পাউবো Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=পাউবো কুড়িগ্রাম জেলার তথ্য ও সংবাদ Thu, 01 Jun 2023 15:33:27 +0000 en-US hourly 1 https://www.ulipur.com/wp-content/uploads/2022/10/1665889308.png পাউবো Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=পাউবো 32 32 কুড়িগ্রামে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ভিটে মাটি, ভাঙ্গন রোধে নেই কোন প্রকল্প https://www.ulipur.com/?p=24576 Thu, 01 Jun 2023 15:32:47 +0000 https://www.ulipur.com/?p=24576 ।। নিউজ ডেস্ক ।। ব্রহ্মপুত্র নদ জুড়ে ঘোলা পানির প্রবাহ। বিগত কয়েকদিনের তুলনায় ক্ষীপ্রতাও বেড়েছে। সেই সাথে বেড়েছে এর অববাহিকায় ভাঙ্গনের তীব্রতা। কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর ও চিলমারীর বিভিন্ন এলাকায় বসতি সহ বিভিন্ন স্থাপনা, আবাদি জমি সব গিলে খাচ্ছে আগ্রাসী এই নদ। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, চরাঞ্চলে প্রতিরোধমূলক কাজের কোনও প্রকল্প নেই। ফলে এসব [...]

The post কুড়িগ্রামে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ভিটে মাটি, ভাঙ্গন রোধে নেই কোন প্রকল্প appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
ব্রহ্মপুত্র নদ জুড়ে ঘোলা পানির প্রবাহ। বিগত কয়েকদিনের তুলনায় ক্ষীপ্রতাও বেড়েছে। সেই সাথে বেড়েছে এর অববাহিকায় ভাঙ্গনের তীব্রতা। কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর ও চিলমারীর বিভিন্ন এলাকায় বসতি সহ বিভিন্ন স্থাপনা, আবাদি জমি সব গিলে খাচ্ছে আগ্রাসী এই নদ। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, চরাঞ্চলে প্রতিরোধমূলক কাজের কোনও প্রকল্প নেই। ফলে এসব ভাঙ্গন রোধে এই মহূর্তে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়।

চিলমারীর রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের চর বড়ভিটা ও নয়ারহাট ইউনিয়নের বজরা দিয়ারখাতা। এই দুই চরে উপজেলার চিলমারী, থানাহাট, নয়ারহাট ও রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের প্রায় ৫ হাজার মানুষের বসতি। বছর জুড়ে চলমান ভাঙনে বসতিপূর্ণ চর দুটি ছোট হয়ে আসছে। নিরুপায় অনেক বাসিন্দা অন্য চরে বসতি স্থানান্তর করছেন। যাদের সেই সুযোগ-সামর্থ নেই তারা হাহাকার করছেন। স্থানীয়রা বলছেন, চলমান ভাঙনে গত এক মাসে স্কুল, মসজিদসহ চর দুটির শতাধিক বসতভিটা ব্রহ্মপুত্রের গর্ভে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকার আরও দুই শতাধিক বসতভিটা ভাঙ্গন হুমকিতে রয়েছে। তবে ভাঙনরোধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন সহ পাউবো। জনপ্রতিনিধিরাও নিষ্ক্রিয়। বাসিন্দারা বলছেন, নদ যখন বসতি থেকে কিছুটা দূরে ছিল তখন ভাঙ্গন প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিলে হয়তো ভাঙ্গন ঠেকানো যেত।

স্থানীয় বাসিন্দা ও নয়ারহাট ইউনিয়ন আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাহফুজার রহমান জানান, বজরা দিয়ার খাতা ও চরবড়ভিটায় ভাঙনে এক বছরে দুই শতাধিক পরিবার বসতভিটা হারিয়েছে। গত একমাসে স্কুল, মসজিদসহ আরও শতাধিক বাড়িঘর নদীতে চলে গেছে। এই সময়ে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেললেও হয়তো ভাঙ্গন কিছুটা কমানো যেত। নাহলে এই চর রক্ষা করা যাবে না।

চর বড়ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রেজাউল বলেন, গেলো বন্যায় আমাদের স্কুলটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এবছর যেভাবে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে তাতে আমরা খুব চিন্তিত। এবার স্কুলটি কোথায় নিয়ে যাবো, কী করবো তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। দ্রুত ভাঙন থামানো না গেলে স্কুলটি রক্ষা করা যাবে না।

রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ভাঙ্গনে এই মৌসুমে শতাধিক বাড়িঘর বিলীন হয়েছে। যেভাবে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে তাতে ওই চর থাকবে কিনা সন্দেহ আছে।’

নয়ারহাট ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ভাঙ্গনে দুই শতাধিক পরিবার হুমকিতে রয়েছে। অনেকেই স্থানান্তরিত হয়ে কাজল ডাঙার চরে আশ্রয় নিয়েছে। আমার ইউনিয়নের বর্তমানে উত্তর খাউরিয়া, খেরুয়ারচর ও দক্ষিণ খাউরিয়ার চর ভাঙন হুমকিতে রয়েছে। সামনে পানি বাড়তে থাকলে এসব এলাকায় ভাঙন শুরু হবে। আর বজরা দিয়ার খাতায় তো ব্যাপক হারে ভাঙন চলছে। একটি প্রাথমিক স্কুল ছিলো সেটিও ভেঙে গেছে। বর্তমানে যেখানে স্কুলটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ভাঙন না থামলে ওই জায়গাটিও নদীগর্ভে চলে যাবে। এখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডেরও কোনো ভূমিকা নেই। তারা বন্যা হলে জিও ব্যাগ ফেলেন।

ভাঙ্গনে একই পরিস্থিতি জেলার সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন ও উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের। শত শত পরিবার ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে ভিটেমাটি ও আবাদি জমি হারালেও চরাঞ্চল হওয়ায় প্রতিনিয়ত পাউবোর নজর থেকে উপেক্ষিত তারা। প্রকল্প না থাকার অজুহাত, সমীক্ষা নামক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিসহ নানা নিয়ম নীতির জাতাকলে কয়েক দশক ধরে গড়ে ওঠা বসতি ও ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা বিলীন হচ্ছে একের পর এক। পরিবর্তিত হচ্ছে জেলার মানচিত্র। প্রতিবছর ভাঙনের শিকার হয়ে জেলা ত্যাগ করছে শত শত পরিবার। জন্মস্থান ও আত্মীয়তার বন্ধন ছেড়ে বসতি গড়ছেন অন্য জেলায়।

