এনজিও Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=এনজিও কুড়িগ্রাম জেলার তথ্য ও সংবাদ Wed, 28 Jul 2021 15:12:47 +0000 en-US hourly 1 https://www.ulipur.com/wp-content/uploads/2022/10/1665889308.png এনজিও Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=এনজিও 32 32 উলিপুরে চলমান লকডাউনে চাপ প্রয়োগ করে কিস্তি আদায়ের অভিযোগ https://www.ulipur.com/?p=14409 Wed, 28 Jul 2021 15:12:45 +0000 https://www.ulipur.com/?p=14409 ।। নিউজ ডেস্ক ।। উলিপুরে সরকার ঘোষিত কঠোরতম লকডাউনের মধ্যেও থেমে নেই বিভিন্ন এনজিওর কিস্তির আদায়। এনজিওর কর্মীরা ঋণ গ্রহিতাদের মোবাইল ফোনে কিংবা স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে নানান কৌশলে চাপ প্রয়োগ করে কিস্তির টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের দেয়া লকডাউন মানতে গিয়ে বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষের আয় বন্ধ হলেও বন্ধ [...]

The post উলিপুরে চলমান লকডাউনে চাপ প্রয়োগ করে কিস্তি আদায়ের অভিযোগ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে সরকার ঘোষিত কঠোরতম লকডাউনের মধ্যেও থেমে নেই বিভিন্ন এনজিওর কিস্তির আদায়। এনজিওর কর্মীরা ঋণ গ্রহিতাদের মোবাইল ফোনে কিংবা স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে নানান কৌশলে চাপ প্রয়োগ করে কিস্তির টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের দেয়া লকডাউন মানতে গিয়ে বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষের আয় বন্ধ হলেও বন্ধ হয়নি এনজিও গুলোর কিস্তি আদায়।

জানা গেছে, সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়নে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি সকল অফিস বন্ধ থাকার কথা। সড়ক ও নৌপথে সকল ধরণের যন্ত্রচালিত গণপরিবহন চলাচলও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দারিদ্র পীড়িত এ জেলার বেশিরভাগ খেটে খাওয়া মানুষ বিভিন্ন এনজিও জালে আবদ্ধ। লকডাউন মানতে গিয়ে এসব মানুষের আয় রোজগার প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এরই মধ্যে অনেক এনজিও গুলো তাদের প্রদেয় ঋণের কিস্তি আদায় করতে তোড়-জোড় শুরু করেন। মানুষের আয় বন্ধ হলেও, বন্ধ হয়নি গরিবের রক্তচোষা এনজিও গুলোর কিস্তি আদায়।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ঋণ গ্রহিতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এসএসএস, ব্র্যাক, টিএমএসএস, আশাসহ বিভিন্ন এনজিওর কর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে কিস্তি আদায় করছেন। সেখানে সামাজিক দুরুত্ব তো দুরের কথা, অনেকেই মাস্ক পড়তেও উদাসীন। অনেকে ঋণ গ্রহিতাদের মোবাইল ফোনে কিস্তির টাকার জন্য চাপ দিচ্ছেন, কিংবা আগামী দিন কিস্তির টাকা আদায় করতে আসবেন বলেও জানান দিচ্ছেন। এসব এনজিও থেকে ঋণ নেয়া সদস্যদের বেশির ভাগই দরিদ্র পরিবারের। এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উপজেলার বিষ্ণুবল্লভ গ্রামের লাইলী বেগম,সাহিদা বেগম, মুকুল মিয়া, নিরাশা, সুলতান মিয়া জানান, আমরা গরিব মানুষ। একটু সুবিধার আশায় এসএসএস থেকে সাপ্তাহিক কিস্তিতে ঋণ নিয়েছি। লকডাউনে কাজ কর্ম বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্ত এর মধ্যে এনজিও কর্মী রফিকুল ইসলাম বাড়িতে এসে কিস্তির জন্য চাপ দিচ্ছেন। আমরা কিস্তি দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তিনি আমাদের মরতে বলেন। এনজিও কর্মি রফিকুল একটা কাগজ বের করে দিয়ে বলেন, প্রশাসন আসলে কাগজ দেখাব, আমাদের কিস্তি তোলার অনুমতি আছে। ওই কর্মীর এমন দাম্ভিকতা মোবাইল ফোনে ধারণ করতে গেলে হুঙ্কার দিয়ে উঠেন তিনি, বলেও জানান ভুক্তভোগিরা।

