ব্রহ্মপুত্র Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=ব্রহ্মপুত্র কুড়িগ্রাম জেলার তথ্য ও সংবাদ Mon, 13 May 2024 04:51:49 +0000 en-US hourly 1 https://www.ulipur.com/wp-content/uploads/2022/10/1665889308.png ব্রহ্মপুত্র Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=ব্রহ্মপুত্র 32 32 ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধির ফলে চিলমারীতে হুমকির মুখে বাঁধসহ রক্ষা প্রকল্প https://www.ulipur.com/?p=32241 Sun, 12 May 2024 15:22:57 +0000 https://www.ulipur.com/?p=32241 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।। গত বছরের আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ডানতীর রক্ষা প্রকল্পে আবারও দেখা দিয়েছে ধস এবং আতঙ্ক বিয়াজ করছে কাঁচকোল এলাকাবাসীর। সেই সাথে হুমকির মুখে রয়েছে কাঁচকোল এলাকার অবদা বাঁধ, ডানতীর রক্ষা প্রকল্পসহ শহর রক্ষা বাঁধ। এলাকাবাসীর দাবি, সময় মতো ভাঙন ঠেকাতে উদ্যোগ গ্রহণ না করার কারণে ক্ষতির [...]

The post ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধির ফলে চিলমারীতে হুমকির মুখে বাঁধসহ রক্ষা প্রকল্প appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
গত বছরের আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ডানতীর রক্ষা প্রকল্পে আবারও দেখা দিয়েছে ধস এবং আতঙ্ক বিয়াজ করছে কাঁচকোল এলাকাবাসীর। সেই সাথে হুমকির মুখে রয়েছে কাঁচকোল এলাকার অবদা বাঁধ, ডানতীর রক্ষা প্রকল্পসহ শহর রক্ষা বাঁধ। এলাকাবাসীর দাবি, সময় মতো ভাঙন ঠেকাতে উদ্যোগ গ্রহণ না করার কারণে ক্ষতির মুখে পড়ছে চিলমারী।

এছাড়াও এলাকাবাসীর অভিযোগ, রক্ষা প্রকল্পের ব্লক তৈরি, ভাঙন এলাকায় ব্লক স্থাপনের কাজে অনিয়ম এবং জিও ব্যাগ ফেলাতেও দুর্নীতি হয়। তবে কোনো অনিয়ম হয়নি এবং ভাঙন রোধে তারা সবসময় প্রস্তুত, এমনটাই দাবি পানি উন্নয়ন বোর্ড কতৃপক্ষের।

জানা গেছে, চিলমারীকে রক্ষার জন্য ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ শুরু হয় কয়েক বছর আগ থেকেই। সরকারের উদ্যোগে ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় স্বস্তি ফিরে পায় চিলমারীবাসী। কিন্তু প্রতি বছর বিভিন্ন স্থানে ধস দেখা দেয়ায় কাটছেনা আতঙ্ক। গত বছরের বর্ষার সময় হঠাতেই কাঁচকোল অবদা বাঁধ এলাকায় দেখা দেয় ধস, এতে হুমকির মুখে পড়ে পুরো এলাকাসহ প্রায় দুই কিলোমিটার বাঁধ ও রক্ষা প্রকল্প। যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ডের চেষ্টা ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় গত বর্ষা মৌসুমে রক্ষা হলেও আতঙ্ক রয়েছে। চলতি বছরে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধির সাথে ফকিরেরহাট এলাকায় ধস দেখা দিলে আবারও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে কাঁচকোল এলাকায় ধসের স্থানে জিও ব্যাগ দিয়ে রক্ষা করা হলেও চলতি মৌসুমে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি শুরু হওয়ায় কাঁচকোল টি বাঁধ থেকে কাঁচকোল বাজার দক্ষিণ ওয়ারী পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার বাঁধসহ ডানতীর রক্ষা প্রকল্প রয়েছে হুমকির মুখে। ধসের কারণে অর্ধশতাধিক গ্রামসহ উপজেলা সদরবাসীর মাঝে দেখা দেয়া আতঙ্ক এখনো কাটেনি। হুমকির মুখেই কাঁচকোল বাজার, কেডি ওয়ারী, বড়ভিটা, উত্তরওয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাঁচকোল ছকিনা দাখিল মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের ব্লক তৈরি, ব্লক ও জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজে অনিয়ম করায় বিভিন্ন স্থানে ধস দেখা দেয় দাবি করে এলাকাবাসী জানান, গত বছর ধস দেখা দিলে সামান্য কিছু জিও ব্যাগ দিয়ে বর্ষা মৌসুম শেষ করেছে। কিন্তু নতুন করে ব্লক ফেলানো বা মেরামত না করায় ভাঙন আতঙ্ক কাটেনি মানুষের মাঝে।

তারা আরও বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঠিক নজরদারির অভাবে এবং দুর্নীতির কারণে আজ আমরা বিপদে। এই বাঁধ ও ডানতীর রক্ষা প্রকল্প ভেঙে গেলে শুধু রানীগঞ্জ আর কাঁচকোল নয় প্রায় শতাধিক গ্রামসহ উপজেলা সদরও হুমকিতে পড়বে এবং সরকারকে কোটি কোটি টাকা লোকসানও গুনতে হবে।

দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে টি বাঁধ থেকে দক্ষিণ ওয়ারী পর্যন্ত প্রায় দুই কিঃ মিঃ অবদা বাঁধ ও ডানতীর রক্ষা প্রকল্প ভাঙনে বিলীন হতে পারে স্বীকার করে রানীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, কাঁচকোল বাঁধ এলাকার নদীর গভীরতা বেড়ে যাওয়ায় সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

বাঁধ ও ডানতীর রক্ষা প্রকল্প হুমকির মুখে তা স্বীকার করে চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রুকুনুজ্জামান শাহিন বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে ইনশাআল্লাহ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রাম নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান বলেন, কাজে কোনো অনিয়ম নেই। এছাড়াও জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজের জন্য দ্রুত ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে, আশা করি সমস্যা হবে না।

//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/মে/১২/২৪

The post ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধির ফলে চিলমারীতে হুমকির মুখে বাঁধসহ রক্ষা প্রকল্প appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
চিলমারীর অষ্টমীর স্নানে লাখো ভক্তের সমাগম, নিদিষ্ট ঘাট না থাকায় ভক্তদের ক্ষোভ https://www.ulipur.com/?p=31768 Tue, 16 Apr 2024 07:07:13 +0000 https://www.ulipur.com/?p=31768 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।। লাখো লাখো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পদভারে মুখরিত ছিল ব্রহ্মপুত্র তীর। ব্রহ্মপুত্রে স্নানের মাধ্যমে শেষ হলো অষ্টমীর স্নান। নির্দিষ্ট ঘাট না থাকায় স্নানে আসা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মাঝে ক্ষোভ। চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ভোর থেকে ব্রহ্মপুত্র নদে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নান শুরু হয়েছিল। সূত্র জানায়, মঙ্গলবার ভোর ৪টা ২০ মিনিট থেকে মঙ্গলবার [...]

The post চিলমারীর অষ্টমীর স্নানে লাখো ভক্তের সমাগম, নিদিষ্ট ঘাট না থাকায় ভক্তদের ক্ষোভ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
লাখো লাখো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পদভারে মুখরিত ছিল ব্রহ্মপুত্র তীর। ব্রহ্মপুত্রে স্নানের মাধ্যমে শেষ হলো অষ্টমীর স্নান। নির্দিষ্ট ঘাট না থাকায় স্নানে আসা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মাঝে ক্ষোভ। চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ভোর থেকে ব্রহ্মপুত্র নদে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নান শুরু হয়েছিল।

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার ভোর ৪টা ২০ মিনিট থেকে মঙ্গলবার বিকাল ৪টা ৫৬ মিনিট অষ্টমী প্রহর ও স্নানের সময়। এবারে প্রায় ৫ লক্ষ পুণ্যার্থীর পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছিল চিলমারীর ব্রহ্মপুত্রের পাড়ের প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকা। হে মহা ভাগ ব্রহ্মপুত্র, হে লৌহিত্য, তুমি আমার পাপ হরণ করো। মন্ত্র উচ্চারণ করে পুণ্যার্থীরা কৃপা চান ব্রহ্মার। স্নান উৎসবে মেতে উঠেন পুণ্যার্থীরা। গত কয়েকদিন থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার পুণ্যার্থীরা ভিড় জমান চিলমারী বন্দর ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে। সড়ক পথে বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, অটোতে ও মোটরগাড়ি করে। নদী পথে ট্রলার ও নৌকাযোগে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে পুণ্যার্থীরা সমবেত হন চিলমারী বন্দর ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে।

উৎসব কমিটির নেতারা বলেন, প্রতি বছরের মত এবারও ভারতসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুলসংখ্যক পুণ্যার্থী যোগ দিয়েছেন স্নান উৎসবে। কোনো নিদিষ্ট ঘাট না থাকায় উন্মুক্ত স্নানঘাটের মাধ্যমে পুণ্যার্থীরা স্নানপর্ব সম্পন্ন করেছেন। স্নান ও মেলা উপলক্ষে রমনা ব্যঙ মারা ঘাট, জোড়গাছ থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বালুচর এলাকায় বসেছে সার্কাস ও ভাওয়াইয়া গানের আসর। বাঁশির সুর, ঢোলের শব্দ ও নারী-পুরুষের পদচারণায় মুখরিত ছিল চরাঞ্চল। স্নান উৎসবকে কেন্দ্র করে সোমবার (১৫ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী লোকজ মেলা।

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিনহাজুল ইসলাম জানান, পুণ্যার্থীদের কল্যাণে সরকারি ও বেসরকারি ভাবে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ঘাটের পাশেই নারীদের কাপড় বদলানোর জন্য বুথের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে। প্রায় বেশকিছু ধর্মীয় সামাজিক ও সেবামূলক সংঘঠন ক্যাম্প খোলা হয়েছে। এছাড়াও নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও ভিডিপির পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করাসহ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশি পাহাড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কথা হয় স্নান দিতে আসা পুজা, সোহেলী, শ্যামল কুমার, বুদ্ধবেদ চক্রবত্তিসহ অনেকের সাথে তারা অভিযোগ করে বলেন, গোসলের জন্য নিদিষ্ট কোন ঘাট না থাকায় কিছুটা সমস্যাও হচ্ছে।

উৎসব কমিটির সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছরের মত এবারও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকেও পুণ্যার্থীরা অষ্টমী স্নান মেলায় এসছে। এবার ৫ লাখেরও বেশি পুণ্যার্থীর সমাগম হয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে।

