উলিপুরের ইতিহাস Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=উলিপুরের-ইতিহাস কুড়িগ্রাম জেলার তথ্য ও সংবাদ Fri, 25 Aug 2023 16:38:51 +0000 en-US hourly 1 https://www.ulipur.com/wp-content/uploads/2022/10/1665889308.png উলিপুরের ইতিহাস Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=উলিপুরের-ইতিহাস 32 32 উলিপুরে মহারাণী স্বর্ণময়ী বইয়ের মোড়ক উন্মোচন https://www.ulipur.com/?p=26335 Fri, 25 Aug 2023 16:38:49 +0000 https://www.ulipur.com/?p=26335 ।। নিউজ ডেস্ক ।। উলিপুরে ইতিহাস বিষয়ে গবেষক আবু হেনা মুস্তফা’র পঞ্চম গবেষণাগ্রন্থ ‘মহারাণী স্বর্ণময়ী’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। মহারাণী স্বর্ণময়ী’র ১২৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণ কমিটি’র আয়োজনে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকালে উলিপুর বণিক সমিতির হলরুমে ‘মহারাণী স্বর্ণময়ী’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও উলিপুরের স্থানীয় ইতিহাস অনুসন্ধানে আমাদের দায়িত্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন [...]

The post উলিপুরে মহারাণী স্বর্ণময়ী বইয়ের মোড়ক উন্মোচন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে ইতিহাস বিষয়ে গবেষক আবু হেনা মুস্তফা’র পঞ্চম গবেষণাগ্রন্থ ‘মহারাণী স্বর্ণময়ী’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। মহারাণী স্বর্ণময়ী’র ১২৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণ কমিটি’র আয়োজনে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকালে উলিপুর বণিক সমিতির হলরুমে ‘মহারাণী স্বর্ণময়ী’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও উলিপুরের স্থানীয় ইতিহাস অনুসন্ধানে আমাদের দায়িত্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক এম এ মতিন।

এ সময় মহারাণী স্বর্ণময়ী’র ১২৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণ কমিটি’র আহবায়ক ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব মামুন সরকার মিঠু’র সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোভন রাংসা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালমান হাসান ডেভিড মারজান, বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, বণিক সমিতির সভাপতি সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে গবা, উলিপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ দেবব্রত রায়, উলিপুর মহারাণী স্বর্ণময়ী স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম সরদার, এম এ মতিন কারিগরি ও কৃষি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম, প্রভাষক স ম আল মামুন সবুজ, রথীন্দ্র প্রসাদ পান্ডে, পার্থ সারথি, প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালচনা করেন উদীচীর সভাপতি মিনহাজ আহমেদ মুকুল। আলোচনা সভায় ‘মহারাণী স্বর্ণময়ী’ বইয়ের মূল আলোচ্য বিষয় তুলে ধরেন লেখক আবু হেনা মুস্তফা।

উল্লেখ্য, বাংলার নবজাগরণের অন্যতম পথিকৃত মহারাণী স্বর্ণময়ী ১৮৯৭ সালের ২৫ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। উলিপুরের নগরায়ণ, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাবিস্তার, সুশাসনসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। এই প্রথম বাংলা ভাষায় রচিত মহারাণী স্বর্ণময়ী’র পূর্ণাঙ্গ জীবনীগ্রন্থ।

//নিউজ/উলিপুর//জাহিদ/আগস্ট/২৫/২৩

The post উলিপুরে মহারাণী স্বর্ণময়ী বইয়ের মোড়ক উন্মোচন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
‘উলিপুরের আঞ্চলিক শব্দের অভিধান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন https://www.ulipur.com/?p=21368 Sat, 17 Dec 2022 09:44:42 +0000 https://www.ulipur.com/?p=21368 ।। নিউজ ডেস্ক ।।উলিপুরের আঞ্চলিক শব্দের অভিধান গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে বণিক সমিতি মিলায়তনে লেখক ও ইতিহাস গবেষক আবু হেনা মুস্তফার ‘উলিপুরের আঞ্চলিক শব্দের অভিধান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক এমএ মতিন। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা হরি গোপাল সরকারের সভাপতিত্বে [...]

The post ‘উলিপুরের আঞ্চলিক শব্দের অভিধান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরের আঞ্চলিক শব্দের অভিধান গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে বণিক সমিতি মিলায়তনে লেখক ও ইতিহাস গবেষক আবু হেনা মুস্তফার ‘উলিপুরের আঞ্চলিক শব্দের অভিধান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক এমএ মতিন।

এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা হরি গোপাল সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উলিপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মামুন সরকার মিঠু, উলিপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ দেবব্রত রায়, এম এ মতিন কারিগরি ও কৃষি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম, বণিক সমিতির সভাপতি সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে গবা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন কুমার সরকার ভকত, উলিপুর সুজন’র সাধারন সম্পাদক নুরে আলম, সহকারী অধ্যাপক আবুল হোসেন, রথীন্দ্র প্রসাদ পান্ডে প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালচনা করেন উদীচীর জাতীয় পরিষদ সদস্য মিনহাজ আহমেদ মুকুল।

উল্লেখ্য, লেখক ও ইতিহাস গবেষক আবু হেনা মুস্তফার ‘উলিপুরের ইতিহাস, উলিপুরের নদী ও জলপ্রবাহ, উলিপুরে গণহত্যা শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা’ গ্রন্থ তিনটি স্থানীয় ইতিহাস চর্চায় ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। সেই অনুযায়ী ৪র্থ গ্রন্থ হিসাবে ‘উলিপুরের আঞ্চলিক শব্দের অভিধান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

