রেল-নৌ যোগাযোগ Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=রেল-নৌ-যোগাযোগ কুড়িগ্রাম জেলার তথ্য ও সংবাদ Sat, 14 Jan 2017 10:39:15 +0000 en-US hourly 1 https://www.ulipur.com/wp-content/uploads/2022/10/1665889308.png রেল-নৌ যোগাযোগ Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=রেল-নৌ-যোগাযোগ 32 32 দুর্গাপুরের রেলসেতুতে লোহার বদলে বাঁশ ব্যবহার, দুর্ঘটনার আশঙ্কা https://www.ulipur.com/?p=3037 Wed, 11 Jan 2017 13:18:03 +0000 http://www.ulipur.com/?p=3037 ওয়ারেস আলী (দুর্গাপুর): দুর্গাপুর ইউনিয়নের পাঁচপীর স্টেশনের  পাসে রেলের সেতুতে  স্লিপার হিসাবে বাঁশ  ব্যবহার করা হয়েছে । যে কোনো সময় ওই সেতুতে ট্রেন দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর আগে দেশের কয়েকটি স্থানে ভবন নির্মাণে লোহার বদলে বাঁশের ব্যবহার নিয়ে গণমাধ্যমে খবর বের হয়। ‘সিমেন্ট ছাড়াই’ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় স্কুলভবন নির্মাণের দুই সপ্তাহের মাথায় গতকাল [...]

The post দুর্গাপুরের রেলসেতুতে লোহার বদলে বাঁশ ব্যবহার, দুর্ঘটনার আশঙ্কা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
ওয়ারেস আলী (দুর্গাপুর):
দুর্গাপুর ইউনিয়নের পাঁচপীর স্টেশনের  পাসে রেলের সেতুতে  স্লিপার হিসাবে বাঁশ  ব্যবহার করা হয়েছে । যে কোনো সময় ওই সেতুতে ট্রেন দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এর আগে দেশের কয়েকটি স্থানে ভবন নির্মাণে লোহার বদলে বাঁশের ব্যবহার নিয়ে গণমাধ্যমে খবর বের হয়। ‘সিমেন্ট ছাড়াই’ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় স্কুলভবন নির্মাণের দুই সপ্তাহের মাথায় গতকাল ধসে পড়ে ভবনের সিঁড়ি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন,  তিস্তা- রমনা বাজার রেলপথের পাঁচপীর স্টেশনের  পাসে ২ টা  রেলসেতুর অর্ধেক স্লিপার নষ্ট হয়ে যায়। সেই নষ্ট হওয়া স্লিপার সংস্কারে লোহার রড বা পাতের বদলে লাগানো হয় বাঁশের ফালি। রেল লাইন থেকে যাতে স্লিপার স্থানচ্যুত না হয় সে জন্য লাইনের ওপর পেরেক ঠুকে লাগানো হয়েছে ফালি করা বাঁশ। এ অবস্থায় ট্রেন চলাচলের সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন যাত্রীরা। সেতুটির ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করে।এ অবস্থায় ট্রেন চলাচলের সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এ রুটে চলাচলকারী ট্রেন যাত্রীরা ।
রমনা ট্রেনের  চালক ফরাহদ  হোসেন এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান,   লাইনের অবস্তা খারাপ থাকায় আস্তে আস্তে চলাচল করতে হয় ,এতে সময় বেশি লাগছে । রেল সেতুতে  বাঁশের স্লিপারে  থাকায় ট্রেনের চলাচল ঝুঁকিপুর্ণ।
রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি, পাঁচপীর স্টেশন শাখার সভাপতি এমদাদুল হক বলেন , রেলওয়ে কতৃপক্ষকে কয়েকবার বলেছি রেল লাইন সংগস্কারের জন্য, কোন কাজ হয় নি ।

The post দুর্গাপুরের রেলসেতুতে লোহার বদলে বাঁশ ব্যবহার, দুর্ঘটনার আশঙ্কা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
উলিপুরে রেল সেতুতে বাঁশের ফালি https://www.ulipur.com/?p=3033 Wed, 11 Jan 2017 13:08:11 +0000 http://www.ulipur.com/?p=3033 শাহাদত হোসেন শুভ, (উলিপুর) : শিরোনামটি দেখে প্রথমে বিষয়টি অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঘটনাটি সত্যি। বিভিন্ন স্থাপনায় রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহারের খবর প্রকাশ হলেও এবার দেখা গেলো রেল সেতুর স্লিপারে রড বা পাতের বদলে ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশের ফালি। তিস্তা-রমনা বাজার রুটে উলিপুর স্টেশনের কাছে বলদি পাড়া  রেলসেতুর কাঠের অর্ধেক স্লিপার নষ্ট  হয়ে গেছে। আর নষ্ট [...]

