হয়ে থাকছে গ্রাহক। হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হয়ে তা নিয়ে বলতে গেলেই নানা ভয়ভীতিসহ নেমে আসছে মামলার ভয়ও। চিলমারীতে বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধির দোহাই দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভৌতিক বিল আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। ভৌতিক বিল কাঁধে চাপিয়ে দেয়ায় প্রায় হাজার হাজার গ্রাহক চরমভাবে ভোগান্তিতে পড়েছেন। অপরদিকে সময়মতো বিল পরিশোধ না করলে সংযোগ কাটাসহ নানা হয়রানি ও ভোগান্তিতে গ্রাহক।

জানা গেছে, কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চিলমারী জোনাল অফিসের আওতায় প্রায় ৫৩ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছে। প্রায়ই বিচ্ছিন্নভাবে অনেক গ্রাহকের বিলে নানা রকম অসঙ্গতি দেখা যায় বলে গ্রাহকদের অভিযোগ। বিগত সময়ে বিদ্যুৎ বিলে বিভিন্ন অসঙ্গতি দেখা দিলেও মার্চ মাসের বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধির দোহাই দিয়ে বিলে শতভাগ ভৌতিক বিল দেয়ায় গ্রাহকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম অসন্তোষ।

গ্রাহকদের অভিযোগ, মার্চ মাসের বিলে ১ম থেকে ৬ষ্ঠ স্লাব পর্যন্ত বিল, ডিমান্ড চার্জ, মিটার ভাড়া ও ভ্যাটসহ সকল অংকের যোগ ফলে কোনো মিল নেই অর্থাৎ মোট যোগ ফলে টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিলের সময় ভৌতিক বিল তৈরি করে অথচ যান্ত্রিক ত্রুটিসহ নানা অব্যবস্থাপনা দূর করতে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। মিটারে বর্তমান রিডিংয়ের সাথে মিল না থাকা, বিলের সঙ্গে ২-৩ মাসের পরিশোধিত বকেয়া বিল সংযুক্ত করাসহ বিভিন্নভাবে গ্রাহকদের হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। হঠাৎ করে বিদ্যুৎ বিলের যোগফল না মিলিয়ে বিল বেশি নেয়ায় গ্রামের সহজ-সরল কৃষক, দিনমজুররা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

সরেজমিন উপজেলার সবুজপাড়া এলাকার মোঃ রেজাউল মন্ডলের ৯৯২৯৮৬২৭ নং মিটারের বিলে দেখা গেছে, তার ১ ম স্লাবে ৫.২৬ টাকা হারে ৭৫ ওয়াটে ৩৯৪.৫০ টাকা, ২য় স্লাব ৭.২০ টাকা দরে ১২৫ও ওয়াটে ৯০০ টাকা, ৩য় স্লাব ৭.৫৯ টাকা দরে ১৫ ওয়াটে ১১৩.৮৫ টাকা, ডিমান্ড চার্জ ৮৪ টাকা, মিটার ভাড়া ১০ টাকা ও ভ্যাট ৮৪ টাকা মিলে মোট ১ হাজার ৫৮৬ টাকা হওয়ার কথা। সেখানে যোগফল করা হয়েছে ১ হাজার ৭৭১ টাকা। ওই গ্রাহকের বিলে অলিখিতভাবে ১৮৫ টাকা বেশ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। একই ভাবে ১৭০৩৪২২০১৬ নং মিটারে ১ হাজার ৭০৪ টাকার স্থলে ১ হাজার ৮৫২ টাকা লিখে ১৪৮ টাকা বেশি, ০০১৭৪৯৫৮ নং মিটারে ৫৫ টাকার স্থলে ৬৬ টাকা লিখে ১১ টাকা বেশি, ৫৫৮৮৭৪৪ নং মিটারে ২৯৯ টাকার স্থলে ৩১৭ টাকা লিখে ১৮ টাকা বেশি নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। শত শত গ্রাহকের মুখে একই অভিযোগের কথা শোনা যায়।

