উলিপুর খাদ্য গুদাম Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=উলিপুর-খাদ্য-গুদাম কুড়িগ্রাম জেলার তথ্য ও সংবাদ Sun, 05 Mar 2023 08:02:35 +0000 en-US hourly 1 https://www.ulipur.com/wp-content/uploads/2022/10/1665889308.png উলিপুর খাদ্য গুদাম Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=উলিপুর-খাদ্য-গুদাম 32 32 দাম কম হওয়ায় আমন ধান সংগ্রহে ব্যর্থ উলিপুর খাদ্য গুদাম https://www.ulipur.com/?p=22889 Sun, 05 Mar 2023 08:02:34 +0000 https://www.ulipur.com/?p=22889 ।। নিউজ ডেস্ক ।।উলিপুরে আমন মৌসুমে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরুর দুই মাসের বেশি সময় পার হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এক কেজি ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় গুদামে ধান দিচ্ছেন না কৃষকরা। খাদ্য গুদাম সূত্রে জানা গেছ, ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩শ ৪৪ মেট্রিক টন। একজন কৃষক প্রতি কেজি ধান ২৮ [...]

The post দাম কম হওয়ায় আমন ধান সংগ্রহে ব্যর্থ উলিপুর খাদ্য গুদাম appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে আমন মৌসুমে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরুর দুই মাসের বেশি সময় পার হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এক কেজি ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় গুদামে ধান দিচ্ছেন না কৃষকরা।

খাদ্য গুদাম সূত্রে জানা গেছ, ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩শ ৪৪ মেট্রিক টন। একজন কৃষক প্রতি কেজি ধান ২৮ টাকা দরে বিক্রি করতে পারবেন। নিয়ম অনুযায়ী কৃষকেরা অনলাইনে অ্যাপসের মাধ্যমে আবেদনও করেছেন। লটারীর মাধ্যমে কৃষকদের নামের তালিকা প্রস্তুত করে তাদের মোবাইলে ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে ধান ক্রয়ের বিষয়টি জানানো হয়। গত ১৭ নভেম্বর ২০২২ সালে ধান ক্রয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়, যার মেয়াদ শেষ হয় ২৮ ফেব্রুয়ারি। এরপর আরো ৭দিন সময় বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু সরকারি মূল্যের চেয়ে বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা গুদামে ধান বিক্রয়ের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।

কৃষকদের অভিযোগ, আগের বছরগুলোয় ধানের সরকারি দর বাজারের চেয়ে বেশি থাকায় প্রকৃত কৃষকরা সুযোগ পাননি। ফলে এবার অনেকে খোঁজ রাখেননি। যাঁরা গুদামে ধান বিক্রি করেছেন, তাঁদের রয়েছে তিক্ত অভিজ্ঞতা। পদে পদে বাড়তি টাকা দিতে হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মৌসুমে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ২৪ হাজার ৩শ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছিল। ফলনও ভালো হয়েছে। মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২শ হেক্টর জমিতে ধান বেশি চাষ করা হয়েছে।

পৌরসভার কৃষক আলম মিয়া জানান, ২শ শতক জমিতে ধানের আবাদ করেন তিনি। প্রয়োজনের অতিরিক্ত অংশ ধান বিক্রি করেন। আগে দু-একবার খাদ্যগুদামে ধান বিক্রির চেষ্টা করেছিলেন। তবে কর্মকর্তাদের অসহযোগিতায় ব্যর্থ হয়েছেন। বর্তমানে তিনি খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ধান ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।

থেতরাই ইউনিয়নের কৃষক আশরাফ আলী খন্দকার ও মোজাফফর রহমান অভিযোগ করে বলেন, অন্যান্য বছরে গুদামে কৃষকের নাম ব্যবহার করে কমিশনের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহে বেশি আগ্রহী ছিল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ মৌসুমে বাজার মূল্যে বেশি থাকায় গুদামে ধান বিক্রিতে আগ্রহ নেই কারো।

ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মহসিন আলী (অতিরক্তি দায়িত্ব) দাবি করেন, সরকার নির্ধারত মুল্যের চেয়ে বাজারে ধানের মূল্য বেশি থাকায় কৃষকরা গুদামে ধান দিচ্ছেন না। কৃষকরা ধান না দিলেও আমরা চাল ক্রয় করে চাহিদা পূরন করতে পারবো। তবে তিনি কৃষকদের হয়রানী ও কমিশনের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিসবাহুল হুসাইন বলেন, সরকারের মূল উদ্দেশ্য কৃষকরা যেনো ধানের ন্যায্য মূল্য পায়। বর্তমানে সরকারি মূল্যের চেয়ে খোলা বাজারে ধানের মূল্য বেশি হওয়ায় কৃষকদের আগ্রহ নেই। তবে এতে তেমন কোন ক্ষতি হবে না।

//নিউজ/উলিপুর//চন্দন /মার্চ/০৪/২৩

The post দাম কম হওয়ায় আমন ধান সংগ্রহে ব্যর্থ উলিপুর খাদ্য গুদাম appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
উলিপুরে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত কমিটি গঠন https://www.ulipur.com/?p=14627 Fri, 27 Aug 2021 13:08:41 +0000 https://www.ulipur.com/?p=14627 ।। নিউজ ডেস্ক ।। উলিপুরে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত বানিয়ে চলতি বোরো মৌসুমে ধান-গম সংগ্রহ করার নামে প্রায় ৬০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা অনলাইন নিউজ পোর্টাল উলিপুর ডট কম সহ বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ হলে উপজেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। খাদ্য বিভাগ তড়িঘড়ি করে তদন্ত টিম গঠন করলেও দুর্নীতিবাজ সেই গুদাম কর্মকর্তা [...]

The post উলিপুরে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত কমিটি গঠন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত বানিয়ে চলতি বোরো মৌসুমে ধান-গম সংগ্রহ করার নামে প্রায় ৬০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা অনলাইন নিউজ পোর্টাল উলিপুর ডট কম সহ বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ হলে উপজেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। খাদ্য বিভাগ তড়িঘড়ি করে তদন্ত টিম গঠন করলেও দুর্নীতিবাজ সেই গুদাম কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান এখনো স্বপদে বহাল তবিয়তে রয়েছে।

জানা গেছে, উলিপুর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান ও ব্যবসায়ী মিলে তৈরী হওয়া সিন্ডিকেট চক্রের মাধ্যমে লটারীতে নাম ওঠা প্রকৃত কৃষকের জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে ধান-গম ক্রয় দেখিয়ে ৫৯ লাখ ৯৬হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ওই খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা। আর ব্যবসায়ীরা হাতিয়ে নিয়েছে কোটি টাকার মুনাফা।

এ অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে খাদ্য বিভাগ ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম গঠন করে। কমিটির সদস্যরা হলেন, ডিসি ফুড লালমনিরহাট রফিকুল ইসলাম, টিসিএফ সদর রংপুর অমূল্য কুমার ও খাদ্য বিভাগের রংপুর আঞ্চলিক অফিসের সহকারী রসায়নবিদ (কেমিস্ট) মমিনুল ইসলাম। তদন্ত টিম গত ১৯ আগস্ট দিনব্যাপী তদন্ত সম্পন্ন করে রংপুর আঞ্চলিক অফিসে রিপোর্ট প্রদান করেন।

তবে তদন্তের এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও ওই গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোন শাস্তি মূলক ব্যবস্থা না নেয়ায় ফুঁঁসে উঠেছেন ভুক্তভোগীরা।

অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে আন্দোলনে নামার কর্মসূচি নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বঞ্চিত ভুক্তভোগী সহ কৃষক নেতারা।

এ ব্যাপারে জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক ওমর ফারুক বলেন কৃষকবান্ধব এ সরকারের মহতী উদ্যোগ হচ্ছে, সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয়। এ নির্দেশ থাকলেও গুদাম কর্মকর্তাসহ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নামে-বেনামে এমনকি মৃতদের থেকে কৃষক সাজিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সরকারের অর্থ লুটপাট করলেও যথাযথ কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণে গড়িমসি করছে। এতে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন সহ সরকারের এই মহতী উদ্যোগের সফলতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকরা।

