।। নিউজ ডেস্ক ।।
আজ সোমবার (০৪ ডিসেম্বর) উলিপুর হানাদার মুক্ত দিবস। অন্যান্য জেলা উপজেলার মতো উলিপুরেও মুক্তিযুদ্ধের গৌরবান্বিত ইতিহাস রয়েছে। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এই দিনে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর ত্রিমুখী প্রবল আক্রমণে উলিপুুর উপজেলা পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেক মুক্ত হয়।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে উলিপুর উপজেলার বেশির ভাগ অঞ্চল ১১নং সেক্টর এবং দূর্গাপুর, বেগমগঞ্জ ও বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের কিছু অংশ ৬নং সেক্টরের অধীনে ছিল। তখনকার সময়ে উলিপুরের ডাক বাংলায় শক্ত অবস্থান গেড়েছিল পাকবাহিনীরা। মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়টা জুড়ে এই ডাক বাংলা ক্যাম্প যেন হয়ে ওঠে ধর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু এবং সেই সাথে স্থানীয় সাধারণ মানুষের উপর অকথ্য নির্যাতন ও বিভৎস টর্চার উল্লেখযোগ্য। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী উলিপুরের ডাক বাংলা ক্যাম্পসহ ৬ ও ১১নং সেক্টরে অবস্থানরত সমগ্র হানাদার ক্যাম্পে যৌথ অভিযান চালায়। তিনদিক থেকে আক্রমণ চালানো হয় পাকবাহিনীর শক্ত অবস্থানের উপর। আকস্মিক ত্রিমুখী আক্রমণে হকচকিয়ে ওঠে অবস্থানরত হানাদারদের ক্যাম্প। শেষ পর্যন্ত যৌথ আক্রমণের প্রবলতায় টিকতে না পেরে ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর উলিপুর ছেড়ে পালিয়ে যায় পাক হানাদার বাহিনী। হানাদার মুক্ত হয় উলিপুর।
তবে পাক হানাদারদের পাল্টা আক্রমণে গুলিবিদ্ধ হন চাঁদ কোম্পানির চৌকস যোদ্ধা আব্দুর রহিম মন্ডল। পরবর্তীতে তিনি শহীদ হন। ৪ ডিসেম্বর উলিপুর পাক হানাদার মুক্ত হওয়ার পর থেকে উলিপুরে চালু করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা।