Teesta river Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=teesta-river কুড়িগ্রাম জেলার তথ্য ও সংবাদ Wed, 04 Jul 2018 08:06:44 +0000 en-US hourly 1 https://www.ulipur.com/wp-content/uploads/2022/10/1665889308.png Teesta river Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?tag=teesta-river 32 32 উলিপুরে তিস্তার ভাঙনে শতাধিক পরিবার গৃহহীন https://www.ulipur.com/?p=6493 Tue, 03 Jul 2018 16:36:06 +0000 http://www.ulipur.com/?p=6493 নিউজ ডেস্ক: ভাঙছে নদী। বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ীসহ আবাদি জমি। ভাঙনরোধে পাউবো কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় গত ২ দিনের ব্যবধানে তিস্তা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে উপজেলার হোকডাঙ্গার হিন্দু পাড়া ও ডাক্তার পাড়া গ্রামের ৫০টি পরিবারসহ শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে সদ্য নির্মিত বাঁধটিসহ ৫ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। অবিরাম ভাঙনের মুখে [...]

The post উলিপুরে তিস্তার ভাঙনে শতাধিক পরিবার গৃহহীন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
নিউজ ডেস্ক:
ভাঙছে নদী। বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ীসহ আবাদি জমি। ভাঙনরোধে পাউবো কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় গত ২ দিনের ব্যবধানে তিস্তা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে উপজেলার হোকডাঙ্গার হিন্দু পাড়া ও ডাক্তার পাড়া গ্রামের ৫০টি পরিবারসহ শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে সদ্য নির্মিত বাঁধটিসহ ৫ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। অবিরাম ভাঙনের মুখে ঘরবাড়ী সরাতে হিমশিম খাচ্ছে ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষজন। গত কয়েকদিন থেকে তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। সেইসাথে পাল্লা দিয়ে ভাঙছে নদী।

জেলার উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের তিস্তার ভাঙন কবলিত হোকডাঙ্গা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, নদী ভাঙনের ভয়াবহ রুপ। চোখের সামনে ভেঙে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল পদ্ম বালা বর্মনীর বসত ভিটা। নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে দালাল পাড়া, কড়াই পাড়া গ্রাম। তিস্তা নদী অববাহিকার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নেফরা, নন্দু নেফরা, বজরা ইউনিয়নের পশ্চিম বজরা, বাধেঁর বাজার, বগলা কুড়া ও সাতালস্কর গ্রামেও ভাঙন দেখা দিয়েছে।

ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোটি টাকা ব্যয়ে সদ্য নির্মিত নাগড়াকুড়া টি-বাঁধসহ ৫টি গ্রাম ও পাইকর পাড়া শ্যামলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ২টি মন্দির। হোকডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক আব্দুল বারী সহ ভুক্তভোগি অনেকেই জানান, গতবছর থেকে এসব এলাকায় ভাঙন শুরু হলেও কর্তৃপক্ষ ভাঙন রোধে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় এ বছর ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে ভাঙন রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান তারা।

থেতরাই ইউনিয়নের ডাক্তার পাড়া গ্রামের বাসিন্ধা সংরক্ষিত মহিলা সদস্য তারামনি রাণী জানান, ৭ দিন ধরে ওই এলাকায় তিস্তার ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত ২ দিনের ভাঙ্গনে তার বাড়িসহ পুরো হিন্দু পাড়া ও ডাক্তার পাড়া গ্রাম দু’টি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আমার বসতবাড়িও নদীতে চলে গেছে।

চলতি ভাঙনে শতাধিক পরিবার ও গত বছর ভাঙনে ৫০ পরিবার গৃহহীন হয়েছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে আরো ৫০টি পরিবার। ভাঙনে ঘরবাড়ি হারিয়ে মানুষজন দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে। হিন্দু পাড়া ও ডাক্তার পাড়া গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন (৬৫), মনোরাম চন্দ্র বর্মন (৭৫) ও করিমল চন্দ্র বর্মন (৫৫) জানান, চলতি ভাঙনে বাড়িঘর হারিয়ে তারা নিঃস্ব হয়েছেন। অর্থের অভাবে বাড়িঘর করতে পাচ্ছেন না। এলাকাবাসির দাবি রিলিপ চাই না, ভাঙনরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা চাই।

থেতরাই ইউপি চেয়ারম্যান আইযুব আলী সরকার জানান, ভাঙনরোধে আবেদন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা চাওয়া হয়েছে, তালিকা পেলে ক্ষতিপ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, ওই এলাকার ভাঙ্গনরোধে ৩৫ কি.মি. এলাকায় ৭টি ‘টি বাঁধ’ নির্মাণের জন্য ২শ’ ৪২ কোটি টাকার প্রকল্প দাখিল করা হয়েছে প্রকল্প অনুমোদন হলে কাজ শুরু হবে।

