দূর্ভোগ Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=দূর্ভোগ কুড়িগ্রাম জেলার তথ্য ও সংবাদ Mon, 02 Oct 2023 18:11:29 +0000 en-US hourly 1 https://www.ulipur.com/wp-content/uploads/2022/10/1665889308.png দূর্ভোগ Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=দূর্ভোগ 32 32 এক হাত দিয়েই চলছে রাজারহাটের শাহ আলীর জীবন সংগ্রাম https://www.ulipur.com/?p=27129 Mon, 02 Oct 2023 17:30:57 +0000 https://www.ulipur.com/?p=27129 ।। নিউজ ডেস্ক ।। ভিক্ষা নয় পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করছেন এক হাত বিহীন দিনমজুর শাহ আলী (৪৪)। জীবন যুদ্ধে হার না মানা এই যোদ্ধার ওপর নির্ভরশীল পরিবারের চার সদস্য। শাহ আলী পেশায় একজন দিনমজুর। তার ঘরে চার মেয়ে সন্তান ও এক স্ত্রী আকলিমা বেগমকে নিয়ে ছয় সদস্যের সংসার। এরমধ্যে দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। পরিবারের [...]

The post এক হাত দিয়েই চলছে রাজারহাটের শাহ আলীর জীবন সংগ্রাম appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
ভিক্ষা নয় পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করছেন এক হাত বিহীন দিনমজুর শাহ আলী (৪৪)। জীবন যুদ্ধে হার না মানা এই যোদ্ধার ওপর নির্ভরশীল পরিবারের চার সদস্য। শাহ আলী পেশায় একজন দিনমজুর। তার ঘরে চার মেয়ে সন্তান ও এক স্ত্রী আকলিমা বেগমকে নিয়ে ছয় সদস্যের সংসার। এরমধ্যে দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী হওয়ায় দিনমজুরির আয়ে কোন রকম চলে শাহ আলীর পরিবার। প্রায় তিন বছর আগে বগুড়ায় এক সড়ক দূর্ঘটনায় বাম হাতটি হারিয়ে ফেলেন এবং একই বছরে একমাত্র সম্বল বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পুরো পরিবার জুড়ে নেমে আসে অন্ধকার। তবে তিনি থেমে থাকেন নি। নিজেকে প্রতিবন্ধী না ভেবে এক হাত নিয়েই ধরেন সংসারের হাল।

শাহ আলীর বাড়ি রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের গতিয়াশাম গ্রামে। তার বাবা সাইয়েদ আলী। বর্তমানে ঘর-বাড়ি হারিয়ে তিস্তা নদী দ্বারা চারদিক বেষ্টিত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরখিতাব খাঁ গ্রামে অন্যের জমি ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন।

শাহ আলী জানান, আমার জমি-জমা বলতে ১৬ শতক ভিটেমাটি ছাড়া কিছু ছিল না। অন্যের বাড়িতে কাজ-কর্ম করে সংসার চালাতাম। এলাকায় কাজ না থাকলে জেলার বাইরে ধান কাটতে যেতাম। ২০২১ সালে বগুড়া ধান কাটতে যাই। সেখানে সিএনজিতে করে বাম দিকে বসে এক হাত বের করা ছিল। পথে ট্রাক আর সিএনজির ধাক্কায় আমার বাম হাতটি রাস্তায় পড়ে যায়। বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক মাস চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে আসি। ক্ষত না শুকাতেই শুরু হয় নদী ভাঙন। এক রাতেই তিস্তা নদী আমার ভিটেমাটি কেড়ে নেয়। মাথা গোঁজার ঠাঁই না থাকায় দ্বীপ চরে বছরে ৫ হাজার টাকা ভাড়ায় ১০ শতক জমিতে কোনো রকমে পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। চার মেয়ে এবং স্ত্রীসহ ছয়জনের সংসার। এরমধ্যে দুটি মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। আমার এক হাত নেই বলে আগের মতো কেউ আর কাজে নিতে চায়না। তাই এই চরের মধ্যেই কাজ করে খেয়ে না খেয়ে দিন চলছে। তবুও ভিক্ষাবৃত্তির মতো নিচু কাজ করবো না।