চলমান ভাঙন প্রতিরোধে পাউবো, কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘চর ভাঙবে এটাই স্বাভাবিক। এক চর ভেঙে আরেক চর গড়ে উঠে। চরাঞ্চলের ভাঙন প্রতিরোধে আমাদের কোনও প্রকল্প নেই। আর সমীক্ষা ছাড়া প্রতিরক্ষা কাজ সম্ভব নয়, সেটা টিকবে না। তারপরও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা চাইলে আমারা কিছু জিও ব্যাগ দিতে পারি। তবে সেগুলো তাদের নিজ উদ্যোগে বালু ভরে ফেলতে হবে। এই মহূর্তে আমাদের আর কিছু করার নেই।’

//নিউজ//কুড়িগ্রাম//চন্দন/জুন/১/২৩

The post কুড়িগ্রামে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ভিটে মাটি, ভাঙ্গন রোধে নেই কোন প্রকল্প appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
উলিপুরে দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে তালাবদ্ধ পাউবো’র উপ বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয় https://www.ulipur.com/?p=20772 Mon, 21 Nov 2022 11:18:26 +0000 https://www.ulipur.com/?p=20772 ।। নিউজ ডেস্ক ।। উলিপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয়টি দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে তালা বন্ধ রয়েছে। কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী অফিসটিতে থাকে না। বর্তমানে অফিস ক্যাম্পাসটি ৭জন আনসার ও একজন দারোয়ান পাহারা দিচ্ছে। নদ-নদী ভাঙন অথবা জরুরী প্রয়োজনে তাদের পাওয়া যায় না। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছে ভুক্তভোগী জনসাধারণ। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, রংপুর [...]

The post উলিপুরে দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে তালাবদ্ধ পাউবো’র উপ বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয় appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয়টি দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে তালা বন্ধ রয়েছে। কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী অফিসটিতে থাকে না। বর্তমানে অফিস ক্যাম্পাসটি ৭জন আনসার ও একজন দারোয়ান পাহারা দিচ্ছে। নদ-নদী ভাঙন অথবা জরুরী প্রয়োজনে তাদের পাওয়া যায় না। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছে ভুক্তভোগী জনসাধারণ।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, রংপুর বিভাগীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড ও কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে বিগত ১৯৭৪ সালে চিলমারী বন্দরকে নদ-নদী ভাঙন থেকে রক্ষায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার সুবিধার্থে উলিপুরে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয়টি স্থাপন করা হয়। প্রায় ১০ একর জমির উপর সুবিশাল অফিস ক্যাম্পাসে ২টি পুকুর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ব্যবস্থা রয়েছে। কার্যালয়টিতে ১জন এসডিও, ৩ জন এসও, ২জন অফিস সহকারী, ৮জন কার্য সহকারী, ৫জন এমএলএসএস, ২জন দারোয়ান ও ২জন সার্ভেয়ার রয়েছে। অফিসটি নদী ভাঙ্গা দুর্গত মানুষদের সেবা দিয়ে আসছিল। কিন্ত বিগত ১৯৯৬ সালে অলিখিত ভাবে অফিসটি বন্ধ রাখা হয়। আর সেই থেকে অফিসটি তালাবদ্ধ রয়েছে। তবে কাগজে কলমে অফিসটি চলছে বলে দেখানো হচ্ছে। কিন্ত বাস্তবে অফিসটি তালাবদ্ধ। গুদামে এবং বাইরে রাখা লোহার গাডার গুলো বৃষ্টি বাদলে মরিচা ধরে নষ্ট হচ্ছে। কার্যালয়ের নির্দিষ্ট সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছে। তারা নিয়মিত ভাবে বেতন বিল পাচ্ছেন কিন্ত সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে এলাকার জনগন। এলাকার মানুষের দাবী অবিলম্বে অফিসটি জনগনের জন্য চালু করা ইউক।

এলাকার বাসিন্দা আফছার আলী (৭০) অভিযোগ করে বলেন, অফিসটি গত ২৫/২৬ বছর ধরে বন্ধ। দু’জন দারোয়ানের মধ্যে শুধু একজন দারোয়ান পাহারা দিতো। এখন ২/৩ বছর থেকে ৭ জন আনসার অফিসসহ অফিস এলাকাটি পাহারা দিয়ে যাচ্ছে। এই অফিসটি চলাকালিন জমজমাট ছিল। আমরা ৪০ থেকে ৫০ জন শ্রমিক নদী রক্ষার জন্য আসা মালামাল রেল স্টেশন থেকে অফিসে নিয়ে যেতাম। আবার দরকার হলে নদী এলাকায় নিয়ে যাওয়ার সময় অফিস থেকে বের করে গাড়িতে তুলে দিতাম। এতে আমাদের পরিবার গুলো চলতো। এসব দেখার এখন কেউ নেই। এটা কেন এমন হলো, আল্লাহ্ জানে। একই কথা জানালেন, আব্দুল লতিফ (৫৯) ও ফরিদ উদ্দিন (৬৫)।

বজরা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম সরদার বলেন, উপ-বিভাগীয় কার্যালয়টি দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না এবং কর্তৃপক্ষ সময় মত জরুরী ব্যবস্থা না নেয়ায় পশ্চিম বজরা, সাদুয়া দামার হাট, সাতালস্কর, কালপানি বজরা, খামার দামার হাট, বগুলাকুড়ার বিরাট জন বসতিপুর্ন এলাকা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এছাড়া গত ৩০ আগষ্ট ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে ৬০ পরিবারসহ বিলিন হয়ে গেছে পশ্চিম বজরা কমিউনিটি ক্লিনিক, পশ্চিম বজরা জামে মসজিদ, পশ্চিম কালপানি বজরা জামে মসজিদ, ব্র্যাক প্রি-প্রাইমারী স্কুল, কালপানি বজরা ঈদগাহ মাঠ, পুরাতন বজরা কালী মন্দির ও পুরান বজরা বাজার।

উলিপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, অফিসটি ব্যবহারের অনুপোযোগি। সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চেয়ে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। বরাদ্দ আসলে সংস্কার করে এরপর অফিস করা হবে। এখন সব কিছু পরিচালিত হচ্ছে নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে। বিষয়টি আমি আসার আগে থেকে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, উলিপুর অফিস খোলা থাকলে ও কেউ বসেন না। তারা কুড়িগ্রাম অফিসে বসেন এবং এখান থেকে উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার প্রকল্পের কাজ দেখা শুনা করেন। এখান থেকে বেতন ভাতা ও নিচ্ছেন। জনবল কম, অফিস এবং আবাসিক ভবন গুলোর দুরাবস্থা তাই মেরামত করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

//নিউজ/উলিপুর//মালেক/নভেম্বর/২১/২২

The post উলিপুরে দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে তালাবদ্ধ পাউবো’র উপ বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয় appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
উলিপুরে পাউবোর ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্লুইস গেট আসছে না কোন কাজে https://www.ulipur.com/?p=18964 Mon, 12 Sep 2022 13:39:02 +0000 https://www.ulipur.com/?p=18964 ।। নিউজ ডেস্ক ।। উলিপুরে অপরিকল্পিতভাবে ২৩বছর আগে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্লুইস গেটটি বর্তমানে কোন কাজে আসছে না। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় তা ধীরে ধীরে অকার্যকর হয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তিস্তার ভাঙ্গনে বুড়িতিস্তা নদীর উৎস মুখে নির্মিত স্লুইস গেটটি নদী গর্ভে চলে যায়। পরে পাউবো কর্তৃপক্ষ অপরিকল্পিত ভাবে বুড়িতিস্তা নদীর মুখে [...]

The post উলিপুরে পাউবোর ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্লুইস গেট আসছে না কোন কাজে appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে অপরিকল্পিতভাবে ২৩বছর আগে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্লুইস গেটটি বর্তমানে কোন কাজে আসছে না। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় তা ধীরে ধীরে অকার্যকর হয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তিস্তার ভাঙ্গনে বুড়িতিস্তা নদীর উৎস মুখে নির্মিত স্লুইস গেটটি নদী গর্ভে চলে যায়। পরে পাউবো কর্তৃপক্ষ অপরিকল্পিত ভাবে বুড়িতিস্তা নদীর মুখে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ দিয়ে বন্ধ করে দেয়। অপর অংশের থেতরাই ইউনিয়নের গোড়াইপিয়ার নামক স্থানে নতুন করে স্লুইস গেটটি নির্মান করে। ইতিমধ্যে স্লুইস গেটের অনেক যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গেছে। কিন্তু পাউবো কর্তৃপক্ষের নজরদারী ও সংস্কারের অভাবে বর্তমানে স্লুইস গেটটি অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, তিস্তার নদীর ভাঙ্গনে বুড়িতিস্তা নদীর উৎসমূখে নির্মিত স্লুইজ গেটটি নদী গর্ভে চলে গেলে বুড়িতিস্তা নদীর এক পার্শ্বে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ নির্মান করে তা বন্ধ করেন দেয়া হয়। অপর অংশে ১৯৯৯ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড অপরিকল্পিতভাবে উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের গোড়াইপিয়ার নামক স্থানে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৪ গেট বিশিষ্ট একটি স্লুইস গেট নির্মাণ করেন। কিন্তু নির্মাণের কয়েক বছরের মধ্যে ২৪ টি গেটের ১৬ টি অকেজো হয়ে পড়ে। ইতিমধ্যে সব গেট গুলোর ছোট পেনিয়াম, শেপ, ৭টি গেটের বড় পেনিয়াম কভার, ৪টি গেটের বড় পেনিয়াম এবং অনেক গেটের নাট-বোল্ড চুরি হয়ে গেছে।

এদিকে স্লুইস গেটের উৎসমূখে তিস্তা নদী থেকে পলি মাটি জমে তা ভরাট হয়ে যাওয়ায় কোন দিক থেকেই পানি নিষ্কাশন হয় না। এ পরিস্থিতিতে বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতে বুড়িতিস্তা নদীর দক্ষিন অংশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে বুড়িতিস্তা নদীর দুই পাড়ের কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি ও শত শত পরিবারকে দূর্ভোগ পোহাতে হয়।

বুড়িতিস্তা নদীর প্রায় ২২ কিলোমিটার উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়ন থেকে চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ পর্যন্ত ভরাট হয়ে নাব্যতা হারিয়ে ফেললে নদী দখল করে নেন দখলদার। সম্প্রতি উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের অর্জুনে স্লুইস গেট নির্মাণসহ চিলমারী উপজেলার কাঁচকোল পর্যন্ত বুড়িতিস্তা নদী খনন ও দখলমুক্ত করার জন্য উলিপুর প্রেসক্লাব ও রেল, নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি আন্দোলন শুরু করেন। এরই প্রেক্ষিতে সরকার বুড়িতিস্তা খননের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু দক্ষিন অংশের দলদলিয়া ইউনিয়নের দেবত্তর থেকে নাজিমখাঁন পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার খনন না করায় এ অঞ্চলের মানুষকে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দেবত্তর গ্রামের আব্দুল জলিল, মজিদ মিয়া, সাহেব আলীসহ অনেকেই জানান,বর্তমানে স্লুইস গেটটি সংস্কারসহ দক্ষিন অংশের বুড়িতিস্তা খনন ও সম্মুখভাগে পলি অপসারন না করলে এ অঞ্চলের মানুষকে আরো দূর্ভোগ পোহাতে হবে।