//নিউজ/উলিপুর//জাহিদ/ডিসেম্বর/১৭/২২

The post ‘উলিপুরের আঞ্চলিক শব্দের অভিধান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
ধ্বংসের পথে উলিপুরের ঐতিহ্যবাহী মুন্সিবাড়ি https://www.ulipur.com/?p=18703 Fri, 26 Aug 2022 11:11:48 +0000 https://www.ulipur.com/?p=18703 ।। নিউজ ডেস্ক ।। উলিপুর উপজেলা থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার উত্তর দিকে ধরণীবাড়ী ইউনিয়নে ৩৯ একর জমির উপর কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে মুন্সিবাড়িটি। আঠারো শতকে বিনোদী লালের পালক ছেলে শ্রী ব্রজেন্দ্র লাল মুন্সির তত্ত্বাবধানে চমৎকার স্থাপত্যের এই মুন্সিবাড়ী নির্মিত হয়। ইতিহাস থেকে জানা যায়, কাশিম বাজার এস্টেটের সপ্তম জমিদার কৃষ্ণনাথ নন্দী একটি খুনের মামলায় [...]

The post ধ্বংসের পথে উলিপুরের ঐতিহ্যবাহী মুন্সিবাড়ি appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুর উপজেলা থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার উত্তর দিকে ধরণীবাড়ী ইউনিয়নে ৩৯ একর জমির উপর কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে মুন্সিবাড়িটি। আঠারো শতকে বিনোদী লালের পালক ছেলে শ্রী ব্রজেন্দ্র লাল মুন্সির তত্ত্বাবধানে চমৎকার স্থাপত্যের এই মুন্সিবাড়ী নির্মিত হয়।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, কাশিম বাজার এস্টেটের সপ্তম জমিদার কৃষ্ণনাথ নন্দী একটি খুনের মামলায় আদালতের কক্ষে দাঁড়ানো অসম্মানজনক বিবেচনা করে ৩১ অক্টোবর ১৮৪৪ খ্রিষ্টাব্দে তার বাসভবনে আত্মহত্যা করেছিলেন। জমিদার কৃষ্ণনাথ নন্দীর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী মহারাণী স্বর্ণময়ী কাশিম বাজার এস্টেটের জমিদার হন। স্বর্ণময়ী একজন শিক্ষিত এবং জমিদারপন্থী ছিলেন। মহারাণী স্বর্ণময়ী দেবীর অধীনে হিসাব রক্ষকের কাজ করতো বিনোদী লাল নামের এক মুনসেফ বা মুন্সি।

কথিত আছে, একদিন বিনোদী লাল মুন্সি হাতির পিঠে চরে শিকার করতে গিয়ে একটি ব্যাঙ সাপ ধরে খাওয়ার দৃশ্য দেখতে পান। আগেকার দিনে মানুষেরা বিশ্বাস করতেন যেস্থানে ব্যাঙ সাপকে ধরে খায় সেই স্থানে বাড়ী করলে অনেক ধন সম্পত্তির মালিক হওয়া যায়। তাই বিনোদী লাল মহারাণী স্বর্ণময়ী কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এই স্থানে একটি বাড়ী নির্মাণ করেন। বাড়ীটি নিয়ে বিভিন্ন গুজব রয়েছে। অনেকে বাড়িটিকে বনোয়ারি মুন্সিবাড়ি বলে থাকেন। এর কারণ হিসেবে বিশ্বাস করা হয় যে বনোয়ারি নামে এক কৃষক এই বাড়িতে থাকতেন।

যাই হোক না কেন, ধরণীবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের অফিসিয়াল ওয়েবে এটি রাজবাড়ী হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। মোঘল আমলের স্থাপনার সাথে বিট্রিশ আদলের সমন্বয়ে বিভিন্ন কারুকার্যের অপরুপ সৌন্দর্য বাড়ী নির্মাণ করা হয়। বাড়ীটি দেখলেই মনে হবে কোন শিল্পীর হাতে আঁকা এক চিলতে ছবি।

সেই আট্রালিকার প্রথম তলায় তিনটি বড় কক্ষ রয়েছে। বাড়িটির একটি কক্ষে রক্ষিত ব্রজেন্দ্র লাল মুন্সির প্রতিকৃতি ছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়স্থল ভেবে বাড়িটিতে আক্রমণ করে। আর পাক হানাদার বাহিনী এ কক্ষে রক্ষিত ছবিটি বেয়নেট দিয়ে নষ্ট করে। যা আজও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চিহ্ন হিসেবে দৃশ্যমান।

ব্রজেন্দ্র লাল মুন্সির স্ত্রী আশালতা মুন্সি দুই কন্যা সন্তান জন্ম দেন। বড় মেয়ে সুচি রাণী (টিটু) আর ছোট মেয়ে সুস্মান কান্তি (বুড়ি) ছিল। সুস্মান কান্তি (বুড়ি) কম বয়সেই মারা যান। টিটু বড় হওয়ার পরে মুন্সি ভাবলেন, আমি ধরণীবাড়ী, বেগমগঞ্জ, মুঘলবাসা, গাইবান্ধা ও মালিবাড়ির বাড়িওয়ালা তবে আমার বাড়ি ভালো না হলে আমি আমার মেয়েকে ভালো ঘরে বিয়ে করাতে পারব না।