এছাড়াও, বিভিন্ন এনজিওর ঋণ গ্রহিতা মদনার পাড় গ্রামের হাফিজুর রহমান,শিরিনা বেগম, নাওড়ার সুফিয়া বেগম, নাসিমা বেগমসহ একাধিক ব্যক্তির সাথে হলে একই কথা জানান তারা।

তবে সোসাইটি ফর সোস্যাল সার্ভিসের (এসএসএস) মাঠ কর্মী রফিকুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, লকডাউনেও সীমিত পরিসরে কিস্তি আদায়ের নির্দেশনা রয়েছে। সেজন্য কিস্তি আদায় করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি বলেন, লকডাউনে কিস্তি তোলার কোন নিয়ম নেই। লকডাউন বাস্তবায়নে অনেকের আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। এসব অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানো আমাদের সকলের দায়িত্ব। কিন্তু এরকম পরিস্থিতিতে যদি কেউ চাপ প্রয়োগ করে কিস্তি আদায় তাহলে বিষয়টি অমানবিক। জোর করে কিস্তি আদায়ের বিষয়টি আমাদের অবগত করলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

//নিউজ/উলিপুর//মালেক/জুলাই/২৮/২১

The post উলিপুরে চলমান লকডাউনে চাপ প্রয়োগ করে কিস্তি আদায়ের অভিযোগ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
হাতিয়ায় বানভাসিদের কাছে কিস্তির টাকা আদায় করছে এনজিও https://www.ulipur.com/?p=8612 Mon, 22 Jul 2019 13:31:27 +0000 https://www.ulipur.com/?p=8612 ।। আব্দুল মালেক ।।উলিপুরে বানভাসিদের উপর চলছে এনজিওদের কিস্তির টাকা আদায়ে জোড় জুলুম। এ যেন মরার উপর খরার ঘাঁ। এনজিও কর্মীদের ভয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে ছেড়ে পুরুষরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে বানভাসিদের অভিযোগ। গত রবিবার (২১ জুলাই) হাতিয়া ইউনিয়নের অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেল ব্র্যাক মন্ডলের হাট শাখার মাঠকর্মী জয়শ্রী রানী বানভাসি মানুষের [...]

The post হাতিয়ায় বানভাসিদের কাছে কিস্তির টাকা আদায় করছে এনজিও appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। আব্দুল মালেক ।।
উলিপুরে বানভাসিদের উপর চলছে এনজিওদের কিস্তির টাকা আদায়ে জোড় জুলুম। এ যেন মরার উপর খরার ঘাঁ। এনজিও কর্মীদের ভয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে ছেড়ে পুরুষরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে বানভাসিদের অভিযোগ।

গত রবিবার (২১ জুলাই) হাতিয়া ইউনিয়নের অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেল ব্র্যাক মন্ডলের হাট শাখার মাঠকর্মী জয়শ্রী রানী বানভাসি মানুষের কাছ থেকে জোর করে ঋণের কিস্তির টাকা আদায় করছে। আমাদের পরিচয় পাওয়ার পর তাড়াহুড়া করে ওই মাঠকর্মী শটকে পড়ার জন্য তড়িঘড়ি করে নৌকায় চড়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এ সময় তার কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার চিঠি দিয়ে বন্যা চলাকালীন বানভাসিদের কাছ থেকে ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। কিন্তু তারপরও কেন আপনি কিস্তি আদায় করছেন জবাবে তিনি বলেন, আমরা কোন চিঠি পাইনি।

এ কথা শুনে বানভাসিরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন আমাদের জীবন বাঁচে না। তার উপর ওরা টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে। ওদের ভয়ে অনেক পুরুষ আশ্রয় কেন্দ্রে ছেড়ে দিনে পালিয়ে থাকে বলে জানান। বানভাসিরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে ওই মাঠকর্মী পালিয়ে যায়। এ সময় ঋণ গ্রহিতা মরিয়ম বেগম (৪১), কার্ত্তিক চন্দ্র (৫২) ও রেহানা (৩০) জানায় ওই মাঠকর্মী তাদের কাছ থেকে জোর করে কিস্তির টাকা আদায় করেছে।

হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বি এম আবুল হোসেন জানান, এনজিওদের এ ব্যাপারে চিঠি এবং মৌখিক ভাবে জানানো হলেও তারা তা মানছে না।

এ ব্যাপারে ব্র্যাক মন্ডলের হাট শাখা ব্যবস্থাপক প্রদীপ কুমার রায়ের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এখন ও চিঠি পাইনি তবে নিবার্হী অফিসারের এ সংক্রান্ত একটি ম্যাসেজ পেয়েছি, আর কর্মীরা মাঠে যাবে না বলে জানান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল কাদেরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এ ব্যাপারে এনজিও গুলোকে সতর্ক করে কিস্তি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নিদের্শ অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

The post হাতিয়ায় বানভাসিদের কাছে কিস্তির টাকা আদায় করছে এনজিও appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
উলিপুরে এতিম পরিবারের পাশে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ https://www.ulipur.com/?p=6190 Tue, 15 May 2018 11:07:43 +0000 http://www.ulipur.com/?p=6190 আব্দুল মালেকঃ উলিপুরে রমজান মাস উপলক্ষ্যে হতদরিদ্র ও অসহায় এতিম পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ নামের একটি এনজিও। রবিবার (১৩ মে ২০১৮) দুপুরে উপজেলার ধরনীবাড়ি ইউনিয়নে বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। সংস্থাটি রমজান উপলক্ষ্যে পর্যায় ক্রমে উপজেলার হাতিয়া, দলদলিয়া, ধামশ্রেনী,তবকপুর, বুড়াবুড়ি, পান্ডুল, দূর্গাপুর ইউনিয়নের ১ হাজার ১০১ টি পরিবারের [...]

The post উলিপুরে এতিম পরিবারের পাশে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
আব্দুল মালেকঃ
উলিপুরে রমজান মাস উপলক্ষ্যে হতদরিদ্র ও অসহায় এতিম পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ নামের একটি এনজিও। রবিবার (১৩ মে ২০১৮) দুপুরে উপজেলার ধরনীবাড়ি ইউনিয়নে বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। সংস্থাটি রমজান উপলক্ষ্যে পর্যায় ক্রমে উপজেলার হাতিয়া, দলদলিয়া, ধামশ্রেনী,তবকপুর, বুড়াবুড়ি, পান্ডুল, দূর্গাপুর ইউনিয়নের ১ হাজার ১০১ টি পরিবারের মাঝে ২০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৩ কেজি ছোলা ও ৩ কেজি চিনি বিতরণ করে। বিতরণ কালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ধরনীবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ফুলু, সংস্থার জেলা প্রকল্প ব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

The post উলিপুরে এতিম পরিবারের পাশে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
বন্যা খড়া কিছু বুঝি না কিস্তির টাকা দাও https://www.ulipur.com/?p=4196 Wed, 23 Aug 2017 17:09:48 +0000 http://www.ulipur.com/?p=4196 আব্দুল মালেকঃ আশ্রয় ও খাবারের খোঁজে যখন বন্যা দুর্গতরা ছুটছেন, তখন তাদের তাড়া করে ফিরছেন এনজিও কর্মীরা। দুর্গত এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ। কাজের সংকট থাকায় বন্ধ হয়ে গেছে আয়। তিন বেলা খাবার যোগাতেই যখন সাহায্যের দিকে তাকিয়ে মানুষ, সেই অবস্থাতেও দুশ্চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি। এভাবেই এনজিও জালে ঘুরপাক খেয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে বন্যা দূর্গতদের। উপজেলার [...]

