কৃষি Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=কৃষি কুড়িগ্রাম জেলার তথ্য ও সংবাদ Sat, 23 Mar 2024 05:40:54 +0000 en-US hourly 1 https://www.ulipur.com/wp-content/uploads/2022/10/1665889308.png কৃষি Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=কৃষি 32 32 উলিপুরে রবিশষ্যের চাষাবাদে নতুন মাত্রা যোগ করেছে সূর্যমুখী ফুল https://www.ulipur.com/?p=31292 Sat, 23 Mar 2024 05:14:49 +0000 https://www.ulipur.com/?p=31292 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।। উলিপুরে রবিশষ্যের চাষাবাদে নতুন মাত্রা যোগ করেছে সূর্যমুখী ফুল। উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলের মাটির গুণাগুণ, আবহাওয়া ও জলবায়ু তেলবীজ ফসল সূর্যমুখী চাষ করে লাভবান হওয়ার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত দুর্গম চরাঞ্চল বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বালাডোবা এলাকার তরুণ উদ্যোক্তা তিন জন বন্ধুকে সূর্যমুখী চাষে উদ্বুদ্ধ করতে এক একর [...]

The post উলিপুরে রবিশষ্যের চাষাবাদে নতুন মাত্রা যোগ করেছে সূর্যমুখী ফুল appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
উলিপুরে রবিশষ্যের চাষাবাদে নতুন মাত্রা যোগ করেছে সূর্যমুখী ফুল। উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলের মাটির গুণাগুণ, আবহাওয়া ও জলবায়ু তেলবীজ ফসল সূর্যমুখী চাষ করে লাভবান হওয়ার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত দুর্গম চরাঞ্চল বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বালাডোবা এলাকার তরুণ উদ্যোক্তা তিন জন বন্ধুকে সূর্যমুখী চাষে উদ্বুদ্ধ করতে এক একর জমিতে এই ফুল আবাদ শুরু করেছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে এটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

এখন বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বালাডোবা চরাঞ্চলে অবহেলিত জমিতে শোভা পাচ্ছে সূর্যমুখী। বিশাল এলাকা জুড়ে চাষ করা হয়েছে এই ফুল। পরম যত্নে বেড়ে উঠেছে সূর্যমুখী ফুলের প্রতিটি গাছ। হলুদ ফুল কৃষকের আশার আলো হয়ে তাকিয়ে আছে সূর্যের দিকে। চৈত্রের প্রখর রোদে বাতাসে দোল খাচ্ছে মনকাড়া সূর্যমুখী ফুলগুলো। সূর্যমুখীর হলুদ আভায় ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। দৃষ্টিনন্দন এমন দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করেন দর্শনার্থীরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সূর্যমুখী ফুলের তেল অত্যন্ত পুষ্টিকর ও ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ ভোজ্যতেল। উপজেলায় চরাঞ্চলের এক একর পতিত জমিতে কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় সূর্যমুখীর আবাদ শুরু করেছেন।

বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বালাডেবা এলাকার তরুণ উদ্যোক্তা তিন বন্ধু শাহাদত আলী, ওসমান আলী ও জিয়াউর রহমান চরাঞ্চলে ৬০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে ভূট্টা ও পেঁয়াজ চাষ শুরু করেন। পরবর্তীতে ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে তারা ১ একর পতিত জমিতে বাণিজ্যিকভাবে এই ফুলের চাষ শুরু করেন।

তরুণ উদ্যোক্তা শাহাদত আলী জানান, আমরা তিন বন্ধু মিলে চরাঞ্চলে ভূট্টা ও পেঁয়াজ চাষ শুরু করি। অন্যান্য ফসল আবাদের চেয়ে ফুল চাষে খরচ কম। এতে সার ও কীটনাশক কম লাগে এবং রোগ বলাই কম। খুব বেশি পরিচর্যাও করতে হয় না। স্বল্প খরচেই আমরা ১ একর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। এ বছর প্রথম চাষ করেছি তবে বাজারজাত কেমন করে করব সেই বিষয়ে চিন্তিত আছি।

মিজানুর রহমান, মহু বাদশা, সঞ্জু মোল্লাসহ স্থানীয় অনেক কৃষক জানান, চরে সূর্যমুখীর ফলন হবে আমরা ভাবতেও পারি নাই। ফলন দেখে ভালো লাগছে। আগামীতে আমরাও সূর্যমুখী চাষ করব।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাজেদুল করিম বলেন, সূর্যমুখীর চাষাবাদ কৃষকের নিকট জনপ্রিয় করে তুলতে এ অঞ্চলের পতিত জমিতে সূর্যমুখী ফুলের আবাদ বৃদ্ধিকল্পে তাদের তিন বন্ধুকে জন প্রতি ১ কেজি সূর্যমুখী বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি পটাশ সার সরকার থেকে প্রণোদনা দেওয়া হয়। সূর্যমুখী চাষে লাভের প্রত্যাশা বেশি। ফুল থেকে তেল, খৈল ও গাছ থেকে জ্বালানি পাওয়া যায়। প্রতি বিঘা জমিতে ৭-৮ মণ বীজ উৎপাদন হয়। প্রতি মণ বীজের বাজার মূল্য চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা। আমরা সরেজমিনে পাশে থেকে তাদেরকে সূর্যমুখী আবাদে উৎসাহ ও পরামর্শ দিচ্ছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ মোশাররফ হোসেন বলেন, লাভজনক ফসল সূর্যমুখী। আগামীতে এই উপজেলায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে। কৃষকদের এসব তেল প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাত করণে ক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানির সাথে কথা বলে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।

//নিউজ//উলিপুর//মালেক/মার্চ/২৩/২৪

The post উলিপুরে রবিশষ্যের চাষাবাদে নতুন মাত্রা যোগ করেছে সূর্যমুখী ফুল appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
উলিপুরে সমলয় পদ্ধতিতে বীজতলায় কম খরচে বেশি ফলনের আশা কৃষকদের https://www.ulipur.com/?p=29928 Fri, 26 Jan 2024 16:32:57 +0000 https://www.ulipur.com/?p=29928 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।। উলিপুরে প্রচলিত পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি ও চারা রোপণ না করে প্লাস্টিকের ট্রেতে আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে লাগানো হয়েছে ধানের বীজ। এতে ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে চারা মাঠে লাগানোর উপযোগী হয়। রাসায়নিক সারের ব্যবহার না করে সামান্য জৈব সারের ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে কৃষকের খরচ কমে যাবে। প্লাস্টিকের ট্রেতে বীজতলা করায় ধানের [...]