এই কথা ভেবে যখন দ্বিতল অট্রালিকা তৈরি হয়েছিল, তিনি কলকাতায় তাঁর মেয়েকে দুর্দান্ত আড়ম্বরের সাথে বিয়ে দিয়েছিলেন। তখন থেকে অনেক বছর কেটে গেছে। ব্রজেন্দ্র লাল মুন্সি ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে মারা যান। তার কোনও ছেলে সন্তান ছিল না।তাঁর স্ত্রী আশালতা মুন্সি বিহরিলাল নামে একজন ছেলে সন্তানকে দত্যক নেন।

পরে আশালতা মুন্সি মারা গেলে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুন্সিলালের বংশধররা কলকাতায় চলে গেলে বিভিন্ন লোভের মহে মামলা মোকদ্দমার কারণে বেশ কয়েকবার বাড়ির মালিকানা বদল হয়। বর্তমানে উলিপুর মুন্সিবাড়ী বাংলাদেশ প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে নিবন্ধিত আছে। আর মূল ভবনের দুইটি কক্ষ বিগত বহু বছর ধরনীবাড়ী ইউনিয়ন ভূমি অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। এখনও মূল ভবনের দরজার উপরে ধরণীবাড়ী ভূমি অফিসের সাইনবোর্ড দেয়া আছে। পরবর্তীতে ভূমি অফিসটি মুুন্সিবাড়ীর উঠানে সদ্য নির্মিত নতুন ভবনে স্থানান্তর করা হয়েছে।

মূল অট্রালিকা ছাড়াও এখানে বেশকটি মন্দির রয়েছে। মন্দিরের পশ্চিমে একটি উন্মুক্ত মঞ্চ, তুলসী পাঠ, মন্দিরের উত্তর-পশ্চিমে স্নান। বাথরুমের ভিতরে একটি কূপ আর অট্রালিকার সামনে একটি বিশাল সূর্য-জলাশয় পুকুর। সংরক্ষণের অভাবে বাড়িটির নাট্য মন্দির, দূর্গা মন্দির, বিষ্ণ মন্দির, গোবিন্দ মন্দির, শিব মন্দির, বিছানা ঘর, ডাইনিং ঘর, রান্না ঘর, অঙ্কন ঘর, উপরের তলার বিশ্রাম ঘর ও বাথ রুম অনেকটা নষ্ট হয়ে গেছে। নির্মিত ভবনের একটি শীলা খন্ডে ১৮৮০ খ্রীষ্টাব্দ উল্লেখ আছে। এ থেকে ধারনা করা হয় মুন্সিবাড়ী ১৮৮০ খ্রীষ্টাব্দেই তৈরী।

সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে, বৃষ্টি হলেই ছাদ চুয়ে চুয়ে কক্ষ ও বারান্দা বৃষ্টির পানি দিয়ে ভরে যায়। পার্শ্ববর্তী বসবাসরত কিছু পরিবার মুল ভবনের বারান্দায় গরু-ছাগল বেধে রাখে। এ ছাড়াও চোখে পড়েছে দূর্গা মন্দিরের বারান্দায় পাট কাঠির বোঝা, জ্বালানিতে ব্যবহারের জন্য লাকরি ও গাছের শুকনো পাতার স্তুপ। সর্বোপরি দেখা গিয়েছে যে যেভাবে পারছে সেভাবে বাড়িটি ব্যবহার করছে।

গোবিন্দ মন্দিরের পুরোহিত পংক চন্দ্র মহন্তের সাথে কথা হলে তিনি প্রতিনিধিকে জানান, আমি দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে প্রতিদিন তিন বেলা পূজা আর্চনা দিয়ে আসছি। অবহেলা-অযত্নে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ইতিহাস ঐতিহ্যের সাক্ষী বিখ্যাত উলিপুর মুন্সিবাড়ী।

এলাকাবাসীর দাবি, বাড়িটির পূর্বের মামলাগুলো নিষ্পত্তি করে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অট্রালিকাটিকে ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে সংরক্ষণ করে দর্শনীয় স্থান গড়ে তুললে যুগযুগ বেঁচে থাকবে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্বাক্ষী জমিদার আমলের ধরণীবাড়ীর স্মৃতি মুন্সিবাড়ী।

বর্তমানে ভবনটি যথাযথ সংস্কারের অভাবে বেহাল দশা, প্রয়োজনীয় সংস্কার করা না হলে ঐতিহ্যবাহী মুন্সিবাড়ীটি হয়তো স্মৃতির অন্তরালেই চলে যাবে।

//নিউজ/উলিপুর//মালেক/আগস্ট/২৬/২২

The post ধ্বংসের পথে উলিপুরের ঐতিহ্যবাহী মুন্সিবাড়ি appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
আবু হেনা মোস্তফার “উলিপুরের ইতিহাস” গ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন https://www.ulipur.com/?p=5202 Sun, 14 Jan 2018 15:29:41 +0000 http://www.ulipur.com/?p=5202 এ.এস.জুয়েল: আজ  রবিবার  বিকেল ৪টায় উলিপুর বণিক সমিতির কার্যালয়ে  আবু হেনা মোস্তফা রচিত  “উলিপুরের ইতিহাস” গ্রন্থের  মোড়ক উম্মোচন করা হয় । প্রভাষক আল মামুন সবুজের সঞ্চলনায়  বক্তব্য রাখেন, প্রাক্তন সহকারী অধ্যাপক  শ্রী হরি গোপল সরকার, জেলা বার এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্রহাম লিংকন (পিপি), রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি,কুড়িগ্রামের প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ হাসান নলেজ, উলিপুর বণিক [...]

