শীত Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=শীত কুড়িগ্রাম জেলার তথ্য ও সংবাদ Fri, 02 Feb 2024 04:35:43 +0000 en-US hourly 1 https://www.ulipur.com/wp-content/uploads/2022/10/1665889308.png শীত Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=শীত 32 32 উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা https://www.ulipur.com/?p=30120 Fri, 02 Feb 2024 04:35:43 +0000 https://www.ulipur.com/?p=30120 ।। উপজেলা প্রতিনিধি ।। উলিপুরে নিউমোনিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর অন্তর্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ জন রোগী আসে। বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৬২ জন তার মধ্যে শিশুর সংখ্যা ১১ জন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেঝে ও বারান্দায় থেকেই চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন রোগীরা। [...]

The post উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
উলিপুরে নিউমোনিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর অন্তর্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ জন রোগী আসে। বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৬২ জন তার মধ্যে শিশুর সংখ্যা ১১ জন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেঝে ও বারান্দায় থেকেই চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন রোগীরা। তবে মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নেওয়াটা যেমন রোগীর জন্য স্বাস্থ্যসম্মত নয়, তেমন দৃষ্টিকটু ও অশোভন।

কুড়িগ্রাম জেলার অন্যতম বৃহৎ একটি উপজেলা উলিপুর। একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নের জনসংখ্যা প্রায় ৭ লক্ষ। ১৯৮২ সালে উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার ৪১ বছরেও নির্মিত হয়নি শিশু ওয়ার্ড ও ডায়রিয়া ওয়ার্ড। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় ১০টি শয্যায় ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।

সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানা গেছে, ১৮ থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে জেলায় মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় শীতের প্রকোপ বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত নানা রোগ। গত ১০ দিনে ঠান্ডাজনিত নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ নানা রোগে শিশু ও বৃদ্ধ মানুষ ভর্তি হয়েছে দুই শতাধিক। বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১১ জন শিশুসহ ১৩ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শয্যা না পেয়ে অনেক রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেঝে ও বারান্দায় অবস্থান নিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছেন।

উৎসব (১১ মাস) ও আহসান হাবীব (১৬ মাস) নামের দুইজন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর স্বজনেরা জানান, শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডের কোন ব্যবস্থা নেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, অবস্থা খুব খারাপ। পুরো বারান্দায় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী দিয়ে ভর্তি। অনেক রোগী বেড না পেয়ে মেঝেতে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। শীতের সঙ্গে সঙ্গে ডায়রিয়া রোগীদের ভোগান্তিও বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্বিগুণ হারে।

ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী শামীমা বেগম (২৮) ও মিনারা বেগম (৩০) জানান, বারান্দার গ্রিলে টাঙানো হয়েছে ছেড়া পলিথিন, দিন-রাত শো শো করে বাতাস আসে ভিতরে। শীতের কনকনে ঠান্ডায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন তারা। নিরুপায় হয়ে এমন পরিবেশে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে তাদের।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স ইনচার্জ মাহবুবা বেগম জানান, ঠান্ডাজনিত কারণে ডায়রিয়ায় শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। প্রয়োজনের তুলনায় বেড না থাকায় এত সংখ্যক রোগীকে মেঝেতে বিছানা পেতে দিয়ে সবাইকে চিকিৎসা দিতে সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন তারা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেরুল ইসলাম বলেন, শীতজনিত রোগ বাড়লেও চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে সুরক্ষায় অভিভাবকদের সচেতনতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মেশকাতুল আবেদ বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি ৩১ শয্যা থেকে ধীরে ধীরে ৫০ শয্যায় রূপান্তরিত হলেও কিন্তু ভবন বাড়ে নি। যার কারণে এখনও আলাদাভাবে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ড নেই। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিশেষ করে শিশু বিশেষজ্ঞ ও গাইনি ডাক্তার নেই। তবুও সীমিত জনবল দিয়েও রোগীদের যথাসাধ্য চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

//নিউজ//উলিপুর//মালেক/ফেব্রুয়ারি/০১/২৪

The post উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৮ https://www.ulipur.com/?p=29914 Fri, 26 Jan 2024 06:48:42 +0000 https://www.ulipur.com/?p=29914 ।। নিউজ ডেস্ক ।। মাঘের শীতে কাবু হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রাম। কয়েকদিন থেকে দিনের ভাগে রোদের দেখা মিললেও রাতে ও সকালে জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারী শৈত্য প্রবাহ। কনকনে ঠান্ডা ও শীতের দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশায় ঢেঁকে গেছে গোটা জনপদ। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না। আজ শুক্রবার (২৬ [...]

