দুর্ভোগ Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=দুর্ভোগ কুড়িগ্রাম জেলার তথ্য ও সংবাদ Wed, 03 Jan 2024 07:39:41 +0000 en-US hourly 1 https://www.ulipur.com/wp-content/uploads/2022/10/1665889308.png দুর্ভোগ Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=দুর্ভোগ 32 32 শীত ও কুয়াশায় কাঁপছে কুড়িগ্রাম, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৫ https://www.ulipur.com/?p=29425 Wed, 03 Jan 2024 07:38:46 +0000 https://www.ulipur.com/?p=29425 ।। নিউজ ডেস্ক ।। ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় কাপছে কুড়িগ্রাম। আজ বুধবার (০৩ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকালের তুলনায় ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমেছে। জানা গেছে, উত্তরীয় হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে ঠান্ডার মাত্রা। এদিকে ঘন কুয়াশা থাকায় বিঘ্নিত হচ্ছে বিভিন্ন যান চলাচল। দিনের বেলায় সড়কে হেট [...]

The post শীত ও কুয়াশায় কাঁপছে কুড়িগ্রাম, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৫ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় কাপছে কুড়িগ্রাম। আজ বুধবার (০৩ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকালের তুলনায় ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমেছে।

জানা গেছে, উত্তরীয় হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে ঠান্ডার মাত্রা। এদিকে ঘন কুয়াশা থাকায় বিঘ্নিত হচ্ছে বিভিন্ন যান চলাচল। দিনের বেলায় সড়কে হেট লাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে যাতায়াত করতে দেখা গেছে।

আজ সকাল ৭ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা তাপমাত্রা ঠিক থাকলে রাতে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে বলে জানান কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস। দুদিন থেকে উত্তরীয় হিমেল বাতাসে সবচেয়ে কষ্টে পড়েছে জেলার ১৬ টি নদ-নদীর অববাহিকার বাসিন্দারা। আর রাতে বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। সকালে কাজের সন্ধানে ছুটে চলা মানুষজন পড়ছে ভোগান্তির মুখে। তীব্র ঠান্ডায় সবজি ক্ষেত ও বীজতলা নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা নিয়ে দুঃশ্চিন্তা পড়েছেন কৃষকেরা।

সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের শ্রমিক আহসান হাবীব বলেন, দুইদিন থেকে খুব ঠান্ডা। সকালে সাইকেল চালানো যাচ্ছে না। সকালে সাইকেল চালালে মনে হয় জীবন বাইর হয়ে যায়। ঠান্ডায় হাত-পা বরফ হয়ে যায়।

জহুরুল নামের একজন বলেন, শীতকালে আমাদের মতো মানুষের খুব কষ্ট। কারণ মানুষ ঘুম থেকে নাই উঠতে আমাদের মাঠে যেতে হয়। ঠান্ডায় মাঠে কাজ করা সেই সমস্যা। কি আর করার কন, কাজ না করলে তো আর জীবন চলবে না।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে বলে জানান তিনি। শৈত্য প্রবাহ কবে নাগাদ হতে পারে তা দুপুরের মধ্যে জানানো যাবে।

The post শীত ও কুয়াশায় কাঁপছে কুড়িগ্রাম, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৫ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন https://www.ulipur.com/?p=29385 Tue, 02 Jan 2024 05:46:58 +0000 https://www.ulipur.com/?p=29385 ।। নিউজ ডেস্ক ।। কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় জুবুথুবু হয়ে পড়েছে জনপদ। জেলার সড়ক ও নৌ পথে ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হয়েছে চলাচল ব্যবস্থা। ফলে দিনের বেলা সড়ক পথে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহনগুলো। এদিকে গত তিন দিন ধরে কনকনে ঠান্ডায় ভোগান্তির মুখে পড়েছে মানুষজন। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশু বয়সীরা পড়েছে চরম বিপাকে। [...]

The post কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় জুবুথুবু হয়ে পড়েছে জনপদ। জেলার সড়ক ও নৌ পথে ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হয়েছে চলাচল ব্যবস্থা। ফলে দিনের বেলা সড়ক পথে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহনগুলো। এদিকে গত তিন দিন ধরে কনকনে ঠান্ডায় ভোগান্তির মুখে পড়েছে মানুষজন। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশু বয়সীরা পড়েছে চরম বিপাকে। শীত নিবারণের পর্যাপ্ত কাপড় না থাকায় ঠান্ডাজনিত রোগে ভুগছেন তারা।

কুড়িগ্রাম রাজার হাট আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) সকাল ৬ টায় জেলায় ১৩.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দিনের বেলা তাপমাত্রা ঠিক থাকলেও রাতে তাপমাত্রা কমতে থাকবে বলে জানান অফিসটি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার প্রায় সাড়ে চারশত চরাঞ্চলে শীতের প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টির মতো ঝরে পড়া কুয়াশায় কাজের সন্ধানে ছুটে চলা মানুষজন পড়ছে ভোগান্তির মুখে। তীব্র ঠান্ডায় সবজি ক্ষেত ও বীজতলা নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা নিয়ে তাদের দুঃশ্চিন্তা দিন দিন বেড়েই চলছে।

