Featured Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?cat=5 কুড়িগ্রাম জেলার তথ্য ও সংবাদ Sat, 12 Aug 2023 09:36:39 +0000 en-US hourly 1 https://www.ulipur.com/wp-content/uploads/2022/10/1665889308.png Featured Archives - স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র https://www.ulipur.com/?cat=5 32 32 সাহিত্য এবং ভাষার মধ্যে পার্থক্য https://www.ulipur.com/?p=25982 Sat, 12 Aug 2023 09:36:37 +0000 https://www.ulipur.com/?p=25982 সাহিত্য (Literature):আমরা বাংলা ভাষাভাষীর মাধ্যমে নিজেদের মনের ভাব, আবেগ একজন অন্যজনের কাছে প্রকাশ করে থাকি। আর এই প্রকাশটাই যখন বিশেষ কোনোভাবে সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে লিখিত আকারে প্রকাশ হয় ঠিক তখনই এটিকে সাহিত্য হিসেবে ধরা হয়। সাহিত্য শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আর এই সাহিত্য শিল্পের মাধ্যমেই একটি সাধারণ লেখনীকে করে তোলা হয় ভিন্ন কিংবা অসাধারণ। যা শুধুমাত্র [...]

The post সাহিত্য এবং ভাষার মধ্যে পার্থক্য appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
সাহিত্য (Literature):
আমরা বাংলা ভাষাভাষীর মাধ্যমে নিজেদের মনের ভাব, আবেগ একজন অন্যজনের কাছে প্রকাশ করে থাকি। আর এই প্রকাশটাই যখন বিশেষ কোনোভাবে সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে লিখিত আকারে প্রকাশ হয় ঠিক তখনই এটিকে সাহিত্য হিসেবে ধরা হয়। সাহিত্য শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আর এই সাহিত্য শিল্পের মাধ্যমেই একটি সাধারণ লেখনীকে করে তোলা হয় ভিন্ন কিংবা অসাধারণ। যা শুধুমাত্র সাহিত্যের মাধ্যমেই সম্ভব।

অন্যভাবে বলা যায়, সাহিত্য শিল্পের একটি অংশ বলে বিবেচিত হয়, অথবা এমন কোনো লেখনী, যেখানে শিল্পের বা বুদ্ধিমত্তার আঁচ পাওয়া যায়। অথবা যা বিশেষ কোনো প্রকারে সাধারণ লেখনী থেকে আলাদা ৷ মোটকথা, ইন্দ্রিয় দ্বারা জাগতিক বা মহাজাগতিক চিন্তা চেতনা, অনুভূতি, সৌন্দর্য ও শিল্পের লিখিত বা লেখকের বাস্তব জীবনের অনুভূতি হচ্ছে সাহিত্য। ধরন অনুযায়ী সাহিত্যকে কল্পকাহিনী বা বাস্তব কাহিনী কিংবা পদ্য, গদ্য এই দুইভাগে ভাগ করা যায়।

ভাষা (Language):
যে ধ্বনি মানুষের বাক যন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত হয় এবং যার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করা হয় তাকে ভাষা বলে। আমরা মনে রাখবো, যেকোনো রকমের ধ্বনি হলেই ভাষা হবে না। যেমনঃ হাততালি দিয়ে ডাকা, ইশারায় কথা বলা, এগুলি ভাষা নয়। আমরা মনে রাখব ভাষা হল ধ্বনিযুক্ত এবং তা অর্থবহ। আবার উচ্চারণ যোগ্য ধ্বনি হলেই তা ভাষা হবে না। তাকে হতে হবে অর্থবহ । অর্থাৎ শুধুমাত্র মনের ভাব প্রকাশের উপযোগী ধ্বনিই হল ভাষা।

সাহিত্য এবং ভাষার মধ্যে পার্থক্যঃ
➤ ইন্দ্রিয় দ্বারা জাগতিক বা মহাজাগতিক চিন্তা চেতনা, অনুভূতি, সৌন্দর্য ও শিল্পের লিখিত বা লেখকের বাস্তব জীবনের অনুভূতি হচ্ছে সাহিত্য। অন্যদিকে, মনের ভাবচিন্তা ইচ্ছা অনুভূতি উপলব্ধি ইত্যাদি প্রকাশ করার জন্য যখন মানুষ বাগযন্ত্রের সাহায্যে মুখ দিয়ে অর্থগ্রাহ্য
ধ্বনি, শব্দ বা বাক্য উচ্চারণ করে তখন তাকে ভাষা বলা হয়।

➤ সাহিত্য এই অর্থে কল্পনাশক্তিপূর্ণ যে উপাদানটির লেখক তার কল্পনাটি ব্যবহার করে কাজটি তৈরি করে। অন্যদিকে, ভাষা প্রকৃতিতে ভাব প্রকাশ করে। কারণ এটি জীবন্ত প্রাণীদের একে অপরের সাথে তাদের চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতি প্রকাশ করতে সহায়তা করে।

➤ সাহিত্যে বৌদ্ধিক চিন্তাভাবনা এবং মননসহ লেখকদের লিখিত রচনা। অন্যদিকে, ভাষা হল- শব্দ, চিহ্ন, চিহ্ন, শব্দ এবং ব্যাকরণ সম্পর্কিত।

➤ সাহিত্য নিখুঁতভাবে জীবনের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়, যেমন তার জীবনে তার অভিজ্ঞতা, অনুভূতি, স্বপ্ন দেখে ইত্যাদি রয়েছে। অন্যদিকে, ভাষা হ’ল বিমূর্ত পদ্ধতি যা আলোচনায় সহায়তা করে।

➤ সাহিত্য প্রায়শই বিনোদন, উদ্ঘাটন, লেখকের চিন্তাভাবনা, তথ্য এবং কল্পনাগুলির অন্তর্নিহিতকে উৎসাহ দেয়। অন্যদিকে, ভাষা জীবের মধ্যে পারস্পরিক মিথষ্ক্রিয়া ঘটায়।

সূত্রঃ পার্থক্য

The post সাহিত্য এবং ভাষার মধ্যে পার্থক্য appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
ভিসা ছাড়াই যাওয়া যাবে ৪০ দেশে https://www.ulipur.com/?p=25727 Mon, 31 Jul 2023 07:14:30 +0000 https://www.ulipur.com/?p=25727 ।। নিউজ ডেস্ক ।। বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে প্রায় ৪০টি দেশে আপনি যেতে পারবেন আগে থেকে ভিসা না নিয়েই। গত ১৮ জুলাই বিশ্বের পাসপোর্টগুলোর র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা দ্য হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স। শক্তিশালী পাসপোর্টের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৯৭তম। গত জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০১তম। একজন বাংলাদেশি নাগরিক ভিসা ছাড়াই যেতে [...]

The post ভিসা ছাড়াই যাওয়া যাবে ৪০ দেশে appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে প্রায় ৪০টি দেশে আপনি যেতে পারবেন আগে থেকে ভিসা না নিয়েই। গত ১৮ জুলাই বিশ্বের পাসপোর্টগুলোর র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা দ্য হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স। শক্তিশালী পাসপোর্টের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৯৭তম। গত জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০১তম।

একজন বাংলাদেশি নাগরিক ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন যে দেশগুলোতে তার মধ্যে রয়েছে ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের কয়েকটি ছোট দ্বীপ দেশ।

সূচকের তথ্য বলছে, বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা এখন আগাম ভিসা ছাড়া বিশ্বের ৪০টি দেশ ও অঞ্চলে ভ্রমণ করতে পারেন। এ তালিকায় ছয়টি এশিয়ার দেশ আছে। এ ছাড়া আছে আমেরিকার একটি, আফ্রিকার ১৫টি, ক্যারিবীয় ১১টি ও ওশেনিয়ার ৭টি দেশ ও অঞ্চল। এর মধ্যে কিছু দেশ ও অঞ্চলে (এক তারকা চিহ্নিত) অন অ্যারাইভাল বা বিমানবন্দরে নামার পর ভিসার সুবিধা পান বাংলাদেশিরা। শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে নিতে হবে ই-ভিসা।