শাহ আলীর স্ত্রী আকলিমা বেগম বলেন, আগে মোটামুটি ভালো ছিলাম। স্বামীর হাত হারানোর পর প্রায় তিন বছর ধরে আমরা কষ্টে আছি। সরকার তিনমাস পর যে প্রতিবন্ধী ভাতা দেয় এবং এলাকায় কৃষি কাজ করে তা দিয়ে চলেছে সংসার। আমাদের চারটা মেয়ে একটা ছেলে সন্তান নাই যে সংসারের হাল ধরবে। দিন যতই যাচ্ছে সংসারে খরচ ও দুশ্চিন্তাও বাড়ছে। আল্লাহ জানে ভবিষ্যতে আমাদের ভাগ্যে কী আছে?

প্রতিবেশী সাইফুল ইসলাম বলেন, শাহ আলী তার পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। এক হাতের ওপর চলছে পুরো সংসার। মেয়ের লেখাপড়ার খরচ ও পরিবারের খরচ যোগান দিতে না পারায় মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা।

ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ: কুদ্দুস বলেন, দূর্ঘটনায় এক হাত হারিয়ে শাহ আলী পরিবার নিয়ে কষ্টে আছেন। তার নামে প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারিভাবে পরিবার চলার মত কোন সহযোগিতা পেলে হয়তো তাদের কষ্ট কিছুটা লাঘব হতো।

জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ বলেন, দূর্ঘটনায় হাত হারানো শাহ আলীর বিষয় জানতে পারলাম। আরও খোঁজ খবর নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সহায়তাসহ তাকে কিভাবে স্বাবলম্বী করা যায় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

The post এক হাত দিয়েই চলছে রাজারহাটের শাহ আলীর জীবন সংগ্রাম appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
চিলমারীতে সেতুর অভাবে বাঁশ ও কাঠের সাঁকোতে চলছে পারাপার, দূর্ভোগে গ্রামবাসী https://www.ulipur.com/?p=17684 Thu, 09 Jun 2022 13:46:47 +0000 https://www.ulipur.com/?p=17684 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।। দিনের পর দিন, মাস পেড়িয়ে বছর, বছর পেড়িয়ে যুগ ভরসা ওদের বাঁশ ও কাঠের সাঁকো। জন্মেও পর থেকেই দেখছি বাঁশ আর কাঠের সাঁকো আর বন্যার সময় নৌকা বা ভেলা দিয়ে হতে হয় পাড়াপাড়। বছরের পর বছর নড়বড়ে বাঁশ ও কাঠের সাঁকো দিয়ে পার হতে গিয়ে ঘটে দুর্ঘটনা। শুকনা মৌসুমে চলাচল করা [...]

The post চিলমারীতে সেতুর অভাবে বাঁশ ও কাঠের সাঁকোতে চলছে পারাপার, দূর্ভোগে গ্রামবাসী appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
দিনের পর দিন, মাস পেড়িয়ে বছর, বছর পেড়িয়ে যুগ ভরসা ওদের বাঁশ ও কাঠের সাঁকো। জন্মেও পর থেকেই দেখছি বাঁশ আর কাঠের সাঁকো আর বন্যার সময় নৌকা বা ভেলা দিয়ে হতে হয় পাড়াপাড়। বছরের পর বছর নড়বড়ে বাঁশ ও কাঠের সাঁকো দিয়ে পার হতে গিয়ে ঘটে দুর্ঘটনা। শুকনা মৌসুমে চলাচল করা গেলেও বৃষ্টি আর বর্ষার সময় নড়বড়ে সাঁকোর সামনে এলেই বড় ডর (ভয়) করে কথা গুলো বললেন কলেজ ছাত্রি আতিকা। বছরের পর বছর থেকে দুর্ভোগ আর দুর্ঘটনা সামনে নিয়েই কখনো বাঁশ, কখনো কাঠের সাঁকোই ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে চিলমারী পাত্রখাতা, ডাংগারচরসহ ১০গ্রামের বাসিন্দার।