তদন্ত কমিটির প্রধান রফিকুল ইসলাম জানান, তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থা নেবেন কর্তৃপক্ষ। সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করা হয়েছে আশা করি মানুষের চাওয়া-পাওয়া পূরণ হবে।

এ ব্যাপারে খাদ্য বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক (আরসি ফুড) আবদুস সালাম জানান প্রতিবেদন পেয়েছি পর্যালোচনা করে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়া হবে খাদ্য বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী চলতি প্রকিউরমেন্ট সম্পন্ন হলেই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

//নিউজ/উলিপুর//মালেক/আগস্ট/২৭/২১

The post উলিপুরে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত কমিটি গঠন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
উলিপুর গুদাম কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট মৃত ব্যক্তির এনআইডির ব্যবহার করে হাতিয়ে নিলেন লাখ লাখ টাকা https://www.ulipur.com/?p=14568 Wed, 18 Aug 2021 04:14:34 +0000 https://www.ulipur.com/?p=14568 ।। আব্দুল মালেক ।। উলিপুরে ভুতুরে কৃষকের কাছ থেকে চলতি বোরো মৌসুমে ধান-গম সংগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছে। খাদ্য গুদামের কতিপয় কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী মিলে তৈরী হয়েছে সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট চক্রের মাধ্যমে লটারীতে নাম ওঠা প্রকৃত কৃষকের জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে ধান-গম ক্রয় করে ৫৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান। [...]

The post উলিপুর গুদাম কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট মৃত ব্যক্তির এনআইডির ব্যবহার করে হাতিয়ে নিলেন লাখ লাখ টাকা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। আব্দুল মালেক ।।
উলিপুরে ভুতুরে কৃষকের কাছ থেকে চলতি বোরো মৌসুমে ধান-গম সংগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছে। খাদ্য গুদামের কতিপয় কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী মিলে তৈরী হয়েছে সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট চক্রের মাধ্যমে লটারীতে নাম ওঠা প্রকৃত কৃষকের জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে ধান-গম ক্রয় করে ৫৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান। আর ব্যবসায়ীরা হাতিয়ে নিয়েছে কোটি টাকার লাভ। ফলে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান-গম ক্রয়ে সরকারের মহৎ উদ্দেশ্য ভেস্তে গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করলেও মেলেনি প্রতিকার। অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতা নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবী তুলেছেন স্থানীয় সাংসদ অধ্যাপক এম এ মতিন।

কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক এম এ মতিন বলেন আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করার কথা ছিল সেই চেষ্ঠা ওসি এলএসডি’র দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা করেনি। তার অবহেলা আর অনিয়মের কারণে এখানকার বরাদ্দ ৫’শ মে. টন ধান কেটে কুড়িগ্রাম এলএসডিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফলে এখানকার কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এটি আমার জন্য অত্যন্ত অপমানকর, কারণ আমি জনপ্রতিনিধি হয়েও তা জানতে পারিনি। এছাড়াও মৃত ব্যক্তিকে কৃষক দেখিয়ে ধান নেয়া হয়েছে। কৃষকের ভুয়া এনআইডি বানিয়েও ধান, গম সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও অভিযোগ পেয়েছি ধানের পরিবর্তে চাউল দেখিয়ে ধানকে গুডাউনে রেখেই সেটাকে ডেলিভারি দেখিয়ে আবার ক্রাস করে চাউল হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। ধান, চাল, গম সংগ্রহে উৎকোচ গ্রহনেরও অভিযোগ রয়েছে। এই ধরনের অভিযোগ সরকারের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। সরকার চাচ্ছেন যারা কৃষক তাদেরকে সহযোগিতা করা এবং আমাদের খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা। কিন্তু কতিপয় কর্মকর্তা ও ব্যক্তির দুর্নীতির কারেণে সরকারের ভালো উদ্যোগ গুলো ম্লাণ হয়ে যাচ্ছে। একটি কুচক্রি মহল, কিছু সরকারি কর্মকর্তার যোগসাজসে সরকারকে ব্যর্থ ও লক্ষ্য উদ্দেশ্য ব্যাহত করার জন্য এই কাজ গুলো করছেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং উর্ধতন মহলকে অনুরোধ করবো সুষ্ঠু তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

