জলাবদ্ধতা Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=জলাবদ্ধতা কুড়িগ্রাম জেলার তথ্য ও সংবাদ Mon, 09 Oct 2023 06:43:52 +0000 en-US hourly 1 https://www.ulipur.com/wp-content/uploads/2022/10/1665889308.png জলাবদ্ধতা Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=জলাবদ্ধতা 32 32 কুড়িগ্রাম প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হয়েও নেই কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া https://www.ulipur.com/?p=27356 Mon, 09 Oct 2023 06:37:20 +0000 https://www.ulipur.com/?p=27356 ।। নিউজ ডেস্ক ।। শুধু নামেই প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। কিন্তু বাস্তবে নেই কোন নাগরিক সেবার নূন্যতম সুযোগ-সুবিধা। কুড়িগ্রাম পৌরসভার বেশিরভাগই সড়কের বেহাল দশায় প্রতিনিয়ত নাজেহাল হতে হচ্ছে পথচারীদের। বরাবরের মতোই দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পৌর মেয়রের। দেশ স্বাধীনের পর ২৭ দশমিক ২০ বর্গ কি.মি.আয়তন নিয়ে ১৯৭২ সালে স্থাপিত কুড়িগ্রাম পৌরসভা। এরপর ২০০৬ সালে প্রথম শ্রেণিতে [...]

The post কুড়িগ্রাম প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হয়েও নেই কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
শুধু নামেই প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। কিন্তু বাস্তবে নেই কোন নাগরিক সেবার নূন্যতম সুযোগ-সুবিধা। কুড়িগ্রাম পৌরসভার বেশিরভাগই সড়কের বেহাল দশায় প্রতিনিয়ত নাজেহাল হতে হচ্ছে পথচারীদের। বরাবরের মতোই দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পৌর মেয়রের।

দেশ স্বাধীনের পর ২৭ দশমিক ২০ বর্গ কি.মি.আয়তন নিয়ে ১৯৭২ সালে স্থাপিত কুড়িগ্রাম পৌরসভা। এরপর ২০০৬ সালে প্রথম শ্রেণিতে উন্নিত হয় এই পৌরসভা। প্রায় দুই লক্ষ মানুষের বসবাস। এই পৌরসভায় রয়েছে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার কার্যালয়, জেলা কারাগার, সদর থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ হাট-বাজার।

জেলার প্রাণ কেন্দ্রে ব্যস্ততম কুড়িগ্রাম ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সড়কের জরাজীর্ণ অবস্থা। এই রাস্তা দিয়ে চলাচলে প্রতি মুহূর্তে হাজারো ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে রোগী ও সাধারণ মানুষকে। রোগী নিয়ে সরকারি কিংবা বেসরকারি হাসপাতালে যাওয়ার প্রধান সড়কের করুণ অবস্থার কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে পৌরবাসীসহ সাধারণ মানুষকে। রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে গাড়ির ঝাঁকিতে রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় একটু বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার দিন কাটে পৌরবাসীর।

সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় শহরের গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল সড়ক, গাড়িয়াল পাড়া, দক্ষিণ হাসপাতাল পাড়া (রৌমারী পাড়া),গড়ের পাড়, খেজুরের তল, হরিকেশ মোড়, হাটির পাড়, ভেলাকোপ, মাটিকাটার মোড়, নীলারাম ও মোগলবাসা সড়কসহ ছোট-বড় খালখন্দে বিপর্যস্ত অবস্থা বিরাজ করছে। এসব সড়কের কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয়েছে গর্ত। বিভিন্ন স্থানে পিচ উঠে কোথাও খোয়া ও কোথাও মাটি বেরিয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে পানি জমে জলাবদ্ধতার কারণে এসব সড়ক দিয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ায় প্রায় সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে। প্রতিনিয়ত যানবাহনের ক্ষতি হওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন চালকরা।

শাপলা চত্ত্বর হয়ে আদর্শ পৌর বাজার, হাসপাতাল পাড়া, হাটির পাড়, গাড়িয়াল পাড়া ও মাটি কাটার মোড়সহ শহরের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নাজুক অবস্থা। এতে একটু বৃষ্টি
হলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ও হাসপাতাল পাড়া সড়কসহ দক্ষিণ হাসপাতাল পাড়া, হাটির পাড় ও স্বাধীন পাড়াসহ অধিকাংশ ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জলাবদ্ধতার শিকার হন। এছাড়াও পৌরবাসীর জন্য নেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিনের ব্যবস্থা। ফলে সড়কের উপর এবং ড্রেনের পাশেই ময়লা-আবর্জনা ফেলতে বাধ্য হচ্ছে পৌরবাসী।

হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা মোশাররফ মিয়া বলেন, আমরা নামমাত্র ১নং পৌরসভা পেয়েছি। কিন্তু কোন নাগরিক সেবার বালাই নেই এখানে।

জেসমিন আক্তার বলেন, হাসপাতাল যাওয়ার রাস্তা দেখে মনে হয় এই রাস্তাই এখন কোমায় চলে গেছে। রোগী ও স্বজনদের এই রাস্তা দিয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জলাবদ্ধতা আর নোংরা পানিতে চলাচলের জন্য চুলকানি, ডায়রিয়া, জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হতে হচ্ছে।

