লাইফস্টাইল Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?cat=895 কুড়িগ্রাম জেলার তথ্য ও সংবাদ Mon, 29 Apr 2024 09:54:15 +0000 en-US hourly 1 https://www.ulipur.com/wp-content/uploads/2022/10/1665889308.png লাইফস্টাইল Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?cat=895 32 32 হিট স্ট্রোক হলে বুঝবেন যেভাবে https://www.ulipur.com/?p=31935 Mon, 29 Apr 2024 09:54:15 +0000 https://www.ulipur.com/?p=31935 ।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।। তাপজনিত গুরুত্বর একটি অসুস্থতা হলো আতপাঘাত। যাকে ইংরেজি পরিভাষায় হিট স্ট্রোকও বলা হয়ে থাকে। সাধারণত শরীরের তাপমাত্রা যখন ১০৪ ডিগ্রি পেরিয়ে যায় কিংবা কখনো কখনো ১০৬ ডিগ্রিও হয়ে যায়, ঠিক সেই অবস্থাকেই হিট স্ট্রোক হয়েছে বলে গণ্য করা হয়। এই অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির যত দ্রুত সম্ভব সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা জরুরী। তা [...]

The post হিট স্ট্রোক হলে বুঝবেন যেভাবে appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
তাপজনিত গুরুত্বর একটি অসুস্থতা হলো আতপাঘাত। যাকে ইংরেজি পরিভাষায় হিট স্ট্রোকও বলা হয়ে থাকে। সাধারণত শরীরের তাপমাত্রা যখন ১০৪ ডিগ্রি পেরিয়ে যায় কিংবা কখনো কখনো ১০৬ ডিগ্রিও হয়ে যায়, ঠিক সেই অবস্থাকেই হিট স্ট্রোক হয়েছে বলে গণ্য করা হয়। এই অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির যত দ্রুত সম্ভব সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা জরুরী। তা নাহলে ব্যক্তির স্থায়ী পঙ্গুত্ব। এমনকি জীবন সংশয়ের ঘটনাও ঘটে যেতে পারে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ দেশীয় এক গণমাধ্যমকে জানান, হিট স্ট্রোকের মূল ঝুঁকি মূলত যারা দীর্ঘসময় রোদে থাকেন তাদের। মানব দেহে স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। দীর্ঘ সময় গরমে থাকায় শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে প্রবল। এ অবস্থায় শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে হিট স্ট্রোক হয়।

হিট স্ট্রোক হওয়ার কারণ
মাত্রাতিরিক্ত রোদ কিংবা তীব্র দাবদাহে কেউ বেশি সময় ধরে অবস্থান করলে তাদের হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। এছাড়া কঠোর কায়িক শ্রম, ভারি কাজ ও ব্যায়াম করার ফলেও হিট স্ট্রোক হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি, ফলের রস পান না করা, মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপানসহ শরীর ডিহাইড্রেড হয়ে যাওয়ার কারণেও হিট স্ট্রোক হতে পারে।

লক্ষণ
★ জ্ঞান হারিয়ে ফেলা
★ মাথা ঝিমঝিম করা
★ মতিভ্রম (হেলুসিনেশন) হওয়া
★ মানসিক অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন
★ শরীর ভীষণ দূর্বল হয়ে পড়ে
★ অবসাদগ্রস্ততা
★ বমি বমি ভাব হওয়া
★ খিচুনি হয়
★ হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়
★ শরীর লালচে ও শুষ্ক হওয়া

করণীয়
➤ প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা পূরণে নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে
➤ ডাবের পানি, ফলের রস, ডিটক্স ওয়াটার, স্যালাইনের পানি ইত্যাদি সমাধান হিসেবে খাওয়া যেতে পারে
➤ গরমে বাড়ির বাইরে কম-বেশি সবাইকেই বের হতে হয়। তাই বাইরে গেলে আরামদায়ক ও হালকা রঙের পোশাক পড়ে যাওয়া প্রযোজ্য
➤ শরীর যাতে ডিহাইড্রেড না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে
➤ কড়া গরমে ভারি কাজ, কায়িক পরিশ্রম ও শারীরিক কসরত না করাই উত্তম
➤ নিয়মিত প্রোটিন, আয়রন ও বেশি বেশি শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

The post হিট স্ট্রোক হলে বুঝবেন যেভাবে appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
জেনে নিন গরমে গোসলের পানিতে নিম পাতা মেশানোর উপকারিতা https://www.ulipur.com/?p=31999 Sun, 28 Apr 2024 06:49:50 +0000 https://www.ulipur.com/?p=31999 ।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।। অসহনীয় গরমের দাপটে সবারই যেন হাঁসফাঁস অবস্থা। মাথায় একটাই চিন্তা কীভাবে কি করলে স্বস্তি মিলবে এই গরম থেকে। তাই তো অনেকেই গরমের হাত থেকে পরিত্রাণের জন্য খুঁজছেন নানান উপায়। তবে জানেন কী? গরমের সময় পানিতে নিম পাতা মিশিয়ে গোসল করলে পেতে পারেন এর নানান উপকারিতা। চলুন জেনে নেয়া যাক গরমে নিম [...]