বাবু মিয়া, রফিকুল ইসলাম, আঃ মজিদ, সাখাওয়াত হোসেনসহ কয়েকজন বিদ্যুৎ গ্রাহক বলেন, বিদ্যুৎ বিলের নামে গ্রাহকদের ধোঁকা দিচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। হঠাৎ অলিখিতভাবে বিদ্যুৎ বিল বেশি নিচ্ছে। এমন ভৌতিক বিল এর আগে কখনো হয়নি। আমাদের মতো সহজ-সরল ও নিম্ন আয়ের লোকেরা কাজ রেখে বিল ঠিক করতে অফিসে যাতায়াত করা সম্ভব নয়। বিদ্যুৎ গ্রাহকরা বলেন, সার্ভিস চার্জ ও ভ্যাট ছাড়াও বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রতি মাসে ১০ টাকা হারে মিটার ভাড়াও নেওয়া হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিকট টাকা দিয়ে মিটার কিনে নেওয়ার পরও মাসিক হারে আজীবন মিটার ভাড়া দিতে হবে কেন। এসব বিষয়ে সঠিকভাবে তদারকি করারও কেউ নেই।

চিলমারী জোনাল অফিসের বিলিং সুপারভাইজার সালমা খাতুন বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারিভাবে বিদ্যুতের বিল বৃদ্ধি করা হয়েছে। পুরাতন বিলে বর্ধিত টাকা বসানোর জায়গা না থাকায় অলিখিতভাবে বিল বেশি নেয়া হয়েছে। এটি শুধু এ মাসেই হবে, অন্য মাসে আর হবে না।

কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চিলমারী জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী মোঃ মোস্তফা কামাল বলেন, বিলের কাগজ যেভাবে আছে ওই ভাবে যোগ করলে মিলবে না কিন্তু সফটওয়্যারে টাকা ঠিক আছে। হিসাব না মিললে অফিসে আসেন দেখিয়ে দিব।

//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/মার্চ/৩১/২৪

The post চিলমারীতে পল্লী বিদ্যুতের ভৌতিক বিলের কারণে ভোগান্তিতে গ্রাহকেরা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
রৌমারীতে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের ৩৮ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ https://www.ulipur.com/?p=31349 Sun, 24 Mar 2024 16:39:58 +0000 https://www.ulipur.com/?p=31349 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।। রৌমারীতে ডিগ্রিরচর চুলকানির খাল (হলহলিয়া নদীর মুখে) বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের ৩৮ লক্ষ ২০ হাজার ৭০৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা চেয়ারম্যান ইমান আলীর বিরুদ্ধে। রোববার (২৪ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রৌমারী উপজেলা প্রেসক্লাবে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দুই ভুক্তভোগী। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাটি ব্যবসায়ী ভুক্তভোগী লুৎফর [...]

The post রৌমারীতে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের ৩৮ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
রৌমারীতে ডিগ্রিরচর চুলকানির খাল (হলহলিয়া নদীর মুখে) বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের ৩৮ লক্ষ ২০ হাজার ৭০৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা চেয়ারম্যান ইমান আলীর বিরুদ্ধে। রোববার (২৪ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রৌমারী উপজেলা প্রেসক্লাবে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দুই ভুক্তভোগী।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাটি ব্যবসায়ী ভুক্তভোগী লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ডিগ্রিরচর চুলকানির খাল নামক এলাকায় হলহলিয়া নদীর মুখে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি ভরাটের চুক্তিবদ্ধ হয় উপজেলা চেয়ারম্যান ইমান আলীর সঙ্গে। এতে ২০২৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ২০ এপ্রিল পর্যন্ত মাটি ভরাট কাজের মেয়াদ বেঁধে দেওয়া হয়। এ সময় চেয়ারম্যানকে জামানত হিসেবেও দেওয়া হয় ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে চারটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে স্বাক্ষরিত এস্টিমেট অনুযায়ী ১ হাজার ৬৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের বেড়িবাঁধে ১৬ লক্ষ ৬৭ হাজার ৯৮৪ মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়। যার প্রতি হাজার মাটির দাম ৩ হাজার টাকা। এই হিসেবে মোট মাটির দাম হয় ৪৭ লক্ষ ৫৩ হাজার ৯৫২ টাকা। এর মধ্যে ১৫ লক্ষ ১৩ হাজার ২৪৬ টাকা হাতে পেয়েছেন মাটি ব্যবসায়ীরা। এছাড়া বাকি রয়েছে জামানতসহ ৩৮ লক্ষ ২০ হাজার ৭০৬ টাকা। এ টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি ও টাকা দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন উপজেলা চেয়ারম্যান ইমান আলী।

