বন্যা পরিস্থিতির অবনতি Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=বন্যা-পরিস্থিতির-অবনতি কুড়িগ্রাম জেলার তথ্য ও সংবাদ Sat, 15 Jul 2023 15:55:10 +0000 en-US hourly 1 https://www.ulipur.com/wp-content/uploads/2022/10/1665889308.png বন্যা পরিস্থিতির অবনতি Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=বন্যা-পরিস্থিতির-অবনতি 32 32 চিলমারীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি ১৫ হাজার মানুষ https://www.ulipur.com/?p=25396 Sat, 15 Jul 2023 15:55:09 +0000 https://www.ulipur.com/?p=25396 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।পানি যেভাবে বাড়ছে বাহে কল্পনা করি নাই। রাতে খাইয়া দায়া ঘুমাইলাম আর সকালে উঠে দেখি ঘরত পানি। কাবধাপ (তারতারি) করে ঘরের জিনিসপত্র পাশের বাঁধের রাস্তায় তুলতেছি খুব বিপদে পরছি হঠাৎ করি পানি আসায় কথাগুলো বললেন চিলমারীর জোড়গাছ পুরাতন বাজার বাঁধ এলাকার নুরভানু, জোবেদাসহ বেশ কয়েকজন। জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় [...]

The post চিলমারীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি ১৫ হাজার মানুষ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
পানি যেভাবে বাড়ছে বাহে কল্পনা করি নাই। রাতে খাইয়া দায়া ঘুমাইলাম আর সকালে উঠে দেখি ঘরত পানি। কাবধাপ (তারতারি) করে ঘরের জিনিসপত্র পাশের বাঁধের রাস্তায় তুলতেছি খুব বিপদে পরছি হঠাৎ করি পানি আসায় কথাগুলো বললেন চিলমারীর জোড়গাছ পুরাতন বাজার বাঁধ এলাকার নুরভানু, জোবেদাসহ বেশ কয়েকজন।

জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা সেই সাথে উপজেলা প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি মানুষজন বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু স্থান, বাঁধে আশ্রয় নেয়া শুরু করেছে। তাদের মাঝে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতি মধ্যে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। তবে ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো করছে মানবেতর জীবন যাপন।

সরেজমিন, উপজেলার জোড়গাছ বাঁধ, মাষ্টারপাড়া, টোনগ্রাম, হরিনেরবন গ্রাম, চরউদনা, সরকারপাড়া, মাছাবান্দা, থানাহাট ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে কয়েকশত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নিম্নাঞ্চলের রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বিভিন্ন এলাকার মানুষজনকে। এসময় জোড়গাছ বাঁধ এলাকার নুরভানু, জোবেদা, লালমিয়া বলেন, গতকাল (শুক্রবার ১৪ জুলাই রাতে) খাওয়া দাওয়া করি শুইলাম ভালো আর সকালে উঠে দেখি সারাবাড়ি পানি ঘরের ভিতর পানি, হঠাৎ এতো দ্রুত পানি উঠবে ভাবতে পারি নাই।

তারা আরো জানায়, পানি বৃদ্ধি থাকায় বাধ্য হয়ে ঘরের জিনিসপত্রসহ অবদা বাঁধের রাস্তায় ঠাঁই নিচ্ছি। শুধু নুরভানু, জোবেদা নয় জোড়গাছ পুরাতন বাজার থেকে রাজারভিটা পর্যন্ত অবদা বাঁধে আশ্রয় নেয়া শুরু করেছে পানিবন্দি পরিবারগুলো। সদ্য ঘরবাড়ি ছেড়ে বাঁধে আশ্রয় নেয়া মানুষজন পড়েছে বিপাকে।

এদিকে চিলমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। ভাঙনে বাড়িঘর হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়ছে মানুষজন। মানবেতর জীবন যাপন করছে ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো।

থানাহাট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মিলন বলেন, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় তার ইউনিয়নের প্রায় ৪হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভাঙনের তান্ডব তীব্রতা রয়েছে স্বীকার করে চিলমারী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ কষ্টে আছে। ইতি মধ্যে বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে প্রশাসন।

শনিবার (১৫ জুলাই) সকালে নয়ারহাট ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ডের বন্যার্ত শতাধিক পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ করেছেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ নেতা, ইউপি চেয়ারম্যান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/জুলাই/১৫/২৩

The post চিলমারীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি ১৫ হাজার মানুষ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি দশ হাজার মানুষ https://www.ulipur.com/?p=25371 Fri, 14 Jul 2023 13:39:01 +0000 https://www.ulipur.com/?p=25371 ।। নিউজ ডেস্ক ।। কুড়িগ্রামের ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমারসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল তলিয়ে ফসলের মাঠসহ কাঁচা সড়কগুলো ডুবে গেছে। দ্রুত বন্যার পানি এসে পড়ায় পানি বন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১০ হাজার মানুষ। দুধকুমার নদীর পানি হু-হু করে বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গিয়ে উঠানে ঢুকেছে পানি। কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার যাত্রাপুর [...]

The post কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি দশ হাজার মানুষ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামের ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমারসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল তলিয়ে ফসলের মাঠসহ কাঁচা সড়কগুলো ডুবে গেছে। দ্রুত বন্যার পানি এসে পড়ায় পানি বন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১০ হাজার মানুষ।

দুধকুমার নদীর পানি হু-হু করে বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গিয়ে উঠানে ঢুকেছে পানি। কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ারচর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকালে গৃহবধু শাপলার রান্নাঘরের মেঝে তলিয়ে গেছে। জিনিসপত্র টানতে দুপুর গড়িয়ে গেছে। স্বামী বাবুল আলী এক সন্তানকে কোলে নিয়ে আছেন, অপর সন্তানটি তার শরীর ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে। শাপলা তখন চাল আর কাঁঠালের বিচি ভাজছেন। দুপুরে এই আহারেই তাদের দিন কেটে যাবে। বন্যা হলেই এমন দুর্দশা হয় এসব পরিবারে।

পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ ভগবতীপুর গ্রামের গৃহবধু নার্গিস জানান, চারদিন থেকে পানিবন্দি হয়ে আছি। কেউ খোঁজখবর নেন না। ঘরের চৌকিতে পানি উঠার কারণে পার্শ্ববর্তী উঁচু বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছেন তারা। এই গ্রামে প্রায় ৫০টি বাড়ীতে পানি উঠেছে।