The post জেনে নিন গরমে গোসলের পানিতে নিম পাতা মেশানোর উপকারিতা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
অসহনীয় গরমের দাপটে সবারই যেন হাঁসফাঁস অবস্থা। মাথায় একটাই চিন্তা কীভাবে কি করলে স্বস্তি মিলবে এই গরম থেকে। তাই তো অনেকেই গরমের হাত থেকে পরিত্রাণের জন্য খুঁজছেন নানান উপায়। তবে জানেন কী? গরমের সময় পানিতে নিম পাতা মিশিয়ে গোসল করলে পেতে পারেন এর নানান উপকারিতা।

চলুন জেনে নেয়া যাক গরমে নিম পানিতে গোসল করলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যাবেঃ-
শরীর থেকে ঘামের গন্ধ দূর: গরমের দিনে যখন তখন শরীর ঘেমে যেতে পারে। আর এর ফলে শরীর থেকে ঘামের কটু দুর্গন্ধ ছড়ায়। একই সাথে চপচপে ঘামে ভেজা শরীর থেকে দুর্গন্ধ দূর করা মুশকিল হয়ে ওঠে। তাই বাইরে কোথাও যাওয়ার আগে নিম পানিতে গোসল করলে ঘামের কটু গন্ধ থেকে মু্ক্তি পেতে পারেন।

দাগ ছোপ দূর করে: ত্বকের সমস্যা দূর করতে নিম পাতা বেশ কার্যকরী। ত্বকের কালো দাগ, মেচতা, রুক্ষ ত্বকসহ ত্বকের মধ্যে থাকা নানা ধরণের দাগ দূর করতে গরমের সময়ে গোসলের পানিতে নিম পাতা মেশাতে পারেন। আবার যাদের ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা আছে তারা নিয়মিত নিম পাতা দিয়ে গোসল করে এর কার্যকরিতা পেতে পারেন সহজেই।

অ্যালার্জির সমস্যা থেকে মুক্তি: নিম পাতা মেশানো পানি দিয়ে গোসল করে শরীর থেকে চুলকানি দূর করতে পারেন। এছাড়া নিমে থাকা অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান যেকোনো সংক্রামক ব্যাধি, ত্বকের সমস্যায় সমাধান হিসেবে দারুণ কাজ করে। তাই উপকার পেতে গরমের দিনে গোসলের পানিতে নিম পাতা মিশিয়ে গোসল করতে পারেন।

খুশকির সমস্যায় সমাধান: খুশকির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিম পাতা খুবই উপকারী। তাই নিম পাতা মেশানো পানি দিয়ে গোসল করে চুলের গোড়ায় জমে থাকা ধুলো ময়লা ও খুশকির সমস্যা দূর করতে পারেন। এক্ষেত্রে কাঁচা নিম পাতা হাতে চিপেও তার রস মাথায় লাগাতে পারেন।

যেভাবে নিমপাতা ও পানি মেশাবেনঃ-
★ পরিষ্কার ও তরতাজা নিম পাতা পানি দিয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে নিতে হবে
★ তারপর পরিষ্কার পানিতে নিম পাতা দিয়ে হালকা আঁচে তা ফুটাতে হবে
★ এক্ষেত্রে ৩ থেকে ৪ মিনিট অপেক্ষা করুন
★ তারপর ফোটানোর সময় পানির রঙ একটু হলদেটে হলে ও নিমের গন্ধ বের হলে তা থেকে পাতা ছেঁকে নিয়ে ঠান্ডা করে উক্ত পানি বালতির পানিতে মেশাতে হবে
★ আবার গোসলের পানিতে নিম পাতা সামান্য বেটে তার রস মিশিয়ে কিংবা গোটা নিম পাতাও দিতে পারেন।

The post জেনে নিন গরমে গোসলের পানিতে নিম পাতা মেশানোর উপকারিতা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
গরমে লাউ খাওয়ার উপকারিতা https://www.ulipur.com/?p=31947 Sat, 27 Apr 2024 06:49:05 +0000 https://www.ulipur.com/?p=31947 ।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।। শাকসবজির মধ্যে মানুষের কাছে লাউ বেশ জনপ্রিয়। সুস্বাদু ও পুষ্টিকর এই সবজিটি তীব্র গরমের হাত থেকে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে খুবই উপকারী। ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন ই, আয়রন, ফোলেট, পটাশিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো খনিজ ও পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সমৃদ্ধ এই সবজিটি শরীর এবং স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই [...]

The post গরমে লাউ খাওয়ার উপকারিতা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
শাকসবজির মধ্যে মানুষের কাছে লাউ বেশ জনপ্রিয়। সুস্বাদু ও পুষ্টিকর এই সবজিটি তীব্র গরমের হাত থেকে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে খুবই উপকারী। ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন ই, আয়রন, ফোলেট, পটাশিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো খনিজ ও পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সমৃদ্ধ এই সবজিটি শরীর এবং স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই খাদ্যতালিকায় বিশেষ করে গরমের দিনে নিয়মিত লাউ খেলে মিলবে নানান উপকারিতা।

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক দীক্ষা ভবসর বলেন, লাউয়ের একাধিক উপকারিতা আছে। তাই এটিকে সুপার ভেজিটেবল বলা হয়। ব্লাড প্রেশার, কোলেস্টেরল, মাইগ্রেন, অ্যাসিডিটি, পেটে ব্যথার মতো একাধিক সমস্যার সমাধান করে এই সবজি।

