।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরের দূর্গাপুর ইউনিয়নের ঝাকুয়াপাড়া গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহাবুবার রহমানের উপর আবারও সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১০:০০ ঘটিকার দিকে অতর্কিতভাবে এ হামলার শিকার হয় ভুক্তভোগীর পরিবার এবং সেই সাথে মৃত্যুর হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা। শিক্ষক মাহাবুবার রহমান উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের খারিজা কামাল সরকারি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে দুই পক্ষের মধ্যে। কিছুদিন ধরে আব্দুল আজিজ এর পক্ষের লোকজন আবারও অতর্কিত হামলা ও হত্যার হুমকি দেয়। গত শনিবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় বাদী মো মাহবুবার রহমান এর বাড়ির উঠানে তার স্ত্রী ও মাসহ বসে থাকা অবস্থায় বিবাদী মোঃ শামিম, পিতা মোঃ আব্দুল আজিজ এর হুকুমে মোঃ রেজাউল ইসলাম, পিতা মোঃ বাদশা মিয়া আকষ্মিকভাবে হাতে লোহার সাবল নিয়ে বিনা অনুমতিতে বাড়িতে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় এবং পেটে লাথি মেরে ভুক্তভোগী শিক্ষককে মাটিতে ফেলে দেয়। সেই বিবাদী বিরুদ্ধে পূর্বের দায়েরকৃত মামলা (জিআর ১২০/২২ উলিঃ) প্রত্যাহার করতে বলে। এতে অসম্মতি জানালে সাথে লোহার সাবল বুকের উপর ধরে নগদ পাচ লক্ষ টাকা দাবি করে অন্যথায় প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে আত্মচিৎকারে প্রতিবেশিরা এসে উদ্ধার করে এবং বিবাদী চলে যাওয়ার হুমকি দেয় “আবারও সুযোগ পেলে তোকে জানে মেরে ফেলব”।
উল্লেখ্য, ওই গ্রামের মৃত আব্দুর সামাদ মিয়ার পুত্র স্কুলশিক্ষক মাহাবুবার রহমান (৪০) এর সাথে একই গ্রামের আব্দুল আজিজ এর পুত্র শামিম সরকার (৪০) এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জেরে আব্দুল আজিজ এর পক্ষের লোকজন মিজানুর রহমান ও তার পরিবারের লোকজনকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। এর আগেও প্রধান আসামী মোঃ শামীম সরকার, পিতা- মোঃ আঃ আজিজ সরকারসহ ৩ থেকে ৪ জন লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধভাবে হামলা, বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এতে শিক্ষক মাহাবুবার রহমানসহ কয়েকজন আহত হন।পরে স্থানীয় লোকজন মাহবুবার রহমান ও তার ভাই মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। এই ঘটনায় মাহাবুবার রহমান বাদী হয়ে ওই দিন রাতেই ২ জন নামীয় ও ৩ থেকে ৪ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে উলিপুর থানায় একটি এজাহার দায়েরের আবেদন করেন। আবেদনে আব্দুল আজিজ এর পুত্র শামিম সরকারকে আসামী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আসামী শামীম সরকার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মচারী হিসেবে চাকরিরত আছেন বলে জানা যায়।