The post উলিপুরে সমলয় পদ্ধতিতে বীজতলায় কম খরচে বেশি ফলনের আশা কৃষকদের appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
উলিপুরে প্রচলিত পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি ও চারা রোপণ না করে প্লাস্টিকের ট্রেতে আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে লাগানো হয়েছে ধানের বীজ। এতে ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে চারা মাঠে লাগানোর উপযোগী হয়। রাসায়নিক সারের ব্যবহার না করে সামান্য জৈব সারের ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে কৃষকের খরচ কমে যাবে। প্লাস্টিকের ট্রেতে বীজতলা করায় ধানের চারা উত্তোলন, রোপণ, সার, কীটনাশক প্রয়োগ, ফসল মাড়াই সবই একযোগে করা যাবে। উচ্চ ফলনশীল বোরো হাইব্রিড জাতের ‘জনক রাজ’ ধানের বীজ ব্যবহার করায় ১৪০ থেকে ১৪৫ দিনের মধ্যে ফসল তোলা সম্ভব। ধান চাষে কৃষকদের শ্রমিক সংকট নিরসন, সময় অপচয়রোধ ও অতিরিক্ত খরচ রোধে সরকারিভাবে কৃষি প্রণোদনার আওতায় উপজেলার ধরণীবাড়ী ইউনিয়নের মধুপুরে সমলয় চাষ পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি। ফলে কৃষিতে নতুন দুয়ার খুলছে।

উপজেলায় এ বছর প্রথমবারের মতো ৪০ শতক জমিতে সাড়ে ৪ হাজার ৫’শ ট্রেতে ধানের বীজ বপন করা হয়েছে। এরপর স্থানীয় ৯০ জন কৃষক ৫০ একর জমিতে ধান রোপণ করবে।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সর্বাধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে উচ্চ ফলনশীল জাত ব্যবহার, ট্রেতে বীজ বপন, কম বয়সের চারা রোপণ, চারা রোপণে রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার ব্যবহার, সুষম সার ব্যবহার, ধান কাটায় কম্বাইন্ড হারভেস্টার ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়ানো, উৎপাদন খরচ কমানো ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ভরা মৌসুমে ধান কাটার সময় কৃষি শ্রমিকের সংকটের সমাধানে সমলয় চাষাবাদ উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হবে।

বিশেষ অটোমেটিক কৃষি যন্ত্রের মাধ্যমে ট্রেতে চারা বপন করা হয়। ট্রেতে চারা বপনের কয়েকটি পদ্ধতি আছে । প্রথম ওই জমি পাওয়ার টিলার দিয়ে ৩/৪ চাষ করা হয়। এরপর মাটি সংগ্রহ করে নেটিং শেষে রোদে হালকা শুকানো হয়। এরপর মেশিনের মাধ্যমে মাটি ট্রেতে দেয়া হয়। তারপর মেশিনের সাহায্যে ট্রেতে অঙ্কুরিত বীজ দেয়ার পর আবারো মাটি দেয়া হয়। এরপর ট্রেগুলো জমিতে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়। মাটি যেন শুকিয়ে না যায়, সেজন্য পানি স্প্রে করা হয়। শীতে চারার যেন ক্ষতি না হয়, সেজন্য উপরে পলিথিন দেওয়া হয়েছে। গবাদি পশু চারা খেতে না পারে সেজন্য চতুর্দিকে ঘেড়া দেয়া হয়েছে। চারার উচ্চতা ৪/৫ ইঞ্চি লম্বা বা বয়স ২৫ থেকে ৩০দিন হলে তা জমিতে রোপণ করার উপযোগী হয়।

ট্রেতে চারা উৎপাদনে জমির অপচয়ও কম। রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার দিয়ে চারা একই গভীরতায় সমানভাবে লাগানো যায়। ফলে ফলনও বাড়ে। একসঙ্গে রোপণ করায় ধান একসঙ্গে পাকবে ও কৃষকরা একসঙ্গে ধান ঘরেও তুলতে পারবেন।

কৃষক সহিদুর রহমান (৫৮) বলেন, ‘প্রথমবারের মতো এমন পদ্ধতিতে ধানের বীজতলা করেছি। রাসায়নিক সার ব্যবহার হচ্ছে না। কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় ট্রেতে বীজ বপন ও চারা উৎপাদন হচ্ছে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ধানের চারা রোপণের ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’ আগামী ৪/৫ দিনের মধ্যে জমিতে চারা রোপণ করা হবে।

