কৃষক Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=কৃষক কুড়িগ্রাম জেলার তথ্য ও সংবাদ Thu, 08 Feb 2024 12:35:48 +0000 en-US hourly 1 https://www.ulipur.com/wp-content/uploads/2022/10/1665889308.png কৃষক Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=কৃষক 32 32 নাগেশ্বরীতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ https://www.ulipur.com/?p=30320 Thu, 08 Feb 2024 12:35:48 +0000 https://www.ulipur.com/?p=30320 ।। নিউজ ডেস্ক ।। নাগেশ্বরীতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ। ধান, সরিষা, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ বেড়েছে সমলয় পদ্ধতিতে। কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণের আওতায় নিয়ে আসতে সরকার বিভিন্ন ধরণের প্রণোদনাসহ প্রতিনিয়ত কৃষি কাজকে সহজ ও সাশ্রয়ী করতে কৃষকদের হাতের নাগালে নিয়ে আসছে আধুনিক পদ্ধতির বিভিন্ন সরঞ্জাম। এসবের মধ্যে অন্যতম ধানের চারা রোপণের মেশিন রাইস ট্রান্সপ্লান্টার। যান্ত্রিক [...]

The post নাগেশ্বরীতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
নাগেশ্বরীতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ। ধান, সরিষা, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ বেড়েছে সমলয় পদ্ধতিতে। কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণের আওতায় নিয়ে আসতে সরকার বিভিন্ন ধরণের প্রণোদনাসহ প্রতিনিয়ত কৃষি কাজকে সহজ ও সাশ্রয়ী করতে কৃষকদের হাতের নাগালে নিয়ে আসছে আধুনিক পদ্ধতির বিভিন্ন সরঞ্জাম। এসবের মধ্যে অন্যতম ধানের চারা রোপণের মেশিন রাইস ট্রান্সপ্লান্টার। যান্ত্রিক এই মেশিনটির মাধ্যমে সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদে কৃষকের সময়, শ্রম ও আর্থিক খরচ কমিয়ে ফসল উৎপাদন বাড়িয়ে দেবে দুই থেকে তিনগুণ পর্যন্ত।

স্থানীয় কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২৪ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলার ৪৩টি ব্লকের মধ্যে নেওয়াশী ইউনিয়নের গোবর্ধ্বনকুটি ব্লকে ৫০ একর এবং রায়গঞ্জ ইউনিয়নে ৫০ একর জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে চারা রোপণ করা হচ্ছে। এছাড়াও অন্যান্য ব্লকগুলোতে ৪ থেকে ৫ একর পর্যন্ত সব মিলে ২৯০ একর জমিতে এই পদ্ধতিতে চারা রোপণ করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) নেওয়াশী ইউনিয়নের গোবর্ধ্বনকুটি এলাকায় ৫০ একর জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে চারা রোপণের উদ্বোধন করেন উপজেলা কৃষি অফিসার শাহরিয়ার হোসেন।

কৃষকরা জানান, কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ও দিক নির্দেশনায় সমলয় পদ্ধতিতে বোরো চাষে ব্যাপক আগ্রহ বাড়ছে তাদের। চলতি বোরো মৌসুমে এ বছর ট্রেতে বীজতলা তৈরি, রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে চারা রোপণ করছেন। এছাড়াও ধান কর্তনও করবেন আধুনিক যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে। এতে করে প্রায় দ্বিগুণ খরচ কমার পাশাপাশি বাঁচবে সময় ও শ্রম।

গোবর্ধ্বনকুটি ব্লকের সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, কৃষক জাহাঙ্গীর আলম ১ একর জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো চাষ করছেন, মোস্তাফিজার রহমান চাষ করছেন দেড় বিঘা, মফিজুল ইসলাম ৪ বিঘা, নুর হোসেন ২ বিঘা ও আশরাফ আলী ২ বিঘাসহ অনেক কৃষক রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে বোরোর চারা রোপণ করছেন। তারা জানান, আগে তাদের ১ বিঘা জমিতে চারা রোপণ করতে কামলা খরচ যেত প্রায় ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা। কাটতেও একই খরচ যেত। এখন যেমন খরচও অনেক কম তেমনই সময়ও খুব কম লাগে। এভাবে চাষাবাদে ফলন ভালো হলে প্রতিবছরই সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষ করবেন তারা।

রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের চালক ফারুক হোসেন জানান, উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে আমাদেরকে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিন দিয়েছে। যেখানে ১ বিঘা জমিতে চারা রোপণ করতে ৫-৬ জন লোকের একদিন সময় লাগে সেখানে মেশিনের মাধ্যমে একজন লোক দিনে ১০ থেকে ১২ বিঘা জমিতে চারা রোপণ করতে পারবেন। অপরদিকে ১ বিঘা জমিতে চারা রোপণে খরচ হয় ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা সেখানে মেশিনের মাধ্যমে চারা রোপণে বিঘা প্রতি খরচ হচ্ছে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা। এছড়াও এই মেশিনের মাধ্যমে চারা রোপণের ফলে ধানের প্রতিটি গোছা নির্দিষ্ট ও সমান দূরত্বে থাকে আর প্রতিটি গোছায় নির্দিষ্ট পরিমাণ গাছের চারা থাকে। ফলে ফলনও ভালো হয়।