জানা গেছে, চিলমারী উপজেলা পাত্রখাতা মাঠের পাড় ভোলার ছড়া খালের উপর ব্রীজ না থাকায় পাত্রখাতা, মন্ডলেরহাট, কারেনবাজার, ডাংগারচরসহ প্রায় ১০ গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষের ভরসা এখন কাঠ ও বাঁশের সাঁকো। উক্ত খালের উপর প্রায় ১৪/১৫ বছর আগে একটি কালভাট নির্মান হলেও বছর যেতে না যেতেই পানির স্রোতে ভেঙ্গে পড়ে সেটি। সেটি নিলাম করা হলেও উক্ত স্থানে নেয়া হয়নি ব্রীজ বা সেতু নির্মানের উদ্যোগ। সেতু নির্মান না হওয়ায় কখনো সেচ্ছা শ্রমে আবার কখনো ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে বাঁশ ও কাঠের সাঁকো নির্মান করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী। বাড়ছে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে ভোগান্তি। ঝুঁকি মাথায় নিয়ে চলাচল করছে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শতশত শিক্ষার্থীও। শুকনা মৌসুমের ভয় না থাকলেও বর্ষার ঝুঁকির সাথে ভয় বাড়ে দ্বিগুন। আর বন্যার সময় সেটিও বন্ধ হয়ে পড়ে আর ভরসা হয়ে দাঁড়ায় নৌকা ও ভেলা।

সরকারের উন্নয়নের কথা টেনে এলাকার আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রায় সব স্থানে রাস্তা হচ্ছে, সেতু ও ব্রীজ হচ্ছে আর আমরা বছরের পর বছর ধরে বাঁশ ও কাঠ জোড়াতালি দিয়ে সাঁকো বানিয়ে চলাচল করছি এটি কারো চোখে পড়েনা তাহলে আমরা কি উন্নয়নের ছোয়া পাবোনা।

আমিনুল ইসলামের সাথে সুর মিলিয়ে জেলেখা বলেন, প্রায় ১৪/১৫ বছর আগে একটি কালভাট নির্মান হয় আবার সেটি বছর যেতে না যেতে উল্টে যায় এরপর কালভাটটি ভেঙ্গে নিয়ে যায় কিন্তু তখন থেকে আর সেতু বা ব্রীজ নির্মানের কোন উদ্যোগ নেয়নি কেউ।

শিক্ষার্থী মজনু, বৃষ্টি, নজরুল বলেন, বাঁশ আর কাঠের সাঁকো কতটুকু শক্তিশালি তা তো সবাই জানে এর উপর নড়বড়ে এই বাঁশ আর কাঠের সাঁকোর কাছে এলেই বড় ডর (ভয়) করে কখন যেন পড়ে যাই। অপর এক ছাত্র বলেন, সাঁকো পাড়াপাড় হতে অনেক সময় অনেকে পড়েও যায়। উক্ত খালে উপর দ্রুত সেতু বা ব্রীজের দাবি জানিয়ে এলাকাবাসী বলেন, আমরা দুর্ভোগ আর ঝুঁকি থেকে বাঁচতে চাই।

দুর্ভোগ আর ভোগান্তির কথা স্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আকা বলেন, আমরা বাঁশ ও কাঠের সাঁকো নির্মান বা মেরামত করতে পারি কিন্তু এখানে একটি ব্রীজ জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরেজমিন ঘুরে এলাকাবাসী ভোগান্তি দুর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান।

//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/জুন/০৯/২২

The post চিলমারীতে সেতুর অভাবে বাঁশ ও কাঠের সাঁকোতে চলছে পারাপার, দূর্ভোগে গ্রামবাসী appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
ফুলবাড়ীতে দেড় যুগ ধরে মানুষ চলাচলে ব্যবহৃত হচ্ছে সাঁকো https://www.ulipur.com/?p=14968 Tue, 05 Oct 2021 11:32:54 +0000 https://www.ulipur.com/?p=14968 ।। জেলা প্রতিনিধি ।। ফুলবাড়ীতে চন্দ্রখানা বালাটারী আবাসন নির্মাণের দেড় যুগ পেরিয়ে গেলেও আবাসনবাসীসহ আশপাশের ৩ টি গ্রামের ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটিতে নির্মাণ হয়নি ব্রিজ। নড়বড়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে মানুষ, ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। তাই দ্রুত ব্রিজ নির্মাণের দাবি আবাসন ও এলাকাবাসীর। জানা গেছে, উপজেলা সদর থেকে মাত্র ১ [...]

