Hatia Genocide Day Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=hatia-genocide-day কুড়িগ্রাম জেলার তথ্য ও সংবাদ Sat, 14 Nov 2020 10:15:51 +0000 en-US hourly 1 https://www.ulipur.com/wp-content/uploads/2022/10/1665889308.png Hatia Genocide Day Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=hatia-genocide-day 32 32 আজ হাতিয়া গণহত্যা দিবস, ৬৯৭ জন নিরীহ মানুষ হত্যার স্বাক্ষী এই দিনটি https://www.ulipur.com/?p=12060 Fri, 13 Nov 2020 06:23:48 +0000 https://www.ulipur.com/?p=12060 ।। নিউজ ডেস্ক ।। আজ ১৩ নভেম্বর উলিপুরে ‘হাতিয়া গণহত্যা দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনী তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আল-বদর ও আল-সামস বাহিনীর সহযোগিতায় নিরীহ ৬৯৭ জন মানুষকে গুলি করে হত্যা করে। ১৯৭১ সাল, সেই নারকীয় রক্তঝরা দিনটি ছিল ২৩ রমজান শনিবার। গ্রামের বেশীর ভাগ মানুষ সেহরির খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে, কেউ [...]

The post আজ হাতিয়া গণহত্যা দিবস, ৬৯৭ জন নিরীহ মানুষ হত্যার স্বাক্ষী এই দিনটি appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
আজ ১৩ নভেম্বর উলিপুরে ‘হাতিয়া গণহত্যা দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনী তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আল-বদর ও আল-সামস বাহিনীর সহযোগিতায় নিরীহ ৬৯৭ জন মানুষকে গুলি করে হত্যা করে।

১৯৭১ সাল, সেই নারকীয় রক্তঝরা দিনটি ছিল ২৩ রমজান শনিবার। গ্রামের বেশীর ভাগ মানুষ সেহরির খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে, কেউ ঘুমানোর প্রস্তুতি নিশ্চিছিলেন। এরই মধ্যে ফজরের নামাজের আযান ধ্বনিত হচ্ছে মসজিদে মসজিদে। নামাজের প্রস্তুতি নিতে অজুও সেরেছেন অনেকে। হঠাৎ পাকিস্তানী হায়েনার মর্টার সেল আর বন্দুকের অবিরাম গুলি বর্ষণে প্রকম্পিত হয়ে দাঁগারকুটি গ্রামসহ আশপাশের গ্রামগুলো। গ্রামগুলোর মানুষ কিছু বুঝে উঠার আগেই পাকিস্তানী হায়েনা ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আল বদর ও আল সামস বাহিনী মিলে নিরীহ গ্রামের বাড়ী-ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। এর সাথে চলতে থাকে লুটপাট ও নির্যাতন। আকস্মিক এ পরিস্থিতিতে এলাকার নিরীহ মানুষজন উদ্ভান্তের মতো ছোটাছুটি শুরু করেন। পাকিস্তানী বাহিনীর ছোঁড়া বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণে মানুষজন জীবন বাঁচাতে পার্শ্ববর্তি ধান ক্ষেতসহ ঝোঁপ-জঙ্গলে শুয়ে জীবন বাঁচানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেন। কিন্তু অসহায় বৃদ্ধ আর শিশুদের আর্তচিৎকারে এলাকার আকাশ-বাতাস ক্রমেই ভারী হয়ে উঠে। এসব অসহায় মানুষের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা মহুর্তেই শেষ হয়ে যায়। পাক-হানাদার বাহিনী,তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আল-বদর ও আল সামস বাহিনীর সহযোগীতায় আত্মগোপন করা মানুষগুলোকে ধরে নিয়ে এসে দাঁগারকুটিতে জড়ো করে হাত-পা বেঁধে নির্দয় ভাবে গুলি করে হত্যা করে। তাদের এ নারকীয় হত্যাযজ্ঞ থেকে সেদিন বৃদ্ধ ও মায়ের কোলে ঘুমিয়ে থাকা শিশুটিও রক্ষা পায়নি। দিনব্যাপী চলে পাক-হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ ও অগ্নিসংযোগ। আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়, হাতিয়া ইউনিয়নের অনন্তপুর, দাগারকুটি, হাতিয়া বকসি, রামখানা ও নয়াদাড়া গ্রামের শত শত ঘর-বাড়ী। মহুর্তেই গ্রামগুলো পরিণত হয় ধ্বংস স্তুপে। সেগুলো আজ শুধুই স্মৃতি।