কৃষক চন্দন সরকার (৫২), অমরেন্দ্র নাথ (৬৫) সহ কয়েকজন কৃষক জানান, বোরো ধান চাষাবাদে তারা এর আগে কখনো আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে ট্রেতে ধানের চারা উৎপাদন করেননি।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হামিদুর রহমান বলেন, ‘কৃষিকে আধুনিক ও লাভজনক করতে টেকসই যান্ত্রিকীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর একটি “সমলয়” পদ্ধতি। কৃষকরা মাঠে একসঙ্গে একই জাতের ধান, একই সময়ে যন্ত্রের মাধ্যমে রোপণ করতে পারবেন। এ পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি, চারা রোপণ ও ধান কাটা সবই যন্ত্রের মাধ্যমে হবে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘প্রচলিত রীতিতে বীজতলা তৈরি না করে জমি ও সময় অপচয়রোধে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের যুগোপযোগী পদ্ধতি হচ্ছে সমলয় চাষ। স্বল্প জমিতে প্লাস্টিকের ফ্রেমে বা ট্রেতে লাগানো যায় ধানের বীজ। ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে চারা হয়। রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ করলে সময় কম লাগবে। একটা ট্রান্সপ্ল্যান্টার ঘণ্টায় এক একর জমিতে চারা লাগাতে পারে।

স্বল্প জমিতে অধিক পরিমাণ ধান উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় কৃষিতে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সমলয় পদ্ধতিতে বোরোর বীজতলা ও চাষাবাদের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। এর মধ্যে সরকারিভাবে কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রমের আওতায় কৃষকরা ট্রেতে বীজ বপন করেছেন। এতে উৎপাদন খরচ ও শ্রমিক সংকট দূর হবে। কৃষকরা আরও লাভবান হবেন।

//নিউজ//উলিপুর//মালেক/জানুয়ারি/২৬/২৪

The post উলিপুরে সমলয় পদ্ধতিতে বীজতলায় কম খরচে বেশি ফলনের আশা কৃষকদের appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
রংপুরে স্মার্ট হবে কৃষক পাবে স্মার্ট কার্ড বিষয়ক আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত https://www.ulipur.com/?p=29110 Thu, 21 Dec 2023 14:07:09 +0000 https://www.ulipur.com/?p=29110 ।। নিউজ ডেস্ক ।। রংপুরে আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় রংপুর পর্যটন মোটেল কনফারেন্স হলরুমে কৃষি মন্ত্রণালয়ের “প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফরনিউট্রিশন এন্টারপ্রেনরশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ” (পার্টনার) কর্মসূচির আঞ্চলিক কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস। এ সময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি [...]

The post রংপুরে স্মার্ট হবে কৃষক পাবে স্মার্ট কার্ড বিষয়ক আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
রংপুরে আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় রংপুর পর্যটন মোটেল কনফারেন্স হলরুমে কৃষি মন্ত্রণালয়ের “প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফরনিউট্রিশন এন্টারপ্রেনরশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ” (পার্টনার) কর্মসূচির আঞ্চলিক কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার। বক্তব্য রাখেন, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ এনডিসি, ড. শাহ মোঃ হেলাল উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবির, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মাহবুবুল হক পাটওয়ারী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক সরেজমিন উইং পরিচালক মোঃ তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. সাবিনা ইয়াসমিন, কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ আফতাব হোসেন, পার্টনার কর্মসূচি সমন্বয়ক মোঃ মিজানুর রহমান, কর্মসূচির রংপুর অঞ্চলের সিনিয়র মনিটরিং অফিসার অশোক কুমার রায় প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয় এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ।

উল্লেখ্য, বর্তমান কৃষিকে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য টেকসই ও নিরাপদ বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরের মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কৃষি খাতে নেওয়া হয়েছে এই কর্মসূচি। এ প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। এটি কৃষির উন্নয়নে এ যাবৎ পর্যন্ত নেওয়া সবচেয়ে বড় প্রকল্প।

পার্টনার প্রকল্পটি পাঁচ বছরে বাস্তবায়ন করা হবে। ৬৪টি জেলার ৪৯৫টি উপজেলায় পার্টনার বাস্তবায়িত হবে জুলাই ২০২৩ থেকে ২০২৮ সালের জুন সময়সীমায়। মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৯১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ১৫১ কোটি টাকা ও প্রকল্প সাহায্য হিসেবে বিশ্বব্যাংক ও ইফাদ দিচ্ছে ৫ হাজার ৭৫৯ কোটি টাকা।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মন্ত্রণালয়ের অধীন ৭টি সংস্থা তাদের নির্ধারিত কার্যক্ষেত্রে প্রোগ্রামটি বাস্তবায়ন করছে, যেখানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর লিড এজেন্সির দায়িত্ব পালন করছে। পাশাপাশি কৃষি মন্ত্রণালয়ের আরও ৮টি সংস্থা এই প্রোগ্রামে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে কাজ করছে।

এই মেগা প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে উত্তম কৃষিচর্চা সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে ৩ লক্ষ হেক্টর ফল ও সবজি আবাদি জমি বৃদ্ধি, জলবায়ু অভিঘাত সহনশীল উচ্চফলনশীল নতুন ধানের ও ধান ছাড়া অন্য দানাদার ফসলের জাত উদ্ভাবনসহ মোট ৪ লক্ষ আবাদি জমির পরিমাণ বৃদ্ধি, উন্নত ও দক্ষ সেচ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ১ লক্ষ হেক্টর নতুন আবাদি জমি সেচের আওতায় আনয়ন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দেশব্যাপী ২ কোটি ২৭ লক্ষ ৫৩ হাজার ৩২১টি কৃষক পরিবারকে ‘কৃষক স্মার্টকার্ড’ দেওয়ার মাধ্যমে ডিজিটাল কৃষিসেবার সম্প্রসারণ করা হবে।

এছাড়া ই-ভাউচারে দেওয়া হবে ভর্তুকি, কৃষকদের জন্য তৈরি হবে কৃষক ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সিস্টেম। মোবাইল প্ল্যান্ট ক্লিনিকের মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণ সেবাকে কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে। ড্রিপ, স্প্রিংকলার, এডব্লিউডি ও ভূ-গর্ভস্থ সেচ নালাসহ সৌরশক্তি ব্যবহার করে সেচের পানি ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী পরিবর্তনের মাধ্যমে পানির অপচয় হ্রাস করা হবে।