The post কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৮ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
মাঘের শীতে কাবু হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রাম। কয়েকদিন থেকে দিনের ভাগে রোদের দেখা মিললেও রাতে ও সকালে জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারী শৈত্য প্রবাহ। কনকনে ঠান্ডা ও শীতের দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশায় ঢেঁকে গেছে গোটা জনপদ। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না।

আজ শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় শীত কষ্টে পড়েছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমরসহ ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষজন।

ঘন-কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের তীব্রতা। তীব্র ঠান্ডায় মানুষজন খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছে। জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট,সর্দি কাশিসহ শীত জনিত রোগীর সংখ্যা। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নীচে থাকায় জেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের ২ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের হোসেন আলী বলেন , ২২ দিন থাকি ঠান্ডা, কাজ কামাই করতে পারছি না। আমরা যারা দিন করে দিন খাই, আমারগুলার সমস্যা হইছে। ওই এলাকার মোক্তার আলী নামের এক শ্রমিক বলেন, সকালে যখন বোরো ধানের বীজতলায় কাজ করি, তখন হাত পা বরফ হয়ে যায়। অনেকদিন থাকি ঠান্ডায় অবস্থা খারাপ।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, জানুয়ারি মাস জুড়েই তাপমাত্রা এরকম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ মাসের ২৮ তারিখের পর তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।

The post কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৮ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস https://www.ulipur.com/?p=29810 Sun, 21 Jan 2024 11:54:59 +0000 https://www.ulipur.com/?p=29810 ।। নিউজ ডেস্ক ।। কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে আবারও মৃদ্যু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মাঘের শুরুতে ঘনকুয়াশার সাথে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবি, ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষজন। গত দুইদিন তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও রোববার কমে দাড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। এ কারণে জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার [...]

The post কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে আবারও মৃদ্যু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মাঘের শুরুতে ঘনকুয়াশার সাথে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবি, ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষজন। গত দুইদিন তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও রোববার কমে দাড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। এ কারণে জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ। গত বৃহস্পতিবার হিমাঙ্কের পারদ ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস এ নামায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আনুষ্ঠানিক ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নোটিশ জারি করা হয়। নোটিশে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা বলা হয়।

রোববার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত বেশী ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।

দিনের অধিকাংশ সময় সুর্য্যের দেখা মিলছে না। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্য কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকেল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হচ্ছে। গরম কাপড়ের অভাবে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিতে দেখা গেছে।

জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, শীত নিবারনে জেলার ৯টি উপজেলায় প্রায় ৭০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের হালিমা বেগম নামের এক নারী বলেন, “এতো ঠান্ডা যাবাইছে কাউও এলাও কম্বল দেয় নাই। খুব একটা সমস্যাত আছি। এই সময়োত কম্বল পাইলে হামার খুব উপকার হইবে বাহে।”

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ রকম তাপমাত্রা আরও দুই একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, শৈত্য প্রবাহের কারণে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত এ নির্দেশ অব্যাহত থাকবে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রীর উপরে উঠলে পরবর্তী নতুন নির্দেশনা দেয়া হবে।

The post কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
শীত ও কুয়াশায় কাঁপছে কুড়িগ্রাম, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৫ https://www.ulipur.com/?p=29425 Wed, 03 Jan 2024 07:38:46 +0000 https://www.ulipur.com/?p=29425 ।। নিউজ ডেস্ক ।। ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় কাপছে কুড়িগ্রাম। আজ বুধবার (০৩ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকালের তুলনায় ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমেছে। জানা গেছে, উত্তরীয় হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে ঠান্ডার মাত্রা। এদিকে ঘন কুয়াশা থাকায় বিঘ্নিত হচ্ছে বিভিন্ন যান চলাচল। দিনের বেলায় সড়কে হেট [...]