//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/এপ্রিল/১৬/২৪

The post চিলমারীর অষ্টমীর স্নানে লাখো ভক্তের সমাগম, নিদিষ্ট ঘাট না থাকায় ভক্তদের ক্ষোভ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙনের কবলে ২৫০ পরিবার, নদে বিলীন ৮’শ বিঘা ফসলী জমি https://www.ulipur.com/?p=31318 Sat, 23 Mar 2024 16:24:51 +0000 https://www.ulipur.com/?p=31318 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।। উলিপুরে অসময়ে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। রোধ করা যাচ্ছে না এর ভাঙন। এই ভাঙন ঠেকাতে দিশাহারা হয়ে পড়েছে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ের মানুষ। বসন্তের সময়ে পানির স্রোত অনেক কম তারপরও ভাঙন দেখে হতবাক ব্রহ্মপুত্র পাড়ের বাসিন্দারা। গত এক মাসে ব্রহ্মপুত্রের ব্যাপক ভাঙনে সাহেবের আলগা ইউনিয়নের দক্ষিণ নামাজের চর এলাকার [...]

The post ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙনের কবলে ২৫০ পরিবার, নদে বিলীন ৮’শ বিঘা ফসলী জমি appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
উলিপুরে অসময়ে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। রোধ করা যাচ্ছে না এর ভাঙন। এই ভাঙন ঠেকাতে দিশাহারা হয়ে পড়েছে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ের মানুষ। বসন্তের সময়ে পানির স্রোত অনেক কম তারপরও ভাঙন দেখে হতবাক ব্রহ্মপুত্র পাড়ের বাসিন্দারা। গত এক মাসে ব্রহ্মপুত্রের ব্যাপক ভাঙনে সাহেবের আলগা ইউনিয়নের দক্ষিণ নামাজের চর এলাকার বসতভিটা হারিয়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে ২৫০ পরিবার। এখনও অনেক পরিবার মাথা গোঁজার ঠাঁই পায়নি। ভাঙনে সব হারিয়ে দিশাহারা এসব পরিবার। সরেজমিনে ভাঙন কবলিত স্থানে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ২৫০ বসতবাড়ি ও ৮০০ বিঘা ফসলী জমি নদে বিলীন হয়ে গেছে।

ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে নামাজের চর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, নামাজের চর মহাবিদ্যালয়, নামাজের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গুচ্ছগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ (খেয়ার চর) বাজারসহ ফসলী জমি। ফলে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে ওই এলাকার মানুষজন। অব্যাহত ভাঙন ঠেকাতে ব্যক্তি ও সামাজিক উদ্যোগে গাছের ডাল ও বস্তা ফেলে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন ব্রহ্মপুত্র পাড়ের মানুষজন।

তবে কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে গবার পদক্ষেপে আপদকালীন সময়ে ভাঙন কবলিত এলাকায় এক হাজার জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজের পরিদর্শন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মতি শিউলী, ব্রহ্মপুত্র ভাঙন থেকে হাতিয়া ইউনিয়ন বাঁচাও কমাটির সভাপতি বি. এম আব্দুল ওহাব শাহসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

ভাঙন কবলিত এলাকার পড়িনা বেগম, সখিনা বেগম, হামিদা বেগম, ববিতা খাতুনসহ অনেক গৃহবধূ জানান, শুধুমাত্র বসতভিটা ও জমাজমি ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করতে বাড়ির সব কাজকর্ম ফেলে দিনরাত বস্তায় বালু ভর্তি করে আমরা নদীতে ফেলছি এমনও দিন গেছে সারাদিন রোজা থেকে নদীর পাড়েই পানি মুখে দিয়ে ইফতার করেছি।

খেয়ার চর এলাকার কামাল মিয়া, বেলাল উদ্দিন, শাহাআলম, হযরত আলীসহ স্থানীয় আরও অনেকে জানান, আমাদের বাপ-দাদার জন্মে দেখি নাই এই অসময়ে এভাবে নদী ভাঙে। যেভাবে ভাঙছে যদি রক্ষা করা না যায় তাহালে খেয়ার চর নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।

কৃষক আনছার আলী জানান, তার ৪৫ শতাংশ ভূট্টা ক্ষেত, ৯ শতাংশ কচু ক্ষেত নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও বেগুন, মরিচ, লাউ, লাল শাকসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত ভাঙনের কবলে। কীভাবে স্ত্রী-সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিবে সেই চিন্তায় দিশাহারা তিনি।

সাহেবের আলগা ইউনিয়ন আ. লীগের সাবেক সভাপতি বারি মোল্লা জানান, ব্রহ্মপুত্র ভাঙন রোধে আমরা এলাকাবাসী নিজ অর্থায়নে সেচ্ছাশ্রমে ১৪ হাজার বালু ভর্তি বস্তা নদীতে ফেলেছি। তবুও কোনো ভাবেই ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না।

