লালমনিরহাট Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=লালমনিরহাট কুড়িগ্রাম জেলার তথ্য ও সংবাদ Sun, 15 May 2022 16:50:30 +0000 en-US hourly 1 https://www.ulipur.com/wp-content/uploads/2022/10/1665889308.png লালমনিরহাট Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=লালমনিরহাট 32 32 ফুলবাড়ীতে এক গুচ্ছগ্রামে দুই জেলার মানুষ https://www.ulipur.com/?p=17332 Sun, 15 May 2022 14:16:27 +0000 https://www.ulipur.com/?p=17332 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।। ফুলবাড়ীতে এক গুচ্ছগ্রামে থাকছে দুই জেলার মানুষ। পারস্পারিক সমঝোতায় একসাথে বসবাস করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে বরাদ্দ না পাওয়ায় হতাশ বহিরাগত জেলার পরিবারগুলো। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চর গোড়কমন্ডপ গুচ্ছগ্রামে। সরেজমিন দেখা যায়, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৮ সালে ধরলা নদীর ধূ-ধূ বালুচরে ৩৫৩ মেট্রিকটন বরাদ্দকৃত চালের বিপরীতে ৫ একর জমিতে [...]

The post ফুলবাড়ীতে এক গুচ্ছগ্রামে দুই জেলার মানুষ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
ফুলবাড়ীতে এক গুচ্ছগ্রামে থাকছে দুই জেলার মানুষ। পারস্পারিক সমঝোতায় একসাথে বসবাস করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে বরাদ্দ না পাওয়ায় হতাশ বহিরাগত জেলার পরিবারগুলো। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চর গোড়কমন্ডপ গুচ্ছগ্রামে।

সরেজমিন দেখা যায়, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৮ সালে ধরলা নদীর ধূ-ধূ বালুচরে ৩৫৩ মেট্রিকটন বরাদ্দকৃত চালের বিপরীতে ৫ একর জমিতে ফুলবাড়ী উপজেলার ভূমিহীন ৬০টি পরিবারের জন্য গুচ্ছগ্রামটি নির্মাণ করে দেয়া হয়। গুচ্ছগ্রাম লাগোয়া লালমনিরহাট জেলার মোগলহাট ইউনিয়নের বুমকা ও চরফলিমারী গ্রাম। নাওডাঙ্গা থেকে গুচ্ছগ্রামটি যেতে ধরলা নদীর শাখা পেরুতে হয়। এছাড়াও গুচ্ছগ্রামের দু’পাশেই রয়েছে ধরলা নদী। ফলে ফুলবাড়ী উপজেলার মানুষ জনবসতহীন গুচ্ছগ্রামটিতে যেতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। অপরদিকে গুচ্ছগ্রামের পাশেই লালমনিরহাট জেলার মোগলহাট ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম অবস্থিত। বন্যার সময় বসতবাড়ীতে পানি উঠলে লালমনিরহাট অঞ্চলের মানুষ উঁচু গুচ্ছগ্রামটিতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। ২০২০ সালের বন্যা ও নদী ভাঙনের ফলে লালমনিরহাট জেলার বুমকা ও চরফলিমারী গ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবার এখানে এসে আশ্রয় গ্রহন করে। পরবর্তীতে ১৫টি পরিবার গত দুবছর ধরে সেখানে আশ্রয় নিয়ে আসছে। এখানকার ৬০টি বসতবাড়ী বিপরীতে মাত্র ১৭টি পরিবার বসবাস করছে। এরধ্যে মাত্র দুটি পরিবার ফুলবাড়ী উপজেলার।

নৌকায় মাঝি ছফর আলী জানান, ফুলবাড়ী থেকে গুচ্ছগ্রামটি দূরে হওয়ায় যারা বরাদ্দ পেয়েছে তারা এখানে থাকে না। ফলে আমরা লালমনিরহাট জেলার ১৫টি পরিবার এখানে বসবাস করছি। আমরা ফুলবাড়ীতে আবেদনও করেছি। কিন্তু কোন সাঁড়া পাইনি।

গুচ্ছগ্রামের ফুলবাড়ী এলাকার বাসিন্দা জরিমন জানান, অবস্থাপন্নদের ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তারা ঘরগুলোতে বিভিন্ন মালামাল রেখে তালা দিয়ে রেখেছেন। থাকছেন নদীর ওই পারে নিজস্ব বাড়ীতে।

একই কথা জানালেন লালমনিরহাট এলাকার অধিবাসী নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, গুচ্ছগ্রামটিতে আসার কোন রাস্তা নেই। বিদ্যুৎ সুবিধা নেই। জনহীন এলাকা হওয়ায় রাতে কন্যাসন্তান-বউঝিদের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় থাকেন তারা। ফলে অনেকেই এখানে থাকার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। বিশেষ করে দিনমজুর পরিবারগুলোর এখানে কোন কাজকর্ম না থাকায় তারা আর এখানে আসছেন না। আমাদেরকে ঘর বরাদ্দ দিলে তাদের কোন আপত্তি থাকবে না।