কৃষক মোহসীন আলী, আকবর আলী, সাইফুল ইসলাম ও বাবুল লিখিত অভিযোগে বলেন, খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান উলিপুরে যোগদানের পর থেকে সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সীমাহীন দূর্নীতির মাধ্যমে চলতি বছরে বোরো ধান-চাল ও গম সংগ্রহের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আর তাকে এ কাজে সহযোগীতা করার জন্য গড়ে তুলেছেন একটি সিন্ডিকেট চক্র। খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা শাহীনুর রহমানের যোগসাজশে মিল মালিক সমিতির আহবায়ক মাহফুজার রহমান বুলেট, সাবেক উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হেমন্ত বর্মনের কথিত ভাগ্নে গাইবান্ধা জেলার বাসিন্দা সুমন মিয়া ও মিল মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি আব্দুল মজিদ হাড়ির ভাতিজা ধামেশ্রনী ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সহকারী মিজানুর রহমানসহ কয়েকজনকে নিয়ে সিন্ডিকেট চক্র গড়ে তুলেছেন। অভিযোগকারীদের তথ্য মতে, ওসিএলএসডি শাহিনুর রহমান প্রতি টন ধানে ২ হাজার, গমে দেড় হাজার এবং চালে টন প্রতি ২ হাজার টাকা উৎকোচ নেন। এ হিসাবে ধানে ৩০ লাখ ৮৬ হাজার টাকা, গমে ৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা এবং চাল ক্রয়ে ২৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা অর্থাৎ ৫৯ লাখ ৯৩ হাজার টাকা আয় করেন। তারা আরও বলেন, প্রকৃতপক্ষে ৬’শ মে. টন ধান খাদ্য গুদামে মজুদ থাকলেও কাগজে কলমে ১ হাজার ৫’শ ৪৩ মে. টন দেখানো হচ্ছে। বাকী ধান কয়েকটি মিলের সঙ্গে ছাটাইয়ের চুক্তি করে অগ্রিম বিল প্রদানের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে।

মিল মালিক সমিতির আহবায়ক মাহফুজার রহমান বুলেটের নিজস্ব নামে কোন মিলের লাইসেন্স নেই। তিনি তার পিতার মালিকাধীন পৌরসভার নাড়িকেল বাড়ি গ্রামের সরকার চাল কলের প্রতিনিধিত্ব করেন। অপর সদস্য সুমন মিয়া কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা নন। তিনি পান্ডুল ইউনিয়নে থাকা চাঁন চাল কল, মালিক চাঁন মিয়ার মিল ভাড়ায় নিয়ে তার প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করেন। এছাড়া মিজানুর রহমান মেসার্স আছমত চাল কলের প্রতিনিধিত্ব করেন।

সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, ধান সংগ্রহের লটারীতে উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ৯৬ নং ক্রমিকে পানাতিপাড়া গ্রামের ভেলু মামুদের ছেলে খেলু মামুদ নামে এক কৃষক গত ১৮ জুন উলিপুর খাদ্য গুদামে ১ মেঃ টন ধান দিয়ে বিল উত্তোলন করেছেন (গুদামের রেজিষ্ট্রারে ৪১২ নং ক্রমিকে বিল নম্বর-৫৫৫)। অথচ খেলু মামুদের স্ত্রী লতিফা বেওয়া দাবী করে বলেন, তার স্বামী চলতি বছরের ১৯ মার্চ মৃত্যুবরণ করেছেন। এদিকে ওই মৃত কৃষকের নাম ও পিতার নাম ঠিক রেখে জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বরে ১২ সংখ্যা ব্যবহার করে ছবি, মাতার নাম, গ্রামের নাম পরিবর্তন করে ভূয়া জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করা হয়। এরপর ওই ভূয়া জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে সরকারি গুদামে ধান প্রদান ও বিল উত্তোলন করা হয়।

অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, উপজেলার বজরা ইউনিয়নে ৪ জন কৃষকের কাছ থেকে গত ১০ জুন ৪ মেঃ টন ধান সংগ্রহ দেখিয়ে ব্যাংক থেকে বিল উত্তোলন করা হয়েছে। তারা হলেন, মুন্সিপাড়া গ্রামের জব্বার আলীর ছেলে আলম মিয়া (বিল নং-২৯৪), মমফার আলীর ছেলে মনজু মিয়া (বিল নং-২৯৩), বাহার প্রধানের ছেলে আনোয়ার হোসেন (বিল নং-২৯২) এবং নাপিতপাড়া গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে মকবুল হোসেন (বিল নং-২৯১)। এই ইউনিয়নেও কৃষকের নাম ও পিতার নাম ঠিক রেখে জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বরে ১২ সংখ্যা ব্যবহার করে ছবি, মাতার নাম, গ্রামের নাম পরিবর্তন করে ভূয়া জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করা হয়। এরপর ওইসব ভূয়া জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে সরকারি গুদামে ধান প্রদান ও বিল উত্তোলন করা হয়। বজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ রেজাউল করিম আমিন বাবলু ওই ইউনিয়নে মুন্সিপাড়া ও নাপিতপাড়া নামে কাগজ কলমে কোন গ্রামের অস্তিত্ব নেই বলে নিশ্চিত করেছেন।

লটারীতে নাম থাকা ধামশ্রেণীর ইউনিয়নের ভদ্রপাড়ার গ্রামের কৃষক উপেন চন্দ্র বর্মন বলেন, আমি ৪০ মণ ধান বিক্রি করেছি বাজারে। উলিপুর খাদ্য গুদামে কোন ধান দেই নাই। অথচ তার নাম ব্যবহার করে খাদ্য গুদামে ধান সংগ্রহ দেখিয়ে বিল উত্তোলনের মতো উদ্বেগজনক তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম রাকিব জানান, ১২ সংখ্যা দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র হয় না। ভোটার নং হয়ে থাকে। অভিযুক্ত জাতীয় পরিচয়পত্র গুলো পরীক্ষা করে দেখলাম। এ সব গুলোই ভূয়া।

উপজেলা খাদ্য গুদাম সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে প্রতি কেজি ২৭ টাকা দরে ২৬শ ৩৫ মে. টন ধান, প্রতি কেজি ২৮ টাকা দরে ২’শ ৭৮ মে. টন গম ও প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে ১ হাজার ৪’শ ৩৫ মে. টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়।

কিন্তু গুদাম কর্মকর্তা শাহীনুর রহমানের সীমাহীন দুর্নীতির কারণে ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ধান ক্রয়ের শেষ তারিখ ১৬ আগষ্ট থাকলেও দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ হলে ২ আগষ্ট থেকে ধান সংগ্রহ বন্ধ হয়ে যায়। ২ আগষ্ট পর্যন্ত ৯’শ ৬২ জন কৃষকের কাছ থেকে মাত্র ১হাজার ৫’শ ৪৩ মে. টন ধান সংগ্রহ করা হয়। অপরদিকে জুন মাসে ২’শ ৭৮ জন কৃষকের কাছ থেকে ২’শ ৭৮ মে. টন গম সংগ্রহ করা হয়। উপজেলার ৭২টি মিল মালিকের কাছ থেকে ১হাজার ৪’শ ৩৫ মে. টন চাল লক্ষ্যমাত্র থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে ১হাজার ২’শ ৪৫ মে. টন। অভিযোগ রয়েছে, অধিকাংশ মিল মালিকের চাতাল গুলি পরিত্যাক্ত। তারা গুদাম কর্মকর্তার সাথে যোগসাজশে গুদাম থেকে অগ্রিম বিল উত্তোলন করে বাহিরের জেলা থেকে চাল ক্রয় করে গুদামে সরবরাহ করেছেন।

