জনপ্রতিনিধি Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=জনপ্রতিনিধি কুড়িগ্রাম জেলার তথ্য ও সংবাদ Mon, 17 Oct 2022 17:01:33 +0000 en-US hourly 1 https://www.ulipur.com/wp-content/uploads/2022/10/1665889308.png জনপ্রতিনিধি Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=জনপ্রতিনিধি 32 32 উলিপুরে পুনর্বাসন সহায়তা প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ https://www.ulipur.com/?p=19810 Mon, 17 Oct 2022 17:01:31 +0000 https://www.ulipur.com/?p=19810 ।। নিউজ ডেস্ক ।।উলিপুরে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পুনর্বাসন সহায়তা প্রকল্পের প্রায় ১ কোটি ১৫ লাখ টাকার সিংহভাগ কেটে নিয়েছে শাসক দলীয় নেতা, ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের ক্যাডাররা। তালিকাভূক্ত মানুষজনের অভিযোগ, টাকা কেটে বা কেড়ে নেওয়ার সময়, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও, পিআইও, ব্যাংক কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারদের নামও উল্লেখ করেছে টাকা আদায়কারীরা। কারও নামে [...]

The post উলিপুরে পুনর্বাসন সহায়তা প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পুনর্বাসন সহায়তা প্রকল্পের প্রায় ১ কোটি ১৫ লাখ টাকার সিংহভাগ কেটে নিয়েছে শাসক দলীয় নেতা, ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের ক্যাডাররা। তালিকাভূক্ত মানুষজনের অভিযোগ, টাকা কেটে বা কেড়ে নেওয়ার সময়, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও, পিআইও, ব্যাংক কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারদের নামও উল্লেখ করেছে টাকা আদায়কারীরা। কারও নামে বরাদ্দ করা ৭৫ হাজার টাকার ৫০ হাজার, ৬০ হাজার টাকার ৪০ হাজার এবং ৫০ হাজার টাকার ৩০ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। টাকা কেটে নিয়েছে উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, হাতিয়া ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান ও তার ছোট ভাই মোখলেছুর রহমান। এ ব্যাপারে প্রকল্পের তালিকাভুক্ত মানুষজন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্র জানায় ‘নদী ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পুনর্বাসন সহায়তা প্রকল্পে উপজেলায় ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। এই টাকা ২১০টি পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়। পাঁচের অধিক সদস্যের পরিবারের জন্য ৭৫ হাজার টাকা, ৫ সদস্য পরিবারের জন্য ৬০ হাজার টাকা ও ৪ সদস্য পরিবারের জন্য ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। হাতিয়া ইউনিয়নে ৩০ জন, থেতরাই ইউনিয়নে ৩২ জন, বজরা ইউনিয়নে ২৫ জন, দলদলিয়া ইউনিয়নে ৩৩ জন ও বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে ৯০ জন পরিবারের নামে এই টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

হাতিয়া বকশী গ্রামের দেয়ানত উল্যার পুত্র আজিজুল হক জানান, ‘আমি গত ২ সেপ্টেম্বর উলিপুর কৃষি ব্যাংক থেকে ৭৫ হাজার টাকা তুলি। ব্যাংক থেকে বের হওয়ার সময় হাতিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমার সব টাকা নিয়ে নেন। এতে আপত্তি জানালে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে বাকি ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আমাকে ধমক দিয়ে বিদায় করে দেন। বাহে ‘টাকাগুলা দিন-ডাকাতি করি নিল।

একই গ্রামের কাশেম আলী পুত্র আব্দুর রহিম জানান, ‘আমি গত ২৮ সেপ্টেম্বর আমার নামে বরাদ্দ সরকারি সাহায্যের ৭৫ হাজার টাকা তুলতে উলিপুর কৃষি ব্যাংকে যাই। তোলার পর আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম টাকা গুলো আমার হাত থেকে নিয়ে নেন। প্রতিবাদ জানালে তিনি বলেন, ‘এই টাকা হাতিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, উপজেলা কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা, ইউএনও এবং জনপ্রতিনিধিদের দিতে হবে। আমাকে ধমক দিয়ে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে বাকি ৫০ হাজার টাকা নিয়ে নেন। আমার আপন ভাই রাজু মিয়ার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা কেড়ে নিয়েছেন তিনি।