স্লুইস গেটের দায়িত্বে থাকা গেটম্যান আব্দুল বাতেন জানান, ২৪টি গেটের ৮টি গেট কোন রকমে চলে। বাকি ১৬টি গেট সংস্কার করে পানি নিষ্কাষণের ব্যবস্থা না করলে স্লুইস গেট মানুষের কোন কাজে আসবে না।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, স্লুইস গেট সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চেয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই গেট গুলো সংস্কার করে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করা হবে। দলদলিয়া ইউনিয়নের দেবত্তর থেকে নাজিমখাঁন পর্যন্ত খনন করার প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।

//নিউজ/উলিপুর//মালেক/সেপ্টেম্বর/১২/২২

The post উলিপুরে পাউবোর ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্লুইস গেট আসছে না কোন কাজে appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
উলিপুরে তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙনে গত ২৪ ঘন্টায় গৃহহীন ৬০ পরিবার https://www.ulipur.com/?p=18787 Tue, 30 Aug 2022 13:49:37 +0000 https://www.ulipur.com/?p=18787 ।। নিউজ ডেস্ক ।। উলিপুরে তিস্তা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে নিমিষেই কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদ, ঈদগাহ মাঠ, ব্র্যাক প্রি-প্রাইমারী স্কুল, মাদ্রাসা, কালী মন্দীরসহ ৬০ পরিবারের বসতভিটা, আবাদি জমি ও আধা কিলোমিটার পাকা সড়ক নদী গর্ভে চলে গেছে। ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ তাদের শেষ সম্বল সরিয়ে নিতে প্রানান্তর চেষ্টা করলেও পাউবো’র টনক নড়েনি। নেয়া হয়নি ভাঙন রোধে কোন [...]

The post উলিপুরে তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙনে গত ২৪ ঘন্টায় গৃহহীন ৬০ পরিবার appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে তিস্তা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে নিমিষেই কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদ, ঈদগাহ মাঠ, ব্র্যাক প্রি-প্রাইমারী স্কুল, মাদ্রাসা, কালী মন্দীরসহ ৬০ পরিবারের বসতভিটা, আবাদি জমি ও আধা কিলোমিটার পাকা সড়ক নদী গর্ভে চলে গেছে। ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ তাদের শেষ সম্বল সরিয়ে নিতে প্রানান্তর চেষ্টা করলেও পাউবো’র টনক নড়েনি। নেয়া হয়নি ভাঙন রোধে কোন পদক্ষেপ। কুড়িগ্রাম পাউবো’র মতে, আপোদকালীন প্রকল্পের মাধ্যমে তিস্তার ভয়াবহ ভাঙনরোধ করা সম্ভব নয়।

সরজমিন মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার বজরা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর ভাঙন কবলিত পশ্চিম বজরা, সাদুয়া দামার হাট, সাতালস্কর, কালপানি বজরা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষজন তাদের শেষ সম্বল ঘর-বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকার উচু স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন। এসম কথা হয় পশ্চিম বজরা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, রন্জু মিয়াসহ অনেকের সাথে। তারা জানান, গত ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে পশ্চিম বজরা কমিউনিটি ক্লিনিক, পশ্চিম বজরা জামে মসজিদ, পশ্চিম বজরা হাট, পশ্চিম কালপানি বজরা জামে মসজিদসহ একটি ঈদগাহ মাঠ, ব্র্যাক প্রি-প্রাইমারী স্কুল, পুরাতন বজরা কালী মন্দিরসহ ১০ একর আবাদি জমি ও বসতভিটা নদী গর্ভে চলে গেছে। ভাঙনের মুখে পশ্চিম বজরা দাখিল মাদ্রাসা ভাঙনের মুখে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন এলাকাবাসি। বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতবাড়িসহ আবাদি জমি। পাউবো কর্তৃপক্ষ ভাঙন রোধে কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় গত ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে তিস্তা নদীর ভাঙনে উপজেলার বজরা ইউনিয়নের পশ্চিম বজরা, সাদুয়া দামার হাট ও কালাপানি বজরা গ্রামের ৬০টি পরিবার পরিবারের বসতবাড়ি, আধা কিলোমিটার পাকা রাস্তা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

পশ্চিম বজরা গ্রামের বাসিন্দা মোজাম্মেল হক (৫৫), রোস্তম আলী (৬০), সাইফুল ইসলাম (৫০), গোলাম রব্বানী (৬০) সহ ভুক্তভোগী অনেকেই জানান, গত বছর থেকে এসব এলাকায় ভাঙন শুরু হলেও কর্তৃপক্ষ ভাঙন রোধে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় এ বছর ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে গেছে। গত একমাসের ব্যবধানে ২ শতাধিক পরিবারের বসতবাড়িসহ আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে সাতালস্কর গ্রামটি নদীগর্ভে সম্পূর্নরুপে বিলিন হয়ে গেছে। অনেকে অভিযোগ করে বলেন, তিস্তা নদীর অপর তীরে আলী বাবা থিম পার্ক নির্মান করায় ভাঙন ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে।

পশ্চিম বজরা দাখিল মাদরাসার সুপার মাও. রেফাকাত হোসেন বলেন, তিলে তিলে গড়া এ প্রতিষ্ঠান চোখের সামনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবি রিলিফ চাই না, ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা চাই।

বজরা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম সরদার বলেন,পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে ভাঙনের বিষয়টি লিখিত ভাবে অবহিত করলেও কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল কুমার বলেন, ভাঙনে বিষয়টি কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভাঙনের তীব্রতার কারনে আপদকালীন প্রকল্পের মাধ্যমে ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়,তবুও আমরা কাজ করছি। ভাঙন রোধে প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়েছে, অনুমোদন পেলে স্থায়ীভাবে ভাঙনরোধে কাজ শুরু করা হবে।

//নিউজ/উলিপুর//মালেক/আগস্ট/৩০/২২

The post উলিপুরে তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙনে গত ২৪ ঘন্টায় গৃহহীন ৬০ পরিবার appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
আবারও বাড়ছে কুড়িগ্রামের নদ নদীর পানি, ২য় দফা বন্যার আশংকা https://www.ulipur.com/?p=17970 Wed, 29 Jun 2022 13:28:15 +0000 https://www.ulipur.com/?p=17970 ।। নিউজ ডেস্ক ।। কুড়িগ্রামে সবকটি নদ-নদীর পানি গত ৪দিন ধরে কমলেও টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে ফের সোমবার (২৮ জুন) রাত থেকে বাড়তে শুরু করেছে সবগুলো নদ-নদীর পানি। ফলে আবারো ২য় দফা বন্যার আশংকা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন [...]