নাগেশ্বরীর নুনখাওয়া ইউনিয়নের চর কাফনা গ্রামের নুর বখত জানান, গতকাল থেকে পানির তোড় বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। নীচু এলাকার বাড়ীঘরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। লোকজন গবাদিপশু নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। এই গ্রামের গৃহবধু নাজমা জানান, চারদিকে পানি থাকায় ঠিকমতো রান্নাবান্না করতে পারছি না। ছেলেমেয়েদেরকে ভালোমন্দ কিছু খাওয়াতে পারছি না।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে শুক্রবার দুপুর ৩টার রিডিং অনুযায়ী দুধকুমার নদী ৫৪ সে.মিটার, ধরলা নদী ২১ সে.মিটার বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে তিস্তা নদীর পানি ব্রিজ পয়েন্টে ২০ সে.মিটার এবং ব্রহ্মপূত্র নদের পানি চিলমারীতে ৩৪ সে.মিটার বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যেভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে এসব নদীর পানিও দু’একদিনের মধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এদিকে দুধকুমার নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির ফলে তীরবর্তী পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি সংস্কারকৃত রাস্তার দু’দিক তলিয়ে গিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে। এমন বন্যা পরিস্থিতির কারণে ১০ হাজার মানুষ কবলিত হয়েছে বলে বিভিন্ন উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।

এ নিয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, পানি বৃদ্ধির এই অবস্থা আরও ৩ থেকে ৪দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। তারপর পানি নেমে যাবে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন বাঁধ বন্যায় ডুবে যায়নি বলে নিশ্চিত করে তিনি জানান, নাগেশ্বরীতে একটি সড়ক সংস্কারের কাজ করেছে পাউবো। সেটির দুটি অংশ প্লাবিত হয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, উপজেলাগুলোতে ইতোমধ্যে ৬৫ মে.টন চাল উপ-বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে ৫৮৫ মে.টন চাল, ১০লক্ষ টাকা ও ১হাজার ৭শ’ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে। বন্যার্তদের তালিকা করা হচ্ছে, তালিকা অনুযায়ী আরও উপ-বরাদ্দ দেওয়া হবে। শুক্রবার বিভিন্ন বন্যা এলাকা পরিদর্শন কালে জেলা প্রশাসক ৮শ’ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন বলে তিনি জানান।

The post কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি দশ হাজার মানুষ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধিতে তীরবর্তী মানুষদের শঙ্কা https://www.ulipur.com/?p=25170 Mon, 03 Jul 2023 07:00:31 +0000 https://www.ulipur.com/?p=25170 ।। নিউজ ডেস্ক ।। উজানের ঢল ও অব্যাহত বৃষ্টির কারণে সবকটি নদনদীর পানি কোথাও কমছে আবার কোথাও বাড়তে শুরু করেছে। তবে গত ১২ ঘন্টায় দুধকুমার ১৬ সেমি ও ধরলা নদীর পানি তালুক শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ১২ সেমি কমলেও ধরলা ব্রিজ পয়েন্টে ২২ সেমি বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া ও চিলমারী পয়েন্টে স্থিতিশীল থাকলেও সহ তিস্তা [...]

The post কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধিতে তীরবর্তী মানুষদের শঙ্কা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
উজানের ঢল ও অব্যাহত বৃষ্টির কারণে সবকটি নদনদীর পানি কোথাও কমছে আবার কোথাও বাড়তে শুরু করেছে। তবে গত ১২ ঘন্টায় দুধকুমার ১৬ সেমি ও ধরলা নদীর পানি তালুক শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ১২ সেমি কমলেও ধরলা ব্রিজ পয়েন্টে ২২ সেমি বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া ও চিলমারী পয়েন্টে স্থিতিশীল থাকলেও সহ তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ১৬ সেমি কমে বেড়ে বিপদসীমার ৭৫ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরপরও নতুন করে বন্যা আশংকা করছেন নদী তীরবর্তী মানুষজন।

রবিবার (০২ জুলাই) সকালে স্থানীয় পাউবো জানায়, গত ২৪ঘন্টায় সবগুলো কয়েকটি নদীর পানি বেড়েছে। তবে এখনই বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির আশংকা নেই।

এদিকে, নদনদীর পানি বাড়ার সাথে সাথে নদনদী অববাহিকার অনেক মানুষ ফের পানিবন্দীর আশংকায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। বন্যার আশংকা করছেন এসব মানুষ। ধরলা নদী তীরবর্তী পাঁচগাছি এলাকার পটল চাষি জাহিদুল আলম জানান, কয়দিন আগে নদীর পানি বেড়ে পটল ক্ষেত তলিয়ে গেছে। পানি কমতে থাকলেও গতকাল থেকে আবার পানি বাড়তে শুরু করায় মহা দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছি।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৗশলী মো:আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, উজানের পানির ঢলে কুড়িগ্রামে নদনদীর পানি বাড়লেও এখন বন্যা পরিস্থিতি তৈরির কোন শংকা নেই।

The post কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধিতে তীরবর্তী মানুষদের শঙ্কা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কুড়িগ্রামের দুর্গম চরাঞ্চলে খাদ্য, পানি ও স্বাস্থ্য সেবা সংকট, কমেনি বানভাসীদের দুর্ভোগ https://www.ulipur.com/?p=17916 Sat, 25 Jun 2022 13:23:02 +0000 https://www.ulipur.com/?p=17916 ।। নিউজ ডেস্ক ।। দ্রুত গতিতে পানি হ্রাস পাওয়ায় ও বৃষ্টিপাত বন্ধ থাকায় কুড়িগ্রাম জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও কমেনি মানুষের দুর্ভোগ। তবে চর ও নদ-নদীর অববাহিকার নিচু এলাকাগুলোতে এখনও পানি জমে আছে। পানিবন্দী রয়েছে হাজার হাজার মানুষ। অনেকের ঘরবাড়ি থেকে পানি নেমে গেলেও সেগুলো বসবাসের উপযোগী হয়নি। দুর্গম চরাঞ্চলে খাদ্য, পানি ও [...]

The post কুড়িগ্রামের দুর্গম চরাঞ্চলে খাদ্য, পানি ও স্বাস্থ্য সেবা সংকট, কমেনি বানভাসীদের দুর্ভোগ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
দ্রুত গতিতে পানি হ্রাস পাওয়ায় ও বৃষ্টিপাত বন্ধ থাকায় কুড়িগ্রাম জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও কমেনি মানুষের দুর্ভোগ। তবে চর ও নদ-নদীর অববাহিকার নিচু এলাকাগুলোতে এখনও পানি জমে আছে। পানিবন্দী রয়েছে হাজার হাজার মানুষ। অনেকের ঘরবাড়ি থেকে পানি নেমে গেলেও সেগুলো বসবাসের উপযোগী হয়নি। দুর্গম চরাঞ্চলে খাদ্য, পানি ও স্বাস্থ্যসেবা সংকট চলছে ও চাহিদা মাফিক নেই পর্যাপ্ত ত্রাণ। অনেক জায়গায় দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙ্গন। গ্রামীণ ও চরাঞ্চলের রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়ায় যাতায়াতে ভোগান্তি বেড়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে যাওয়ায় কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতের চিহ্ন দৃশ্যমান হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক আব্দুর রশিদ জানিয়েছেন, বন্যায় জেলায় প্রায় ১৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ প্রায় ৭ হাজার কৃষক। পুরো পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিরূপণ করা হবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, চলতি বন্যায় প্রশাসন থেকে এখন পর্যন্ত ৫৩৮ মেট্রিকটন চাল, ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার উপ-বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ত্রাণ কার্যক্রম চলমান আছে।