উপজেলা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার পূর্ব দিকে ব্রহ্মপূত্র নদ বেষ্ঠিত উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের দাঁগারকুটি গ্রাম। স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে জঘন্যতম নারকীয় এ হত্যাকান্ডের ইতিহাস জাতীয় পর্যায়ে তেমন গুরুত্ব না পেলেও এ অঞ্চলের মানুুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে। আজও নিহত শহীদদের স্বজনরা খুঁজে ফিরে তাদের আপনজনকে। দাঁগারকুটি গ্রামটিকে ঘিরে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে এলাকার মানুষজন প্রতি বছর শহীদদের স্মরণ করে আসছিল। কিন্তু করালগ্রাসী ব্রহ্মপূত্র নদ দাঁগারকুটি গ্রামটি তার বুকে ধারণ করে নিয়েছে। বর্তমানে অনন্তপুর বাজারের পশ্চিম দিকে নতুন করে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে দিবসটি পালন করে আসছেন শহীদ পরিবার গুলো সহ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও উপজেলা প্রশাসন। ধীরে ধীরে স্বাধীনতা যুদ্ধের এ নারকীয় হত্যাযজ্ঞ হয়তো মানুষের হৃদয় থেকে মুছে যাবে, কিন্তু শহীদের স্বজনরা তাদের আপনজনদের স্মরণ করবেন সারাজীবন নিরবে-নিভৃতে। গণহত্যার শিকার শহীদ পরিবার গুলোর দাবি হাতিয়া দিবস জাতীয় পর্যায়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন সহ ক্ষতিগ্রস্থ শহীদ পরিবার গুলোকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও পূনর্বাসন করা হউক।

//নিউজ/উলিপুর//মালেক/নভেম্বর/১২/২০

The post আজ হাতিয়া গণহত্যা দিবস, ৬৯৭ জন নিরীহ মানুষ হত্যার স্বাক্ষী এই দিনটি appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
আজ হাতিয়া গণহত্যা দিবস https://www.ulipur.com/?p=9398 Wed, 13 Nov 2019 05:45:51 +0000 https://www.ulipur.com/?p=9398 ।। নিউজ ডেস্ক ।।আজ হাতিয়া গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের ১৩ই নভেম্বর উলিপুর উপজেলার দাঁগার কুঠি গ্রামে পশ্চিম পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী নৃশংস ও নারকীয় হত্যাকান্ড চালিয়ে ৬‘শ ৯৭ জন নিরস্ত্র মানুষকে গুলি করে হত্যা করে। উপজেলা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার পূর্ব দিকে ব্রহ্মপূত্র নদ বেষ্ঠিত হাতিয়া ইউনিয়নের দাগারকুটি গ্রামের ঘুমন্ত এসব নিরীহ মানুষের উপর এ নারকীয় [...]