The post উলিপুরে রেল সেতুতে বাঁশের ফালি appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
শাহাদত হোসেন শুভ, (উলিপুর) :
শিরোনামটি দেখে প্রথমে বিষয়টি অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঘটনাটি সত্যি। বিভিন্ন স্থাপনায় রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহারের খবর প্রকাশ হলেও এবার দেখা গেলো রেল সেতুর স্লিপারে রড বা পাতের বদলে ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশের ফালি।
তিস্তা-রমনা বাজার রুটে উলিপুর স্টেশনের কাছে বলদি পাড়া  রেলসেতুর কাঠের অর্ধেক স্লিপার নষ্ট  হয়ে গেছে। আর নষ্ট হওয়া স্লিপারের সংস্কার কাজে লাগানো হয়েছে বাঁশ। রেল সূত্রে জানা গেছে, সেতুটির ওপর দিয়ে ঘন্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করে। সেতুটি পাঁচপীর–উলিপুর রুটের  একটি গুরুত্বপুর্ন স্থাপনা। উলিপুর  রেলস্টেশনের পাশেই এ সেতুর অবস্থান।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটির  অর্ধেক স্লিপার নষ্ট হয়ে গেছে। স্থানচ্যুত না হতে ওই নষ্ট স্লিপারের ওপর ফালি করা বাঁশ স্থাপন করে পেরেক ঠুকে রাখার কাজ চলছে।
উলিপুর রেল স্টেশন মাষ্টার মুনসুর কাদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, রেলপথের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ তদারকি করা তার কাজ নয়। তিনি শুধু স্টেশনের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত। তাই  রেল ব্রিজের স্লিপার নষ্ট এবং স্লিপারে বাঁশ বা কি লাগানো হয়েছে তা তার জানা নেই।
রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি, কুড়িগ্রাম জেলার  সাধারন সম্পাদক মো: হারুন-অর-রশিদ (মিলন) বলেন,  ভবন নির্মানে  রডের বদলে বাঁশের ব্যবহারের ঘটনা অনেকটা পুরোনো হলেও এবার রেললাইনে বাঁশ ব্যবহার করে তথাকথিত নতুনত্ব এনেছে, রেলকর্তৃপক্ষ। জীবনের  ঝুঁকি প্রতিদিন রমনা ট্রেনের যাত্রীদের যাতায়ত করতে হচ্ছে। শিগগিরই  ঝুঁকিপুর্ণ রেল সেতুর  পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করে রেল কে নিরাপদ করা জরুরী ।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম মাইদুল ইসলাম ফোনে জানান, এ ব্যাপারে আমার কিছু করার নাই তার ।

The post উলিপুরে রেল সেতুতে বাঁশের ফালি appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
তোমার আতিথেয়তায় আমি মুগ্ধ https://www.ulipur.com/?p=2872 Wed, 21 Dec 2016 12:38:12 +0000 http://www.ulipur.com/?p=2872 সাখাওয়াত হোসেন স্বপন: ঘুরে বেড়ানোর সখ আমার ছোটবেলা থেকেই। বাংলাদেশের প্রায় ৪৯ টি জেলা ভ্রমণ করেছি, ভ্রমণ করেছি মহাপ্রাচীরের দেশ চীন পর্যন্ত। কিন্ত নিজের জেলা কুড়িগ্রামের সব উপজেলা যদি নাই দেখা হয় তবে তো ভ্রমণ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। কিন্ত কারণ ছাড়া সব সময় সুযোগও মেলে না। যাই হোক “রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি” এর [...]

