১৯৭১ Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=১৯৭১ কুড়িগ্রাম জেলার তথ্য ও সংবাদ Thu, 14 Dec 2023 06:17:01 +0000 en-US hourly 1 https://www.ulipur.com/wp-content/uploads/2022/10/1665889308.png ১৯৭১ Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=১৯৭১ 32 32 আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস https://www.ulipur.com/?p=28946 Thu, 14 Dec 2023 06:17:01 +0000 https://www.ulipur.com/?p=28946 ।। নিউজ ডেস্ক ।। আজ ১৪ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের আগের এই বেদনাময় দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাঁদের দোসর রাজাকার আলবদর, আলশামসরা পরিকল্পিতভাবে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করে। ইতিহাসের পাতায় এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করবে সমগ্র জাতি। [...]

The post আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
আজ ১৪ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের আগের এই বেদনাময় দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাঁদের দোসর রাজাকার আলবদর, আলশামসরা পরিকল্পিতভাবে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করে। ইতিহাসের পাতায় এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করবে সমগ্র জাতি।

দেশকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে সুপরিকল্পিতভাবে বিজয়ের ঠিক ২দিন আগে বাঙালি জাতির শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদেরাসহ দেশের বরেণ্য কৃতী সন্তানদের ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

চিরগৌরবের অর্জন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় সূর্য যখন উদিত হতে চলেছে, ঠিক তখন নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে বাঙালিকে মেধা-মননহীন করে দেওয়ার এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করে বসে নরঘাতক পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। তাঁদের উদ্দেশ্য বাঙালি জাতি স্বাধীনতা অর্জন করলেও যেন বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পঙ্গু, দুর্বল ও দিকনির্দেশনাহীন হয়ে পড়ে। মেধা ও নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়লে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীতে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না-এমন নীলনকশা বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই বুদ্ধিজীবী হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিল পাকবাহিনীরা।

চিরকালের জন্য যেসব বুদ্ধিজীবীরা নিখোঁজ হয়েছেন এবং বধ্যভূমিতে যাদের লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, অধ্যাপক মুনির চৌধুরী, ডা. আলিম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, ড. ফজলে রাব্বী, সিরাজ উদ্দিন হোসেন, শহীদুল্লাহ কায়সার, অধ্যাপক জিসি দেব, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক রশীদুল হাসান, ড. আবুল খায়ের, ড. মুর্তজা, সাংবাদিক খন্দকার আবু তাহের, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এসএ মান্নান (লাডু ভাই), এ এন এম গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক ও সেলিনা পারভিনসহ নাম না জানা আরও অনেকে।

শুধু তাই নয়, পরিকল্পিত বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ১৪ ডিসেম্বরের আগে থেকেই নামকরা অনেক বুদ্ধিজীবী নিখোঁজ হওয়া শুরু হয়। তবে ইতিহাসের শীর্ষক এই দিনে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে পাক হায়েনারা। তাই প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর জাতির এসব কৃতী সন্তানদের স্মরণে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়।

The post আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
আজ হাতিয়া গণহত্যা দিবস https://www.ulipur.com/?p=28238 Mon, 13 Nov 2023 06:37:36 +0000 https://www.ulipur.com/?p=28238 ।। নিউজ ডেস্ক ।। আজ ১৩ নভেম্বর (সোমবার) উলিপুরের হাতিয়া গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের এই দিনে উলিপুরের দাগারকুটি গ্রামে পশ্চিম পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী নৃশংস ও নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালিয়ে ৬‘শ ৯৭ জন নিরস্ত্র মানুষকে গুলি করে হত্যা করে। উলিপুর সদর থেকে ৮ কিলোমিটার পূর্ব দিকে ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্ঠিত হাতিয়া ইউনিয়নের দাগারকুটি গ্রামের ঘুমন্ত এসব [...]

The post আজ হাতিয়া গণহত্যা দিবস appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
আজ ১৩ নভেম্বর (সোমবার) উলিপুরের হাতিয়া গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের এই দিনে উলিপুরের দাগারকুটি গ্রামে পশ্চিম পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী নৃশংস ও নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালিয়ে ৬‘শ ৯৭ জন নিরস্ত্র মানুষকে গুলি করে হত্যা করে। উলিপুর সদর থেকে ৮ কিলোমিটার পূর্ব দিকে ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্ঠিত হাতিয়া ইউনিয়নের দাগারকুটি গ্রামের ঘুমন্ত এসব নিরীহ মানুষের উপর এ নারকীয় তাণ্ডব চালায়। স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে জঘন্যতম এ হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস জাতীয় পর্যায়ে তেমন গুরুত্ব না পেলেও উলিপুরের মানুুষের কাছে তা স্মরণীয় হয়ে আছে।