সরকারের নেয়া নানা উদ্যোগ বানভাসীদের দুর্ভোগ কমাতে পারেনি। অনেক চরাঞ্চলে এখন পর্যন্ত ত্রাণ পৌছেনি। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, শৌচাগার এবং গো খাদ্যের তীব্র সংকট স্পষ্ট। বন্ধ হয়ে যাওয়া ৩২৫টি স্কুলের পাঠদান কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। সরেজমিনে এসব এলাকায় গিয়ে দেখা যায় মানুষের চরম দুর্ভাগের চিত্র। নিজ চোখে না দেখলে তা বিশ্বাস করানো মুশকিল।

নদী ভাঙ্গা মানুষের বিলাপ ব্রহ্মপুত্র নদের পেটে অবস্থিত হকের চর। নদির পানি কমার সাথে সাথে দেখা দিয়েছে ব্যাপক ভাঙ্গন। দুদিনে এখানকার ৯টি পরিবার ভিটে-মাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। এদের মধ্যে আমিনুল মিস্ত্রী (৬০) ও আলহাজ মিস্ত্রী (৩৫) বাড়ি-ঘর নৌকায় তুলে যাচ্ছেন গুজিমারীর চরে। মাঝ নদীতে দেখা মেলে এ দু’পরিবারে সাথে। তাদের পিতা রফিকুল মিস্ত্রী (৮০) নৌকার ছইয়ের উপর বসে উদাসভাবে নদীর দিকে তাকিয়ে আছেন। পরিবারের মহিলা ও শিশুরা ছইয়ের ভিতরে। আর পুরো নৌকা জুড়ে দুটি পরিবারের ঘরের চালসহ অন্যান্য আসবাবপত্র। কয়েক দফায় এসব মালামাল স্থানান্তর করতে হবে। এটি ছিলো প্রথম ধাপ। এ জন্য নৌকা ভাড়া বাবদ দিতে হবে পুরো আট হাজার টাকা। এমনটাই জানালেন বর্ষিয়ান রফিকুল মিস্ত্রী।

তিনি আরো জানান, ‘বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে ব্রহ্মপুত্র রাক্ষুসী রূপ ধারণ করে পাকদিয়ে ভাঙ্গা শুরু করে দুইদিনে আমার দু’ছেলের বাড়িসহ ৯জনের বাড়িভিটা ভেঙ্গে নিয়ে যায়। সবাই এখন খোলা আকাশের নীচে। গুজিমারীর চরের বাবু’র ১২শতক জমি ২০ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়েছে আমার দু’ছেলে। ঐখানে যাচ্ছি নতুন ঠিকানা গড়তে। পেশায় সবাই কাঠমিস্ত্রী। তার জীবনে এর আগে আরো ৬বার বাড়ি ভেঙ্গেছেন। প্রথমে ছিলেন বাগুয়ার চর । সেখান থেকে হকের চরে । এবার ঠিকানা হবে গুজিমারীর চরে। কতদিন স্থায়ী হতে পারবেন তাও জানা নেই। এই ভাঙ্গা গড়ার খেলায় তাদের জীবন চলছে। হকের চরের ভিটে মাটি হারিয়ে নিঃস্ব মাইদুল, মোহাম্মদ আলী, সৈয়দ দফাদার, আম্বর আলী, আনোয়ার আলী ও মুকুল এখনও মাথা গোঁজার ঠাঁই পায়নি। এরকম দুর্যোগের সময় চেয়ারম্যান মেম্বার কারো দেখা নেই এলাকায় এই আক্ষেপ তাদের কুড়েকুড়ে খাচ্ছে।

আমিনুল মিস্ত্রীর স্ত্রী নাজমা বেগম জানান, এখন হাতে কোন কাজ নেই। নতুন চরে যাচ্ছি যদি কেউ কোন খাওন দেয় তো পেটে দানাপানি পড়বে না হলে উপোস করা ছাড়া উপায় নেই। কারণ রান্না করারও কোন সুযোগ নেই। আলেমা খাতুন বলেন, ঘর ভাঙ্গছে খাই কেমনে। শিশু সন্তান আনিস চিরা মুড়ি খাইছে। কষ্টের শেষ নাই।
শিশু আনিস (প্রথম শ্রেণীর ছাত্র) অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘চারদিকে নদী আর পানি ভালোলাগে না। খেলতে পারি না, স্কুলে যেতে পারি না, খাবার কষ্ট। তাই মন খারাপ।’ যেন সব শিশুদেরই একই রকম মন খারাপ।

আমিনুল মিস্ত্রী বলেন, ঘর ভাঙ্গা মানুষের যে কি কষ্ট তা কেউ বুঝবে না ভুক্তভোগী ছাড়া। ধারদেনা করে চলছি। বাকীটা আল্লাহ ভরসা।
আনন্দ বাজারে মানুষের আনন্দ নেই।

সাহেবের আলগা ইউনিয়নের দুর্গম চর বাগুয়া। চতুর্দিকে নদী মাঝে এ চরে নেই স্কুল নেই হাটবাজার। তাই এলাকর জুরান, মজিবর শেখ ও কুরফান দেওয়ান মিলে তিন একর জমির উপর গত বছর অক্টোবর মাসে আনন্দ বাজার নামে হাট বসায়। আনন্দ উৎসবে যে বাজার বসায় এলাকাবাসী বছর না ঘুরতে নদীর বাঁক বদলে যে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে তাতে সবার আনন্দ উবে যায়। এ বাজারে বিভিন্ন ধরণের ৩৫টি দোকান ঘর ছিলো। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভেঙ্গে গেছে ১৫টি দোকান।

হারেছ মোল্লা জানান, রহমত আলী, আক্কাস মোল্লা, বিপুল উদ্দিন, আমিনুল ডাক্তার (গ্রাম্য চিকিৎসক), আকবর মোল্লা, তারা চাদ, আল আমিন, এবাদ মোল্লা, জোমসেদ মন্ডল, মোসলোম ডাক্তার (গ্রাম্য চিকিৎসক), মজিদ মিস্ত্রী, বাবু, ইব্রাহীম, আক্তার ও ঝরু মিয়ার দোকান ঘর ভেঙ্গে গেছে নদীতে। এখন এ বাজারটি টিকবে কিনা এ দুশ্চিন্তা সবার।

