পাঠ্যপুস্তক Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=পাঠ্যপুস্তক কুড়িগ্রাম জেলার তথ্য ও সংবাদ Wed, 30 Mar 2016 18:19:02 +0000 en-US hourly 1 https://www.ulipur.com/wp-content/uploads/2022/10/1665889308.png পাঠ্যপুস্তক Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=পাঠ্যপুস্তক 32 32 উলিপুরের পরিশ্রমী রতন এখন পাঠ্যপুস্তকে https://www.ulipur.com/?p=2533 Wed, 30 Mar 2016 09:24:41 +0000 http://www.ulipur.com/?p=2533 প্রকৌ. রূপম রাজ্জাকঃ উলিপুরের পরিশ্রমী রতন এখন পাঠ্যপুস্তকে! সদিচ্ছা থাকলে যে কেউ বড় হতে পারে রতনই তার জলন্ত প্রমাণ। কয়েক বছর পর পত্রিকা বিক্রির পাশাপাশি একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে পিয়নের চাকরি নেন। পত্রিকা বিক্রি করতে করতে তার ইচ্ছা জাগে নিজে পত্রিকার এজেন্ট হবেন। ইতিমধ্যে তার কিছু সঞ্চয়ও হয়। তাই দিয়ে ১৯৯৫ সালে স্থানীয় এক সাংবাদিকের সহযোগিতায় [...]

The post উলিপুরের পরিশ্রমী রতন এখন পাঠ্যপুস্তকে appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
প্রকৌ. রূপম রাজ্জাকঃ
উলিপুরের পরিশ্রমী রতন এখন পাঠ্যপুস্তকে! সদিচ্ছা থাকলে যে কেউ বড় হতে পারে রতনই তার জলন্ত প্রমাণ।

কয়েক বছর পর পত্রিকা বিক্রির পাশাপাশি একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে পিয়নের চাকরি নেন। পত্রিকা বিক্রি করতে করতে তার ইচ্ছা জাগে নিজে পত্রিকার এজেন্ট হবেন। ইতিমধ্যে তার কিছু সঞ্চয়ও হয়। তাই দিয়ে ১৯৯৫ সালে স্থানীয় এক সাংবাদিকের সহযোগিতায় ভোরের কাগজের এজেন্ট হন তিনি। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি রতনকে। শুধুই এগিয়ে চলা। একে একে দেশের সব ক’টি শীর্ষ দৈনিকের এজেন্সি পান তিনি।

৩৩ বছর বয়সী উদ্যমী যুবক পত্রিকার আয় দিয়ে বাড়িতে গড়ে তোলেন মুরগি ও গরুর ফার্ম। কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায় দিয়ে দারিদ্র্যকে জয় করে কয়েক বছরে কয়েক লাখ টাকা সঞ্চয় করেন।

সদালাপী ও বিনয়ী রতন কর্মদক্ষতায় হয়ে ওঠেন উলিপুরে সবার ‘আমাদের রতন’ হিসেবে। সমকালে প্রকাশিত হয় তার জীবনসংগ্রামের কাহিনী। এর পর তার এ সাফল্যের কাহিনী চলতি বছরের ষষ্ঠ শ্রেণীর ‘কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা’ বইয়ের ১৭ নম্বর পাতায় ‘কায়িক শ্রম ও এর অনুশীলন’ শিরোনামে স্থান পেয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) এ স্বীকৃতিতে মহা উৎফুল্ল ও গর্বিত রতন সরকার। আনন্দিত তার পরিবার, স্বজন ও এলাকার মানুষ। পাঠ্যবইয়ে রতনের জীবনকাহিনী স্থান পাওয়ায় উপজেলার ৬৩টি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও জেলা সদরের মানুষের মুখে মুখে আলোচিত হচ্ছে রতনের নাম। অনেকেই কৌতুহলবশত ষষ্ঠ শ্রেণীর এ বইটি সংগ্রহ করছেন।

তবে ষষ্ঠ শ্রেণীর ‘কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা’ বইয়ে ‘কায়িক শ্রম ও এর অনুশীলন’ শিরোনামে প্রকাশিত রতনের গল্পটি সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে নেওয়া হলেও সূত্র হিসেবে ইন্টারনেট উল্লেখ করা হয়েছে। তার বিষয়ে বইটিতে বলা হয়েছেথ ‘সাফল্য অর্জনে প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম আর অধ্যবসায়। সততার মাধ্যমে মেধা আর পরিশ্রমের সমন্বয় ঘটাতে পারলেই কেবল সাফল্য অর্জন করা যায়। আজ আমরা এমন একজন মানুষের গল্প শুনব। যিনি তার জীবনে সততা আর কায়িক শ্রমের যথাযথ সমন্বয় ঘটিয়েছেন।’

রতনের বাড়ি জোনাইডাঙ্গা গ্রাম ও উলিপুরের কথা বলা হলেও উলিপুরের অবস্থান কোন জেলায়, তা উল্লেখ করা হয়নি। তবু রতনের সংগ্রামী জীবনকাহিনী পাঠ্যবইয়ে প্রকাশের খবর শুনে তার এলাকাসহ জেলা সদরের মানুষ এবং বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দারুণ খুশি। উলিপুর আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ কবির রানু বলেন, ‘আমাদের রতন এখন পাঠ্যপুস্তকে। বিষয়টি পাঠ্যবইয়ে দেখে খুবই আনন্দ ও গর্ববোধ করছি।’

সরকারের স্বীকৃতিতে খুশি রতন সরকারও। তবকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঞ্জুরুল হান্নান ফোন করে তাকে প্রথম খবরটি জানান। এ ছাড়া অনেক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, পত্রিকা পাঠক ও সুধীজন ফোন করে, কেউ বাড়িতে এসে তাকে অভিনন্দন জানান।

প্রতিক্রিয়ায় রতন সরকার বলেন, ‘আমি সততার সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি বলেই আজ আমি সম্মানিত হয়েছি। তবে আমি কী পেলামথ তা বড় কথা নয়। আমার সংগ্রামী জীবন পড়ে শিক্ষার্থীরা যদি তা প্রতিপালন করে, তবেই আমি ধন্য হব।’ এ জন্য সমকালের কাছে সর্বাগ্রে কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। বছর দুই আগে তার মা মারা যান। এটা রতনের কাছে বড় কষ্টের। তিনি বলেন, ‘যে মায়ের চেষ্টায় আজ আমি এত বড় হয়েছি, মা তা দেখে যেতে পারলেন না!’ রতনের এ সাফল্যে তার স্ত্রী সুমিত্রা রানী, মেয়ে রাত্রী এবং রীতিও খুব খুশি।

আজ রতন আমাদের এই সমাজের কাজে একটি উদাহরণ হয়ে রইলো। কারণ ইচ্ছে করলে অনেক অসাধ্য যে সাধ্য করা যায় তা প্রমাণ করলেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার রতন।

 

তথ্যসূত্রঃ http://dhakatimes.com.bd

The post উলিপুরের পরিশ্রমী রতন এখন পাঠ্যপুস্তকে appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>