অটোচালক রোস্তম মিয়া বলেন, পৌরসভার কোন রাস্তা যে ভালো আছে সেটাই মনে পড়ে না। সব রাস্তার বেহাল দশা। আমরা পৌর কর নিয়মিত দিয়ে থাকি। কিন্তু নাগরিক সেবা পাচ্ছি না। প্রায় সময় অটোরিকশার গ্লাস, নাট-বল্টু ও বিয়ারিং ভেঙ্গে যায়। এতে আমাদের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে রোজগার কমছে শুধু রাস্তার কারণে।

হাটির পাড়ের বাসিন্দা সেকেন্দার আলী বলেন, সরকার দলীয় টানা দুই দফা মেয়র পেয়েছে পৌরবাসী। কিন্তু দৃশ্যমান উন্নয়নের নামমাত্র আমাদের পৌরসভায় নেই। দিন যতই যাচ্ছে ততই এই পৌর এলাকায় বসবাস অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। একটু বৃষ্টি হলে ড্রেনের পানি দিয়ে রাস্তা তলিয়ে যায়। এমন নোংরা পানিতে ভিজে স্কুলে যেতে হয় বাচ্চাদের। আমাদের দূর্ভোগ কাকে বলব? মেয়র ও কাউন্সিলররা তাদের নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত।

রাজা মিয়া বলেন, এমন মেয়রের জন্য সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত সরকারের উপর। হাসপাতাল পাড়ার কোন লোক মারা গেলে সেই লাশ কবরস্থান পর্যন্ত কাঁধে করে হেটে যাবার উপায় নেই শুধু রাস্তার দুর্দশার কারণে।

মর্জিনা বেগম বলেন, কিছু দিন আগে রিভার ভিউ স্কুল থেকে মাটিকাটার রাস্তাটি এমপির বাড়ির গেট পর্যন্ত ঠিক করেছে। অথচ রাস্তার বাকি অংশ জরাজীর্ণ অবস্থা থাকলেও ঠিক করার কোন উদ্যোগ নেই। এটাই হলো পৌরসভার উন্নয়ন। যে উন্নয়ন সাধারণ মানুষের জন্য নয়।

গফুর মিয়া বলেন, পৌরসভার সড়কের পাশে বহুতল ভবন নির্মাণ হলেও নেই কোন পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। পৌরসভার রাস্তার প্রশস্ত কম। অথচ পৌরসভার তদারকির অভাবে প্রায় সময় রাস্তার ওপর বালু ও ইট ফেলে রাখা কিংবা রোগী বহন গাড়ি রাস্তায় দাঁড় করানোর কারণে যানজট নিত্যদিনের সঙ্গী পৌরবাসীর। এই ভোগান্তি আরও বাড়ে যখন কোন রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের সময় এই সরু রাস্তায় গাড়ির কয়েকগুণ চাপ বেড়ে যাওয়ায়।

কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়র কাজিউল ইসলাম বলেন, এই পৌরসভায় ১৮৬ কিলোমিটার রাস্তা এবং প্রায় ৬০ কিলোমিটার ড্রেন রয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ নগর পরিকল্পনা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ছয় কিলোমিটার রাস্তা এবং জলবায়ু প্রকল্পের অধীনে দু’কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার ড্রেন সংস্কার করার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। খুব দ্রুত সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।

//নিউজ/কুড়িগ্রাম//শাহীন/অক্টোবর/০৭/২৩

 

The post কুড়িগ্রাম প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হয়েও নেই কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
উলিপুরে জলাবদ্ধতায় আশ্রয়ণের ৪০ পরিবারের শতাধিক মানুষ https://www.ulipur.com/?p=26473 Thu, 31 Aug 2023 13:32:12 +0000 https://www.ulipur.com/?p=26473 ।। নিউজ ডেস্ক ।।উলিপুরে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পে মাথা গোঁজার ঠাই হলেও ভোগান্তির শেষ নেই সুবিধাভোগীদের। জলাবদ্ধতাসহ নানা সংকটে বিপাকে পড়েছে আশ্রয়ণ বাসিন্দারা। উপজেলার ধরণীবাড়ী ইউনিয়নের মুন্সিবাড়ি এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো আবাদি নিচু জমিতে হওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন তারা। জানা গেছে, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার [...]

The post উলিপুরে জলাবদ্ধতায় আশ্রয়ণের ৪০ পরিবারের শতাধিক মানুষ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পে মাথা গোঁজার ঠাই হলেও ভোগান্তির শেষ নেই সুবিধাভোগীদের। জলাবদ্ধতাসহ নানা সংকটে বিপাকে পড়েছে আশ্রয়ণ বাসিন্দারা। উপজেলার ধরণীবাড়ী ইউনিয়নের মুন্সিবাড়ি এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো আবাদি নিচু জমিতে হওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন তারা।

জানা গেছে, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচির আওতায় মুন্সিবাড়ি আশ্রয়ণ কেন্দ্রে মাটি ভরাটকরণ ও রাস্তা নির্মাণের জন্য দুই দফায় ৬ লাখ ও ৪ লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শুধু লোক দেখানো কয়েক ট্রাক্টর মাটি ফেলানো হয়েছে।