প্রকল্পটি দেশের কৃষির খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ দেশের কৃষি সেক্টরের বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরে জাতীয় কৃষি নীতি-২০১৮ এর কর্মপরিকল্পনা (২০২০) ও উত্তম কৃষিচর্চা নীতিমালা ২০২০ বাস্তবায়নসহ এসডিজি, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ও ডেলটা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এই প্রকল্পের কার্যক্রমের মাধ্যমে এদেশের কৃষক, কৃষিসেবা, কৃষিসমাজ এবং কৃষি ব্যবসা সর্বোপরি বাংলাদেশের গ্রামীণ জনপদ রূপান্তরিত হবে স্মার্ট বাংলাদেশে।

The post রংপুরে স্মার্ট হবে কৃষক পাবে স্মার্ট কার্ড বিষয়ক আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
শাকসবজি চাষে পাল্টে যাচ্ছে কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের মানুষদের জীবিকা https://www.ulipur.com/?p=28469 Thu, 23 Nov 2023 14:01:02 +0000 https://www.ulipur.com/?p=28469 ।। নিউজ ডেস্ক ।। ১৬ নদ-নদী বেষ্টিত কুড়িগ্রাম জেলায় প্রতিবছর বন্যা আর ভাঙনের কবলে পড়ে অসংখ্য পরিবার গৃহহীন হয়। বিনষ্ট হয় চরের মানুষের কৃষি ফসল। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষিনির্ভর পরিবারগুলো। যার কারণে তারা এখন উন্নত পদ্ধতিতে করছেন চাষাবাদ। জেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে সমন্বিতভাবে শাকসবজি চাষে পাল্টে যাচ্ছে নদ-নদীর তীরবর্তী চরের মানুষের জীবন-জীবিকা। বন্যাকালীন সময়েও যাতে সবজি [...]

The post শাকসবজি চাষে পাল্টে যাচ্ছে কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের মানুষদের জীবিকা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
১৬ নদ-নদী বেষ্টিত কুড়িগ্রাম জেলায় প্রতিবছর বন্যা আর ভাঙনের কবলে পড়ে অসংখ্য পরিবার গৃহহীন হয়। বিনষ্ট হয় চরের মানুষের কৃষি ফসল। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষিনির্ভর পরিবারগুলো। যার কারণে তারা এখন উন্নত পদ্ধতিতে করছেন চাষাবাদ।

জেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে সমন্বিতভাবে শাকসবজি চাষে পাল্টে যাচ্ছে নদ-নদীর তীরবর্তী চরের মানুষের জীবন-জীবিকা। বন্যাকালীন সময়েও যাতে সবজি উৎপাদন অব্যাহত থাকে এজন্য কমিউনিটি ভিত্তিক সবজি ও বস্তায় আদা চাষে উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, জেলায় শাকসবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে। এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ১’শ হেক্টর জমিতে। এখনো শাকসবজি চাষ চলমান রয়েছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, চরাঞ্চলের মানুষের সমন্বিত কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষণসহ সবধরণের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। উলিপুরের তেথরাই ইউনিয়নের গোড়াই পিয়ার কুমার পাড়া এলাকার সাফিউল ইসলাম একজন সমন্বিত শাকসবজি চাষী। তিনি মাত্র ৪ শতক জমিতে সমন্বিতভাবে শাক চাষ করে লাভবান হয়েছেন।

সামিউল ইসলাম বলেন, আমার ৪ শতক জমিতে গাছ লাগিয়েছি পাশাপাশি লাল শাক, কলমি শাক, মিষ্টি কুমড়া ও রসুন রোপন করেছি। এখানে লাল শাক রোপনে আমার মাত্র ১৫০ টাকা খরচ হয়েছে। এযাবৎ ১ হাজার টাকার শাক বিক্রি করেছি। আরও দেড় হাজার টাকার শাক বিক্রি করব বলে আশা করছি। এছাড়াও তো অন্যন্য শাক আছে। ঠিকমতো যদি শাকসবজি চাষ করা যায়, তাহলে অনেক লাভ।

একই এলাকার রহিমা বেগম বলেন, আমি আমার ৮ শতক জমিতে বিভিন্ন প্রকার শাক আবাদ করেছি। ফলন অনেক ভালো হয়েছে। আশা করছি ভালোই লাভবান হতে পারব।

The post শাকসবজি চাষে পাল্টে যাচ্ছে কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের মানুষদের জীবিকা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কুড়িগ্রামে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার পাচ্ছে ৭ হাজার কৃষক https://www.ulipur.com/?p=27832 Thu, 26 Oct 2023 15:34:54 +0000 https://www.ulipur.com/?p=27832 ।। নিউজ ডেস্ক ।। কুড়িগ্রাম সদরের প্রাণকেন্দ্রে প্রায় ৭ হাজার কৃষক পাচ্ছে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার। এ উপলক্ষে ফসলের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ১১ শতাধিক কৃষকের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণের মধ্যদিয়ে এর উদ্বোধন করা হয়। এতে [...]