তিনি আরও বলেন, বাড়ির গরু-ছাগল বিক্রিসহ ধার-দেনা করে বেড়িবাঁধের নির্মাণ কাজ করেছেন। বাঁধ নির্মাণ কাজের পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান তিনি।

রৌমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমান আলীর জানান, বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজের কোনো টাকা তারা পান না এবং তাদের সঙ্গে আমার কোনো চুক্তিও হয়নি। আমি বাঁধ নির্মাণে সহযোগিতা করেছি মাত্র।

ডিগ্রিরচর চুলকানির খাল বাঁধ সংস্কার প্রকল্পের সভাপতি স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ২০২২-২৩ অর্থ বছরের ‘গ্রামীণ অবকাঠোমো সংস্কার’ (কাবিটা) প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ১১ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে মাটি ব্যবসায়ীদের দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকা উপজেলা চেয়ারম্যান কি করেছেন তা জানেন না তিনি। তিনি আরও বলেন, বাঁধ নির্মাণ কমিটি নিজের মতো করে গঠন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান।

//নিউজ/রৌমারী//সুজন-মাহমুদ/মার্চ/২৪/২৪

The post রৌমারীতে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের ৩৮ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
চিলমারীতে ব্যক্তিগত জমিতে এলজিইডির সেতু নির্মাণ https://www.ulipur.com/?p=31138 Wed, 13 Mar 2024 09:10:19 +0000 https://www.ulipur.com/?p=31138 ।। নিউজ ডেস্ক ।। চিলমারীতে জমি অধিগ্রহণ না করেই ব্যক্তি মালিকানা জমির উপর সেতু নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের (এলজিইডি) বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পাত্রখাতা গ্রামের সংযোগ সেতু নতুন করে নির্মাণ ২০২৩ সালে শুরু হয়। রংপুর বিভাগ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের ৬৮ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির কাজ শুরু করে [...]

The post চিলমারীতে ব্যক্তিগত জমিতে এলজিইডির সেতু নির্মাণ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
চিলমারীতে জমি অধিগ্রহণ না করেই ব্যক্তি মালিকানা জমির উপর সেতু নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের (এলজিইডি) বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পাত্রখাতা গ্রামের সংযোগ সেতু নতুন করে নির্মাণ ২০২৩ সালে শুরু হয়। রংপুর বিভাগ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের ৬৮ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির কাজ শুরু করে এলজিইডি। ৩ কোটি ৪০ লক্ষ ৩১ হাজার ২৯৬ টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ করা হয়।

এ ঘটনায় বারবার অভিযোগ করেও সুরাহা মেলেনি ভুক্তভোগীর। সেতু নির্মাণের কাজ অব্যাহত রেখেছে কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করলে গত ৩১ জুলাই ২০২৩ সালে সহকারী কমিশনার স্বাক্ষরিত একটি চিঠি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন। এরই পরিপেক্ষিতে সাবেক ইউএনও মাহাবুবুর রহমান তদন্ত করেন। তদন্তে তৎকালীন ইউএনও সরকারি খাসভুক্ত জমি হিসেবে তদন্ত রিপোর্ট দেয়। যা মনগড়া বলে দাবি করেন জমির মালিক।