চলুন জেনে নিই ভিসা ছাড়া যে ৪০টি দেশ যেতে পারবেন বাংলাদেশিরাঃ-
এশিয়ার দেশগুলো হচ্ছে : ভুটান, কম্বোডিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পূর্ব তিমুর*।

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ : বলিভিয়া*।

আফ্রিকা অঞ্চলের দেশগুলো হলো : বুরুন্ডি, কেপ ভার্দে, কমোরো দ্বীপপুঞ্জ, জিবুতি, গিনি-বিসাউ, লেসোথো, মাদাগাস্কার, মৌরিতানিয়া, মোজাম্বিক, রুয়ান্ডা, সেশেলস, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, গাম্বিয়া ও টোগো*।

ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশগুলো : বাহামা, বার্বাডোস, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, ডমিনিকা, গ্রানাডা, হাইতি, জ্যামাইকামন্টসেরাত, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডাউন, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো,

ওশেনিয়ার দেশগুলো : কুক আইল্যান্ড, ফিজি, মাইক্রোনেশিয়া, নুউয়ে, সামোয়া, টুভালু ও ভানুয়াতু।

The post ভিসা ছাড়াই যাওয়া যাবে ৪০ দেশে appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কথ্য ভাষা ও লেখ্য ভাষার মধ্যে পার্থক্য https://www.ulipur.com/?p=25626 Wed, 26 Jul 2023 07:46:55 +0000 https://www.ulipur.com/?p=25626 কথ্য ভাষা (Spoken Language) :মানুষে যে ভাষাগুলোতে কথা বলে, সেগুলো কথ্য ভাষা। বর্তমানে বিশ্বের সব দেশ মিলে কথ্য ভাষার সংখ্যা ৬,০০০-র বেশি। প্রত্যেক সম্প্রদায়ের নিজস্ব কথ্য ভাষার নিজস্ব ব্যাকরণের নিয়ম থাকে। শিক্ষক যখন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করেন, কিংবা কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে আমরা বক্তব্য উপস্থাপন করি তখন ভাষা ব্যবহারে সচেতনতা দেখা যায়। তাই বিশেষ পরিবেশ ও প্রয়োজনের [...]

The post কথ্য ভাষা ও লেখ্য ভাষার মধ্যে পার্থক্য appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
কথ্য ভাষা (Spoken Language) :
মানুষে যে ভাষাগুলোতে কথা বলে, সেগুলো কথ্য ভাষা। বর্তমানে বিশ্বের সব দেশ মিলে কথ্য ভাষার সংখ্যা ৬,০০০-র বেশি। প্রত্যেক সম্প্রদায়ের নিজস্ব কথ্য ভাষার নিজস্ব ব্যাকরণের নিয়ম থাকে। শিক্ষক যখন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করেন, কিংবা কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে আমরা বক্তব্য উপস্থাপন করি তখন ভাষা ব্যবহারে সচেতনতা দেখা যায়। তাই বিশেষ পরিবেশ ও প্রয়োজনের বাইরে যখন ভাষা ব্যবহার করা হয় তাকে কথ্য ভাষা বলে। অথবা আমরা বলতে পারি, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সাধারণ যে ভাষায় কথা বলি তাই কথ্য ভাষা।

কথ্য ভাষার একটি বৈশিষ্ট্য হল অনানুষ্ঠানিক পরিবেশে বন্ধু কিংবা সহকর্মী বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলাপচারিতায় এই কথ্য ভাষারূপ ব্যবহার করা হয়।

লেখ্য ভাষা (Written Language):
ভাষার যে মান্য রূপটি কোনো ভাষাভাষী গোষ্ঠীর মানুষ সর্বসম্মতভাবে লেখার জন্য ব্যবহার করে, তাকে বলে লিখিত ভাষা বা লেখ্য ভাষা। অর্থাৎ এই লেখ্য ভাষা প্রকাশ করতে লেখনী যন্ত্রে প্রয়োজন হয় উদাহরণস্বরূপ কালি, কলম, মোবাইল, কম্পিউটার ইত্যাদি। লেখ্য ভাষার দ্বারা মূলত বই পুস্তক চিঠি ইত্যাদি লেখা হয়। লেখ্য ভাষাকে আবার দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। যথা- সাধু ভাষা এবং চলিত ভাষা।

কথ্য ভাষা ও লেখ্য ভাষার মধ্যে পার্থক্যঃ-
বাংলা ভাষার কথ্যরূপ এবং লিখিত রূপের মধ্যে পার্থক্য উল্লেখযোগ্য। বাচনভঙ্গি এবং প্রকাশভঙ্গিতে ব্যাপক রূপান্তর লক্ষ্য করা যায়। কথ্য ভাষা ও লেখ্য ভাষার মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-

➤ মানুষ নানা প্রয়োজনে কথা বলে। মুখ থেকে বের হওয়া এই ভাষা হল মৌখিক ভাষা। মুখের ভাষার সাহায্যে এক মানুষ অন্য মানুষের সঙ্গে সরাসরি ভাবের আদান-প্রদান করে। মুখের ভাষা বলা ও শোনার মধ্যে সীমাবদ্ধ। অন্যদিকে, মুখের ভাষাকে লেখ্য রূপ দিলে তা হয় লিখিত ভাষা। লেখার জন্য মুখের উচ্চারিত ধ্বনিকে প্রতীক রূপ দেওয়া হয়। যেমন- অ, আ, ক, খ ইত্যাদি। এগুলোকে বলা হয় বর্ণ। বর্ণের সঙ্গে বর্ণের যোগে শব্দ হয়, শব্দ দিয়ে বাক্য তৈরি হয়। এইভাবে ধ্বনি প্রতীকের সাহায্যে ভাষা লেখ্য রূপ পায়।

➤ কথ্য ভাষাতে ব্যাকরণের কড়াকড়ি নিয়ম মেনে চলা বাধ্যতামূলক নয়। অন্যদিকে, লেখ্য ভাষায় ব্যাকরণের নিয়ম মেনে চলতে হয়।

➤ কথ্য ভাষা এলাকাভেদে বদলে যায়। অন্যদিকে, লেখ্য ভাষার কোন এলাকাভেদে পরিবর্তন হয় না।

➤ কথ্য ভাষা আলাদাভাবে শিখতে হয় না; মানুষ তার জন্মের কিছুদিন পর থেকে পরিবেশ থেকেই শিখে যায়। অন্যদিকে, লেখ্য ভাষা আলাদা করে শিখতে হয়।

➤ কথ্য ভাষায় বাক্যের গঠন অনেক সময় এলোমেলো হলেও চলে। অন্যদিকে, লেখ্য ভাষায় বাক্যের গঠন ব্যাকরণসম্মত হতে হয়।

➤ প্রতিটি ব্যক্তির কথ্য ভাষায় কম-বেশি পার্থক্য দেখা যায়। অন্যদিকে, একই ভাষাভাষীর ক্ষেত্রে তেমন পার্থক্য দেখা যায় না।

➤ কথ্য ভাষায় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। অন্যদিকে, লেখ্য ভাষায় ভুল হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

➤ ধ্বনি ও শব্দার্থ পরিবর্তনের মাধ্যমে ভাষাকে গতিশীলতা দেয় কথ্য ভাষা অন্যদিকে, লেথ্য ভাষা ভাষার রূপকে স্থিতিশীলতা দেয়।

সূত্রঃ পার্থক্য

The post কথ্য ভাষা ও লেখ্য ভাষার মধ্যে পার্থক্য appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
বাঁধ ও ব্যারেজের মধ্যে পার্থক্য https://www.ulipur.com/?p=25596 Tue, 25 Jul 2023 09:53:34 +0000 https://www.ulipur.com/?p=25596 বাঁধ (Dam):বাঁধ হলো নদীর প্রবাহের সাথে সমকোণে (আড়াআড়ি) স্থাপিত প্রতিবন্ধক এবং পানি বিদ্যুৎ প্রকল্পের মূল স্থাপনা, যেমনটা কাপ্তাই বাঁধ। সাধারণত খরস্রোতা নদীর প্রবাহকে বাঁধ দিয়ে আটকে এর উজানে জলাধার তৈরী করে পানির উচ্চতা বাড়ানো হয়। এরপর জলাধারের নিচে সুড়ঙ্গের মাধ্যমে এই পানিকে প্রবাহিত করে টারবাইন ঘুড়িয়ে উৎপন্ন করা হয় বিদ্যুৎ। বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানির প্রবাহ [...]