The post আবু হেনা মোস্তফার “উলিপুরের ইতিহাস” গ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
এ.এস.জুয়েল:
আজ  রবিবার  বিকেল ৪টায় উলিপুর বণিক সমিতির কার্যালয়ে  আবু হেনা মোস্তফা রচিত  “উলিপুরের ইতিহাস” গ্রন্থের  মোড়ক উম্মোচন করা হয় । প্রভাষক আল মামুন সবুজের সঞ্চলনায়  বক্তব্য রাখেন, প্রাক্তন সহকারী অধ্যাপক  শ্রী হরি গোপল সরকার, জেলা বার এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্রহাম লিংকন (পিপি), রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি,কুড়িগ্রামের প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ হাসান নলেজ, উলিপুর বণিক সমিতির সভাপতি সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে গবা, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গোলাম মোস্তফা, উলিপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু সাঈদ সরকার, সাধারন সম্পাদক  সহকারী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সরদার ও গুনাইগাছ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম হোসেন প্রমূখ।  এসময় বক্তারা বইটির গঠনমূলক আলোচনা করেন।

 

The post আবু হেনা মোস্তফার “উলিপুরের ইতিহাস” গ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কেন “উলিপুরের ইতিহাস” বইটি পড়বেন? বুলেটিন ৪ https://www.ulipur.com/?p=4725 Thu, 09 Nov 2017 16:39:20 +0000 http://www.ulipur.com/?p=4725 প্রকাশিতব্য আবু হেনা মুস্তফা রচিত “উলিপুরের ইতিহাস” প্রকাশ না হতেই উলিপুরে বইটি নিয়ে বেশ হৈচৈ পড়েছে পাঠক সমাজে। শুধু উলিপুরে থেমে থাকেনি বইটির আলোচনা বর্তমানে ফেসবুকের কারণে ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ও বিশ্বময়। লেখককে ফোন দিয়ে জেনে নিচ্ছে বিভিন্ন তথ্য। সাম্প্রতিক সময়ে উলিপুর ডট কমের সহ. সম্পাদক জরীফ উদ্দীনের ফেসবুক টাইমলাইনে বইটি নিয়ে পোষ্ট দিলে পাঠকের [...]

The post কেন “উলিপুরের ইতিহাস” বইটি পড়বেন? বুলেটিন ৪ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
প্রকাশিতব্য আবু হেনা মুস্তফা রচিত “উলিপুরের ইতিহাস” প্রকাশ না হতেই উলিপুরে বইটি নিয়ে বেশ হৈচৈ পড়েছে পাঠক সমাজে। শুধু উলিপুরে থেমে থাকেনি বইটির আলোচনা বর্তমানে ফেসবুকের কারণে ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ও বিশ্বময়। লেখককে ফোন দিয়ে জেনে নিচ্ছে বিভিন্ন তথ্য। সাম্প্রতিক সময়ে উলিপুর ডট কমের সহ. সম্পাদক জরীফ উদ্দীনের ফেসবুক টাইমলাইনে বইটি নিয়ে পোষ্ট দিলে পাঠকের আনাগোনা হয় উল্লেখ করার মত। উলিপুর ডট কমের পাঠকের জন্য কোন রকম পরিবর্তন না করে পোষ্টটি তুলে ধরা হল।

পূর্বপ্রকাশের পর-
“১৯৪৩ সালে উলিপুরে দুর্ভিক্ষ” হলো ১৬ নম্বর অধ্যায়ের শিরোনাম। ১৯৪৩ খ্রীষ্টাব্দে ৮ ডিসেম্বর কলকাতার দৈনিক জনযুদ্ধ পত্রিকা উলিপুরের দুর্ভিক্ষ নিয়ে কি লিখেছিলো- তা জানতে পারবেন। উলিপুরের কোথায় লঙ্গরখানা খোলা হয়েছিলো সে তথ্য থাকছে।
সতেরো নম্বর অধ্যায়ের শিরোনাম হলো “উলিপুরের পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার লড়াই” এই এলাকায় কারা কারা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করেছিলো- তাদের সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোকপাত থাকছে এ অধ্যায়ে।
“উলিপুরে ভাষা আন্দোলন” হলো আঠারো নম্বর অধ্যায়ের সূচী।

“উলিপুরের ইউনিয়নগুলোর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি”- হলো উনিশ নম্বর অধ্যায়ের বিষয়বস্তু। প্রতিটি ইউনিয়নের সমৃদ্ধি ইতিহাস থাকছে এ অধ্যায়ে। ইউনিয়নগুলোর আয়তনসহ সমস্ত গ্রাম- পাড়া- মহল্লার নাম থাকছে। থাকছে সেখানকার নদ-নদী-খাল-বিলের বর্ণনা।
বিশ নম্বর অধ্যায় হলো: “উলিপুরে বহিরাগতদের আগমন” শত শত বছর ব্যাপী বহিরাগতরা কেন উলিপুরে আসল? কারা কারা আসল? এদের সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ।