একই কথা জানান, আজিজল হকের পুত্র সিরাজুল ইসলাম। একইভাবে শামছুল আলমের ৭৪ হাজার ৬’শ টাকার মধ্যে ২৭ হাজার টাকা তাকে দিয়ে বাকি টাকা কেড়ে নেন তিনি। ব্যাংকের পাশে ‘ছ’ মিলসংলগ্ন একটি গুদামে তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘নয়া চেয়ারম্যানকে দিতে হবে। উপজেলা চেয়ারম্যানকে দিতে হবে। তারপর ধমক দিয়ে তাকে বিদায় করে দেন।

বাবুর চর গ্রামের নুরবক্ত মিয়া জানান, তার ৫০ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে তোলার পর স্থানীয় ইউপি মেম্বার হাফিজুর রহমান তাকে ধরে নিয়ে এসে অটোবাইকে তুলে অনন্তপুর বাজারের দক্ষিণ পাশে এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে বাকি ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যায় মেম্বার। প্রতিবাদ জানালে তাকে হুমকি দেওয়া হয়।
একই গ্রামের শহিদুর রহমান জানান, তার ৬০ হাজার টাকার ৪০ হাজার টাকা কেড়ে নেন হাফিজুর মেম্বারের ভাই মোখলেছুর রহমান। এসময় মেম্বার উপস্থিত ছিলেন। বাকি টাকা চাইলে তাকে বলা হয়, ‘এই টাকা হাতিয়ার চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, ব্যাংক কর্মকর্তা, ইউএনও এবং বিভিন্ন নেতাকে ভাগ করে দিতে হবে। লুৎফর রহমান, মুকুল মিয়া, ফুল বাবু এবং আবু সাঈদের ক্ষেত্রেও একই রকমের ঘটনা ঘটেছে। তাদের কাছ থেকে বরাদ্দের টাকা কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে থেতরাই, বজরা, দলদলিয়া ও বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে পুনর্বাসন সহায়তা প্রকল্পের টাকা লুটপাট করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

হাতিয়া ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জোর করে টাকা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘এই অভিযোগ মিথ্যা।

হাতিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ইউপি চেয়ারম্যান জানান, ‘এই আদায়ের বিষয়টি একটি ‘চেইন-ওয়ার্ক। চেয়ারম্যান, মেম্বার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ অনেকে এই চেইনের অংশ।

হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শায়খুল ইসলাম নয়া বলেন, টাকা আদায়ের বিষয় আমার জানা নেই। কেউ যদি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে থাকে তাহলে সম্পূর্ণ মিথ্যা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিরাজুদৌলা বলেন, টাকা আদায়ের ঘটনা শুনেছি। আমাকে কেউ অভিযোগ করেনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোভন রাংসা বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়ার পর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। তিনি নিজে থেকে তদন্ত করার ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন।

কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক এম এ মতিন বলেন, তালিতা তৈরি কিংবা টাকা বিতরণে আমাকে জানানো হয়নি। এই অর্থ আদায়ের সাথে যারা জড়িত তারা যেই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

//নিউজ/উলিপুর//মালেক/অক্টোবর/১৭/২২

The post উলিপুরে পুনর্বাসন সহায়তা প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
উলিপুরে জনপ্রতিনিধিদের কারণে প্রকল্পের গরু পেল না ৩১’শ হতদরিদ্র পরিবার https://www.ulipur.com/?p=18592 Thu, 18 Aug 2022 07:32:10 +0000 https://www.ulipur.com/?p=18592 ।। নিউজ ডেস্ক ।। উলিপুরে প্রায় ১৪ কোটি টাকার গরু পায়নি সাড়ে ৩১‘শ হতদরিদ্র পরিবার। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের তালিকা নিয়ে টানা-টানির কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। একই অবস্থা হয়েছে পার্শ্ববর্তী রাজারহাট উপজেলাতেও। ফলে প্রকল্পের সুবিধা বঞ্চিত হয়েছেন এ অঞ্চলের দারিদ্র পীড়িত মানুষজন। জানা গেছে, কুড়িগ্রাম ও জামালপুর জেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর [...]