The post শীত ও কুয়াশায় কাঁপছে কুড়িগ্রাম, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৫ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় কাপছে কুড়িগ্রাম। আজ বুধবার (০৩ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকালের তুলনায় ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমেছে।

জানা গেছে, উত্তরীয় হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে ঠান্ডার মাত্রা। এদিকে ঘন কুয়াশা থাকায় বিঘ্নিত হচ্ছে বিভিন্ন যান চলাচল। দিনের বেলায় সড়কে হেট লাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে যাতায়াত করতে দেখা গেছে।

আজ সকাল ৭ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা তাপমাত্রা ঠিক থাকলে রাতে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে বলে জানান কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস। দুদিন থেকে উত্তরীয় হিমেল বাতাসে সবচেয়ে কষ্টে পড়েছে জেলার ১৬ টি নদ-নদীর অববাহিকার বাসিন্দারা। আর রাতে বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। সকালে কাজের সন্ধানে ছুটে চলা মানুষজন পড়ছে ভোগান্তির মুখে। তীব্র ঠান্ডায় সবজি ক্ষেত ও বীজতলা নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা নিয়ে দুঃশ্চিন্তা পড়েছেন কৃষকেরা।

সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের শ্রমিক আহসান হাবীব বলেন, দুইদিন থেকে খুব ঠান্ডা। সকালে সাইকেল চালানো যাচ্ছে না। সকালে সাইকেল চালালে মনে হয় জীবন বাইর হয়ে যায়। ঠান্ডায় হাত-পা বরফ হয়ে যায়।

জহুরুল নামের একজন বলেন, শীতকালে আমাদের মতো মানুষের খুব কষ্ট। কারণ মানুষ ঘুম থেকে নাই উঠতে আমাদের মাঠে যেতে হয়। ঠান্ডায় মাঠে কাজ করা সেই সমস্যা। কি আর করার কন, কাজ না করলে তো আর জীবন চলবে না।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে বলে জানান তিনি। শৈত্য প্রবাহ কবে নাগাদ হতে পারে তা দুপুরের মধ্যে জানানো যাবে।

The post শীত ও কুয়াশায় কাঁপছে কুড়িগ্রাম, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৫ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন https://www.ulipur.com/?p=29385 Tue, 02 Jan 2024 05:46:58 +0000 https://www.ulipur.com/?p=29385 ।। নিউজ ডেস্ক ।। কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় জুবুথুবু হয়ে পড়েছে জনপদ। জেলার সড়ক ও নৌ পথে ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হয়েছে চলাচল ব্যবস্থা। ফলে দিনের বেলা সড়ক পথে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহনগুলো। এদিকে গত তিন দিন ধরে কনকনে ঠান্ডায় ভোগান্তির মুখে পড়েছে মানুষজন। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশু বয়সীরা পড়েছে চরম বিপাকে। [...]

The post কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় জুবুথুবু হয়ে পড়েছে জনপদ। জেলার সড়ক ও নৌ পথে ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হয়েছে চলাচল ব্যবস্থা। ফলে দিনের বেলা সড়ক পথে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহনগুলো। এদিকে গত তিন দিন ধরে কনকনে ঠান্ডায় ভোগান্তির মুখে পড়েছে মানুষজন। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশু বয়সীরা পড়েছে চরম বিপাকে। শীত নিবারণের পর্যাপ্ত কাপড় না থাকায় ঠান্ডাজনিত রোগে ভুগছেন তারা।

কুড়িগ্রাম রাজার হাট আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) সকাল ৬ টায় জেলায় ১৩.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দিনের বেলা তাপমাত্রা ঠিক থাকলেও রাতে তাপমাত্রা কমতে থাকবে বলে জানান অফিসটি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার প্রায় সাড়ে চারশত চরাঞ্চলে শীতের প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টির মতো ঝরে পড়া কুয়াশায় কাজের সন্ধানে ছুটে চলা মানুষজন পড়ছে ভোগান্তির মুখে। তীব্র ঠান্ডায় সবজি ক্ষেত ও বীজতলা নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা নিয়ে তাদের দুঃশ্চিন্তা দিন দিন বেড়েই চলছে।

কুড়িগ্রাম পৌর শহরের টাপু ভেলাকোপা গ্রামের মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, আমি হোটেলে কাজ করতে যাচ্ছি। সারারাত কনকনে ঠান্ডা দিনের বেলাও একই অবস্থা। এমন অবস্থায় আমার মতো খেটে খাওয়া মানুষজনের কষ্টের শেষ নেই। কাজ না করে ঘরে বসে থাকলে তো পেটে ভাত জুটবে না।

