বন্যা Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=বন্যা কুড়িগ্রাম জেলার তথ্য ও সংবাদ Tue, 10 Oct 2023 14:31:27 +0000 en-US hourly 1 https://www.ulipur.com/wp-content/uploads/2022/10/1665889308.png বন্যা Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=বন্যা 32 32 উলিপুরে পানির স্রোতে পিলার ভেঙ্গে যাওয়ার ঝুঁকিতে ব্রিজ https://www.ulipur.com/?p=27405 Tue, 10 Oct 2023 14:09:21 +0000 https://www.ulipur.com/?p=27405 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।। উলিপুরে ঝুঁকিতে রয়েছে গিদারী নদীর উপর নির্মিত একটি পুরাতন ব্রিজ। পান্ডুল ইউনিয়নের কাগজিপাড়া গ্রাম দিয়ে প্রবাহিত গিদারী নদীর উপর নির্মিত ব্রিজটি পাকিস্তান আমলের। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে পানির তীব্র স্রোতে যেকোন মুহূর্তে ধসে পড়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। এই ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন ওই ইউনিয়নের ৬ গ্রামের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ প্রায় ১৫ হাজারের [...]

The post উলিপুরে পানির স্রোতে পিলার ভেঙ্গে যাওয়ার ঝুঁকিতে ব্রিজ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
উলিপুরে ঝুঁকিতে রয়েছে গিদারী নদীর উপর নির্মিত একটি পুরাতন ব্রিজ। পান্ডুল ইউনিয়নের কাগজিপাড়া গ্রাম দিয়ে প্রবাহিত গিদারী নদীর উপর নির্মিত ব্রিজটি পাকিস্তান আমলের।

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে পানির তীব্র স্রোতে যেকোন মুহূর্তে ধসে পড়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। এই ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন ওই ইউনিয়নের ৬ গ্রামের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ প্রায় ১৫ হাজারের বেশি মানুষ যাতায়াত করে। ব্রিজটি ধসে গেলে চরম ভোগান্তিতে পড়বে এসব মানুষ। খবর পেয়ে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলে ব্রিজটি রক্ষার চেষ্টা করছে পাউবো।

স্থানীয় কেউ কেউ খাল খননকে দায়ী করলেও পাউবো বলছে, স্থানীয় কিছু লোক মাছ ধরার জন্য ব্রিজের দুই ফটকের একটি বন্ধ করে দেয়। ফলে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। এতে আরেকটি ফটকে তীব্র বেগে পানি প্রবাহিত হওয়ায় ব্রিজের ভাটিতে নিচের মাটি ভেসে যায়।

সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, প্রায় ৫৫ বছর পূর্বে ১৯৬৮ সালে পান্ডুল ইউনিয়নের কাগজিপাড়া গ্রাম দিয়ে প্রবাহিত গিদারী নদীর উপর ১০ মিটার আয়তনের গ্রামীণ ব্রিজটি নির্মাণ কর হয়। গত বছর ওই নদীটি খনন করে পাউবো। এতে পানির স্রোত বেড়ে যায়। অন্যদিকে ব্রিজটির একাংশ বস্তা দিয়ে বেঁধে অন্য অংশে মাছ ধরে স্থানীয় কিছু লোকজন।

কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে বৃষ্টির পানির স্রোত বেড়েছে। শনিবার (৭ অক্টোবর) রাতে ভারী বৃষ্টির পর ব্রিজের নিচের মাটি সরে যায়। মাঝের পিলারের অর্ধেক অংশ খসে যায়।

স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চাকলিরপাড়, কাগজিপাড়া, আমভদ্রপাড়া ও জটিয়াপাড়াসহ ছয়-সাতটি গ্রামের দু’পাশের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ এলাকার ১৫ হাজারের অধিক মানুষ চলাচল করে এ সড়কে। শিগগিরই ব্যবস্থা না নিলে লোকজনের খুব সমস্যা হবে।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা নিয়ম অনুযায়ী ব্রিজের দুই পাশে ৫০ মিটার করে খনন করি। এখানে তাই করা হয়েছে। ওই এলাকার লোকজন একদিক বন্ধ করে রাখায় এবং এ বছর বৃষ্টি বেশি হওয়াতে ঝুঁকিতে পড়ে। খবর পেয়ে ব্রিজটি রক্ষায় জিওব্যাগ ফেলা হয়েছে।

//নিউজ//উলিপুর//মালেক/অক্টোবর/১০/২৩

The post উলিপুরে পানির স্রোতে পিলার ভেঙ্গে যাওয়ার ঝুঁকিতে ব্রিজ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
রাজারহাটে তিস্তার ভাঙনে দিশেহারা তীরবর্তী মানুষ https://www.ulipur.com/?p=27313 Sat, 07 Oct 2023 09:38:00 +0000 https://www.ulipur.com/?p=27313 ।। নিউজ ডেস্ক ।। ‘কাইল রাইতোত (কাল রাতে) তিস্তা নদীর চাপা এমন করি ভাঙি পড়িল, নিন(ঘুম) থাকি জাগি দ্যাখং মোর বাড়ির আগিনা (আঙিনা) নদীত চলি গেইছে’ শনিবার(৭ অক্টোবর) দুপুরে কথাগুলো বলছিলেন আলেমা বেগম (৫০)। তিনি রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের রামহরি এলাকার হাফিজুর রহমানের স্ত্রী। তার জীবনে ৫-৬ বার তিস্তার ভাঙনে স্বামীর ভিটেমাটি হারিয়েছেন। তিনি আরও [...]