The post কুড়িগ্রামে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার পাচ্ছে ৭ হাজার কৃষক appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রাম সদরের প্রাণকেন্দ্রে প্রায় ৭ হাজার কৃষক পাচ্ছে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার। এ উপলক্ষে ফসলের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ১১ শতাধিক কৃষকের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণের মধ্যদিয়ে এর উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেদুল হাসান এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. নাহিদা আফরীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রব রাজু, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শাহীন মিয়া প্রমুখ।

২০২৩-২৪ অর্থ বছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওয়তায় আগামী রবি মৌসুমের জন্য সদর উপজেলায় সরিষা, গম, ভুট্টা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, মুগ, মশুর, খেসারি, শীতকালীন পেঁয়াজ ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ ফসলের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৬৯২৫ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে এসব উপকরণ বিতরণ করা হবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. নাহিদা আফরীন বলেন, সদর উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের তালিকা করে আগামী রবি মৌসুমের জন্য প্রত্যেক কৃষককে এক বিঘা জমি আবাদের জন্য ৫০ কেজি বিভিন্ন মিশ্র রাসায়নিক সার, কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক দেয়া হয়েছে। যাতে করে এসব প্রান্তিক কৃষক তাদের এক বিঘা জমিতে এসব উপকরণ ব্যবহার করে চাষাবাদ করতে পারে।

The post কুড়িগ্রামে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার পাচ্ছে ৭ হাজার কৃষক appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কুড়িগ্রামের বালুচরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পাট জাতীয় কেনাফ চাষ https://www.ulipur.com/?p=21680 Sun, 08 Jan 2023 12:51:51 +0000 https://www.ulipur.com/?p=21680 ।। নিউজ ডেস্ক ।।কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পাট জাতীয় ফসল কেনাফ ফসল চাষ। কম খরচে চাষ করা যায় বলে কেনাফ চাষে ঝুঁকছেন অনেক কৃষক। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর চরের পলিমাখা বালুজমিতে কেনাফ বীজ ছিটিয়ে আন্ত:পরিচর্চা, সার, কীটনাশক ছাড়াই আবাদ হচ্ছে ফসলটি। ফলে চরাঞ্চলের মানুষ কেনাফ চাষ করে ঘুরে দাঁড়াবার স্বপ্ন দেখছেন। কুড়িগ্রাম [...]

The post কুড়িগ্রামের বালুচরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পাট জাতীয় কেনাফ চাষ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পাট জাতীয় ফসল কেনাফ ফসল চাষ। কম খরচে চাষ করা যায় বলে কেনাফ চাষে ঝুঁকছেন অনেক কৃষক। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর চরের পলিমাখা বালুজমিতে কেনাফ বীজ ছিটিয়ে আন্ত:পরিচর্চা, সার, কীটনাশক ছাড়াই আবাদ হচ্ছে ফসলটি। ফলে চরাঞ্চলের মানুষ কেনাফ চাষ করে ঘুরে দাঁড়াবার স্বপ্ন দেখছেন।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গেল বছরের উৎপাদন আশানুরূপ হওয়ায় এবার ৫শ’ একর জমিতে চাষের টর্গেট নেয়া হয়েছে। চলতি বছর চিলমারী উপজেলায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে ২শ’ একর জমিতে কেনাফ বীজ আবাদ করা হয়েছে। ক্রমান্বয়ে আরও কেনাফ চাষ বাড়ছে

মূলত: কেনাফ আঁশ থেকে কাগজের পাল্প বা মন্ড তৈরি করে নিউজপ্রিন্ট মিলের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার, কেনাফ খড়ি হার্ডবোর্ড বা পার্টেক্স মিলের কাঁচামাল ও চারকোল তৈরিতে, পশুখাদ্যের কাঁচামাল, তেল উৎপাদন এবং বিদেশে প্রাইভেট কারসহ বিভিন্ন ইনটেরিয়র কাজের ইনস্যুলেটর হিসেবে কেনাফ ব্যবহার সম্ভব।

সূত্র আরও জানায়, প্রতি হেক্টর কেনাফ ফসল বাতাস থেকে প্রায় ১৪.৬৬ টন কার্বনডাই-অক্সাইড শোষণ করে এবং ১০.৬৬ টন অক্সিজেন নিঃসরণ করে বায়ুমন্ডলকে বিশুদ্ধ ও অক্সিজেন সমৃদ্ধ রাখে।

বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট ২০১৭-১৮ মৌসুমে চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপূত্র নদের দুর্গম চরাঞ্চল বনগ্রামে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে পাট জাতীয় প্রজাতী কেনাফ বীজ চাষ করা হয়। শুরুতেই লাভবান হওয়ায় এবছর বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট ৬টি ব্লকে কেনাফ বীজ উৎপাদন প্রযুক্তি জনপ্রিয়করণ ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম হাতে নেয়। ফলে ব্লকের বাইরে প্রায় ২শ’ একর জমিতে কেনাফ চাষ করা হয়। এটি চাষ করতে তেমন কোন খরচ করতে হয় না। ডাল জাতীয় ফসলের সাথে কিংবা ফুলকপি, বাঁধাকপি কিংবা বেগুনের সাথেও সাথী ফসল হিসেবে এটি চাষ করা যায়। এজন্য নিড়ানি, আন্ত:পরিচর্চা, কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না। অল্প সার দিলেই হয। গায়ে কাটা থাকায় গবাদিপশু আক্রমণ করতে পারে না। একরে উৎপাদন ১০ থেকে ১২ মণ। ৪ মাসের মধ্যেই ফসল ঘরে তোলা যায়। কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায় থেকে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কৃষক মাঠ দিবসসহ বিভিন্নভাবে কৃষকদের মাঝে কুড়িগ্রামে কেনাফ চাষের বিপুল সম্ভাবনা তুলে ধরে তাদের উদ্বুদ্ধ করছেন।

চিলমারী উপজেলার বনগ্রামের কৃষক কুদ্দুস আলী জানান, পাট চাষের চেয়েও অতি সহজে কেনাফ বীজ বা কেনাফ চাষ করা যায়। এতে খরচ অনেক কম কিন্তু লাভ অনেক বেশি। তাই এবারে তিনি ১৭.৫ একর জমিতে কেনাফ লাগিয়েছেন।

একই গ্রামের কৃষক আইয়ুব আলী বলেন, বিশ্বাসই করতে পারি নি কেনাফ চাষ করে এতো লাভ হবে। গ্রামের কুদ্দুস ভাইয়ের লাভ দেখে এবার আমিও ৩ একর জমিতে কেনাফ চাষ করছি। আশাকরছি আমিও লাভের মুখ দেখতে পারবো।