The post ফুলবাড়ীতে দেড় যুগ ধরে মানুষ চলাচলে ব্যবহৃত হচ্ছে সাঁকো appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। জেলা প্রতিনিধি ।।
ফুলবাড়ীতে চন্দ্রখানা বালাটারী আবাসন নির্মাণের দেড় যুগ পেরিয়ে গেলেও আবাসনবাসীসহ আশপাশের ৩ টি গ্রামের ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটিতে নির্মাণ হয়নি ব্রিজ। নড়বড়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে মানুষ, ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। তাই দ্রুত ব্রিজ নির্মাণের দাবি আবাসন ও এলাকাবাসীর।

জানা গেছে, উপজেলা সদর থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে ফুলসাগর লেকের দক্ষিণ পাড় ঘেঁষেই দেড় যুগ আগে গরীব অসহায় মানুষের জন্য চন্দ্রখানা বালাটারী আবাসন নির্মাণ হলেও চলাচলের জন্য নির্মাণ হয়নি একটি ব্রিজ। আবাসনের ১৮০ ঘর বাসিন্দাসহ আশপাশের ৩ টি গ্রামের ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের পারাপারের জন্য পাকা সংযোগ সড়ক থেকে নালার উপর ৬০ মিটার দৈঘের্যর জরাজীর্ণ কাঠের সাঁকোটির বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেলেও ঝুঁকি নিয়ে নড়বড়ে সাঁকো দিয়েই পারাপার হচ্ছে নারী, শিশু বৃদ্ধসহ অনেকেই। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। দৈনন্দিন জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে এ অঞ্চলের মানুষের কাছে গুরত্বপূর্ণ হওয়ায় কাঠের সাঁকোর পরিবর্তে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণের দাবি আবাসনবাসী ও এলাকাবাসী।

আবাসনবাসী খবির উদ্দিন, জোসনা বেগম ও বীরমুক্তিযোদ্ধা জহির আলী জানান, আবাসন নির্মাণের প্রায় দেড় যুগ পার হয়ে গেলেও আবাসনবাসীসহ তিন গ্রামের ১০ হাজারের বেশী মানুষ চলাচলের একমাত্র রাস্তাটিতে আজ পর্যন্ত একটি ব্রিজ নির্মাণ হয়নি, একটি কাঠের সাঁকো আছে যা দিয়ে আমরা যাতায়াত করি সেটি প্রায় ভেঙে পড়ে, এখান দিয়ে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা স্কুলে যাওয়ার প্রায় সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়, আমরা নিজেরাও শিকার হই। সরকারের কাছে আকুল আবেদন আমাদের এখানে একটি ব্রিজ দেয়ার।

ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ হারুন জানান, চন্দ্রখানা বালাটারী আবাসনবাসীসহ ওই এলাকার মানুষের চলাচলের দুর্ভোগ কমাতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি ব্রিজ নির্মাণের আবেদন করেছি, এছাড়া মাননীয় সংসদ সদস্যের কাছে আমি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য।