The post রাজারহাটে তিস্তার ভাঙনে দিশেহারা তীরবর্তী মানুষ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
‘কাইল রাইতোত (কাল রাতে) তিস্তা নদীর চাপা এমন করি ভাঙি পড়িল, নিন(ঘুম) থাকি জাগি দ্যাখং মোর বাড়ির আগিনা (আঙিনা) নদীত চলি গেইছে’ শনিবার(৭ অক্টোবর) দুপুরে কথাগুলো বলছিলেন আলেমা বেগম (৫০)। তিনি রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের রামহরি এলাকার হাফিজুর রহমানের স্ত্রী। তার জীবনে ৫-৬ বার তিস্তার ভাঙনে স্বামীর ভিটেমাটি হারিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমার বিয়ে হওয়ার পর থেকে ৫-৬ বার তিস্তার ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছি আমরা। যখনি একটু সংসারটা গোছাতে শুরু করি, তখনি তিস্তার ভাঙনে শেষ হয়ে যায় সব। এক সপ্তাহ ধরে স্বামী সন্তান নিয়ে এক প্রতিবেশির বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে আছি। এখন কোথায় যাবো, কি করবো চিন্তা করে কুল কিনারা পাই না।
শুধু রামহরি এলাকার আলেমা বেগম নন, তার মতো অনেকে তিস্তার ভাঙনে বাব-দাদার ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। আবার ভিটেমাটি হারানো কেউ কেউ চুক্তি ভিত্তিতে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এসব পরিবারের মাথাগোঁজার ঠাঁই না থাকার কারণে নিয়তিই তাদের একমাত্র ভরসা।

রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের রামহরি এলাকার রহিম মিয়া, সিদ্দিক, সিরাজুল, হায়দার, রহমত, রফিক বলেন, আমাদেরও কয়েকদিন আগে ভিটেমাটি তিস্তা নদীতে চলে গেছে। যাওয়ার মতো কোন স্থান নাই। মানুষের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে আছি। বউ বাচ্চা নিয়ে কোথায় যাবো, কি করবো চিন্তায় বাঁচি না। কি যে হবে আল্লাহ পাক ছাড়া কেউ জানে না।

জানা গেছে, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলেও ভাঙছে, পানি কমলেও ভাঙছে। যার ফলে গত তিনদিনে তিস্তার অববাহিকার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের প্রায় ২৫-৩০টি পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েছে। এর মধ্যে যাদের জায়গা জমি নেই তারা অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এছাড়াও ওই ইউনিয়নে হুমকির মুখে রয়েছে কালির মেলা বাজার, কালির মেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রামহরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোনার জুম্মা, কালির মেলা এবতেদায়ী মাদরাসাসহ অনেক বাড়ি ঘর ও ফসলি জমি। এর আগেও শুধু রাজারহাট উপজেলার তিস্তা নদীর অববাহিকার বিভিন্ন এলাকায় শত শত পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েছেন।

রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ১নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল বাতেন বলেন, গত তিনদিনে আমার ওর্য়াডের ২৫টির মতো বাড়ি ভেঙেছে। এর মধ্যে ১০-১২ জনের অবস্থা খুব খারাপ। নিজেদের জায়গা জমি না থাকার কারণে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। আমরা তাদের বলেছি আমন ধান কাটা শেষ হলে আপনাদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে।আমার এলাকার রামহরি ও কালির মেলা এলাকায় এখনও ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, কুড়িগ্রামে গত ২৪ ঘন্টায় ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত থেমে থেমে অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাবেরী রায় বলেন, আমি অল্পকিছু দিন হয় এই উপজেলায় এসেছি। তিস্তা তো সবসময় ভাঙে। তবে এবার যে পানিটা আসতেছে ভারত থেকে খুব ঘন ও কাদা যুক্ত। এ কারণেই ভাঙন বেশি হতে পারে। আর নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা এখনও পাইনি।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বর্তমানে তিস্তা নদীর ১০টি পয়েন্টে ভাঙন চলছে। এর মধ্যে কালির মেলা ও রামহরি এলাকায় ভাঙন বেশি। আমরা জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধে কাজ করছি।

The post রাজারহাটে তিস্তার ভাঙনে দিশেহারা তীরবর্তী মানুষ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপরে https://www.ulipur.com/?p=27255 Thu, 05 Oct 2023 07:07:25 +0000 https://www.ulipur.com/?p=27255 ।। নিউজ ডেস্ক ।। উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল থেকে তিস্তার পানি প্রবল স্রোতে প্রবাহিত হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে দুই পাড়ের মানুষ। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজারহাট ও উলিপুরে তিস্তার অববাহিকার চরাঞ্চলগুলোর ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিতে পানি উঠতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে পানি [...]

The post কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপরে appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল থেকে তিস্তার পানি প্রবল স্রোতে প্রবাহিত হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে দুই পাড়ের মানুষ। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজারহাট ও উলিপুরে তিস্তার অববাহিকার চরাঞ্চলগুলোর ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিতে পানি উঠতে শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তিস্তার পানি দুপুর পর্যন্ত আরও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে কমার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে বুধবার (৪ অক্টোবর) তিস্তার দুই পাড়ের মানুষকে সরিয়ে নেয়ার মাাইকিং করা হয়েছিল। কিন্তু মানুষজন তাদের ঘরবাড়িতে এখনও অবস্থান করছেন। শুধু চরাঞ্চলের কিছু পরিবার আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন।

তিস্তা নদীর অববাহিকার গড়াইপিয়ার এলাকার নয়ন মিয়া বলেন, বুধবার থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বড় নাকি বন্যা হবে, এই চিন্তায় রাতে ঘুমাতে পারি নাই আমরা। স্থানীয় প্রশাসন গতকাল এসে সাবধানে থাকতে মাইকিং করে গেছে।

তিস্তা নদীর অববাহিকার ঘড়িয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আমার এলাকার কিছু বাড়ি-ঘরে পানি উঠেছে। তবে এখন পর্যন্ত সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে।

কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামে ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত বৃষ্টিপাত থেমে থেমে অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এবং আগামীকাল শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বৃষ্টিপাত কমে স্বাভাবিক হতে পারে।

রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাবেরী রায় বলেন, তিস্তায় আকস্মিক বন্যার আশঙ্কায় নদীর অববাহিকায় মাইকিং করে সবাইকে নিরাপদে থাকার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা সজাগ রয়েছেন। ১৪টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং হ্রদে পানির পরিমাণ অনেক বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানকার বাঁধটি খুলে দেয়া হয়েছে। ফলে ভারতীয় অংশে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে এবং কুড়িগ্রাম জেলায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আমরা ক্যালকুলেশন করে দেখেছি তিস্তার পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে যেতে পারে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা মানুষকে সচেতন করছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড তা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।

The post কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপরে appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
ফুলবাড়ীতে নদী ভাঙনে দিশেহারা ধরলাপাড়ের মানুষ https://www.ulipur.com/?p=26585 Tue, 05 Sep 2023 16:38:23 +0000 https://www.ulipur.com/?p=26585 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।কৃষক বদিউজ্জামান মিয়া স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের ৪ সদস্যকে নিয়ে ডাল-ভাত খেয়ে ভালোই দিন পাড়ি দিচ্ছিলেন। কিন্তু আগস্ট মাস থেকে ধরলা নদীর তীব্র ভাঙনে বাড়ি-ভিটা ১৬ শতক জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় ঠাঁই নেন আবাসনের মাঠে। সেখানে দুটি ছোট ঘর তুলে অতি কষ্টে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছেন। এদিকে শেষ স্মৃতি মায়ের কবরটি তিন-চারদিন আগে [...]

The post ফুলবাড়ীতে নদী ভাঙনে দিশেহারা ধরলাপাড়ের মানুষ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
কৃষক বদিউজ্জামান মিয়া স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের ৪ সদস্যকে নিয়ে ডাল-ভাত খেয়ে ভালোই দিন পাড়ি দিচ্ছিলেন। কিন্তু আগস্ট মাস থেকে ধরলা নদীর তীব্র ভাঙনে বাড়ি-ভিটা ১৬ শতক জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় ঠাঁই নেন আবাসনের মাঠে। সেখানে দুটি ছোট ঘর তুলে অতি কষ্টে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছেন। এদিকে শেষ স্মৃতি মায়ের কবরটি তিন-চারদিন আগে আগ্রসী ধরলা নদীর তীব্র ভাঙনে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় ছেলে বদিউজ্জামান মিয়া বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। মৃত মা জোবেদা খাতুনের কবর হিসাবে শেষ স্মৃতিটুকুও আগ্রাসী ধরলা নদী কেড়ে নেওয়ায় অনেকটা ভেঙে পড়েছেন এবং স্ত্রীসহ ৮ বছরের এক ছেলে ও ১৪ বছরের মেয়েকে নিয়ে চরম দুর্দিন পাড় করছেন তিনি। বদিউজ্জামান মিয়া ফুলবাড়ীর নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চর গোরক মন্ডল গ্রামের মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গত এক থেকে দেড় মাস আগে চর গোরক মন্ডল এলাকায় ধরলা নদীর তীব্র ভাঙনে বদিউজ্জামান মিয়ার বাড়ির সামনে ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে হাফ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। সেই সাথে শতশত বিঘা ফসলি জমি ও ১৫ থেকে ২০ টি পরিবারের ভিটেমাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন রোধের জন্য কর্তৃপক্ষ ৬ হাজার জিও ব্যাগ দিয়েও ভাঙন ঠেকাতে পারছে না। আগ্রসী ধরলা নদীর তীব্র ভাঙন অব্যাহত থাকায় অনেকে বাড়ি-ভিটা রক্ষা করতে পারবে কি না সেই চরম দুশ্চিন্তায় খাওয়া টুকুও ছেড়ে দিয়েছেন।

দিন মজুর বদিউজ্জামান মিয়া কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, ধরলার ভাঙনে অনেক মানুষের বাড়ি-ঘর বিলীন হয়ে গেছে। তারপরেও ওই সব মানুষের মতো আমার কষ্ট এবং দুঃখ নেই। অনেকের জমি-জমা থাকায় অন্য স্থানে নতুন করে বাড়ি-ঘর তৈরি করে থাকছেন। কিন্তু আমার কোন জমি-জমা না থাকায় আবাসনের মাঠে কোন রকমেই মানবেতর জীবন-যাপন করছি বাহে। বাড়ি-ভিটা নদী গর্ভে বিলীন হলেও আমার কোন কষ্ট হয়নি। কিন্তু আমার মায়ের শেষ স্মৃতি হিসাবে কবরটি ছিল। সেই কবরটি কেড়ে নেয় আগ্রাসী ধরলা নদী। আর কোন দিন মায়ের কবরে দোয়া ও জেয়ারত করতে পারবো না। আমার খুবই কষ্ট হচ্ছে বাহে ! এমন কষ্টে থাকার পরেও তার সহযোগিতায় কেউ এগিয়ে না আসায় চরম ক্ষোভ জানিয়েছেন তিনি। সেই সাথে ধরলার ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তিনি তার এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।

স্থানীয় শাহআলম মিয়া জানান, ধরলা নদী ভাঙতে ভাঙতে আমার বাড়ির কাছেই এসেছে। নদী থেকে আমার বাড়ির দুরত্ব মাত্র ৭ ফিট। ভাঙন ঠেকাতে না পারলে কিছু দিনের মধ্যে আমার বাড়ি-ভিটাও গিলে খাবে আগ্রাসী ধরলা। তিনি আরও জানান, কর্তৃপক্ষ ৬ হাজার জিও ব্যাগ দিয়েছে। কিন্তু ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না। তাই তিনিসহ এলাকাবাসী দ্রুত ভাঙন রোধ করার জন্য স্থায়ী নদীর তীর রক্ষা বাঁধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোড় দাবি জানিয়েছেন।

