।। নিউজ ডেস্ক ।।
ঈদের বাকি এক দিন। ইতিমধ্যে জমে উঠেছে উলিপুরের ঈদ বাজার। ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত বিপণী – বিতানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রোদ-বৃষ্টি ও গরম উপেক্ষা করে পরিবার-পরিজনদের জন্য নতুন পোশাক কিনতে বিপণী-বিতানগুলোতে ভিড় করছেন নানা বয়সী মানুষ। এ বছর রোজার শুরু থেকে মার্কেটগুলো খোলা থাকায় গত দুই বছরের ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে, পুরো রমজান মাস জুড়ে মার্কেট খোলা থাকায় ধীরেসুস্থে কেনাকাটা করতে পারছেন বলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ক্রেতা – বিক্রেতারা।
এদিকে বড় বড় অভিজাত বিপণী বিতানের পাশাপাশি ঈদের ছোঁয়া লেগেছে ফুটপাতের দোকানগুলোতেও। ক্রেতা-বিক্রেতাদের দরদামে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্তও চলছে কেনাবেচা। ফুটপাতে অস্থায়ীভাবে টেবিল বসিয়ে পণ্যের পসরা নিয়ে বসা এই শহরের পুরনো চিত্র। তার সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে তিন চাকার ভ্যানগাড়ি। এখন ফুটপাতের পাশে ভ্যানগাড়িতেও ঈদের বাজারের কেনাকাটা চলছে পুরোদমে।
তবে, এ বছর স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই বললেই চলে। অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্ক নেই, সামাজিক দূরত্ব মানার ন্যূনতম প্রবণতাও লক্ষ্য করা যায়নি। দু একজন মাস্ক পড়লেও অনেকের মাস্কই সঠিকভাবে পরা ছিল না। ক্রেতাদের সমাগমের কারণে মার্কেটগুলোর সামনের রাস্তাতে দেখা যায় দীর্ঘ যানজট। ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে গিয়েও বেগ পেতে হয় পথচারীদের। সোমবার (০২ মে) উলিপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
উলিপুর, দূর্গাপুর, মন্ডলেরহাট, পুরাতন অনন্তপুর, বজরা বাজার, মিনাবাজার, মাঝবিলসহ বিভিন্ন মার্কেট ছিল লোকে লোকারণ্য।
নিজেদের সাধ্যমতো মানুষ প্রিয়জনদের জন্য কেনাকাটায় ব্যস্ত ছিলেন তারা। এসব মার্কেটের ভেতরে ও আশেপাশের রাস্তাগুলোতে হাঁটার মতো অবস্থা ছিল না। সবখানেই ক্রেতাদের ভিড়। বিক্রেতারা বাহারি রঙের সব পোশাক সাজিয়ে রেখেছেন। কেউ পোশাক শরীরে ট্রায়াল দিচ্ছেন। কেউবা বাচ্চাদের পোশাক কেনায় ব্যস্ত। কেউবা শাড়ি, কসমেটিকস, গহনা, জুতার দোকানে ভিড় জমিয়েছেন। ছেলেদের পাঞ্জাবির দোকানগুলোতেও ছিল চোখে পড়ার মতো ভিড়। তবে থেমে নেই, সবাই ছুটছেন পছন্দের পোশাকের সন্ধানে। ভিড়ের কারণে ক্রেতার সঙ্গে বেশিক্ষণ কথা বলারও সুযোগ পাচ্ছেন না বিক্রেতারা। এর মধ্যেই পছন্দের কাপড় কিনছেন ক্রেতারা। ছেলেরা বেশি কিনছেন শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট ও পাঞ্জাবি। আর তরুণী ও নারীরা কিনছেন শাড়ি, থ্রি-পিস ও ফ্রক। এছাড়া জুতার দোকানেও বিক্রি বেড়েছে অনেক।
উলিপুর মার্কেটের মালিক সমিতির সভাপতি মো. রিয়াজুল হক জানান, এ মার্কেটের প্রতিটা দোকানেই প্রতিদিন বিক্রি বাড়ছে। চাঁদ রাতে আরও বেশি বিক্রি হবে। আশা করছি পরিবার পরিজন নিয়ে এ বছর ঈদ আমরা ভালোভাবে কাটাতে পারবো।
//নিউজ/উলিপুর//সুভাষ/মে/০২/২২