এলাকার গৃহস্থ আক্কাস আলী জানান, নদীর ভাঙ্গন ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। চলতি বন্যা মৌসুমে আনন্দবাজার সংলগ্ন চর বাগুয়ায় ৩৪টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে। ভাঙ্গনে নি:স্বরা হলেন লাল মিয়া, ময়চাল, নুরল, আছর উদ্দিন, ফজল, আনছার, অহিজ উদ্দিন, আব্দুস সামাদ, রেখাত মোল্লা, হারেজ মোল্লা, সিরাজুল, হাফিজুল, শরিফ, রহিছ উদ্দিন, জুরান, সাইফুল, ছকিনা বেওয়া, সালাম, কলিম উদ্দিন, আব্দুর রশিদ, সাঈদ, এনামুল, ছকুমুদ্দিন, ইসলাম, হারিছ আলী, রশিদুল, শাহিদা বেগম, বাদশা মিয়া, শুকুরজান, শাহালম, সবুরা, নুর ইসলাম, খোরশেদ, সফিয়াল ও করিম বাদশা।

এসব ব্যাপারে কথা হয় সাহেবের আলগা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবু সায়েমের সাথে। তিনি দাবি করেন গুজমারী চরে ৫টি গ্রাম। গ্রামগুলো হলো-গুজিমারী, হকের চর, কাজিয়ার চর, জোদ্দার পাড়া ও পূর্ব পাড়া। প্রায় ৩হাজার মানুষের বসবাস হলেও এখন পর্যন্ত কোন ত্রাণ সহায়তা দিতে পারেননি কারণ অপ্রতুল ত্রাণ এবং এলাকাগুলো দুর্গম । চলতি বন্যায় এখানকার ১৫১টি পরিবার ভাঙ্গনে ভিটেমাটি হারিয়েছে মর্মে তালিকা করে ইউএনওকে দিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। তার ভাষায় চলতি বন্যায় গজব পড়েছে গুজিমারী চরে।

‘বানের পানিত ভাইসপার নাগছি গত ১৫দিন থাকি। আল্লাহ চলবার নাগছে। একবেলা খাই একবেলা উপোস করি। ছোট তিনটা ছাওয়া নিয়া বিপদে আছি। ওমরা তো অভাব বোঝে না। খালি খাবার চায়। কিন্তু ঘরোত তো খাওন নাই। আইজ সকালে ওরা তিন ভাইবোন এক মুট করি পন্তা খায়া আছে। আমরা দুই মানুষ এক মুট চিড়া খায়া আছি। এক কেজি চাউল ধার করি আনছি বিকালে আছরের আজান দিলে রান্দমো। একমুট ডাইলও আছে। উইয়াকে ৫জনে একমুট করি খামো বাকিটা ফির রাইতোত খামো। কাইল কি হইবে তাক জানা নাই।’ তিন মাসের গর্ভবতী আনিছা বেগম তার দুর্শার কথা জানান এভাবে। উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের ব্রহ্মপূত্র নদের পেটে অবস্থিত বাবুর চর। এখানকার কৃষি শ্রমিক সাইফুলের স্ত্রী আনিছা। দুই মেয়ে এক ছেলে। সাথী আক্তার (১০), সুমী (৫) এবং রাশেদুল (২)। এরপর আবার তিনি ৩ মাসের অন্ত:স্বত্বা। নেই পুষ্টি কিংবা স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ। সাইফুল জানান, বন্যা শুরু হয়েছে থেকে হাতে কোন কাজ নেই। সঞ্চয় যা ছিলো তাও শেষ। এখন সম্পুর্ণ ধার কর্জের উপর চলছি। তিন বেলা পেটপুরে খাবারই জোটেনা পুষ্টিকর খাবার পাবো কোথায়। চেয়ারম্যান মেম্বার কেউ খোঁজ নেয়নি। দেয়নি কোন ত্রাণ। বৃহস্পতিবার কিছু ছাত্র এককেজি চিড়া এবং এক পোয়া গুড় দিছে। গত দু সপ্তাহের খাদ্য তালিকায় কী ছিলো এমন প্রশ্নের উত্তরে জানান, একদিন মাছ খাইছি। আর বাড়ির মুরগীর ডিম চারদিন। মাংস কিংবা দুধ জোটেনি। শুধু ভাত, পাট শাক, ডাল আর লবণ মরিচ। এরকম অবস্থা এই বাবুর চরের ৯টি পরিবারের। পরিবারগুলো হলো-শাহের আলী, ছক্কু মিয়া, সাইফুল, কবির উদ্দিন, আতাউর, আলম, তাইজুল, ফারুক এবং বক্করের পরিবারের। তাদের ভাগ্যে সরকারি কোন ত্রাণ পৌঁছেনি গত ১৫দিনেও। অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে ত্রাণের কোন অভাব নেই।

শুক্রবার দুর্গম বাবুর চরে সরেজমিন গেলে কোমর পানি ভেঙ্গে নৌকা ঘিরে ধরে শিশু নারী সহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ। তাদের আকুতি ‘হামার গুলার কথা একনা লেখেন বাহে। ছাওয়া-পোয়াগুলাক নিয়া খুব কষ্টে আছি। খাবার নাই। পানির কষ্ট। ছইল-পইল মানুষ না খায়া থাইকপার পায় না। হামরাগুলা না হয় একবেলা খায়া থাকলোং।’ কৃষ্ণা বালা বলেন, নিজেরে খাবার নাই এলা ছাগল আর মুরগীক কি খাওয়াই। মহাবিপদ হইছে। তাই ছাগলের জন্য পাটের পাতা ছিড়ি আনলোং। উয়াকে হামরাও খামো আর ছাগলও খাইবে। সম্বরি বেওয়া বলেন, ‘সকাল থেকে কিছু খাই নাই। আধা কেজি চাউল আছে বিকালে রান্দমো। সাথে কলাগাছের মাজা সিদ্ধ করে খামো। তাকে দিয়া রাইতোতও চলবে।’

নদীর মাঝে চোখে পড়ে এক ব্যক্তি নৌকায় ৫/৬টি ছাগল নিয়ে পাটক্ষেতের ভিতরে ভিতরে যাচ্ছে আর ছাগল মুখ বাড়িয়ে পাটের পাতা খাচ্ছে। মালিক শহিদুল বলেন, নিজেদের খাবার জোটে না, ছাগলগুলাক বাচাই কেমনে। কোথাও কোন ঘাস নেই। তাই নিরুপায় হয়ে পাট ক্ষেতে নৌকায় করে আনছি। গবাদি পশুর তীব্র খাদ্য সংকট চলছে।

হাতিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, অপ্রতুল ত্রাণ সহায়তার কারণে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। আর দুর্গম চরাঞ্চলের অবস্থা খুবই খারাপ।
উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জের চর মশালের চরের বাসিন্দা মুসা মিয়া জানান, গ্রামের অধিকাংশ লোকের ঘর থেকে পানি নামলেও আঙিনা ও বাড়ির চারপাশে পানি জমে আছে। এই গ্রামের কৃষক মাইদুল ইসলাম, তৈয়ব আলী ও সিদ্দিক মেম্বার জানান, বন্যার পানিতে পাট ক্ষেত ডুবে ছিল। এখন পানি কমে যাওয়ার পর দেখা যাচ্ছে বালু পড়ে পাটক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে।

The post কুড়িগ্রামের দুর্গম চরাঞ্চলে খাদ্য, পানি ও স্বাস্থ্য সেবা সংকট, কমেনি বানভাসীদের দুর্ভোগ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কুড়িগ্রামে চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে ৩২৪টি বিদ্যালয়ের পাঠদান স্থগিত https://www.ulipur.com/?p=17879 Wed, 22 Jun 2022 16:28:28 +0000 https://www.ulipur.com/?p=17879 ।। নিউজ ডেস্ক ।। কুড়িগ্রামে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। টানা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ঘর-বাড়িতে পানি থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের বন্যা কবলিত মানুষজন। কিছু পরিবার ঘর-বাড়ি ছেড়ে উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিলেও অনেক পরিবার এখনও বসবাস করছেন নৌকায় ও ঘরের উঁচু [...]