এই বিষয়ে ওসিএলএসডি শাহিনুর রহমানের বক্তব্য নিতে গেলে তিনি কয়েকজন ভাড়াটে লোক ডেকে এনে সাংবাদিকদের ছবি ও ভিডিও করতে বলেন। এসময় তিনি তথ্য দিলেও কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি। কথোপকথনের এক সময় তিনি বলেন, মিল চাতাল মালিকের সাথে চুক্তি বিষয়টি আমার দেখার বিষয় নয়। জাল এনআইডি,মৃত কৃষকের নিকট হতে ধান, গম সংগ্রহের বিষয়ে তিনি বলেন এটি মিথ্যা বানোয়াট। এগুলো হচ্ছে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-এ-জান্নাত রুমি জানান অভিযোগ হাতে আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু বকর বলেন, জাল এনআইডি কিংবা ভুয়া কৃষকের নিকট হতে ধান, গম সংগ্রহের কোন লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ পাইনি। পেলে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও মিলচাতাল নিয়ে আমি মৌখিক একটি অভিযোগ পেয়েছিলাম। সামগ্রিক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের পেক্ষিতি মঙ্গলবার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

//নিউজ/উলিপুর//মালেক/আগস্ট/১৮/২১

The post উলিপুর গুদাম কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট মৃত ব্যক্তির এনআইডির ব্যবহার করে হাতিয়ে নিলেন লাখ লাখ টাকা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
উলিপুর খাদ্য গুদামে গম ক্রয় করের জন্য ৩শ ১৯ জন কৃষকের নাম বাছাই https://www.ulipur.com/?p=3726 Tue, 23 May 2017 02:45:16 +0000 http://www.ulipur.com/?p=3726 নিউজ ডেস্ক: গতকাল বিকেল ৪ টায় উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে লটারির মাধ্যমে ৩শ ১৯ জন কৃষকের নাম বাছাই করা হয়। প্রতি কৃষক ১মেঃটন করে গম গুদামে সরাসরি গম বিক্রি করতে পারবেন।পান্ডুলের ১৭ জন,দুর্গাপুরে ২৫ জন,,ধামশ্রেণীতে ১৯ জন,উলিপুর পৌর ২০ জন,গুনাইগাছ ২০ জন,তবকপুরে ১৯ জন,বজরায় ৪০ জন,বুড়াবুড়িতে ২৪ জন,হাতিয়ায় ২৯ জন,ধরণীবাড়িতে ১৯ জন,দলদলিয়ায় ২৩ জন,থেতরাইয়ে [...]

The post উলিপুর খাদ্য গুদামে গম ক্রয় করের জন্য ৩শ ১৯ জন কৃষকের নাম বাছাই appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
নিউজ ডেস্ক:
গতকাল বিকেল ৪ টায় উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে লটারির মাধ্যমে ৩শ ১৯ জন কৃষকের নাম বাছাই করা হয়। প্রতি কৃষক ১মেঃটন করে গম গুদামে সরাসরি গম বিক্রি করতে পারবেন।পান্ডুলের ১৭ জন,দুর্গাপুরে ২৫ জন,,ধামশ্রেণীতে ১৯ জন,উলিপুর পৌর ২০ জন,গুনাইগাছ ২০ জন,তবকপুরে ১৯ জন,বজরায় ৪০ জন,বুড়াবুড়িতে ২৪ জন,হাতিয়ায় ২৯ জন,ধরণীবাড়িতে ১৯ জন,দলদলিয়ায় ২৩ জন,থেতরাইয়ে ২৪ জন,বেগমগঞ্জে ১৯ জন ও সাহেবের আলগায় ১৭ জন কৃষকের নাম লটারী করে বাছাই করা হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারি কমিশনার(ভুমি) মর্তুজা আল মুইদ সহ রাজনৈতিক,সামাজিক ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে কৃষি অফিসের দেয়া কৃ্ষকের তালিকা থেকে প্রতি ৪০ জন কৃষকের মধ্যে ১জনের তালিকা বাছাই করা হয়।আগামি ৩০ শে জুনের মধ্যে নির্বাচিত কৃষকগণ ২৮ টাকা কেজি দরে গম বিক্রয় করার সুযোগ পাবেন।

The post উলিপুর খাদ্য গুদামে গম ক্রয় করের জন্য ৩শ ১৯ জন কৃষকের নাম বাছাই appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>