The post আজ হাতিয়া গণহত্যা দিবস appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
আজ হাতিয়া গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের ১৩ই নভেম্বর উলিপুর উপজেলার দাঁগার কুঠি গ্রামে পশ্চিম পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী নৃশংস ও নারকীয় হত্যাকান্ড চালিয়ে ৬‘শ ৯৭ জন নিরস্ত্র মানুষকে গুলি করে হত্যা করে। উপজেলা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার পূর্ব দিকে ব্রহ্মপূত্র নদ বেষ্ঠিত হাতিয়া ইউনিয়নের দাগারকুটি গ্রামের ঘুমন্ত এসব নিরীহ মানুষের উপর এ নারকীয় তান্ডব চালায়। স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে জঘন্যতম এ হত্যাকান্ডের ইতিহাস জাতীয় পর্যায়ে তেমন গুরুত্ব না পেলেও উলিপুরের মানুুষের কাছে তা স্মরণীয় হয়ে আছে।

সেদিন ছিল ১৯৭১ সালের ২৩ রমজান শনিবার। যখন ফজরের আযানের ধ্বনী মসজিদ হতে আসছিল, কোথাও কোথাও নামাজের প্রস্তুতি চলছিল। ঠিক ঐ সময় ঘাতকদের মুহু মুহু মর্টারের শব্দে যেন সব কিছুই স্তব্ধ হয়ে যায়। পরক্ষনেই ঘটনাস্থলের আসপাশের এলাকার মানুষের এলোপাতারী দৌড়ঝাপ এবং আত্মচিৎকারে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতাড়না হয়। অনেকে ব্রহ্মপূত্র নদে ঝাঁপ দিয়ে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করে। এসব অসহায় গ্রামবাসীর জীবন বাঁচানোর চেষ্টা মহুর্তেই শেষ হয়ে যায়। পাক-হানাদার বাহিনী, তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আল-বদর ও আল-সাম্স বাহিনীর সহযোগীতায় গ্রামটি ঘিরে ফেলে। তারা আত্মগোপনে থাকা গ্রামের অসহায় মানুষগুলোকে ধরে এনে দাগারকুটিতে জড়ো করে হাত-পা বেঁধে নির্দয় ভাবে গুলি করে হত্যা করে। তাদের এ নারকীয় হত্যাযজ্ঞ থেকে সেদিন বৃদ্ধ বনিতা এমনকি মায়ের কোলে ঘুমিয়ে থাকা শিশুটিও রক্ষা পায়নি। ঐদিন পাক-হানাদার বাহিনীর দিনভর হত্যাযজ্ঞ ও অগ্নিসংযোগ চালায় গ্রামগুলোতে। আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়, হাতিয়া ইউনিয়নের অনন্তপুর, দাগারকুটি, হাতিয়া বকসি, রামখানা ও নয়াদাড়া গ্রামের শত শত ঘর-বাড়ী। মহুর্তেই গ্রামগুলো পরিণত হয় ধ্বংস স্তুপে। সেই ভয়াল দিনটির কথা মানুষের মনে হলে আজও তারা শিউরে ওঠে।

The post আজ হাতিয়া গণহত্যা দিবস appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
হাতিয়া গণহত্যা দিবস পালিত https://www.ulipur.com/?p=7264 Tue, 13 Nov 2018 10:16:34 +0000 https://www.ulipur.com/?p=7264 ।। আব্দুল মালেক ।। উলিপুরে হাতিয়া গণহত্যা দিবস বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর ২০১৮) সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকাল ৮টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর দাগারকুঠি স্মৃতিসৌধে পূষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। পরে হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আমিনুল ইসলাম, [...]

The post হাতিয়া গণহত্যা দিবস পালিত appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। আব্দুল মালেক ।।
উলিপুরে হাতিয়া গণহত্যা দিবস বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর ২০১৮) সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকাল ৮টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর দাগারকুঠি স্মৃতিসৌধে পূষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। পরে হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আমিনুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ফয়জার রহমান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউস সামাদ, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস, হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বি.এম আবুল হোসেন, ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মিজানুর রহমান, এস আই মশিউর রহমান প্রমুখ।

The post হাতিয়া গণহত্যা দিবস পালিত appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
আগামীকাল হাতিয়া গণহত্যা দিবস https://www.ulipur.com/?p=7248 Mon, 12 Nov 2018 11:32:47 +0000 https://www.ulipur.com/?p=7248 ।। আব্দুল মালেক ।। আগামীকাল ১৩ নভেম্বর। উলিপুরে ‘‘হাতিয়া গণহত্যা দিবস”। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আল-বদর ও আল-সাম্স বাহিনীর সহযোগীতায় নিরীহ ৬ ’শ ৯৭ জন গ্রামবাসিকে গুলি করে হত্যা করে। উপজেলা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার পূর্ব দিকে ব্রহ্মপূত্র নদ বেষ্টিত হাতিয়া ইউনিয়নের দাগারকুটি গ্রামের ঘুমন্ত এসব নিরীহ মানুষকে [...]