The post কুড়িগ্রামে চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে ৩২৪টি বিদ্যালয়ের পাঠদান স্থগিত appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। টানা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ঘর-বাড়িতে পানি থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের বন্যা কবলিত মানুষজন। কিছু পরিবার ঘর-বাড়ি ছেড়ে উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিলেও অনেক পরিবার এখনও বসবাস করছেন নৌকায় ও ঘরের উঁচু করা মাচানে। শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির চরম সংকটে পড়েছেন তারা।

এদিকে বন্যার পানি প্রবেশ করায় ২শ ৯৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৩০টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রেখেছে শিক্ষা বিভাগ। তার মধ্যে উলিপুর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র বেষ্টিত ৪টি বন্যা কবলিত ইউনিয়নের ৫৮টি প্রাথমিক ও ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে পানি ওঠায় পাঠদান কার্যক্রম সম্পুর্ণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বন্যার্তদের জন্য সরকারী ও বে-সরকারীভাবে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকলেও সবার ভাগ্যে জুটছে না তা।

উলিপুরে মঙ্গলবার (২১ জুন) দিনব্যাপী হাতিয়া ইউনিয়নের দাগারকুটি, কামারটালী, হাতিয়া ভবেশ, নীলকন্ঠ, বাবুর চর, গাবুরজান, বুড়াবুড়ী ইউনিয়নের চর কলাকাটা, বেগমগঞ্জ ও সাহেবের আলগা ইউনিয়নন বিভিন্ন চরে গিয়ে দেখা গেছে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী ও নিচু চরের বাড়ি-ঘরে বন্যার পানি উঠলেও উচু চরের বাড়িগুলোতে পানি উঠেনি। ত্রাণ অপ্রতুল হওয়ায় বন্যা কবলিত পরিবার গুলোতে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সাথে শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। তবে মায়েরা তাদের শিশু সন্তানকে নিয়ে মহা বিপাকে পড়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সুত্রে জানা গেছে, বন্যা পরিস্থিতি জনিত কারণে ১৫টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। মেডিকেল টিম বন্যা দুর্গত এলাকায় চিকিৎসা দেয়ার কাজ শুরু করেছে।

এদিকে বিন নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশন ও সহমর্মিতা ফাউন্ডেশন উদ্যোগে সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের বন্যা কবলিত ২ শতাধিক পরিবারের মাঝে এক কেজি চিড়া, এক কেজি মুড়ি, একটি করে দুই লিটার পানির বোতল, এক কেজি করে হাড়ি ভাঙ্গা আম ও স্যালাইন ও শিশুদের মাঝে বিস্কুট বিতরণ করা করা হয়েছে। সেচ্ছাসেবিদের মাধ্যমে এসব খাবারের প্যাকেট বিতরণ করেন কুড়িগ্রামে প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বিপ্লব।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, বুধবার (২২ জুন) বিকেল ৩টা রিপোর্ট অনুযায়ী ব্রহ্মপূত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৫১ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্ট ব্রহ্মপুত্রের পানি ১৪ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি এখনো বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের কদমতোলা গ্রামের আকবর আলী জানান, ৫-৬ দিন থেকে পানি বন্দী জীবন যাবন করছি। বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। এখন পর্যন্ত কোন প্রকার সহায়তা পাই নাই। খুব কষ্টে দিন পার করছি।

ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের বড়াই বাড়ি এলাকার আমিনুল জানায়, বন্যার কারণে কাজকর্ম বন্ধ ঠিকমত বাজার করতে পারছি না। খাওয়া দাওয়ার সমস্যায় পরছি। পানিতে চলাফেরা করতে করতে পায়ে ঘা হয়ে গেছে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল বাতেন সরকার বলেন, সরকারি ভাবে আমার ইউনিয়নের জন্য চার টন চাল পেয়েছি তা বুধবার ১০ কেজি করে বিতরণ করা হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। অনেক বানভাসি মানুষকে দেয়া সম্ভব হয়নি।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, বন্যার কারনে বিদ্যালয় মাঠ ও তার আসেপাশে এলাকায় পানি উঠায় শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করে ২শ ৯৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, ৯ উপজেলার বন্যা কবলিত মানুষের জন্য ৩শ ৩৮ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ১৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকার শিশু খাদ্য ও ১৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা গো-খাদ্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন জানান, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি ধীর গতিতে কমতে শুরু করলেও এখনও বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে তিস্তার পানি সামান্য বৃদ্ধি পেলেও বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

The post কুড়িগ্রামে চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে ৩২৪টি বিদ্যালয়ের পাঠদান স্থগিত appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে উলিপুরের বানভাসি মানুষ https://www.ulipur.com/?p=17869 Wed, 22 Jun 2022 10:46:09 +0000 https://www.ulipur.com/?p=17869 ।। নিউজ ডেস্ক ।। উলিপুরে খাদ্য সংকটে চরম বিপাকে পড়েছেন বানভাসীরা। হু হু করে বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি। উলিপুর উপজেলায় প্রায় ১ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী জীবন-যাপন করছেন। বুধবার (২২ জুন) দুপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ১৯ সেন্টিমিটার এবং ধরলায় সেতু পয়েন্টে ৪১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। [...]

The post খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে উলিপুরের বানভাসি মানুষ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে খাদ্য সংকটে চরম বিপাকে পড়েছেন বানভাসীরা। হু হু করে বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি। উলিপুর উপজেলায় প্রায় ১ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী জীবন-যাপন করছেন।

বুধবার (২২ জুন) দুপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ১৯ সেন্টিমিটার এবং ধরলায় সেতু পয়েন্টে ৪১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যার পানি ঘরে ঢুকে গেছে, তাই ছাড়তে হবে ভিটা। আশ্রয় নিতে হবে কোনো উঁচু জায়গায়। নিরাপদ স্থানের উদ্দেশে যাত্রায় প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র ছাড়া কিছুই সঙ্গে নিতে পারেননি এই বানভাসী মানুষগুলো। চুলা ভেঙে যাওয়ায় কয়েকদিন ধরে আগুন জ্বলেনি রান্নার। শুকনো খাবার খেয়ে কোনোরকমে দিন পার করছেন এসব মানুষ। শুধু তাই নয়, সখের বশে পালন করা গবাদিপশু নিয়েও পড়েছেন চরম বিপাকে। এরকম চিত্র দেখা গেছে উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ, সাহেবের আলগা, বুড়াবুড়ি ও হাতিয়া ইউনিয়ন সহ উপজেলার বিভিন্ন বন্যাকবলিত এলাকায়।