সরেজমিন ধরণীবাড়ীর মুন্সিবাড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা গেছে, কয়েক দিনের বৃষ্টির ফলে আশ্রয়ণের চারদিকে থইথই পানি। ১৫ দিনের জলাবদ্ধতায় সেই পানিতে শ্যাওলা জন্মেছে। নির্গমনের পথ না থাকায় নোংরা ও অর্ধপঁচা এসব পানি ও কাদা মাড়িয়ে চলাচল করছে আশ্রয়ণের নারী-পুরুষ ও শিশুরা। নোংরা এসব পানির মাঝেই বসবাস করছে তারা। প্রকল্পের ভিতরে চলাচলের রাস্তা পানিতে নিমজ্জিত থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছে সেখানকার ৪০টি পরিবারের প্রায় শতাধিক মানুষ।
আরও দেখা গেছে, প্রকল্প এলাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকল্প অধিদপ্তর থেকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হলেও সেগুলোর সুবিধা ভোগ করতে পারছে না বাসিন্দারা।

২০২২-২৩ অর্থবছরে করা পানি সরবরাহের এই প্রকল্পের কোনোটির নলকূপ নেই, আবার কোনোটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি ও কোনোটির ট্যাংকিতে ফাটল থাকায় পানি ওঠানো সম্ভব হয় না। নিম্নমানের কাজ করায় ঘরের ইট খুলে গেছে, দেয়ালে ফাটল ধরেছে ও চালের কাঠ নষ্ট হয়ে গেছে।

কয়েকজন বাসিন্দার অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে এসব আশ্রয়ণকেন্দ্র গড়ে ওঠার ফলে সুফল পাচ্ছে না তারা। কিছুদিন আগে সামান্য কিছু মাটি ছিটিয়ে দেওয়া হয়। রাস্তা নির্মাণ করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। ফলে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা হয়। এতে করে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের।

আশ্রয়ণের বাসিন্দা মেনেকা রাণী জানান, কিছুদিন আগে ট্রাক্টর দিয়ে কিছু মাটি ফেলানো হয়েছে। আমার এখানে কোন মাটি ফেলানো হয় নাই। এক ট্রাক্টর মাটি ৫০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে যার কারণে আমাদের ১২টা ঘরের সামনে কোন মাটি পড়ে নাই। একটু বৃষ্টি হইলে পানি জমি থাকে। আইজ না হলেও ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে পানি। ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। বাড়িতে একটা প্রতিবন্ধী বাচ্চা। পানিতে পড়ার ভয়ে বাচ্চাকে সকালে মিশনের ওখানে রেখে আসি সন্ধ্যায় নিয়ে আসি। স্বামী ভাড়ায় ব্যাটারিচালিত ভ্যান চালায়, সেটাও বারান্দা থাকি নামাতে পাই না। কামাই-রোজগার বন্ধ। ছেলে সন্তান নিয়ে কি খাই।

ষাটোর্ধ্ব মর্জিনা বেগম নামে আরেক বাসিন্দা জানান, সরকার ঘর দিছে। কিন্তু আমাদের সমস্যা দেখার কেউ নাই। বৃষ্টি হলে পানি জমে। সেই পানিতে অনেক ময়লা-আবর্জনা, পোকামাকড় পচে দুর্গন্ধ হয়। শিশু ও বয়স্ক মানুষরা পিচ্ছিলের কারণে চলাচল করতে পারে না। আমরা তো বের হইতে পারি না। খুবই কষ্টে আছি।

আরেক বাসিন্দা মমেনা বেগম জানান, বাচ্চারা স্কুলে যাওয়ার সময় জামা-কাপড়, বই-খাতা ভিজে যায়। এই পানি এখন আমাদের বড় সমস্যা। এখানে মাটি কাটা দরকার। কিন্তু মাটি ফেলে নাই। একটু বৃষ্টি হইলে পানি জমে থাকে। চলাচল করা যায় না। আমাদের আশ্রয়ণে মাটি কেটে দিলে আমাদের অনেক ভালো হতো।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিরাজুদ্দৌল্লা বলেন, মুন্সিবাড়ি আশ্রয়ণ কেন্দ্রে মাটি ভরাট ও রাস্তা নির্মাণের জন্য দুই দফায় ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং প্রকল্পের বিলও উত্তোলন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোভন রাংসা বলেন, ধরণীবাড়ীর মুন্সিবাড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পটি আমি সরেজমিনে দেখে আসছি। রাস্তা নির্মাণ ও পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

//নিউজ//উলিপুর//মালেক/আগস্ট/৩১/২৩

The post উলিপুরে জলাবদ্ধতায় আশ্রয়ণের ৪০ পরিবারের শতাধিক মানুষ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধিতে তলিয়ে গেছে আমন ক্ষেত বিপাকে কৃষক https://www.ulipur.com/?p=26452 Thu, 31 Aug 2023 07:45:09 +0000 https://www.ulipur.com/?p=26452 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।আবারো বাড়ছে পানি, তলিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন অঞ্চল, ডুবে গেছে সদ্য লাগানো আমন ক্ষেত বিপাকে পড়েছে কৃষক। দুশ্চিন্তার সাথে চোখে জল নিয়ে পুঁজি ভাবনায় পড়েছে কৃষক। বৃষ্টির সাথে হু হু করে বাড়তে থাকা ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। সাথে তিস্তা নদীর পানি ঢুকে পড়ায় তালিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন গ্রাম। ডুবে যাচ্ছে একের [...]