The post আবারও বাড়ছে কুড়িগ্রামের নদ নদীর পানি, ২য় দফা বন্যার আশংকা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামে সবকটি নদ-নদীর পানি গত ৪দিন ধরে কমলেও টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে ফের সোমবার (২৮ জুন) রাত থেকে বাড়তে শুরু করেছে সবগুলো নদ-নদীর পানি। ফলে আবারো ২য় দফা বন্যার আশংকা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত ২৪ঘন্টায় আবারো ধরলা নদীর পানি দ্রুত বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এছাড়াও তিস্তা, দুধকুমর ও ব্রহ্মপুত্র নদেও পানি বেড়ে বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে।

বুধবার (২৯ জুন) দুপুর ৩টায় স্থানীয় পাউবো জানায়, গত ২৪ঘন্টায় ধরলা নদীর পানি বেড়ে শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৮সে.মি উপর দিয়ে, দুধকুমর নদীর পাটেশ্বরী পয়েন্টে পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৪ সে.মি উপর এবং ব্রহ্মপুত্র নদের নুনখাওয়া পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৩সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ফলে আবারো এসব নদ-নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চলসমূহ পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রায় নতুন করে ফের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। গ্রামীণ রাস্তাঘাটে ফের পানি উঠতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত প্রথম দফা বন্যার ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ফের নতুন করে বন্যার সৃষ্টি হলে মারাত্মক বিপদের সম্মুখীন হবে এ জেলার নদী পাড়ের মানুষজন।

এদিকে গত ৪দিন ধরে নদনদীর পানি কমলেও বানভাসী মানুষগুলোর দুর্দশা কমেনি। এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি। পানি কমা বাড়ার সাথে সাথে এসব এলাকার বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। আশ্রয়কেন্দ্র ও উঁচু বাঁধে আশ্রয় নেয়া মানুষগুলোর এখন নিজ বাড়িতে ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। এখনও বাড়িতে পানি থাকায় তারা তাদের নিজ গৃহে ফিরতে পারেনি। এরপর আবার ২য় দফা বন্যার শুরু নিয়ে এসব মানুষক আতংকিত হয়ে পড়েছে।

চলতি বন্যায় এ পর্যন্ত ২৯৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, ২৪টি মাধ্যমিক ও ৭টি মাদরাসাসহ ৩২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনও পানি থাকায় সেগুলো বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে ১৬হাজার হেক্টর জমির ফসল এখনও তলিয়ে থাকায় তা নষ্ট হয়ে গেছে।

The post আবারও বাড়ছে কুড়িগ্রামের নদ নদীর পানি, ২য় দফা বন্যার আশংকা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন উত্তরাঞ্চলীয় পাউবো’র প্রধান প্রকৌশলী https://www.ulipur.com/?p=13928 Tue, 15 Jun 2021 15:31:11 +0000 https://www.ulipur.com/?p=13928 ।। জেলা প্রতিনিধি ।।কুড়িগ্রামে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন উত্তারাঞ্চলীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ। সাম্প্রতিক সময়ে শুরু হওয়া তিস্তা ও ব্রম্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙ্গনে মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ি, আবাদীজমিসহ ব্যাপক এলাকা বিলীন হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে কয়েক শত মানুষ তাদের জমি হারিয়ে পথে বসছে। অভিযোগ উঠেছে, সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রকৌশলীদের [...]

The post কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন উত্তরাঞ্চলীয় পাউবো’র প্রধান প্রকৌশলী appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। জেলা প্রতিনিধি ।।
কুড়িগ্রামে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন উত্তারাঞ্চলীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ। সাম্প্রতিক সময়ে শুরু হওয়া তিস্তা ও ব্রম্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙ্গনে মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ি, আবাদীজমিসহ ব্যাপক এলাকা বিলীন হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে কয়েক শত মানুষ তাদের জমি হারিয়ে পথে বসছে। অভিযোগ উঠেছে, সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রকৌশলীদের অদূরদর্শীতা ও সঠিক সময়ে পরিকল্পিত প্রকল্প গ্রহণ না করায় চোখের সামনে স্থাপনাসহ হাজার হাজার হেক্টর জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

এ রকম নাজুক পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (১৫ জুন) দুপুরে আকস্মিক নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে আসেন উত্তরাঞ্চলীয় পাউবোর’ প্রধান প্রকৌশলী। তিনি জেলার রাজারহাট উপজেলার বুড়িরহাটে ক্ষতিগ্রস্থ টি বাঁধ এলাকায় তিস্তা নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা ও সদর উপজেলার মোগলবাসায় ধরলার নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। মোগল বাসায় ধরলার ভাঙ্গন রোধে চলমান প্রকল্পের কাজও তিনি স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেন।