চর গোরক মন্ডল ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আয়াজ উদ্দিন জানান, চর গোরক মন্ডল এলাকায় ধরলা নদীর তীব্র ভাঙনে ইতোমধ্যে ১৫ থেকে ২০ টি পরিবার ও আধা কিলোমিটার সড়কসহ শতশত ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর ৬ হাজার জিও ব্যাগ দিয়েছেন। কিন্তু ভাঙন রক্ষা করা যাচ্ছে না। তিনি আরও জানান, হুমকির মুখে ২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে মুজিব কেল্লার ভবন, স্কুল ও মাদ্রাসাসহ ওই এলাকার ৮০০ পরিবার। ভাঙন রোধের জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইসমত ত্বোহা জানান, চর গোরক মন্ডল এলাকায় ধরলা নদীর তীব্র ভাঙন ঠেকাতে ইতোমধ্যেই ৬ হাজার জিও ব্যাগ ফেলানো হয়েছে। আসলে ওই এলাকায় ভাঙন রোধ করার জন্য বড় প্রকল্প ছাড়া শুধুমাত্র জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধ করা সম্ভব না। ভাঙন রোধে স্থায়ী তীর রক্ষা বাঁধ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

//নিউজ/ফুলবাড়ী//নূর-নবী/সেপ্টেম্বর/০৫/২৩

The post ফুলবাড়ীতে নদী ভাঙনে দিশেহারা ধরলাপাড়ের মানুষ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
ব্রহ্মপুত্র গিলছে চিলমারীর শাখাহাতি গৃহহীন ২ শতাধিত পরিবার https://www.ulipur.com/?p=26549 Mon, 04 Sep 2023 16:12:26 +0000 https://www.ulipur.com/?p=26549 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।পানি কমলেও ভাঙন বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র গিলতে শুরু করেছে চিলমারীকে। নেই যেন শান্তি। আছে শুধুই চোখের পানি। বছরের পর বছর চলছে ভাঙনের এই যুদ্ধ। কবে কোথায় কখন থামবে এই যুদ্ধ তা অজানা চিলমারীবাসীর। ভাঙন কবলিত বেশির ভাগ মানুষের নেই থাকার কোন স্থান, নেই একটু শান্তির আবাস। একটু সুখের আশায় আশ্রয়ের সন্ধানে প্রতি নিয়ত [...]

The post ব্রহ্মপুত্র গিলছে চিলমারীর শাখাহাতি গৃহহীন ২ শতাধিত পরিবার appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
পানি কমলেও ভাঙন বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র গিলতে শুরু করেছে চিলমারীকে। নেই যেন শান্তি। আছে শুধুই চোখের পানি। বছরের পর বছর চলছে ভাঙনের এই যুদ্ধ। কবে কোথায় কখন থামবে এই যুদ্ধ তা অজানা চিলমারীবাসীর। ভাঙন কবলিত বেশির ভাগ মানুষের নেই থাকার কোন স্থান, নেই একটু শান্তির আবাস। একটু সুখের আশায় আশ্রয়ের সন্ধানে প্রতি নিয়ত ছুটছে মানুষ। দিনের পর দিন নিঃস্ব করে দিচ্ছে এই নদী ভাঙন। আর সেই ভাঙনের শিকার হয়ে নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে চিলমারীর শাখাহাতিসহ কয়েকটি গ্রাম। আর হুমকির মুখে পড়েছে সরকারি বিদ্যালয় ও আশ্রয়ণ কেন্দ্র। এছাড়াও ইতি মধ্যে কয়েকশত ঘর-বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে এবং মানুষকে বানিয়েছে অসহায়। প্রায় ২ শতাধিক পরিবার হয়ে পড়েছে গৃহহীন।

জানা গেছে, বছরের প্রতি সময় নদী ভাঙনের তাণ্ডব থাকে চিলমারীর বিভিন্ন স্থানে। পানি কমলেও থেমে থাকে না ভাঙনের তাণ্ডবলীলা। সেই তাণ্ডব প্রখর আকার ধারণ করছে বারবার পানি বৃদ্ধি, কমে যাওয়া, উজানের ঢলে ও বৃষ্টির সাথে সাথে। ব্রহ্মপুত্রের থাবায় চিলমারীর শাখাহাতি, কড়াইবড়িশালসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।নিমিষেই গিলে খাচ্ছে সবকিছু। ব্রহ্মপুত্রের এই তাণ্ডবলীলায় ভাঙছে ঘর-বাড়ি, বিলীন হচ্ছে ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। মানুষকে করে দিয়েছে নিঃস্ব। ভাঙনের কবলে পড়ে ঘর-বাড়িসহ লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পদ হারিয়ে গৃহহীন হয়ে পড়ছে শতশত পরিবার। ব্রহ্মপুত্রের এই ভাঙনের মুখেই রয়েছে শাখাহাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাখাহাতি আশ্রয়ণ কেন্দ্রসহ বেশকিছু সরকারি স্থাপনা। ইতি মধ্যে ভাঙনে বিলীন হয়েছে সাব মেরিন ক্যাবল ও বিদ্যুৎ খুটি।

সদ্য ভাঙনের শিকার আমজাদ, জাহানারা, ইসহাকসহ অনেকে বলেন, নদী আমাদের বসতবাড়ি কেড়ে নিল, কেড়ে নিল আমাদের সাজানো সংসার। তারা আরও বলেন, নদী আমাদের লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পদ কেড়ে নিচ্ছে আর প্রশাসন ১০ কেজি করে চাল নিয়ে আইসে, হামরা ত্রাণ চাই না, চাই নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে।

ভাঙনের তাণ্ডব চলছে স্বীকার করে চিলমারী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, যে হারে নদী ভাঙছে এর প্রতিরোধ না হলে চিলমারী ইউনিয়নের পুড়ো এলাকাসহ সরকারি স্কুল, আশ্রয়ণ কেন্দ্র নদী গর্ভে চলে যাবে। তিনি আরও বলেন, ইতি মধ্যে কয়েকশত ঘর-বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে।

কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাফিউল আলম বলেন, সরেজমিন এলাকা পরিদর্শন করেছি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে কিছু জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজ শুরু করা হয়েছে, এছাড়াও ভাঙন ঠেকাতে পরিকল্পনা করা হয়েছে বরাদ্দ এলে কাজ শুরু করা হবে।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রাম নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষনিক ভাবে কিছু জিও ব্যাগ ফেলানো হয়েছে। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি কিন্তু চরাঞ্চল হওয়ায় ভাঙন ঠেকানো বড় কষ্টকর।