The post চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধিতে তলিয়ে গেছে আমন ক্ষেত বিপাকে কৃষক appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
আবারো বাড়ছে পানি, তলিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন অঞ্চল, ডুবে গেছে সদ্য লাগানো আমন ক্ষেত বিপাকে পড়েছে কৃষক। দুশ্চিন্তার সাথে চোখে জল নিয়ে পুঁজি ভাবনায় পড়েছে কৃষক। বৃষ্টির সাথে হু হু করে বাড়তে থাকা ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। সাথে তিস্তা নদীর পানি ঢুকে পড়ায় তালিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন গ্রাম। ডুবে যাচ্ছে একের পর এক আমন ক্ষেত ।

জানা গেছে, ২য় ও ৩য় দফায় বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় হঠাতেই দেখা দেয় খরা। খরার সাথে কমে যায় ব্রহ্মপুত্রের পানি। বিপাকে পড়ে চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষক। প্রচণ্ড খরায় আমন চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েছিল কৃষক। অবশেষে দেখা দেয় বৃষ্টির কৃষকরাও নেমে পড়ে মাঠে। বেশিরভাগ জমিতে আমন চারা লাগানো শেষ করে কৃষক।

আবারো টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে হু হু করে বাড়তে শুরু করে পানি। ৪র্থ বারের মতো ব্রহ্মপুত্রের পানি ফুলে-ফেঁপে উঠেছে সাথে যোগ দেয় তিস্তার পানি। চিলমারী উপজেলাটি ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার মাঝে পড়ায় বরাবরে দুই নদীর পানির তোড়ে পড়ে চিলমারী। এবারেও ব্রহ্মপুত্রের পানির সাথে তিস্তার পানি ও টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে প্লাবিত হতে শুরু করে নিম্নাঞ্চল। তলিয়ে যায় বিভিন্ন গ্রাম পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। পানি বৃদ্ধির সাথে টানা বৃষ্টির ফলে ডুবতে শুরু করে সদ্য লাগানো আমন ক্ষেত। আমন ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে হাজার হাজার কৃষক। দফায় দফায় বন্যা, সেই বন্যার ভয়ে দীর্ঘ সময় পর খরা দেখে চাষিরা নেমেছিল মাঠে। মাঠ জুড়ে সবুজে সবুজে ভরে উঠে কিন্তু সেই সময় বন্যার পানিতে তলিয়ে যেতে শুরু করে আমন ক্ষেত। হাজার হাজার টাকা খরচ করে সদ্য লাগানো আমন ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় চোখে জল নিয়ে চিন্তামগ্নে তাকিয়ে আছেন কবে নেমে যাবে বন্যার পানি।

মাছাবান্দা এলাকার কৃষক খয়বর আলী বলেন, কি আর কমো বন্যার পানি যদি ক্ষেতের ফসল খেয়ে যায় তাহলে কি যে হবে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বন্যায় ৪৫০ থেকে ৫ শত হেক্টর আমন ক্ষেত ইতি মধ্যে সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষাণ দাস বলেন, পানি দ্রুত নেমে গেলে ফসলের সমস্যা হবে না।

//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/আগস্ট/৩১/২৩

The post চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধিতে তলিয়ে গেছে আমন ক্ষেত বিপাকে কৃষক appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে তলিয়ে গেছে চিলমারীর হরিজন পল্লী https://www.ulipur.com/?p=26408 Mon, 28 Aug 2023 16:31:50 +0000 https://www.ulipur.com/?p=26408 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।টানা বৃষ্টিতে বৃদ্ধি পেয়েছে নদ-নদীর পানি। উজানের ঢলে পড়া পানিতে প্লাবিত হচ্ছে বিভিন্ন এলাকা। পানি বৃদ্ধির ফলে ইতি মধ্যে তলিয়ে গেছে সদ্য নির্মিত হরিজন পল্লীটিও। হারিজন পল্লী তলিয়ে যাওয়ায় আশ্রয় নেয়া প্রায় দেড় শতাধিক মানুষের জীবন কাটছে কষ্টে। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে [...]

The post নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে তলিয়ে গেছে চিলমারীর হরিজন পল্লী appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
টানা বৃষ্টিতে বৃদ্ধি পেয়েছে নদ-নদীর পানি। উজানের ঢলে পড়া পানিতে প্লাবিত হচ্ছে বিভিন্ন এলাকা। পানি বৃদ্ধির ফলে ইতি মধ্যে তলিয়ে গেছে সদ্য নির্মিত হরিজন পল্লীটিও।

হারিজন পল্লী তলিয়ে যাওয়ায় আশ্রয় নেয়া প্রায় দেড় শতাধিক মানুষের জীবন কাটছে কষ্টে। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি ও ভাঙনে দিশাহারা হয়ে পড়েছে শাখাহাতি, বজড়াদিয়ার খাতাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষজন। হরিজন পল্লী বাসীর সাথে উক্ত এলাকার বেশকিছু হিন্দু পরিবার পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন। বিপাকে পড়েছেন সদ্য রোপা আমন চাষিরাও।