কুড়িগ্রাম পৌর শহরের টাপু ভেলাকোপা গ্রামের মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, আমি হোটেলে কাজ করতে যাচ্ছি। সারারাত কনকনে ঠান্ডা দিনের বেলাও একই অবস্থা। এমন অবস্থায় আমার মতো খেটে খাওয়া মানুষজনের কষ্টের শেষ নেই। কাজ না করে ঘরে বসে থাকলে তো পেটে ভাত জুটবে না।

ধরলার পাড়ের নজরুল ইসলাম বলেন, দু-তিন দিন ধরে খু্ব ঠান্ডা পড়তেছে। সকালে উঠে জমিতে কাজে যেতে হয়। কাজ করতে গিয়ে হাত-পা বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।

কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র বলেন, জেলায় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রাতে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে বলে জানান তিনি। তবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী এ মাসে একটি শৈত্য প্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

 

The post কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
শীতের দাপটে কাঁপছে কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের মানুষ https://www.ulipur.com/?p=29002 Sun, 17 Dec 2023 16:19:16 +0000 https://www.ulipur.com/?p=29002 ।। নিউজ ডেস্ক ।। কুড়িগ্রামে এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা উঠানামা করছে। আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে সূর্যের দেখা মিললেও শীতের দাপটে ব্যাহত হয়ে পড়ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তীব্র ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী, অতিদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষজন। ঠান্ডার কারণে সময় মতো কাজে যেতে না পারায় দুর্ভোগ, আয় রোজগার কমে [...]

The post শীতের দাপটে কাঁপছে কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের মানুষ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামে এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা উঠানামা করছে। আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে সূর্যের দেখা মিললেও শীতের দাপটে ব্যাহত হয়ে পড়ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

তীব্র ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী, অতিদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষজন। ঠান্ডার কারণে সময় মতো কাজে যেতে না পারায় দুর্ভোগ, আয় রোজগার কমে যাচ্ছে তাদের। ফলে স্বাভাবিক জীবিকা নির্বাহ করতে পারছেন না এসব মানুষজন।

গত এক সপ্তাহ ধরে দিনের অধিকাংশ সময় মেঘে ঢাকা থাকছে সূর্য। এ ক’দিনে কুড়িগ্রাম অঞ্চলের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে। শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড়ের অভাবে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী এলাকার দরিদ্র মানুষরা।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শীতার্ত মানুষের জন্য ইতোমধ্যেই ৪৫ হাজার কম্বল সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে।

তবে উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ বাবলু মিয়া বলেন, আমার ইউনিয়নটি নদী বেষ্টিত। প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশায় এখানকার মানুষ কাবু হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে শীতবস্ত্র পাইনি।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ৩/৪ দিন পরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামতে পারে।

The post শীতের দাপটে কাঁপছে কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের মানুষ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে উলিপুরের বুড়ি তিস্তার ব্রিজ https://www.ulipur.com/?p=28035 Mon, 06 Nov 2023 05:59:14 +0000 https://www.ulipur.com/?p=28035 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।। ব্রিজের পাখা ভেঙে গেছে। ফাটল ধরেছে বিভিন্ন অংশে। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যে কোন মূহূর্তে ধসে পড়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে উলিপুরের নারিকেলবাড়ী বুড়ি তিস্তা নদীর উপর নির্মিত ব্রিজটি। এই ব্রিজ দিয়েই প্রতিদিন ঝুকি নিয়েই যাতায়াত করছে উলিপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডসহ ২টি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজারের বেশি মানুষ। উলিপুরের নারিকেলবাড়ী বুড়ি তিস্তা [...]

The post মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে উলিপুরের বুড়ি তিস্তার ব্রিজ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
ব্রিজের পাখা ভেঙে গেছে। ফাটল ধরেছে বিভিন্ন অংশে। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যে কোন মূহূর্তে ধসে পড়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে উলিপুরের নারিকেলবাড়ী বুড়ি তিস্তা নদীর উপর নির্মিত ব্রিজটি। এই ব্রিজ দিয়েই প্রতিদিন ঝুকি নিয়েই যাতায়াত করছে উলিপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডসহ ২টি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজারের বেশি মানুষ।

উলিপুরের নারিকেলবাড়ী বুড়ি তিস্তা নদীর উপর নির্মিত ব্রিজটি এমন বেহাল দশা দীর্ঘ চার বছর ধরে হলেও দেখার যেন কেউ নেই। স্থানীয় বাসিন্দারা ব্রিজটি নতুন করে নির্মাণের জন্য কাউন্সিলর, মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সংসদ সদস্যকে দাবি জানালেও আশ্বাসেই সময় পাড় করছে জনপ্রতিনিধিরা।

সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, প্রায় ৫৭ বছর পূর্বে ১৯৬৬ সালে নারিকেলবাড়ী বুড়ি তিস্তা নদীর উপর এই ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘ আন্দোলন ও সংগ্রামের পর বুড়ি তিস্তা প্রধানমন্ত্রীর ডেল্টা প্ল্যান কর্মসূচির আওতায় ১৬ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রায় ৮০ ফুট প্রস্থ ও ৩১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যব্যাপী ব্রিজটি গত ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ খনন কাজ শুরু করলে তা ওই বছরেই শেষ করে। তিস্তা নদীর একটি শাখা বুড়ি তিস্তা। খননের পর নদীর পানির প্রবাহ সৃষ্টি হলে ব্রিজটির প্রথম ফ্লোরের কিছু অংশ খসে যায়। কিছুদিন পর ব্রিজের একটি পাখা ধসে নদীতে পড়ে যায় ও বাকি তিনটি পাখায় মারাত্মক আকারে ফাটল ধরে। যা এখন ধীরে ধীরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। ব্রিজটির বেহাল দশার কারণে ব্রিজের প্রবেশ মুখে বাঁশের খুঁটি পুতে রাখায় এই সড়ক দিয়ে ভারী কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে ওই এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য পরিবহন, কোথাও যাওয়া-আসা ও জরুরী রোগী বহন করা এখন খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ব্রিজটি ভাঙাচোরা ও জরাজীর্ণ অবস্থায় প্রায় দীর্ঘ চার বছর অতিক্রম করলেও কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয় নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আমরা শুনেছি এখন উলিপুর পৌরসভা “ক” শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে। অতিদ্রুত ব্রিজটি নতুন ভাবে নির্মাণ করে পথচলা সুগম করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোড় দাবি জানান তারা।

পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান রাজু বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের জন্য বেশ কয়েকবার পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার, মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সংসদ সদস্যকে দেখানো হয়েছে। তারা দেখে ব্রিজটি নতুন করে নির্মাণের জন্য শুধু আশ্বাস দিয়েই যাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে উলিপুর পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম বলেন, পৌরসভা থেকে এই ব্রিজটি নির্মাণের জন্য কোন পরিকল্পনা নেই। আমি শুনেছি পিআইও অফিস থেকে ব্রিজটি নির্মাণ করার কথা।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র মামুন সরকার মিঠু বলেন, ব্রিজটি নতুন করে নির্মাণের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। আশা করছি ব্রিজটি অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ করা হবে।

//নিউজ//উলিপুর//মালেক/নভেম্বর/০৫/২৩

The post মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে উলিপুরের বুড়ি তিস্তার ব্রিজ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
উলিপুরে সেতু ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগে ৬টি গ্রামের ১০ হাজার মানুষ https://www.ulipur.com/?p=27705 Sat, 21 Oct 2023 06:33:28 +0000 https://www.ulipur.com/?p=27705 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।। উলিপুরে গিদারী নদীতে অবস্থিত সেতুটি স্রোতে ভেঙে পড়েছে। সেতুটি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে পান্ডুল ইউনিয়নের ৬টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) ভোররাতে নদীর তীব্র স্রোতে সেতুর নিচের মাটি সরে গিয়ে সেতুটি ধসে পড়ে। পান্ডুল ইউনিয়নের কাগজিপাড়া গ্রামে গিদারী নদীর ওপর ওই সেতুর অবস্থান। [...]

The post উলিপুরে সেতু ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগে ৬টি গ্রামের ১০ হাজার মানুষ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
উলিপুরে গিদারী নদীতে অবস্থিত সেতুটি স্রোতে ভেঙে পড়েছে। সেতুটি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে পান্ডুল ইউনিয়নের ৬টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) ভোররাতে নদীর তীব্র স্রোতে সেতুর নিচের মাটি সরে গিয়ে সেতুটি ধসে পড়ে। পান্ডুল ইউনিয়নের কাগজিপাড়া গ্রামে গিদারী নদীর ওপর ওই সেতুর অবস্থান।

স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৯ সালে কাগজিপাড়া গ্রামে গিদারী নদীর ওপর সেতুটি নির্মিত হয়। এরপর থেকে সেতুটির কোনো সংস্কারকাজ হয়নি। এই সেতু দিয়ে পান্ডুল ইউনিয়নের কাগজিপাড়া, আমভদ্রপাড়া, চাকলিরপাড় ও জটিয়াপাড়াসহ আশপাশের ৬টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করত। গত মার্চে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) গিদারী নদীর খননকাজ শুরু করে। খনন এখনো চলমান রয়েছে। এতে নদীতে পানিপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় সেতুটি ভেঙে পড়ে।

পাউবোর নদী খনন প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আবদুল আজীজ জানান, ওই সেতু প্রায় অর্ধশত বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। আর সেসময় সেতুটি অনেক উঁচুতে নির্মাণ করা হয়েছিল। খাল খননের পর সেতুর মুখ উঁচুতে উঠে যায়। সেতুর উজানে অতিরিক্ত পানি জমায় চাপ সহ্য করতে না পেরে ভাঙন দেখা দেয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার ২০০শ জিও ব্যাগ ব্যবহার করে পানির স্রোত কমানোর চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু কোন ফল হয়নি। বৃহস্পতিবার ভোরে সেতুটি ভেঙে পড়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সেতু ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মোতালেব ও ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জমির উদ্দিন।