//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/সেপ্টেম্বর/০৪/২৩

The post ব্রহ্মপুত্র গিলছে চিলমারীর শাখাহাতি গৃহহীন ২ শতাধিত পরিবার appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
চিলমারীতে চতুর্থ দফার বন্যায় পানিবন্দি ২৫ হাজার মানুষ https://www.ulipur.com/?p=26499 Sat, 02 Sep 2023 15:57:50 +0000 https://www.ulipur.com/?p=26499 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।কখনও ঝড়ছে বৃষ্টি, কখনও খড়া এরিমধ্যে আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে ব্রহ্মপুত্রের পানি। উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধির সাথে চতুর্থ দফার বন্যার ফাঁদে চিলমারী। প্লাবিত হয়েছে নদীর তীরবর্তী এলাকাসহ নিম্নাঞ্চল। তলিয়ে গেছে শতশত হেক্টর আমন ক্ষেত। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। ঘর ছেড়েছে অনেকে। ত্রাণ বিতরণ শুরু হলেও রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ। চতুর্থ দফায় [...]

The post চিলমারীতে চতুর্থ দফার বন্যায় পানিবন্দি ২৫ হাজার মানুষ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
কখনও ঝড়ছে বৃষ্টি, কখনও খড়া এরিমধ্যে আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে ব্রহ্মপুত্রের পানি। উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধির সাথে চতুর্থ দফার বন্যার ফাঁদে চিলমারী। প্লাবিত হয়েছে নদীর তীরবর্তী এলাকাসহ নিম্নাঞ্চল। তলিয়ে গেছে শতশত হেক্টর আমন ক্ষেত। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। ঘর ছেড়েছে অনেকে। ত্রাণ বিতরণ শুরু হলেও রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ।

চতুর্থ দফায় বন্যার ফাঁদে পড়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছে নদীর তীরবর্তী মানুষসহ নিম্নাঞ্চলের মানুষ। চলতি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে শতশত হেক্টর আমন ক্ষেত। আমন ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ার কৃষকের স্বপ্ন গেছে ডুবে। দিশাহার কৃষকের দিন কাটছে হতাশায়। বারবার বন্যার থাবায় পড়ে বন্যার্ত মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে দুর্ভোগ। বন্যায় পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বেশকিছু পরিবার চতুর্থ বারের মতো ছেড়েছে বাড়িঘর। এছাড়াও মানবেতর জীবন যাপন করছেন বন্যা কবলিত এলাকার হাজার হাজার পরিবার।

সরেজমিন, নয়ারহাটের উত্তর খাউরিয়া, বজড়াদিয়ার খাতা, রমনার জোড়গাছ, মাঝিপাড়া, বাসন্তিগ্রাম, মাষ্টারপাড়া, থানাহাটের মাছাবান্দা, সবুজপাড়া নালারপাড়সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠছে। টানা বেশ কয়েকদিন থেকে পানিবন্দি থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে করছে মানবেতর জীবন যাপন।

পানিবন্দি এলাকার মানুষজন জানান, বারবার বন্যার কবলে পড়লে কি আর ভালো থাকা যায় এর উপর এই বৃষ্টি আর প্রচন্ড গরম। বন্যার পানি আমন ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় হাজার হাজার কৃষক দিশাহারা হয়ে পড়েছে।

৯ দিন থেকে ঘর ছাড়া হয়ে বাঁধে আশ্রয় নিলেও মেলেনি সাহায্য এমনটি জানিয়ে রমনা বাঁধ মাষ্টার পাড়া এলাকার মরিয়ম বলেন, হামার কষ্ট কেডা দেখেরে বাবা। শুধু মরিয়ম নয় এরকম অনেক পানিবন্দি মানুষের ভাগ্যে জোটেনি সহায়তা।

এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হলেও বিতরণে নানা অভিযোগ উঠেছে এছাড়াও নিম্নাঞ্চলে চাল দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন অনেকে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন জানান, চলতি বন্যায় এখন (বৃহঃ বার) পর্যন্ত ২৪ মে.টন চাল ও ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাফিউল আলম বলেন, বন্যার্ত ও ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরন শুরু করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বন্যার্ত মানুষ ও ভাঙ্গন কবলিত মানুষের পাশে সরকার ছিল এবং থাকবে এছাড়াও আমরা সব সময় খোঁজ খবর রাখছি এবং এলাকা পরিদর্শন করছি।

//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/সেপ্টেম্বর/০২/২৩

The post চিলমারীতে চতুর্থ দফার বন্যায় পানিবন্দি ২৫ হাজার মানুষ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
চিলমারীতে অবদা বাঁধে ধস, হুমকির মুখে ১০টি গ্রাম https://www.ulipur.com/?p=26486 Fri, 01 Sep 2023 12:47:55 +0000 https://www.ulipur.com/?p=26486 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।। ব্রহ্মপুত্রের পানির তোড়ে অবদা বাঁধ ও রক্ষা প্রকল্পে দেখা দিয়েছে ধস। এতে নদীর তীরবর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। হুমকির মুখে রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ১০টি গ্রামসহ হাজারও একর ফসলি জমি। বাঁধ ভেঙ্গে গেলে উপজেলা সদরসহ প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আতঙ্ক বিরাজ করছে ওই এলাকার মানুষজনের মাঝে। বাঁধ ও ডানতীর রক্ষা প্রকল্প রক্ষায় [...]