জানা গেছে, উজানের ঢল ও কয়েকদিনের টানা বর্ষণে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে চিলমারীর ক্ষেত, খামার, নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি। এই নিয়ে ৪র্থ দফা বন্যার কবলে পড়লো চিলমারী বাসী। তলিয়ে গেছে সবুজপাড়া নালার পাড় এলাকায় সদ্য নির্মিত হরিজন পল্লীটি। হরিজন পল্লীটি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সদ্য আশ্রয় নেয়া ৩০টি পরিবারের প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা না থাকায় আশ্রিত মানুষজন খাবার পানির সংকটে। শুধু তাই নয় পল্লীতে প্রবেশের সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় কোমর থেকে বুক পর্যন্ত পানি ভেঙে পারাপার হতে হচ্ছে আশ্রিত হরিজনদের।

আশ্রয় নেয়া দেব চন্দ্র জানান, সামান্য বন্যায় তলিয়ে গেছে আমাদের পল্লী, আর একটু পানি বাড়লে তো এখানে থাকাই যাবেনা।

শ্রী পারুল বলেন, পল্লীটি বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বাচ্চা, কাচ্চা নিয়ে খুব কষ্টে আছি, সব সময় থাকি টেনশনে।

নেমু লাল বলেন, যাতায়াতের রাস্তাটি নির্মাণ না করায় কোমর থেকে বুক ভর্তি পানি ভেঙে সদরে কাজে যেতে হয়। এদিকে বন্যার কারণে কাজেও যেতে পারছিনা, ফলে খাবারের কষ্টে আছি। বন্যার পানিতে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

আশ্রয় নেয়া হরিজনরা অভিযোগ করে বলেন, এতদিন থেকে আশ্রয় নিয়ে আছি কিন্তু এখন পর্যন্ত বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করে না দেওয়ায় খাবার পানির কষ্টে আছি। এর উপর আবার বন্যা। তারা আরও জানান, পানিবন্দি হয়ে থাকলেও এখন পর্যন্ত কোন সরকারি বা বেসরকারি সহায়তা তারা পায়নি।

চলমান বন্যায় নিম্নাঞ্চলের মানুষজন বিপাকে পড়েছে তা স্বীকার করে চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রুকুনুজ্জামান শাহিন বলেন, হরিজন পল্লীতে আশ্রয় নেয়া মানুষজনসহ পানিবন্দি মানুষের পাশে সরকার ছিল এবং আছে, আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি এবং দ্রুত তাদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হবে।

//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/আগস্ট/২৮/২৩

The post নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে তলিয়ে গেছে চিলমারীর হরিজন পল্লী appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপরে https://www.ulipur.com/?p=26359 Sat, 26 Aug 2023 13:17:26 +0000 https://www.ulipur.com/?p=26359 ।। নিউজ ডেস্ক ।।উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নামা শুরু করায় ৪র্থ দফায় কুড়িগ্রামের সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও তিস্তার পানি ৪৫ সেমি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদ-নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়ায় কয়েকটি চরে বন্যা দেখা দিয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের [...]

The post কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপরে appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নামা শুরু করায় ৪র্থ দফায় কুড়িগ্রামের সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও তিস্তার পানি ৪৫ সেমি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদ-নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়ায় কয়েকটি চরে বন্যা দেখা দিয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষ।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী শনিবার (২৬ আগস্ট) সকাল ১২টায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়া পয়েন্টে ৪৫ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৫৬ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ৬৯ সেন্টিমিটার এবং ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ৯০ সেন্টিমিটার ও দুধকুমারের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৪২ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও নিচু চরাঞ্চলগুলোতে বন্যার পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ার চর ও মাঝের চর, উলিপুরে বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের নতুন জেগে উঠা মুসার চর ও বালাডোবার চরের ঘর-বাড়িতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। তবে এখনও অন্যান্য চরাঞ্চলগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় নি।

এদিকে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের গতিয়াসাম, চর খিতাবখা, বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চতুড়া, রামহরি ও কালিরহাট এলাকায় দেখা দিয়েছে তিস্তা নদীর ভাঙন। এছাড়া ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের কয়েকটি পয়েন্টে এবং ধরলার অববাহিকার মোগলবাসা ইউনিয়নের চরসিতাইঝাড় এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।

তিস্তা পাড়ের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান মুন্সি রানা বলেন, তিস্তা নদীর পানি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তার বাম তীরে ভাঙন চলছে। দেখার যেন কেউ নাই। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে তো অনেকে বাড়ি ঘর জমিজমা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে অনেক মানুষ ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে।

তিস্তা নদীর অববাহিকার গড়াই পিয়ার এলাকার বাসিন্দা আব্দুল খালেক বলেন, তিস্তা নদীর পানি গতকাল থেকে হুহু করে বাড়ছে। আমরা এখানকার সবাই অনেক দুশ্চিন্তায় আছি। কেননা সবাই আমরা আমন আবাদ করেছি যদি সব নষ্ট হয়ে যায়। পানি বৃদ্ধির কারণে রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে আমাদের।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার (২৮ আগষ্ট) পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে এবং ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমারের পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

The post কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপরে appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
ভারি বৃষ্টিপাতে দুশ্চিন্তায় কুড়িগ্রামের আমন চাষীরা https://www.ulipur.com/?p=26316 Thu, 24 Aug 2023 15:44:46 +0000 https://www.ulipur.com/?p=26316 ।। নিউজ ডেস্ক ।।কুড়িগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাতের ফলে বাড়ছে নদ-নদীর পানি। আতঙ্কে নদী পাড়ের মানুষ ও আমন চাষীরা। বুধবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে ভারি বর্ষণের ফলে জেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও দিনমজুর শ্রেণির মানুষজন। কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী [...]