তিস্তা নদী রক্ষা কমিটি কুড়িগ্রাম জেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরকার বলেন, এলাকাবাসী স্ব-উদ্যোগে নিজস্ব অর্থায়নে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া এক হাজার জিও ব্যাগ ডাম্পিং চলমান রয়েছে। ঠিকাদারের কাজ শুরুর আগেই পানি উন্নয়ন বোর্ডকে আরও কমপক্ষে ৫ হাজার জিও ব্যাগ দিয়ে স্থানীয় উদ্যোগ অব্যাহত রাখার দাবি জানান তিনি।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু পরিদর্শনকালে বলেন, আমাদের এমপি মহোদয় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ওনার পদক্ষেপে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া এক হাজার জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। আমরা আশা করছি খুব দ্রুত স্থায়ী ভাঙন রোধে কাজ শুরু হবে।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভাঙন রোধে স্থানীয় লোকের সহযোগিতায় আমাদের স্টোকের এক হাজার জিও ব্যাগ ডাম্পিং শুরু হয়েছে প্রয়োজনে আরও ফেলানো হবে। চলতি সপ্তাহে টেন্ডারের ৮০০ মিটার কাজ শুরু হবে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে গবা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাঙন রোধে সাড়ে ৬ কোটি টাকা বাজেট দিয়েছেন ও টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। ইতিমধ্যে ভাঙন রোধে কাজ শুরু হয়েছে। চলতি সপ্তাহে টেন্ডারে কাজ শুরু হবে। আগামীতে নদী ভাঙন রোধে ব্যাপকভাবে কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।

//নিউজ//উলিপুর//মালেক/মার্চ/২৩/২৪

The post ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙনের কবলে ২৫০ পরিবার, নদে বিলীন ৮’শ বিঘা ফসলী জমি appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ২ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে ফেরি চলাচল https://www.ulipur.com/?p=31024 Thu, 07 Mar 2024 16:36:01 +0000 https://www.ulipur.com/?p=31024 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।। ব্রহ্মপুত্রের নাব্যতা সংকট না থাকলেও পেড়িয়ে যাচ্ছে ২মাস মেরামত হয়নি কালভাট, শেষ হয়নি অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজও। ফেরি চলাচলের জন্য বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সকল প্রকার উদ্যোগ থাকলেও এলজিইডি’র গাফিলতির কারণে প্রায় ২মাস থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী। তথ্য মতে, ১০ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস বন্ধ [...]

The post চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ২ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে ফেরি চলাচল appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
ব্রহ্মপুত্রের নাব্যতা সংকট না থাকলেও পেড়িয়ে যাচ্ছে ২মাস মেরামত হয়নি কালভাট, শেষ হয়নি অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজও। ফেরি চলাচলের জন্য বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সকল প্রকার উদ্যোগ থাকলেও এলজিইডি’র গাফিলতির কারণে প্রায় ২মাস থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী। তথ্য মতে, ১০ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস বন্ধ রয়েছে চিলমারী-রৌমারী নৌ রুটে।

জানা গেছে, চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি সার্ভিস চালু হওয়ায় এর চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং সরকার রাজস্ব আদায় শুরু হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই রৌমারীর ফুলুরচরঘাট থেকে রৌমারী সদর যাওয়ার পথের একটি কালভাট ভেঙ্গে পড়ে, ফলে প্রায় ২মাস থেকে পণ্যবাহী গাড়িসহ সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ হয়ে পড়ে। যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ায় বন্ধ হয়ে পড়ে ফেরি চলাচল। ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ায় মুখথুবরে পড়েছে কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে রাজস্ব আয়। চিলমারী-রৌমারী ব্রহ্মপুত্র নৌপথে প্রায় দু’মাস ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার, দুর্ভোগে জনসাধারণ, লোকসান গুনছে ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ উঠেছে এলজিইডি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামসহ উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের অনেক এলাকার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম চিলমারী-রৌমারী নৌপথ। এ পথে ব্রহ্মপুত্রের উভয় পারের বেশ কয়েকটি জেলার পণ্যবাহী যানবাহনসহ শত শত মানুষ পারাপার হয়। কিন্তু ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় এই নৌপথে চলাচলকারী সব ধরণের পণ্য ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে জনদুর্ভোগসহ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কয়েক জেলার মানুষ। এ অবস্থায় যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পার হচ্ছেন। এই সুযোগে নৌকার ভাড়াও বেশি নেয়া হচ্ছে বলে দাবি করছেন যাত্রীরা।

নজরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী জানান, ফেরিতে মোটরসাইকেল নিয়ে পারাপার হলে ৫০ টাকাতে হতো আর এখন নৌকায় ২শত টাকা গুনতে হচ্ছে এবং মোটরসাইকেল উঠানামার জন্য আরও ১শত টাকা কুল খরচ হচ্ছে এছাড়াও জিস্মি হতে হয় অনেক সময়।

ঘাট ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় ২ মাস ধরে এ ঘাটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় তাদের বিক্রি অর্ধেকে নেমে এসেছে। দ্রুত সকল সমস্যার সমাধান করে দ্রুত ফেরি চালুর দাবি জানান, ব্যবসায়ীরাসহ এলাকাবাসী।

বিআইডব্লিউটিসির চিলমারী ঘাটের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, ১০ জানুয়ারি থেকে ফেরি বন্ধ থাকার মূল কারণ হচ্ছে রৌমারী সড়কে একটি কালভাট ভেঙ্গে যাওয়ায় গাড়ি চলাচল করতে না পারায় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে, অ্যাপ্রোচ সড়ক বা কালভাট নির্মান হলেও আবার চালু হবে ফেরিটি। তিনি আরও জানান, ফেরি দুটি বর্তমানে রৌমারী ঘাটে অবস্থান করছে।

এ বিষয় রৌমারী উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: ইমন চৌধুরী বলেন, কালভাট নির্মাণের জন্য আবেদন করা হয়েছে এবং অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ চলছে তা শেষ হলেও সকল ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে।

//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/মার্চ/০৭/২৪

The post চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ২ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে ফেরি চলাচল appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চল https://www.ulipur.com/?p=25386 Sat, 15 Jul 2023 05:42:48 +0000 https://www.ulipur.com/?p=25386 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।। আবারো বাড়ছে ব্রহ্মপুত্রের পানি। বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকালে দু’একদিনের মধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করবে বলে আশঙ্কা করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানি বাড়তে থাকায় প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। ইতি মধ্যে নদীর তীরবর্তী মানুষজন পানিবন্দি হয়েছে পড়েছে। পানি বৃদ্ধির কারণে থেমে নেই ভাঙন। এছাড়াও থেমে থেমে বৃষ্টির [...]