নেওয়াশী ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কৃষককে উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে আমরা ট্রেতে বীজতলা তৈরি করে সমলয়ে চাষাবাদের লক্ষ্যে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধান রোপণ করতেছি। এতে কৃষকের খরচ কমে যাওয়ার পাশাপাশি তারা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার শাহরিয়ার হোসেন বলেন, কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের লক্ষ্যে জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত স্যারের নির্দেশনায় আমরা সমলয়ে চাষাবাদের ব্যাপারে সার্বক্ষণিক মাঠ দিবসসহ নানাভাবে উদ্বুদ্ধকরণ করে তাদেরকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। এর ফলে উপজেলায় এ বছর সমলয়ে বোরো চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। আমরা সবসময় কৃষকদেরকে সঠিক পরামর্শ ও দিক নির্দেশনার মাধ্যমে তাদের পাশে থাকছি যাতে কৃষকদের ব্যয় কমে তাদের চাষকৃত কষ্টের ফসলে ফলন বৃদ্ধি পায় এবং তারা আর্থিকভাবে লাভবান হয়। আর কৃষকরা লাভবান হলে দেশ এগিয়ে যাবে।

The post নাগেশ্বরীতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কুড়িগ্রামে তীব্র শীতের পর স্বস্তির রোদ, লেগেছে বোরো আবাদের ধুম https://www.ulipur.com/?p=30023 Wed, 31 Jan 2024 08:21:18 +0000 https://www.ulipur.com/?p=30023 ।। নিউজ ডেস্ক ।। কুড়িগ্রামে তীব্র শীতে যখন সবার নাকাল অবস্থা তখন এক ঝলক রোদ যেন সবার মধ্যে স্বস্তি ফিরে এনেছে । গত দুদিনে তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৫ এবং ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি মেলসিয়াস। আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দমমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ রকম পরিস্থিতিতে দুর্ভোগে পরা [...]

The post কুড়িগ্রামে তীব্র শীতের পর স্বস্তির রোদ, লেগেছে বোরো আবাদের ধুম appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামে তীব্র শীতে যখন সবার নাকাল অবস্থা তখন এক ঝলক রোদ যেন সবার মধ্যে স্বস্তি ফিরে এনেছে । গত দুদিনে তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৫ এবং ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি মেলসিয়াস। আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দমমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ রকম পরিস্থিতিতে দুর্ভোগে পরা মানুষ রোদের কারণে স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরে এসেছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, তাপমাত্রা নিম্নগামী হলেও পরিষ্কার আকাশ ও তপ্ত রোদের কারণে কৃষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বোরো আবাদের ধুম। এ মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লক্ষ ১৭ হাজার ২১৫ হেক্টর। তবে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের বীজ রোপণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হয়েছে। শীতের কারণে আলুর আকার ও ফলন ভালো হয়েছে।

The post কুড়িগ্রামে তীব্র শীতের পর স্বস্তির রোদ, লেগেছে বোরো আবাদের ধুম appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
উলিপুরে সমলয় পদ্ধতিতে বীজতলায় কম খরচে বেশি ফলনের আশা কৃষকদের https://www.ulipur.com/?p=29928 Fri, 26 Jan 2024 16:32:57 +0000 https://www.ulipur.com/?p=29928 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।। উলিপুরে প্রচলিত পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি ও চারা রোপণ না করে প্লাস্টিকের ট্রেতে আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে লাগানো হয়েছে ধানের বীজ। এতে ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে চারা মাঠে লাগানোর উপযোগী হয়। রাসায়নিক সারের ব্যবহার না করে সামান্য জৈব সারের ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে কৃষকের খরচ কমে যাবে। প্লাস্টিকের ট্রেতে বীজতলা করায় ধানের [...]

The post উলিপুরে সমলয় পদ্ধতিতে বীজতলায় কম খরচে বেশি ফলনের আশা কৃষকদের appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
উলিপুরে প্রচলিত পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি ও চারা রোপণ না করে প্লাস্টিকের ট্রেতে আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে লাগানো হয়েছে ধানের বীজ। এতে ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে চারা মাঠে লাগানোর উপযোগী হয়। রাসায়নিক সারের ব্যবহার না করে সামান্য জৈব সারের ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে কৃষকের খরচ কমে যাবে। প্লাস্টিকের ট্রেতে বীজতলা করায় ধানের চারা উত্তোলন, রোপণ, সার, কীটনাশক প্রয়োগ, ফসল মাড়াই সবই একযোগে করা যাবে। উচ্চ ফলনশীল বোরো হাইব্রিড জাতের ‘জনক রাজ’ ধানের বীজ ব্যবহার করায় ১৪০ থেকে ১৪৫ দিনের মধ্যে ফসল তোলা সম্ভব। ধান চাষে কৃষকদের শ্রমিক সংকট নিরসন, সময় অপচয়রোধ ও অতিরিক্ত খরচ রোধে সরকারিভাবে কৃষি প্রণোদনার আওতায় উপজেলার ধরণীবাড়ী ইউনিয়নের মধুপুরে সমলয় চাষ পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি। ফলে কৃষিতে নতুন দুয়ার খুলছে।