The post তোমার আতিথেয়তায় আমি মুগ্ধ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
সাখাওয়াত হোসেন স্বপন:
ঘুরে বেড়ানোর সখ আমার ছোটবেলা থেকেই। বাংলাদেশের প্রায় ৪৯ টি জেলা ভ্রমণ করেছি, ভ্রমণ করেছি মহাপ্রাচীরের দেশ চীন পর্যন্ত। কিন্ত নিজের জেলা কুড়িগ্রামের সব উপজেলা যদি নাই দেখা হয় তবে তো ভ্রমণ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। কিন্ত কারণ ছাড়া সব সময় সুযোগও মেলে না। যাই হোক “রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি” এর উলিপুর থানার পাঁচপীর ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমি এই সংগঠনের ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাওয়াত পেলাম। সুবর্ণ সুযোগ পেলাম উলিপুর ও চিলমারী এলাকা ঘুরে দেখার। বের হলাম উলিপুর আর চিলমারি ঘুরে দেখার উদ্দেশ্যে।
আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন যে, কুড়িগ্রাম-কে সোনালী কুড়িগ্রাম বলা হয় কারণ এখানে সোনার মতো ফসল ফলে। এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষ কৃষি নির্ভর। অপরূপ সৌন্দর্য এই কুড়িগ্রামের এবং নদী বিধৌত উলিপুর ও চিলমারির সৌন্দর্য দেখে তো আমি এই এলাকার প্রেমেই পড়ে গেছি। এই এলাকায় তুলনামূলক কম খরচেই ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সাতে ঘুরে বেড়ানো যায়, উপভোগ করা যায় গরু-মহিষ দিয়ে হালচাষের দৃশ্য। শাক-শব্জি ও ধানক্ষেতে কৃষকের উজার করা ভালবাসা দিয়ে নিজের সন্তানতুল্য গাছপালার যত্ন নেয়ার দৃশ্যও আমাকে মুগ্ধ করেছে। কিন্ত মনে পড়েছিল তাদের পরিশ্রমের মূল্যের কথা। তারা কি তাদের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের সঠিক মুল্য পায়? হয়তো না, কারণ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত নয়, তাদের ফসল সংরক্ষণের তেমন উন্নত ব্যবস্থাও নেই তাই মধ্যস্থ ব্যবসায়ীদের পকেটে যায় তাদের মুনাফার বড় অংশ।

যাই হোক, খুব ইচ্ছা হল এই এলাকার ঐতিহ্যবাহী স্থান পরিদর্শন করব এবং ঐতিহ্যবাহী খাবার খাবো। কিন্ত কার কাছে কি তথ্য নেবো, কোথায় যাবো তা ভাবতেই মনে পড়ে গেল ulipur.com এর কথা। মোবাইলে নেট সংযোগ দিয়েই ulipur.com – এ সার্চ করে কিছু দর্শনীয় ও ঐতিহ্যবাহী স্থান এবং খাবারের নাম পেলাম। প্রথমেই চলে গেলাম উলিপুরের ঐতিহ্যবাহী মুন্সী বাড়ি। অসাধারণ কারুকাজে নির্মিত প্রাচীন এ স্থাপনা এখন পরিত্যাক্ত এবং ২-১ টি কক্ষ তহসিল অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই স্থাপনা দেখে মনে হল কয়েক শত বছর আগে কোন সম্ভ্রান্ত পরিবারের শিল্পমনা কারো ধ্যানধারণার ফল এটি। অতি নিপুন কারুকাজ, ছাদ থেকে পানি নির্গত হবার জন্য যে নল দেয়া হয়েছে তার মাথায় সিংহের মুখাকৃতি দেখেই বোঝা যায় বাকি বিষয়বস্তু কেমন হবে। তবে ভালো ভাবে সংরক্ষণ না করলে হয়তো আমাদের পরের প্রজন্ম এর সাক্ষাতই পাবে না।

মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালের নাম শুনেছিলাম ছোট বেলাতেই কিন্ত দেখার ভাগ্য হয়ে ওঠে নি। তাই উলিপুর যখন এসেছি এ যাত্রায় চক্ষু হাসপাতালটিও দেখে যাই। বিভিন্ন এলাকার গরীব, দুঃস্থ ও সাধারণ মানুষের চোখের বিভিন্ন অপারেশন ও চিকিৎসা সেবা নাম মাত্র মুল্যে দিয়ে থাকে এই মানব সেবী হাসপাতালটি।
আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম উলিপুরের বিখ্যাত মিষ্টান্ন খিরমানের কথা। “রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি’র” সহ-সমন্বয়ক আঃ ছোবাহান জুয়েলের বাসায় তার মায়ের হাতের পরম আতিথিয়তায় পড়েছিলাম। সে কী মজার আর বাহারি রান্না, নানান পিঠাপুলির আয়োজন, সত্যিই আমি মুগ্ধ। তার উপর উলিপুরের বিখ্যাত মিষ্টান্ন খিরমান খাওয়া। এর আগে বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরণের মিষ্টান্ন খেয়েছি সেরা মিষ্টান্নের মধ্যে খিরমান অন্যতম হবে বলে আমার বিশ্বাস।