আসুন জানি লাউয়ের বিভিন্ন উপকারিতার দিকগুলোঃ-
শরীর ঠান্ডা রাখে: গরমের তীব্রতা থেকে শরীরকে অনেকটা ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে লাউ। উপকারী এই সবজি থেকে ৯২ শতাংশের মতো জলীয় অংশ পাওয়া যায়। তাই শরীরকে ঠান্ডা ও বিভিন্ন ধরণের জটিলতা এড়াতে গরমে লাউ খাওয়ার অভ্যাস গড়ুন।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমাধান: কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়ার পেছনে অন্যতম একটি কারণ গরমের দিনে শরীর থেকে ঘামের সাথে প্রচুর পরিমাণে পানি বেরিয়ে যায়। তবে লাউ খেয়ে শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করা যায়। পাশাপাশি লাউয়ে ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূরীকরণ করা সম্ভব।

পেটের সমস্যা দূর করে: গরমের দাপটে অনেকেরই মাঝে গ্যাস ও অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা বাড়তে দেখা যায়। কিন্তু ফাইবারে সমৃদ্ধ লাউ খেলে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যা কমতে দেখা যাবে অনেকাংশে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে লাউ বেশ কার্যকরী একটি সবজি। কেননা, লাউয়ে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকে। যার ফলে সুগার বাড়ার কোনও সম্ভাবনা থাকে না। তাই শরীরের সুস্থতার জন্য গরমের দিনে লাউ খেতে পারেন ডায়াবেটিস রোগীরা।

এছাড়া নিয়মিত লাউ খেলে প্রস্রাবে সংক্রমণ এবং সেই সঙ্গে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া বা হলদে হওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। লাউয়ের পাশাপাশি লাউশাকেও রয়েছে নানা উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ। এই শাকে ফলিক অ্যাসিড ভরপুর থাকে। অনেক সময় ফলিক অ্যাসিডের অভাবে গর্ভস্থ শিশুর স্পাইনাল কর্ডের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়; এতে প্যারালাইসিস, মস্তিষ্ক বিকৃতি অথবা মৃত শিশুর জন্ম হতে পারে। তাই লাউয়ের পাশাপাশি নিয়মিত লাউশাকও খেতে পারেন।

The post গরমে লাউ খাওয়ার উপকারিতা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
পুষ্টিগুণে ভরা লেটুস পাতা https://www.ulipur.com/?p=31909 Tue, 23 Apr 2024 11:23:43 +0000 https://www.ulipur.com/?p=31909 ।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।। আঁশযুক্ত উদ্ভিদগুলোর মধ্যে বেশ জনপ্রিয় একটি উদ্ভিদ হলো লেটুস পাতা। শুধু আঁশযুক্ত শাক-সবজি বললে ভুল হবে কেননা, এই উদ্ভিদটির রয়েছে নানান উপকারিতাও। সুস্বাদু ও পুষ্টিতে ভরপুর লেটুস পাতায় ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন কে, ফাইবার, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন এ, ফলেট ও পটাসিয়ামে ঠাসা থাকে। ধমনীর অনমনীয়তা কমানোর পাশাপাশি কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি কমাতে [...]

The post পুষ্টিগুণে ভরা লেটুস পাতা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
আঁশযুক্ত উদ্ভিদগুলোর মধ্যে বেশ জনপ্রিয় একটি উদ্ভিদ হলো লেটুস পাতা। শুধু আঁশযুক্ত শাক-সবজি বললে ভুল হবে কেননা, এই উদ্ভিদটির রয়েছে নানান উপকারিতাও। সুস্বাদু ও পুষ্টিতে ভরপুর লেটুস পাতায় ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন কে, ফাইবার, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন এ, ফলেট ও পটাসিয়ামে ঠাসা থাকে। ধমনীর অনমনীয়তা কমানোর পাশাপাশি কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি কমাতে খুবই উপকারী এটি। তাছাড়া হৃদরোগের সম্ভাবনা কমাতেও নিয়মিত ডায়েটে রাখতে পারেন লেটুস বা লেটুস পাতা।

লেটুস পাতার ব্যাপারে শার্শা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা পুষ্টিবিদ রেবেকা সুলতানা শিল্পী দেশীয় এক গণমাধ্যমে বলেন, সাধারণত সালাদ, বার্গারের ভেতরে বা স্যান্ডউইচে লেটুস পাতা খাওয়া হয়। এ ছাড়া লেটুস কাঁচা ও রান্না উভয়ভাবেই খাওয়া যায়। এতে নানা রকম ভিটামিন রয়েছে। এ পাতায় ক্যালরির পরিমাণ রয়েছে অনেক কম।

আসুন জেনে নেয়া যাক লেটুস পাতার সব অজানা গুণাগুণঃ-
★ লেটুস পাতায় থাকা সোডিয়াম ভিটামিন-বি ওয়ান, বি টু থ্রি শরীরের যেকোনো অঙ্গে জমে থাকা পানি রোধ করতে সহায়তা করে
★ শরীর থেকে ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ যেমন- হাঁচি, কাশি, কফ, হাঁপানি ও ফুসফুসের ইনফেকশন দূরে রাখতে নিয়মিত লেটুস পাতা খাওয়া ভালো
★ ত্বকের বলিরেখা না পড়ার জন্য প্রতিদিন সেটুস পাতা খেতে পারেন
★ লেটুস পাতায় তৈরি করা সালাদ রক্ত পরিষ্কার ও হৃৎপিণ্ডের শিরা-উপশিরার দেয়ালে চর্বি জমাট বাঁধতে বাধা প্রদান করতে সাহায্য করে
★ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে লেটুস পাতার গুরুত্ব অনেক। পাশাপাশি ওজন কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে এ পাতা
★ শরীরের কেটে যাওয়া অঙ্গে লেটুস পাতা থেঁতলে দিলে ব্যথা কমে যায় অনেকাংশে
★ রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে লেটুস পাতা। তাই রক্তশূন্য রোগীরা লেটুস পাতা খাবার হিসেবে রোজ খেতে পারেন
★ লেটুস পাতা দ্রুত হাড় ক্ষয় হওয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে এবং হাত-পা ফুলে যাওয়া, কিডনির পাথর, কিডনির কার্যহীনতা, মূত্রথলির ইনফেকশন ও কিডনির ব্যথায় বেশ উপকারী
★ লেটুস পাতায় রয়েছে ল্যাকট্যাক্যারিয়াম নামক একটি উপাদান যা সঠিক সময়ের মধ্যে ঘুমাতে সাহায্য করে। তাই দৈনিক খাদ্যতালিকায় এ পাতা রাখা শ্রেয়।