স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে বলেন, এসব কাজ বিলম্বে শুরুর কারণে বর্ষা চলে এসেছে। বর্ষার মধ্যে এসব কাজে ব্যাপক দুর্নীতির সুযোগ থাকায় ঠিকাদাররা ইচ্ছা করেই কাজে বিলম্ব করছে। তিস্তা অববাহিকার নজরুল ও সুরুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলী এবং প্রকল্প কর্তৃপক্ষ এলাকায় এলে স্থানীয় মানুষজন যাতে তাদের সাথে কথা বলতে না পারে সেজন্য নানা রকম প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে রাখেন স্থানীয় প্রকৌশলীরা। ফলে মাঠ পর্যায়ে চলমান কাজে দূর্নীতির চিত্র অন্ধকারেই থেকে যায়। আর এর খেসারত দিতে হয় নদীর পারের মানুষকে। তাদের অভিযোগ এক থেকে দেড় মাস আগে পাউবো পদক্ষেপ নিলে কুড়িগ্রাম-গাইবান্ধা জেলার সীমানা লাগোয়া সুন্দরগঞ্জ উপজেলার লকিয়ার পাড় গ্রামের শতাধিক বাড়ি ও উলিপুর উপজেলার পশ্চিম বজরা,চর বজরা, রাজারহাট উপজেলার বুড়িরহাট এলাকাসহ তিস্তা তীরবর্তী হাজার হাজার একর জমি, স্থাপনাসহ তিন শতাধিক বাড়ি রক্ষা পেত। এখন এসব এলাকায় জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন রোধে জিওটেক্সটাইল ব্যাগ নিক্ষেপের হিসাব- নিকাশে ঠিকাদারের সাথে বড় ধরনের দূর্নীতির আশ্রয় নেয়ার প্রস্তুতি চলছে। এ দূর্নীতির সাথে পাউবোর মাঠ পর্যায়ের প্রকৌশলীদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে দাবী তাদের। ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় উত্তরাঞ্চল প্রকৌশলীর পরিদর্শনকালে তার সাথে ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুস শহীদ, কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগন।

পরিদর্শনকালে উত্তরাঞ্চলীয় প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ জানান, কুড়িগ্রাম জেলার ব্রহ্মপুত্র ও ধরলায় স্থায়ী ভাঙ্গন রোধে ১৪শ কোটি টাকার প্রকল্প চলমান রয়েছে। আরো প্রায় ৬শ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে পাশের অপেক্ষায় আছে, যা পাশ হলে দুধকুমরের স্থায়ী ভাঙ্গন রোধে কাজ করা হবে। সবমিলে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ জেলার নদ-নদীর ভাঙ্গন রোধের উদ্যোগ নিয়েছেন। এসব প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হলে নদী ভাঙ্গন ও বন্যার হাত থেকে এ জেলার মানুষ রক্ষা পাবে। এছাড়াও আসন্ন বন্যা মোকাবেলার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রস্তুতি রয়েছে। জিও ব্যাগ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বন্যা চলাকালীন সময়ে যখন যেখানে প্রয়োজন হবে ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

//নিউজ/কুড়িগ্রাম//সুভাষ/জুন/১৫/২১

The post কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন উত্তরাঞ্চলীয় পাউবো’র প্রধান প্রকৌশলী appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
উলিপুরের নাগড়াকুড়া টি-বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকা https://www.ulipur.com/?p=10985 Fri, 03 Jul 2020 14:35:55 +0000 https://www.ulipur.com/?p=10985 ।। আব্দুল মালেক ।। তিস্তা নদীর বাম তীরে ভাঙন কবলিত একটি টি-বাঁধ রক্ষায় জরুরী প্রকল্পের নামে বাঁধের অদূরেই ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করায় টি-বাঁধ রক্ষার পরিবর্তে তা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি, কুড়িগ্রাম পাউবো‘র প্রকৌশলীদের খাম-খেয়ালিপনা ও সীমাহীন দুর্নীতির কারণে মাত্র তিন বছরের মাথায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত [...]

The post উলিপুরের নাগড়াকুড়া টি-বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। আব্দুল মালেক ।।
তিস্তা নদীর বাম তীরে ভাঙন কবলিত একটি টি-বাঁধ রক্ষায় জরুরী প্রকল্পের নামে বাঁধের অদূরেই ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করায় টি-বাঁধ রক্ষার পরিবর্তে তা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।

স্থানীয়দের দাবি, কুড়িগ্রাম পাউবো‘র প্রকৌশলীদের খাম-খেয়ালিপনা ও সীমাহীন দুর্নীতির কারণে মাত্র তিন বছরের মাথায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত টি-বাঁধটি বিলীন হওয়ার পথে। এ অবস্থায় টি-বাঁধটি নদী গর্ভে চলে গেলে পাশ্ববর্তি কয়েকটি গ্রামের সহস্রধিক বাড়ি-ঘর ও কয়েকশ একর আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থ বছর প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলার উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নাগড়াকুড়া গ্রামে তিস্তা নদীর বাঁ তীর রক্ষায় টি-হেড গ্রোয়েন নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের কিছু দিন যেতে না যেতেই টি-বাঁধটির বিভিন্ন অংশে ধ্বস নামে এবং ফাটলের সৃষ্টি হয়। এসব ধ্বস ও ফাটল মেরামতের নামে পাউবো’র সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা কখনো জরুরী মেরামতের নামে আবার কখনো স্বাভাবিক অবস্থায় ঠিকাদারের সাথে যোগসাজস করে দায়সাড়াভাবে কাজ করে লাখ-লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। ফলে টি-বাঁধটি ঝুঁকিমুক্ত অবস্থার পরিবর্তে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থেকে যায়।

এদিকে গত বছর বন্যায় তিস্তা নদীর স্রোতের তোড়ে টি-বাঁধটির মাথার অংশের ১৩৪ মিটার নদীগর্ভে চলে যায়। সে সময় পাউবো জরুরী কাজের নামে এলাকার মানুষকে অন্ধকারে রেখে দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নাম-মাত্র কাজ করে চলে যান। শুষ্ক মৌসুমে টি-বাঁধটি সংস্কারের উপযুক্ত সময় থাকলেও পাউবো‘র খাম-খেয়ালিপনায় তা সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

সম্প্রতি তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারো বাঁধটির টি-পার্টের উজানের বেল মাউথ অর্থাৎ টি-হেডে পানির তীব্র স্রোতে প্রায় ৫০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। জরুরী পরিস্থিতিতে কুড়িগ্রাম পাউবো টি-বাঁধটি রক্ষায় হাসিবুল হাসান নামের রংপুরস্থ একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বালু ভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ নিক্ষেপের জন্য নিযুক্ত করে।