ইউপি সদস্য জমির উদ্দিন জানান, স্বাধীনতার আগে নির্মাণ করা সেতুটি সংস্কারের অভাবে ধসে পড়ায় পান্ডুল ইউনিয়নের প্রায় ৬ গ্রামের মানুষের চলাচলে অসুবিধা হলো। ভারী বৃষ্টিতে উজানে পানি জমে তীব্র স্রোতের কারণে সেতুর ভাটিতে ও উজানে প্রায় তিন ফিট পানির তফাৎ হয়। ফলে স্রোতে সেতুর ভাটিতে মাটি সরে গিয়ে বৃহস্পতিবার ভোররাতে ভেঙে পড়েছে। এর আগে ১১ অক্টোবর (বুধবার) সেতুর মাঝের পিলার সম্পূর্ণ ধসে যায়। বর্তমানে মানুষ পারাপারের জন্য অস্থায়ী বাঁশকাঠের সেতু তৈরি করার পরিকল্পনা হচ্ছে। সেটি হতেও প্রায় এক সপ্তাহ সময় লাগবে।

ইজিবাইকচালক আমভদ্রপাড়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই সেতুর ওপর দিয়ে ৬ গ্রামের মানুষ উপজেলা শহরসহ দুর্গাপুর হাট, মিনাবাজার ও পান্ডুল ইউনিয়নে যাতায়াত করতো। ইউনিয়নের কাগজিপাড়া পানের বরজ থেকে পান গাড়িতে করে জেলা শহরে নিয়ে যেতাম। সেতুটি ভেঙে পড়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যসহ যোগাযোগের খুব অসুবিধা হয়ে গেল। ইজিবাইক নিয়ে শহরে যাব সে উপায় আর রইলো না। এখন ৪ কিলোমিটার পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হবে।

উলিপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মাহমুদুর রহমান জানান, তীব্র স্রোতে সেতুটির মাঝের পিলার ধসে গেলে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সেতুর দুই পাশে ঝুঁকিপূর্ণ সাইনবোর্ড টাঙ্গানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ভোররাতে সেতুটি ভেঙে যায় বলে শুনেছি। ইতিমধ্যে উপজেলা এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ার কে সেতুটির জন্য উপরে প্রস্তাবনা পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। পথচারী চলাচলের জন্য গিদারী নদীর ওপরে অস্থায়ী সাঁকো তৈরি করার জন্য বরাদ্দ দিতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকেও বলা হয়েছে।

//নিউজ//উলিপুর//মালেক/অক্টোবর/২১/২৩

The post উলিপুরে সেতু ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগে ৬টি গ্রামের ১০ হাজার মানুষ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কুড়িগ্রাম প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হয়েও নেই কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া https://www.ulipur.com/?p=27356 Mon, 09 Oct 2023 06:37:20 +0000 https://www.ulipur.com/?p=27356 ।। নিউজ ডেস্ক ।। শুধু নামেই প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। কিন্তু বাস্তবে নেই কোন নাগরিক সেবার নূন্যতম সুযোগ-সুবিধা। কুড়িগ্রাম পৌরসভার বেশিরভাগই সড়কের বেহাল দশায় প্রতিনিয়ত নাজেহাল হতে হচ্ছে পথচারীদের। বরাবরের মতোই দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পৌর মেয়রের। দেশ স্বাধীনের পর ২৭ দশমিক ২০ বর্গ কি.মি.আয়তন নিয়ে ১৯৭২ সালে স্থাপিত কুড়িগ্রাম পৌরসভা। এরপর ২০০৬ সালে প্রথম শ্রেণিতে [...]

The post কুড়িগ্রাম প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হয়েও নেই কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
শুধু নামেই প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। কিন্তু বাস্তবে নেই কোন নাগরিক সেবার নূন্যতম সুযোগ-সুবিধা। কুড়িগ্রাম পৌরসভার বেশিরভাগই সড়কের বেহাল দশায় প্রতিনিয়ত নাজেহাল হতে হচ্ছে পথচারীদের। বরাবরের মতোই দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পৌর মেয়রের।

দেশ স্বাধীনের পর ২৭ দশমিক ২০ বর্গ কি.মি.আয়তন নিয়ে ১৯৭২ সালে স্থাপিত কুড়িগ্রাম পৌরসভা। এরপর ২০০৬ সালে প্রথম শ্রেণিতে উন্নিত হয় এই পৌরসভা। প্রায় দুই লক্ষ মানুষের বসবাস। এই পৌরসভায় রয়েছে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার কার্যালয়, জেলা কারাগার, সদর থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ হাট-বাজার।

জেলার প্রাণ কেন্দ্রে ব্যস্ততম কুড়িগ্রাম ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সড়কের জরাজীর্ণ অবস্থা। এই রাস্তা দিয়ে চলাচলে প্রতি মুহূর্তে হাজারো ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে রোগী ও সাধারণ মানুষকে। রোগী নিয়ে সরকারি কিংবা বেসরকারি হাসপাতালে যাওয়ার প্রধান সড়কের করুণ অবস্থার কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে পৌরবাসীসহ সাধারণ মানুষকে। রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে গাড়ির ঝাঁকিতে রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় একটু বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার দিন কাটে পৌরবাসীর।

সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় শহরের গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল সড়ক, গাড়িয়াল পাড়া, দক্ষিণ হাসপাতাল পাড়া (রৌমারী পাড়া),গড়ের পাড়, খেজুরের তল, হরিকেশ মোড়, হাটির পাড়, ভেলাকোপ, মাটিকাটার মোড়, নীলারাম ও মোগলবাসা সড়কসহ ছোট-বড় খালখন্দে বিপর্যস্ত অবস্থা বিরাজ করছে। এসব সড়কের কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয়েছে গর্ত। বিভিন্ন স্থানে পিচ উঠে কোথাও খোয়া ও কোথাও মাটি বেরিয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে পানি জমে জলাবদ্ধতার কারণে এসব সড়ক দিয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ায় প্রায় সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে। প্রতিনিয়ত যানবাহনের ক্ষতি হওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন চালকরা।

শাপলা চত্ত্বর হয়ে আদর্শ পৌর বাজার, হাসপাতাল পাড়া, হাটির পাড়, গাড়িয়াল পাড়া ও মাটি কাটার মোড়সহ শহরের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নাজুক অবস্থা। এতে একটু বৃষ্টি
হলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ও হাসপাতাল পাড়া সড়কসহ দক্ষিণ হাসপাতাল পাড়া, হাটির পাড় ও স্বাধীন পাড়াসহ অধিকাংশ ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জলাবদ্ধতার শিকার হন। এছাড়াও পৌরবাসীর জন্য নেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিনের ব্যবস্থা। ফলে সড়কের উপর এবং ড্রেনের পাশেই ময়লা-আবর্জনা ফেলতে বাধ্য হচ্ছে পৌরবাসী।

হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা মোশাররফ মিয়া বলেন, আমরা নামমাত্র ১নং পৌরসভা পেয়েছি। কিন্তু কোন নাগরিক সেবার বালাই নেই এখানে।

জেসমিন আক্তার বলেন, হাসপাতাল যাওয়ার রাস্তা দেখে মনে হয় এই রাস্তাই এখন কোমায় চলে গেছে। রোগী ও স্বজনদের এই রাস্তা দিয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জলাবদ্ধতা আর নোংরা পানিতে চলাচলের জন্য চুলকানি, ডায়রিয়া, জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হতে হচ্ছে।

অটোচালক রোস্তম মিয়া বলেন, পৌরসভার কোন রাস্তা যে ভালো আছে সেটাই মনে পড়ে না। সব রাস্তার বেহাল দশা। আমরা পৌর কর নিয়মিত দিয়ে থাকি। কিন্তু নাগরিক সেবা পাচ্ছি না। প্রায় সময় অটোরিকশার গ্লাস, নাট-বল্টু ও বিয়ারিং ভেঙ্গে যায়। এতে আমাদের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে রোজগার কমছে শুধু রাস্তার কারণে।

হাটির পাড়ের বাসিন্দা সেকেন্দার আলী বলেন, সরকার দলীয় টানা দুই দফা মেয়র পেয়েছে পৌরবাসী। কিন্তু দৃশ্যমান উন্নয়নের নামমাত্র আমাদের পৌরসভায় নেই। দিন যতই যাচ্ছে ততই এই পৌর এলাকায় বসবাস অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। একটু বৃষ্টি হলে ড্রেনের পানি দিয়ে রাস্তা তলিয়ে যায়। এমন নোংরা পানিতে ভিজে স্কুলে যেতে হয় বাচ্চাদের। আমাদের দূর্ভোগ কাকে বলব? মেয়র ও কাউন্সিলররা তাদের নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত।

রাজা মিয়া বলেন, এমন মেয়রের জন্য সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত সরকারের উপর। হাসপাতাল পাড়ার কোন লোক মারা গেলে সেই লাশ কবরস্থান পর্যন্ত কাঁধে করে হেটে যাবার উপায় নেই শুধু রাস্তার দুর্দশার কারণে।

মর্জিনা বেগম বলেন, কিছু দিন আগে রিভার ভিউ স্কুল থেকে মাটিকাটার রাস্তাটি এমপির বাড়ির গেট পর্যন্ত ঠিক করেছে। অথচ রাস্তার বাকি অংশ জরাজীর্ণ অবস্থা থাকলেও ঠিক করার কোন উদ্যোগ নেই। এটাই হলো পৌরসভার উন্নয়ন। যে উন্নয়ন সাধারণ মানুষের জন্য নয়।