ধরলার পাড়ের নজরুল ইসলাম বলেন, দু-তিন দিন ধরে খু্ব ঠান্ডা পড়তেছে। সকালে উঠে জমিতে কাজে যেতে হয়। কাজ করতে গিয়ে হাত-পা বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।

কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র বলেন, জেলায় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রাতে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে বলে জানান তিনি। তবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী এ মাসে একটি শৈত্য প্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

 

The post কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
জেনে নিন শীতকালে রোদ শরীরের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর https://www.ulipur.com/?p=29326 Mon, 01 Jan 2024 06:51:48 +0000 https://www.ulipur.com/?p=29326 ।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।। শীতের সময়ে শহুরে জীবনে তেমন একটা রোদ পোহানো দেখা না গেলেও গ্রামাঞ্চলে এখনো গায়ে রোদ পোহানোর বিষয়টি দেখা যায়। তার উপর আবার অনেকেরই শীতের সকালের রোদ স্বাভাবিকভাবেই খুব মিষ্টি লাগে। তবে শীতকালে রোদ পোহানো কি আসলেই ভালো নাকি ক্ষতিকর? সাধারণত শীতকালে পৃথিবীর বাইরে থাকা ওজন লেয়ার অনেক পাতলা হয়ে যায়। ফলে [...]

The post জেনে নিন শীতকালে রোদ শরীরের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
শীতের সময়ে শহুরে জীবনে তেমন একটা রোদ পোহানো দেখা না গেলেও গ্রামাঞ্চলে এখনো গায়ে রোদ পোহানোর বিষয়টি দেখা যায়। তার উপর আবার অনেকেরই শীতের সকালের রোদ স্বাভাবিকভাবেই খুব মিষ্টি লাগে। তবে শীতকালে রোদ পোহানো কি আসলেই ভালো নাকি ক্ষতিকর? সাধারণত শীতকালে পৃথিবীর বাইরে থাকা ওজন লেয়ার অনেক পাতলা হয়ে যায়। ফলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি অনেক বেশি গায়ে অনুভূত হয়। এর বাইরে শীতের সময়ে ত্বকের মেলানিন উৎপাদন কমে গিয়ে অতিবেগুনি রশ্মির রেডিয়েশন ত্বকের উপর বেশি করে পড়ে। এছাড়া দীর্ঘক্ষণ রোদের মধ্যে থাকলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং এর ফলে বেড়ে যেতে পারে স্কিন ক্যানসারের সম্ভাবনাও।

ভারতীয় গণমাধ্যমের নেচারোপ্যাথি বিশেষজ্ঞ ডা. অমরেন্দ্রনাথ দাস বলছেন, গায়ে রোদ লাগানোর অনেক উপকারিতা রয়েছে। তবে সেটি পরিমিত। পরিমিত রোদ পোহালে মন চনমনে হয় এবং শরীর সতেজ থাকে। কর্মক্ষমতা বাড়ে এবং রক্তসঞ্চালণ ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। তবে দীর্ঘ সময় রোদ না পোহানোর ক্ষেত্রে বেশকিছু বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছেন ভারতীয় গণমাধ্যমের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম মুখোপাধ্যায়, নেচারোপ্যাথি বিশেষজ্ঞ ডা. অমরেন্দ্রনাথ দাস ও রেডিওথেরাপিস্ট ডা. সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়।

চলুন জেনে নেয়া যাক শীতে রোদ পোহানোর ক্ষেত্রে যে বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরীঃ-
শীতে দীর্ঘক্ষণ রোদে না থাকা: শীতকালে বেশি সময় ধরে রোদে থাকা যাবে না। কারণ শীতে বেশি সময় রোদে থাকার ফলে ত্বকের স্বাভাবিক রং হারিয়ে যায় এবং সেই সঙ্গে ত্বকের বলিরেখা পড়তে থাকে ও পুুরু হতে দেখা যায়। ফলে সামান্য আঘাত পাওয়া মাত্রই ত্বকে কালশিটে দাগ হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর প্রভাবে অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে স্কিন ক্যানসারও হতে দেখা যায়।