একুশ নম্বর অধ্যায় হলো: “উলিপুরের আরও কিছু তথ্য” ১৯০০ সালে চলচিত্রের নির্বাক যুগে উলিপুরে কে সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা করল? সিনেমা হলটি কোথায় ছিলো? উলিপুরে কোথায় প্রথম ডাকঘর স্থাপিত হলো? ১৮০৮ খ্রীষ্টাব্দে মণ্টোগোমারী মার্টিন উলিপুরে এসে কি দেখলেন? তার বর্ণনার সূত্র ধরে ১৮৩৮ খ্রীষ্টাব্দে হ্যামিল্টন বুকানন যে গ্রন্থটি প্রকাশ করলেন তার নাম, দি হিস্টোরী, ইন্টিকুইটিস, টফোগ্রাফী এন্ড স্ট্যাটিটিক্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া বইটিতে উলিপুর সম্পর্কে যে তথ্য প্রকাশ করলেন তার হুবহু বাংলা অনুবাদ থাকছে এই অধ্যায়ে। আরও থাকছে সেই সময়কার হাটবাজারের বিবরণ। থাকছে উলিপুর স্টোর কোম্পানি ও লোন কোম্পানি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা। থাকছে বাহারবন্দের জোদ্দারদের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা। জানতে পারবেন উলিপুর চ্যারিটেবল হাসপাতাল সম্পর্কে। সে সময়কার উলিপুরে ক্রীড়াঙ্গণে যারা অবদান রেখেছিলো তাদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ।

বাইশ নম্বর অধ্যায়ের শিরোনাম : “উলিপুরের সাংস্কৃতিক আন্দোলন” এ অধ্যায়ে আপনি জানতে পারবেন ১৮৮২ খ্রীষ্টাব্দে উলিপুরে গড়ে ওঠা “উলিপুর সারস্বত নাট্যসমাজ ” সম্পর্কে। ভারতবর্ষের প্রথম রাজনৈতিক দল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠারো তিন বছর আগে আমাদের উলিপুরে কারা কারা নাট্য সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করল, সেখানে কি কি নাটক মঞ্চস্থ হতো, ১৯১৫-১৬ খ্রীষ্টাব্দের দিকে উলিপুর নাট্যমন্দির কিভাবে প্রতিষ্ঠা হলো সেখানে কারা অভিনয় করত, নারী চরিত্রে কারা কারা অভিনয় করত? এইসব বিষয়ে জানতে পারবেন। গোবিন্দ জীও মন্দির নিয়ে মহারাজা মণীন্দ্র নন্দীর সঙ্গে ব্রিটিশ সরকারের “অফিসিয়াল যুদ্ধ”।

সবশেষ অধ্যায়ের শিরোনাম হলো: “উলিপুরের মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি পর্ব”। ১৯৭১ সালে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি, সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ সম্পর্কে জানতে পারবেন। উলিপুরের প্রথম শহিদ কে? কিভাবে তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে কুড়িগ্রামে হত্যা করা হলো? এই বিষয়ে জানতে পারবেন।

আগামী পোস্টে থাকছে বইটিতে ব্যবহৃত স্থিরচিত্র সম্পর্কে আলোচনা।

অধিক তথ্য জানতে চাইলে কমেন্ট করুন/ ফোন করুন 01714763190 (আবু হেনা মুস্তফা)

The post কেন “উলিপুরের ইতিহাস” বইটি পড়বেন? বুলেটিন ৪ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কেন “উলিপুরের ইতিহাস” বইটি পড়বেন? বুলেটিন ৩ https://www.ulipur.com/?p=4623 Mon, 23 Oct 2017 04:44:53 +0000 http://www.ulipur.com/?p=4623 প্রকাশিতব্য আবু হেনা মুস্তফা রচিত “উলিপুরের ইতিহাস” প্রকাশ না হতেই উলিপুরে বইটি নিয়ে বেশ হৈচৈ পড়েছে পাঠক সমাজে। শুধু উলিপুরে থেমে থাকেনি বইটির আলোচনা বর্তমানে ফেসবুকের কারণে ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ও বিশ্বময়। লেখককে ফোন দিয়ে জেনে নিচ্ছে বিভিন্ন তথ্য। সাম্প্রতিক সময়ে উলিপুর ডট কমের সহ. সম্পাদক জরীফ উদ্দীনের ফেসবুক টাইমলাইনে বইটি নিয়ে পোষ্ট দিলে পাঠকের আনাগোনা [...]

The post কেন “উলিপুরের ইতিহাস” বইটি পড়বেন? বুলেটিন ৩ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
প্রকাশিতব্য আবু হেনা মুস্তফা রচিত “উলিপুরের ইতিহাস” প্রকাশ না হতেই উলিপুরে বইটি নিয়ে বেশ হৈচৈ পড়েছে পাঠক সমাজে। শুধু উলিপুরে থেমে থাকেনি বইটির আলোচনা বর্তমানে ফেসবুকের কারণে ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ও বিশ্বময়। লেখককে ফোন দিয়ে জেনে নিচ্ছে বিভিন্ন তথ্য। সাম্প্রতিক সময়ে উলিপুর ডট কমের সহ. সম্পাদক জরীফ উদ্দীনের ফেসবুক টাইমলাইনে বইটি নিয়ে পোষ্ট দিলে পাঠকের আনাগোনা হয় উল্লেখ করার মত। উলিপুর ডট কমের পাঠকের জন্য কোন রকম পরিবর্তন না করে পোষ্টটি তুলে ধরা হল।