The post বাঁধ ও ব্যারেজের মধ্যে পার্থক্য appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
বাঁধ (Dam):
বাঁধ হলো নদীর প্রবাহের সাথে সমকোণে (আড়াআড়ি) স্থাপিত প্রতিবন্ধক এবং পানি বিদ্যুৎ প্রকল্পের মূল স্থাপনা, যেমনটা কাপ্তাই বাঁধ। সাধারণত খরস্রোতা নদীর প্রবাহকে বাঁধ দিয়ে আটকে এর উজানে জলাধার তৈরী করে পানির উচ্চতা বাড়ানো হয়। এরপর জলাধারের নিচে সুড়ঙ্গের মাধ্যমে এই পানিকে প্রবাহিত করে টারবাইন ঘুড়িয়ে উৎপন্ন করা হয় বিদ্যুৎ।

বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানির প্রবাহ বাড়লেও জলাধারা আটকে রাখার কারণে ভাটি অঞ্চলে পানির প্রবাহ কমে যাবে। অন্যদিকে শুষ্ক মৌসুমে উজান থেকে পানি কম আসলেও বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রয়োজনে জলাধার থেকে নিয়মিত পানি ছাড়া হবে, ফলে বাঁধের ভাটিতে পানির প্রবাহ আগের থেকে বাড়বে।

ব্যারেজ (Barrage):
ব্যারেজ হলো নদীর পানিকে একাধিক গেইট দিয়ে নিয়ন্ত্রিতভাবে প্রবাহিত করা। ব্যারেজের ঠিক উজানে এক বা একাধিক কৃত্রিম খাল খনন করে নিয়ন্ত্রিতভাবে পানি প্রবাহিত করে আরো ছোট ছোট খাল দিয়ে (তিস্তা ব্যারেজ, বাংলাদেশ) বা পাম্পের মাধ্যমে (জিকে প্রকল্প, বাংলাদেশ) আবাদি জমিতে সেচ দেয়া হয় অথবা অন্য কোন নদীতে পানি প্রবাহ বাড়ানো হয় (যেমন ফাঁরাক্কা ব্যারেজ)। অর্থ্যাৎ ব্যারেজের মূল লক্ষ্যই থাকে একটি নদী থেকে পানি অপসারণ, অন্যদিকে বাঁধের মূল উদ্দেশ্য উজানে পানি সঞ্চয়।

বাঁধ ও ব্যারেজের মধ্যে পার্থক্যঃ
➤ বাঁধ হলো নদীর প্রবাহের সাথে সমকোণে স্থাপিত প্রতিবন্ধক এবং পানিবিদ্যুৎ প্রকল্পের মূল স্থাপনা। অন্যদিকে, ব্যারেজ হলো নদীর পানিকে একাধিক গেইট দিয়ে নিয়ন্ত্রিতভাবে প্রবাহিত করা।
➤ বাঁধগুলি সাধারণত কংক্রিট বা মাটি দিয়ে তৈরি। অন্যদিকে, ব্যারেজ কংক্রিট, ইস্পাত বা মাটি দিয়ে তৈরি হতে পারে।
➤ বাঁধগুলি সাধারণত ব্যারেজের চেয়ে অনেক বড় হয়, কারণ সেগুলি প্রচুর পরিমাণে পানি ধরে রাখার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। অন্যদিকে, বাঁধের তুলনায় ব্যারেজগুলি আকারে ছোট হয়ে থাকে।
➤ বাঁধগুলি সাধারণত একটি দীর্ঘ, বাঁকা প্রাচীরের মতো আকৃতির হয়। অন্যদিকে, ব্যারেজ সাধারণত ছোট এবং আয়তাকার হয়।
➤ বাঁধগুলো পানির প্রবাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়। অন্যদিকে, ব্যারেজগুলি তাদের মধ্য দিয়ে কিছু পানি প্রবাহিত করতে দেয়।

সূত্রঃ পার্থক্য

The post বাঁধ ও ব্যারেজের মধ্যে পার্থক্য appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
দেশে বায়ুদূষণের ভয়াবহতা, সরকারি উদ্যোগের ঘাটতি ও জনগণের করণীয় https://www.ulipur.com/?p=22619 Mon, 20 Feb 2023 12:31:30 +0000 https://www.ulipur.com/?p=22619 || রূপম রাজ্জাক ||আমাদের দেশে সাধারণত রাজধানী ঢাকার বায়ুর মানের সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) নিয়ে আলোচনা হয়। সেটাও হয় যখন সেই AQI সর্বোচ্চ মাত্রায় খারাপ থাকে। আর এসব আমরা জানতে পারি শুধুমাত্র যখন জাতীয় পত্রিকাগুলো লেখে বা নিউজ করে। কিন্তু জাতীয় গণমাধ্যম স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে প্রতিদিন নিউজ করে না। যেদিন বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ে [...]

The post দেশে বায়ুদূষণের ভয়াবহতা, সরকারি উদ্যোগের ঘাটতি ও জনগণের করণীয় appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
|| রূপম রাজ্জাক ||
আমাদের দেশে সাধারণত রাজধানী ঢাকার বায়ুর মানের সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) নিয়ে আলোচনা হয়। সেটাও হয় যখন সেই AQI সর্বোচ্চ মাত্রায় খারাপ থাকে। আর এসব আমরা জানতে পারি শুধুমাত্র যখন জাতীয় পত্রিকাগুলো লেখে বা নিউজ করে। কিন্তু জাতীয় গণমাধ্যম স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে প্রতিদিন নিউজ করে না। যেদিন বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ে যায় সেদিন হয়তো নিউজ করে। তবে আমরা কি জানি ঢাকার বাইরের শহরগুলোতেও এয়ার কোয়ালিটি ইনডেএক্সের অবস্থা খারাপের মধ্যেই থাকে? AQI পরিসংখ্যান বলছে, যারা ঢাকায় থাকেন না তাদের নিজেদেরকে খুব একটা নিরাপদ ভাবার কারণ নেই। কারণ ঢাকার বাইরের বায়ুর দূষণ ঢাকার মতো ‘অতিরিক্ত খারাপ’ না হলেও স্বাস্থ্যকর অবস্থায় নেই।

AQI কে মূলত কয়েকটি গ্রুপে ভাগ করা হয়। ইনডেক্স ০-৫০ কে ভালো ধরা হয়। ৫১-১০০ কে মোটামুটি ভালো ও ১০১-১৫০ কে সংবেদনশীল শ্রেণী মানুষের জন্য ক্ষতিকর/অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। এরপরের ধাপে ১৫১-২০০ কে সবার জন্যই অস্বাস্থ্যকর হিসেবে ধরা হয়। AQI ইনডেক্স ২০১-৩০০ কে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বিবেচনা করা হয়। সর্বশেষ গ্রুপে ইনডেক্স ৩০১ ও তার বেশি হলে তা বিপজ্জনক বলে বিবেচনা করা হয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের AQI এর তথ্য ঘাটলে দেখা যায় বায়ুদূষণ প্রায় সবসময়ই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে থাকে।