গফুর মিয়া বলেন, পৌরসভার সড়কের পাশে বহুতল ভবন নির্মাণ হলেও নেই কোন পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। পৌরসভার রাস্তার প্রশস্ত কম। অথচ পৌরসভার তদারকির অভাবে প্রায় সময় রাস্তার ওপর বালু ও ইট ফেলে রাখা কিংবা রোগী বহন গাড়ি রাস্তায় দাঁড় করানোর কারণে যানজট নিত্যদিনের সঙ্গী পৌরবাসীর। এই ভোগান্তি আরও বাড়ে যখন কোন রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের সময় এই সরু রাস্তায় গাড়ির কয়েকগুণ চাপ বেড়ে যাওয়ায়।

কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়র কাজিউল ইসলাম বলেন, এই পৌরসভায় ১৮৬ কিলোমিটার রাস্তা এবং প্রায় ৬০ কিলোমিটার ড্রেন রয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ নগর পরিকল্পনা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ছয় কিলোমিটার রাস্তা এবং জলবায়ু প্রকল্পের অধীনে দু’কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার ড্রেন সংস্কার করার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। খুব দ্রুত সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।

//নিউজ/কুড়িগ্রাম//শাহীন/অক্টোবর/০৭/২৩

 

The post কুড়িগ্রাম প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হয়েও নেই কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
চিলমারীতে মোমবাতি নিয়ে হলে পরীক্ষার্থীরা https://www.ulipur.com/?p=26990 Tue, 26 Sep 2023 06:34:35 +0000 https://www.ulipur.com/?p=26990 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।। নেয়া হয় সেন্টার ফি, নেয়া হয় ফরম পূরণের ফি ও সাথে প্রবেশ পত্র দেয়ার নামেও শিক্ষার্থীদের কাছে নেয়া হয় অর্থ। সকল ফি সাথে অতিরিক্ত অর্থ আদায় এরপরেও মোমবাতি হাতে পরীক্ষার হলে যেতে হয় পরীক্ষার্থীদের। নেই উপযুক্ত পরিবেশ। দিনের পর দিন চিলমারীর শিক্ষা ব্যবস্থার অবনতি হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন [...]

The post চিলমারীতে মোমবাতি নিয়ে হলে পরীক্ষার্থীরা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
নেয়া হয় সেন্টার ফি, নেয়া হয় ফরম পূরণের ফি ও সাথে প্রবেশ পত্র দেয়ার নামেও শিক্ষার্থীদের কাছে নেয়া হয় অর্থ। সকল ফি সাথে অতিরিক্ত অর্থ আদায় এরপরেও মোমবাতি হাতে পরীক্ষার হলে যেতে হয় পরীক্ষার্থীদের। নেই উপযুক্ত পরিবেশ। দিনের পর দিন চিলমারীর শিক্ষা ব্যবস্থার অবনতি হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন মহলে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুকে) উঠেছে তীব্র প্রতিবাদের ঝড়।

জানা গেছে, সারা দেশের ন্যায় চিলমারীতেও ডিগ্রী ও এইসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষার আগে ফরম পূরণের অতিরিক্ত টাকা। এরপর প্রবেশ পত্রের মূল্য নেয়া হয় ৩ থেকে ৫ শত টাকা। নানা অজুহাতে শিক্ষার্থীদের করা হয় হয়রানি। সকল কিছু মেনে নিয়ে পরীক্ষার হলে এসেও বিপাকে পড়েছে চিলমারী সরকারি ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীরাও। পরীক্ষার জন্য সকল ধরণের প্রস্তুতি নিয়ে আসলেও কেন্দ্রের আর রুমের পরিবেশ হতাশ করেছে পরীক্ষার্থীদের।

রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ছিল ডিগ্রী ও এইসএসসি পরীক্ষা, সকল প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা পরীক্ষার্থীরা জানান, পরীক্ষা দিচ্ছি কিন্তু কেন্দ্রের আর রুমের অবস্থা বড়ই নাজুক, পরিবেশ স্যাঁতস্যাঁতে, নেই আলোর ব্যবস্থা, চারদিকে দুর্গন্ধ। তারা আরও জানান, পরীক্ষার হলে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়েছে।

১০৩ নং রুমের পরীক্ষার্থী বলেন, খুবই খারাপ পরিবেশে মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়েছে, আজ এই ডিজিটাল যুগে এভাবে কেউ পরীক্ষা দেয়? তারা আরও জানান, ভালো প্রস্তুতি নিয়ে এসেও পরিবেশ আর অন্ধকারের কারণে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়।

অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, পরীক্ষার জন্য সকল ফি দেয়া হলেও কেন উপযুক্ত পরিবেশ করা হয় না।

এ ব্যাপারে কলেজের ভারঃ অধ্যক্ষ মোঃ কবিরুল ইসলাম এর সাথে যোগাাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, কারেন্ট না থাকায় বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল।

//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/সেপ্টেম্বর/২৬/২৩

The post চিলমারীতে মোমবাতি নিয়ে হলে পরীক্ষার্থীরা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপদসীমার ১০ সে.মি. উপরে https://www.ulipur.com/?p=26983 Mon, 25 Sep 2023 09:40:07 +0000 https://www.ulipur.com/?p=26983 ।। নিউজ ডেস্ক ।। টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন নদ-নদীর সমতল স্তরে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজারহাটে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি প্রবেশ করায় আরেক দফা বন্যার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদী পাড়ের মানুষজন। এছাড়া তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায় বিভিন্ন পয়েন্টে [...]