পূর্বপ্রকাশের পর-
এগারো নম্বর অধ্যায়ের শিরোনাম: “রাজস্ব আদায় পদ্ধতি” উলিপুর থেকে জমিদারি শাসন ব্যবস্থায় কীভাবে রাজস্ব আদায় করা হত- সে বিষয় নিয়ে আলোচনা থাকছে।
বারো নম্বর অধ্যায়ের শিরোনাম: “উলিপুরের অর্থনীতি”। আপনার সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে অনেক বিশ্বখ্যাত গবেষক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলাই হল রেশম চাষের আদিভূমি। ১৭৮১ খ্রীস্টাব্দে ১ টাকায় কতোটুকু চাল পাওয়া যেতো উলিপুরে? ১৮৭২ খ্রীস্টাব্দে ১ মন মোটা চালের দাম কতো ছিলো এখানে? উলিপুর থেকে কী কী নামের দেশীয় ধান আর মাছ হারিয়ে গেছে- সে সবের নাম জানতে পারবেন। ১৮৮৫ – ১৯৪০ খ্রীস্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ের বাহারবন্দ পরগণার অর্থনীতি নিয়ে গবেষণার জন্য নব্বই দশকে জাপানি গবেষক কিনোবু কাওয়াই উলিপুরে এসে সেই সময়কার উলিপুরের অর্থনীতি কী বর্ণনা লিখলেন? তা জানতে পারবেন।
“উলিপুরের থানা প্রশাসন” – হলো তেরো নম্বর অধ্যায়। ১৭৯৩ খ্রীস্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির ১ নম্বর রেজুলেশনের ৮ নম্বর ধারা এবং ২২ নম্বর রেজুলেশনের ক্ষমতা বলে কেমন করে উলিপুর থানা প্রশাসন সৃষ্টি হলো, তা জানবেন। ১৮০৮, ১৮৭২, ১৯০১ খ্রীস্টাব্দের সরকারি হিসাব মতে উলিপুরের আয়তন কতোটুকু ছিল, তা জানতে পারবেন।
চৌদ্দ নম্বর অধ্যায়ের শিরোনাম: “দেবী চৌধুরানী, ভবানী পাঠক, মজনু শাহ এবং উলিপুর”। এই প্রথম আপনি তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। দেবী চৌধুরানীর বাড়ী কোনোভাবেই উলিপুরে ছিল না, এবং তিনি আসলে কে? এই নামে দুজন নারী জমিদার পাওয়া যায়- তিনি কোন জন? তার শেষ পরিণতি কী? মজনু শাহ কে? কীভাবে তার মৃত্যু হলো? তার লাশ কোথায় নিয়ে যাওয়া হলো? ভবানী পাঠককে কী উলিপুরে হত্যা করা হয়েছিলো? ফকির- সন্নাসী আন্দোলনের বিষয় কী ছিল? আমাদের উলিপুরের সঙ্গে দেবী চৌধুরানীর, ভবানী পাঠক এবং মজনু শাহের সম্পর্ক কী? – এ বিষয়গুলো জানতে পারবেন এবং আপনার জানা পূর্বের প্রায় সব তথ্যকে নতুন ভাবে বিশ্লেষণ করতে পারবেন। “দেবী চৌধুরানী”কে নিয়ে সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কী অনুরোধ করেছিলেন? আমরা কী তার সেই অনুরোধ রাখতে পেয়েছি? আরো জানতে পারবেন বেগম রোকেয়ার পূর্বপুরুষেরা কীভাবে ফকির-সন্নাসীদের বিরুদ্ধে গিয়ে উলিপুরের জমিদারি লাভ করেছিলেন।
“উলিপুরে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন: স্বদেশী, অসহযোগ ও খেলাফত”- হলো পনেরো নম্বর অধ্যায়ের শিরোনাম। উলিপুরে কীভাবে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে স্বদেশী আন্দোলন গড়ে উঠল? উলিপুরে কীভাবে “অনুশীলন সমিতি” গঠিত হলো? কোথায় ছিলো তাদের অফিস? এই আন্দোলনে কারা কারা ছিলো? কেনো অনেকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলো? মুন্সীবাড়ীতে কে ডাকাতি করলো? “ডাকাতির সময় উলিপুর নাটমন্দিরে কেন নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছিল? বেশ কয়েকজন স্বদেশী আন্দোলনের নেতা-কর্মীর কার্যক্রমের বর্ণনা থাকছে এই অধ্যায়ে। মহাত্মা গান্ধীকে হত্যার পর উলিপুরে তার প্রতিক্রিয়া কী ছিলো? কোন এলাকার নাম বদল করে “গান্ধীতলা” রাখা হয়েছিলো?
(গ্রন্থটির অন্যান্য অধ্যায়ের বিষয়বস্তু থাকছে আগামী পোস্টে।)
অধিক তথ্য জানতে চাইলে কমেন্ট করুন/ ফোন করুন 01714763190 (আবু হেনা মুস্তফা)

পূর্ব পোষ্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন

The post কেন “উলিপুরের ইতিহাস” বইটি পড়বেন? বুলেটিন ৩ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কেন “উলিপুরের ইতিহাস” বইটি পড়বেন? https://www.ulipur.com/?p=4525 Sat, 14 Oct 2017 05:57:26 +0000 http://www.ulipur.com/?p=4525 প্রকাশিতব্য আবু হেনা মুস্তফা রচিত “উলিপুরের ইতিহাস” প্রকাশ না হতেই উলিপুরে বইটি নিয়ে বেশ হৈচৈ পড়েছে পাঠক সমাজে। শুধু উলিপুরে থেমে থাকেনি বইটির আলোচনা বর্তমানে ফেসবুকের কারণে ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ও বিশ্বময়। লেখককে ফোন দিয়ে জেনে নিচ্ছে বিভিন্ন তথ্য। সাম্প্রতিক সময়ে উলিপুর ডট কমের সহ. সম্পাদক জরীফ উদ্দীনের ফেসবুক টাইমলাইনে বইটি নিয়ে পোষ্ট দিলে পাঠকের আনাগোনা [...]