The post উলিপুরে তিস্তার ভাঙনে শতাধিক পরিবার গৃহহীন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
তিস্তার ভাঙ্গনে ২টি স্কুলসহ ৬৫ পরিবার গৃহহারা https://www.ulipur.com/?p=4675 Fri, 03 Nov 2017 15:01:01 +0000 http://www.ulipur.com/?p=4675 আব্দুল মালেকঃ উলিপুরে অসময়ে তিস্তা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে ২টি গ্রাম নিশ্চিন্ন হয়ে গেছে। ২টি স্কুল ও ৬৫টি পরিবারের বসতভিটাসহ ১’শ হেক্টর আবাদী জমির আধা পাকা ফসল নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। নদী ভাঙ্গনে বাস্তভিটা হারিয়ে দিশেহারা এসব পরিবার খোলা আকাশের নীচে অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছেন। বাস্তভিটা হারা মানুষজনের অভিযোগ এখন পর্যন্ত কেউ তাদের খোঁজ খবর নেয়নি। [...]

The post তিস্তার ভাঙ্গনে ২টি স্কুলসহ ৬৫ পরিবার গৃহহারা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
আব্দুল মালেকঃ
উলিপুরে অসময়ে তিস্তা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে ২টি গ্রাম নিশ্চিন্ন হয়ে গেছে। ২টি স্কুল ও ৬৫টি পরিবারের বসতভিটাসহ ১’শ হেক্টর আবাদী জমির আধা পাকা ফসল নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। নদী ভাঙ্গনে বাস্তভিটা হারিয়ে দিশেহারা এসব পরিবার খোলা আকাশের নীচে অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছেন। বাস্তভিটা হারা মানুষজনের অভিযোগ এখন পর্যন্ত কেউ তাদের খোঁজ খবর নেয়নি।

থেতরাই ইউনিয়নে তিস্তা নদী ভাঙ্গন কবলিত হোকডাঙ্গা মাঝিপাড়া গ্রামে সরোজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নদীর ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে মানুষজন তাদের ঘরবাড়ী সরিয়ে নিতে ব্যাস্ত। দিশেহারা মানুষজন জানায় প্রতিদিন ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ৮-৯ টি করে বাড়ীঘর নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভাঙ্গনে জোয়ান সতরা সরকারী প্রাথমি বিদ্যালয় ও দক্ষিন চর হোকডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ হোকডাঙ্গা মাঝিপাড়া ও ডাক্তার পাড়া গ্রাম নিশ্চিন্ন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনে ৬৫টি পরিবারের ঘরবাড়ী নদীগর্ভে বিলিন হয়ে সর্বশান্ত হয়েছে। ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে ওই এলাকার সংরক্ষিত ইউপি সদস্য তারামনির বাড়ীসহ ভারতপাড়া, দালাল পাড়া ও হোকডাঙ্গা পাঠোয়ারী পাড়া গ্রামের ৮০টি পরিবারের ঘরবাড়ী ক্ষেত খামার ও ধানি ফসলের জমি। ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষের অভিযোগ গত এক সপ্তাহ ধরে এ গ্রামে নদীর ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। আমারা সব কিছু হারিয়ে দিশেহারা। কিন্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের কেউ তাদের পাশে দাঁড়ায়নি। ফলে তারা খোলা আকাশের নীচে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন।

নদী ভাঙ্গনে সর্বশান্ত হয়েছেন ওই গ্রামের ভক্ত চন্দ্র বর্ম্মন(৪২), মহুবুবার রহমান(৬০) ও সচিন্দ্র চন্দ্র বর্ম্মন(৫৫) জানান গত ২৫ অক্টোবর রাতে ভাঙ্গনের মুখে তাদের ১টি করে ঘর সরাতে পেরেছেন বাকী ঘর ভেসে গেছে। এখন সড়কের উপর ঝুপড়ি করে পরিবার নিয়ে মানবেতন জীবন যাপন করছেন। বিধবা সুচিত্রা রানীর ১টি ঘর সে ঘরের শুধু বেড়া রক্ষা করতে পেরেছেন, কিন্ত ভেসে গেছে ঘরের চাল। এখন অন্যের বাড়ীতে আশ্রীত।

এদিকে উপজেলার তিস্তা নদীর কবলে বজরা, দলদলিয়া, গুনাইগাছ ও ব্রহ্মপুত্র নদের হাতিয়া, সাহেবের আলগা, বেগমগঞ্জ, বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ভাঙ্গনের খবর পাওয়া গেছে। থেতরাই ইউনিয়নের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য তারামনি জানায়, তার নিজের বাড়ী ভাঙ্গনের হুমকিতে পড়েছে। বিষয়টি চেয়ারম্যান ও ইউ এন ওকে জানিয়েছি। থেতরাই ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী জানান ওই এলাকায় ভাঙ্গন চলছে। তিনি তাৎক্ষনিক ভাবে বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম গতকাল সোমবার নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন হোকডাঙ্গা গ্রামের ভাঙ্গন বিষয়ে তিনি অবগত আছেন। আগামী বর্ষার আগেই ওই এলাকায় ভাঙ্গনরোধে কাজ হবে বলে জানান।

The post তিস্তার ভাঙ্গনে ২টি স্কুলসহ ৬৫ পরিবার গৃহহারা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>