The post আগামীকাল হাতিয়া গণহত্যা দিবস appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। আব্দুল মালেক ।।
আগামীকাল ১৩ নভেম্বর। উলিপুরে ‘‘হাতিয়া গণহত্যা দিবস”। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আল-বদর ও আল-সাম্স বাহিনীর সহযোগীতায় নিরীহ ৬ ’শ ৯৭ জন গ্রামবাসিকে গুলি করে হত্যা করে।

উপজেলা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার পূর্ব দিকে ব্রহ্মপূত্র নদ বেষ্টিত হাতিয়া ইউনিয়নের দাগারকুটি গ্রামের ঘুমন্ত এসব নিরীহ মানুষকে ধরে এনে পাকিস্তানি হায়েনারা নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে। স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে জঘন্যতম নারকীয় এ হত্যাকান্ডের ইতিহাস জাতীয় পর্যায়ে তেমন গুরুত্ব না পেলেও উলিপুরে মানুুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে। আজও নিহত শহীদদের স্বজনরা খুঁজে ফিরে তাদের আপনজনকে।

দাগারকুটি গ্রামটিকে ঘিরে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে এলাকার মানুষজন প্রতি বছর শহীদদের স্মরণ করে আসছিল। কিন্তু করালগ্রাসী ব্রহ্মপূত্র নদ দাগারকুটি গ্রামটি তার বুকে ধারণ করে নিয়েছে। বর্তমানে অনন্তপুর বাজারের পশ্চিম দিকে নতুন করে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে দিবসটি পালন করে আসছেন শহীদ পরিবার গুলোসহ উলিপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।

উপজেলা প্রশাসন দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে আগামীকাল সকাল ৮টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কালো পতাকা অর্ধনমিতকরণ, ৮টা ৫মিনিটে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও সাড়ে ৮ টায় আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন, হাতিয়া গণহত্যার স্বাক্ষী ও চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী বীর বিক্রম।

স্বাধীনতা যুদ্ধের এ নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ধীরে ধীরে হয়তো মানুষের হৃদয় থেকে মুছে যাবে, কিন্তু শহীদের স্বজনরা তাদের আপনজনদের স্মরণ করবেন সারাজীবন নিরবে-নিভৃতে। গণহত্যার শিকার শহীদ পরিবার গুলোর দাবি হাতিয়া দিবস জাতীয় পর্যায়ে যথাযোগ্য মর্যদায় পালনসহ ক্ষতিগ্রস্থ শহীদ পরিবার গুলোকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও পুনর্বাসন করা হোক।

The post আগামীকাল হাতিয়া গণহত্যা দিবস appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
উলিপুরে হাতিয়া গণহত্যা দিবস পালিত https://www.ulipur.com/?p=4761 Mon, 13 Nov 2017 16:17:09 +0000 http://www.ulipur.com/?p=4761 আব্দুল মালেকঃ উলিপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে হাতিয়া গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। আজ সোমবার হাতিয়া ইউনিয়নের দাগারকুটি গণহত্যা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, দোয়া মাহফিল ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে স্মৃতি ফলক চত্বরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযুদ্ধে ১১নং সেক্টরের সাব সেক্টর কমান্ডার ও পুলিশের সাবেক ডিআইজি সফিকউল্লাহ। [...]