The post পুষ্টিগুণে ভরা লেটুস পাতা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
জেনে নিন পর্যাপ্ত হাওয়া পেতে সিলিং ফ্যান লাগানোর সঠিক উপায় https://www.ulipur.com/?p=31555 Tue, 23 Apr 2024 05:50:20 +0000 https://www.ulipur.com/?p=31555 ।। টেক ডেস্ক ।। আজকাল প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই সিলিং ফ্যানের উপস্থিতি বাঁধাধরা। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলোনায় গরমকালেই সিলিং ফ্যানের ব্যবহার অধিক হারে বেড়ে যায় প্রত্যেক ঘরে ঘরে। তবে অনেক সময় দামি ফ্যান লাগানোর পরেও পর্যাপ্ত হাওয়া পাওয়া যাচ্ছে না বলে অনেকেরই অভিযোগের শেষ থাকছে না। সাধারণত সিলিং ফ্যান থেকে বেশি পরিমাণে হওয়া পেতে নির্ভর করতে [...]

The post জেনে নিন পর্যাপ্ত হাওয়া পেতে সিলিং ফ্যান লাগানোর সঠিক উপায় appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। টেক ডেস্ক ।।
আজকাল প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই সিলিং ফ্যানের উপস্থিতি বাঁধাধরা। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলোনায় গরমকালেই সিলিং ফ্যানের ব্যবহার অধিক হারে বেড়ে যায় প্রত্যেক ঘরে ঘরে। তবে অনেক সময় দামি ফ্যান লাগানোর পরেও পর্যাপ্ত হাওয়া পাওয়া যাচ্ছে না বলে অনেকেরই অভিযোগের শেষ থাকছে না।

সাধারণত সিলিং ফ্যান থেকে বেশি পরিমাণে হওয়া পেতে নির্ভর করতে হয় ঘরের আকার, ফ্যানের আকার, ধরন এবং মোটরসহ সিলিং ফ্যানটি কত উচ্চতায় লাগানো হয়েছে, তার উপর। সহজ ভাবে বলতে গেলে, পর্যাপ্ত হাওয়া পেতে নির্ধারিত উচ্চতায় ফ্যান লাগানো আবশ্যক।

জেনে নিন ঘর ঠান্ডা রাখতে সিলিং ফ্যান কতটা উঁচুতে লাগানো উচিতঃ-
আমেরিকান লাইটিং সোসাইটির বক্তব্য অনুযায়ী, ভালো বায়ু চলাচলের জন্য ঘরের মেঝে থেকে ৮ থেকে ৯ ফুট উচ্চতায় ফ্যান ঝোলানো উচিত। এই উচ্চতায় ফ্যান লাগালে তা শুধু পুরো ঘরেই সর্বোচ্চ বাতাস দেবে না, সেই সঙ্গে এটা সম্পূর্ণরূপে নিরাপদও বটে। আবার সিলিং ফ্যান সব সময় সিলিং থেকে কমপক্ষে ৮ ইঞ্চি নিচে থাকা উচিত। আসলে সিলিংয়ের খুব কাছাকাছি ফ্যান থাকলে কম বাতাস মেলে। সেই সঙ্গে তা গরম বাতাস নিক্ষেপ করে। আবার মেঝে থেকে কমপক্ষে ৮ ফুট উচ্চতায় লাগানো পাখা থেকে হাত বা মাথায় আঘাত পাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই।

উল্লেখ্য, সিলিং ফ্যান লাগানোর ক্ষেত্রে সব সময় ঘরের মাঝখানেই লাগানো উচিত। এর ফলে সারা ঘরে সমান ভাবে বাতাস ছড়িয়ে পড়তে পারবে। এছাড়া ফ্যানের পাখা কখনোই দেওয়ালের কাছাকাছি লাগানো উচিত নয়। ফ্যান লাগানোর ক্ষেত্রে সব সময় শক্তপোক্ত হুক দেখে লাগাতে হবে এবং ফ্যানের ব্লেড দ্বারা গঠিত বৃত্তের অন্তত ৬ ইঞ্চি বাইরে বা ফ্যানের আশপাশে কোনো কিছু থাকাই ভালো।

The post জেনে নিন পর্যাপ্ত হাওয়া পেতে সিলিং ফ্যান লাগানোর সঠিক উপায় appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
জেনে নিন পানিশূন্যতার লক্ষণ ও করণীয় https://www.ulipur.com/?p=31895 Mon, 22 Apr 2024 06:29:39 +0000 https://www.ulipur.com/?p=31895 ।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।। চলমান গ্রীষ্মের খরতাপে জনজীবনে দেখা দিচ্ছে হাসফাঁস অবস্থা। আর গরমের তীব্রতা বৃদ্ধিতে ও তীব্র রোদের দাপটে শরীরের সব পানি শুকিয়ে পানিশূন্যতার আশঙ্কা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি প্রচণ্ড গরমে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বের হয়ে যায় সোডিয়াম ও পটাশিয়াম জাতীয় প্রয়োজনীয় লবণ। তাই এই অসহণীয় গরমে শরীরে পানিশূন্যতা হচ্ছে কি না, সে [...]