ওকি গাড়িয়াল ভাই, হাকাও গাড়ি তুই চিলামারি বন্দরে রে…… গান টি নিশ্চয় শুনেছেন। হ্যা সেই চিলামরি বন্দরের পাশেই আমাদের প্রিয়মুখ “রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি’র” প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ হসান নলেজ ভাইয়ের বাসা। নলেজ ভাইয়ের কিছুদিন আগে এক দুর্ঘটনা ঘটে, যাতে তাঁর পায়ে বড় ধরনের এক অস্ত্র পাচার করে তিন মাসের বিছানা বিশ্রাম দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। তাঁকে দেখতে চলে গেলাম তাঁর বাসায়। নলেজ ভাইয়ের ছেলে সংঘ, সে আর এক জ্ঞানী মানুষ। আমাকে দেখেই বলে ফেলল- “তুমি সাক্ষাৎ স্বপন”? আমি বললাম না বাবা “ আমি সাখাওয়াত স্বপন”। তাঁর বাবার ফেসবুক থেকে আমার প্রোফাইল দেখেছিল। যাই হোক সেখানেও আতিথিয়তার কমতি নেই। পেট পুজো করে চলে গেলাম একসময়ের সেই বিখ্যাত আন্তর্জাতিক নদীবন্দর যা চিলামারি বন্দর নামে পরিচিত। অনেক সুন্দর একটা জায়গা, হয়তো একসময় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠবে এখানে। তবে সৈয়দ শামসুল হকের কুড়িগ্রাম ৪২০ টি চর এবং প্রায় ২০ টি নদী দিয়ে প্রকৃতি সমৃদ্ধ করে দিলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব বেশি উন্নত না হওয়ায় অন্যান্য জেলা থেকে পিছিয়ে রয়েছে। তাই কুড়িগ্রামের মানুষের প্রাণের দাবিতে রূপ নিয়েছে “ঢাকা-কুড়িগ্রাম আন্তঃনগর ট্রেন চাই”।

ভালো থাকুক কুড়িগ্রাম, ভালো থাকুক বাংলাদেশ।

লেখক, সাধারণ সম্পাদক, রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি, ঢাকা মহানগর শাখা।
shakhawat.swapon@yahoo.com

The post তোমার আতিথেয়তায় আমি মুগ্ধ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
ঢাকা-কুড়িগ্রাম আন্তঃনগর ট্রেন ছুটবেই https://www.ulipur.com/?p=2869 Wed, 21 Dec 2016 12:28:32 +0000 http://www.ulipur.com/?p=2869 মোঃ আব্দুল কাইয়ুম রনজু: কুড়িগ্রাম পুরাতন রেলস্টেশন। ঐতিহ্যকে গলা টিপে মেরে ফেলার সংস্কৃতি থেকে রেহাই না পাওয়া এক দুর্ভাগা নাম। মফস্বল শহর কুড়িগ্রামে তখন পুরাতন স্টেশন এবং নূতন স্টেশন নামে দুটো রেলওয়ে স্টেশন।ব্রিটিশদের রেখে যাওয়া সভ্যতায় রেলগাড়িই ছিল সেসময় দূরপাল্লার একমাত্র আধুনিক পরিবহন। কুড়িগ্রাম পুরাতন শহরে আমাদের বাড়ির পাশেই রেললাইন। কৈশোরে খোলা জানালায় দুরন্ত দু’চোখ [...]

The post ঢাকা-কুড়িগ্রাম আন্তঃনগর ট্রেন ছুটবেই appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
মোঃ আব্দুল কাইয়ুম রনজু:
কুড়িগ্রাম পুরাতন রেলস্টেশন। ঐতিহ্যকে গলা টিপে মেরে ফেলার সংস্কৃতি থেকে রেহাই না পাওয়া এক দুর্ভাগা নাম। মফস্বল শহর কুড়িগ্রামে তখন পুরাতন স্টেশন এবং নূতন স্টেশন নামে দুটো রেলওয়ে স্টেশন।ব্রিটিশদের রেখে যাওয়া সভ্যতায় রেলগাড়িই ছিল সেসময় দূরপাল্লার একমাত্র আধুনিক পরিবহন। কুড়িগ্রাম পুরাতন শহরে আমাদের বাড়ির পাশেই রেললাইন। কৈশোরে খোলা জানালায় দুরন্ত দু’চোখ পেতে রেলগাড়ির পু-ঝিকঝিক ছুটে চলা দেখতাম আর রং তুলিতে আঁকা ছবির ক্যানভাসে নিজেকে হারাতাম।