জমির মালিক রেজাউল করিম বলেন, ’নির্মাণাধীন সেতুটির দৈর্ঘ্য বেশি হওয়ায় আমার জমি পাত্রখাতা মৌজার জেলএল নং ১৫, দাগ নং-৩১৩৫ এ প্রায় ৯ শতাংশ জমি সেতুর মধ্যে পড়েছে এবং একটি অখণ্ড জমি সেতুদ্বারা খণ্ডিত হয়েছে। ইতিমধ্যে এই জমির মধ্যে সেতুর পিলারও স্থাপন করা হয়েছে। এ নিয়ে সেতু নির্মাণের শুরুতে একাধিকবার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো লাভ হয়নি।’

জমির আরেক মালিক শামসুল হক বলেন, ’এ বিষয়ে প্রতিকারের জন্য গত বছর ডিসি অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এখানে কাশেম মাষ্টার নামে আরও এক ব্যক্তির ৩ শতক জমি সেতুতে পড়েছে।’

জেলার সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সভাপতি অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব নিলু বলেন, ’সরকারিভাবে ব্যক্তি মালিকানায় জমি অধিগ্রহণ না করে কোনো স্থাপনা করার সুযোগ নেই। কারও যদি সামান্যটুকু অংশ সরকার ব্যবহার করে তাকে সেটি অধিগ্রহণ করে নিতে হবে।’

উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ফিরোজুর রহমান বলেন, ’নির্মাণাধীন ব্রিজটির জায়গাটি ব্যক্তি মালিকানা হিসেবে আগে কেউ দাবি করেনি। এখন যেহেতু ব্রিজটি নির্মাণের শেষের পথে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিষয়ে লালমনিরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও চিলমারীর সাবেক ইউএনও মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, ’সেতুটি সরকারি জায়গায় করা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে চিলমারী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ গোলাম রব্বানী বলেন, ’এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমি সরকারি কাজে বাইরে আছি। আপনি আমার অফিসে দেখা করিয়েন।’

এলজিইডির কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুজ্জামান বলেন, ’আমি নতুন এসেছি। এ বিষয়ে কিছু জানিনা। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

বর্তমান চিলমারীর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ’আমি উভয় পক্ষের সাথে কথা বলব। জমি অধিগ্রহণের সুযোগ থাকলে অবশ্যই তা অধিগ্রহণ করা হবে।’

The post চিলমারীতে ব্যক্তিগত জমিতে এলজিইডির সেতু নির্মাণ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিচার দাবিতে উলিপুরে মানববন্ধন https://www.ulipur.com/?p=30954 Mon, 04 Mar 2024 16:38:42 +0000 https://www.ulipur.com/?p=30954 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।। উলিপুরের গুনাইগাছ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফিরোজ ইমাম আমীনের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী এবং অভিভাবকবৃন্দ। সোমবার (০৪ মার্চ) দুপুরে বিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন, গুনাইগাছ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফিরোজ ইমাম আমীন অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান [...]

The post ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিচার দাবিতে উলিপুরে মানববন্ধন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
উলিপুরের গুনাইগাছ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফিরোজ ইমাম আমীনের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী এবং অভিভাবকবৃন্দ। সোমবার (০৪ মার্চ) দুপুরে বিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন, গুনাইগাছ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফিরোজ ইমাম আমীন অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হয়েছেন। এরপর থেকে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। নিজে প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য গোপনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি করে প্রধান শিক্ষক হওয়ার পাঁয়তারা করেন। এ বিষয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের আজীবন দাতা সদস্য পরিচয়দানকারী সোলায়মান আলী জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মানববন্ধনের আয়োজন করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য সোলায়মান আলী, সাবেক এসএমসির সদস্য আকবর আলী, সাবেক শিক্ষার্থী রাজু আহমেদ, নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৫ জুন গুনাইগাছ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম হোসেন অবসর গ্রহণ করেন। বিধি বহির্ভূতভাবে তৎকালীন বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা পর্ষদ ওই প্রতিষ্ঠানের শরীরচর্চা ও ক্রীড়া শিক্ষক ফিরোজ ইমাম আমীনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে ২০২০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষক ফিরোজ ইমাম আমীন সকল নিয়ম-কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তৎকালীন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ্ মোঃ তারিকুল ইসলামের যোগসাজশে শরীরচর্চা ও ক্রীড়া শিক্ষক থেকে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ বাগিয়ে নেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফিরোজ ইমাম আমীন রাতের আঁধারে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ গঠন করেন। ওই কমিটির মাধ্যমে তিনি প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য গোপনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।