The post উলিপুরে জনপ্রতিনিধিদের কারণে প্রকল্পের গরু পেল না ৩১’শ হতদরিদ্র পরিবার appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে প্রায় ১৪ কোটি টাকার গরু পায়নি সাড়ে ৩১‘শ হতদরিদ্র পরিবার। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের তালিকা নিয়ে টানা-টানির কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। একই অবস্থা হয়েছে পার্শ্ববর্তী রাজারহাট উপজেলাতেও। ফলে প্রকল্পের সুবিধা বঞ্চিত হয়েছেন এ অঞ্চলের দারিদ্র পীড়িত মানুষজন।

জানা গেছে, কুড়িগ্রাম ও জামালপুর জেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দারিদ্র হ্রাসকরণ শীর্ষক প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে বগুড়ার বে-সরকারি সংস্থা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ)। কিন্তু শুরুতেই একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি, স্বচ্ছল ও ধনাঢ্য পরিবারের মাঝে গরু বিতরণসহ নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ২০২০ সালে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে প্রকল্পটি কাজ শুরু করে। ২০২১ সালের প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে প্রকল্পের মেয়াদ আরো এক বছর (২৩ সালের জুন পর্যন্ত) বাড়ানো হলেও গরু বিতরণ কার্যক্রম বাদ দেয়া হয়েছে। ফলে এ উপজেলায় ৩১৬০ হতদরিদ্র পরিবার গরু পাচ্ছেনা। এছাড়াও রাজারহাট উপজেলায় ১৯৬০ পরিবার এ প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তবে প্রকল্পের এগ্রো প্রসেসিং ইউনিট নির্মাণ ও ১৯৫৭০ জনের প্রশিক্ষণের কাজ চলমান রয়েছে বলেও জানায় সূত্রটি।

এদিকে নাম প্রকাশ না করতে প্রকল্পের একটি সূত্র বলছেন ভিন্ন কথা, সূত্রটি জানায় প্রকল্পের সুবিধাভোগি নির্বাচন করা হয়েছে বিবিএসের খানা জরিপের মাধ্যমে। কিন্ত উলিপুর ও রাজারহাট উপজেলার বেশিরভাগ জনপ্রতিনিধি চান তাদের মনোনীত তালিকা অনুযায়ী উপকারভোগি নির্বাচন করতে। দীর্ঘদিনেও সমঝোতায় আসতে না পারায় এ অর্থবছর প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হলেও, গরু বিতরণ কর্মসূচি বাদ দেয়া হয়।

জানা গেছে, দারিদ্রপীড়িত এ জেলার মধ্যে উলিপুর উপজেলায় ৪১০৫ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে গরু বিতরণ শুরু হয় ২০২০ সালের শেষের দিকে থেতরাই ইউনিয়নে। এছাড়াও চলতি বছরের মে মাসের শেষের দিকে ধামশ্রেনী ও দূর্গাপুর ইউনিয়নে ৬৩০ জন পরিবারের মাঝে গরু হস্তান্তর করা হয়। এরমধ্যে ৯টি গরু মারা গেছে। তবে সময়মত গরু কিনতে না পারায় পৌরসভাসহ ১১ টি ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ৩১৬০ গরু বিতরণ করা হবে না।

প্রতিটি গরুর মূল্য ৪০ হাজার টাকা। গরু লালন-পালনের জন্য ওষুধ বাবদ এককালীন ৩৫০ টাকা এবং প্রতিমাসে ৫০০ টাকা (৬ মাস) দেয়ার কথা। কিন্ত এটি নিয়েও বিস্তর অভিযোগ ভুক্তভোগিদের।

এছাড়াও অনেক সুবিধাভোগি তাদের গরু বিক্রি করেছেন, আবার কারো গরু মারা গেছে। দারিদ হ্রাস প্রকল্পের গরু পেয়ে কতজনের দারিদ্র হ্রাস পেয়েছে সেদিকেও খেয়াল নেই প্রকল্পের সংশ্লিষ্টদের। সম্প্রতি সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।

ধামশ্রেনী ইউনিয়নের ভদ্রপাড়া গ্রামের জয়নাল মিয়া জানান, ৩৯ হাজার টাকায় গরু কিনে দিয়েছে। খরচ বাবদ এক হাজার টাকা কেটে নেয় তারা। কিন্ত গরুটির বাজার মূল্য ৩৯ হাজার হওয়ার কথা না বলেও জানান তিনি।