সেই নারকীয় রক্তঝরা দিনটি ছিল ২৩ রমজান শনিবার। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ সেহরির খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে, কেউ ঘুমানোর প্রস্তুতি নিশ্চিছিলেন। এরই মধ্যে ফজরের নামাজের আযান ধ্বনিত হচ্ছে মসজিদে মসজিদে। নামাজের প্রস্তুতি নিতে অজুও সেরেছেন অনেকে। হঠাৎ পাকিস্তানি হায়েনার মর্টার সেল আর বন্দুকের অবিরাম গুলি বর্ষণে প্রকম্পিত হয়ে দাগারকুটি গ্রামসহ আশপাশের গ্রামগুলো। গ্রামগুলোর মানুষ কিছু বুঝে উঠার আগেই পাকিস্তানি হায়েনা ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলসামস বাহিনী মিলে নিরীহ গ্রামের বাড়ি-ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। এর সাথে চলতে থাকে লুটপাট ও নির্যাতন। আকস্মিক এ পরিস্থিতিতে এলাকার নিরীহ মানুষজন উদ্ভান্তের মতো ছোটাছুটি শুরু করেন। পাকিস্তানি বাহিনীর ছোঁড়া বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণে মানুষজন জীবন বাঁচাতে পার্শ্ববর্তী ধান ক্ষেতসহ ঝোঁপ-জঙ্গলে শুয়ে জীবন বাঁচানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেন। কিন্তু অসহায় বৃদ্ধ আর শিশুদের আর্তচিৎকারে এলাকার আকাশ-বাতাস ক্রমেই ভারী হয়ে উঠে। এসব অসহায় মানুষের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা মুহূর্তেই শেষ হয়ে যায় আর গ্রাম গুলো পরিণত হয় ধ্বংস স্তুপে।

পাকিস্তানি বাহিনী এ দেশীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় এলাকার নারী-পুরুষদের ধরে এনে দাগারকুটিতে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষত-বিক্ষত মরদেহগুলো আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। পরদিন এলাকাবাসী ৬শ’ ৯৭ জন নিরীহ গ্রামবাসীর ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ সংগ্রহ করে গণকবর দেয়। গণকবর ও স্মৃতিস্তম্ভটি ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে।

ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে দাগারকুটি গ্রামটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বর্তমানে অনন্তপুর বাজারের পশ্চিম দিকে নতুন করে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে দিবসটি পালন করে আসছেন শহীদ পরিবার গুলোসহ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও উপজেলা প্রশাসন। ধীরে ধীরে স্বাধীনতা যুদ্ধের এ নারকীয় হত্যাযজ্ঞ হয়তো মানুষের হৃদয় থেকে মুছে যাবে, কিন্তু শহীদের স্বজনরা তাদের আপনজনদের স্মরণ করবেন সারাজীবন নীরবে-নিভৃতে। গণহত্যার শিকার শহীদ পরিবারগুলোর দাবি হাতিয়া দিবস জাতীয় পর্যায়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনসহ ক্ষতিগ্রস্থ শহীদ পরিবার গুলোকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও পূনর্বাসন করা হউক।

The post আজ হাতিয়া গণহত্যা দিবস appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
নূর মোহাম্মদ সরকারঃ একটি পতাকার জন্য জীবন বাজি রাখা বীর সেনানী https://www.ulipur.com/?p=2486 Sat, 27 Feb 2016 18:40:10 +0000 http://www.ulipur.com/?p=2486 প্রকৌ. রূপম রাজ্জাক: নূর মোহাম্মদ সরকার। বাঙলা মায়ের বীর সন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের বজ্রকণ্ঠে উচ্চারিত ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। একটি পতাকার জন্য, একটি স্বাধীন ভুখন্ডের জন্য, শোষণ নিপীড়নের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে, এনেছেন রক্তিম ভোর। নূর মোহাম্মদ সরকার ১৯৫৫ সালের ৯ই আগস্ট কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর [...]

The post নূর মোহাম্মদ সরকারঃ একটি পতাকার জন্য জীবন বাজি রাখা বীর সেনানী appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
প্রকৌ. রূপম রাজ্জাক:
নূর মোহাম্মদ সরকার। বাঙলা মায়ের বীর সন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের বজ্রকণ্ঠে উচ্চারিত ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। একটি পতাকার জন্য, একটি স্বাধীন ভুখন্ডের জন্য, শোষণ নিপীড়নের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে, এনেছেন রক্তিম ভোর।

নূর মোহাম্মদ সরকার ১৯৫৫ সালের ৯ই আগস্ট কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোড়াই রঘুরায় গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। নছিয়ত উল্লাহ ও ছমিরন নেছা দম্পতির আট ছেলেমেয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়। পড়াশোনার হাতেখড়ি গোড়াই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে পঞ্চম শ্রেণী এবং দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ সালে এসএসসি পাশ করেন। পরে কুড়িগ্রাম ভোকেশনাল থেকে ট্রেড কোর্স করে কারিগরি শিক্ষা অর্জন করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ সরকার ৪ মেয়ে ও এক ছেলের জনক।