হার্ট বা রক্তচাপ রোগী সাবধান: হার্ট বা রক্তচাপ রোগীদের লম্বা সময় ধরে রোদে থাকা একেবারেই উচিত নয়। এসব রোগীরা দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে তাদের প্রাণঘাতী হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। সুধু তাই নয়, স্কিন অ্যালার্জি বা জ্বর থাকা অবস্থায় রোগীদের রোদে যাওয়া যাবে না। তবে প্রয়োজন হলে মাথায় ভেজা তোয়ালে বা গামছা দিয়ে রোদে যেতে হবে এবং ২০ থেকে ২৫ মিনিটের বেশি সময় থাকা যাবে না।

খাওয়ার পর রোদে না যাওয়া: অনেকেই আছেন যারা খাওয়ার পর রোদে যায়, কিন্তু খাবার খাওয়ার পর রোদে যাওয়া উচিত নয়। তবে রোদে যেতে হলে অন্তত খাওয়ার দুই বা এক ঘণ্টা পর যেতে হবে বলে জানিয়েছেন নেচারোপ্যাথি বিশেষজ্ঞ ডা. অমরেন্দ্রনাথ দাস।

 

The post জেনে নিন শীতকালে রোদ শরীরের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
শিশুর অ্যাডিনয়েড সমস্যার লক্ষণ ও করণীয় https://www.ulipur.com/?p=28695 Wed, 27 Dec 2023 07:03:09 +0000 https://www.ulipur.com/?p=28695 ।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।। শীতের শুষ্ক ও দমকা বাতাস সাথে প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে শিশুদের সর্দি-জ্বর প্রায় সময়ই হতে দেখা যায়। শিশুদের এই সর্দি-জ্বর হওয়া অতি সাধারণ সমস্যা মনে হলেও কখনো কখনো দীর্ঘ সময় ধরে ঠান্ডা ও কাশি থাকার ফলে নাকের পেছনে মাংস বেড়ে গিয়ে অ্যাডিনয়েড গ্রন্থির সমস্যা হতে দেখা যায়। নাকের পেছনে ও তালুর উপরে [...]

The post শিশুর অ্যাডিনয়েড সমস্যার লক্ষণ ও করণীয় appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
শীতের শুষ্ক ও দমকা বাতাস সাথে প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে শিশুদের সর্দি-জ্বর প্রায় সময়ই হতে দেখা যায়। শিশুদের এই সর্দি-জ্বর হওয়া অতি সাধারণ সমস্যা মনে হলেও কখনো কখনো দীর্ঘ সময় ধরে ঠান্ডা ও কাশি থাকার ফলে নাকের পেছনে মাংস বেড়ে গিয়ে অ্যাডিনয়েড গ্রন্থির সমস্যা হতে দেখা যায়। নাকের পেছনে ও তালুর উপরে থাকা অ্যাডিনয়েড গ্রন্থিতে হওয়া সমস্যাটি দেখতে টনসিলের মতোই। ঊর্ধ্ব শ্বাসনালির ঘন ঘন সংক্রমণ, অ্যালার্জি ও বিশেষ করে অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণে অ্যাডিনয়েড গ্রন্থি বড় হতে থাকে।

শিশুর অ্যাডিনয়েড গ্রন্থির এ ধরণের সমস্যা দেখার জন্য বিশেষ কোন অ্যান্ডোস্কোপ অথবা ন্যাসোফেরিংস এক্সরের মাধ্যমে দেখে শিশুর অ্যাডিনয়েড গ্রন্থি বড় হয়েছে কিনা তা জানা যায় এবং পরিমিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়ে থাকে।

শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. ফারহানা ফারুক তন্দ্রা বলেন, শীতের সময় দেখা যায় যে শিশুরা পোশাক ঠিকমতো পড়তে চায় না, ফলে তাদের কান হয়তো বাইরে থাকে এবং তারা ঠান্ডা পানি খায়, যেকারণে বেশিরভাগ সময়ই তারা রোগাক্রান্ত হয়ে পরে। শিশুরা শীতের সময় ঠান্ডা পানি ও ঠান্ডা বাতাসের সাথে নিজেকে খাপ-খাওয়াতে পারে না। ফলে শিশুদের টনসিল হয়। শীতের সময় বাতাসে অনেক জীবাণু বেশি থাকে। বিশেষ করে ভাইরাস বেশি থাকে যা শ্বাস নালীর মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করে ইনফ্লুয়েঞ্জা ও মামসের মতো বড় রোগের সৃষ্টি করতে পারে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক শিশুর অ্যাডিনয়েড গ্রন্থির সমস্যার লক্ষণগুলোঃ-
★ শিশুরা ঘুমানোর সময় মুখ হা করে ঘুমিয়ে থাকে।
★ ঘুমানোর সময় নাক ডেকে বা শব্দ করে ঘুমানো এবং কখনো দম বন্ধ হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় ও ঘুম থেকে উঠে যায়।
★ সবসময় সর্দি-কাশি লেগে থাকে এবং সহজে তা প্রতিরোধ করা যায় না।
★ লসিকাগ্রন্থি বড় হয়ে নাকের মাংস বেড়ে যায়।
★ কানে কম শোনার সমস্যা, কান ঘন ঘন ব্যথা করা বা ইনফেকশন ও কানের পর্দা ফেটে যায়।
★ গলার মধ্যে ঘন ঘন ইনফেকশন হওয়া, খুসখুসে কাশি ও গলার স্বর পালটে যাওয়া।