The post চিলমারীতে অবদা বাঁধে ধস, হুমকির মুখে ১০টি গ্রাম appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
ব্রহ্মপুত্রের পানির তোড়ে অবদা বাঁধ ও রক্ষা প্রকল্পে দেখা দিয়েছে ধস। এতে নদীর তীরবর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। হুমকির মুখে রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ১০টি গ্রামসহ হাজারও একর ফসলি জমি। বাঁধ ভেঙ্গে গেলে উপজেলা সদরসহ প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আতঙ্ক বিরাজ করছে ওই এলাকার মানুষজনের মাঝে। বাঁধ ও ডানতীর রক্ষা প্রকল্প রক্ষায় চেষ্টা চালাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

জানা গেছে, পানি বৃদ্ধির কারনে ফুলে ফেঁপে উঠছে ব্রহ্মপুত্র। পানির তোড়ে চিলমারীর রানীগঞ্জ কাঁচকোল স্লুইস গেট সংলগ্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) অবদা বাঁধ ও ডানতীর রক্ষা প্রকল্পে দেখা দিয়েছে ধস। পানির তোড়ে ডেবে গেছে প্রায় ২০ মিটার পিচিং, ভেঙ্গে যাচ্ছে বাঁধ। ডানতীর রক্ষা প্রকল্পে ধস দেখা দেয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে হাজারও একর ফসলি জমিসহ রানীগঞ্জ ইউনিয়নের সড়কটারী, শিমুল তলা বাঁধ গ্রাম, পাঁচাগ্রাম, পূর্ব ভাটিয়াপাড়াসহ প্রায় ১০টি গ্রাম। শুধু তাই নয় বাঁধ ভেঙ্গে গেলে নিমিষেই তলিয়ে যাবে উপজেলা সদরসহ প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম। রক্ষা প্রকল্পে ধস দেখা দেয়ায় ভাঙ্গন ও প্লাবিত হওয়ার আতঙ্কে লক্ষাধিক মানুষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতির কারনে আজ এই ধস এবং আতঙ্ক অভিযোগ করে কাঁচকোল এলাকার মানুষজন জানান, ভাঙ্গন বা ধস দেখা দিলে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করেন এবং জিও ব্যাগ ফেলানো শুরু করলেও কাজের ধীরগতি ও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে বারবার ধস ও ভাঙ্গনের আতঙ্কে পড়ে এলাকাবাসী। তারা আরও বলেন, এই বাঁধ ভেঙ্গে গেলে শুধু রানীগঞ্জ নয় উপজেলা সদরও পড়বে হুমকির মুখে সেই সাথে চলমান বন্যায় নিমিষেই তলিয়ে যাবে প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামসহ উপজেলা সদর, পানিবন্দি হয়ে পড়বে লক্ষাধিক মানুষ।

বাঁধ ভেঙ্গে গেলে হুমকির মুখে পড়বে রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম নিঃস্ব হবে হাজারো পরিবার স্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, বাঁধের পূর্ব দিকে চর পড়ায় পানির প্রবল স্রোতে এই ধস দেখা দিয়েছে, তিনি আরও বলেন বাঁধসহ ডানতীর রক্ষা প্রকল্প রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ধস ঠেকানো না গেলে চিলমারীর একটি বড় অংশ ঝুঁকিতে পড়বে স্বীকার করে পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ধস এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ চলছে, আশা করি সমস্যা হবে না।

//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/সেপ্টেম্বর/০১/২৩

The post চিলমারীতে অবদা বাঁধে ধস, হুমকির মুখে ১০টি গ্রাম appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
উলিপুরে জলাবদ্ধতায় আশ্রয়ণের ৪০ পরিবারের শতাধিক মানুষ https://www.ulipur.com/?p=26473 Thu, 31 Aug 2023 13:32:12 +0000 https://www.ulipur.com/?p=26473 ।। নিউজ ডেস্ক ।।উলিপুরে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পে মাথা গোঁজার ঠাই হলেও ভোগান্তির শেষ নেই সুবিধাভোগীদের। জলাবদ্ধতাসহ নানা সংকটে বিপাকে পড়েছে আশ্রয়ণ বাসিন্দারা। উপজেলার ধরণীবাড়ী ইউনিয়নের মুন্সিবাড়ি এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো আবাদি নিচু জমিতে হওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন তারা। জানা গেছে, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার [...]

The post উলিপুরে জলাবদ্ধতায় আশ্রয়ণের ৪০ পরিবারের শতাধিক মানুষ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পে মাথা গোঁজার ঠাই হলেও ভোগান্তির শেষ নেই সুবিধাভোগীদের। জলাবদ্ধতাসহ নানা সংকটে বিপাকে পড়েছে আশ্রয়ণ বাসিন্দারা। উপজেলার ধরণীবাড়ী ইউনিয়নের মুন্সিবাড়ি এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো আবাদি নিচু জমিতে হওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন তারা।

জানা গেছে, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচির আওতায় মুন্সিবাড়ি আশ্রয়ণ কেন্দ্রে মাটি ভরাটকরণ ও রাস্তা নির্মাণের জন্য দুই দফায় ৬ লাখ ও ৪ লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শুধু লোক দেখানো কয়েক ট্রাক্টর মাটি ফেলানো হয়েছে।

সরেজমিন ধরণীবাড়ীর মুন্সিবাড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা গেছে, কয়েক দিনের বৃষ্টির ফলে আশ্রয়ণের চারদিকে থইথই পানি। ১৫ দিনের জলাবদ্ধতায় সেই পানিতে শ্যাওলা জন্মেছে। নির্গমনের পথ না থাকায় নোংরা ও অর্ধপঁচা এসব পানি ও কাদা মাড়িয়ে চলাচল করছে আশ্রয়ণের নারী-পুরুষ ও শিশুরা। নোংরা এসব পানির মাঝেই বসবাস করছে তারা। প্রকল্পের ভিতরে চলাচলের রাস্তা পানিতে নিমজ্জিত থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছে সেখানকার ৪০টি পরিবারের প্রায় শতাধিক মানুষ।
আরও দেখা গেছে, প্রকল্প এলাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকল্প অধিদপ্তর থেকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হলেও সেগুলোর সুবিধা ভোগ করতে পারছে না বাসিন্দারা।