The post উলিপুরে হাতিয়া গণহত্যা দিবস পালিত appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
আব্দুল মালেকঃ
উলিপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে হাতিয়া গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। আজ সোমবার হাতিয়া ইউনিয়নের দাগারকুটি গণহত্যা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, দোয়া মাহফিল ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে স্মৃতি ফলক চত্বরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযুদ্ধে ১১নং সেক্টরের সাব সেক্টর কমান্ডার ও পুলিশের সাবেক ডিআইজি সফিকউল্লাহ।

বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীর বিক্রম, উলিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হায়দার আলী মিঞা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতি শিউলী, সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসেন মন্টু, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আমিনুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আলহাজ ফয়জার রহমান। বক্তব্য রাখেন, হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বি.এম আবুল হোসেন, ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মিজানুর রহমান খন্দকার, উলিপুর প্রেসক্লাব সভাপতি আবু সাঈদ সরকার, হাতিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শায়খুল ইসলাম নয়া প্রমূখ।

এদিকে সুশাসনের জন্য নাগরিক(সুজন) উলিপুর শাখার উদ্যোগে হাতিয়া গণহত্যা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক অলিম্পিয়াড এর আয়োজন করা হয়। এমএমতিন কারিগরি ও কৃষি কলেজ মাঠে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপজেলার ১২টি কলেজের প্রায় ৫শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযুদ্ধে ১১নং সেক্টরের সাব সেক্টর কমান্ডার ও পুলিশের সাবেক ডিআইজি সফিকউল্লাহ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন, অধ্যাপক এম এ মতিন, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম কফিল উদ্দিন, উলিপুর বণিক সমিতির সভাপতি সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে গবা, সুজনের প্রধান সম্বনয়ক দীলিপ সরকার, সুজন সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী প্রমুখ।

The post উলিপুরে হাতিয়া গণহত্যা দিবস পালিত appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
আজ হাতিয়া গণহত্যা দিবস https://www.ulipur.com/?p=4750 Sun, 12 Nov 2017 18:04:55 +0000 http://www.ulipur.com/?p=4750 আব্দুল মালেকঃ আজ ১৩ নভেম্বর ‘হাতিয়া গণহত্যা দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক-হানাদার বাহিনী তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আল বদর ও আল শামস বাহিনীর সহযোগিতায় নিরীহ ৬ ’শ ৯৭ জন গ্রামবাসিকে গুলি করে হত্যা করে। উপজেলা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার পূর্ব দিকে ব্রহ্মপূত্র নদ বেষ্ঠিত উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের দাগারকুটি গ্রামের ঘুমন্ত এসব নিরীহ মানুষকে [...]

The post আজ হাতিয়া গণহত্যা দিবস appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
আব্দুল মালেকঃ
আজ ১৩ নভেম্বর ‘হাতিয়া গণহত্যা দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক-হানাদার বাহিনী তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আল বদর ও আল শামস বাহিনীর সহযোগিতায় নিরীহ ৬ ’শ ৯৭ জন গ্রামবাসিকে গুলি করে হত্যা করে। উপজেলা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার পূর্ব দিকে ব্রহ্মপূত্র নদ বেষ্ঠিত উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের দাগারকুটি গ্রামের ঘুমন্ত এসব নিরীহ মানুষকে ধরে এনে পাকিস্তানী হায়েনারা নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে হত্যা করে।

স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে জঘন্যতম নারকীয় এ হত্যাকান্ডের ইতিহাস জাতীয় পর্যায়ে তেমন গুরুত্ব না পেলেও উলিপুরে মানুুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে। আজও নিহত শহীদদের স্বজনরা খুঁজে ফিরে তাদের আপনজনকে।

দাগারকুটি গ্রামটিকে ঘিরে স্মৃতিসৌধ নির্মান করে এলাকার মানুষজন প্রতি বছর শহীদদের স্মরণ করে আসছিল। কিন্তু করালগ্রাসী ব্রহ্মপূত্র নদ দাগারকুটি গ্রামটিই তার বুকে ধারন করে নিয়েছে। বর্তমানে অনন্তপুর বাজারের পশ্চিম দিকে নতুন করে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে দিবসটি পালন করে আসছেন শহীদ পরিবার গুলোসহ উলিপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।