রেললাইনের এপার ওপারের সুখদুঃখের বাসিন্দা হয়ে দিনগুলো ভালই কাটছিল। স্কুল বন্ধের সময়ে রেললাইনকে ভাগ করে পাড়ার বন্ধুরা মিলে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা জমতো। লাইনের সরু পাতে অবিরাম হেঁটে চলার বাজি হতো। রেল গেইটের লোহার চার থাম্বা দখলের প্রতিযোগিতা চলতো। রেল সিগন্যালের আপ-ডাউনকে নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়া হতো। গেইটম্যান চাচার শত বাঁধাকে উপেক্ষা করে রেললাইনকে ঘিরেই আমাদের ছোটবেলার ডানপিটে যত ছুটাছুটি চলতো।রেল লাইনে কান পেতে আমরা দূরে থাকা ট্রেনের শব্দ শুনতে পেতাম। রেলগেইটের দুইধারে সারিসারি টগর ফুটে থাকতো। আমরা সেই ফুলে মালা গেঁথে বাড়ি ফিরতাম।মাঝে মাঝে মনে হতো সমান্তারাল এই রেললাইনের মাঝ ধরে হাঁটতে হাঁটতে দুনিয়াটা ঘুরে বেড়ালে কেমন হয়?

তখন দুপুর ১২.৩০টায় পুরাতন স্টেশনে রমনা মেইল আসতো। তিন স্টেশন পর আমার নানার বাড়ি। আমার মা’র সেই নানাবাড়ি যাওয়ার দিনগুলোয় আমি রেললাইনের পাশে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকতাম। মা ট্রেনের জানালা দিয়ে রুমালে বাদাম বেঁধে আমার দিকে ছুঁড়ে মারতো আর আমি মনের উৎফুল্লে বাদামের পোটলা কুড়াতে ব্যস্ত হতাম। অনেক রাতে রংপুর থেকে একটা ট্রেন আসতো। আমরা ভাই-বোনেরা সেই ট্রেন আসা অবধি রাত জেগে জোরে জোরে শব্দে পড়তাম।

আমাদের ভাইবোনদের স্বপনের দূরত্বটাই ছিল ট্রেনে চড়ে নানার বাড়ি যাওয়ার পথ। বাড়ির পাশ দিয়ে রমনা মেইলের আসা দেখেই আমরা রিক্সাযোগে পুরাতন ষ্টেশনে পৌঁছাতাম।তারপর ট্রেনের কামরায় বসে দু’পাশের চলন্ত দৃশ্যে চোখ জুড়াতাম।টগরাই হাট স্টেশনের পাশের পুকুরে ফুটন্ত লাল পদ্মে ছেয়ে যাওয়া বা রাজার হাটের দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠে মাঠে উড়ন্ত বাতাসের ঢেউ এ মন ছুঁতে থাকায় আমরা সিঙ্গের ডাবরি হাটে এসে নামতাম।প্রতি বছর চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষে অষ্টমীর স্নানে চিলমারী এবং সিন্ধুর মতি মেলাকে ঘিরে ট্রেনের ছাদে উপচে পড়া মানুষের ভিড়ের সঙ্গে গগন ফাটা আনন্দ চিৎকার শোনা যেত।আমরা রেললাইনের পাশে দাঁড়িয়ে এই নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করতাম আর হাত নেড়ে এই বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসের জবাব দিতাম।

একসময় বিশ্বব্যাপী যোগাযোগের উন্মোচিত দুয়ারের হাওয়া কুড়িগ্রামে এসেও লাগলো।বিস্তৃত সড়ক পথে বাস চলাচলের যাত্রা শুরু হল।পক্ষান্তরে কুড়িগ্রামের রেল যোগাযোগের পরিণতিতে দিন দিন অবনমন,  উপেক্ষা, অবহেলা নামক শব্দগুলো জেঁকে বসলো। একদিন ঢাকায় বসে দুঃসংবাদ এলো কুড়িগ্রাম পুরাতন শহর থেকে রেল যোগাযোগ উপড়ে ফেলা হয়েছে। আমার স্বপ্নের স্মৃতিতে শকুনের এমন আঁচড়ে মনটা বিষিয়ে উঠলো।