নাওয়াঙ্গা ইউনিয়নের গোড়কমন্ডপ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আয়েজ উদ্দিন জানান, অপরিকল্পিতভাবে এই গুচ্ছগ্রামটি প্রায় লালমনিরহাট সীমান্তে স্থাপন করা হয়েছে। ফলে আমার এলাকার মানুষ ওই ধূ-ধূ বালুচরে কেন থাকবে। এখন যেহেতু গুচ্ছগ্রামের ঘরগুলো ফাঁকা রয়েছে সেখানে লালমনিরহাট জেলার মানুষ থাকলে আমার কোন আপত্তি নেই। কারণ তারা বাংলাদেশের নাগরিক। তারা নদী ভাঙনে স্বর্বস্থ হারিয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উচিৎ দ্রুত তাদের নামে ঘরগুলো বরাদ্দ দেয়া। এতে প্রধানমন্ত্রীর একটি মানুষও গৃহীন থাকবে না কথাটি স্বার্থক হবে।

এনিয়ে ফুলবাড়ী উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সবুজ কুমার গুপ্ত জানান, গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ, পরিকল্পনা ও ঘর বরাদ্দে কোন অনিয়ম হয়নি। লালমনিরহাট জেলার অধিবাসীরা আবেদন করেছে স্বীকার করে তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করবো।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বিষয়টি আমার নলেজে এসেছে। আমি সরেজমিনে এলাকাটি ঘুরে দেখেছি। প্রকৃত ভূমিহীন যদি অন্য জেলার মানুষও হয় তাহলেও আমরা খতিয়ে দেখবো।

The post ফুলবাড়ীতে এক গুচ্ছগ্রামে দুই জেলার মানুষ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
তিস্তার ইতিবৃত্ত ও আমাদের বুড়ি তিস্তা https://www.ulipur.com/?p=3341 Tue, 07 Mar 2017 05:54:51 +0000 http://www.ulipur.com/?p=3341 ভাঙ্গাগড়া-উত্থান-পতনের মাঝ দিয়ে এ আদি নদীটি প্রবাহিত হচ্ছে বহুকাল ধরে। এ নদীটিকে হিন্দু ধর্মমতে ‘পবিত্র’ নদী বলা হয়। কথিত আছে যে, দেবী পার্বতীর স্তন হতে এ নদীর জন্ম। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বাংলাদেশের নদ-নদী সমূহের হাইড্রোলজিক্যাল প্রতিবেশ অঞ্চলকে মোট ১৭টি হাইড্রোলজিক্যাল অঞ্চলে ভাগ করেছে। পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ড ৫৭ টি সীমান্ত ও অভিন্ন নদ-নদীর তালিকা [...]

The post তিস্তার ইতিবৃত্ত ও আমাদের বুড়ি তিস্তা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
ভাঙ্গাগড়া-উত্থান-পতনের মাঝ দিয়ে এ আদি নদীটি প্রবাহিত হচ্ছে বহুকাল ধরে। এ নদীটিকে হিন্দু ধর্মমতে ‘পবিত্র’ নদী বলা হয়। কথিত আছে যে, দেবী পার্বতীর স্তন হতে এ নদীর জন্ম।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বাংলাদেশের নদ-নদী সমূহের হাইড্রোলজিক্যাল প্রতিবেশ অঞ্চলকে মোট ১৭টি হাইড্রোলজিক্যাল অঞ্চলে ভাগ করেছে। পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ড ৫৭ টি সীমান্ত ও অভিন্ন নদ-নদীর তালিকা তৈরি করেছে। ৩টি বাদে বাকী ৫৪টি নদ-নদী ভারত থেকে প্রবাহিত। বাংলাদেশের এই আন্তঃরাষ্ট্রিক প্রধান অভিন্ন সীমান্ত নদীসমূহের ভেতর তিস্তা চতুর্থতম। প্রাতিষ্ঠানিক নদীবিজ্ঞান অনুযায়ী বাংলাদেশের নদীসমূহকে প্রধান, উপনদী, শাখা নদী, স্বাধীন নদী নামে ভাগ করা হয়। এর ভেতর তিস্তা বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে একটি উপনদী। তিস্তা নদীর মোট দৈর্ঘ্য ৩১৫ কি.মি.। উত্তর-পশ্চিম হাইড্রোলজিক্যাল অঞ্চলের ৯৬টি নদীর ভেতর তিস্তার আইডি নাম্বার ১৩১।