উপজেলায় এ বছর প্রথমবারের মতো ৪০ শতক জমিতে সাড়ে ৪ হাজার ৫’শ ট্রেতে ধানের বীজ বপন করা হয়েছে। এরপর স্থানীয় ৯০ জন কৃষক ৫০ একর জমিতে ধান রোপণ করবে।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সর্বাধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে উচ্চ ফলনশীল জাত ব্যবহার, ট্রেতে বীজ বপন, কম বয়সের চারা রোপণ, চারা রোপণে রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার ব্যবহার, সুষম সার ব্যবহার, ধান কাটায় কম্বাইন্ড হারভেস্টার ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়ানো, উৎপাদন খরচ কমানো ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ভরা মৌসুমে ধান কাটার সময় কৃষি শ্রমিকের সংকটের সমাধানে সমলয় চাষাবাদ উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হবে।

বিশেষ অটোমেটিক কৃষি যন্ত্রের মাধ্যমে ট্রেতে চারা বপন করা হয়। ট্রেতে চারা বপনের কয়েকটি পদ্ধতি আছে । প্রথম ওই জমি পাওয়ার টিলার দিয়ে ৩/৪ চাষ করা হয়। এরপর মাটি সংগ্রহ করে নেটিং শেষে রোদে হালকা শুকানো হয়। এরপর মেশিনের মাধ্যমে মাটি ট্রেতে দেয়া হয়। তারপর মেশিনের সাহায্যে ট্রেতে অঙ্কুরিত বীজ দেয়ার পর আবারো মাটি দেয়া হয়। এরপর ট্রেগুলো জমিতে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়। মাটি যেন শুকিয়ে না যায়, সেজন্য পানি স্প্রে করা হয়। শীতে চারার যেন ক্ষতি না হয়, সেজন্য উপরে পলিথিন দেওয়া হয়েছে। গবাদি পশু চারা খেতে না পারে সেজন্য চতুর্দিকে ঘেড়া দেয়া হয়েছে। চারার উচ্চতা ৪/৫ ইঞ্চি লম্বা বা বয়স ২৫ থেকে ৩০দিন হলে তা জমিতে রোপণ করার উপযোগী হয়।

ট্রেতে চারা উৎপাদনে জমির অপচয়ও কম। রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার দিয়ে চারা একই গভীরতায় সমানভাবে লাগানো যায়। ফলে ফলনও বাড়ে। একসঙ্গে রোপণ করায় ধান একসঙ্গে পাকবে ও কৃষকরা একসঙ্গে ধান ঘরেও তুলতে পারবেন।

কৃষক সহিদুর রহমান (৫৮) বলেন, ‘প্রথমবারের মতো এমন পদ্ধতিতে ধানের বীজতলা করেছি। রাসায়নিক সার ব্যবহার হচ্ছে না। কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় ট্রেতে বীজ বপন ও চারা উৎপাদন হচ্ছে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ধানের চারা রোপণের ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’ আগামী ৪/৫ দিনের মধ্যে জমিতে চারা রোপণ করা হবে।

কৃষক চন্দন সরকার (৫২), অমরেন্দ্র নাথ (৬৫) সহ কয়েকজন কৃষক জানান, বোরো ধান চাষাবাদে তারা এর আগে কখনো আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে ট্রেতে ধানের চারা উৎপাদন করেননি।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হামিদুর রহমান বলেন, ‘কৃষিকে আধুনিক ও লাভজনক করতে টেকসই যান্ত্রিকীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর একটি “সমলয়” পদ্ধতি। কৃষকরা মাঠে একসঙ্গে একই জাতের ধান, একই সময়ে যন্ত্রের মাধ্যমে রোপণ করতে পারবেন। এ পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি, চারা রোপণ ও ধান কাটা সবই যন্ত্রের মাধ্যমে হবে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘প্রচলিত রীতিতে বীজতলা তৈরি না করে জমি ও সময় অপচয়রোধে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের যুগোপযোগী পদ্ধতি হচ্ছে সমলয় চাষ। স্বল্প জমিতে প্লাস্টিকের ফ্রেমে বা ট্রেতে লাগানো যায় ধানের বীজ। ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে চারা হয়। রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ করলে সময় কম লাগবে। একটা ট্রান্সপ্ল্যান্টার ঘণ্টায় এক একর জমিতে চারা লাগাতে পারে।

স্বল্প জমিতে অধিক পরিমাণ ধান উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় কৃষিতে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সমলয় পদ্ধতিতে বোরোর বীজতলা ও চাষাবাদের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। এর মধ্যে সরকারিভাবে কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রমের আওতায় কৃষকরা ট্রেতে বীজ বপন করেছেন। এতে উৎপাদন খরচ ও শ্রমিক সংকট দূর হবে। কৃষকরা আরও লাভবান হবেন।

//নিউজ//উলিপুর//মালেক/জানুয়ারি/২৬/২৪

The post উলিপুরে সমলয় পদ্ধতিতে বীজতলায় কম খরচে বেশি ফলনের আশা কৃষকদের appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
তীব্র শীতেও ব্যস্ত সময় পার করছে চিলমারীর কৃষকেরা https://www.ulipur.com/?p=29841 Mon, 22 Jan 2024 11:36:47 +0000 https://www.ulipur.com/?p=29841 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।। ঘন কুয়াশা, তীব্র ঠান্ডা সাথে বইছে হিমেল হাওয়া তবুও থেমে নেই চিলমারীর কৃষকেরা। শীত, বন্যা, খরার সঙ্গের প্রতিনিয়ত মোকাবেলা করতে হয় এই অঞ্চলের কৃষকদের। শত বাধার পড়েও তারা নেমে পড়েন মাঠে, বুনেন ফসল। এ বছরেও চলমার শৈত্যপ্রবাহকে উপেক্ষা করে বোরো চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করতে ব্যস্ত চিলমারীর কৃষকেরা। উপজেলার পেদিখাওয়া বিল, [...]