বুধবার (২২ জুন) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জীবন বাঁচাতে বানভাসিরা বাড়ি ঘরের আসবাবপত্র ফেলে উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। দুর্গত এলাকার মানুষ উচু স্থান ও বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়ে কোন মতে বসবাস করছেন।

বানভাসিদের অভিযোগ, কয়েক দিন অতিবাহিত হলেও সরকারিভাবে এখনও ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়নি। তাই অনেকেই খেয়ে-না খেয়ে দিন পার করছেন। খাবার ও বিশুদ্ধ খাবার পানি দ্রুত সরবরাহের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চরাঞ্চলগুলো একের পর এক প্লাবিত হচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন নিম্নাঞ্চলের মানুষগুলো। ফলে এলাকার অনেকেই রাস্তার ধারে তৈরি করছেন অস্থায়ী ছাপরা ঘর।

পানিবন্দি ফুলমালা বলেন, ‘বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে, কোন মতে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছি, রাত হলেই সাপ-পোকার ভয়ে আতঙ্ক বেড়ে যায়। বৃষ্টি হলেই আরো দূর্ভোগে পড়ি, এভাবেই খুব কষ্টে দিন পার করছি আমরা।’

আছিয়া বেগম বলেন, ‘বানের পানিতে সবকিছু ডুবে গেছে। স্বামী-সন্তান নিয়ে বাঁধের উপর উঠেছি। রান্নার করার মতো কোনো কিছুই আমাদের কাছে নেই। দিনে একবার রান্না হলে বাকি দু’বেলা হয় না। স্বামীর এখন কোনো কাজও নেই। আমাদের খোঁজ-খবর কেউ নেয়নি।’

বেগমগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া জানান, পানিবন্দি মানুষ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে, রাস্তা-ঘাট ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমার ইউনিয়নে পানিবন্দি ২৫ হাজার মানুষ, কিন্তু সরকারিভাবে শুধু ৭’শ লোকের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। পানিবন্দি মানুষের জন্য আরো ত্রাণ প্রয়োজন।

সাহেবের আলগা ইউপি চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন জানান, তিন ওয়ার্ডের ৭’শ মানুষের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। আর ত্রাণ না থাকায় অন্যান্য ওয়ার্ডে বিতরণ করতে পারি নাই। পানিবন্দি মানুষের জন্য আরো অনেক ত্রাণের প্রয়োজন।পানিবন্দি মানুষের খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।

বুধবার বিকেলে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল কুমার জানান, পানিবন্দি ইউনিয়নগুলোর মধ্য ৫০ মেট্রিকটন চাল এবং পৌরসভার জন্য ৫ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পানিবন্দি মানুষের জন্য ২ লক্ষ টাকার শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য ৩ লাখ ৫০ হাজার, এবং গো-খাদ্য ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্রয় করা হয়েছে। এগুলো বন্যা কবলিত এলাকায় বিতরণ করা হবে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, এখন পর্যন্ত বন্যায় ৩৩৮ মেট্রিকটন চাল, সাড়ে ১৬ লক্ষ টাকা ও ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ১৮লক্ষ ৯৫ হাজার টাকার শিশু খাদ্য ও ১৭ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার গো-খাদ্য ক্রয় করা হচ্ছে।

//নিউজ/উলিপুর//জাহিদ/জুন/২২/২২

The post খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে উলিপুরের বানভাসি মানুষ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কুড়িগ্রামে বন্যায় সোয়া দু’লাখ মানুষ পানিবন্দি, রৌমারিতে এক শিশুর মৃত্যু https://www.ulipur.com/?p=17851 Mon, 20 Jun 2022 14:34:40 +0000 https://www.ulipur.com/?p=17851 ।। নিউজ ডেস্ক ।। অতি বৃষ্টি ও নদ-নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির ফলে কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে। ১৬টি নদ-নদীর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের ২টি পয়েন্টে ও ধরলা নদীর ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার প্রায় ৩০-৫০ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার ৯টি উপজেলার ৫০টি ইউনিয়নের প্রায় সোয়া দু’লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যা কবলিতদের মাঝে শুকনা [...]

The post কুড়িগ্রামে বন্যায় সোয়া দু’লাখ মানুষ পানিবন্দি, রৌমারিতে এক শিশুর মৃত্যু appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
অতি বৃষ্টি ও নদ-নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির ফলে কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে। ১৬টি নদ-নদীর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের ২টি পয়েন্টে ও ধরলা নদীর ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার প্রায় ৩০-৫০ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার ৯টি উপজেলার ৫০টি ইউনিয়নের প্রায় সোয়া দু’লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যা কবলিতদের মাঝে শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি আর সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়াও বানভাসীদের মধ্যে পানিবাহিত চর্ম, ডায়রিয়া, জ্বর দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত বন্যার পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

রবিবার (১৯ জুন) দুপুরে রৌমারী উপজেলার যাদুর চর ইউনিয়নের দক্ষিণ কাঁন্দা পাড়া গ্রামের খলিলুর রহমানের দেড় বছরের ছেলে সন্তান সিয়াম বন্যার পানিতে পরে মারা গেছে।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে যাতে জেলার সকল দপ্তর ও বিভাগ বন্যা সংক্রান্ত তথ্য আপডেট করছেন। সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর বন্যার প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করছেন। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী প্রতিদিনই বন্যার বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক চিত্র ফুটে উঠছে।

শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার ৪৯টি ইউনিয়নের ২৮৪টি গ্রামের নিম্নঞ্চলের ২৭হাজার ১৯৭টি পরিবারের ১লাখ ৮হাজার ৭৮৮জন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জেলার রাজিবপুর-৭টি, রৌমারী-৪৪টি, চিলমারী-২৬টি, উলিপুর-২০টি, কুড়িগ্রাম সদর-১১টি, নাগেশ্বরী এবং রাজারহাটে ১টি করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং জেলার ২৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭টি মাদ্রাসা এবং ১টি কলেজে সাময়িক পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে ৩৬১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সবগুলো উপজেলা ও ইউনিয়নগুলো থেকে তথ্য উঠে না আসায় পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা প্রায় সোয়া ২ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ইউপি সদস্য, সংবাদকর্মী ও বিভিন্ন সূত্রে সংবাদ পাওয়া গেছে।

কুড়িগ্রাম খামার বাড়ীর উপপরিচালক মো. আব্দুর রশীদ জানান, এখন পর্যন্ত বন্যায় ১০ হাজার ৮৯৪ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত রয়েছে। এরমধ্যে ৬ হাজার ৮০৬ হেক্টর জমির পাট ক্ষেত রয়েছে। মাঠ পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে কর্মকর্তাগণ পরামর্শ দেয়াসহ তথ্য সংগ্রহ করছেন।