চিলমারী উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিশাণ দাস বলেন, অপ্রচলিত কেনাফ ফসল চাষ করে এখানকার কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছে। এটি সম্প্রসারণে কৃষকদের পাশে থাকবে কৃষি বিভাগ।

বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউটের জুট ফার্মিং সিস্টেমস বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নাসির উদ্দিন বলেন, প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে তোষাপাটের সাথে এই অঞ্চলে কেনাফ বীজ চাষ করা হয়। দেখা গেছে এক শতকে ৬ কেজি পর্যন্ত কেনাফ বীজ উৎপাদন করা যাচ্ছে। ফলে কৃষকরা আগ্রহী হওয়ায় এটি সম্প্রসারিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক (উইং) ড. নার্গিস আক্তার বলেন, দেশী পাট ও তোষা পাটের চেয়ে কেনাফের সুবিধাটা হলো এতে কৃষকের কোন বাড়তি খরচ করতে হয়না। উর্বর বালু মাটিতেও এটি উৎপাদন করা সম্ভব। এছাড়াও সাথী ফসল হিসেবে বেগুন ক্ষেত, বাধাকপির সাড়িতেও কেনাফ বীজ বা কেনাফ উৎপাদন করা যায়।

The post কুড়িগ্রামের বালুচরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পাট জাতীয় কেনাফ চাষ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
শীতকালীন সবজি চাষে লাভবান কুড়িগ্রামের চাষীরা https://www.ulipur.com/?p=20607 Sat, 12 Nov 2022 12:37:01 +0000 https://www.ulipur.com/?p=20607 ।। নিউজ ডেস্ক ।।উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রাম জেলার মানুষের প্রধান আয়ের উৎস কৃষিখাত। এবার ঘন বৃষ্টি ও দফায় দফায় বন্যায় আমন চাষাবাদ বিলম্বিত হলেও আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ঝুঁকেছেন কৃষকরা। এতে কৃষিখাতে এসেছে যেমন ফসলের ভিন্নতা তেমনি কৃষকরা হচ্ছেন লাভবান। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ৭ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন [...]

The post শীতকালীন সবজি চাষে লাভবান কুড়িগ্রামের চাষীরা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রাম জেলার মানুষের প্রধান আয়ের উৎস কৃষিখাত। এবার ঘন বৃষ্টি ও দফায় দফায় বন্যায় আমন চাষাবাদ বিলম্বিত হলেও আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ঝুঁকেছেন কৃষকরা। এতে কৃষিখাতে এসেছে যেমন ফসলের ভিন্নতা তেমনি কৃষকরা হচ্ছেন লাভবান।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ৭ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৭১০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির উৎপাদন শুরু হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকলে শীঘ্রই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা করছেন তারা। জেলার সর্বত্র কৃষি বিভাগের নিয়মিত তদারকি ও পরামর্শ অব্যাহত রয়েছে। গতবছরের চেয়ে এ মৌসুমে শাক-সবজির বাম্পার ফলন দেখা যাচ্ছে।

বর্তমানে লাউ, শিম, পটল, কুমড়া, টমেটো, বরবটি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, পেপে, করলাসহ বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির চাষ হচ্ছে। অনেক জমি থেকে শাক-সবজির উৎপাদন শুরু হয়েছে। দিনে দিনে শাক-সবজি চাষাবাদের জমির পরিমাণ বেড়েই চলেছে।

উলিপুরের পান্ডুল ইউনিয়নের ঝাড়ডাঙ্গা গ্রামের নুর আমিন জানান, ৩বিঘা জমিতে শীতকালীন সবজি লাগিয়েছি। এর মধ্যে ২ বিঘা জমিতে লাউ চাষ করেছি। একমাস থেকে লাউ বিক্রি করছি। ফলন অনেক ভাল হয়েছে। বাজারে দামও ভাল পাচ্ছি। অবশিষ্ট জমিতে শাক চাষ করেছি। শাক বিক্রি প্রায় শেষের দিকে।

কুড়িগ্রাম সদরের হলোখানা ইউনিয়নের কালোয়া গ্রামের পরেশ চন্দ্র জানান, ৫ বিঘা জমিতে লালশাক ও মুলাশাক আবাদ করেছি। আগাম চাষ করায় সবজি বেশি দামে বিক্রি করছি। এতে লাভ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

সদর উপজেলার কাঁঠাল বাড়ি ইউনিয়নের সবজি ব্যবসায়ী হামেদ আলী জানান, ৫ বিঘা জমির মুলাখেত, ৩ বিঘা জমির লাউখেত এবং ২ বিঘা জমির লালশাক কৃষকের নিকট থেকে চুক্তিতে অগ্রিম ক্রয় করে নিয়েছি। আমার টাকা নিয়ে সেসব কৃষক আবারও সবজি চাষ করছেন।

রাজারহাটের ছিনাই ইউনিয়নের মহিধর এলাকার কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, এবারে মোট ১৭ বিঘা জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ করছি। ৩ বিঘা জমিতে বেগুন, ৩ বিঘা জমিতে লাউ, ২ বিঘা জমিতে পালংশাক, ৪ বিঘা জমির করলা, ২ বিঘা জমিতে শসা ও ৩ বিঘা জমিতে কুমড়া লাগিয়েছি। এরমধ্যে লাউ, করলা ও শসা বিক্রি করা শুরু করেছি। আর অল্পদিন পরই অন্যান্য সবজি বিক্রি করতে পারবো। আশাকরছি এবার অনেক লাভের মুখ দেখতে পারবো।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, ‘ জেলায় ৭ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ৭১০ হেক্টর জমিতে শাক-সবজির উৎপাদন শুরু হয়েছে। আশাকরছি আর কিছুদিনের মধ্যে শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। সবজির আবাদ নিয়ে আমরা আশাবাদী। কৃষকদের পরামর্শ ও উৎসাহ দেয়া হচ্ছে।