অভিযোগ রয়েছে, হাসিবুল হাসান নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জরুরী কাজের নির্দেশ পেয়ে নিজে কাজ না করে স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় ব্যক্তিকে দিয়ে টি-বাঁধের অদূরেই ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন শুরু করে। এভাবে অপরিকল্পিত ভাবে ভূ-গর্ভস্থ বালু উত্তোলন করার ফলে টি-বাঁধ রক্ষার পরিবর্তে তা যেকোন মহুর্তে নদী গর্ভে চলে যাবে বলে স্থানীয় মানুষজন আশংকা করছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, কুড়িগ্রাম পাউবো‘র প্রকৌশলীদের খামখেয়ালীপনা ও সীমাহীন দুর্নীতির কারণে মাত্র তিন বছরের মাথায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত টি-বাঁধটি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এবারো কাজের শুরুতেই বাঁধের অদূরেই ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু তুলতে থাকায় খোঁদ টি-বাঁধটি আরো হুমকির মুখে পরেছে।

সরেজমিনে গেলে স্থানীয় বাসিন্দা নূর আমিন, সহিদুর রহমান ও ইব্রাহীমসহ অনেকে সাংবাদিকের কাছে অভিযোগ করে বলেন, সরকার ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে টি-বাঁধটি নির্মাণ করল। কাজের শুরুতেই নানা অনিয়ম করার কারণে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে টি-বাঁধের বিভিন্ন অংশ নদীতে ধ্বসে যায়। কিন্তু পাউবো অস্থায়ী প্রকল্পের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ অবস্থায় টি-বাঁধটি নদী গর্ভে চলে গেলে পাশ্ববর্তি গ্রামের শত-শত বাড়ি-ঘর ও আবাদি জমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মসজিদসহ নানা স্থাপনা হুমকির মুখে পড়বে।

এ ব্যাপারে হাসিবুল হাসান নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, টি-বাঁধের কাছাকাছি ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলনের কোন সুযোগ নেই। নদীর তীব্র স্রোতের কারণে দুর থেকে বালু তুলে বহন করে আনা সমস্যা হওয়ায় ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছি।

The post উলিপুরের নাগড়াকুড়া টি-বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
উলিপুরে নদী ভাঙন রোধে পাউবো‘র হাস্যকর উদ্যোগ https://www.ulipur.com/?p=9175 Sun, 29 Sep 2019 11:28:01 +0000 https://www.ulipur.com/?p=9175 ।। আব্দুল মালেক ।।উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের ৩ কিলোমিটার জুড়ে ভাঙন অব্যাহত থাকলেও মাত্র ৬৫ মিটার রক্ষায় প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬ হাজার বালু ভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলছে পাউবো। স্থানীয়দের অভিযোগ সরকারের অর্থ অপচয় হলেও তা ভাঙন রক্ষায় কোন কাজে আসবে না। গত ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক ভাঙন কবলিত এলাকা [...]

The post উলিপুরে নদী ভাঙন রোধে পাউবো‘র হাস্যকর উদ্যোগ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। আব্দুল মালেক ।।
উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের ৩ কিলোমিটার জুড়ে ভাঙন অব্যাহত থাকলেও মাত্র ৬৫ মিটার রক্ষায় প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬ হাজার বালু ভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলছে পাউবো। স্থানীয়দের অভিযোগ সরকারের অর্থ অপচয় হলেও তা ভাঙন রক্ষায় কোন কাজে আসবে না। গত ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন কালে পাউবো কর্তৃপক্ষকে ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিলে এ উদ্যোগ নেয়া হয়।

জানা গেছে, উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের পালের ভিটা, নয়াডারা, কামারটারী ও দাগারকুটিতে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে গত ৩ মাসের ব্যবধানে ৫ শতাধিক বাড়ি-ঘর ও কয়েক শ একর অবাদি জমি নদী গর্ভে চলে যায়। পাউবো ভাঙন রোধে কোন পদক্ষেপ না নিলেও প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে নড়েচড়ে বসেন। সে মোতাবেক গত বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভাঙন কবলিত প্রায় ৩ কিলোমিটারের মধ্যে মাত্র ৬৫ মিটার স্থানে ৬ হাজার বালু ভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ডাম্পিং কাজের উদ্বোধন করেন কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক এমএ মতিন। পাউবো কর্তৃপক্ষের ভাঙন রোধের এমন হাস্যকর উদ্যোগে ক্ষুব্ধ ব্রহ্মপুত্র পাড়ের মানুষজন।

সরেজমিনে গিয়ে কথা হয়, পালের ভিটা গ্রামের ছপিয়াল হকের সাথে। তিনি বলেন, ‘তোমরায় কন, কোতদুর ভাংবের নাগছে, আর ওমরা অলপে এখনাত বস্তা ফেলায়। খালি বস্তাগুলা নদীত ভাসি যাইবে বাহে। কামের কাম কিছুই হবার নয়’। ওই গ্রামের ভবেশ পাল, প্রফুল্ল পাল, মোজাহার আলী, ইদ্রিস আলীসহ অনেকেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, এ কাজ ভাঙন রোধে কোন কাজে আসবে না। আমাদের সাথে তামাশা করা হচ্ছে।

হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, ভাঙন কবলিত ৩ কিঃমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন অব্যাহত থাকলেও বালু ভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে মাত্র ৬৫ মিটারে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মহোদয় ভাঙন রোধের নির্দেশ দিলেও তা কার্যকর করছে না পাউবো।

উলিপুর পাউবো’র উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, ৬৫ মিটার প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬ হাজার জিও টেক্সটাইল ডাম্পিং করা হচেছ। পরবর্তীতে প্রকল্প পাওয়া গেলে বাকি এলাকায় ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

The post উলিপুরে নদী ভাঙন রোধে পাউবো‘র হাস্যকর উদ্যোগ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
উলিপুরে বুড়িতিস্তা নদীকে ঘিরে কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের স্বপ্ন https://www.ulipur.com/?p=5512 Tue, 06 Feb 2018 12:15:40 +0000 http://www.ulipur.com/?p=5512 আব্দুল মালেক: বুড়িতিস্তা নদীর দু’পাশে ইরি-বোরো চাষাবাদ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করতে প্রকল্প তৈরির কাজ করছে পাউবো। ইতিমধ্যে তিস্তার উৎসমূখ উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের অর্জুনে সুইসগেট নির্মানসহ চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ ব্রহ্মপূত্র নদ পর্যন্ত প্রকল্প এলাকা সার্ভে করা হয়েছে। সার্ভে সংশ্লিষ্টদের অভিমত প্রকল্পের উৎসমূখে পাম্প হাউজ নির্মান করা হলে শুকনা মৌসুমেও বুড়িতিস্তায় পানি সরবরাহ নিশ্চিত হবে। [...]