The post ভারি বৃষ্টিপাতে দুশ্চিন্তায় কুড়িগ্রামের আমন চাষীরা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাতের ফলে বাড়ছে নদ-নদীর পানি। আতঙ্কে নদী পাড়ের মানুষ ও আমন চাষীরা। বুধবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে ভারি বর্ষণের ফলে জেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও দিনমজুর শ্রেণির মানুষজন।

কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের সিতাইঝাড় এলাকার মমিনুল হক বলেন, কিছুদিন আগে বৃষ্টির পানিতে আমার আমন ক্ষেত তলিয়ে ক্ষতি হয়েছিল। পরে পানি শুকিয়ে যাবার পর আবারও নতুন করে জমিতে ধান রোপণ করেছি। এবার যদি আবার বন্যা এসে ধান নষ্ট হয়ে যায়। তাহলে আমার অনেক ক্ষতি হবে। আমার আর ক্ষমতা নাই সে ক্ষতি কাটিয়ে আবারও নতুন করে ধান রোপণ করার।

একই এলাকার আরেক কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, আমি ২ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করছি। গতকাল থেকে যে আকাশের অবস্থা কি যে হবে। বৃষ্টি রাত থেকে সমানে চলছে। এরকম বৃষ্টি থাকলে তো বন্যা হয়ে যাবে। এবার ধান নষ্ট হয়ে গেলে বড় ক্ষতির মুখে পড়ব।

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া বলেন, আগামী ৭২ ঘন্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাতের কারণে নিচু এলাকার আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধি পেলেও এখনও সবগুলো নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আগামী ২৬-২৭ তারিখ পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে উলিপুর, চিলমারী ও কুড়িগ্রাম সদরের কিছু অংশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। এখনো সবগুলো নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা অনেক কম।

The post ভারি বৃষ্টিপাতে দুশ্চিন্তায় কুড়িগ্রামের আমন চাষীরা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
আগস্টের শেষে কুড়িগ্রামে আরেকটি বন্যার আশঙ্কা https://www.ulipur.com/?p=26237 Tue, 22 Aug 2023 06:20:48 +0000 https://www.ulipur.com/?p=26237 ।। জেলা প্রতিনিধি ।। আগস্টের শেষ সপ্তাহে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় অরেকটি বন্যা আঘাত হানতে পারে। এসময় উলিপুর ও চিলমারীর কয়েকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দেওয়া পূর্বাভাসে [...]

The post আগস্টের শেষে কুড়িগ্রামে আরেকটি বন্যার আশঙ্কা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। জেলা প্রতিনিধি ।।
আগস্টের শেষ সপ্তাহে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় অরেকটি বন্যা আঘাত হানতে পারে। এসময় উলিপুর ও চিলমারীর কয়েকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বর্তমানে কমতে থাকা নদ-নদীর পানি আগামী দুই দিনে আরও কিছুটা কমবে। তবে ২২-২৩ আগস্ট থেকে ব্রহ্মপুত্রের পানি আবারও বাড়তে পারে। আগামী ২৫-২৬ আগস্ট ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমায় পৌঁছাতে পারে। এর ফলে উলিপুরের সাহেবের আলগা, বেগমগঞ্জ এবং চিলমারীর নয়ারহাট ইউনিয়নের চর ও নিম্নাঞ্চল সমূহ প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় এসব অঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ ভারতের আসাম ও অরুণাচলে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উজানের ওই পানি ব্রহ্মপুত্র নদ দিয়ে বাংলাদেশ হয়ে নেমে যাবে। ফলে ওই সময় জেলা সদরের কিছু অংশ, উলিপুর ও চিলমারীর কয়েকটি ইউনিয়নে স্বল্পমেয়াদি বন্যার পূর্বাভাস রয়েছে। পানি বিপৎসীমায় পৌঁছালেও খুব বড় বন্যার আশঙ্কা নেই। আশা করা হচ্ছে এটাই হয়তো এবারের শেষ বন্যা হতে পারে।’

সম্ভাব্য বন্যার খবরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘ সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুতি রেখেছি। খাদ্য সহায়তা, উদ্ধার নৌকা ও আশ্রয়কেন্দ্রসহ প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি রয়েছে।’

প্রসঙ্গত, চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রামে তিনদফা পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদ-নদী অববাহিকার চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এরমধ্যে গত জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে একটি স্বল্পমেয়াদি বন্যার কবলে পড়ে কুড়িগ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। আগস্টের শেষে আবারও বন্যা দেখা দিলে এটি জেলার দ্বিতীয় দফায় বন্যা হবে।

//নিউজ/কুড়িগ্রাম//চন্দন/আগস্ট/২২/২৩

The post আগস্টের শেষে কুড়িগ্রামে আরেকটি বন্যার আশঙ্কা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
চিলমারীতে স্কুল মাঠে জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত https://www.ulipur.com/?p=16880 Thu, 07 Apr 2022 12:53:00 +0000 https://www.ulipur.com/?p=16880 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।। সামান্য বৃষ্টি হলেও তলিয়ে যায় মাঠ। চারদিকে থৈ থৈ করে পানি। জলাবদ্ধাতায় আটকে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম। বাড়ছে দুর্ভোগ শেষ নেই ভোগান্তির। বৃষ্টি শুরু কিংবা বর্ষকাল আসলেই চরম বিপাকে পড়তে হয় চিলমারী উপজেলার কে ডি ওয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কাচকোল বাধেঁ নিচে অবস্থিত বিদ্যালয়টি পার্শ্ববর্তী [...]