AQI এর বিভিন্ন স্তর

আমি যখন এই লেখাটি লিখছি (বাংলাদেশ সময়, ২০ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩, সোমবার সকাল ৭টায়) তখন বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগের ৩০টি জেলার AQI মাত্রা দেখে একটিতেও ১০০ এর নিচে পাইনি। বরং বেশ কয়েকটি জেলায় এই মাত্রা ১৫০ এর অনেক উপরে ছিল। একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক, যেখানে AQI ছিল ৯৯। তার মানে কমবেশি অস্বাস্থ্যকর মানের বায়ুই বিরাজ করছে গোটা দেশে।

দেশের কয়েকটি অঞ্চলের আজকের AQI

বায়ুদূষণ অনেক কারণেই হয়। অপরিকল্পিত শিল্পায়নের ফলে হয় তা সবার জানা। যানবাহন ও কৃষিবর্জ্যের ধোঁয়া থেকে হয়। ফসলে/বাগানে কীটনাশক ব্যবহারের ফলেও হয়ে থাকে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার বাইরে অসংখ্য অপরিকল্পিত ও অবৈধ ইটভাটার সৃষ্ট দুষিত বায়ু দেশের অন্যতম বড় পরিবেশ-ঘাতক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে দেশের প্রত্যন্ত অনেক গ্রামেও বায়ুর মান মারাত্মক রকমের খারাপ হয়েছে।

একটি গবেষণায় এসেছে, ঢাকাসহ দেশের প্রায় সব শহরের বায়ু বছরে ৩৬৫ দিনের ৩০০ দিনই মারাত্মক দূষিত অবস্থায় থাকে। গবেষকরা বলছেন, এরকম AQI পরিস্থিতিতে একজন মানুষের আয়ু ৮-১০ বছর পর্যন্ত কমতে পারে এবং জীবদ্দশায় বিভিন্ন রোগশোক লেগেই থাকবে। অন্য একটি গবেষণায় পাওয়া গেছে, বাংলাদেশে প্রতিবছর বায়ুদূষণে প্রায় ৮৮ হাজার মানুষ মারা যান। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। বায়ুদূষণের ফলে শরীরে যেসব বস্তুকণা প্রবেশ করে তা সর্দি, কাশি, যক্ষ্মা ও নিউমোনিয়ার মতো রোগের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যেরও অবনতি ঘটায়। মেজাজ খিটখিটে তো বটেই এমনকি আত্মহত্যার প্রবণতাও চলে আসে।

বলছিলাম AQI এর উপর গণমাধ্যমের নিউজ নিয়ে। যেহেতু প্রতিদিন নিউজ হয়না, তাই অনেকসময় AQI খুব খারাপ থাকলেও জনগণ তা জানতেই পারে না। কিন্তু এটি সবসময়ই জানা যেতো যদি সরকার নিজ দায়িত্বে দেশের বিভিন্ন শহরের/জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ডিসপ্লে বসিয়ে রিয়্যাল টাইম AQI সহ এ সম্পর্কিত তথ্য শেয়ার করতো। আমাদের দেশের সরকার বায়ুদূষণ ঠেকাতে পারেনি বা দৃশ্যমান উদ্যোগও নেয়নি। কিন্তু দূষিত বায়ুর ভয়াবহতা সম্পর্কে মানুষকে হালনাগাদ তথ্য দিতে পারতো। এ কাজটি করলে কোটি কোটি মানুষ সাবধান হতে পারতো বা ক্ষতির পরিমাণ কমাতে নিজেরাই সক্রিয় হতো।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শহরে শহরে রিয়্যাল টাইম AQI দেখানোর ডিসপ্লে থাকে যেখানে বিভিন্ন সচেতনতামূলক পরামর্শও দেয়া থাকে। উন্নত দেশগুলো এ ব্যাপারে খুবই তৎপর। এমনকি আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের রাজধানী দিল্লিতেও সেরকম ব্যবস্থা আছে। সেদেশে এই বিষয় নিয়ে প্রতিনিয়ত আলোচনা সমালোচনা হয়ে থাকে এবং সরকারও বিভিন্ন রকমের উদ্যোগ নেয়। শুধু তাই নয়, AQI ইনডেক্সের মাত্রার উপর ভিত্তি করে মাঝে মাঝে সরকার স্কুলগুলো বন্ধ ঘোষণা করে। কারণ দূষিত বায়ু শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এছাড়া সর্বসাধারণের জন্য জরুরি দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে সেখানকার সরকার। আমাদের দেশেও সরকার ঢাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে এ ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারে। শিশু/বৃদ্ধ বা প্রয়োজনে সর্বসাধারণের জন্য আলাদা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। সরকারি ওয়েবসাইট এমনকি টেলিভিশনের স্ক্রলেও সবসময়ের জন্য সতর্কতা বার্তা দেখানো যেতে পারে। জনস্বার্থে এ ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি। আশা করি শীঘ্রই সরকারের সুবিবেচনার পরিচয় দেবে।

দিল্লীর রাস্তায় AQI ডিসপ্লে

তবে সরকার করুক বা না করুক, সচেতন মানুষ নিজেরাই কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে চলতে পারে। যেমন – আমরা নিজেরাই এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের উপর নজর রাখতে পারি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে চোখ রেখে বা মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে। আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রায়ই ঢাকার AQI এর খোজ রাখি IQAir নামক একটি অ্যাপের মাধ্যমে (স্ক্রিনশট সংযুক্ত)। অ্যাপ বা ওয়েবসাইট শুধু ইনডেক্স দেখাবে না, পাশাপাশি কতগুলো রিকমেন্ডেশনও দিয়ে থাকে। যেমন- যেদিন AQI খুব খারাপ থাকবে সেদিন ঘরের বাইরের কাজ কম রাখতে হবে বা পারতপক্ষে এড়িয়ে চলতে হবে। সামর্থ্য থাকলে ঘরে বায়ু পরিশোধক ব্যবহার করার পরামর্শও দেয়া হয়। বাইরে যদি যেতেই হয় সেক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হয়।

মোবাইল অ্যাপে ঢাকার আজকের AQI

বিশুদ্ধ বায়ু সকলের মৌলিক অধিকার। তবে তা নিশ্চিত করতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়েও সকলের সচেতনতা প্রয়োজন।


লেখক –
রূপম রাজ্জাক
তথ্য প্রযুক্তিবিদ ও সাংবাদিক
লন্ডন, যুক্তরাজ্য।

The post দেশে বায়ুদূষণের ভয়াবহতা, সরকারি উদ্যোগের ঘাটতি ও জনগণের করণীয় appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
আজ থেকে শুরু হচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ https://www.ulipur.com/?p=20764 Sun, 20 Nov 2022 12:35:53 +0000 https://www.ulipur.com/?p=20764 ।। নিউজ ডেস্ক ।। ফুটবলপ্রেমীদের দীর্ঘ চার বছরের অপেক্ষার প্রহর শেষে আজ (২০ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় মরুর বুকে পর্দা উঠবে কাতার বিশ্বকাপের। উদ্বোধনী ম্যাচে আল বাইত স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের প্রতিপক্ষ লাতিন আমেরিকার অন্যতম পরাশক্তি ইকুয়েডর। ১৯৩০ সালে শুরু হওয়া ফিফা বিশ্বকাপের ২২তম আসরের আয়োজক দেশ কাতার। কাতারের আয়োজক হওয়া নিয়ে যেমন আছে আলোচনা, তেমনি [...]