The post কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপদসীমার ১০ সে.মি. উপরে appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন নদ-নদীর সমতল স্তরে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজারহাটে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি প্রবেশ করায় আরেক দফা বন্যার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদী পাড়ের মানুষজন। এছাড়া তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায় বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা দিয়েছে ভাঙন। একদিকে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অপরদিকে নদী ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এসব এলাকার মানুষজন।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার রেকর্ড অনুয়ায়ী জেলার অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপদসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জানা গেছে, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলগুলোতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ঘর-বাড়ি তলিয়ে না গেলেও আমনক্ষেত নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় আছে কৃষকেরা। এরইমধ্যে ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চর খিতাবখাঁ, বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চর বিদ্যানন্দ, চর পাড়ামৌলা ও চর তৈয়বখাঁয় তিস্তা নদীর পানি প্রবেশের পাশাপাশি নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনরোধে জিওব্যাগ ডাম্পিং কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।

গতিয়াশাম এলাকার বাসিন্দা কৃষক আব্দুল মোমেন বলেন, কিছুদিন আগে বন্যার পানিতে আমার ২ বিঘা আমনক্ষেত তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। আবার নতুন করে আমনক্ষেত করেছি। একদিকে নদী ভাঙন, আবার যদি বন্যা হয় তাহলে আবার আমন আবাদ নষ্ট হয়ে যাবে। আমরা নিঃস্ব হয়ে যাবো।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হিরা বলেন, তিস্তা নদীর পানি রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তার বাম তীরে ঘড়িয়ালডাঙ্গা এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে তো অনেকে বাড়ি-ঘর ও জমি-জমা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে অনেকই ভাঙনের শিকার হয়েছেন।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত কয়েক দিনের বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তার পানি আবারও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে সমতল স্তরে পানি আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তবে বড় ধরণের বন্যার শঙ্কা নেই। রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙ্গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করছে।

The post কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপদসীমার ১০ সে.মি. উপরে appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কুড়িগ্রামে টানা বৃষ্টিতে জনজীবনে দুর্ভোগ https://www.ulipur.com/?p=26963 Sun, 24 Sep 2023 15:33:56 +0000 https://www.ulipur.com/?p=26963 ।। নিউজ ডেস্ক ।। কুড়িগ্রামে গত পাঁচদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি হওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জন-জীবন। কখনও হালকা আবার কখনও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে কর্মস্থলে যেতে নানান বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে সকল শ্রেণি পেশার মানুষজনের। বিশেষ করে কাজের সন্ধানে ছুটে চলা শ্রমজীবী মানুষজন পড়েছেন চরম বিপাকে। এছাড়া নদীর তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চলের মানুষজন বন্যার আশঙ্কায় আমন আবাদ নিয়ে [...]

The post কুড়িগ্রামে টানা বৃষ্টিতে জনজীবনে দুর্ভোগ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামে গত পাঁচদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি হওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জন-জীবন। কখনও হালকা আবার কখনও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে কর্মস্থলে যেতে নানান বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে সকল শ্রেণি পেশার মানুষজনের। বিশেষ করে কাজের সন্ধানে ছুটে চলা শ্রমজীবী মানুষজন পড়েছেন চরম বিপাকে। এছাড়া নদীর তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চলের মানুষজন বন্যার আশঙ্কায় আমন আবাদ নিয়ে পড়েছেন দুশ্চিন্তায়।

অপর দিকে নদ-নদীর পানিও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে বিভিন্ন নদ-নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা দিয়েছে ভাঙন।

এদিকে বৃষ্টিপাতের ফলে পৌর এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না থাকার কারণে জেলা শহরের হাসপাতালপাড়া, ফায়ার সার্ভিস, পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিসপাড়া, হাটিরপাড় ও নিমবাগান এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

কুড়িগ্রম রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার তথ্যমতে, জেলায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৫৯ মি.মি। এছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টায় জেলার কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটি।

যতিনের হাটের রিকশা চালক আক্কাস আলী বলেন, কয়দিন থাকি যে হারে ঝড়ি (বৃষ্টি) হবাইছে। ঘর থাকি মানুষ বেড়বার না পাইলে ভাড়া হয় কেমন করি। এমন আর কয়দিন চললে হামরা গরীব মানুষগুলোর খুব বিপদ হইবে।