The post বন্যা খড়া কিছু বুঝি না কিস্তির টাকা দাও appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
আব্দুল মালেকঃ
আশ্রয় ও খাবারের খোঁজে যখন বন্যা দুর্গতরা ছুটছেন, তখন তাদের তাড়া করে ফিরছেন এনজিও কর্মীরা। দুর্গত এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ। কাজের সংকট থাকায় বন্ধ হয়ে গেছে আয়। তিন বেলা খাবার যোগাতেই যখন সাহায্যের দিকে তাকিয়ে মানুষ, সেই অবস্থাতেও দুশ্চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি। এভাবেই এনজিও জালে ঘুরপাক খেয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে বন্যা দূর্গতদের।

উপজেলার ব্রহ্মপূত্র ও তিস্তা নদীর বিস্তীর্ণ অঞ্চল এখন বন্যা কবলিত। পানিতে ডুবে গেছে ফসল, নিচু এলাকায় বাড়িতেও থাকতে পারছে না মানুষ। জরুরি প্রয়োজনে বা আয়বর্ধক কোনো কাজে অর্থায়নের জন্য ঋুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছে অর্থ নিয়েছিলেন দুর্গতরা। প্রতি সপ্তাহেই শোধ করতে হয় এই ঋণের কিস্তি। আয় থাকলে এই কিস্তি দেয়া তেমন কোনো ঝামেলা হয় না বেশিরভাগ মানুষের কাছেই। তবে টাকার যোগান বন্ধ হওয়ায় এদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

কেউ কেউ কিস্তি দিতে জমানো টাকা ভাঙছে, কেউ বা ধারদেনা করছে, আবার কেউ এনজিওর ঋণ পরিশোধে অন্য এনজিও থেকে ঋণ নিচ্ছে। এতে একটি সংস্থার ঋণ পরিশোধ হলেও আসলে বেড়ে যাচ্ছে ঋণের বোঝা।

ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি আদায়ে নিম্ন আয়ের মানুষ দূর্ভোগে পড়লেও বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আর ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান গুলোর স্থানীয় কর্মীরা নির্দেশনা না থাকায় চাকরির স্বার্থেই জোর জবরদস্তি করে যাচ্ছে এসব বানভাসি মানুষকে।

উপজেলার বজরা ইউনিয়নের সাতালস্কর গ্রামের বাসিন্দা হাছনা বানু। বন্যার পানি তার বাড়িতে এখনও। তিন বেলা খাবার জোগাড় করতে পারছেন না। এই অবস্থাতে ‘মরার ওপর খাড়ার ঘা’ হিসেবে দেখা দিয়েছে ক্ষুদ্র ঋণের এনজিও। মানবেতর জীবন যাপনের মধ্যেও এনজিও আশা বজরা শাখার মাঠ কর্মী শাহাজাহান আলী কিস্তির টাকার জন্য বার বার তাগাদা দিয়ে হাছনা বানুর কাছে টাকা তুলে নিয়ে গেছেন। হাছনা বানু এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘বন্যায় বাড়িত পানি উঠছে, ঘরে খাবার নাই, কোনো মতে জীবন চলছে। এরমধ্যে কোথায় পাবো কিস্তির টাকা।’

গত শনিবার মাঠকর্মী ওই এলাকায় যায় কিস্তির টাকা তুলতে। তিনি পানিবন্দি ঋণ গ্রহিতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, এটা আশা এনজিও, আমাদের কাছে খড়া বন্যা কিছুই নেই। টাকা না দিলে ভবিষ্যতে আর ঋণ দেয়া হবে না। মাঠ কর্মী শাহাজাহান আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ হলে তিনি কিস্তি আদায়ের কথা স্বীকার করেন।

আশা বজরা শাখার ব্যবস্থাপক ফজলুল করিমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার ৫ জন মাঠকর্মী আছে। তাদেরকে মাঠে পাঠাই কিস্তি আদায়ের জন্য। যারা কিস্তি দিচ্ছে তাদেরটা নেয়া হচ্ছে আর যারা দিচ্ছে না তাদের কাছে জোড় করে আদায় করা হচ্ছে না।

একইভাবে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে, এসকেএস, টিএমএসএস’র (ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ) সহ সবক’টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বিরুদ্ধে।

ভারপ্রাপ্ত বজরা ইউপি চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদ এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নে যেসব এনজিও আছে, আমি তাদেরকে বন্যার সময় কিস্তি আদায় না করার জন্য নিষেধ করে দিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বন্যার সময় ঋণের টাকা কোন অবস্থাতেই জোড় জবর দস্তি করে তোলা যাবে না। এ বিষয়ে সকল এনজিওদের বলা হয়েছে।

The post বন্যা খড়া কিছু বুঝি না কিস্তির টাকা দাও appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>