The post শীতকালীন সবজি চাষে লাভবান কুড়িগ্রামের চাষীরা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কুড়িগ্রাম সদরের চরাঞ্চলে চাষাবাদ উপযোগী ফসলের বীজ বিতরণ https://www.ulipur.com/?p=19391 Wed, 12 Oct 2022 16:15:24 +0000 https://www.ulipur.com/?p=19391 ।। নিউজ ডেস্ক ।। কুড়িগ্রাম সদরে কৃষকদের মাঝে চরাঞ্চলে চাষাবাদ উপযোগী ফসলের বীজ বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন ফেডারেশন হলরুমে চর উপযোগী তিল, তিসি, লাউ ও মিস্টি কুমড়ার বীজ কৃষকদের বিতরণ করা হয়। এসময় যাত্রাপুর ইউনিয়নসহ জেলার ২০টি ইউনিয়নের ১৮০জন কৃষককে পর্যায়ক্রমে ১লক্ষ টাকার বীজ বিতরণ করা হয়। বিতরণ [...]

The post কুড়িগ্রাম সদরের চরাঞ্চলে চাষাবাদ উপযোগী ফসলের বীজ বিতরণ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রাম সদরে কৃষকদের মাঝে চরাঞ্চলে চাষাবাদ উপযোগী ফসলের বীজ বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন ফেডারেশন হলরুমে চর উপযোগী তিল, তিসি, লাউ ও মিস্টি কুমড়ার বীজ কৃষকদের বিতরণ করা হয়।

এসময় যাত্রাপুর ইউনিয়নসহ জেলার ২০টি ইউনিয়নের ১৮০জন কৃষককে পর্যায়ক্রমে ১লক্ষ টাকার বীজ বিতরণ করা হয়। বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যাত্রাপুর ইউনিয়ন ফেডারেশনের চেয়ারম্যান মো. জব্বার আলী সরকার, উপদেষ্টা সভাপতি মো. শাহাদত হোসেন, হুমায়ুন কবির সূর্য, প্রকল্প কর্মকর্তা হাসানুল কবির পলিন প্রমুখ।

আরডিআরএস বাংলাদেশ’র ট্রান্সবাউন্ডারী ফ্লাড রেজিলেন্স প্রজেক্ট ইন সাউথ এশিয়া প্রকল্প থেকে বিতরণকৃত বীজগুলো ২শ’ বিঘা জমিতে রোপন করা হবে। কৃষককে দেশীয় প্রজাতির ফসল চাষাবাদে উদ্বুব্ধ করতে এসব বীজ বিতরণ করা হয়।

The post কুড়িগ্রাম সদরের চরাঞ্চলে চাষাবাদ উপযোগী ফসলের বীজ বিতরণ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
মাল্টা চাষে সফল কুড়িগ্রামের ফারুক https://www.ulipur.com/?p=18698 Thu, 25 Aug 2022 16:35:44 +0000 https://www.ulipur.com/?p=18698 ।। নিউজ ডেস্ক ।। চাকরির পেছনে না ছুটে মাল্টা চাষে সফলতার মুখ দেখেছেন কুড়িগ্রামের আবু রায়হান ফারুক। পড়াশোনা শেষ করে মনোযোগ দেন কৃষিতে। শুরু করেন সাড়ে সাত একর জমিতে সমন্বিত ফলের চাষ। দেশি ও বিদেশি নানান জাতের ফলের গাছসহ তার বাগানে রয়েছে আড়াই হাজারের বেশি মাল্টা গাছ। আবু রায়হান ফারুক কুড়িগ্রামের বেলগাছা ইউনিয়নের হরিরামপুর গ্রামের [...]

The post মাল্টা চাষে সফল কুড়িগ্রামের ফারুক appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
চাকরির পেছনে না ছুটে মাল্টা চাষে সফলতার মুখ দেখেছেন কুড়িগ্রামের আবু রায়হান ফারুক। পড়াশোনা শেষ করে মনোযোগ দেন কৃষিতে। শুরু করেন সাড়ে সাত একর জমিতে সমন্বিত ফলের চাষ। দেশি ও বিদেশি নানান জাতের ফলের গাছসহ তার বাগানে রয়েছে আড়াই হাজারের বেশি মাল্টা গাছ।

আবু রায়হান ফারুক কুড়িগ্রামের বেলগাছা ইউনিয়নের হরিরামপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক পাস করে মাল্টা চাষ শুরু করেন।

বুধবার সরেজমিনে (২৩ আগস্ট) দেখা যায়, ফারুকের বাগানে সারিবদ্ধভাবে লাগানো গাছে ঝুলে আছে গ্রিন ব্রি-১ জাতের মাল্টা। কীটনাশক ও পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষায় ফুড প্যাক দিয়ে মোড়ানো ফলগুলো। এছাড়া মাল্টার পাশাপাশি তার বাগানে রয়েছে বিভিন্ন জাতের কমলা, লটকন, আম ও আঙ্গুরসহ নানা জাতের ফল গাছ।

২০১৮ সালে করা ফারুকের সমন্বিত বাগানে সবজি ক্ষেতও রয়েছে। একদিকে ফলের বাগান অন্যদিকে সবজি ক্ষেত থেকে হচ্ছে বাড়তি আয়। সমন্বিত এ বাগান দেখতে প্রতিদিনই আসে দর্শনার্থীরা। তার কাছ থেকে অনেকেই পরামর্শ নিয়ে বসতবাড়িতে করেছেন গুচ্ছা মাল্টার বাগান। ফারুকের স্বপ্ন কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হলে ফ্রুটস কর্নার জোন করে কৃষিতে আরও সমৃদ্ধি আনা যাবে।