The post চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চল appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
আবারো বাড়ছে ব্রহ্মপুত্রের পানি। বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকালে দু’একদিনের মধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করবে বলে আশঙ্কা করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানি বাড়তে থাকায় প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। ইতি মধ্যে নদীর তীরবর্তী মানুষজন পানিবন্দি হয়েছে পড়েছে। পানি বৃদ্ধির কারণে থেমে নেই ভাঙন। এছাড়াও থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে বেশকিছু এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।

জানা গেছে, কমতে শুরু করেই আবারো টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে বাড়তে শুরু করেছে ব্রহ্মপুত্রের পানি। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় তা চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। পানি বৃদ্ধি চলমান থাকলে দু’একদিনের মধ্যে তা বিপদসীমা অতিক্রম করবে বলে আশঙ্কা করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। এদিকে পানি বৃদ্ধির সাথে তলিয়ে যাচ্ছে নদীর তীরবর্তী এলাকাসহ নিম্নাঞ্চল। একের পর এক এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম। প্লাবিত হওয়ায় হাজারো মানুষ ইতি মধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

সরেজমিন উপজেলা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জোড়গাছ পুরাতর বাজার, মাঝিপাড়া, বাসন্তিগ্রাম, পুটিমারী, রাজারভিটা, বজড়াদিয়ার খাতা, বড়ভিটাসহ বেশকিছু নদীর তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় পানিবন্দি হয়েছে পড়েছে মানুষজন। বন্যার পানিতে নিম্নাঞ্চলের রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে নদীর তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চলের মানুষ। পানি বৃদ্ধির কারনে দেখা দিয়েছে ভাঙন। ভাঙনে দিশাহারা মানুষজন করছে মানবেতর জীবন যাপন। পাউবো গেজ রিডার চিলমারী মোঃ জোবায়ের হোসেনের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় ৩১ সে.মি. পানি বৃদ্ধি পয়ে (শুক্রবার বেলা ৩টা পর্যন্ত) বিপদসীমার ৩৪ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবহিত হচ্ছিল। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছেন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে দু’একদিনের মধ্যে চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমা অতিক্রম করবে। পানি বাড়তে থাকলে নতুন করে আরো বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হবে এবং হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/জুলাই/১৫/২৩

The post চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চল appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা অববাহিকায় বন্যার পূর্বাভাস https://www.ulipur.com/?p=14078 Wed, 30 Jun 2021 16:23:54 +0000 https://www.ulipur.com/?p=14078 ।। জেলা প্রতিনিধি ।।ভারি বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়তে শুরু করেছে। উত্তরের সীমান্তবর্তী এ জেলাসহ এর উজানে ভারতের বিভিন্ন অংশে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদ অববাহিকায় স্বল্পমেয়াদী বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। পাউবো’র নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় তিস্তা নদীর পানি [...]

The post কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা অববাহিকায় বন্যার পূর্বাভাস appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। জেলা প্রতিনিধি ।।
ভারি বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়তে শুরু করেছে। উত্তরের সীমান্তবর্তী এ জেলাসহ এর উজানে ভারতের বিভিন্ন অংশে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদ অববাহিকায় স্বল্পমেয়াদী বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

পাউবো’র নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে কিছুটা কমলেও ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সবকটি পয়েন্টে বাড়তে শুরু করেছে। সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি গত ২৪ ঘন্টায় ১৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার এবং চিলমারী পয়েন্টে ২৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার (কৃষি ও সিনপটিক) রাজারহাট, কুড়িগ্রামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, বুধবার (৩০ জুন) সকাল ৬ পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহ ভারি বৃষ্টিপাত চলমান থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।

এদিকে বন্যার আশঙ্কার পাশাপাশি জেলার নদী তীরবর্তী এলাকায় শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলায় তিস্তার ভাঙনে ভিটেমাটি হারাচ্ছে একের পর এক পরিবার। গ্রামীণ সড়ক, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ আবাদি জমি বিলিন হচ্ছে তিস্তার গর্ভে। ভাঙন প্রতিরোধে পাউবো কর্তৃপক্ষ বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবে খুব একটা কাজে আসছে না। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য মতে, জেলায় ২৫ টি পয়েন্টে নদী ভাঙন চলছে। এর মধ্যে দুই একটি পয়েন্ট বাদে বাকি অংশে তাদের ভাঙন প্রতিরোধমূলক কাজ চলছে।

পাউবো, কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, উজানের ঢল ও বৃষ্টিপাতের ফলে জেলার নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের শেষের দিকে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে এই দুই নদ-নদী অববাহিকায় একটি স্বল্প মেয়াদী বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।