The post চিলমারীতে স্কুল মাঠে জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
সামান্য বৃষ্টি হলেও তলিয়ে যায় মাঠ। চারদিকে থৈ থৈ করে পানি। জলাবদ্ধাতায় আটকে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম। বাড়ছে দুর্ভোগ শেষ নেই ভোগান্তির। বৃষ্টি শুরু কিংবা বর্ষকাল আসলেই চরম বিপাকে পড়তে হয় চিলমারী উপজেলার কে ডি ওয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কাচকোল বাধেঁ নিচে অবস্থিত বিদ্যালয়টি পার্শ্ববর্তী বাড়ী-ঘর স্কুলের মাঠের চেয়ে উচু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেও পানির তলিয়ে যায় মাঠটি। পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

সরেজমিন দেখা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীদের থাকতে হচ্ছে শ্রেণিকক্ষ এছাড়াও বৃষ্টি হলে ক্লাসরুমেই পড়ছে পানি। মাঠে পানি থাকায় ক্লাসের বাড়িতে আসতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা। জলাবদ্ধতার কারণে শ্রেণিকক্ষে যাতায়াতের সময় কোমলমতি শিক্ষার্থীর অনেকেরই পানিতে পড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। এ পরিস্থিতিতে দ্রুত স্কুল মাঠ জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষার দাবি জানান শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল।

স্থানীয়রা জানায়, মাঠটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। কিন্তু জলাবদ্ধতা নিরসনে বাস্তব ভিত্তিক কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া মাঠে জমে থাকা কাঁদা পানির কারণে শিক্ষার্থীরা শরীরচর্চা ও জাতীয় সংগীত গাইতে পারছে না বলে জানান স্থানীয়রা।

প্রধান শিক্ষক মোঃ আহসানুল কবির বলেন, এই স্কুলে ১১০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে থাকায় স্কুলের শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলাধুলা করতে পারছে না। এ বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু সালেহ সরকারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সরেজমিন ঘুরে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রাণীগঞ্জ ইউপি পরিষদ চেয়ারম্যান মাঞ্জুরুল ইসলাম জানান, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় বড় ধরনের কোন বরাদ্দ না থাকায় মাটি ভরাট করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে কথা বলে পানি নিষ্কাষণে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/এপ্রিল/০৭/২২

The post চিলমারীতে স্কুল মাঠে জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
রংপুরে ৮০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত, জলাবদ্ধতায় গোটা নগরী https://www.ulipur.com/?p=11611 Sun, 27 Sep 2020 10:57:44 +0000 https://www.ulipur.com/?p=11611 || নিউজ ডেস্ক || বিগত ৮০ বছরের মধ্যে রংপুরে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় ভাসছে গোটা রংপুর নগরী। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। রংপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শনিবার রাত ১১টা থেকে রোববার সকাল সাতটা পর্যন্ত আট ঘণ্টায় ৪৪৯ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগে ২৪ [...]

The post রংপুরে ৮০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত, জলাবদ্ধতায় গোটা নগরী appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
|| নিউজ ডেস্ক ||
বিগত ৮০ বছরের মধ্যে রংপুরে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় ভাসছে গোটা রংপুর নগরী। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শনিবার রাত ১১টা থেকে রোববার সকাল সাতটা পর্যন্ত আট ঘণ্টায় ৪৪৯ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগে ২৪ ঘণ্টায় ২৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ছিল।

টানা বর্ষণের পানিতে নগরীর ১৪৮টি পাড়া-মহল্লা তলিয়ে গেছে। বাড়িঘর-দোকানপাটেও পানি ঢুকেছে। এখনো চলছে বৃষ্টিপাত। অনেক সড়কে হাঁটু সমান পানি। নগরীর মূল সড়কের পাশাপাশি শাখা সড়ক ও বিভিন্ন এলাকায় চরম জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

জাহাজ কোম্পানি মোড়, গ্র্যান্ড হোটেল মোড়, মিস্তিরি পারা, খলিফা পাড়া, কলেজ রোডসহ বিভিন্ন এলাকা হাঁটু থেকে কোমর পানির নিচে তলিয়ে আছে। নগরবাসী এমন জলাবদ্ধতার জন্য শ্যামাসুন্দর খাল ভরাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়াকে দায়ী করেছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের শ্যামাসুন্দরী খাল পানিতে উপচে পড়ে রাস্তার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। নগরের চেকপোস্ট থেকে টার্মিনাল হয়ে মহাসড়ক পানিতে নিমজ্জিত। নগরের মুন্সিপাড়া,জলকর, হনুমানতলা, নিউ জুম্মাপাড়া, বাস টার্মিনাল, পর্যটন পাড়া, তাজহাট, বাবুপাড়া, কামারপাড়া, মুলাটোল, বাবু খা, হাবিবনগর, কেরানীপাড়া, ধাপ পুলিশ ফাঁড়ির পেছন, নীলকণ্ঠ, ধাপ হাজীপাড়া, আমাশু, কুকরুল, জুম্মাপাড়া, মুলাটোল, সর্দারপাড়া, সিওবাজার, গণেশপুর, মিস্ত্রিপাড়াসহ নগরের ৩৩টি ওয়ার্ডে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে আছেন হাজার হাজার পরিবার। এতে নগরবাসীর দুর্ভোগ বেড়েছে।