উৎপত্তি :- সিকিম এবং তিব্বতের সংয়োগকারী পর্বত অঞ্চলে সো-লামু/চালামু/লাহামো লাৎসা পাহাড়ি হ্রদের অবস্থান। উত্তর সিকিমের ৬.৫ কি.মি দীর্ঘ এবং ২.৫ কি.মি প্রশস্থ এই পবিত্র হ্রদ থেকেই তিস্তার জন্ম। স্থানীয়দের কাছে এই হ্রদ তিব্বত রক্ষাদেবীর জীবন-হ্রদ হিসেবে বিবেচিত। সমুদ্র সমতল থেকে ১৭,৪৮৭ ফুট উঁচুতে হিমালয় পর্বতের সো-লামু হ্রদ ছাড়াও গুরুডংমার হ্রদও তিস্তার আরেক জননী।

নামকরন:- সিকিম পাহাড় থেকে নেমে এই জলধারা রাংগিত নদী নামে প্রবাহিত হয়ে জলপাইগুড়িতে পূর্বদিকে করতোয়া, পশ্চিমে পূনর্ভবা এবং মধ্যে আত্রাই নামে তিনটি ভাগে প্রবাহিত হয়েছে। তিনটি স্রোতস্বী নদীর মিলিত রূপকেই ‘ত্রিস্রোতা’ হিসেবে ডাকতে ডাকতে একসময় নদীটির নাম তিস্তা হয়ে যায় বলে অনেকের ধারণা করা হয় ।প্রবাহিত অঞ্চল:- সিকিম থেকে উৎপন্ন হয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে তিস্তা বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার ডিমলার ছাতনাই এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার ডিমলা, পাটগ্রাম, জলঢাকা, গংগাচড়া, হাতিবান্ধা, কালিগঞ্জ, কাউনিয়া, রাজারহাট, লালমনিরহাট, চিলমারী, সুন্দরগঞ্জ, পীরগাছা ও উলিপুর এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কুড়িগ্রামের চিলমারীর কাছে ব্রহ্মপুত্র নদে মিলিত হয়েছে এই নদীটি ।এই মূল তিস্তা ছাড়াও উত্তর-পূর্ব হাইড্রোলজিক্যাল অঞ্চলের আরও দুটি নদীর নাম তিস্তা। এদের একটি বুড়ি তিস্তা নামে এবং আরেকটি মরা তিস্তা নামে প্রবাহিত।

বুড়ি তিস্তা ও মরা তিস্তার প্রবাহ তট:- রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল থেকে উৎপন্ন এবং বদরগঞ্জের যমুনেশ্বরী নদীতে মিলিত হওয়া ১৮ কি.মি. দৈর্ঘ্য এবং ২০ বর্গ কি.মি অবববাহিকার একটি নদীর নাম মরাতিস্তা যার (আইডি নাম্বার-২৪৮)। সীমান্ত নদী বুড়ি তিস্তা (আইডি নাম্বার-১৮৮) নীলফামারীর ডোমার দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে জলঢাকা এলাকায় তিস্তার সাথে মিলিত হয়েছে। বুড়ি তিস্তার দৈর্ঘ্য ৩৫ কি.মি. এবং মোট অববাহিকা ৭০ বর্গ.কি.মি.।প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট ‘বুড়িতিস্তা’উলিপুরের একটি ঐতিহ্যবাহী নদী। যা একসময় প্রমত্তা ছিল। ১৮৯৮ সালের ভূমিকম্পে নদীটি তার যৌবন হারিয়ে মৃতপ্রায় হতে থাকে।এখন প্রশ্ন আসতেই পারে তবে উলিপুর যে নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে তার নাম কি.? বুড়ি তিস্তা না আদি তিস্তা। আসলে এ নদীটি আদি তিস্তা কিন্তু কালের পরিক্রমা ও এই এলাকার সহজ সরল মানুষদের মাধ্যমে এটি বুড়ি তিস্তা নামে পরিচিত হয়েছে।

যে নদীটি উলিপুর উপজেলা গঠণ ও সমৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখলো তাকে কতিপয় ভূমিখেকোর জন্য মৃত হতে দিতে পারিনা আপন সংস্কৃতি ভাষা কৃষ্টি ও ঐতিহ্য কে কতিপয় মানুষের হাতে মরতে দিতে পারিনা। তাই আসুন ‘বুড়ি তিস্তা/আদি তিস্তা বাঁচাই উলিপুর কে বাঁচাই। ”
অতীতেও এমন অনেক সভ্যতা আছে যারা লোভের বশবর্তী হয়ে নদীকে মেরে ফেলে নিজেদের সর্বনাশ ডেকে এনেছে (মহিনদাজারো সভ্যতা যেমন)। আমরা তা করতে চাই না আমরা এই বুড়িতিস্তা বাঁচিয়ে রাখতে চাই, উলিপুর কে  বাঁচাতে চাই,উলিপুরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে  বাঁচাতে চাই   ।

মিনহাজ মিজান,

কার্যকরী সদস্য,রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি,উলিপুর  উপজেলা শাখা

The post তিস্তার ইতিবৃত্ত ও আমাদের বুড়ি তিস্তা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>