করণীয়                                                                                                                                                                                   ★ অ্যাডিনয়েডের সমস্যায় যেসকল শিশু ভুগে থাকে, সাধারণত তাদের মধ্যে অনেকেরই অ্যাডিনয়েড গ্রন্থি ১২ থেকে ১৪ বছর বা তার চেয়েও বেশি দিন পর্যন্ত সমস্যাটি সম্পূর্ণভাবে ভালো হয় না।
★ অ্যাডিনয়েডের সমস্যায় কোনা রকম কিছু না করে শিশুকে অনাবশ্যক জটিল অবস্থার মধ্যে ফেলে রাখা কোনোমতেই ঠিক কাজ নয়।
★ শিশুদের উপরোক্ত কোনো লক্ষণ দেখা দিলে তার যথাযোগ্য চিকিৎসা না নিলে এসব উপসর্গে ভুগে থাকা শিশুদের অনেক ক্ষেত্রেই শরীরের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
★ এ সমস্যার জন্য চিকিৎসা না নিয়ে অনেকে ভুল ধারণার মধ্যে থাকে। যা কোনোভাবে করা উচিত নয়।
★ অ্যাডিনয়েড গ্রন্থির সমস্যায় প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল না থেকে যথা সম্ভব শিশুকে সুস্থ-স্বাভাবিক পরিবেশের আওতায় আনতে হবে।          ★ অ্যাডিনয়েড গ্রন্থি বড় হয়ে যাওয়ার ফলে দীর্ঘ সময় অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হয়। যদি অ্যান্টিবায়োটিকে এ সমস্যা সম্পূর্ণ নিরাময় না হয়, তাহলে অপারেশনের মাধ্যমে এটি ফেলতে হবে। এই অপারেশনে তেমন কোনো জটিলতা থাকে না।

 

The post শিশুর অ্যাডিনয়েড সমস্যার লক্ষণ ও করণীয় appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি শীতে অ্যাজমার প্রকোপে যা করবেন https://www.ulipur.com/?p=29113 Sun, 24 Dec 2023 05:20:29 +0000 https://www.ulipur.com/?p=29113 ।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতকাল অ্যাজমা রোগীদের জন্য বেশ কষ্টকর একটা সময়। কেননা এই মৌসুমে অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগের প্রকোপ অনেক বেশি দেখা যায়। ধারণা করা হয়, প্রতিবছরে বাংলাদেশে প্রায় ৫০ হাজার লোক অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। সাধারণত ঠান্ডা লাগা, জ্বর, শুষ্ক বাতাস, ধুলাবালু ও ধোঁয়ার পরিমাণ, কুয়াশা, [...]

The post শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি শীতে অ্যাজমার প্রকোপে যা করবেন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতকাল অ্যাজমা রোগীদের জন্য বেশ কষ্টকর একটা সময়। কেননা এই মৌসুমে অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগের প্রকোপ অনেক বেশি দেখা যায়। ধারণা করা হয়, প্রতিবছরে বাংলাদেশে প্রায় ৫০ হাজার লোক অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। সাধারণত ঠান্ডা লাগা, জ্বর, শুষ্ক বাতাস, ধুলাবালু ও ধোঁয়ার পরিমাণ, কুয়াশা, বদ্ধ গুমোট পরিবেশ ইত্যাদির কারণে শীতকালে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা হয়ে ওঠে বেশি। অসহনীয় অ্যাজমা রোগের ফলে রোগীর শ্বাসনালি সংকুচিত হওয়ার পাশাপাশি রোগীকে তীব্র শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগতে হয়।