The post তীব্র শীতেও ব্যস্ত সময় পার করছে চিলমারীর কৃষকেরা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
ঘন কুয়াশা, তীব্র ঠান্ডা সাথে বইছে হিমেল হাওয়া তবুও থেমে নেই চিলমারীর কৃষকেরা। শীত, বন্যা, খরার সঙ্গের প্রতিনিয়ত মোকাবেলা করতে হয় এই অঞ্চলের কৃষকদের। শত বাধার পড়েও তারা নেমে পড়েন মাঠে, বুনেন ফসল। এ বছরেও চলমার শৈত্যপ্রবাহকে উপেক্ষা করে বোরো চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করতে ব্যস্ত চিলমারীর কৃষকেরা।

উপজেলার পেদিখাওয়া বিল, রমনা, মাছাবান্দা, হরিণের বিলসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে চিলমারীর অধিকাংশ কৃষকেরা নেমে পড়েছে মাঠে, বুনতে শুরু করেছে বোরোর চারা। আমন ধানের বাম্পার ফলন ঘরে তোলা শেষে কনকনে বাতাস আর হাড় কাঁপানো শীতকে উপেক্ষা করেই উপজেলার বোরো চাষিরা বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ বিষয়ে থানাহাট পেদিখাওয়া বিল এলাকার চাষি মহিজল হক বলেন, শীতের তীব্রতা বাড়লেও ভালো ফলন পেতে বোরোর চারা রোপণ করতে ঝুঁকে পড়েছেন তারা। কারণ একটু আগাম থাকতে বোরো ধানের চারা রোপণ করলে ধানের ফলন ভালো হয়। তেমনি ক্ষেতে রোগ-বালাই হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তেল ও সার সংকট নিয়ে চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তেল ও সারের দাম বৃদ্ধি সাথে কৃষকদের ধান উৎপাদন খরচও বৃদ্ধি পাবে।

এ সময় পেদিখাওয়া বিলের বোরোর মাঠে কাজ করা ফরিদুল, আলম, বাবলু, রেজাউলসহ অনেকের সাথে কথা হলে তারা জানান, পেট তো আর মানে না, চুক্তিভিত্তিক কাজ করি, তাই যতই শীত পড়ুক কাজ করাই লাগবে। এতে করে ৪শত থেকে ৫শত টাকার মতো দিন মজুরি পড়ে। এ সময় তারা আরও বলেন, জিনিসপত্রের যে দাম চলা খুবই মুশকিল হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে। তবে ইতিমধ্যে প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছে। কিন্তু চাষিরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অধিক জমিতে বোরো চাষ করবেন বলে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষান দাস বলেন, চলতি বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। মাঠে মাঠে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছেন। এ বছর উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড ধানের আবাদে ঝুঁকে পড়েছেন চাষিরা। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে আমনের মতোই উপজেলায় বোরো ধানেরও বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/জানুয়ারি/২২/২৪

The post তীব্র শীতেও ব্যস্ত সময় পার করছে চিলমারীর কৃষকেরা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
উলিপুরে আগাম জাতের আমন ধানে দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা https://www.ulipur.com/?p=27968 Wed, 01 Nov 2023 12:41:05 +0000 https://www.ulipur.com/?p=27968 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।। উলিপুরে আগাম জাতের আমন ধানের ভালো ফলন হয়েছে। পুরোদমে শুরু হয়েছে কাটাই-মাড়াই। ধানের ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে এখন হাসির ঝিলিক। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১ টি পৌরসভাসহ ১৩ টি ইউনিয়নে ব্রি ধান-৭০, ৭১, ৭৫, ৮০, ৮৭ ও ৯৩, বিনাধান-১১, ১৭, ব্র্যাক-১, হাইব্রিড এরাইজ-৭০০৬, হিরা ধান-১০, [...]

The post উলিপুরে আগাম জাতের আমন ধানে দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
উলিপুরে আগাম জাতের আমন ধানের ভালো ফলন হয়েছে। পুরোদমে শুরু হয়েছে কাটাই-মাড়াই। ধানের ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে এখন হাসির ঝিলিক।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১ টি পৌরসভাসহ ১৩ টি ইউনিয়নে ব্রি ধান-৭০, ৭১, ৭৫, ৮০, ৮৭ ও ৯৩, বিনাধান-১১, ১৭, ব্র্যাক-১, হাইব্রিড এরাইজ-৭০০৬, হিরা ধান-১০, ধনী গোল্ড ও পোটন পাইরী আগাম জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। এই মৌসুমে উপজেলায় আগাম জাতের আমন চাষ করা হয়েছে ৩ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমিতে।