কেন এমন হল?গোটা পৃথিবী জুড়ে নিরাপদ যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে দুর্বার গতিতে রেলগাড়ি যখন ছুটছে ঠিক তখনই এমন দুর্বল একপেশে হটকারি সিদ্ধান্ত আমাকে অবাক করলো।মাথা ব্যথার কারণে মাথা কেটে ফেলা। এরকম এক নাজুক অজুহাতে এমনটি হয়েছে বলে মনে হলো।কিভাবে ট্রেনের গতি বাড়ানো যায়, কিভাবে কুড়িগ্রাম পুরাতন স্টেশন থেকে ধরলার ওপারে অথবা সীমানা পেরিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে রেল যোগাযোগের প্রসারতা বৃদ্ধি করা যায়,সে কথা একবারও ভাবা হল না।তড়িঘড়ি করে এক ধ্বংসের আখ্যান রচনা করা হলো।

আজ কুড়িগ্রাম-ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেনের দাবিতে আন্দোলন চলছে। এই যৌক্তিক আন্দোলনের পতাকায় যারা অবস্থান করছে তাঁরা জানে সৃষ্টি লড়াইয়ের পিছনটা কত অমসৃণ সে তুলনায় ধ্বংস কত মসৃণ!তারপরও হয়তো একদিন ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম এবং কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন ছুটবে।সে ছুটার দাবীতে নেতৃত্ব দেওয়া মানুষেরা কুড়িগ্রামের জনগণের হৃদয়ে ইতিহাস হয়ে থাকবে অথচ আমার সেই স্বপ্নের স্মৃতিতে গেঁথে থাকা আমাদের বাড়ির পাশের রেলগেইটে সারি সারি সাদা টগরগুলো ফুটতে আর কখনও দেখা যাবে না

 লেখক, মোঃ আব্দুল কাইয়ুম রনজু , সরকারি কর্মকর্তা, ঢাকা।

The post ঢাকা-কুড়িগ্রাম আন্তঃনগর ট্রেন ছুটবেই appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
গণকমিটির পাঁচপীর ষ্টেশন শাখা কমিটি গঠনঃ এমদাদুল সভাপতি জরীফ সাধারণ সম্পাদক https://www.ulipur.com/?p=2813 Sun, 04 Dec 2016 07:06:38 +0000 http://www.ulipur.com/?p=2813 নিউজ ডেস্কঃ ২৮ নভেম্বর ২০১৬ বিকেল তিনটায় রেল-নৌ যোগাযোগ পরিবেশ উন্নয়ন গণমিটি পাঁচপীর ষ্টেশন শাখার তৃতীয় বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত ও নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এমদাদুল হককে সভাপতি জরীফ উদ্দীনকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন গণকিমিটির সহ সমন্বয়ক আব্দুস সোবহান জুয়েল, জেলা গণকমিটির সভাপতি তাজুল এইসলাম, [...]

The post গণকমিটির পাঁচপীর ষ্টেশন শাখা কমিটি গঠনঃ এমদাদুল সভাপতি জরীফ সাধারণ সম্পাদক appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
নিউজ ডেস্কঃ ২৮ নভেম্বর ২০১৬ বিকেল তিনটায় রেল-নৌ যোগাযোগ পরিবেশ উন্নয়ন গণমিটি পাঁচপীর ষ্টেশন শাখার তৃতীয় বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত ও নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এমদাদুল হককে সভাপতি জরীফ উদ্দীনকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন গণকিমিটির সহ সমন্বয়ক আব্দুস সোবহান জুয়েল, জেলা গণকমিটির সভাপতি তাজুল এইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ মিলন, দপ্তর সম্পাদক আরিফ খন্দকার, নাগেশ্বরী গণকমিটির মামুনুর রশিদ, উলিপুর গণকিমিটির সভাপতি আপন আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক নুর আমিন প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা গণকমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জামিউল ইসলাম বিদ্যুৎ, অর্থ সম্পাদক শামসুজ্জামান সুজা, চিলমারী গণকমিটির হাবিবুর রহমান ও রুবেল ছাড়াও অনেকেই।