থেতরাই ইউনিয়নের কিশোরপুর গ্রামের লিয়াকত আলী পেয়েছিলেন প্রকল্পের গরু। গরু পাওয়ার এক বছরের মাথায় নাক দিয়ে রক্ত পড়ে তার গরুটি মারা যায়। লিয়াকত আলী জানান, গরুসহ নগদ তিন হাজার টাকা পেয়েছিলেন তিনি। পরে গরুটি মারা গেলে প্রকল্পের লোকজন এসে বিভিন্ন নমুনা নেয়। এসময় তাকে মাছ চাষের আওতাভুক্ত করার জন্য এক হাজার টাকাও নেন প্রকল্পের লোকজন। কিন্ত এ পর্যন্ত তার হদিস পাওয়া যায়নি। একই গ্রামের ফুলবাবু নামের এক গ্রাম পুলিশের গরুটিও মারা গেছে।

ফাঁসিদাহ মাঝিপাড়ার রংমালা জানান, গরু আনার পর থেকে নানান অসুখ শুরু হয়। অনেক টাকা পয়সা খরচ হয়ে যায়। প্রাণি সম্পদ অফিসে বহুবার খবর দিলেও তারা কেউ আসেনি। খরচ বাবদ তিন হাজার টাকা দিলেও ওষুধের টাকা দেয়া হয়নি। পরে গরুটি বিক্রি করেন তারা।

জোগেস চন্দ্রের স্ত্রী তাপসী রাণী জানান, গরু দেয়ার পর আর খোঁজ নেয়নি। অন্যের বাড়িতে কাজের বিনিময় খড় নিয়ে আসি। খড় কেনার টাকা দেয়ার কথা ছিল, কিন্তু দেয় নি।

প্রকল্প পরিচালক জাহেদুল হক চৌধুরী বলেন, কুড়িগ্রাম জেলার ৮ উপজেলায় গরু বিতরণের টার্গেট ছিল ২৫ হাজার। দিতে পেরেছি ১৮হাজার ৯৫ জন হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে গরু বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু নাগেশ্বরী এবং চিলমারীতে সুষ্ঠু ভাবে বিতরণ সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি কর্তৃক গরু (সম্পদ হস্তান্তর) বাদ দেয়ার কারণে আগামীতে উলিপুরে ৩১৬০ ও রাজারহাটে ১৯৬০ পরিবারকে আর গরু দেয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে প্রকল্পের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল কুমার বলেন, প্রকল্প তৈরি,তালিকা দল গঠন সব ওনারা করেন। আমাদের দায়িত্ব হলো হাট আয়োজন ও হাটের নিরাপত্তা দেয়া। অন্যান্য বিষয় গুলো পিডি দেখেন।

কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক এম.এ মতিন বলেন, বিভিন্ন মহলের অসহযোগিতা ছিল। আরডিএ প্রকল্পের কিছুটা সেখানে অদক্ষতার বিষয় ছিল। যার ফলে টাকাটা ফেরত গেছে। চেষ্টা করা হচ্ছে টাকাটা ফিরে আনার জন্য।

//নিউজ/উলিপুর//মালেক/আগস্ট/১৮/২২

The post উলিপুরে জনপ্রতিনিধিদের কারণে প্রকল্পের গরু পেল না ৩১’শ হতদরিদ্র পরিবার appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
জনপ্রতিনিধি আব্দুর সাত্তারঃ জনগণের ভালোবাসাই যার মূলধন https://www.ulipur.com/?p=2603 Sat, 23 Jul 2016 07:06:53 +0000 http://www.ulipur.com/?p=2603 জরীফ উদ্দীন, উলিপুরঃ কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের পশ্চিমকালুডাঙ্গার সফল জনপ্রতিনিধি আব্দুর সাত্তার। তিনি সম্প্রতি হওয়া নির্বাচনসহ নির্বাচিত হয়েছেন মোট ৫ বার। যার স্বপ্ন শুধু এলাকাবাসীর উন্নয়নের দিকে। তিনি জনগণের কাজে ফাঁকি দেন না। জনগণ তাকে যখনই ডেকেছে তিনি তখনই সাড়া দিয়েছেন তিনি। এলাকায় কোন ঝগড়া বিবাদ হলেই থানায় মামলা পৌঁছানোর আগেই তিনি ফয়সালা করে [...]