উপজেলা প্রশাসন দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ধীরে ধীরে স্বাধীনতা যুদ্ধের এ নারকীয় হত্যাযজ্ঞ হয়তো মানুষের হৃদয় থেকে মুছে যাবে, কিন্তু শহীদের স্বজনরা তাদের আপনজনদের স্মরন করবেন সারাজীবন নিরবে-নিভৃতে। গণহত্যার শিকার শহীদ পরিবার গুলোর দাবী হাতিয়া দিবস জাতীয় পর্যায়ে যথাযোগ্য মর্যদায় পালনসহ ক্ষতিগ্রস্থ শহীদ পরিবার গুলোকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও পূনর্বাসন করা হউক।

১৯৭১ সালের সেই নারকীয় রক্তঝরা দিনটি ছিল ২৩ রমজান, শনিবার। গ্রামের বেশীর ভাগ মানুষ সেহরীর খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে, কেউ ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এরই মধ্যে ফজরের নামাজের আযান ধ্বনিত হচ্ছে মসজিদে মসজিদে। নামাজের প্রস্তুতি নিতে অজুও সেরে ফেলেছেন অনেকে। হঠাৎ পাকিস্তানী হায়েনার মর্টার সেল আর বন্দুকের অবিরাম গুলি বর্ষনে প্রকম্পিত হয়ে দাগারকুটি গ্রামসহ আশপাশের গ্রামগুলো। গ্রামগুলোর মানুষজন কিছু বুঝে উঠার আগেই পাকিস্তানী হায়েনা ও  তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আল বদর ও আল শামস বাহিনী মিলে নিরীহ গ্রামের বাড়ী-ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। এর সাথে চলতে থাকে লুটপাঠ ও নির্যাতন।

আকস্মিক এ পরিস্থিতিতে এলাকার নিরীহ মানুষজন পাগলের মতো এলোপাথাড়ী ছোটাছুটি শুরু করেন। পাকিস্তানী বাহিনীর ছোঁড়া বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষনে মানুষজন জীবন বাঁচতে পার্শ্ববর্তী ধান ক্ষেতসহ ঝোঁপ-জঙ্গলে শুয়ে জীবন বাঁচানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে। অনেকে ব্রহ্মপূত্র নদে ঝাঁপ দিয়ে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করে। কিন্তু অসহায় বৃদ্ধ আর শিশুদের আর্তচিৎকারে এলাকার আকাশ-বাতাশ ক্রমেই ভারী হয়ে উঠে। এসব অসহায় গ্রামবাসীর জীবন বাঁচানোর চেষ্টা মহুর্তেই শেষ হয়ে যায়।

পাক-হানাদার বাহিনী তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আল বদর ও আল শামস বাহিনীর সহযোগীতায় আত্মগোপন করা মানুষগুলোকে ধরে নিয়ে এসে দাগারকুটিতে জড়ো করে হাত-পা বেঁধে নির্দয় ভাবে গুলি করে হত্যা করে। তাদের এ নারকীয় হত্যাযজ্ঞ থেকে সেদিন বৃদ্ধ ও মায়ের কোলে ঘুমিয়ে থাকা শিশুটিও রক্ষা পায়নি। দিনব্যাপী চলে পাক-হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ ও অগ্নিসংযোগ। আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে যায় হাতিয়া ইউনিয়নের অনন্তপুর, দাগারকুটি, হাতিয়া বকসি, রামখানা ও নয়াদাড়া গ্রামের শত শত ঘর-বাড়ী। মহুর্তেই গ্রামগুলো পরিনত হয় ধ্বংস স্তুপে। সেগুলো আজ শুধুই স্মৃতি।

The post আজ হাতিয়া গণহত্যা দিবস appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>