The post জেনে নিন পানিশূন্যতার লক্ষণ ও করণীয় appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
চলমান গ্রীষ্মের খরতাপে জনজীবনে দেখা দিচ্ছে হাসফাঁস অবস্থা। আর গরমের তীব্রতা বৃদ্ধিতে ও তীব্র রোদের দাপটে শরীরের সব পানি শুকিয়ে পানিশূন্যতার আশঙ্কা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি প্রচণ্ড গরমে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বের হয়ে যায় সোডিয়াম ও পটাশিয়াম জাতীয় প্রয়োজনীয় লবণ। তাই এই অসহণীয় গরমে শরীরে পানিশূন্যতা হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, সাধারণত ঘামের সঙ্গে পানি বেরিয়ে গিয়ে অথবা প্রচণ্ড গরমে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হয়। এর ফলে ডায়রিয়া ও বমি হতে শুরু করে।

জেনে নিন পানিশূন্যতার লক্ষণঃ-
★ অত্যধিক হারে গলা শুকিয়ে যাওয়া
★ ক্লান্তি বোধ হয় ও শরীরকে অচৈতন্যঅভিভূত মনে হয়
★ মাথা ব্যথা করা ও খিদে থাকে না বললেই চলে
★ প্রস্রাব করার সময় লালচে দেখা যায়
★ শুষ্ক-রুক্ষ ত্বক হওয়া
★ ক্রাম্প করতে দেখা যায় মাংসপেশিতে
★ শরীর মাত্রাতিরিক্ত ঘামতে দেখা যায়

বেশকিছু গুরুত্বর লক্ষণঃ-
★ মাথা ঘোরা
★ হৃৎস্পন্দন দ্রুত হওয়া
★ অজ্ঞান হয়ে পড়া
★ শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়ে যায়
★ প্রচণ্ড ঘুম পায়
★ ঘন ঘন বমি হয়

পানিশূন্যতা থেকে পরিত্রাণের উপায়ঃ-
➤ বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে। সর্বনিম্ন দুই থেকে আড়াই লিটার পানি দৈনিক খেতে হবে
➤ অ্যালকোহলের পাশাপাশি চা-কফি ও সোডা পান থেকে বিরত থাকতে হবে
➤ পানিশূন্যতা রোধে নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি পান করা শ্রেয়। এর ফলে বদহজমেরও সমস্যা দূর হয়
➤ বাইরে কোথাও গেলে সব সময় ব্যাগে পানির বোতল রাখুন এবং সময় হলে পর্যাপ্ত পানি পান করে তৃষ্ণা দূর করুন
➤ পানিজাতীয় বিভিন্ন ধরণের সবজি ও ফল যেমন- শসা, তরমুজ, টমেটো নিয়মিত খাদ্যতালিকায় যুক্ত করে খাওয়া ভালো
➤ পানিশূন্যতা ও লবণের ঘাটতি পূরণে সপ্তাহে কমপক্ষে ৩-৪টি ওরস্যালাইন সঠিক নিয়মে গুলিয়ে খেতে হবে
➤ পানিশূন্যতা রোধে বেশি করে লেবুর শরবত ও ফলের রস খেতে হবে

The post জেনে নিন পানিশূন্যতার লক্ষণ ও করণীয় appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
খালি পায়ে সবুজ ঘাসের ওপর হাঁটার উপকারিতা https://www.ulipur.com/?p=31875 Sun, 21 Apr 2024 14:54:11 +0000 https://www.ulipur.com/?p=31875 ।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।। মানুষের শরীর ও মনকে ফুরফুরে রাখতে সবুজ প্রকৃতির ভূমিকা অনেক। দৈনন্দিন সকালে সবুজ ঘাসে হাঁটার মধ্যে এক অদ্ভুত রোমান্টিসিজম পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, সবুজ ঘাসের বুকে হাঁটার অনেক উপকারিতাও রয়েছে। গবেষণায় জানা গেছে, সুস্থ থাকার সঙ্গে সরাসরি সংযোগ রয়েছে এই প্রক্রিয়ার। সিমেন্টের ওপর হাঁটার বদলে মাটি ও ঘাসের উপর হাঁটা [...]

The post খালি পায়ে সবুজ ঘাসের ওপর হাঁটার উপকারিতা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
মানুষের শরীর ও মনকে ফুরফুরে রাখতে সবুজ প্রকৃতির ভূমিকা অনেক। দৈনন্দিন সকালে সবুজ ঘাসে হাঁটার মধ্যে এক অদ্ভুত রোমান্টিসিজম পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, সবুজ ঘাসের বুকে হাঁটার অনেক উপকারিতাও রয়েছে। গবেষণায় জানা গেছে, সুস্থ থাকার সঙ্গে সরাসরি সংযোগ রয়েছে এই প্রক্রিয়ার। সিমেন্টের ওপর হাঁটার বদলে মাটি ও ঘাসের উপর হাঁটা আমাদের মনকে প্রশান্ত করতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক সবুজ ঘাসের ওপর হাঁটার উপকারিতাঃ-

শারীরিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা: সবুজ ঘাসের ওপর খালি পায়ে হাঁটলে পায়ের পাতার স্নায়ুকোষগুলো মস্তিষ্কে সংকেত পাঠায় এবং শরীরের গতিবিধির সামঞ্জস্য ও ভারসাম্য বজায় রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। এর ফলে উৎপন্ন সংবেদনশীল স্নায়ু উদ্দীপনা মানসিক সুস্থতা এবং নিজেকে ভালো অনুভব করতে সাহায্য করে।

ব্যথা কমায়: খালি পায়ে সবুজ ঘাসের উপর হাঁটলে পৃথিবী পৃষ্ঠের মাটির নেগেটিভ চার্জ শরীরের পজেটিভ চার্জ নিষ্ক্রিয় করতে সাহায্য করে। তাই প্রদাহ বা ব্যথাজনিত দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা সমাধানে রোজ সকালে খালি পায়ে সবুজ ঘাসের ওপর হাঁটা জরুরী।

হতাশা বোধ দূর: খালি পায়ে ঘাসের ওপর হাঁটার প্রশান্তি অনেক। পাশাপাশি মানসিক চাপ কমাতেও এই প্রক্রিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। শরীরকে শিথিলতা ও সুস্থতার বোধ ফিরিয়ে আনে এবং কর্টিসল ও অ্যাড্রেনালিন হরমোনের মাত্রা কমিয়ে হতাশা, মানসিক চাপসহ উদ্বেগ কমাতে নিয়মিত খালি পায়ে সবুজ ঘাসের ওপর হাঁটা প্রয়োজন।

ভালো ঘুম: ভালো মানের ঘুম পেতে রোজ সকালে খালি পায়ে ঘাসের ওপর হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতেও এর উপকারিতা অনেক পাওয়া যায়। ফলে ঘুমের সমস্যা থাকলে ঘাসের বুকে নিয়মিত হাঁটা অভ্যাস গড়ুন।

রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: খালি পারে ঘাসের ওপর হাঁটলে পায়ের স্নায়ুর উদ্দীপনা শরীরের রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা বাড়ায়, যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বেশ কার্যকরী। এছাড়া পুরো শরীরে রক্তপ্রবাহের বৃদ্ধি মানে আরও বেশি অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে। তাই ঘাসের ওপর হাঁটার নিয়ম গড়ে তুলুন।

শক্তি জোগায়: ঘাসের ওপর খালি পায়ে হাঁটার সময় মাটির মধ্যে থাকা এমন এক ধরণের ইলেকট্রিকাল পাওয়ার পাওয়া যায়, যা শরীরে শক্তি জোগাতে সহায়তা করে। একই সাথে খালি পায়ে হাঁটলে ভূমি থেকে নেগেটিভ আয়ন শরীরে সঞ্চালিত হয়। পায়ের সঙ্গে সরাসরি মাটির যোগাযোগ হলে ইলেকট্রনের প্রবাহ হয়। ফলে শরীরের পেশি এবং স্নায়ুকোষ সচল থাকে।

The post খালি পায়ে সবুজ ঘাসের ওপর হাঁটার উপকারিতা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
গরমে শরীর ঘেমে যাওয়া কি খারাপ? https://www.ulipur.com/?p=31810 Thu, 18 Apr 2024 07:33:36 +0000 https://www.ulipur.com/?p=31810 ।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।। চলছে গ্রীষ্মকাল লাগছে গরম। অনেকের চলাফেরায় হয়ে উঠেছে কষ্টসাধ্য। তীব্র গরমে শরীর থেকে ঘাম ঝরে কটু গন্ধ বিরক্তির উদ্রেক করছে। তবে গরমে ঘাম হওয়া কি খারাপ? এ নিয়ে অনেকেরই রয়েছে নানান জল্পনাকল্পনা। মূলত ঘামের কটু গন্ধ বিরক্তির উদ্রেক করলেও ঘাম হওয়াটা শরীরের জন্য খারাপ নয়। কারণ গরম আবহাওয়ায় বেঁচে থাকার জন্য [...]

The post গরমে শরীর ঘেমে যাওয়া কি খারাপ? appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
চলছে গ্রীষ্মকাল লাগছে গরম। অনেকের চলাফেরায় হয়ে উঠেছে কষ্টসাধ্য। তীব্র গরমে শরীর থেকে ঘাম ঝরে কটু গন্ধ বিরক্তির উদ্রেক করছে। তবে গরমে ঘাম হওয়া কি খারাপ? এ নিয়ে অনেকেরই রয়েছে নানান জল্পনাকল্পনা। মূলত ঘামের কটু গন্ধ বিরক্তির উদ্রেক করলেও ঘাম হওয়াটা শরীরের জন্য খারাপ নয়। কারণ গরম আবহাওয়ায় বেঁচে থাকার জন্য এটি দেহের জন্য একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া।

তবে অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়ার মধ্য দিয়ে দেহ থেকে প্রচুর পানি ও প্রয়োজনীয় লবণ বেরিয়ে গিয়ে দেখা দিতে পারে পানিশূন্যতা ও লবণের ঘাটতি। একই সাথে মাথা ঘোরে, শরীর দুর্বল লাগে, ঝিমঝিম করা অনুভূত হয়। সেজন্য গরমকালে শরীর থেকে ঘাম ঝরার বিষয়ে ব্যাপক সতর্ক থাকা জরুরী।