Save

The post গণকমিটির পাঁচপীর ষ্টেশন শাখা কমিটি গঠনঃ এমদাদুল সভাপতি জরীফ সাধারণ সম্পাদক appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
ঢাকা-কুড়িগ্রাম আন্তঃনগর ট্রেনের দাবিতে কমলাপুরে মানববন্ধন https://www.ulipur.com/?p=2421 Sat, 06 Feb 2016 10:12:45 +0000 http://www.ulipur.com/?p=2421 প্রকৌ. রূপম রাজ্জাকঃ ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম আন্তঃনগর ট্রেনের দাবিতে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনের সামনে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৩০শে জানুয়ারী শনিবার সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনের আয়োজন করে রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি, কুড়িগ্রাম। এতে ঢাকাস্থ কুড়িগ্রাম সমিতির মহাসচিব সাইদুল আবেদিন ডলার বলেন, ‘দেশের পশ্চাদপদ জেলাগুলোর মধ্যে কুড়িগ্রাম অন্যতম। এই জেলায় ৬৩.৬৭ ভাগ দরিদ্র [...]

The post ঢাকা-কুড়িগ্রাম আন্তঃনগর ট্রেনের দাবিতে কমলাপুরে মানববন্ধন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
প্রকৌ. রূপম রাজ্জাকঃ
ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম আন্তঃনগর ট্রেনের দাবিতে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনের সামনে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৩০শে জানুয়ারী শনিবার সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনের আয়োজন করে রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি, কুড়িগ্রাম।

এতে ঢাকাস্থ কুড়িগ্রাম সমিতির মহাসচিব সাইদুল আবেদিন ডলার বলেন, ‘দেশের পশ্চাদপদ জেলাগুলোর মধ্যে কুড়িগ্রাম অন্যতম। এই জেলায় ৬৩.৬৭ ভাগ দরিদ্র মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে কুড়িগ্রাম জেলার বাঞ্ছনার ইতিহাস। এই জেলার দরিদ্র জনগোষ্ঠির অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হলো যোগাযোগ ব্যবস্থা। কাঁচামাল ও শ্রমশক্তির সহজলভ্যতা থাকা সত্বেও কুড়িগ্রাম জেলায় কোনো শিল্প কারখানা গড়ে উঠছেনা যোগযোগ ব্যবস্থার অভাবে। যে কারণে এ জেলার বেকার জনগোষ্ঠির জন্য তৈরী হচ্ছেনা কোনো কর্মসংস্থান।’

ইউএনডিপি’র একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সড়কপথে যেখানে একটন পণ্য পরিবহন করতে খরচ হয় ২১৭ টাকা, সেখানে রেলপথে খরচ হয় শুধুমাত্র ৮৫ টাকা। শুধু পণ্য পরিবহন নয় যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রেও সড়ক পথের চেয়ে রেলপথ অনেক বেশি নিরাপদ মাধ্যম।

রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি’র সহ-সমন্বয়ক আ. সোবহান জুয়েল বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে এই রমনা রুটে কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ২০১২ সালে পৃথকভাবে রেল মন্ত্রণালয় করা হয়েছে, বেড়েছে বাজেট, বেড়েছে ভাড়া। কিন্তু সেই অনুযায়ী রেলের উন্নয়ন হয়নি। সংগঠনের পক্ষ থেকে মাননীয় রেলমন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে দেখা করেছিলাম, তিনি আমাদের আশ্বস্থ করেছিলেন অবিলম্বে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম একটি আন্তঃনগর ট্রেন চালুর ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি তার সে কথা রাখেন নাই। আমরা কুড়িগ্রামবাসীর পক্ষ থেকে রেলমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি ঢাকা-কুড়িগ্রাম আন্তঃনগর ট্রেন চালু করে কুড়িগ্রামবাসীর প্রাণের দাবি পূরণ করুন।’

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক কাদের বাবু, কুড়িগ্রাম সমিতির দফতর সম্পাদক আ. কাইয়ুম রঞ্জু, রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মোনসেফা আক্তার তৃপ্তি, সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ রিপন প্রমুখ।

তথ্যসূত্রঃ http://www.breakingnews.com.bd/articles/national/breakingnews.84468.details

The post ঢাকা-কুড়িগ্রাম আন্তঃনগর ট্রেনের দাবিতে কমলাপুরে মানববন্ধন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>