১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা রেডিওতে শোনেন নূর মোহাম্মদ। তখন তিনি দূর্গাপুর হাইস্কুলের ছাত্র। ঘোষণার পরে তিনি এবং তার সহপাঠীরা মিলে দূর্গাপুর হাইস্কুলে তালা লাগিয়ে মিছিল বের করেন। মিছিল নিয়ে তাঁরা বালাকান্দি হাইস্কুল যান, সেখানে স্কুল বন্ধ করে মিছিল নিয়ে ফরকেরহাট হাইস্কুলে যান এবং সেখানে গিয়ে সমাবেশ করেন। ওই সমাবেশ থেকে তিনি এবং তার সহপাঠীরা যুদ্ধে যেতে উদ্বুদ্ধ হন। সমাবেশ শেষে বাড়ি ফিরে যুদ্ধে যাবার পরিকল্পনা করেন। এই পরিকল্পনার কথা জানান এলাকার মো. ইয়াকুব আলী সরদার ও মো. আব্দুর জব্বার আলীকে। তাদের মধ্যে মো. ইয়াকুব আলী প্রথমেই রাজি হয়ে যায়। আর আব্দুল জব্বার প্রথমে যেতে না চাইলেও পরে রাজি হন। তারপর ২৬শে মার্চ চূড়ান্ত ঘোষণা আসার পর এই তিনজন বাড়িতে কাউকে কিছু না বলে সে মাসেই বলে যুদ্ধে চলে যান। এ সময় পথিমধ্যে পাশের গ্রামের আরো কয়েকজনকে পাওয়া যায় যারা যুদ্ধে যাচ্ছিলেন। সেদিনের কথা মনে হলে, স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরও নূর মোহাম্মদের চোখ ছলছল করে। পাশের গ্রামের যে বন্ধুরা যুদ্ধে যাচ্ছিল তাদের মধ্যে এক ছেলেকে তার বাবা বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য পিছুপিছু ছুটে আসেন। তারপর ছেলেটি যখন নৌকায় ওঠে নদী পার হওয়ার জন্য তখন তার বাবা নদীতে লাফিয়ে পড়ে। হতভম্ব হয়ে তীরে নৌকা ভিড়িয়ে ছেলেটিকে নামিয়ে দিতে হয়।

নূর মোহাম্মদ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে প্রশিক্ষণ নেন ১১ নং সেক্টরের অধীনে। প্রথম দিকে ভারতের আশপাশে, পরে কুড়িগ্রাম জেলার অন্তর্গত রৌমারিতে নতুন করে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হওয়ায় সেখানে প্রশিক্ষণ নেন। তারপর মাহবুবুর রহমান (চন্ডুল),নজরুল ও সোলায়মানের নের্তৃত্বে দেড় মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এদিকে প্রশিক্ষণ চলাকালে তার মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার কথা শুনে এলাকার রাজাকার মাওলানা মো. আব্দুল হামিদ ওরফে দাগগিল ও পাকিস্তান সমর্থিত লোকজন তার বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়। ওই স্মৃতি মনে করে নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার কারণে রাজাকার ও পাকিস্তানের সহযোগীরা আমাদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেয়। আমার বাবাকে হুমকি দেয় আমাকে যেন মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরিয়ে আনে। এরপর তারা আমার পরিবারের উপর নানা ধরনের চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। এমনকি আমাদের ক্ষেতের পাকা ধান কাটতে দেয়নি তারা।’

প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফিরে চিলমারী উপজেলাধীন রানীগঞ্জ এলাকার একটি মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে অবস্থান করেন। এই সময় ভারতীয় বাহিনীসহ তাদের ইউনিট চিলমারী আক্রমণ করেন। সেখানে অনেক আলবদর, রাজাকার ধরা পড়ে। তাদের মধ্যে মঞ্জু মিয়া ও ওলী আহম্মেদ পাকিস্তানী দোসরদের অন্যতম নেতা ছিল। রাজাকারদের হত্যার পর পাকিস্তানী ক্যাম্পটি দখল করা হয়। এ সময় ক্যাম্প থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র-সস্ত্র পাওয়া যায়।

এছাড়া বেশ কয়েকটি সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন নূর মোহাম্মদ। সেসব যুদ্ধের স্মৃতি এখনো তার চোখে জ্বল জ্বল করে, শিহরণ জাগায় বুকে। কয়েকযুগ পরেও সেইসব দিনের কথা মনে হলে বুকের ভেতর থেকে ওঠে আসে অন্যরকম শক্তি ও মাতৃভূমিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার প্রেরণা।

The post নূর মোহাম্মদ সরকারঃ একটি পতাকার জন্য জীবন বাজি রাখা বীর সেনানী appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>