এ ব্যাপারে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ মতলেবুর রহমান বলেন, যখন আপনি বেশ ঘামছেন, তখন ছায়াশীতল পরিবেশে অবস্থান করতে চেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল হচ্ছে এমন জায়গায় থাকতে পারলে ভালো। সেটি সম্ভব না হলে সব সময় সঙ্গে রাখতে পারেন ছোট্ট একটি ফ্যান, যা ব্যাটারিতে চলে। ঘাম হলে কিন্তু ঘাম মুছেও ফেলতে হবে। তা না হলে তাতে জন্ম নেবে জীবাণু। জীবাণুর কারণে ঘামে কটু গন্ধ হয়। আর এসব জীবাণু দিয়ে ত্বকে সংক্রমণ হওয়ারও ঝুঁকি থেকে যায়।

চলুন জেনে নেয়া যাক ঘাম যাওয়ায় শরীরের ঘাটতিতে করণীয়ঃ-
★ পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে
★ মাত্রাতিরিক্ত ঘাম ঝরলে ঘাটতি মেটাতে ওরস্যালাইন কিংবা ডাবের পানি খাওয়া জরুরী
★ ঘামে লবণ মিশ্রিত পানি কিংবা পানীয় খাওয়াও যেতে পারে
★ অতিরিক্ত গ্লুকোজ কিংবা চিনি মেশানো পানি গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে

তবে উচ্চ রক্তচাপ, দীর্ঘমেয়াদি কিডনির রোগ কিংবা হৃৎপিণ্ডের বৈকল্য রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বাড়তি লবণ বা পানি পানে বিধিনিষেধ থাকতে পারে। তাই তাদেরকে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করে ঘাম ঝরা শরীরের ঘাটতি মেটাতে হবে। এছাড়া গরমে কেউ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘামলে তারা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে পরামর্শ নিতে পারেন।

The post গরমে শরীর ঘেমে যাওয়া কি খারাপ? appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
জেনে নিন চোখের ইউভাইটিস রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা https://www.ulipur.com/?p=31763 Tue, 16 Apr 2024 06:43:13 +0000 https://www.ulipur.com/?p=31763 ।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।। চোখের পুষ্টি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা রক্তনালিপূর্ণ চোখের মধ্য স্তরকে ইউভিয়া বা ভাসকুলার কোট বলে। আর ইউভিয়া ও এর চারপাশের টিস্যুগুলোর প্রদাহ হলে তাকে বলা হয় ‘ইউভাইটিস’। চোখে আঘাত, জীবাণুর সংক্রমণ, কানেকটিভ টিস্যু বা যোজককলার রোগ ইত্যাদি কারণে এ রোগ হতে পারে। মূলত এ রোগে রোগীর একটি বা উভয় চোখই আক্রান্ত [...]

The post জেনে নিন চোখের ইউভাইটিস রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
চোখের পুষ্টি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা রক্তনালিপূর্ণ চোখের মধ্য স্তরকে ইউভিয়া বা ভাসকুলার কোট বলে। আর ইউভিয়া ও এর চারপাশের টিস্যুগুলোর প্রদাহ হলে তাকে বলা হয় ‘ইউভাইটিস’। চোখে আঘাত, জীবাণুর সংক্রমণ, কানেকটিভ টিস্যু বা যোজককলার রোগ ইত্যাদি কারণে এ রোগ হতে পারে। মূলত এ রোগে রোগীর একটি বা উভয় চোখই আক্রান্ত হতে পারে। যথা সময়ে এ রোগের চিকিৎসা না করালে রোগী কেবল চোখে কম বা ঝাপসা দেখবেই না বরং অন্ধ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।

ইউভাইটিস বিষয়ে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. শরমীন সোহেলী বলেন, ইউভাইটিস হওয়ার সঠিক কারণ এখন পর্যন্ত অজানা রয়েছে। তবে অটোইমিউন রোগের কারণেও এ সমস্যা দেখা যায়। তাছাড়া যখন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা রোগীর চোখসহ বিভিন্ন টিস্যুর ওপর আক্রমণ করে, আলসারেটিভ কোলাইটিস, এইচআইভি সংক্রমণ, হারপিস, লাইম ডিজিজ, সিফিলিস, টিউবারকিউলোসিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, জুভেনাইল আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি রোগের থেকেও ইউভাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বেশকিছু বহিরাগত দিক যেমন- চোখে তীব্র আঘাত পাওয়া, বিষাক্ত দ্রব্য চোখে ঢুকলে এমনকি ধূমপান করার ফলে এ রোগ হতে পারে।

লক্ষণ
★ চোখ দিয়ে সঠিক দেখতে না পাওয়া বা কম দেখা
★ চোখে ঝাপসা দেখতে পাওয়া
★ চোখে কালো বিন্দু ভেসে বেড়াতে দেখা যায়
★ আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা বা ফটোফোবিয়া
★ চোখে ব্যথা অনুভব হয় এবং চোখ লাল হয়ে যাওয়া
★ মাথায় যন্ত্রণা করা
★ তারারন্ধ্র ছোট আকারের হয়ে যাওয়া
★ চোখের তারার রঙ পরিবর্তন হতে দেখা যায়
★ চোখ দিয়ে পানি পড়তে দেখা যায়

চিকিৎসা পদ্ধতি
চোখের এ জটিল রোগের চিকিৎসা গ্রহণে যত দ্রুত সম্ভব চক্ষু চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এছাড়া ইউভাইটিসের প্রদাহ কমাতে কর্টিকোস্টেরয়েড ওষুধসহ তারারন্ধ্র প্রসারণে সহায়তায় মাইড্রিয়াটিক চোখের ড্রপের ব্যবহার এবং সংক্রমণের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার প্রযোজ্য। আলোর প্রতি সংবেদনশীলতার জন্য গাঢ় রঙের চশমা ব্যবহার করতে হবে।