The post কেন “উলিপুরের ইতিহাস” বইটি পড়বেন? appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
প্রকাশিতব্য আবু হেনা মুস্তফা রচিত “উলিপুরের ইতিহাস” প্রকাশ না হতেই উলিপুরে বইটি নিয়ে বেশ হৈচৈ পড়েছে পাঠক সমাজে। শুধু উলিপুরে থেমে থাকেনি বইটির আলোচনা বর্তমানে ফেসবুকের কারণে ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ও বিশ্বময়। লেখককে ফোন দিয়ে জেনে নিচ্ছে বিভিন্ন তথ্য। সাম্প্রতিক সময়ে উলিপুর ডট কমের সহ. সম্পাদক জরীফ উদ্দীনের ফেসবুক টাইমলাইনে বইটি নিয়ে পোষ্ট দিলে পাঠকের আনাগোনা হয় উল্লেখ করার মত। উলিপুর ডট কমের পাঠকের জন্য কোন রকম পরিবর্তন না করে পোষ্টটি তুলে ধরা হল।


উলিপুরের ইতিহাস

আবু হেনা মুস্তফা

“উলিপুরের ইতিহাস” মোট ২৩ টি অধ্যায়ে বিভক্ত। প্রতিটি অধ্যায়ের আলাদা শিরোনাম আছে। প্রথম অধ্যায়ের শিরোনাম: ‘এই আমাদের বাংলাদেশ’। বাংলাদেশকে না জানলে উলিপুরকে জানবেন না। তাই খুব সংক্ষিপ্তভাবে বাংলাদেশের কথা বর্ণনা করা হয়েছে।

দ্বিতীয় অধ্যায়ের শিরোনামা হলো: ‘উলিপুরের প্রাচীনত্ব’। খুব প্রাচীন কাল থেকে বিশেষ করে “মহাভারত” – এর সময় থেকে কী উলিপুরের অস্তিত্ব ছিলো? মহাভারতে গাইবান্ধার নাম পাওয়া যায়। অনেক পরে আমাদের উলিপুর থেকে গাইবান্ধা জেলার অর্ধেক শাসিত হত। তাহলে কে প্রাচীন – উলিপুর, না গাইবান্ধা? আরও থাকছে ‘উলিপুর’ নামকরণের বিবর্তনের ধারাবাহিক বর্ণনা। উলিপুর শ্মশানের উত্তরদিকে লুপ্ত রাজবাড়ী সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা।

১৫০৬ খ্রীস্টাব্দে আলাউদ্দিন হুসেন শাহ কেন উলিপুরে এসেছিলেন? তিনি কি এখানে মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন? তার নির্মিত মসজিদ কোনটি? তার স্থাপিত “নাসখ” পদ্ধতির শিলালিপিটি উলিপুরে কিভাবে পাওয়া গেলো? এটা আবার কীভাবে রাজশাহী বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরে গেল? এ প্রস্তরলিপিটি কে সেখানে নিয়ে গেলো? এই লিপির অনুবাদ কী? এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়েছে গ্রন্থটিতে। এই অধ্যায়ে আরও আছে: উলিপুর কীভাবে কুচবিহার আর কামরূপ রাজ্য ভুক্ত হলো? কে একে বিয়ের যৌতুক হিসেবে দান করলো? মোঘল আমলে উলিপুরের অবস্থা কী ছিলো? মোঘল সেনাপতি কর্তৃক উলিপুরের জোতদার এবং সাধারণ জনগণের নির্যাতনের কাহিনী সংক্রান্ত তথ্য স্যার যদুনাথ সরকার কীভাবে ফ্রান্সের জাতীয় গ্রন্থাগার থেকে উদ্ধার করলেন?

তৃতীয় অধ্যায়ের শিরোনাম: “কাশিমবাজার”। এ অধ্যায়ে জানতে পারবেন কাশিমবাজার সম্পর্কে। এই কাশিমবাজারের সঙ্গে আমাদের উলিপুরের গভীর বন্ধন আছে। কেননা পলাশী যুদ্ধের পর থেকে (৩ সেপ্টেম্বর, ১৭৭৯ খ্রী.) ১৯৫২ খ্রী. পর্যন্ত আমাদের উলিপুর কাশিমবাজার রাজ এস্টেটের অধীনে ছিলো। তাই এ এলাকার তথ্য জানার প্রয়োজন আছে।

চতুর্থ অধ্যায়ের শিরোনাম: “উলিপুরের ভৌগোলিক বিবরণ”। শিরোনামেই বোঝা যায় এই অধ্যায়ে কী বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
১২ জুন, ১৮৯৭ খ্রী. বিকাল ৫.১৫ মিনিটে প্রায় ৫ মিনিট স্থায়ী এক ভূমিকম্পে কীভাবে আমাদের প্রিয় এই উলিপুরের ভূ-প্রকৃতি বদলে গেলো – তা জানতে পারবেন। এই ভূমিকম্পে কোন কোন নদী মারা গেলো, কোন কোন খাল-বিল হারিয়ে গেলো- তা জানতে পারবেন। সঙ্গে থাকছে এই এলাকার পরিবেশ- প্রতিবেশ বিষয়ে তথ্য।

পঞ্চম অধ্যায়ের শিরোনাম: “উলিপুরের মানুষের নৃতাত্ত্বিক পরিচয়”। এ এলাকার মানুষ যে প্রাক-আর্য মঙ্গোলীয় এবং অস্ট্রিক বা ভেড্ডাপ্রতিম- এ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা আছে।