//নিউজ/কুড়িগ্রাম//সুভাষ/অক্টোবর/০৫/২১

The post ফুলবাড়ীতে দেড় যুগ ধরে মানুষ চলাচলে ব্যবহৃত হচ্ছে সাঁকো appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
বন্যায় ব্রিজ ধ্বসে যাওয়ায় হাতিয়া ইউনিয়নে ২০ হাজার মানুষের দূর্ভোগ https://www.ulipur.com/?p=4500 Mon, 09 Oct 2017 17:38:30 +0000 http://www.ulipur.com/?p=4500 নিউজ ডেস্কঃ উলিপুরে সম্প্রতি বন্যায় ব্রিজ ধ্বসে যাওয়ায় ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ১২ টি গ্রামের ২০ হাজার মানুষ সীমাহীন দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। ধ্বসে যাওয়া ব্রিজের স্থলে বাঁশের সাঁকো স্থাপন করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন এলাকার মানুষ। উপজেলার ডিসি-৫০ সড়কের পূর্ব কাশিয়াগাড়ী হতে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ পর্যন্ত এ রাস্তায় ঘোলদার নামক স্থানে স্থাপিত এই ব্রিজটি সম্প্রতি [...]

The post বন্যায় ব্রিজ ধ্বসে যাওয়ায় হাতিয়া ইউনিয়নে ২০ হাজার মানুষের দূর্ভোগ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
নিউজ ডেস্কঃ
উলিপুরে সম্প্রতি বন্যায় ব্রিজ ধ্বসে যাওয়ায় ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ১২ টি গ্রামের ২০ হাজার মানুষ সীমাহীন দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। ধ্বসে যাওয়া ব্রিজের স্থলে বাঁশের সাঁকো স্থাপন করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন এলাকার মানুষ। উপজেলার ডিসি-৫০ সড়কের পূর্ব কাশিয়াগাড়ী হতে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ পর্যন্ত এ রাস্তায় ঘোলদার নামক স্থানে স্থাপিত এই ব্রিজটি সম্প্রতি বন্যার পানির প্রবল স্রোতে ধ্বসে যায়। এর ফলে ব্রিজের দুপাশে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। প্রথমে কলা গাছের ভেলার সাহায্যে পারাপার হলেও বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় উক্ত খালের উপর এলাকাবাসীর সহায়তায় বাঁশের সাঁকো নির্মান করা হয়। নড়বড়ে ওই বাঁশের সাঁকর উপর দিয়ে মোটর সাইকেল, বাইসাইকেল নিয়ে বিভিন্ন ব্যাসায়ী ও ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন ১২ টি গ্রামের মানুষজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। ফলে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট খাঁটো নানা দূর্ঘটনা।

স্থানীয় বাসিন্দা রফিক মিয়া (৪৫) বলেন, আমার জন্মের পর থেকে আমি ব্রিজটা দেখে আসছি, ব্রিজটি ধ্বসে যাওয়ায় যাতায়াতের মারাত্মক সমস্যার সূষ্টি হচ্ছে। ওই এলাকার নজরুল ইসলাম, লিটন মিয়া, সাহাবুদ্দিন, ইউনুস আলী স্বর্ণকার সহ এলাকাবাসীর দাবী এই স্থানে দ্রুত একটি ব্রিজ নির্মান করা হোক। মুন্সিপাড়া রহমানিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সহঃ সুপার মোকছেদ আলী বলেন, আমার বাড়ি অনেক দুরে চাকুরির সুবাদে প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয় ঝুকিপূর্ণ এই ব্রিজের উপর দিয়ে। অন্যথায় কয়েক কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে আসতে হয়। আদর্শ এতিমখানা দ্বী-মুখি আলিম মাদ্রার অধ্যক্ষ মাও. আজিজুর রহমান বলেন, স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রী সহ এই এলাকার কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের এটি একমাত্র রাস্তা। তিনি আরো বলেন, ব্রিজটি ধ্বসে যাওয়ায় মানুষজন যাতায়াতে সীমাহীন দূর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন। ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোন্নাফ আলীর সঙ্গে কথা হলে ব্রিজটি ধ্বসে যাওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন সংশ্লিষ্ট বিভাগে জানানো হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম জানান, বন্যায় বিভিন্ন রাস্তা, কালভার্ট ও ব্রিজের ক্ষয়ক্ষতির তালিকায় ওই ব্রিজটিও আছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই স্থানে ব্রিজ নির্মানের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

The post বন্যায় ব্রিজ ধ্বসে যাওয়ায় হাতিয়া ইউনিয়নে ২০ হাজার মানুষের দূর্ভোগ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>