এই প্রসঙ্গে কলকাতার বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: রুদ্রজিৎ পাল বলেন, অ্যাজমা হয় অ্যালার্জি থেকে। এই অসুখে অ্যালার্জির কারণে ফুসফুসের ব্রঙ্কাসে সমস্যা হয়। ছোট ছোট শ্বাসনালি ফুলে যায় ও ছোট হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নেওয়া যায় না। এই অসুখের নামই হল অ্যাজমা। মনে রাখবেন, অ্যাজমা অসুখটির কিছু ট্রিগার রয়েছে। এই অসুখ থাকলে বছরভর কিছু না কিছু সমস্যা রোগীদের লেগেই থাকে। সেই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতে হবে।

চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক শীতে শ্বাসকষ্ট কমাতে অ্যাজমা রোগীদের যা করতে হবেঃ-
★ অ্যাজমা রোগীদের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো বায়ুদূষণ। তাই ধরণের সমস্যা থেকে বাঁচতে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করে বাইরে যেতে হবে।
★ অ্যাজমায় ধূমপান ও মদ্যপান করা একেবারেই উচিত নয়।
★ ইনহেলার হলো অ্যাজমা রোগের প্রধান ওষুধ। তাই জরুরীভিত্তিতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যাজমা রোগীদের ইনহেলার ব্যবহার করা জরুরী।
★ অ্যাজমায় ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকার গুরুত্ব অনেক। এর বাইরেও অ্যাজমা রোগ প্রতিকারে রোগীকে বেশকিছু টিকা দিতে হবে। অ্যাজমায় এসকল টিকা দেওয়া প্রয়োজন।
★ ঠান্ডার কারণে অ্যাজমা বা হাঁপানির মতো অনেক জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে, তাই বাইরে কোথাও বের হওয়ার সময় ঠান্ডা বাতাস ও ঠান্ডা লাগা থেকে মুক্তি পেতে গরম কাপড় পরিধান করে বের হতে হবে।

এছাড়াও যাদের শীতকালে অ্যাজমা বাড়তে দেখা যায়, তাদেরকে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে অ্যাজমা রোগের চিকিৎসা করাতে হবে। অ্যাজমার প্রকোপে ওষুধের পরিমাণ ঠিক রাখতে হবে এবং সেই সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।

 

The post শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি শীতে অ্যাজমার প্রকোপে যা করবেন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কুড়িগ্রামে কনকনে ঠান্ডার সাথে বইছে হিমেল হাওয়া, দেখা মিলছে না রোদের https://www.ulipur.com/?p=29147 Sat, 23 Dec 2023 16:31:50 +0000 https://www.ulipur.com/?p=29147 ।। নিউজ ডেস্ক ।। কুড়িগ্রামে কনকনে ঠান্ডা ও হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাতভর ঘন কুয়াশা থাকলেও সকালে সূর্য উঠেনি। এরপর মেঘে ঢাকা রয়েছে গোটা জনপদ। সন্ধ্যার পর থেকে রাতভর ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকে। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশার সাথে আকাশ মেঘলা থাকায় ঠান্ডার মাত্রা আরও দ্বিগুণ হয়ে উঠেছে। ঠান্ডার প্রকোপ [...]

The post কুড়িগ্রামে কনকনে ঠান্ডার সাথে বইছে হিমেল হাওয়া, দেখা মিলছে না রোদের appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামে কনকনে ঠান্ডা ও হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাতভর ঘন কুয়াশা থাকলেও সকালে সূর্য উঠেনি। এরপর মেঘে ঢাকা রয়েছে গোটা জনপদ। সন্ধ্যার পর থেকে রাতভর ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকে। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশার সাথে আকাশ মেঘলা থাকায় ঠান্ডার মাত্রা আরও দ্বিগুণ হয়ে উঠেছে।

ঠান্ডার প্রকোপ বেশি থাকায় জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। শিশু ও বৃদ্ধরা অতিরিক্ত ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছেন। শীত নিবারণে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে তা নিবারণের চেষ্টা করছে। আবার কেউ কেউ শীতের গরম কাপড় কিনতে ফুটপাতের দোকানে ভিড় করছেন।