আগাম জাতের এ ধান চাষের শুরু থেকে কাটা-মাড়াই পর্যন্ত কৃষকদের নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। বৃষ্টি নির্ভর আমন চাষের শুরুতেই খরার কারণে সেচের মাধ্যমে ধান গাছ বাঁচিয়ে রাখতে হয়েছে কৃষকদের। এরপর সঠিকভাবে পরিচর্যা করা হলেও ধান পাকা ও কাটার সময় হঠাৎ করে ঝড় হাওয়ায় যেন মরার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে দেখা দেয়। এত কিছুর পরেও উপজেলায় আগাম জাতের ধান চাষে সাফল্য এসেছে কৃষকের। ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় কৃষকের ঘরে ঘরে আগাম জাতের ধান উঠতে শুরু করেছে। আশ্বিন-কার্তিক মাসে এ ধান ঘরে তুলে বাজার মূল্য বেশি পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে ব্যবসায়ী ও ধান বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতিমণ আমন ধান ১ হাজার ১০০ টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাই কৃষকরা এখন পুরাতন জাত যেমন পানি সাইল, পাইজাম, বিআর-১১, ২২ সহ বিভিন্ন জাতের ধান চাষাবাদ না করে এই আগাম জাতের ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছে।

অপ্রিয় হলেও সত্য যে, এক যুগ আগেও আশ্বিন-কার্তিক মাসে এ অঞ্চলে দিনমজুর ও কৃষকের কাছে মঙ্গার মাস বলে বিবেচিত ছিল। সে সময় কৃষকদের হাতে কোন কাজ ছিল না। কিন্তু এখন আর সেদিন নেই। এখন বিভিন্ন জাতের আগাম ধান কৃষকের ঘরে ঘরে। আগে অগ্রহায়ণের প্রথম সপ্তাহের পর ক্ষেতের ধান কাটা-মাড়াই শুরু করা হতো। কিন্তু এখন আর আমন ধান কাটার জন্য অগ্রহায়ণ মাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। আগাম জাতের বিশেষ করে হাইব্রিড এজেড-৭০০৬ ধান কৃষকরা ঘরে ঘরে তুলছে আশ্বিন মাসেই। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অসময়ে বৃষ্টিপাত ও প্রচণ্ড খরায় চাষ উপযোগী নতুন নতুন জাতের ধান চাষ হচ্ছে এলাকায়। বীজতলায় বীজ বপনের দিন থেকে মাত্র ১২০ দিনের মধ্যেই আগাম জাতের এসব ধান ঘরে তোলা হচ্ছে।

উলিপুর পৌর শহরের নারিকেল বাড়ি খেয়ারপাড় এলাকার কৃষক জয়নাল আবেদীন জানান, আগাম জাতের আমন ধান ১১০ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে এই ধান কাটা-মাড়াইয়ের উপযোগী হয়। প্রতি বিঘা জমিতে গড়ে ফলন আসে ১৮ থেকে ২০ মণ। পোকামাকড়ের আক্রমণের আগেই এই ধান কাটা শেষ হয়ে যায়। আবার এই ধান কেটে দ্রুত ওই জমিতে আলু, গম, সরিষা, তিল ও তিসিসহ নানা জাতের সবজি আবাদ করা সম্ভব।

বজরা ইউনিয়নের আরেক কৃষক ফরিদ মিয়া জানান, এবার তিনি দেড় একর জমিতে আগাম জাতের ব্রি-৭৫, ৮৭ ও ৯৩ ধান রোপন করেছেন। ইতোমধ্যে আগাম জাতের ধান কাটা-মাড়াই প্রায় শেষ। প্রতি একরে তিনি ৫৫ থেকে ৬৫ মন ধান পেয়েছেন। বাজারে ধান ও খড়ের আটির দাম ভালো হওয়ায় তিনি খুশি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার ও কৃষিবিদ মোশাররফ হোসেন বলেন, আগাম জাতের ধানের ভালো ফলন হয়েছে। কম সময় ও অধিক ফলনের কারণে কৃষকরা এই জাতের ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

//নিউজ//উলিপুর//মালেক/নভেম্বর/০১/২৩

The post উলিপুরে আগাম জাতের আমন ধানে দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কুড়িগ্রামে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার পাচ্ছে ৭ হাজার কৃষক https://www.ulipur.com/?p=27832 Thu, 26 Oct 2023 15:34:54 +0000 https://www.ulipur.com/?p=27832 ।। নিউজ ডেস্ক ।। কুড়িগ্রাম সদরের প্রাণকেন্দ্রে প্রায় ৭ হাজার কৃষক পাচ্ছে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার। এ উপলক্ষে ফসলের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ১১ শতাধিক কৃষকের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণের মধ্যদিয়ে এর উদ্বোধন করা হয়। এতে [...]

The post কুড়িগ্রামে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার পাচ্ছে ৭ হাজার কৃষক appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রাম সদরের প্রাণকেন্দ্রে প্রায় ৭ হাজার কৃষক পাচ্ছে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার। এ উপলক্ষে ফসলের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ১১ শতাধিক কৃষকের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণের মধ্যদিয়ে এর উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেদুল হাসান এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. নাহিদা আফরীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রব রাজু, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শাহীন মিয়া প্রমুখ।

২০২৩-২৪ অর্থ বছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওয়তায় আগামী রবি মৌসুমের জন্য সদর উপজেলায় সরিষা, গম, ভুট্টা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, মুগ, মশুর, খেসারি, শীতকালীন পেঁয়াজ ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ ফসলের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৬৯২৫ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে এসব উপকরণ বিতরণ করা হবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. নাহিদা আফরীন বলেন, সদর উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের তালিকা করে আগামী রবি মৌসুমের জন্য প্রত্যেক কৃষককে এক বিঘা জমি আবাদের জন্য ৫০ কেজি বিভিন্ন মিশ্র রাসায়নিক সার, কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক দেয়া হয়েছে। যাতে করে এসব প্রান্তিক কৃষক তাদের এক বিঘা জমিতে এসব উপকরণ ব্যবহার করে চাষাবাদ করতে পারে।