The post জেনে নিন চোখের ইউভাইটিস রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
জেনে নিন শিশুর অটিজম বৈশিষ্ট্য আছে কি না? https://www.ulipur.com/?p=31669 Mon, 15 Apr 2024 07:37:38 +0000 https://www.ulipur.com/?p=31669 ।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।। জটিল স্নায়বিক বিকাশজনিত সমস্যার অন্যতম একটি রোগ হলো অটিজম বা অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার। বর্তমান বিশ্বে শিশুদের মধ্যে এ রোগ বেড়ে যাওয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে বহুগুণে। অটিজম একটা জন্মগত সমস্যা এবং এর লক্ষণসমূহ এক থেকে ৩ বছরের মধ্যে শিশুর মাঝে প্রকাশ পায়। এছাড়া শিশুর বয়স অনুযায়ী বিভিন্ন ধাপ যেমন- ভাষাগত দক্ষতা, বুদ্ধি খাটিয়ে [...]

The post জেনে নিন শিশুর অটিজম বৈশিষ্ট্য আছে কি না? appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
জটিল স্নায়বিক বিকাশজনিত সমস্যার অন্যতম একটি রোগ হলো অটিজম বা অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার। বর্তমান বিশ্বে শিশুদের মধ্যে এ রোগ বেড়ে যাওয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে বহুগুণে। অটিজম একটা জন্মগত সমস্যা এবং এর লক্ষণসমূহ এক থেকে ৩ বছরের মধ্যে শিশুর মাঝে প্রকাশ পায়। এছাড়া শিশুর বয়স অনুযায়ী বিভিন্ন ধাপ যেমন- ভাষাগত দক্ষতা, বুদ্ধি খাটিয়ে সমস্যার সমাধান করা, সামাজিক দক্ষতা ইত্যাদি স্বাভাবিক বিকাশগুলোতে কোনও অস্বাভাবিকতা চোখে পরলে, তবে সে বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন হওয়াটা খুবই জরুরী।

সাধারণত অটিস্টিক শিশুরা চারপাশ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা নিজস্ব একটা জগত তৈরি করে। এ জগতে তাদের মনোজগত ও আচরণ স্বাভাবিক হয় না। মনোবিকাশের প্রতিবন্ধকতার কারণ হিসেবে মস্তিষ্কের অস্বাভাবিক জৈব রাসায়নিক কার্যকলাপ, মস্তিষ্কের অস্বাভাবিক গঠন ও বংশগতির অস্বাভাবিকতা বলে জানিয়েছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।

শিশুর অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সমস্যায় সচেতন ও কোন কোন লক্ষণ শিশুর মধ্যে দেখলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে সে ব্যাপারে ন্যাশনাল কলেজ অব হোম ইকোনমিক্সের শিশু বিকাশ ও সামাজিক সম্পর্ক বিভাগের প্রভাষক ফারিহা রহমান বলেন, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুর একদম প্রথম লক্ষণ হচ্ছে রেসপন্স। শিশু কারওর ডাকে সাড়া দিচ্ছে কি না, সাড়া দিলেও সেটা সঙ্গে সঙ্গে নাকি অনেক দেরিতে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। অটিজম জন্মগত সমস্যা, অর্থাৎ শিশু মায়ের পেট থেকেই অটিজমের বৈশিষ্ট্য সঙ্গে নিয়ে আসে। এরপর বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লক্ষণগুলো আসতে আসতে ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে প্রকাশ পায়।

চলুন জেনে নেয়া যাক অটিজমে ভুগে থাকা শিশুর কয়েকটি নির্দিষ্ট লক্ষণঃ-
⇛ চোখে চোখ রেখে কথা বলতে না পারা
⇛ ৯ মাস বয়সী বা তার আগে শিশুর নাম ধরে ডাকলে সাড়া না দেওয়া বা হাসি-কান্নার অনুভূতি প্রকাশ না করা
⇛ ১২ মাস বয়সের মধ্যে আধো আধো বোল না বলা
⇛ ১৬ মাসের মধ্যে কোনও একটি শব্দ বলতে না পারা
⇛ ২৪ মাস বয়সের মধ্যে দুই বা ততোধিক শব্দ দিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করতে না পারা
⇛ ভাষার ব্যবহার রপ্ত করতে পারার পর আবার ভুলে যাওয়া
⇛ সামাজিক আচরণ করতে অক্ষম
⇛ অন্যের বলা কথা মুখে বার বার বলতে থাকা
⇛ কোনো কিছু স্পর্শ করার ব্যাপারে কম বা বেশি প্রতিক্রিয়া দেখাতে আগ্রহী
⇛ শিশু নিজেই নিজেকে আঘাত করা
⇛ স্বাভাবিক সময়ের মধ্যে হঠাৎ করে উত্তেজিত হওয়া

উল্লেখ্য, ছোট থেকেই শিশুর দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে অভিভাবকদের। তবে উপরোক্ত লক্ষণ বা শিশুর আচরণে অস্বাভাবিক কিছু দেখলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়া স্পিচ থেরাপিস্ট, অকুপেশনাল থেরাপিস্ট, ফিজিওথেরাপিস্ট, পুষ্টিবিদ, চাইল্ড ও ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ইত্যাদির সাহায্য নিয়ে ধাপে ধাপে শিশুকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

The post জেনে নিন শিশুর অটিজম বৈশিষ্ট্য আছে কি না? appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>