ধরলা নদীর পাড়ে শুলকুর বাজার এলাকার ৭৭ বছরের বৃদ্ধ মহিতুল্ল্যাহ সরকার জানান, জীবনে অনেক ঠান্ডা দেখেছি। কিন্তু এবার একটু ব্যতিক্রম। কেননা কুয়াশা চলে গিয়ে সূর্য যখন উঠবে তখন আবার আকাশ মেঘে ঢাকা। ফলে আমার মতো বুড়া মানুষগুলোর শীতে খুব কষ্ট হচ্ছে।

এদিকে, গত এক সপ্তাহ ধরে রাজারহাট আবহাওয়া কৃষি পর্যবেক্ষণাগার অফিস জানায়, এ জেলার তাপমাত্রা গত এক সপ্তাহ ধরে ১০ ডিগ্রি থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। ফলে এ শীতে ঠান্ডার প্রকোপ রয়েছে। তবে সামনে এ তাপমাত্রা আরও বাড়বে এবং শীতের ঠান্ডা কমে আসবে বলে জানানো হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাঈদুল আরীফ জানান, ইতোমধ্যেই শীতার্ত মানুষের মাঝে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ৪৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

The post কুড়িগ্রামে কনকনে ঠান্ডার সাথে বইছে হিমেল হাওয়া, দেখা মিলছে না রোদের appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কুড়িগ্রামে কমছে তাপমাত্রার পারদ, কম্বল বরাদ্দ পেলেও হয়নি বিতরণ https://www.ulipur.com/?p=28954 Thu, 14 Dec 2023 11:56:06 +0000 https://www.ulipur.com/?p=28954 ।। নিউজ ডেস্ক ।। কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। গত কয়েকদিনের ঠান্ডায় কমে আসছে তাপমাত্রার পারদ। শীত নিবারণে জেলা প্রশাসন থেকে এক সপ্তাহ পূর্বে উপজেলাগুলোতে কম্বল বরাদ্দ দেয়া হলেও সেগুলো ফেলে রাখা হয়েছে গোডাউনে। এখনো ইউনিয়ন পর্যায়ে বিতরণ করা হয়নি। ফলে শীতার্ত মানুষের কাছে পৌছায়নি শীতবস্ত্র। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান ও যাত্রাপুর [...]

The post কুড়িগ্রামে কমছে তাপমাত্রার পারদ, কম্বল বরাদ্দ পেলেও হয়নি বিতরণ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। গত কয়েকদিনের ঠান্ডায় কমে আসছে তাপমাত্রার পারদ। শীত নিবারণে জেলা প্রশাসন থেকে এক সপ্তাহ পূর্বে উপজেলাগুলোতে কম্বল বরাদ্দ দেয়া হলেও সেগুলো ফেলে রাখা হয়েছে গোডাউনে। এখনো ইউনিয়ন পর্যায়ে বিতরণ করা হয়নি। ফলে শীতার্ত মানুষের কাছে পৌছায়নি শীতবস্ত্র।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান ও যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর মিয়া জানান, শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলেও এখনো ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রশাসন থেকে শীতবস্ত্র সরবরাহ করা হয়নি।

একই কথা জানালেন উলিপুর উপজেলার ব্রহ্মপূত্র নদ বেষ্টিত দ্বীপ ইউনিয়ন সাহেবের আলগা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন ও বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া। তারা জানান, শীতের কারণ ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে দুস্থ শীতার্ত মানুষের চাপ বাড়ছে।

এদিকে জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পূনর্বাসন অফিস সূত্র জানিয়েছে, শীত নিবারণে উপজেলাগুলোতে ৩১হাজার ১৫০পিচ কম্বল উপ-বরাদ্দ দেয়া হয়েছে প্রায় ৮/৯দিন পূর্বে। জেলার ৯টি উপজেলার ৭৩টি ইউনিয়ন ও ৩টি পৌরসভার জন্য ভাগে কম্বল পরেছে মাত্র ৪১০টি করে।

এ ব্যাপারে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতাউর রহমান জানান, সামনে নির্বাচন। সে বিষয়টি আমাদের খেয়াল রাখতে হচ্ছে। আমরা বিধিমালা মেনে বিভাজন অনুযায়ী বিতরণ করবো।

এদিকে কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, বৃহস্পতিবার (১৪ডিসেম্বর) সকালে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমে গিয়ে মৃদ্যু শৈতপ্রবাহ শুরু হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।

The post কুড়িগ্রামে কমছে তাপমাত্রার পারদ, কম্বল বরাদ্দ পেলেও হয়নি বিতরণ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>