The post কুড়িগ্রামে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার পাচ্ছে ৭ হাজার কৃষক appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
চিলমারীতে প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণে অনিয়ম https://www.ulipur.com/?p=24878 Thu, 15 Jun 2023 12:19:00 +0000 https://www.ulipur.com/?p=24878 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।। প্রতিবারের মতোই এবারেও কৃষকদের জন্য বরাদ্দকৃত প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তালিকায় অনিয়ম স্বজনপ্রীতি, ভাগবাটোয়ারা কারণে কতিপয় নামধারী কৃষক প্রণোদনার সার ও বীজ বাজারে বিক্রি করায় প্রকৃত কৃষকরা থেকে যাচ্ছে প্রণোদনার বাহিরে। বিতরণে অনিয়ম, তালিকায় দুর্নীতির কারণে ভেস্তে যাচ্ছে সরকারের উদ্দেশ্য। অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে কতিপয় উপ-সহকারী কৃষি [...]

The post চিলমারীতে প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণে অনিয়ম appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
প্রতিবারের মতোই এবারেও কৃষকদের জন্য বরাদ্দকৃত প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তালিকায় অনিয়ম স্বজনপ্রীতি, ভাগবাটোয়ারা কারণে কতিপয় নামধারী কৃষক প্রণোদনার সার ও বীজ বাজারে বিক্রি করায় প্রকৃত কৃষকরা থেকে যাচ্ছে প্রণোদনার বাহিরে। বিতরণে অনিয়ম, তালিকায় দুর্নীতির কারণে ভেস্তে যাচ্ছে সরকারের উদ্দেশ্য। অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে কতিপয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরাও জরিত বলেও জানা যায়। তবে নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেন অভিযুক্তরা।

জানা গেছে, চিলমারীর ৬টি ইউনিয়নের ১হাজার ৫০, জন কৃষকের জন্য রোপা আমন বীজ ও সার এর প্রণোদনা দেয়া হয়। এর মধ্যে থানাহাটে ২৩০, রানীগঞ্জে ২২০, রমনা মডেলে ২১০, নয়ারহাটে ১৩০, অষ্টমীরচরে ১৬০ এবং চিলমারী ইউনিয়নে ১০০ জন কৃষকের জন্য বিঘা ও জনপ্রতি ৫ কেজি রোপা আমন বীজ, ১০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি সার বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দ আসামাত্র তরিঘরি এবং পূর্বে তৈরি করা কিছু তালিকা মিল রেখে তালিকা করা হয়। তালিকায় নেয়া হয় অনিয়মের আশ্রয়। কতিপয় জনপ্রতিনিধি ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিজেদের লাভের জন্য তালিকা করতে নেয় অনিয়মের আশ্রয় সাথে স্বজনপ্রীতি। অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি আর দুর্নীতির ফলে সরকারের উদ্দেশ্য ভেস্তে যাচ্ছে।

বেশকিছু কৃষক অভিযোগ করে বলেন, বিএস (উপ-সহকারী কৃষি অফিসার) সাথে কিছু মেম্বার, চেয়ারম্যান নিজেদের লাভের জন্য জমি নাই, বা চাষ করে না এমন কিছু নামধারী কৃষকদের সুবিধা দিয়ে নিজেরাও লুটছেন ফায়দা। তারা আরো বলেন, নামধারী কৃষকরা বীজ আর সার তুলেই ভাগাভাগি করে তা সাথে সাথে বাজারে বিক্রি করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক বলেন, কৃষি অফিসের এবং এলাকার জনপ্রতিনিধিদের ভাগ না দিলে নাম দিতে চায়না, তাই বাধ্য হয়ে চুক্তি করতে হয় এবং বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতেও হয়।

কিছু অনিয়ম হতে পারে স্বীকার করে রানীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, তালিকা করেছে বিএস (উপ-সহকারী কর্মকর্তারা) আমি শুধু বিভাজন করে দিয়েছি।

অনিয়ম ঠেকাতে আমরা চেষ্টা করছি জানিয়ে রমনা মডেল ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আকা বলেন, আপনারা তো সব বোঝেন যে কোন বিষয় তালিকা করতে কিছু সমস্যা হয়ে থাকে বিভিন্ন সুপারিশ তো আছে।

নাম না জানা শর্তে কৃষি অফিসের ২জন উপ-সহকারী বলেন, কিছু সময় বাধ্য হয়ে বিভিন্ন চাপে তালিকা করতে নামধারী কিছু কৃষকের নাম উঠাতে হয়। তবে উপ-সহকারী কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন।

ফোনে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিসার মোঃ নুর আলম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি রংপুরে আছি আপনারা স্যারের সাথে কথা বলেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষাণ দাসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিব করেননি।

//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/জুন/০২/২৩

The post চিলমারীতে প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণে অনিয়ম appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
মৌসুমি কাজের সংকটে দিনাতিপাত করছেন কুড়িগ্রামের দিনমজুররা https://www.ulipur.com/?p=20265 Wed, 26 Oct 2022 05:24:13 +0000 https://www.ulipur.com/?p=20265 ।। নিউজ ডেস্ক ।।দেশের উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রাম জেলা দারিদ্রতার শীর্ষে থাকার তকমা কিছুতেই মুছতে পারছে না। ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, দুধকুমার, গঙ্গাধর ও ধরলাসহ ১৬টি নদ-নদী জালের মতো ছড়িয়ে আছে জেলা জুড়ে। এসব নদ-নদী অববাহিকায় অবস্থিত চরাঞ্চলগুলোতে মৌসুমি কাজের সংকটে দিনাতিপাত করছেন দিনমজুররা। ফলে কাজের সন্ধানে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছেন এ অঞ্চলের মানুষজন। অন্যদিকে [...]