//নিউজ//উলিপুর//মালেক/মার্চ/০৪/২৪

The post ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিচার দাবিতে উলিপুরে মানববন্ধন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
উলিপুরের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের নানা অভিযোগ https://www.ulipur.com/?p=30546 Fri, 16 Feb 2024 16:15:31 +0000 https://www.ulipur.com/?p=30546 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।। উলিপুর গুনাইগাছ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফিরোজ ইমাম আমীনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের আজীবন দাতা সদস্য পরিচয়দানকারী সোলেয়মান আলী নামে এক ব্যক্তি জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা [...]

The post উলিপুরের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের নানা অভিযোগ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
উলিপুর গুনাইগাছ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফিরোজ ইমাম আমীনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের আজীবন দাতা সদস্য পরিচয়দানকারী সোলেয়মান আলী নামে এক ব্যক্তি জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

অভিযোগ ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৫ জুন উলিপুরের ঐতিহ্যবাহী গুনাইগাছ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম হোসেন অবসর গ্রহণ করেন। কিন্তু বিধি বহির্ভূতভাবে তৎকালীন বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা পর্ষদ ওই প্রতিষ্ঠানের শরীরচর্চা ও ক্রীড়া শিক্ষক ফিরোজ ইমাম আমীনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়। দায়িত্ব গ্রহণের পর ওই প্রতিষ্ঠানের আজীবন দাতা সদস্য সোলেয়মান আলীকে বাদ দিয়ে পছন্দের ব্যক্তিদের নিয়ে ব্যবস্থাপনা পর্ষদ গঠন করেন তিনি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সোলেয়মান আলী আদালতে মামলা করেন, যা বিচারাধীন। পরে ২০২০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর চতুর শিক্ষক ফিরোজ ইমাম আমীন সকল নিয়ম কানুনকে বৃদাঙ্গুলি দেখিয়ে তৎকালীন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ্ মো. তারিকুল ইসলামের যোগসাজসে শরীরচর্চা ও ক্রীড়া শিক্ষক থেকে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ বাগিয়ে নেন। তার অনিয়মের চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হন তিনি।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফিরোজ ইমাম আমীন রাতের আঁধারে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ গঠন করেন। ওই কমিটির মাধ্যমে তিনি প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য গোপনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। পরিপত্র অনুযায়ী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বহুল প্রচারিত একটি জাতীয় দৈনিক ও স্থানীয় পত্রিকা এবং বিদ্যালয়ে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার কথা থাকলেও সেসবের কিছুই মানা হয়নি। অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফিরোজ ইমাম আমীন নিজে প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে তার কিছু আত্মীয় স্বজনদের দিয়ে নামকাওয়াস্তে আবেদন করান বলে সোলেয়মান আলী তার অভিযোগে উল্লেখ করেন।

উপজেলা শিক্ষক সমাজের একটি সূত্র জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শিক্ষকরা জানতে পারেন গুনাইগাছ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে। তারা নিয়মিত বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে খোঁজখবর রাখেন। কিন্তু শিক্ষকগণ কোনো নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য পাননি। হঠাৎ ৬ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রাধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেখতে পান তারা। যা পত্রিকা প্রকাশের তারিখ থেকে ৩১ জানুয়ারি আবেদনের শেষ তারিখ পর্যন্ত ওয়েব সাইট বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো প্রচারণা দেখা যায়নি। যা শূন্য পদে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনুসরণীয় নির্দেশমালা ১০ জানুয়ারি ২০২৪ সালের পরিপত্রে ২.২ (ক) ও (খ) এবং ২.৩ (ক) নং নীতিমালা লঙ্ঘন হয়েছে।