বন্যার আগাম পূর্বাভাসে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। কোভিড ও বন্যা মোকাবিলায় প্রতি ইউনিয়নে প্রায় পৌনে চার লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা। এছাড়াও উপজেলাগুলোতে দুর্যোগকালীন সহায়তা হিসেবে ৩শ’৪৪ মেট্রিকটন চাল এবং প্রায় ৫৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।

সম্ভাব্য বন্যা মোকাবিলার বিষয়ে প্রস্তুতি নিয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘জেলার দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যেন বন্যা মোকাবিলায় বিভিন্ন বিভাগগুলো প্রস্তুত থাকে। বন্যা পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে বন্যা কবলিত মানুষদের উদ্ধার করে যেন আশ্রয়কেন্দ্রসহ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া যায় সে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।’

‘উপজেলা নির্বাহী অফিসারদেরকে পর্যাপ্ত চাল এবং টাকা বরাদ্দ দেওয়া আছে। আশা করি আগামী ১০-১৫ দিন কোনও সমস্যা হবে না।’ যোগ করেন জেলা প্রশাসক।

//নিউজ/কুড়িগ্রাম//চন্দন/জুন/৩০/২১

The post কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা অববাহিকায় বন্যার পূর্বাভাস appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
হাতিয়ায় ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙন https://www.ulipur.com/?p=8355 Sun, 19 May 2019 05:54:08 +0000 https://www.ulipur.com/?p=8355 ।। আব্দুল মালেক ।।উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে উলিপুরের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে শুরু হয়েছে নদের তীব্র ভাঙন। গত এক সপ্তাহে কয়েক একর আবাদী জমি ও ভিটে মাটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে কয়েকশ একর ফসলি জমিসহ ১৫ টি বসতবাড়ি। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের হাতিয়ার গ্রামে ব্রহ্মপুত্র [...]

The post হাতিয়ায় ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। আব্দুল মালেক ।।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে উলিপুরের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে শুরু হয়েছে নদের তীব্র ভাঙন। গত এক সপ্তাহে কয়েক একর আবাদী জমি ও ভিটে মাটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে কয়েকশ একর ফসলি জমিসহ ১৫ টি বসতবাড়ি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের হাতিয়ার গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। সেই সাথে আবাদি জমি বসতভিটা ব্রহ্মপুত্রের গর্ভে বিলীন হচ্ছে। তাছাড়া কয়েকশ একর ফসলি জমি ও ১৫ টি বসতবাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে। এসব ভিটেমাটি যে কোন মূহুর্তে নদীর পেটে চলে যাওয়ার আশংকা স্থানীয়দের।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) কথা হয় ওই এলাকার বাসিন্দা আব্দুল ছামাদের সাথে তিনি বলেন, কয়েকদিনের নদী ভাঙনে আমার ভিটে মাটিসহ এক একর ফসলি জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। এছাড়াও আবুল হোসেন ,আব্দুল কাদের, মান্নার মিয়া, রহিম বাদশা, তৈয়ব আলীরসহ কয়েকটি বসতভিটা ও কাশিম আলীর ২৫ শতক, খেতাব সরকারের ৮০ শতক , আইয়ুব আলীর ৩০ শতক, নুর ইসলামের ৬০ শতকসহ একাধিক কৃষকের পাটক্ষেত হুমকির মুখে রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাল হক, গফুর আলী, রাজু মিয়াসহ কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন “দেখতে দেখতে নদী হামার সইক ভাঙ্গি নিয়ে যাবার নাগছে। বাড়ি ঘর কখন যে ভাঙ্গি নিয়ে যাইবে, সেই চিন্তায় দিশেহারা। শেষ সম্বল বলতে হামার কিছুই থাকপের নয়”।

এদিকে থেতরাই ইউনিয়নের দালাল পাড়া এলাকায় তিস্তা নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিএম আবুল হোসেন বিএসসি জানান, জরুরী প্রকল্পের মাধ্যমে নদীর ভাঙন রোধ করা না হলে কয়েকটি বাড়ি ও কয়েকশ আবাদী জমি নদী গর্ভে চলে যাবে। সেই সাথে হাতিয়া বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রটি ভাঙন কবলে পড়বে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল কাদের জানান, বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা হবে। উলিপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, জরুরী প্রকল্পের জন্য অর্থ চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে। হাতে পেলে কাজ শুরু করব।

The post হাতিয়ায় ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কষ্টের ফসল সস্তায় বেচেন কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের কৃষক https://www.ulipur.com/?p=7594 Thu, 03 Jan 2019 13:28:15 +0000 https://www.ulipur.com/?p=7594 বাদশাহ্ সৈকত : কুড়িগ্রামের চরগুলো এখনো প্রায় বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। ব্রহ্মপুত্রের বুকে জেগে ওঠা দুই শতাধিক চরে প্রায় চার লাখ মানুষের বাস। নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত এসব মানুষ নিজেদের চেষ্টায় অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের সমৃদ্ধির পথে অলঙ্ঘনীয় দেয়াল হয়ে আছে যোগাযোগ সমস্যা। চরগুলোয় ঘুরে দেখা গেছে, চরের ভেতরে চলাচলে কোনো সড়ক নেই। সরু আইল আর [...]