২০২২-২৩ অর্থবছরে করা পানি সরবরাহের এই প্রকল্পের কোনোটির নলকূপ নেই, আবার কোনোটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি ও কোনোটির ট্যাংকিতে ফাটল থাকায় পানি ওঠানো সম্ভব হয় না। নিম্নমানের কাজ করায় ঘরের ইট খুলে গেছে, দেয়ালে ফাটল ধরেছে ও চালের কাঠ নষ্ট হয়ে গেছে।

কয়েকজন বাসিন্দার অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে এসব আশ্রয়ণকেন্দ্র গড়ে ওঠার ফলে সুফল পাচ্ছে না তারা। কিছুদিন আগে সামান্য কিছু মাটি ছিটিয়ে দেওয়া হয়। রাস্তা নির্মাণ করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। ফলে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা হয়। এতে করে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের।

আশ্রয়ণের বাসিন্দা মেনেকা রাণী জানান, কিছুদিন আগে ট্রাক্টর দিয়ে কিছু মাটি ফেলানো হয়েছে। আমার এখানে কোন মাটি ফেলানো হয় নাই। এক ট্রাক্টর মাটি ৫০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে যার কারণে আমাদের ১২টা ঘরের সামনে কোন মাটি পড়ে নাই। একটু বৃষ্টি হইলে পানি জমি থাকে। আইজ না হলেও ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে পানি। ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। বাড়িতে একটা প্রতিবন্ধী বাচ্চা। পানিতে পড়ার ভয়ে বাচ্চাকে সকালে মিশনের ওখানে রেখে আসি সন্ধ্যায় নিয়ে আসি। স্বামী ভাড়ায় ব্যাটারিচালিত ভ্যান চালায়, সেটাও বারান্দা থাকি নামাতে পাই না। কামাই-রোজগার বন্ধ। ছেলে সন্তান নিয়ে কি খাই।

ষাটোর্ধ্ব মর্জিনা বেগম নামে আরেক বাসিন্দা জানান, সরকার ঘর দিছে। কিন্তু আমাদের সমস্যা দেখার কেউ নাই। বৃষ্টি হলে পানি জমে। সেই পানিতে অনেক ময়লা-আবর্জনা, পোকামাকড় পচে দুর্গন্ধ হয়। শিশু ও বয়স্ক মানুষরা পিচ্ছিলের কারণে চলাচল করতে পারে না। আমরা তো বের হইতে পারি না। খুবই কষ্টে আছি।

আরেক বাসিন্দা মমেনা বেগম জানান, বাচ্চারা স্কুলে যাওয়ার সময় জামা-কাপড়, বই-খাতা ভিজে যায়। এই পানি এখন আমাদের বড় সমস্যা। এখানে মাটি কাটা দরকার। কিন্তু মাটি ফেলে নাই। একটু বৃষ্টি হইলে পানি জমে থাকে। চলাচল করা যায় না। আমাদের আশ্রয়ণে মাটি কেটে দিলে আমাদের অনেক ভালো হতো।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিরাজুদ্দৌল্লা বলেন, মুন্সিবাড়ি আশ্রয়ণ কেন্দ্রে মাটি ভরাট ও রাস্তা নির্মাণের জন্য দুই দফায় ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং প্রকল্পের বিলও উত্তোলন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোভন রাংসা বলেন, ধরণীবাড়ীর মুন্সিবাড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পটি আমি সরেজমিনে দেখে আসছি। রাস্তা নির্মাণ ও পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

//নিউজ//উলিপুর//মালেক/আগস্ট/৩১/২৩

The post উলিপুরে জলাবদ্ধতায় আশ্রয়ণের ৪০ পরিবারের শতাধিক মানুষ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধিতে তলিয়ে গেছে আমন ক্ষেত বিপাকে কৃষক https://www.ulipur.com/?p=26452 Thu, 31 Aug 2023 07:45:09 +0000 https://www.ulipur.com/?p=26452 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।আবারো বাড়ছে পানি, তলিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন অঞ্চল, ডুবে গেছে সদ্য লাগানো আমন ক্ষেত বিপাকে পড়েছে কৃষক। দুশ্চিন্তার সাথে চোখে জল নিয়ে পুঁজি ভাবনায় পড়েছে কৃষক। বৃষ্টির সাথে হু হু করে বাড়তে থাকা ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। সাথে তিস্তা নদীর পানি ঢুকে পড়ায় তালিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন গ্রাম। ডুবে যাচ্ছে একের [...]

The post চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধিতে তলিয়ে গেছে আমন ক্ষেত বিপাকে কৃষক appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
আবারো বাড়ছে পানি, তলিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন অঞ্চল, ডুবে গেছে সদ্য লাগানো আমন ক্ষেত বিপাকে পড়েছে কৃষক। দুশ্চিন্তার সাথে চোখে জল নিয়ে পুঁজি ভাবনায় পড়েছে কৃষক। বৃষ্টির সাথে হু হু করে বাড়তে থাকা ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। সাথে তিস্তা নদীর পানি ঢুকে পড়ায় তালিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন গ্রাম। ডুবে যাচ্ছে একের পর এক আমন ক্ষেত ।

জানা গেছে, ২য় ও ৩য় দফায় বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় হঠাতেই দেখা দেয় খরা। খরার সাথে কমে যায় ব্রহ্মপুত্রের পানি। বিপাকে পড়ে চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষক। প্রচণ্ড খরায় আমন চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েছিল কৃষক। অবশেষে দেখা দেয় বৃষ্টির কৃষকরাও নেমে পড়ে মাঠে। বেশিরভাগ জমিতে আমন চারা লাগানো শেষ করে কৃষক।