The post মৌসুমি কাজের সংকটে দিনাতিপাত করছেন কুড়িগ্রামের দিনমজুররা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
দেশের উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রাম জেলা দারিদ্রতার শীর্ষে থাকার তকমা কিছুতেই মুছতে পারছে না। ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, দুধকুমার, গঙ্গাধর ও ধরলাসহ ১৬টি নদ-নদী জালের মতো ছড়িয়ে আছে জেলা জুড়ে। এসব নদ-নদী অববাহিকায় অবস্থিত চরাঞ্চলগুলোতে মৌসুমি কাজের সংকটে দিনাতিপাত করছেন দিনমজুররা। ফলে কাজের সন্ধানে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছেন এ অঞ্চলের মানুষজন।

অন্যদিকে স্বাভাবিক নিয়মে নভেম্বরের মাঝামাঝি আমন ধান কাটা শুরু না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে কৃষি শ্রমিকদের কাজের সংকট। অল্প সংখ্যক কৃষক আগাম জাতের ধান কাটা শুরু করলেও অনেক কৃষি দিনমজুর কাজের খোঁজে যাচ্ছেন দেশের নানা এলাকায়।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী এলাকার দিনমজুর আইনুল হক (৫২) বলেন, ”হামার এত্যি এ্যালাও ধান কাটা কাম শুরু হয় নাই, অন্য কামও নাই। পোত্তেকদিন কামলা বেচার জন্যে টাউনোত আসি ভিড় করি, কিন্তু টাউনোতো কাম জুটপ্যার নাগছে না। কাম না পায়া ম্যালা কামলা ঘুরি বাড়িত চলি যায়।”

মোগলবাসা ইউনিয়নে ধরলা নদী অববাহিকার চর সিতাইঝার গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি ধান কাটা শুরু হবে। তাই মৌসুমি কর্মসংকটের সময় আমাদের কৃষি শ্রমিকের হাতে কাজ নেই। আমরা কৃষিকাজ করে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা মজুরি পাই। এখন কাজ না থাকায় আমার শ্রম স্থানীয় বেগুনচাষীর কাছে কম দামে বিক্রি করেছি।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর এলাকার শ্রমিক আবুল কাশেম, নেওয়াজ মিয়া, খয়বর আলীসহ কয়েকজন দিনমজুর কুড়িগ্রাম বাসটার্মিনালের পাশে দূর দূরান্তের জেলাগুলোতে কাজের সন্ধানে যাবার জন্য বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কথা হলে তারা জানান, এই মাসের প্রথম দিকে আমরা কর্মহীন হয়ে পড়ি। প্রতিদিন বাড়ি থেকে কাজের সন্ধানে বের হচ্ছি। কাজ পাচ্ছি না। তাই কাজের সন্ধানে অন্য জেলাগুলোতে যাচ্ছি।

এবারে বন্যার কারণে দেরিতে ধান রোপণ করায় এই এলাকায় ধান কাটাও শুরু হবে দেরিতে। তাই কৃষি শ্রমিকরা মৌসুমি কর্ম সংকটে পরে। আর এই সংকটের কারণে অনেকেই দিনাজপুর, বগুড়া, শেরপুর, টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ধান কাটার জন্য যাচ্ছে। বাইরের ধান কাটা শেষে এলাকায় এসে অনেকেই আবার ধান কাটার কাজ শুরু করবেন।
জেলা প্রসাসন সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রামে ভারি কোন শিল্প কলকারখানা নেই। এখানে শিল্প কারখানা বলতে স্পিনিং মিল ১টি, জুট মিল ১টি, টেক্সটাইল মিল ১টি, কুটির শিল্প ৮০৪০টি, ক্ষুদ্র শিল্প ৩৪৩টি। কিন্তু স্পিনিং মিল, জুট মিল ও টেক্সটাইল মিল দীর্ঘদিন ধরে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে।

ছোটবড় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, হোটেল রেস্তরাঁ, বিভিন্ন দোকান, কৃষি খামার মিলে হাতে গোনা কিছু মানুষের কাজ জুটলেও বিশাল একটি অংশ দিনমজুর কর্মহীন থাকে। এরা এলাকায় কাজ না পেয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় কাজ করে জীবন চালায়। এরই একটি অংশ মূলত: মৌসুমী কাজে জড়িত থাকে। কিন্তু এবার মৌসুমী কাজের সংকটে তারাও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাজের সন্ধানে ছুটছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো. আজিজুল ইসলাম জানান, কুড়িগ্রামে বন্যার কারণে চর ও নিম্নঞ্চলগুলোতে আমন ধান রোপন হয় দেরিতে। সে কারণে এই সময় শ্রমিকদের হাতে কাজ থাকে না। জেলায় কৃষি শ্রমিক রয়েছেন প্রায় ২ লাখের বেশি । এরা অন্যান্য কাজেও শ্রম দিতে অভ্যস্ত। তবে বেশিরভাগই কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল। নভেম্বর মাসে আমন মৌসুমের ধান কাটামারাই আরম্ভ হলে জেলার কৃষি শ্রমিকদের চলমান মৌসুমি কাজের সংকট দূর হবে।