নগরের প্রতিটি মহল্লার লোকজন নোংরা পানির মধ্য দিয়ে হাঁটাচলা করছেন। মুন্সিপাড়ার একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলীর তিনতলা ভবনের নিচতলা পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘এত পানি এই শহরে আগে কখনো দেখিনি। এটিই প্রথম আমার বাড়ির নিচতলায় পানি উঠেছে।’

সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান বলেন, নগরের সবচেয়ে উঁচু জায়গাতেও পানি। এখানে করারই বা কী আছে। শ্যামাসুন্দরী খাল উপচে রাস্তা দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। উঁচু নর্দমা ও ফুটপাত মহাসড়ক, সড়ক সব তলিয়ে গেছে পানিতে। এরপরও মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সিটি করপোরেশন।

এদিকে রাত থেকে বিঘ্নিত হচ্ছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। সবমিলিয়ে ভয়াবহ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন রংপুর নগরবাসী। যা স্মরণকালেও মুখোমুখি হতে হয়নি তাদের।

সূত্রঃ প্রথম আলো, বাংলা রিপোর্ট

The post রংপুরে ৮০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত, জলাবদ্ধতায় গোটা নগরী appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
উলিপুর পৌরসভায় দেড় শতাধিক বাড়ির উঠানে পানি, দুর্ভোগ চরমে https://www.ulipur.com/?p=11108 Wed, 15 Jul 2020 17:14:46 +0000 https://www.ulipur.com/?p=11108 || জাহিদ হাসান || উলিপুর পৌরসভা এলাকায় পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় কয়েকদিনের ভারী বর্ষণের কারণে প্রায় দেড় শতাধিক বাড়ির উঠানে পানি জমে আছে। ফলে গরু ছাগল ও শিশুদের নিয়ে খুব কষ্টে বসবাস করছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পৌর কর্তৃপক্ষকে বহুবার বলা হলেও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। জানা যায়, গত কয়েকদিন থেকে ভারী বর্ষণ [...]

The post উলিপুর পৌরসভায় দেড় শতাধিক বাড়ির উঠানে পানি, দুর্ভোগ চরমে appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
|| জাহিদ হাসান ||
উলিপুর পৌরসভা এলাকায় পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় কয়েকদিনের ভারী বর্ষণের কারণে প্রায় দেড় শতাধিক বাড়ির উঠানে পানি জমে আছে। ফলে গরু ছাগল ও শিশুদের নিয়ে খুব কষ্টে বসবাস করছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পৌর কর্তৃপক্ষকে বহুবার বলা হলেও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

জানা যায়, গত কয়েকদিন থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। এতে পৌরসভার সদর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সিপাড়া গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে পানি জমে আছে। এমনকি ঘরের বারান্দা পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে গেছে। উলিপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সিপাড়ায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মধু ভোলা, নুর আলম, নুরনবী, নুর কাশিম, মুসা মিয়া, হান্নান, মান্নান, রানা, মোস্তা, সামিনুল, রানা মিয়া, বাবলু মিয়া, শাহজাহান, হায়দার আলী, লিটন মিয়া, মঞ্জু মিয়া, সোহেল রানা, হারেজ মিয়া, সোলেমান আলী, আঃ হালিম, রহমান মিয়া, নুর জাহান, আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গীর, সফিকুল, ওপিয়ল, লাদেন, রফিকুল ইসলাম, আতাউর রহমান, মিলন মিয়া, নুর আমিন, নজির হোসেন, প্লেন মিয়া, মঞ্জু মিয়া, সাইদুল ইসলাম, পারভেজ মিয়া, নাসির হোসেন, বাবু মিয়া, রাজ্জাক মিয়া, চাঁন মিয়া, সিরাজুল ইসলাম, আনিছার রহমান, তোতা মিয়া, ফজলুল হক, ফুলু মিয়া, বিশ্বনাথ পোদ্দার, অঞ্জনা রানী, নজরুল ইসলাম ও সাদেক আলীসহ অনেকের বাড়ির উঠানে পানি জমে আছে। বহু পরিবার পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বাড়ির উঠানে পানি জমে থাকায় রান্না করার চুলা ডুবে যাওয়ায় পরিবারগুলো পড়েছে চরম দুর্ভোগে। ওই এলাকার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ২টি গরু নিয়ে খুবই বেকায়দায় আছি। বাড়ির উঠানে ও গরুর গোয়ালঘরে পানি উঠেছে। ফলে গরু নিয়ে খুব কষ্টে আছি। বিষয়টি পৌরসভার কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। এদিকে পৌর শহরের অনেক রাস্তায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা দেখা দিলে পৌর কর্র্তৃপক্ষ কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।

উলিপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র আনিছুর রহমান পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে বলেন, ওই এলাকায় সকলের সঙ্গে কথা বলে অস্থায়ী ভিত্তিতে পাইপ বসিয়ে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে ড্রেনেজের ব্যবস্থা করা হবে।

The post উলিপুর পৌরসভায় দেড় শতাধিক বাড়ির উঠানে পানি, দুর্ভোগ চরমে appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>