The post আজ থেকে শুরু হচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
ফুটবলপ্রেমীদের দীর্ঘ চার বছরের অপেক্ষার প্রহর শেষে আজ (২০ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় মরুর বুকে পর্দা উঠবে কাতার বিশ্বকাপের। উদ্বোধনী ম্যাচে আল বাইত স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের প্রতিপক্ষ লাতিন আমেরিকার অন্যতম পরাশক্তি ইকুয়েডর।

১৯৩০ সালে শুরু হওয়া ফিফা বিশ্বকাপের ২২তম আসরের আয়োজক দেশ কাতার। কাতারের আয়োজক হওয়া নিয়ে যেমন আছে আলোচনা, তেমনি আছে সমালোচনাও। তবে সব কিছু ছাপিয়ে আজ মাঠে গড়াচ্ছে বিশ্ব ফুটবলের এই মহারণ।

এশিয়ার অন্যতম ধনী দেশ কাতারে হচ্ছে বিশ্বকাপ। উত্তপ্ত গরম, তাই বিশ্বকাপ শীতে আনা হয়েছে। ফিফার টেবিল থেকে সিদ্ধান্ত আনতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। আয়োজকের নাম ঘোষণা হওয়ার পরও বহুভাবে চেষ্টা হয়েছিল যেন কাতার থেকে বিশ্বকাপের মঞ্চটা তুলে নিয়ে অন্য কোনো দেশে বসিয়ে দেওয়া হয়। গরমে খেলতে পারবে না বলে কাতারের কাছ থেকে কেড়ে নিতে কমচেষ্টা হয়নি। কাতার বলে দিল স্টেডিয়ামে ঠান্ডা বাতাস ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

বিশ্বকাপের যাবতীয় প্রস্তুতি নিতে কাতারের খরচ হয়েছে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩০ লাখ কোটি টাকা। গত ৮টি বিশ্বকাপের মধ্যে যা সবচেয়ে বেশি। শুধু বেশি বললে ভুল হবে, গত ২০১৮ রাশিয়া আসরের চেয়ে ২২ গুন বেশি অর্থ খরচ হচ্ছে এবারের আসরে।

আগের সব বিশ্বকাপের চেয়ে এবারের টিকেটের মূল্য হবে বেশি। ফাইনালের সবচেয়ে দামি টিকেটটির মূল্য পাঁচ হাজার ৮৫০ রিয়াল, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় এক লাখ ৬৪ হাজার টাকা।

কোন কোন স্যাটেলাইট চ্যানেল আজ কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখাবে, তা এক নজরে দেখে নিন-

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান: রাত ৮টা, বিটিভি, টি স্পোর্টস, গাজী টিভি

উদ্বোধনী ম্যাচ: কাতার-ইকুয়েডর। রাত ১০টা, বিটিভি, টি স্পোর্টস, গাজী টিভি

The post আজ থেকে শুরু হচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
ফুলবাড়ীতে ক্ষমতা পেয়েই ৪০ মণ মাছ চুরি ও যুব উদ্যোক্তাকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা সভাপতির বিরুদ্ধে https://www.ulipur.com/?p=20700 Wed, 16 Nov 2022 17:05:46 +0000 https://www.ulipur.com/?p=20700 ।। নিউজ ডেস্ক ।।ফুলবাড়ী উপজেলার শাহ বাজার এএইচ ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসায় ম্যানেজিং কমিটির ক্ষমতায় এসে অবৈধ সুবিধা না পেয়ে লিজকৃত বিলের ৪০মণ মাছ জোরপূর্বক উত্তোলন, প্রাণনাশের হুমকী এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে লিজ বাতিলের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা সভাপতির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী যুব উদ্যোক্তা হয়রানি থেকে বাঁচতে শেষ পর্যন্ত নিয়েছেন আদালতের আশ্রয়। মামলা ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফুলবাড়ী [...]

The post ফুলবাড়ীতে ক্ষমতা পেয়েই ৪০ মণ মাছ চুরি ও যুব উদ্যোক্তাকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা সভাপতির বিরুদ্ধে appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
ফুলবাড়ী উপজেলার শাহ বাজার এএইচ ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসায় ম্যানেজিং কমিটির ক্ষমতায় এসে অবৈধ সুবিধা না পেয়ে লিজকৃত বিলের ৪০মণ মাছ জোরপূর্বক উত্তোলন, প্রাণনাশের হুমকী এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে লিজ বাতিলের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা সভাপতির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী যুব উদ্যোক্তা হয়রানি থেকে বাঁচতে শেষ পর্যন্ত নিয়েছেন আদালতের আশ্রয়।

মামলা ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের ঠাকুরপাঠ এলাকার আতাউর রহমানের পূত্র যুব উদ্যোক্তা মেহেদি হাসান ফুলবাড়ীর শাহ বাজার এএইচ ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার নিজস্ব দখলীয় সম্পদ মরানদী নামীয় শামাবিল-১, শামাবিল-২ ও শামাবিল-৩ মৎস প্রকল্পের ৯দশমিক ৫০ একর জায়গা ১৫ বছরের জন্য লীজ গ্রহণ করেন। ২০১৭ সালের প্রবল বন্যায় লীজকৃত বিল ৩টির দুইপাড় স্রোতে ভেসে যায় এবং মাঝখানে বালু ভরাট হয়ে যাওয়ায় মাছ চাষের জন্য অনুপযুক্ত হয়ে পরে। ফলে মাদ্রাসা কমিটি বিল ৩টি ইজারা দিতে পারছিলেন না। পরবর্তীতে বিল সংস্কার ও মাঝখানে ভরাটকৃত বালু উত্তোলন সাপেক্ষে দীর্ঘ মেয়াদে যুব উদ্যোক্তা মেহেদি হাসানকে ১৫বছরের জন্য বিল ৩টি ইজারা প্রদান করা হয়। প্রথম ৫বছরে সংস্কার কাজের জন্য লীজ গ্রহণকারী ১লক্ষ টাকা প্রদানের মাধ্যমে প্রকল্পের মালিকানাভূক্ত হন। যা চুক্তিপত্রের ২নং শর্তে উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে ২০২২ সাল থেকে ২০৩২ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ৫১হাজার টাকা ভাড়া র্নিধারণ করে বিগত ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে নোটারী পাবলিকে উভয়পক্ষ এফিডেভিটের মাধ্যমে চুক্তিনামা সম্পাদন করেন। চুক্তির পর পরই শর্ত মোতাবেক ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ধরলা নদী সংলগ্ন বিলের দুই পাড়ে বাঁধ নির্মাণ, জলাশয় পুনঃখনন, পাড় সংস্কার, পোনা অবমুক্তকরণ, বিভিন্ন প্রকার ফলদ ও বনজ বৃক্ষাদী রোপন, নাইটগার্ড ও শ্রমিক নিয়োগসহ অন্যান্য খরচ বাবদ প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা ব্যয় করেন যুব উদ্যোক্তা মেহেদি হাসান।