টাপু ভেলাকোপার নুরল মিয়া বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টি। কাজ-কাম বন্ধ। টাকার চিন্তায় কিছু ভালো লাগে না। রাত পোহালে কিস্তি। ঘরে বাজার-সদাই নাই। খুব দুশ্চিন্তায় পড়ছি। এভাবে বৃষ্টি হলে মানুষের চলাফেরা কাজকর্ম সব বন্ধ হয়ে যাবে।

ভোগডাঙ্গা মাধবরামের কৃষক মো. আনারুল কবির বলেন, কয়েক দফা বন্যায় আমন আবাদ নষ্ট হয়ে গেছে। আবারও আমান ক্ষেত রোপণ করেছি। যে হারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে এভাবে বৃষ্টি পড়তে থাকলে পানিতে আমন ক্ষেত তলিয়ে যাবে। এবার আবাদ নষ্ট হলে এ মৌসুমে আর আমনের আবাদ করা যাবে না। আমরা কৃষকরা অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হবো।

কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র রায় বলেন, গত পাঁচদিন ধরে হালকা ও মাঝারি ধরণের বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী আরও দু’দিন এ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।

The post কুড়িগ্রামে টানা বৃষ্টিতে জনজীবনে দুর্ভোগ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
উলিপুরে তিস্তার পানি কমলেও আকস্মিক ভাঙনে দিশেহারা তীরবর্তী মানুষ https://www.ulipur.com/?p=25550 Sun, 23 Jul 2023 09:10:23 +0000 https://www.ulipur.com/?p=25550 ।। নিউজ ডেস্ক ।। আবিলা বেওয়া আর্তনাদ করে কেঁদে কেঁদে জানান, ‘আমার ইতি কলিজা হুসকি যায়, মায়ের জাহানে কি মানে চোখের সামনে ছেলের কবর ভাঙি যায় নদীতে। কাইল আইতত বসি আছি তারে মধ্যে স্বামী, দেওর ও ভাইজতার কবর গুলা ভাঙি গেল বাবারে। ছেলের কবরখেন দেখিয়ে জীবনটা পাড় করবের চাছনু বা। কিন্তু নদী সেটাও করবের দিলে [...]

The post উলিপুরে তিস্তার পানি কমলেও আকস্মিক ভাঙনে দিশেহারা তীরবর্তী মানুষ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
আবিলা বেওয়া আর্তনাদ করে কেঁদে কেঁদে জানান, ‘আমার ইতি কলিজা হুসকি যায়, মায়ের জাহানে কি মানে চোখের সামনে ছেলের কবর ভাঙি যায় নদীতে। কাইল আইতত বসি আছি তারে মধ্যে স্বামী, দেওর ও ভাইজতার কবর গুলা ভাঙি গেল বাবারে। ছেলের কবরখেন দেখিয়ে জীবনটা পাড় করবের চাছনু বা। কিন্তু নদী সেটাও করবের দিলে না। এখন সউগ নদীতে গেলো রে বাবা, এ্যালা হামরা কটে থাকমো আল্লায় জানে’। আবিলার বাড়ি উলিপুরের বজরা ইউনিয়নের পূর্ব বজরা গ্রামে।

শনিবার (২২ জুলাই) সরেজমিনে জানা গেছে, তিস্তা নদীর পানি কমতে থাকার কারণে আকস্মিক ভাঙন শুরু হয় বজরা ইউনিয়নের চর বজরা পূর্ব পাড়া এলাকায়। শুক্রবার (২১ জুলাই) দিবাগত রাতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওই গ্রামের লাভলু মিয়া, মোনায়েম হোসেন ও ইসলাম মিয়ার বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙনের কবলে পড়েছে একটি আধাপাকা মসজিদ, কবরস্থানসহ আরও ১০-১৫টি বসত বাড়ি। যেকোন মুহূর্তেই নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে এসব স্থাপনা। এছাড়া চরম হুমকির মধ্যে রয়েছে, চর বজরা পূর্ব পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ শতাধিক বসতভিটা।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে হঠাৎ ভাঙন শুরু হয়। এ সময় আবিলা বেওয়ার ছেলের কবরটাও ভাঙনের কবলে পড়ে। মাঝরাতে কবর স্থানের পাশে বসে আবিলা বেওয়ার কান্নাকাটি শুরু করেন। এসময় আশপাশের মানুষ জড়ো হতে থাকে।

ওই ওয়ার্ডের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান বলেন, ৪ বছর আগে একবার এ এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। সেই সময় আমার বাড়ির অর্ধেকটা ভেঙে যায়। এরপর থেকে আর ভাঙন দেখা যায়নি। এছাড়াও আগে বহুবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোক মাপামাপি করে গেছে, তবে একটি বস্তাও ফেলেনি তারা।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল কাদের বলেন, খবর পেয়ে ওই এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। মসজিদ ও কবরস্থানটি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। মসজিদ ও কবরস্থান রক্ষায় কিছু জিও ব্যাগ ফেলার প্রস্তুতি চলছে।

//নিউজ//উলিপুর//মালেক/জুলাই/২২/২৩

The post উলিপুরে তিস্তার পানি কমলেও আকস্মিক ভাঙনে দিশেহারা তীরবর্তী মানুষ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>