এদিকে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালিপদ রায় জানান, জেলাতে ১৫৭ দশমিক ৯৯ হেক্টর পুকুর-দীঘির ২০৮ দশমিক ৬১ মেট্রিক টন মাছের পোনা ভেসে গেছে। এতে ৭৪২টি পুকুরের ৭০৫জন মৎস্য চাষীর ২০৮ মেট্রিক টন মাছ ভেসে গেছে। যার ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৬২ হাজার টাকা। জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের ৬৭১টি নলকূপ এবং ১৮৩টি ল্যাট্রিন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে ৩১টি নলকূপ উচুকরণ, ১০৯০টি নলকূপ পরিদর্শন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ২৫১০০টি ও ২টি নলকূপ মেরামত করা হয়েছে।

প্রাণী সম্পদ বিভাগের তথ্যে ২৪হাজার ২২৩টি গরু, মহিষ-৩১৮টি, ছাগল-১১হাজার ১০টি, ভেড়া-৩হাজার ৬২৮টি, মুরগি- ৫৭হাজার১৮৭টি, হাঁস-১৫হাজার ৯১৭টি বন্যা কবলিত হয়েছে। তবে গবাদি পশু ৭২০টি, হাঁসমুরগি ৬০৬০টিকে টিকা প্রদান এবং গবাদি পশু ৩৩৯টি ও হাঁসমুরগি ২৬৬১টিকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।

সিভিল সার্জন ডা.মঞ্জুর-এ-মুর্শেদ জানান, বন্যার্তদের সহয়োগিতায় জেলায় মেডিকেল অফিসারের নেতৃত্বে ৮৫টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও ৯ উপজেলায় ৯টি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বন্যা পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ৯০,০০০টি পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ৯০,০০০টি ও আর এস, ৪,৫০০ব্যাগ স্যালাইন এবং প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ১,০০,০০০টি মজুদ রয়েছে। মেডিকেল টিমের সদস্যরা বন্যা কবলিত এলাকায় পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন, কলেরা স্যলাইন ও প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে। বন্যার পানিতে দু জন মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বন্যার প্রস্তুতি হিসেবে জেলা প্রশাসক দপ্তরে একটি সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রতিদিনের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য প্রদান করতে বলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২০ লক্ষ টাকা এবং ৪০৭ মেট্রিকটন চাল মজুদ রয়েছে। এছাড়াও আরো ৫০০ মেট্রিকটন চাল ও ২০লক্ষ টাকার চাহিদা দেয়া হয়েছে।

The post কুড়িগ্রামে বন্যায় সোয়া দু’লাখ মানুষ পানিবন্দি, রৌমারিতে এক শিশুর মৃত্যু appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, উলিপুরে এক শিশুর মৃত্যু https://www.ulipur.com/?p=17842 Sun, 19 Jun 2022 13:09:54 +0000 https://www.ulipur.com/?p=17842 ।। নিউজ ডেস্ক ।। কুড়িগ্রামে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে। রবিবার (১৯ জুন) বিকেল ৩টায় ব্রহ্মপূত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৩৮ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৩১ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তিস্তা নদীর পানি ব্রিজ পয়েন্টে এখনো ২৬ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে বইছে। পানি বৃদ্ধির ফলে [...]

The post কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, উলিপুরে এক শিশুর মৃত্যু appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে। রবিবার (১৯ জুন) বিকেল ৩টায় ব্রহ্মপূত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৩৮ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৩১ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তিস্তা নদীর পানি ব্রিজ পয়েন্টে এখনো ২৬ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে বইছে। পানি বৃদ্ধির ফলে মৎস্য বিভাগের ৫৩ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ফসল তলিয়ে গেছে ১০ হাজার ৮৯৪ হেক্টর জমিতে এবং সাড়ে ১১ লক্ষ টাকার প্রাণিসম্পদের ক্ষতি হয়েছে। চলমান বন্যায় উলিপুরের দুর্গাপুরে মাকসুদা জান্নাত (১১) নামে একটি মেয়ে পানিতে পরে মারা গেছে।

এই পরিস্থিতিতে কুড়িগ্রামে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ৮৫টি মেডিকেল টিম, ৯ উপজেলায় একটি করে মনিটরিং টিম এবং সিভিল সার্জন অফিসে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে ১৮টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

তবে রবিবার থেকে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস উপজেলাগুলো থেকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য নেয়া শুরু করেছে। এই বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, আজকের সকালের তথ্য অনুযায়ী ৪৯টি ইউনিয়নে ৮৭ হাজার ২৩২জন মানুষ পানিবন্দী হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সবগুলো উপজেলা ও ইউনিয়নগুলো থেকে তথ্য উঠে না আসায় পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা দেড় লক্ষাধিক ছাড়িয়ে যাবে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ইউপি সদস্য, সংবাদকর্মী ও বিভিন্ন সূত্রে সংবাদ পাওয়া গেছে।

এদিকে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালিপদ রায় জানান, চলতি বন্যায় এখন পর্যন্ত ৫৩ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে ৭৪২টি পুকুরের ৭০৫জন মৎস্য চাষীর ১১৫ মেট্রিক টন মাছ ভেসে গেছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল হাই সরকার জানিয়েছেন, বন্যায় প্রায় অর্ধশতাধিক মুরগী মারা গেছে। এছাড়াও গো-চারণভূমি, খড় ও দানাদার শষ্য তলিয়ে যাওয়ায় ১১ লক্ষ ৫২ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ১৮টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

জেলা খামার বাড়ীর উপপরিচালক মো. আব্দুর রশীদ জানান, এখন পর্যন্ত বন্যায় ১০ হাজার ৮৯৪ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। মাঠ পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে কর্মকর্তাগণ পরামর্শ দেয়াসহ তথ্য সংগ্রহ করছেন।

সিভিল সার্জন ডা.মঞ্জুর-এ-মোর্শেদ জানান, বন্যার্তদের সহয়োগিতায় জেলায় মেডিকেল অফিসারের নেতৃত্বে ৮৫টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। জেলার ৯ উপজেলায় ৯টি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য বিভাগে একটি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। মেডিকেল টিমের সদস্যরা বন্যা কবলিত এলাকায় পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন, কলেরা স্যালাইন ও প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে। এছাড়াও তিনি জানান, উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের যমুনা সরকারপাড়া গ্রামের মাঈদুল ইসলামের কন্যা মাকসুদা জান্নাত (১১) শনিবার দুপুর সাড়ে ১১টায় বাড়ীর পাশে বন্যার পানিতে পরে মারা গেছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নাগেশ্বরী বেড়ি বাঁধের ৫০ মিটার পানির তোরে ধসে গেছে। এছাড়া দুধকুমর নদীর কালিগঞ্জ, বামনডাঙ্গা ও ধাউরারকুটি এলাকায় বাঁধ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এই এলাকায় ৪৮ কিলোমিটার বাঁধ মেরামতের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। আগামি সেপ্টেম্বরে কাজ শুরু করা হবে। বন্যার পানি আরো তিনদিন বাড়তি অবস্থায় থাকবে। এরপর পানি কমে নিম্নগামি হবে।

আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রুহুল আমিন জানান, বন্যায় দুর্গম চরাঞ্চলে যাতে চুরি ও নৌ-ডাকাতি না হয় এজন্য বিচ্ছিন্ন এলাকায় পুলিশী টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। কোথাও ত্রাণ দিলে পুলিশ নিরাপত্তা দিচ্ছে। এছাড়াও বন্যা কবলিত এলাকায় প্রচার-প্রচারণা ও উঠান বৈঠক করা হচ্ছে।

বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বন্যার প্রস্তুতি হিসেবে জেলা প্রশাসক দপ্তরে একটি সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আজ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সকল দপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রতিদিনের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য প্রদান করতে বলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলায় ২০ লক্ষ টাকা এবং ৪০৭ মেট্রিকটন চাল মজুদ রয়েছে। এছাড়াও আরো ৫০০ মেট্রিকটন চাল ও ২০লক্ষ টাকার চাহিদা দেয়া হয়েছে।

The post কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, উলিপুরে এক শিশুর মৃত্যু appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কুড়িগ্রামে চর ভগবতিপুর ও যাত্রাপুরে ৩ শতাধিক বানভাসীদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ https://www.ulipur.com/?p=17837 Sun, 19 Jun 2022 12:19:20 +0000 https://www.ulipur.com/?p=17837 ।। নিউজ ডেস্ক ।। পানিবন্দী কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপূত্র নদ বেষ্টিত দুর্গম পোড়ার চর গ্রামে রবিবার (১৯ জুন) ত্রাণ বিতরণ করে প্রশাসনের লোকজন। এসময় দুর্গতদের সাথে কথা বলেন কর্মকর্তারা। গত এক সপ্তাহ ধরে এই চরের মানুষ বাড়ীঘর ছেড়ে নৌকার মধ্যে অবস্থান নিয়েছিল। দেড় শতাধিক পরিবার অধ্যুসিত এই চরের বাড়ীঘরে দরজা-জানালা পর্যন্ত পানি উঠে [...]

The post কুড়িগ্রামে চর ভগবতিপুর ও যাত্রাপুরে ৩ শতাধিক বানভাসীদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
পানিবন্দী কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপূত্র নদ বেষ্টিত দুর্গম পোড়ার চর গ্রামে রবিবার (১৯ জুন) ত্রাণ বিতরণ করে প্রশাসনের লোকজন। এসময় দুর্গতদের সাথে কথা বলেন কর্মকর্তারা। গত এক সপ্তাহ ধরে এই চরের মানুষ বাড়ীঘর ছেড়ে নৌকার মধ্যে অবস্থান নিয়েছিল। দেড় শতাধিক পরিবার অধ্যুসিত এই চরের বাড়ীঘরে দরজা-জানালা পর্যন্ত পানি উঠে গেছে। অনেক বাড়ীতে ঢোকার মত অবস্থা ছিল না। বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর উঠে আসায় প্রশাসনের লোকজন পোড়ারচরসহ পার্শ্ববর্তী চর ভগবতিপুর ও চর যাত্রাপুরে ৩ শতাধিক বানভাসীদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করে। পানিবন্দী এসব পরিবার ত্রাণ পেয়ে খুশি।

বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিনহাজুল ইসলাম, সদর ইউএনও রাসেদুল হাসান, যাত্রাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর, সদর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফিজানুর রহমান সাংবাদিক হুমায়ুন কবির সূর্য, ইউসুফ আলমগীর প্রমুখ।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এসময় ১০ কেজি চাল, এক কেজি করে লবন, ডাল ও চিনি, এক লিটার তেল, মশলা ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়।

বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিনহাজুল ইসলাম জানান, সমস্ত উপজেলার ইউনিয়ন সমূহ প্লাবিত হয়েছে, সেই সকল উপজেলা থেকে চাহিদার ভিত্তিতে আমরা সহযোগিতা করছি। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে।

The post কুড়িগ্রামে চর ভগবতিপুর ও যাত্রাপুরে ৩ শতাধিক বানভাসীদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
২ সপ্তাহের ব্যবধানে উলিপুরে ৩০ পরিবারের বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন https://www.ulipur.com/?p=17822 Sat, 18 Jun 2022 14:54:18 +0000 https://www.ulipur.com/?p=17822 ।। নিউজ ডেস্ক ।। উলিপুরে অবিরাম বৃষ্টি, উজান থেকে নেমে আসে পাহাড়ী ঢলে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পানি বেড়ে নদী অববাহিকা এলাকা গুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলে চাষাবাদ করা বাদাম, পাট, মরিচ ক্ষেত ও আমন বীজতলা। নদীর পানি বাড়তে থাকায় ভয়ংকর রূপ নিয়েছে ভাঙন। অনেকে ভিটামাটি হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছে। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড [...]

The post ২ সপ্তাহের ব্যবধানে উলিপুরে ৩০ পরিবারের বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে অবিরাম বৃষ্টি, উজান থেকে নেমে আসে পাহাড়ী ঢলে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পানি বেড়ে নদী অববাহিকা এলাকা গুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলে চাষাবাদ করা বাদাম, পাট, মরিচ ক্ষেত ও আমন বীজতলা। নদীর পানি বাড়তে থাকায় ভয়ংকর রূপ নিয়েছে ভাঙন। অনেকে ভিটামাটি হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছে।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ তিস্তা নদীর ভাঙন ঠেকাতে উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের অর্জুন গ্রামে বালুভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ডাম্পিং করছে। কিন্তু উজানে মহাদেব সরদারপাড়া এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে এলাকাবাসী পাউবো সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। কিন্তু পাউবো কর্তৃপক্ষ ভাঙন রক্ষায় কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে গাছের ডালপালা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে তিস্তা নদীর অব্যাহত ভাঙনে গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০ পরিবারের বাড়িঘর ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে, কর্পুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কর্পুরা সরদার পাড়া কবর স্থান, কর্পুরা সরদার পাড়া জামে মসজিদ, বাঁধের রাস্তা সহ শতশত বাড়ি-ঘর।

শনিবার (১৮ জুন) বিকালে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

দলদলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী সরকার জানান, বিগত ইউপি চেয়ারম্যানের প্রতিহিংসার কারণে মহাদেব সরদারপাড়া এলাকা ভাঙন রোধে কাজ করা হয়নি। এদিকে বন্যায় চরাঞ্চলের বাড়ি গুলোতে পানি ওঠায় রান্না করতে না পারায় খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

//নিউজ/উলিপুর//মালেক/জুন/১৮/২২

The post ২ সপ্তাহের ব্যবধানে উলিপুরে ৩০ পরিবারের বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>