এরমধ্যে ২০১৯ সালের ৬মে মো. আবুল কাশেম সরকার মাদ্রাসাটিতে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। এরপর ২০২১ সালে মাদ্রাসার গভর্নিং কমিটির মেয়াদ শেষ হলে চলতি বছর নতুন গভর্নিং কমিটি গঠন করা হয়। এতে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশিদ। সভাপতির ক্ষমতা পেয়েই হারুন অর রশিদ লীজ গ্রহণকারী মেহেদি হাসানের কাছে ৫লক্ষ টাকা উৎকোচ দাবী করেন। দাবীকৃত টাকা না পেয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার ও যোগসাজসের মাধ্যমে এককভাবে ইজারা চুক্তিপত্র বাতিল করে দেন। এরপর চলতি বছরের ২৫ অক্টোবর নতুনভাবে ইজারার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এসময় ইজারা গ্রহনকারীকে কোন প্রকার নোটিশ প্রদান বা আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগ দেয়া হয় নাই। এদিকে বিশাল অর্থ লগ্নি করে নতুন কমিটির কাছে সহযোগিতা না পেয়ে সুবিচারের আশায় আদালতের শরণাপন্ন হন তরুন উদ্যোক্তা মেহেদী হাসান। তিনি অবৈধভাবে নতুন করে লিজ নোটিশ প্রদানের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম বিজ্ঞ জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৫১/২০২২। বিজ্ঞ আদালত সন্তোষজনক জবাবের জন্য সভাপতি ও অধ্যক্ষকে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শনোর জন্য নোটিশ প্রদান করেন। এ ঘটনায় ক্ষীপ্ত হয়ে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে আসামীরা সংঘবদ্ধ হয়ে লীজকৃত বিলে দু’দফায় গত ৪ নভেম্বর ও ৫ নভেম্বর দু’দিনে ২০মণ করে ৪০মণ মাছ জলাশয় থেকে জোড়পূর্বক উত্তোলন করেন। যার বাজার মূল্য প্রায় ৪ লক্ষ টাকা। পরে জোড়পূর্বক মাছ চুরির অভিযোগ এনে মেহেদি হাসানের মামা ও প্রজেক্টের তত্ত্বাবধানকারী মো. মোছাদ্দেক হোসেন বাদী হয়ে চলতি মাসের ৭তারিখে ফুলবাড়ী বিজ্ঞ আমলি আদালতে দন্ডবিধি ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩৭৯/৪২৭৫০৬(২)/১১৪/৩৪ ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা নং-৪৮/২০২২ইং। মামলায় আসামীরা হলেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হারুন অর রশিদ, অধ্যক্ষ আবুল কাশেম সরকার, নজির হোসেন, জালাল উদ্দিন, নৈশ প্রহরী হাবিবুর রহমান, মিলন মিয়া, শ্রী কমলচন্দ্র বিশ্বাসসহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫জন।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল কাশেম সরকার জানান, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। মাদ্রাসাকে তারা কোন টাকা পয়সা দেয় নাই। তৎকালীন অধ্যক্ষ জানিয়েছেন তিনি কোন টাকা পান নাই। পুকুর সংস্কার আমরাই করেছি। রংপুর বিভাগ মৎস উন্নয়ন প্রকল্প, মৎস অধিদপ্তর থেকে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৪৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার বিল সংস্কারের কাজ করা হয়। তিনি আরও জানান, নথি খুঁজে দেখি মাদ্রাসাকে ১লক্ষ টাকা প্রদান করা হয় নাই। তারা রশিদ দেখাতে না পারায় চুক্তি ভঙ্গের জন্য উকিলের মাধ্যমে দুটি নোটিশ দিয়েছি। তারা ভুল স্বীকার করে নাই। এজন্য চুক্তি বাতিল করে নতুনভাবে ইজারার জন্য নোটিশ জারি করা হয়েছে।

যুব উদ্যোক্তা মেহেদি হাসান জানান, অক্লান্ত পরিশ্রম আর এক বুক স্বপ্ন নিয়ে ২৮ লক্ষ টাকা লগ্নি করে পতিত বিলগুলো আমি গত দুই বছর ধরে (২০১৮-১৯) সংস্কার করে মৎস চাষের জন্য উপযুক্ত করি। আমার কাজের পর সরকারি উদ্যোগে মৎস বিভাগ থেকে বিলগুলোতে কতটুকু কাজ হয়েছে তা স্থানীয়রা ভাল বলতে পারবেন। উভয়পক্ষ এফিডেভিট করে নগদ এক লক্ষ টাকা দিয়ে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করি। টাকা দিয়েছি বলেই গত ৫বছর ধরে বিল সংস্কার ও মৎস চাষ করে আসছি। এখন নতুন কমিটি অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে নানান কথা বলছে। তারা আমার দিকটা দেখছে না। বাদী পক্ষ আমার আইনগত অধিকার ও মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছে। আমি অপুরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। তারা মাইকিং করে পুকুরের সব মাছ তুলে নিয়ে গেছে। এখন চুক্তি বাতিল করলে সর্বশান্ত হয়ে যাবো। তাই সুবিচার পেতে আইনের দারস্থ হয়েছি।

The post ফুলবাড়ীতে ক্ষমতা পেয়েই ৪০ মণ মাছ চুরি ও যুব উদ্যোক্তাকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা সভাপতির বিরুদ্ধে appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
যে কারণে হাঁসের ডিমের রং পরিবর্তন হয় https://www.ulipur.com/?p=20369 Tue, 01 Nov 2022 10:10:21 +0000 https://www.ulipur.com/?p=20369 ।। নিউজ ডেস্ক ।।চির পরিচিত সাদা ডিমের পরিবর্তে এবার নাগেশ্বরীতে মিললো পাতি হাঁসের কালো ডিম। এর আগে ভোলা জেলার চর ফ্যাশনে এ ধরণের ঘটনা জেনেছে মানুষজন। তবে এ নিয়ে নতুন করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই কালো ডিম দেখতে শতশত মানুষ ভিড় করছে ওই বাড়িতে। বাংলাদেশে কোনো হাঁসের কালো রঙের খোলসযুক্ত ডিম পাড়ার ঘটনা দ্বিতীয়বারের মতো [...]

The post যে কারণে হাঁসের ডিমের রং পরিবর্তন হয় appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
চির পরিচিত সাদা ডিমের পরিবর্তে এবার নাগেশ্বরীতে মিললো পাতি হাঁসের কালো ডিম। এর আগে ভোলা জেলার চর ফ্যাশনে এ ধরণের ঘটনা জেনেছে মানুষজন। তবে এ নিয়ে নতুন করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই কালো ডিম দেখতে শতশত মানুষ ভিড় করছে ওই বাড়িতে। বাংলাদেশে কোনো হাঁসের কালো রঙের খোলসযুক্ত ডিম পাড়ার ঘটনা দ্বিতীয়বারের মতো ঘটল।

এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা বলছেন, হাঁসের শরীরের ভেতরে ডিম তৈরির প্রক্রিয়ায় শুরুতে কুসুমটি তৈরি হয়। সেটি জরায়ু নালি থেকে দু–তিন ঘণ্টা সময় নিয়ে জরায়ুতে প্রবেশ করে। আর জরায়ুতে ডিমটি থাকে ২০ থেকে ২৫ ঘণ্টা। ওই সময়ে ডিমের খোলসটি তৈরি হয়। ফলে মূলত জরায়ুতে থাকা বিলিভারডিন বা লোহিত রক্তকণিকার ভাঙা অংশ এবং পিত্তরস মিলে তা কালচে রং ধারণ করতে পারে। প্রকৃতিতে নানা ধরনের ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটে। সাদা রঙের বাঘ, লালচে শিয়াল থেকে শুরু করে কালো রঙের পাতিহাঁসের ডিম পাড়া বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে অস্বাভাবিক নয়। লাখো বা কোটি প্রাণীর মধ্যে দু–একটি ঘটনা এমন ব্যতিক্রমীভাবে ঘটে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও পাখি গবেষক আ ন ম আমিনুর রহমান বলেন, প্রাণিদেহের রক্তকণিকা ভেঙে বিলিভারডিন নামে একটি উপাদান বের হয়। এটা কম-বেশি হওয়ার কারণে ডিমের খোলসের রং নীলচে বা সবুজাভ হয়ে থাকে। সেই সঙ্গে জরায়ুতে ডিমের খোলসটি পরিণত হওয়ার সময়ে তাতে গাঢ় সবুজ রঙের পিত্তরস বেশি থাকতে পারে। ওই দুটি উপাদান জরায়ুতে বেশি থাকলে তা থেকে ডিমটির রং কালো হতে পারে। এ ধরনের কালো ডিম হওয়ার ঘটনা বাংলাদেশে খুবই ব্যতিক্রম। সম্ভবত এটি প্রথমবার ঘটল।

বিজ্ঞানী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল এইচ খানের মতেও মূলত ওই হাঁসের ডিমটি কালো রঙের হওয়া একটি বিরল ঘটনা। তবে তা অস্বাভাবিক নয়। আরও কয়েকটি ডিম দেওয়ার পর হাঁসটি নীলচে বা হালকা সবুজ রঙের ডিম পাড়বে বলে মনে করছেন তিনি। এটি ঘটছে মূলত ডিমটির খোলস তৈরির সময় তাতে পিত্তরস বেশি যুক্ত হওয়ার কারণে।

The post যে কারণে হাঁসের ডিমের রং পরিবর্তন হয় appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
উলিপুর ডট কম’র কুড়িগ্রাম কার্যালয় উদ্বোধন https://www.ulipur.com/?p=19738 Sun, 16 Oct 2022 12:04:32 +0000 https://www.ulipur.com/?p=19738 ।। নিউজ ডেস্ক ।।কুড়িগ্রামের প্রথম অনলাইন মিডিয়া তালিকাভুক্ত নিউজ পোর্টাল উলিপুর ডট কম’র জেলা কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে আরকে রোডস্থ শাপলা চত্ত্বর সংলগ্ন এ কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মীর্জা মোঃ [...]