জানা গেছে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফিরোজ ইমাম আমীন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি, বিদ্যালয়ের জমি বেদখল, প্রতিষ্ঠানের মার্কেটের টাকা ও বিভিন্ন সামগ্রী একায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ভোগ দখল করে আসছেন। এ নিয়ে কোনো শিক্ষক কথা বললে তাদের ভয়ভীতি দেখান। এছাড়া তিনি প্রায় সময় অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন বলেও সূত্রটি জানিয়েছে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফিরোজ ইমাম আমীন বলেন, ‘যা হয়েছে সব বিধি মোতাবেক হয়েছে।

উলিপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহাতাব হোসেন বলেন, ওই প্রধান শিক্ষক অনেক চালাক মানুষ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুল আলম বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বিধি মোতাবেক হয়নি। ওয়েব সাইট বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। এ ছাড়া একাধিক মামলা বিচারধীন রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, নিয়োগ বোর্ডে প্রতিনিধি চেয়ে আমার কাছে আবেদন করা হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিয়মের কিছু ব্যত্যয় হয়েছে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অবশ্যই স্বচ্ছতার সহিত করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।

//নিউজ//উলিপুর//মালেক/ফেব্রুয়ারি/১৬/২৪

The post উলিপুরের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের নানা অভিযোগ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কুড়িগ্রামে অভিনব কায়দায় প্রতারক চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা https://www.ulipur.com/?p=30368 Sat, 10 Feb 2024 11:43:09 +0000 https://www.ulipur.com/?p=30368 ।। নিউজ ডেস্ক ।। কুড়িগ্রামে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও চাকুরীজীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। অনেকে অভিযোগ করেও প্রতিকার না পেয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপরতার পরেও ভুক্তভোগী ফিরে পাচ্ছে না হারানো অর্থ। ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম শহরের প্রাণকেন্দ্র কলেজ মোড়ে অবস্থিত রুপসী বাংলা নামে একটি হোটেলে প্রতারক [...]

The post কুড়িগ্রামে অভিনব কায়দায় প্রতারক চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও চাকুরীজীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। অনেকে অভিযোগ করেও প্রতিকার না পেয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপরতার পরেও ভুক্তভোগী ফিরে পাচ্ছে না হারানো অর্থ।

ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম শহরের প্রাণকেন্দ্র কলেজ মোড়ে অবস্থিত রুপসী বাংলা নামে একটি হোটেলে প্রতারক চক্র মোবাইলে দুই দফায় ৩৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এর আগে ওই এলাকার নান্না বিরিয়ানি নামে আরেক হোটেল মালিকের কাছ থেকেও হাতিয়ে নেয়া হয় ১৭ হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) একই এলাকার লেদ ব্যবসায়ী মতিউল ইসলাম নয়নের কাছ থেকে যন্ত্রাংশ ডেলিভারির কথা বলে ১৯ হাজার ৫শ’ টাকা বিকাশের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়। এছাড়াও গত বছরের ২৬ নভেম্বর (রবিবার) এক মাদ্রাসা শিক্ষকের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকা তুলে নেয়। শহরে এরকম বেশ কয়েকটি মোবাইল প্রতারণার ঘটনা ঘটলেও প্রতারকরা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। আধূনিক টেকনোলজি শুধু মানুষের উপকারেই আসছে না, এক শ্রেণির প্রতারক অসাধুভাবে এই টেকনোলজি ব্যবহার করে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রশাসন যদি এদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারে তাহলে পোয়াবারো অবস্থা হবে প্রতারকদের।