The post জনপ্রতিনিধি আব্দুর সাত্তারঃ জনগণের ভালোবাসাই যার মূলধন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
জরীফ উদ্দীন, উলিপুরঃ
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের পশ্চিমকালুডাঙ্গার সফল জনপ্রতিনিধি আব্দুর সাত্তার। তিনি সম্প্রতি হওয়া নির্বাচনসহ নির্বাচিত হয়েছেন মোট ৫ বার। যার স্বপ্ন শুধু এলাকাবাসীর উন্নয়নের দিকে। তিনি জনগণের কাজে ফাঁকি দেন না। জনগণ তাকে যখনই ডেকেছে তিনি তখনই সাড়া দিয়েছেন তিনি। এলাকায় কোন ঝগড়া বিবাদ হলেই থানায় মামলা পৌঁছানোর আগেই তিনি ফয়সালা করে দেন। এই দীর্ঘ সময়ে এলাকার করেছেন ব্যাপক উন্নয়ন। রাস্তাঘাট, কবরস্থান, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির তৈরিতে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নতিকল্পে তিনি একজন ওয়ার্ড  প্রতিনিধি হয়েও ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে বেড়িয়েছেন। খোঁজ নিয়েছেন লেখাপড়ার। তিনি মনে করেন বর্তমান পরিস্থিতিতে ছেলেমেয়েদের কমপক্ষে এসএসসির আগে হাতে মোবাইল নয়। এই কথা বুঝিয়েছেন ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের। এমনকি তিনি বিভিন্ন সেমিনারেও এই কথা বলেছেন। তিনি কোমলমতী শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশে লেখাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি বাল্য বিয়ে প্রতিরোধকল্পে এলাকাবাসীকে সচেতন করেন। তিনি মনে করেন বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আমাদের দেশের উন্নতি সম্ভব নয়। তিনি দাবী করেন তার ওয়ার্ডে এখন বাল্য বিয়ে পুরোপুরি দূর করেছেন।

তার এলাকায় এখন মদ-গাজা, জুয়া-যাত্রা ইত্যাদি চিরতরে উঠে গেছে। এ ব্যাপারে তিনি জানান, জনগণ ও প্রশাসনের সহযোগীতায় তিনি এসব দূর করেন। তার মতে প্রশাসন নয় জনগনই পারে সমাজ থেকে সকল অপকর্ম দূর করতে। তার বারবার ইউপি সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার রহস্য জানান, জনগণকে তিনি ভালোবাসেন এবং জনগণের ভালোবাসাই তাকে বারবার পাঠিয়ে দিয়েছে এই মহান গুরুদায়িত্বে। আগামী ৫ বছরে তিনি তার ওয়ার্ডকে করতে চান একটি মডেল ওয়ার্ড।

ব্যক্তি জীবনে আব্দুর সাত্তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ের জনক। ভবিষ্যতে ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ার ইচ্ছা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, তার নির্বাচন করার ইচ্ছে একেবারেই নেই। এরপরও জনগণের দাবী দাওয়া পূরণ করতে বারবার সদস্য নির্বাচিত হওয়া। তবে জনগণের ইচ্ছে তাকে চেয়ারম্যান হিসাবে পাওয়ার। তিনি ১৯৮৮ সালে ১ বছর এবং গুনাইগাছ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এম. কফিল উদ্দিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হলে ৩ বছর সর্বমোট ৪ বছর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে ন্যায় নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। এতকিছুর পরও তার ইচ্ছে তার বড় ছেলে নূর আমিন তারই আদর্শকে লালন করে যেন জনগণের সেবা করে। এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হয়ে ইউনিয়নকে সঠিক স্থানে দাড় করান। স্থানীয় সরকারের জনগণের প্রতি যে দায়িত্ব আছে তা যথাযথ পালন করে জনগণের সাথে জীবন কাটান। জনগণ তাঁর সঙ্গে ছিল, আছে ও থাকবে এমনই আশাবাদ ব্যক্ত করেন আব্দুর সাত্তার।

জনপ্রিয় ও দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী এই জনপ্রতিনিধিকে উলিপুর ডট কমের পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা, এবং তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

The post জনপ্রতিনিধি আব্দুর সাত্তারঃ জনগণের ভালোবাসাই যার মূলধন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>