ষষ্ট অধ্যায়ের শিরোনাম: “উলিপুরের ভাষার বৈচিত্র্য”।
“উলিপুরের নদী ও বিলের কথা” – হলো সপ্তম অধ্যায়ের শিরোনাম। ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও ধরলা নদী সম্পর্কে জানতে পারবেন। এই তিনটি নদী উলিপুরের উপর দিয়ে প্রবাহিত। নদী তিনটির উৎপত্তি এবং কোন কোন এলাকা দিয়ে উলিপুরে এসেছে- তা জানতে পারবেন। ব্রহ্মপুত্র এবং তিস্তা নদীর উৎসমুখ আবিষ্কারের রোমান্সকর তথ্য রয়েছে এই অধ্যায়ে।

অষ্টম অধ্যায়ের শিরোনাম: “ধামশ্রেণী থেকে বাহারবন্দ হয়ে উলিপুর”। কয়েকশত বছরব্যাপী এই ধামশ্রেণী কীভাবে সমগ্র বাহারবন্দ পরগণার প্রশাসনিক মূলকেন্দ্র ছিলো- তা জানতে পারবেন। ১৭৮৮ খ্রী. ৭ মে বাগ্মী এডমন্ড বার্ক ব্রিটিশ হাউজ অব কমন্সে কী জন্য ধামশ্রেণী তথা বাহারবন্দ নিয়ে তুমুল আলোড়ন তুলেছিলেন- তা জানতে পারবেন। শত শত বছরের ক্রমবিবর্তন হতে থাকা ধামশ্রেণী সম্পর্কে এই প্রথম একটি মাত্র গ্রন্থে বিস্তারিত আলোচনা থাকছে। রাণী সত্যবতী কে? দুজন রঘুনাথ রায়ের মধ্যে কে তার স্বামী? কীভাবে উলিপুর তাদের হাতে গেলো? রাণী ভবানী কীভাবে উলিপুরের জমিদার হলো?- এই বিষয়গুলো আছে এই অধ্যায়ে।
নবম অধ্যায়ের শিরোনাম: “রাণী ভবানী, বাহারবন্দ তথা উলিপুর”

রাণী ভবানী আমাদের জমিদার হওয়ার পর কী কী দুর্যোগ তার জীবনে নেমে এলো? এ সময়টিতে মুর্শিদাবাদের কোন কোন নবাবের অধীনে আমরা ছিলাম, ওয়ারেন হেস্টিংস কে? কান্তনন্দী কে? কীভাবে তাদের পরিচয় হলো? ভারতীয় নবপুঁজির জনক কান্তবাবুর হাতে কেমন করে উলিপুর চলে গেলো? এবং এর বিভিন্ন আইনগত প্রক্রিয়া বিষয়ে জানতে পারবেন। ১৭৭৯ খ্রী. ৩ সেপ্টেম্বর কেমন করে দলিল সম্পাদন করে রাতারাতি উলিপুরের মালিক হয়ে গেলো কান্তনন্দী এবং এর প্রতিক্রিয়ায় রাণী ভবানী আদালতে কী কী অভিযোগ পেশ করেছিলেন?- তা জানতে পারবেন। ১৭৮৮ খ্রী. ১৩ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ সংসদে উলিপুর, রাণী ভবানী আর কান্ত বাবুর নামে কে কে আলোচনা করলো, ওয়ারেন হেস্টিংস শুধুমাত্র উলিপুরকে নিয়ে কেমন নাস্তানাবুদ হয়ে গভর্ণর জেনারেল পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন, কত বছর এই মামলাটি চলেছিলো- তার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে এই অধ্যায়ে।

দশম অধ্যায়ের শিরোনাম: “বাহারবন্দ তথা উলিপুর নিয়ে আরো কিছু কথা”। এই অধ্যায়ে কাশিমবাজার রাজ এস্টেটের জমিদারদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক বিষয় নিয়ে রোমাঞ্চকর আলোচনা থাকছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূর্বপুরুষেরা কীভাবে উলিপুরের জমিদারদের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়েছিলেন- এ অধ্যায়ে তা জানতে পারবেন।

আমরা জানি মহারাণী স্বর্ণময়ীর স্বামী মহারাজা কৃষ্ণনাথ নন্দী আত্মহত্যা করেছিলেন – কিন্তু তিনি কেন এবং কীভাবে, কোথায়, কখন আত্মহত্যা করলেন, আত্মহত্যা করার আগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাগ্নে কেন তাকে গ্রেপ্তারের জন্য বাড়ী তল্লাসী করেছিলো- তা জানতে পারবেন।
মহারাণী স্বর্ণময়ীর জীবনের অনেক অজানা বিষয় এই অধ্যায়ে উঠে এসেছে। তার অন্দরমহলের অনেক কথা জানতে পারবেন। এই প্রথম কোন গ্রন্থে সেই উইলটি নিয়ে আলোচনা থাকছে- যা আমরা বিকৃতভাবে শুনে আসছি। ১২ টি ধারায় বিভক্ত সেই উইলের প্রতিটি ধারা জানতে পারবেন। আমাদের উলিপুর নিয়ে মহারাজা কৃষ্ণনাথের একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার স্বপ্ন কী অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়েছিলো? এই উইলটি কী প্রিভি কাউন্সিলে টিকেছিলো?

অধিক তথ্য জানতে চাইলে কমেন্ট করুন/ফোন করুন 01714763190 ( আবু হেনা মুস্তফা)

(গ্রন্থটির অন্যান্য অধ্যায়ের বিষয়বস্তু থাকছে আগামী পোস্টে।)

The post কেন “উলিপুরের ইতিহাস” বইটি পড়বেন? appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>