The post উলিপুর ডট কম’র কুড়িগ্রাম কার্যালয় উদ্বোধন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামের প্রথম অনলাইন মিডিয়া তালিকাভুক্ত নিউজ পোর্টাল উলিপুর ডট কম’র জেলা কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে আরকে রোডস্থ শাপলা চত্ত্বর সংলগ্ন এ কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মীর্জা মোঃ নাসির উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওএসক্লিকসের পরিচালক সুরিদা রাজ্জাক। উলিপুর ডট কম’র উপদেষ্টা সম্পাদক আবু হেনা মুস্তফা’র সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি রাজু মোস্তাফিজ, সিনিয়র সাংবাদিক সফি খান, উলিপুর ডট কম’র নির্বাহী সম্পাদক মাহফুজার রহমান, সাংবাদিক হুমায়ুন কবির সূর্য, এম.আর মিন্টু, এম. রহমান রঞ্জু, শাহীন আহমেদ, গোলাম রব্বানী, সাইফুল ইসলাম, উলিপুর ডট কম’র ম্যানেজার(এডমিন) অমিত চন্দ্র পাল, প্রধান প্রতিবেদক আব্দুল মালেক প্রমূখ। উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান শেষে কেক কাটা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

The post উলিপুর ডট কম’র কুড়িগ্রাম কার্যালয় উদ্বোধন appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
চুয়াডাংগার সাহসী কন্যা বর্ষা https://www.ulipur.com/?p=15826 Sat, 01 Jan 2022 13:36:50 +0000 https://www.ulipur.com/?p=15826 ।। মো. রেজুয়ান খান ।। দশম শ্রেণি পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী বর্ষা থানায় এসে পুলিশের সাহায্য চেয়ে নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকানোর মাধ্যমে বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করে। সরকারের পক্ষ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর জাতীয় কন্যা দিবস অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর বর্ষাকে ক্রেস্ট ও সংবর্ধনাসহ ‘সাহসী কন্যা’ উপাধি প্রদান করে। পুলিশ তাৎক্ষণিক বর্ষার বাল্যবিয়ে বন্ধসহ তার ইচ্ছানুযায়ী [...]

The post চুয়াডাংগার সাহসী কন্যা বর্ষা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>
।। মো. রেজুয়ান খান ।।
দশম শ্রেণি পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী বর্ষা থানায় এসে পুলিশের সাহায্য চেয়ে নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকানোর মাধ্যমে বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করে। সরকারের পক্ষ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর জাতীয় কন্যা দিবস অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর বর্ষাকে ক্রেস্ট ও সংবর্ধনাসহ ‘সাহসী কন্যা’ উপাধি প্রদান করে। পুলিশ তাৎক্ষণিক বর্ষার বাল্যবিয়ে বন্ধসহ তার ইচ্ছানুযায়ী পড়াশুনা অব্যাহত রাখার পথকে সুগম করে দেয়।

বর্ষা চুয়াডাংগা সদর ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী। মামা, খালারা জোর করে বর্ষাকে বাল্যবিয়ে দিতে চায়। বর্ষার মা’কেও বাল্যবিয়ের শিকার হতে হয়েছিল। বর্ষার বাবা বহু আগেই তার মাকে ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যায়। বাবা তাদের খোঁজ খবর রাখে না। বর্ষা কাছ থেকে মায়ের দুঃখ, কষ্ট উপলব্ধি করেছে। মামা, খালাদের জোরের কাছে বর্ষার মায়ের কোনো অধিকার ছিল না বর্ষাকে রক্ষা করার। বর্ষা উপায় না দেখে সরাসরি চুয়াডাংগা সদর থানায় গিয়ে হাজির হয়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীনের কাছে তার বাল্যবিয়েতে অসম্মতি এবং পড়াশুনা চালিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করে। থানার কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক পুলিশবাহিনী নিয়ে বর্ষাদের বাড়িতে গিয়ে হাজির হয়। মামা, খালারা পুলিশ দেখে ভয়ে কোনো শব্দটি করেনি। এভাবে বর্ষার সুন্দর জীবন নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পায় বর্ষা।

অতিমারি করোনার ভয়াবহতায় বিশ্বের অনেক দেশেই মেয়েদের বাল্যবিয়ের প্রবণতা বেড়ে গেছে। করোনা মহামারীর কারণে সারা দেশে আঠারো মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর সরকার ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল, কলেজ খুলে দেয়। বর্ষা আবারও স্কুলে যাওয়া আসা করছে। তার বিদ্যালয়ের শিক্ষক সহপাঠীদের কাছে বর্ষা এখন সাহসী কন্যা। একইভাবে গত ১৫ অক্টোবর পার্বত্য জেলার খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার জামতলী বাঙালি পাড়ায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মুস্তফা। এছাড়া, গত ১৩ অক্টোবর ভোলা জেলার লালমোহনে নবম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রী বাল্যবিয়ে ঠেকাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে পুলিশ প্রশাসন মেয়েকে ১৮ বছরের আগে বিয়ে না দেওয়ার মুচলেকায় মা-বাবার কাছে তাকে হস্তান্তর করে। ৭ অক্টোবর বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া আরেক সাহসী কন্যা রোজি খাতুন তার শিক্ষক ও স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছিল। ৫ অক্টোবর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষ্যেও আলোচনা সভায় সাহসী কন্যা আমিনা, জেরিনা, মনোয়ারার মতো লড়াকু কন্যারা প্রশাসনের সহায়তায় তাদের বাল্যবিয়ে বন্ধ করাসহ উন্নত জীবনের জন্য পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার গল্প বর্ণনা করে। ৪ অক্টোবর জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলার এক প্রাইমারি স্কুলশিক্ষক তার নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে রাতের আঁধারে বাল্যবিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খবর পেয়ে রাত ১০টায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ঐ শিক্ষকের বাড়িতে হাজির হন এবং তাকে জরিমানাসহ মুচলেকা নিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন। এভাবে সাহসী কন্যাদের খবর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পাচ্ছে।

মানবাধিকার অর্জনের অন্যতম শর্ত হলো নারীর অধিকার রক্ষা করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর কখন বিয়ে হবে, কখন সন্তান নিতে হবে, নিরাপদ মাতৃত্ব ও পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে, তা জানার অধিকারই হলো নারীর সাধারণ অধিকার। বাল্য বিয়ের কারণে শিশু কন্যাটির বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হতে পারে। অপ্রাপ্তবয়স্ক মায়ের ভূমিষ্ট শিশুর শারীরিক গঠন বাধাপ্রাপ্ত হয়, অপুষ্টিতে ভোগে, এমনকি অপরিণত বয়সে মা হতে গিয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক বালিকাটি মৃত্যু ঝুঁকিতেও থাকে। অপরিণত বয়সে মা হতে গিয়ে গর্ভের শিশুটি রোগাক্রান্ত হয়, শারীরিক পূর্ণতা পায় না। শিশুটির সুস্থ মানসিক বিকাশ ব্যাহত হয়। সর্বোপরি অপরিণত বয়সে মা হওয়া বালিকাটিসহ তার শিশুটিও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়। এভাবেই বাল্যবিয়ের শিকার মেয়েটি ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা কর্মহীনতা, অপুষ্টি ও দারিদ্র্যের দুষ্টচক্রে আবদ্ধ হয়ে যায়। বাল্যবিয়ে বহু বিবাহের সৃষ্টি করে, বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটায় এবং নারী নির্যাতনের হার বাড়ায়। এর ফলে দেশের উন্নয়ন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।