The post মৌসুমি কাজের সংকটে দিনাতিপাত করছেন কুড়িগ্রামের দিনমজুররা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
উলিপুরে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের টাকা পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন https://www.ulipur.com/?p=19954 Tue, 18 Oct 2022 09:05:25 +0000 https://www.ulipur.com/?p=19954 ।। নিউজ ডেস্ক ।।উলিপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক জমির মালিকানা নির্ধারণ হওয়ার পরেও বুড়ি তিস্তার সাড়ে ১২ কিলোমিটার জুড়ে অবস্থিত ৫৬.২৪ হেক্টর ব্যক্তির মালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকগণের মাঝে টাকা পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বেলা ১১টায় কেসি রোডের মসজিদুল হুদা মোড়ে আধা ঘন্টা রাস্তা বন্ধ করে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত [...]

The post উলিপুরে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের টাকা পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক জমির মালিকানা নির্ধারণ হওয়ার পরেও বুড়ি তিস্তার সাড়ে ১২ কিলোমিটার জুড়ে অবস্থিত ৫৬.২৪ হেক্টর ব্যক্তির মালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকগণের মাঝে টাকা পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বেলা ১১টায় কেসি রোডের মসজিদুল হুদা মোড়ে আধা ঘন্টা রাস্তা বন্ধ করে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। খননে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকগণের আয়োজনে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, কৃষক গোলাম সরওয়ারদী, আব্দুল হাই, নুর ইসলাম প্রমুখ।

//নিউজ/উলিপুর//মালেক/অক্টোবর/১৮/২২

The post উলিপুরে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের টাকা পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
উলিপুরে আউশের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি https://www.ulipur.com/?p=18924 Fri, 09 Sep 2022 13:12:42 +0000 https://www.ulipur.com/?p=18924 ।। নিউজ ডেস্ক ।। উলিপুরে চলতি মৌসুমে আউশ ধানের বাম্পার ভালো ফলন হয়েছে। এতে খুশি কৃষক ও কৃষি বিভাগ। এর কারণ হিসেবে কৃষি বিভাগ বলছে, আউশ ধান চাষে খরচ কম। বোরো কাটার পর এবং আমন ধান রোপণের পূর্বে জমিতে আউশ ধানের চাষ হয়ে থাকে। বিঘা প্রতি ফলন হয় ১৫ থেকে ১৬ মণ পর্যন্ত। এবারে আউশ [...]

The post উলিপুরে আউশের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে চলতি মৌসুমে আউশ ধানের বাম্পার ভালো ফলন হয়েছে। এতে খুশি কৃষক ও কৃষি বিভাগ। এর কারণ হিসেবে কৃষি বিভাগ বলছে, আউশ ধান চাষে খরচ কম। বোরো কাটার পর এবং আমন ধান রোপণের পূর্বে জমিতে আউশ ধানের চাষ হয়ে থাকে। বিঘা প্রতি ফলন হয় ১৫ থেকে ১৬ মণ পর্যন্ত। এবারে আউশ রোপনকৃত জমির সিংহভাগে ব্রি-৪৮ ধান চাষ করেছেন কৃষকরা। এ ধানের আয়ুষ্কাল ১৩৫ থেকে ১৪০ দিনের মতো।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মার্চের শেষে বীজ বপন, মে মাসে চারা রোপণ ও আগস্ট মাসে ধান কেটে আমন সহজে রোপণ করা যায়। কোনো বিঘ্ন ঘটে না। অল্প সেচে স্বল্প খরচে সব মিলিয়ে ফসলটি খুবই লাভজনক। তাই উপজেলায় আউশ ধানের চাষ ক্রমেই বাড়ছে।

উলিপুর পৌরসভার রাজারাম ক্ষেত্রী গ্রামের কৃষক চপল চন্দ্র বর্মন তার ৯১ জমিতে ব্রি-৪৮ জাতের আউশ ধান রোপন করেন। তিনি জানান, কৃষি অফিসের সার বীজ বাদে ধান রোপণ থেকে শুরু করে কর্তন পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ২১ হাজার টাকা। ধান পেয়েছেন ৫০ মণ। প্রতিমন ধান বিক্রি করেছেন ৯৩০ টাকায়। সে হিসেবে ধানের দাম আসে ৪৬ হাজার ৫’শ টাকা। খড় বিক্রি করলে হবে ৭ হাজার টাকা। সব মিলে অতিরিক্ত লাভ হয়েছে ৩২ হাজার ৫’শ টাকা।

উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ এবং সার বিতরণ করা হয়। এবারে উপজেলায় ৪২৫ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষ হয়েছে। ফলনও হয়েছে বাম্পার।

//নিউজ/উলিপুর//মালেক/সেপ্টেম্বর/০৯/২২

The post উলিপুরে আউশের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>