রুপসী বাংলার ম্যানেজার শহিদুল্লা কায়সার জানান, গত ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টার সময় জেলা প্রশাসনের কর্মচারী পরিচয়ে (০১৯৯৮৩৮২৩০৬) নম্বর থেকে ১৭ হাজার টাকার খাবারের অর্ডার দেয়া হয়। পরে ম্যানেজারের দেয়া রকেট নম্বরে ১৯ হাজার ৩৮০ টাকার একটি এসএমএস আসে। পরে অর্ডার বাতিল করে সেই টাকা ফেরত চাইলে তাদের প্রদেয় (০১৯৩৬৮১৩৭৫৫) বিকাশ নম্বরে ১৫ হাজার টাকা ক্যাশ ইন করা হয়। এর মধ্যে পূর্বের রকেট নম্বরে আবার ম্যানেজারের মোবাইলে ২৪ হাজার ৪৮০ টাকার মেসেজ আসে। সেই টাকা আবার বিকাশে ফেরত চাওয়া হলে হোটেল ম্যানেজার আবার বিকাশে ২৪ হাজার টাকা ক্যাশ ইন করেন। প্রতারক আবার টাকা পাঠানোর কথা বললে সন্দেহ হওয়ায় ম্যানেজার কল কেটে দেন। একইভাবে রুপসী বাংলার উল্টোদিকে অবস্থিত নান্না বিরিয়ানি হোটেলে উলিপুর থেকে খাবারের অর্ডার দিয়ে প্রতারণা করে ১৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্রটি। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই যেন সম্মোহন করে মোবাইলে মিথ্যে মেসেজ দিয়ে কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেয় ওই চক্রটি।

নয়ন ওয়ার্কশপের মালিক মতিউল ইসলাম নয়ন জানান, জেলার নাগেশ্বরীর রায়গঞ্জ থেকে রাসেল নামে এক ব্যক্তি মোটরসাইকেলের ট্যাংকির অর্ডার দেন। পরে (০১৬০৬১৫৯৬২২) নম্বর থেকে নয়ন ওয়ার্কশপের নাম ভাঙিয়ে রাসেলের কাছ থেকে ১৯ হাজার ৫শ’ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়।

একইভাবে কুড়িগ্রাম আলিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক সাইদুল ইসলামের মোবাইলে ২৬ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে (০১৩২৪০৫৫৩০২) মোবাইল নম্বর থেকে জানানো হয় আপনি গত দুই বছর জেলার নাগেশ্বরী ও ফুলবাড়ী উপজেলায় দুইবার ব্যবহারিক পরীক্ষার ডিউটি করেছেন। মাদ্রাসা বোর্ডের কর্মকর্তা পরিচয়ে তার বকেয়া পাওনা দেয়ার নামে কৌশলে তার নামীয় আইএফআইসি ব্যাংকের ডেভিট কার্ডের ভেলিডেটি নম্বর সংগ্রহ করে। এর মধ্যে মোবাইলে ৫ হাজার টাকার একটি মেসেজ আসে। পরপর ৪ বার মেসেজ আসার পর ওটিটি নম্বর লক হয়ে যায়। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে জানানো হয় আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লক্ষ টাকা উইথড্রো করা হয়েছে।

এভাবে মোবাইলে নানান কায়দায় মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে প্রতারক চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। সচেতন হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না মানুষ। তার আগেই ফেঁসে যাচ্ছে। জমানো অর্থ হারিয়ে অনেকে দিশেহারা হয়ে পরছেন।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান জানান, মানুষকে সজাগ করার পরও ঘটনাগুলো ফেক আইডি থেকে ঘটানো হচ্ছে। বেশিরভাগ মোবাইলে কল আসে নোয়াখালী ও ফরিদপুরের ভাঙা এলাকা থেকে। ইতিমধ্যে ঢাকা ডিবি থেকে ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার ব্যাপারে একজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে সব রকমের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে

The post কুড়িগ্রামে অভিনব কায়দায় প্রতারক চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>