প্রতিবেশী হারুনুর রশিদ ও আব্দুল হাকিম বলেন, ফারুকের মাল্টা বাগান বেশ সাড়া ফেলেছে। সে চাকরির পিছনে না ছুটে মাল্টা চাষ করে সফল হয়েছে। ওর বাগান দেখে আমরাও চেষ্টা করছি কিছু করার। ধান, পাট চাষের পাশাপাশি মাল্টা দিয়ে ভালো আয় করা সম্ভব।

বাগানের শ্রমিক আশরাফুল বলেন, আমি এই মাল্টার বাগানে দীর্ঘদিন থেকে কাজ করে আসছি। প্রতিদিন এখান থেকে যে টাকা পাই তা দিয়ে আমার পরিবার ও ছেলেমেয়ের পড়াশুনার খরচ চালাচ্ছি। এখানকার মাল্টা সুস্বাদু হওয়ায় চাহিদা অনেক বেশি।

এ বিষয়ে আবু রায়হান ফারুক বলেন, আমার বাগানে ২৬ জাতের মাল্টা গাছ রয়েছে। এর মধ্যে তিন জাত নিয়ে বাণিজ্যিক চাষ শুরু করেছি। একবিঘা জমিতে মাল্টা চাষে খরচ হয় ৩০ হাজার টাকা। মণপ্রতি মাল্টা ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। বছরে খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা আয় হয় এই বাগান থেকে। তবে বাগানটি আরো বড় করা গেলে বেশি লাভবান হওয়া যাবে।

তিনি আরও বলেন, বেকাররা শুধু চাকরির পিছে না ছুটে মাল্টা চাষ করতে পারেন। কৃষিনির্ভর কুড়িগ্রাম অঞ্চলে এখন নানা ধরনের ফলের বাগান দেখা যায়। আমার ইচ্ছে আছে চাকরি করে নয়, কৃষি কাজে স্বাবলম্বী হবো।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মোঃ শামসুদ্দিন মিঞা বলেন, জেলায় কৃষকরা বিক্ষিপ্তভাবে মাল্টা চাষ করেছেন। গত মৌসুমে জেলায় ৯ টনের বেশি মাল্টা চাষ হয়েছে। এ মৌসুমে মাল্টা চাষ আরও সম্প্রসারণ হচ্ছে। যদিও মাল্টা চাষের কোন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত নেই। এ ছাড়া তাদের পক্ষ থেকে চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ ও উৎসাহ দেওয়ার কথাও জানান কৃষি বিভাগের এ কর্মকর্তা।

The post মাল্টা চাষে সফল কুড়িগ্রামের ফারুক appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কুড়িগ্রামে শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় ধান কাটতে ব্যবহৃত হচ্ছে হার্ভেস্টার মেশিন https://www.ulipur.com/?p=17403 Thu, 19 May 2022 12:54:27 +0000 https://www.ulipur.com/?p=17403 ।। নিউজ ডেস্ক ।। কুড়িগ্রামে শষ্য কর্তনে শ্রমিক সংকট কাটাতে কৃষিতে ব্যবহার করা হয়েছে কম্বাইন হার্ভেস্টার মেশিন। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দুপুরে সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সদর ইউএনও মো. রাসেদুল হাসান, সদর [...]

The post কুড়িগ্রামে শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় ধান কাটতে ব্যবহৃত হচ্ছে হার্ভেস্টার মেশিন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামে শষ্য কর্তনে শ্রমিক সংকট কাটাতে কৃষিতে ব্যবহার করা হয়েছে কম্বাইন হার্ভেস্টার মেশিন। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দুপুরে সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সদর ইউএনও মো. রাসেদুল হাসান, সদর কৃষি অফিসার মো. জাকির হোসেন প্রমুখ।

সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জাকির হোসেন জানান, সরকারি উদ্যোগে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের একসাথে বীজ বপন, সার প্রয়োগ ও পরিচর্যা এবং এক সাথে কর্তনে সমালয় ভিত্তিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এতে কুড়িগ্রাম সদর ও নাগেশ্বরী উপজেলায় ১৭১ জন কৃষককে সম্পৃক্ত করা হয়।

তিনি আরও জানান, এ সময় স্থানীয় কৃষকদের চাহিদা মোতাবেক ১০০ একর জমিতে হাইব্রীডজাত ন্যাশনাল এগ্রোর জিনকরাজ বোরো ধানের বীজ সরবরাহ করা হয়। বীজ বপনে শ্রমিকদের বদলে রাইস ট্রান্স প্লান্টার মেশিন ব্যবহার করা হয় এবং ধান কর্তনেও কম্বাইন হার্ভেস্টার মেশিনের সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে। এতে খরচ সাশ্রয় হচ্ছে। যেখানে এক একর জমি কর্তনে শ্রমিকদের ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ দিতে হয়। সেখানে কম্বাইন হার্ভেস্টারের মাধ্যমে মাত্র ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়। ফলে শ্রমিকের উচ্চ মূল্য ও শ্রমিক সংকট কাটাতে কৃষকদের মেশিনের মাধ্যমে চারা রোপণ ও কর্তনে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে অন্যান্য কৃষকরাও উদ্বুদ্ধ হয়।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রশীদ জানান, দুটি উপজেলায় কৃষি প্রণোদনার মাধ্যমে সমালয় ভিত্তিক বোরো চাষাবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এতে কৃষকরা একসাথে জমিতে চারা রোপণ করবেন। একসাথে সার প্রয়োগ ও পরিচর্যা করবেন এবং একসাথে ধান কর্তন করবেন। এই সমালয় ভিত্তিকে কাজ করা হলে কৃষকদের খরচ সাশ্রয় হবে এবং উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে।

The post কুড়িগ্রামে শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় ধান কাটতে ব্যবহৃত হচ্ছে হার্ভেস্টার মেশিন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>