।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রাম-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী পনির উদ্দিন আহমেদ এর বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এই বক্তব্য নিয়ে সামাজিক মাধ্যম এবং জেলা জুড়ে বইছে সমালোচনার ঝড়। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সামাজিক মাধ্যমে ৪১ সেকেন্ডের ভিডিও বক্তব্য শোনা যায় তিনি নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছিলেন। এসময় তার বক্তব্যের চুম্বক অংশ বিশেষে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। ভাইরাল হওয়া বক্তব্যে শোনা যায়, আপনারা পাঁচ বছর পর আমাকে ভোট দেন নাই? পাঁচ বছর ফির আচ্ছি। কাইও কয় পাঁচ বছর কডে ছিলেন? কাইও কয় এডা কি কললেন, কাইও কয় ওডা কি কললেন। কাইও কয় আমার বলে উন্নয়ন নাই। তা কার উন্নয়ন আছে? ওমরা কয় শেখ হাসিনার উন্নয়ন। শেখ হাসিনা কি এমপি এডায়। এটে কি শেখ হাসিনা এমপি? এখানে কে এমপি? জাতীয় পার্টির এমপি পনির উদ্দিন আহমেদ এমপি। শেখ হাসিনা কি বাপ জোয়াতির টাকা দিয়া উন্নয়ন করছে?
জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গতকাল ৪ জানুয়ারি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের হলোখানা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় পার্টির নির্বাচনী প্রচারণা ছিল। সন্ধ্যা ৭টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত এই প্রচারণা চালানোর সময় তিনি কথার এক প্রসঙ্গে বলে ফেলেছেন এসব কথা। যদিও এসব কথার কথা ছিল বলে তাদের দাবি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছোট করার কোন ইচ্ছে ছিল না তার।
এই বিষয়ে প্রার্থী পনির উদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত মুঠো ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তবে শুক্রবার রাতে তিনি একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশের মাধ্যমে দাবি করেন, “কে বা কারা আমার কথার উপরে এডিট করে একটা পক্ষ অপপ্রচারণা চালাচ্ছে।”
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান টিটু বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী পনির উদ্দিন আহমেদ এমপি কুরুচিপূর্ণ বিতর্কিত ধৃষ্টতা মুলক যে বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করছি। এ বক্তব্যের কারণে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ধরণের বক্তব্য দিয়ে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ। আগামীতে দলীয় ফোরামে বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে।
কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু বলেন, সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া বক্তব্য সম্পর্কে আমি জানি না। তবে আমি তার দুটি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে ছিলাম সেখানে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শব্দটি ব্যবহার করেছেন।