The post উলিপুরে বুড়িতিস্তা নদীকে ঘিরে কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের স্বপ্ন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
আব্দুল মালেক:
বুড়িতিস্তা নদীর দু’পাশে ইরি-বোরো চাষাবাদ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করতে প্রকল্প তৈরির কাজ করছে পাউবো। ইতিমধ্যে তিস্তার উৎসমূখ উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের অর্জুনে সুইসগেট নির্মানসহ চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ ব্রহ্মপূত্র নদ পর্যন্ত প্রকল্প এলাকা সার্ভে করা হয়েছে। সার্ভে সংশ্লিষ্টদের অভিমত প্রকল্পের উৎসমূখে পাম্প হাউজ নির্মান করা হলে শুকনা মৌসুমেও বুড়িতিস্তায় পানি সরবরাহ নিশ্চিত হবে। ফলে এ অঞ্চলের কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। যা বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে।

উলিপুর প্রেসক্লাব ও রেল, নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণ কমিটি দীর্ঘদিন থেকে বুড়িতিস্তা দখলমুক্তসহ পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে আন্দোলন করে আসছে। খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, এক সময় বুড়িতিস্তা নদীকে ঘিরে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য গড়ে উঠেছিল। সেইসাথে তিস্তা নদী পাড়ের মানুষের জীবন জীবিকা চলে বুড়িতিস্তা নদীতে মাছ শিকার করে। ১৯৮৮ সালের বন্যার সময় তিস্তা নদীর ভাঙ্গণে উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নে গোড়াইপিয়ার গ্রামের সুইস গেটটি নদী গর্ভে চলে গেলে পাউবো কর্তৃপক্ষ অপরিকল্পিত ভাবে বুড়িতিস্তার উৎসমুখে বাঁধ নির্মান করে বন্ধ করে দেয়। ফলে বুড়িতিস্তার স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে ভরাট হতে থাকে নদীটি।

এ কারনে বুড়িতিস্তা পাড়ের শতশত মানুষের পেশা ও কৃষিতে বিপর্যয় শুরু হয়। এ সুযোগে কিছু দখলদার ভূমিদস্যূ বুড়িতিস্তা দখলের মহোৎসবে মেতে উঠে। ধীরে ধীরে বুড়িতিস্তা ভরাট হয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে গত বছরের শুরু থেকে বুড়িতিস্তা রক্ষায় আন্দোলন করে আসছিল উলিপুর প্রেসক্লাব ও রেল, নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণ কমিটি।

গত ১৩ মার্চ বুড়িতিস্তা রক্ষায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে উলিপুরের সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়ে বুড়িতিস্তা রক্ষায় একাত্বতা প্রকাশ করে। গত ২১ মার্চ বাই-সাইকেল র‌্যালী ও ১১ এ্রপ্রিল বুড়িতিস্তা পাড়ে স্বরণকালের হাজার হাজার মানুষ প্রতীকী পানির ঢল কর্মসূচি পালনসহ সভা-সমাবেশ অব্যাহত রাখে। গত ৫ মে ঢাকাস্থ উলিপুর সমিতি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। সংগঠন দু’টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে বুড়িতিস্তা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেন। এ অবস্থায় বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় গত ২৪ মে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বুড়িতিস্তা নদী দখলমুক্ত ও পরিবেশ সংরক্ষনের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেন।

গত ১৩ জুন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বুড়িতিস্তা নদীতে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে কারিগরি কমিটি গঠন করে। এ কমিটির আহবায়ক ডিজাইন সেল ঢাকা’র সুপারিনটেনডেন্ট প্রকৌশলী নুরুর রহমান গত ২৯ নভেম্বর বুড়িতিস্তা নদী এলাকা পরিদর্শন করে নকশা তৈরি ও প্রকল্প দাখিল করেন। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি পাউবো কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বুড়িতিস্তার উৎসমূখ উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের অর্জুন থেকে চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ পর্যন্ত প্রকল্প এলাকা সার্ভে করেন।

সার্ভে সংশ্লিষ্ট কুড়িগ্রাম পাউবো’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম জানান, সার্ভে করেছি, শীঘ্রই আমরা একটি প্রকল্প প্রস্তবণা প্রেরণ করবো। অনেক স্থানে নদী দখলসহ অপরিকল্পিতভাবে ব্রীজ-কার্লভাট নির্মান করায় স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে, বুড়িতিস্তা নদীকে কেন্দ্র করে এ অঞ্চলের কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। পাশাপাশি পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার তালিম নগরের ন্যায় পাম্প হাউজ নির্মান করা হলে শুকনা মৌসুমেও পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

উলিপুর প্রেসক্লাবে সভাপতি আবু সাঈদ সরকার বলেন, বুড়িতিস্তা দখলমূক্ত ও পানি প্রবাহ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। কুড়িগ্রাম পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, বুড়িতিস্তা দখলমূক্ত ও পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে প্রকল্প প্রণয়নের কাজ চলছে। প্রকল্পটি অনুমোদন হওয়ার পর কাজ শুরু হলে এলাকাবাসি একটা দৃষ্টিনন্দন বুড়িতিস্তা নদী দেখতে পারবেন।

The post উলিপুরে বুড়িতিস্তা নদীকে ঘিরে কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের স্বপ্ন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>