আবারো টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে হু হু করে বাড়তে শুরু করে পানি। ৪র্থ বারের মতো ব্রহ্মপুত্রের পানি ফুলে-ফেঁপে উঠেছে সাথে যোগ দেয় তিস্তার পানি। চিলমারী উপজেলাটি ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার মাঝে পড়ায় বরাবরে দুই নদীর পানির তোড়ে পড়ে চিলমারী। এবারেও ব্রহ্মপুত্রের পানির সাথে তিস্তার পানি ও টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে প্লাবিত হতে শুরু করে নিম্নাঞ্চল। তলিয়ে যায় বিভিন্ন গ্রাম পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। পানি বৃদ্ধির সাথে টানা বৃষ্টির ফলে ডুবতে শুরু করে সদ্য লাগানো আমন ক্ষেত। আমন ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে হাজার হাজার কৃষক। দফায় দফায় বন্যা, সেই বন্যার ভয়ে দীর্ঘ সময় পর খরা দেখে চাষিরা নেমেছিল মাঠে। মাঠ জুড়ে সবুজে সবুজে ভরে উঠে কিন্তু সেই সময় বন্যার পানিতে তলিয়ে যেতে শুরু করে আমন ক্ষেত। হাজার হাজার টাকা খরচ করে সদ্য লাগানো আমন ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় চোখে জল নিয়ে চিন্তামগ্নে তাকিয়ে আছেন কবে নেমে যাবে বন্যার পানি।

মাছাবান্দা এলাকার কৃষক খয়বর আলী বলেন, কি আর কমো বন্যার পানি যদি ক্ষেতের ফসল খেয়ে যায় তাহলে কি যে হবে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বন্যায় ৪৫০ থেকে ৫ শত হেক্টর আমন ক্ষেত ইতি মধ্যে সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষাণ দাস বলেন, পানি দ্রুত নেমে গেলে ফসলের সমস্যা হবে না।

//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/আগস্ট/৩১/২৩

The post চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধিতে তলিয়ে গেছে আমন ক্ষেত বিপাকে কৃষক appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে তলিয়ে গেছে চিলমারীর হরিজন পল্লী https://www.ulipur.com/?p=26408 Mon, 28 Aug 2023 16:31:50 +0000 https://www.ulipur.com/?p=26408 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।টানা বৃষ্টিতে বৃদ্ধি পেয়েছে নদ-নদীর পানি। উজানের ঢলে পড়া পানিতে প্লাবিত হচ্ছে বিভিন্ন এলাকা। পানি বৃদ্ধির ফলে ইতি মধ্যে তলিয়ে গেছে সদ্য নির্মিত হরিজন পল্লীটিও। হারিজন পল্লী তলিয়ে যাওয়ায় আশ্রয় নেয়া প্রায় দেড় শতাধিক মানুষের জীবন কাটছে কষ্টে। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে [...]

The post নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে তলিয়ে গেছে চিলমারীর হরিজন পল্লী appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
টানা বৃষ্টিতে বৃদ্ধি পেয়েছে নদ-নদীর পানি। উজানের ঢলে পড়া পানিতে প্লাবিত হচ্ছে বিভিন্ন এলাকা। পানি বৃদ্ধির ফলে ইতি মধ্যে তলিয়ে গেছে সদ্য নির্মিত হরিজন পল্লীটিও।

হারিজন পল্লী তলিয়ে যাওয়ায় আশ্রয় নেয়া প্রায় দেড় শতাধিক মানুষের জীবন কাটছে কষ্টে। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি ও ভাঙনে দিশাহারা হয়ে পড়েছে শাখাহাতি, বজড়াদিয়ার খাতাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষজন। হরিজন পল্লী বাসীর সাথে উক্ত এলাকার বেশকিছু হিন্দু পরিবার পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন। বিপাকে পড়েছেন সদ্য রোপা আমন চাষিরাও।

জানা গেছে, উজানের ঢল ও কয়েকদিনের টানা বর্ষণে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে চিলমারীর ক্ষেত, খামার, নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি। এই নিয়ে ৪র্থ দফা বন্যার কবলে পড়লো চিলমারী বাসী। তলিয়ে গেছে সবুজপাড়া নালার পাড় এলাকায় সদ্য নির্মিত হরিজন পল্লীটি। হরিজন পল্লীটি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সদ্য আশ্রয় নেয়া ৩০টি পরিবারের প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা না থাকায় আশ্রিত মানুষজন খাবার পানির সংকটে। শুধু তাই নয় পল্লীতে প্রবেশের সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় কোমর থেকে বুক পর্যন্ত পানি ভেঙে পারাপার হতে হচ্ছে আশ্রিত হরিজনদের।

আশ্রয় নেয়া দেব চন্দ্র জানান, সামান্য বন্যায় তলিয়ে গেছে আমাদের পল্লী, আর একটু পানি বাড়লে তো এখানে থাকাই যাবেনা।

শ্রী পারুল বলেন, পল্লীটি বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বাচ্চা, কাচ্চা নিয়ে খুব কষ্টে আছি, সব সময় থাকি টেনশনে।

নেমু লাল বলেন, যাতায়াতের রাস্তাটি নির্মাণ না করায় কোমর থেকে বুক ভর্তি পানি ভেঙে সদরে কাজে যেতে হয়। এদিকে বন্যার কারণে কাজেও যেতে পারছিনা, ফলে খাবারের কষ্টে আছি। বন্যার পানিতে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

আশ্রয় নেয়া হরিজনরা অভিযোগ করে বলেন, এতদিন থেকে আশ্রয় নিয়ে আছি কিন্তু এখন পর্যন্ত বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করে না দেওয়ায় খাবার পানির কষ্টে আছি। এর উপর আবার বন্যা। তারা আরও জানান, পানিবন্দি হয়ে থাকলেও এখন পর্যন্ত কোন সরকারি বা বেসরকারি সহায়তা তারা পায়নি।

চলমান বন্যায় নিম্নাঞ্চলের মানুষজন বিপাকে পড়েছে তা স্বীকার করে চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রুকুনুজ্জামান শাহিন বলেন, হরিজন পল্লীতে আশ্রয় নেয়া মানুষজনসহ পানিবন্দি মানুষের পাশে সরকার ছিল এবং আছে, আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি এবং দ্রুত তাদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হবে।

//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/আগস্ট/২৮/২৩

The post নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে তলিয়ে গেছে চিলমারীর হরিজন পল্লী appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>