The post কষ্টের ফসল সস্তায় বেচেন কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের কৃষক appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
বাদশাহ্ সৈকত : কুড়িগ্রামের চরগুলো এখনো প্রায় বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। ব্রহ্মপুত্রের বুকে জেগে ওঠা দুই শতাধিক চরে প্রায় চার লাখ মানুষের বাস। নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত এসব মানুষ নিজেদের চেষ্টায় অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের সমৃদ্ধির পথে অলঙ্ঘনীয় দেয়াল হয়ে আছে যোগাযোগ সমস্যা।

চরগুলোয় ঘুরে দেখা গেছে, চরের ভেতরে চলাচলে কোনো সড়ক নেই। সরু আইল আর উঁচুনিচু জমির ওপর দিয়ে হেঁটে চলতে হয়। নদীপথে একমাত্র ভরসা নৌকা। চরে যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণে সরকারি কোনো দপ্তরে নেই পরিকল্পনাও।

এ অবস্থায় কোনো প্রয়োজন হলে মাইলের পর মাইল হেঁটে পার্শ্ববর্তী উপজেলা সদরে যেতে হয়। অসুস্থ অথবা সন্তানসম্ভবাকে হাসপাতালে নিতে হয় কাঁধে করে। ফলে বাধ্য না হলে কেউ হাসপাতালে যান না। ছোটখাটো রোগ বছরের পর বছর শরীরে পুষে রাখেন। গত কয়েক বছরে চরগুলো কৃষিতে বেশ এগিয়ে গেলেও ফসলের ন্যায্যমূল্য পান না কৃষকরা।

কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ঘাট থেকে নৌকায় করে ব্রহ্মপুত্রে ১ ঘণ্টার পথ পাড়ি দিলে অষ্টআশির চর। সাত বছর আগে জেগে ওঠা এ চরে বসতি গড়ে উঠেছে প্রায় পাঁচ বছর আগে। সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকার ভোগান্তির কথা জানান প্রথমদিকে বসতি গড়া বাসিন্দা কাইছাল আলী।

তিনি জানান, হাটবাজারে যেতে চাইলেও অনেকদূর পথে হেঁটে তারপর খেয়াঘাটে পৌঁছতে হয়। নৌকা থেকে নেমে আবারো চরের বালিতে বেশ পথ হাঁটতে হয়। বর্ষায় আরো বিপদে পড়েন তারা। তখন চারদিকে শুধু পানি।

দুর্গম চরাঞ্চলের নারীদের অবস্থাও খুব করুণ! ৮০ শতাংশ নারীর জীবদ্দশায় চিকিৎসার উদ্দেশ্য ছাড়া কখনো উপজেলা বা জেলা শহরে যাওয়া হয়নি। বিচ্ছিন্ন কোনো চরেই কেটে যায় তাদের সারা জীবন!

কুড়িগ্রামের নয়টি উপজেলার চার শতাধিক চরের মধ্যে জনবসতি আছে ২৩০টিতে। চরের জনসংখ্যা চার লক্ষাধিক। কৃষি বিভাগের হিসাবে, ২২ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। চারবাসী বালুময় জমিতে অনেক খেটে চীনাবাদাম, কাউন, ধান, ডাল, ভুট্টা, গম, চিনা, তিসি, গুজি তিল, তিল, কালিজিরা, ধনিয়া, শলুক, মিষ্টি আলু, মিষ্টিকুমড়াসহ নানা ফসল উৎপাদন করেন। হাঁস-মুরগির পাশাপাশি গরু, ভেড়া, ছাগল পালন করেও বাড়তি আয় করেন তারা। অনেকে নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

কিন্তু এ হাড়ভাঙা খাটুনির ফসল বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে পারেন না চরবাসী। সদর উপজেলার বড়ুয়ার চরের অহর উদ্দিন (৫০) জানান, এত কষ্ট করে ফসল করি, কিন্তু ভালো দামে বেচতে পারি না। নৌকা ভাড়া করে সবাই একসঙ্গে ফসল নিয়ে যাত্রাপুর হাটে যাই। পাইকাররা ইচ্ছেমতো দাম দেয়, কারণ তারা জানে এতদূর এসে আমরা সে ফসল ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারব না!

রোগব্যাধিতে চরবাসীর ভরসা গ্রাম্য ডাক্তার। সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের রলাকাটার চরের বাসিন্দা সোনা উল্যা বলেন, বড় রোগ হলে রোগীকে তক্তার ওপর বিছানা পেতে শুইয়ে ভাড় সাজিয়ে ঘাটে নিই। বেশির ভাগ শিশুরই জন্ম হয় বাড়িতে। প্রসবকালীন জটিলতা দেখা দিলে আল্লাহর ওপর ভরসা করে থাকি।

চরের মানুষের এ দুর্দশা লাঘবে কোনো উদ্যোগ আছে কিনা জানতে কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে খোঁজ নেয়া হয়। সবাই জানান, তাদের চরের জন্য আলাদা প্রকল্প নেই।

কুড়িগ্রাম স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ আব্দুল আজিজ বলেন, চরের জন্য আলাদা প্রকল্প না থাকায় আমরা সেখানে কোনো রাস্তা করিনি। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ওপরও কিছুটা নির্ভর করে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

একই কথা বলেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন। তবে ৪০ দিনের কর্মসূচিসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে চরাঞ্চলে আন্তঃযোগাযোগের রাস্তা নির্মাণ করা হয়ে থাকে বলে জানান তিনি।

জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদী ঘেঁষা ২১৪ কিলোমিটার তীর রক্ষা বাঁধই সংলগ্ন চরবাসীর চলাচলের একমাত্র ভরসা। কিন্তু বাঁধগুলো বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যান চলাচলও প্রায় বন্ধ। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, জেলায় আরো নতুন বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা আছে।

সুত্র:বণিক বার্তা , জানুয়ারি ০৩, ২০১৯

The post কষ্টের ফসল সস্তায় বেচেন কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের কৃষক appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
হাতিয়ায় ব্রহ্মপুত্র নদে ডুবে শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু https://www.ulipur.com/?p=7027 Tue, 02 Oct 2018 11:48:03 +0000 https://www.ulipur.com/?p=7027 নিউজ ডেস্কঃ উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে গিয়ে সোমাইয়া নামের ৮ বছরের এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, মঙ্গলবার (২ অক্টোবর ২০১৮) দুপুরে উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের চর দাগার কুটি গ্রামে। জানা গেছে, উপজেলার ঐ গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে সোমাইয়া বাড়ীর লোকজনের সাথে ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে গিয়ে পানিতে তলিয়ে যায়। পরে তাকে মৃত অবস্থায় [...]

The post হাতিয়ায় ব্রহ্মপুত্র নদে ডুবে শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
নিউজ ডেস্কঃ
উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে গিয়ে সোমাইয়া নামের ৮ বছরের এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, মঙ্গলবার (২ অক্টোবর ২০১৮) দুপুরে উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের চর দাগার কুটি গ্রামে। জানা গেছে, উপজেলার ঐ গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে সোমাইয়া বাড়ীর লোকজনের সাথে ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে গিয়ে পানিতে তলিয়ে যায়। পরে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বিএম আবুল হোসেন বিএসসি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

The post হাতিয়ায় ব্রহ্মপুত্র নদে ডুবে শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে ৩৫ পরিবারের ভিটেমাটি নদীগর্ভে https://www.ulipur.com/?p=6907 Sun, 16 Sep 2018 06:14:57 +0000 https://www.ulipur.com/?p=6907 আব্দুল মালেকঃ উলিপুরে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়িসহ আবাদি জমি। আশ্রয়হীন পরিবারগুলো গবাদি পশু নিয়ে পার্শ্ববর্তি উচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। গত ২ দিনের ভাঙনে ৩ গ্রামের ৩৫ টি বসতবাড়িসহ প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকার আবাদী জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। অব্যাহত ভাঙনের কারনে ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষজনের মাঝে আতংকে বিরাজ করছে। উপজেলার হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বিএম [...]

The post উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে ৩৫ পরিবারের ভিটেমাটি নদীগর্ভে appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
আব্দুল মালেকঃ
উলিপুরে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়িসহ আবাদি জমি। আশ্রয়হীন পরিবারগুলো গবাদি পশু নিয়ে পার্শ্ববর্তি উচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। গত ২ দিনের ভাঙনে ৩ গ্রামের ৩৫ টি বসতবাড়িসহ প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকার আবাদী জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। অব্যাহত ভাঙনের কারনে ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষজনের মাঝে আতংকে বিরাজ করছে। উপজেলার হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বিএম আবুল হোসেন বিএসসি বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তবে ভাঙন রোধে কোন ব্যবস্থা নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

গত কয়েকদিনে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নদ-নদীসহ ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেলে তীব্র ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি হওয়ায় উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের হাতিয়াগ্রাম, নয়াদাড়া, ও কলাতি পাড়া গ্রামে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত ২ দিনের তীব্র ভাঙন ৩৫টি বসত বাড়ি, আবাদী জমি, কলা বাগানসহ ৩ গ্রামের গাছ-গাছালি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন কবলিত পরিবার গুলো গবাদি পশুসহ আশ্রয় নিলেও অনেক পরিবার আবাসিক সংকটে পরেছেন।

ভাঙন কবলিত কলাতি পাড়া গ্রামের আফজাল হোসেন(৫৫) জানান, ‘বাপ-দাদার ভিটে টুকুও চলে গেল। মাথা গোঁজার ঠাঁই আর থাকলো না’। হাতিয়া গ্রামের আবুল হোসেন (৫৫), আজিজুল ইসলাম (৬০), সিরাজুল ইসলাম (৫৪), আহিনা বেওয়া (৬৫) আব্দুল হামিদ, কাচুয়া শেখসহ ক্ষতিগ্রস্থ অনেকের সাথে কথা হয়। তারা জানান, পার্শ্ববর্তী উপজেলা চিলমারীর ফকিরেট এলাকা থেকে অনন্তপুর পালের ভিটা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের নির্মাণ কাজ না হওয়ায় এসব গ্রামে ভাঙন শুরু হয়েছে। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে নয়াডাড়া, মাঝি পাড়া, হাতিয়া মেলা ও হাতিয়া বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। দ্রুত ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানান ভূক্তভোগী পরিবারগুলো।

কুড়িগ্রাম পাউবো’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম বলেন, পাউবো’র স্থাপনা ছাড়া জরুরী ভিত্তিতে ভাঙনরোধে কাজ করার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না থাকায় কোন ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোকে সহায়তা প্রদান করা হবে।

The post উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে ৩৫ পরিবারের ভিটেমাটি নদীগর্ভে appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>