আধুনিক সমাজে কোনোভাবেই বাল্যবিয়েকে মেনে নেওয়া হয় না। বাল্যবিয়ে দেওয়া মানে হলো একটি সম্ভাবনাময় জীবনকে আটকে দেওয়া। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধি, মসজিদের ইমাম, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকসহ সকলের অংশগ্রহণে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।

সরকার বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে নারী শিক্ষাকে উৎসাহিত করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কন্যা শিশুর ঝরে পড়া বন্ধ করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। পাত্র বা পাত্রী যে কারও একজনের বয়স অপ্রাপ্তবয়স্ক, শিশু বা নাবালক হলে, তাদের বিয়েকে বাল্যবিয়ে হিসেবে গণ্য করা হবে। বাল্যবিয়ে বন্ধে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি ও তাৎক্ষণিক বিচারের জন্য ভ্রাম্যমান আদালতকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। অপ্রাপ্তবয়স্কদের সর্বোত্তম স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য জাতীয়ভাবে যাচাই কমিটি গঠন করা হয়েছে। জাতীয় কমিটিতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী সভাপতি হন। জেলা কমিটিতে সভাপতি হন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক। উপজেলা কমিটিতে সভাপতি হন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং ইউনিয়ন কমিটিতে সভাপতি থাকেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সরকার ভ্রাম্যমান আদালত চালু করেছে। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় ম্যাজিস্ট্রেটের ভূমিকায় থাকেন ইউএনও। ১৫ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিয়ে বন্ধে সরকার বাস্তবমুখী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা-২০১১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকার বিশাল জনগোষ্ঠীকে জনশক্তিতে রূপান্তরের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।

বাল্যবিয়ের প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে লোকসংগীত, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ স্থানীয় পত্রিকা, ক্যাবল নেটওয়ার্ক, বিলবোর্ড, পোস্টার, লিফলেট, প্রামাণ্যচিত্র, ওয়ার্কশপ, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম এবং সামাজিক নেটওয়ার্কিং-এর মাধ্যমে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে প্রচারব্যবস্থাকে আরও জোরদার করা হয়েছে। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের চ্যালেঞ্জসমূহ চিহ্নিতকরণ এবং তা নিরসনে জাতীয় কমিটির কাছে সুপারিশ প্রেরণসহ ৬৪টি জেলায় বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। নারী নির্যাতন ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সরকার চালু করেছে জাতীয় হেল্পলাইন সেন্টার। দেশের নারীদের সহায়তার জন্য যে কেউ যে কোনো প্রান্ত থেকে ১০৯-এ কল করে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা পেতে পারেন। এছাড়া ৯৯৯-এ কল করেও পুলিশের সহায়তা নেওয়া যায়। সরকার দেশের ৪ হাজার ৫৫০টি ইউনিয়ন ও ৩৩০টি পৌরসভায় ৮ হাজারটি কিশোর-কিশোরী ক্লাব নির্মাণ করেছে। কিশোর-কিশোরীদের যৌন ও প্রজননস্বাস্থ্য শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তাদের এ ক্লাবগুলি জনগণকে সচেতন করতে কাজ করে যাচ্ছে এবং নিজেরাও বাল্যবিয়ে বন্ধে প্রশংসনীয় কাজ অব্যাহত রেখেছে।

বাল্যবিয়ে দেশে প্রত্যাশিত প্রজন্ম তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করে। বাল্যবিয়ে বন্ধে শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের কন্যাশিশুদের শিক্ষা লাভের সুযোগ ও এর বিকাশে বিশেষ কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছেন, যার ফলে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন বিশ্বে অনন্য নজির স্থাপন করেছে। নারীর ক্ষমতায়নে অনন্য অবদানস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬-এ ‘Planet 50-50 Award’, ‘Agent of Change Award’-এ ভূষিত হয়েছেন। গ্লোবাল উইমেন্স সামিট-২০১৮ সম্মেলনে ‘Global Women’s Leadership Award’ এবং ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের Sustainable Development Solutions Network শীর্ষক নবম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার অর্জন করেছেন।

বিশ্বব্যাপী এখন প্রায় ৬৫ কোটি নারী জীবিত রয়েছেন যাদের বিয়ে হয়েছিল শিশু হিসেবে। ইউনিসেফের তথ্য অনযায়ী, বিশ্বব্যাপী বর্তমানে বছরে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মেয়ের শিশু বয়সে বিয়ে হয়। নতুন এই তথ্য নির্দেশ করছে যে, ১০ বছর আগেও বিশ্বব্যাপী যতো সংখ্যাক মেয়ে শিশুবিয়ের শিকার হতো বলে মনে করা হয় সে সংখ্যাটি বৈশ্বিকভাবে ২ কোটি ৫০ লাখ কমেছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় নির্ধারিত লক্ষ্য অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে শিশুবিয়ে বন্ধ করতে অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় দ্রুততর করতে হবে। আরো দ্রুততর করা সম্ভব না হলে ২০৩০ সাল নাগাদ আরও ১৫ কোটির বেশি মেয়ে তাদের বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগেই বিয়ে করতে বাধ্য হবে। যদিও গত দশকে শিশুবিয়ে কমানোর ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়া নেতৃত্ব দিয়েছে। শিশু বিয়ের বৈশ্বিক বোঝা এখন সাব-সাহারান আফ্রিকায় স্থানান্তরিত হচ্ছে, তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিয়ে হওয়া শিশুবধূদের মধ্যে প্রতি তিনজনের মধ্যে প্রায় একজনই সাব-সাহারান আফ্রিকা অঞ্চলের হলেও এক দশক আগে ছিল প্রতি পাঁচজনে একজন। নতুন তথ্য আফ্রিকা মহাদেশে অগ্রগতির সম্ভাবনাকেও নির্দেশ করে। ইথিওপিয়া যেখানে এক সময় সাব-সাহারান আফ্রিকা অঞ্চলে শিশুবিয়ের ক্ষেত্রে শীর্ষ পাঁচ দেশের একটি ছিল, সেখানে এই দেশে বাল্যবিয়ের হার গত ১০ বছরে এক তৃতীয়াংশ কমেছে। তবে যেহেতু বিশ্ব ২০৩০ সালের মধ্যে শিশুবিয়ে বন্ধের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, তাই এই ভয়াবহ চর্চা এবং কণ্যা শিশুদের শৈশব চুরি করা ঠেকাতে সম্মিলিতভাবে আমাদের প্রচেষ্টা আরও জোরদার করতে হবে।

একই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সরকারও ২০৩০ সালের মধ্যে বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে অঙ্গিকারবদ্ধ। বাল্যবিয়ে রোধ এবং কিশোরী কন্যাশিশুদের স্বাস্থ্য, মানসিক বিকাশ ও সার্বিক আত্মউন্নয়নে সরকারিভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে যে বালিকারা বিশেষ ভূমিকা রাখছে, সরকারি উদ্যোগে তাদের ‘সাহসী কন্যা’ উপাধিসহ পুরস্কৃত করা হয়েছে। সারা দেশে এমন সাহসী কন্যাদের বীরত্বের কথা বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কন্যা শিশুদের আধুনিক প্রযুক্তিশিক্ষা লাভের পরিবেশ সৃষ্টি করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মানসে সকলকে সমস্বরে বাল্য বিয়েকে ‘না’ বলার অনুশীলনে ব্রত হতে হবে এবং তা হতেই হবে।

লেখকঃ মো. রেজুয়ান খান
তথ্য অফিসার, পিআইডি, ঢাকা।

The post চুয়াডাংগার সাহসী কন্যা বর্ষা appeared first on স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র.

]]>